এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • আধুনিক বাংলা গানের কথা

    Somen Dey
    গান | ২৪ এপ্রিল ২০১২ | ৪১৮০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৮:৪২543154
  • ব্যাপারটা কিরকম দুই ক্যাম্পে ভাগ হয়ে গেল।

    এই ক্যাম্পবাজি আমাদের চিরকালীন স্বভাব। ঋত্বিক বনাম সত্যজিত, দেবব্রত বনাম হেমন্ত, উত্তম বনাম সৌমিত্র, শচীন বনাম লারা। আচ্ছা, আমাদের জীবনে কি বহুরং থাকতে পারে না? আমাদের দুজনকেই ভাল লাগতে পারে, আর দুজনকেই সমান জিনিয়াসের সম্মান দেওয়া যায়, না কি?

    সুমন মহীন দুজনেই জিনিয়াস। ভাবা যায় না, জাস্ট ভাবা যায় না এই লেভেলের জিনিয়াস।

    আমার তো সবকিছুকেই ব্যাপক লাগে। সুমনকেও, মহীনকেও, অঞ্জনকেও, চন্দ্রবিন্দুকেও। মার্ক্সকেও, আবার কট্টর মার্ক্সবিরোধী পপার বা রাসেলকেও। কথাটা হল, ঝাল ঝোল ছ্যাঁচড়া অম্বল সব চেটেপুটে খেয়ে বাঁচব। এ জীবন বড় ক্ষণস্থায়ী। জগতের খোরাকযজ্ঞে নেমন্তন্ন পেয়েছি। শুধু মুধু একটা ক্যাম্প বেছে নিয়ে অন্য পক্ষের জিনিয়াসদের হাতছাড়া করব কেন?
  • pi | 137.187.241.4 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৮:৫০543155
  • সেটাই কাল থেকে বলার চেষ্টা করছি :(
    যার যা ভাল, তার থেকে আনন্দ নিলেই হয়। আমাদের তো কেবল পাবারই আছে।

    তাতিন, দরিয়ার সুরের মধ্যেও সেই আর্তি খুঁজে পাস না ? সুরকে বাদ দিয়ে গানের কথার বিচার, আমার কেমন যেন অসম্পূর্ণ মনে হয়।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:০৪543156
  • না গোটাটা মিলিয়েই শুনি নিশ্চয়ই, তবে পরে নিজে যখন গুনগুন করি (সেইটাও গান উপভোগ করার একটা পার্ট) যেহেতু সুরটা মনে থাকেনা কথা দিয়েই বিচার করতে হয়।
  • pi | 137.187.241.4 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:০৮543157
  • সুর ছাড়া গুনগুন করিস ? মানে, কবিতা আউড়ানোর মতন? :o

    আমার তো আবার সুরটাই বেশি ক'রে মনে থাকে।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১১543158
  • বিভিন্ন রকম সুরে করি :D
  • pi | 137.187.241.4 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১২543159
  • :)
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৯543160
  • তাতিন।
    দরিয়া একটা গান। তাও যেটা সিনেমার প্রয়োজনে করা। তারপরেও গানটা এতো জনপ্রিয়। একটা বানানো বাংলা কাওয়ালী।
    বাংলা কাওয়ালী কিছু করেছিলেন নজরুল। তারপর আমার যা মনে আছে , মান্না দের যখন কেউ আমাকে পাগল বলে আর দরিয়া।
    আপনি এই একটা গনের লিরিক দিয়ে মহীনের গোটা লিরিকের বিচার করছেন। ব্যাপারটা আপনার কাছেও কি একটু অদ্ভুত ঠেকছে না?

    সিদ্ধার্থ। আমি কোথাও বলিনি যে সুমন অতি ধুর। ওগুলো কোন সুর বা কথাই নয়। আমার যেটা বলার ছিলো সুমন ৫০-৬০এর বাংলা আধুনিক গানের সাঙ্গীতিক উত্তরসূরী। আবার করে সেই কাব্যময়তা, সেই মেলডি বাংলা আধুনিক গানে ফিরিয়ে এনেছে। সেখানে মহীন বাংলা গানের ১৯৭৬-৭৭ সিনে সম্পূর্ণ ডিপারচার।
    সেটার কাউন্টার করতে লোকজন মহীনের কোয়ালিটি নিয়ে বাজে কথা বলছে। এটা নেওয়া যায় না।
    তাই ইচ্ছে না থাকলেও ক্যাম্প ক্যাম্প ভাব আসে।
    কি করি বল।

  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২২543161
  • খেয়াল করে দেখুন আমিও জাস্ট আপনার-ই কথা বলেছি।
  • Jhiki | 219.83.85.197 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৩543162
  • মহীন যারা বাজে বলছে, তারা জাস্ট বাজে বকছে।
    কিন্তু আপনি যে ক্রমাগত বলে চলছেন যে মহীন বাংলা গানের মোড় ঘুরিয়েছে, সুমন নয়........ তার বিপক্ষে তো অনেকেই লিখেছে, আপনি কি আপনার জায়গা থেকে একটুও সরছেন?
  • nyara | 203.110.238.17 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩৪543165
  • কল্লোলদা লিখেছেন, "আমার যেটা বলার ছিলো সুমন ৫০-৬০এর বাংলা আধুনিক গানের সাঙ্গীতিক উত্তরসূরী। আবার করে সেই কাব্যময়তা, সেই মেলডি বাংলা আধুনিক গানে ফিরিয়ে এনেছে। সেখানে মহীন বাংলা গানের ১৯৭৬-৭৭ সিনে সম্পূর্ণ ডিপারচার।"

    ফর রেকর্ডস সেক, আমি ব্যক্তিগতভাবে এই ভাবনাটাতেই সাবস্ক্রাইব করি। আমি নিজেরও যা গান-টান শোন, সেও মূলত: ট্র্যাডিশনাল বাংলা গান। শ্রোতা হিসেবে তাই মহীনের থেকে সুমন আমার কাছে বেশি স্বস্তিদায়ক। কিন্তু মহীনকে যুগন্ধর বলতে আমার কোন অসুবিধে নেই। তবে এটাও ঠিক, পালাবদলের এজেন্ট হতে গেলে যে কনসিসটেন্সি ও যে পরিমাণ আউটপুট লাগে, মহীনের ভাঁড়ার সে তুলনায় বেশ দীন।
  • nyara | 203.110.238.17 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩৭543166
  • কল্লোলদার যে ভাবনাটায় সাবস্ক্রাইব করি - "সুমন ৫০-৬০এর বাংলা আধুনিক গানের সাঙ্গীতিক উত্তরসুরী। আবার করে সেই কাব্যময়তা, সেই মেলডি বাংলা আধুনিক গানে ফিরিয়ে এনেছে। সেখানে মহীন বাংলা গানের ১৯৭৬-৭৭ সিনে সম্পূর্ণ ডিপারচার।"
  • Generic letter | 72.95.253.75 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪০543167
  • সুর-কথা একটাকে বাদ দিয়ে আর একটাকে কিছুতেই বিচার করা যায় না। ভালো সুর-কথা দিয়েও কত গান পনসে থেকে যায়, আর ঠিক তেমন সুরও না তেমন কথাও না, এমন কত গান আমাদের ছুঁয়ে যায়। ঐ ছুঁয়ে যাওয়াটাই গানের গান হয়ে ওঠা। এগজাম্পল দিয়ে পাতা নষ্ট করব না, একটু ভাবলেই পাবেন। অবশ্যই, কল্লোলদাকে যেটা ছোঁয় সেটা সদাকে না ছুঁতে পারে এবং ভাইস ভার্সা, কিন্তু আমি সিওর প্রত্যেকের ক্ষেত্রেই দুরকম উদা আছে (ভাল সুরকথা পানসে গান আবার উল্টোটা)।

    আমার কাছে একটা ভাল উদহরণ sound of silence এর অনুবাদ। সুমনের স্তব্ধতার গান শোনো অসম্ভব সুন্দর ভাবানুবাদ। সুরও মুলানূগ। কিন্তু অনুবাদ হিসেবে ভালো হলেও গান হিসেবে নিজের পায়ে দাঁড়ায়নি। অপরদিকে চন্দ্রবিন্দুর মৌনমুখরতার সুর একটু চটুল, কথাও তেমন নয় - আমি তবু গান হিসেবে - জাস্ট ভাললাগার নিরিখে বেছে নেব মৌনমুখরতা। তবে পসন্দ-নাপসন্দের ব্যাপারে হিজ হিজ হুজ হুজ।

    প্রভাবের ব্যাপারটা পছন্দের বিষয়টার থেকে একটু আলাদা। তাঁরাই বহুদূর প্রভাব ফেলতে পেরেছেন যাঁরা গানের সংজ্ঞাকে কিছুটা বদলাতে পেরেছেন। কোনটা গান আর কোনটা গান নয় সেই ধারণাকে এঁরা বদলে দিয়েছেন। সেটাকেই হয়ত ন্যাড়াদা বাঁক বলছেন। রবিবাবু, সলিল চৌধুরি। সুমনের সবচেয়ে বড় অবদান বাংলা গানের ফর্ম বদলানো। সুর নিয়ে, কথা নিয়ে পরীক্ষা তো আছেই। কিন্তু আগে যে ধারাগুলি ছোট ছোট ঝর্ণা/ফল্গু হয়ে বইছিলো, সুমনের পর সেটাই বান ডাকলো। মূলধারার গানের ধারণা বদলে গেল। অবশ্যই, ইতিহাসের যেকোন বাঁকের মতই, এই কীর্তি একা সুমনের নয়। নেপথ্যে অনেকে ছিলেন - (imho গানের গুণগত মানে মহীন কোন অংশে কম না) কিন্তু সুমন হলেন সেই পাইড পাইপার যিনি সামনে থেকে পরিবর্ত্তনটার নেতৃত্ব দিলেন।

    আমার সুমনের সব কম্পোজিশন ভালো লাগে না। তাছাড়া বেশ কিছু গান জাস্ট মিউজিক নিয়ে খিল্লি করে ঝুলিয়েছেন। সারারাত জ্বলেছে নিবিড়ের শুরুতে একটা জঘন্য ইলেকট্রনিক বাজনা আছে, সম্পূর্ণ মুড নষ্ট করে - আমার কাছে একবাটি অমৃতে একফোঁটা গোমূত্রের মত। জাতিস্মরেও সেম কেস। অমার মতে তোমাকে চাই'এর মূল্যও মূলত: ঐতিহাসিক। হয়ত সুমনের ঐতিহাসিক বিচার করার সময় এখনো আসেনি - আমরা এখনো কালের নিরিখে বড্ড কাছাকাছি। মহীনের ক্ষেত্রেও একই কথা - বৃহত্তর বাঙ্গালী সুমন আর মহীন দুজনকেই নব্বইয়ের দশকে চিনেছে। ইতিহাসের বিচার ইতিহাস করবে। কিন্তু আমি ব্যক্তিগতভাবে নব্বইয়ের দশকে কলকাতায় সাবালক হতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি।
  • lcm | 69.236.168.55 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১০:০৫543168
  • এই থ্রেডের টপিক হল - আধুনিক বাংলা গানের কথা।
    যদি শুধু এ নিয়েই কথা হয়, তাহলে সুমন এর গানের কথা নিয়ে কোনো কথা হবে না। হ্যাঁ, সলিল বা মহীনের লেখা গানের সঙ্গে তুলনা করলেও। সুমনের গানের সম্পদ হল কথা।

    সুমনের গানের কথা বাদ দিয়ে অন্যান্য জিনিস - কন্ঠমাধুর্য, মিউজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট, সুর, তাল, লয় --- এ নিয়ে ন্যাড়া এবং অন্যান্যরা সবিস্তারে লিখে দিয়েছে।
  • Jhiki | 219.83.85.197 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১০:১৫543169
  • "সুমন এর গানের কথা নিয়ে কোনো কথা হবে না' - ekaghar:)
  • Generic letter | 72.95.253.75 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১০:১৮543170
  • সরি, অফ টপিক যাওয়ার জন্যে।
    আসলে কি জানেন - আড্ডা তো বিষয়ের বাঁধ মানে না। যা নিয়ে শেষের দিকে কথা হচ্ছিল, তার পিঠেই বল্লাম আরকি। অবিশ্যি পোস্ট করতে গিয়ে দেখি ততক্ষণে থ্রেড আবার অন্য গতি নিয়েছে।

  • tatin | 122.252.251.244 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১০:৪৩543171
  • কল্লোলদা, দরিয়া দিয়ে পুরো মহীনের লিরিকের বিচার করিনি। লিরিকের উদাহরণ হিসেবে দরিয়ার কথা মেনশন করেছিলেন মনে হচ্ছিল তাই লিখলাম।
    আর আগেও এটা লিখেছি, দশজন আলাদা আলাদা লোক লেখায় মহীনের লিরিকের কোয়ালিটি মিশ্রিত বলে আমার মনে হয়। সুমনের সেখানে (কিছু ব্যতিক্রম ছাড়া, যেমন: বেগম রোকেয়া) কন্সিসেটন্টলি ভাল লিরিক পরিবেশনের ব্যাপারটা আছে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১১:১১543172
  • ঝিকি। তর্কের একটা দিক হলো পোলারাইজেশন। খুব নির্লিপ্তি দিয়ে তর্ক হয় না।
    যারা সুমনকে বাংলা নতুন ধারার গানের ভগীরথ বলছেন, আমি তাদের বুঝতে পারি।
    ধরো সিকি বা সদা। এরা বড় হতে হতে বাংলা গান বলতে কি শুনছে গোটা ৮০ ধরে? - আমি কলকাতার রসোগোল্লা। পূজোর গান নেই। ক্যাসেট এসে পড়ায় প্রকাশিত গানের সংখ্যা এক লাফে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের মতো গদাম করে বেড়ে গেছে। ফলে সুর-অসুর-বেসুরের রাজত্ব। মহীন, নগর ফিলোমেল থেমে গেছে। সেখানে দাঁড়িয়ে তোমাকে চাই কানে অমৃত ঢালে, এ নিয়ে কোন সন্দেহ নাই। আমি কেন এই ফেনোমেনটা বুঝি কারন আমিও একই রকম একটা অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গেছি। ঠিক ঠিক খাপে খাপ তুলনা নয় হয়তো। কিন্তু মেজাজটায় মিল আছে।
    ১৯৭৭। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে নতুন করে রাজনীতি শুরু করেছি, কালীঘাট-রাসবিহারী-কেওড়াতলা অঞ্চলে। আমাদের ফেলে আসা রাজনীতির ভুলগুলোকে শোধরানোর চেষ্টা করছি। এলাকায় গণসংগঠন গড়ে তুলে এলাকার দবীর সাথে বৃহত্তর রাজনীতি মেলাতে চাইছি। যে সিপিএমের সাথে চূড়ান্ত শত্রুতা করে এসেছি, তাকে প্রকাশ্যে ভুল বলে স্বীকার করে, তাদের নির্বাচনে সমর্থন করছি। স্বাভাবিকভাবে নতুন রাজনীতি নতুন গান চাইছে। অথচ গান কোই। সেই পুরোনো আইপিটিএ আর ৭০এর গান সম্বল। হন্যে হয়ে খুঁজছি নতুন গান। শেষ পর্যন্ত নিজেরাই হাত লাগাচ্ছি। নতুন গান তৈরী হচ্ছে। তাতে পুরোনো গানের গন্ধ লেগে থাকছে।
    অন্য দিকে তখন মান্না, হেমন্ত, মানবেন্দ্র, বনশ্রী, সবে এসেছেন হৈমন্তী। কিন্তু সে সব গান তো কবেই ফেলে দিয়ে এসেছি। আর টানে না ঐ সব গান। একমাত্র দিশা সলিলের গান। তখন গানের দল অঙ্কুরে গাইছি, এমনি চিরদিন তো কভু যায় না, আজ নয় গুনগুন গুঞ্জণ প্রেমের, বৌ কথা কও বলে পাখী আর ডাকিস না, বা, জটিলেশ্বরের এ কোন সকাল রাতের চেয়েও অন্ধকার (জনতা সরকার কানপুরে শ্রমিকদের উপর গুলি চালালো)। আইপিটিএ বা ৭০এর গানের পাশাপাশি এই গানগুলোও গাইতাম পথে মাঠে ঘাটের মঞ্চ।
  • apu | 122.248.183.1 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১১:১৪543173
  • তার মানে কি কোন গান কাউকে যদি না টানে x,y,z কারনে। সেটা শ্রাতার দোষ?
  • yyy | 14.96.25.2 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১১:২৭543176
  • ন্যাড়ার সঙ্গে একমত। পালাবদলের পালা লেখার জন্য মহীনের ভাঁড়ার যথেষ্ট ছিল না।

    আরও একটা অস্বস্তির কথা। শিল্পের সম্পূর্ণ নৈর্ব্যক্তিক বিশ্লেষণ কখনই হয় না, ভালো লাগা-মন্দ লাগা সেই বিচারের সঙ্গে সবসময়ই জড়িয়ে থাকে। কিন্তু মূহুর্মুহু বিভিন্ন ব্যক্তিগত পরিচয় এবং ব্যক্তিগত আলাপচারিতার রেফারেন্স আলোচনার জায়গাটা আচ্ছন্ন করে ফেলে। অন্য মানুষদের পক্ষে ব্যাপারটা কিছুটা বিলো দ্য বেল্ট কারণ ব্যক্তিগত অ্যানেকডোটের কোনো পাল্টা যুক্তি হয় না। যে কারণে লগ্নির বাজারে ইনসাইডার ট্রেডিং একটি অবৈধ প্র্যাক্টিস।
  • Jhiki | 219.83.85.197 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১১:২৭543174
  • কল্লোলদা মোড় ঘোরানোর সঠিক সংজ্ঞা কোনটা?

    ১) যে কোন বিষয়ে (সঙ্গীত, চিত্রকলা) কেউ একটা ধারার সৃষ্টি করল...কিন্তু তখন মুষ্টিমেয় লোক ছাড়া কেউ তাকে গ্রহণ করল না... তাদের অনুসরণ করে আরো একদল নতুন স্রষ্টা উঠে এল না।

    ২) যে কোন বিষয়ে (সঙ্গীত, চিত্রকলা) কেউ একটা ধারার সৃষ্টি করল...বেশীরভাগ লোক তাকে গ্রহণ করল ... তাদের অনুসরণ করে আরো একদল নতুন স্রষ্টা উঠে এল, পুরোনো শিল্পীরাও এ বাজারে নিজেদের নতুন করে পেশ করল

    আমি দু-নং টাকে মনে করি, এই টই পড়ে মনে হয়েছে আরো অনেকেই করে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১১:৩৭543177
  • কিন্তু ভালো লাগছে না। কোথাও একটা অতৃপ্তি থাকছে। নতুন গান লেখা হচ্ছে, কিন্তু সেও আমাদেরই তৃপ্ত করছে না। ঐ কানপুরের গুলি চালানো নিয়ে গান হলো - নীল যমুনা জন হলো লালে লাল / জেগে ওঠে মজদুর........... সেই আইপিটিএ মার্কা গান। সে সময় অন্ধ্রতে কিস্টা আর ভুমাইয়া বলে দুজন কৃষকের ফাঁসীর হুকুম হচ্ছে। গান আসছে - ফাঁসীর দড়িতে কজনকে তুই ফাঁসী দিবি বল। তাতে এমন লাইনও আসছে - তুই জানিস না তুই বুঝিস না / কেমন ভীষণ আগুণ হবে লক্ষ চোখের জল....... কিন্তু সেও ঐ একই ঘরানার। বন্দীমুক্তি আন্দোলনেও নতুন গান হয়েছে - ওরা ভগত সিংএর ভাই ওরা ক্ষুদিরামের ভাই / সমস্ত রাজবন্দীদের মুক্তি চাই, অন্য একটা বন্দীমুক্তির গানে এমন লাইন ঝলসে উঠছে - কেউ বন্দী জেলে / কেউ চোখের জলে / স্বদেশ বন্দী অনাহারে। এরকম আরও অজস্র গান উঠে আসছে। কিন্তু সেই একই ধারা। নতুন রাজনীতি নতুন ধারা চাইছে।
    এই সময় পশ্চিম থেকে ভেসে এলেন বিটলস, ডিলান, পিট সিগার, পল রোবসন, জোন বায়েজ, বেলাফন্তেরা। মনে হলো এই তো রাস্তা। শুরু হলো অনুবাদ।
    আর কতো কাল ধরে হাঁটলে বলো / মানুষ সে মানুষ হবে (Blohe in The Wind)
    কল্পনা করো প্রিয় মন (Imagine)
    মন আমার কোথায় ছিলি বল (Hard Rain)
    জনগন জনগনই শক্তি (Power to the People)
    ট্রামে বাসে বলছে সবাই / ধনতন্তর গণতন্তর সমাজতন্তর ফুসমন্তর (Give Peace A Chance)
    নতুন করে অনুবাদ করছি জন হেনরী।
    আর মন বলছে এমন গান আমরা বানাতে পারি না?
    এই সময় শুনছি মহীন - যখন দেখি ওরা কাজ করে গ্রামে বন্দরে, যে গেছে বনমাঝে চৈত্র বিকেলে। যখন শুনছি অজানা উড়ন্ত বস্তুটি নেমে আসে কেরানীদের মেসের ছাদে। তাতে চড়ে বসে কেরানীরা - পড়ে থাকে যত অফিসার। আজকে যখন সকলেই ম্যানেজনেন্ট কেডার, কেরাণী আর নেইই, তখন আমাদের ১৯৭৭ মননে এই গানের অভিঘাত বোঝানো কঠিন। বেশ কঠিন।
    কিন্তু আমরাও হতবাক, বিস্মিত, তড়িতাহত। এমনও গান হয়! এভাবেও গাওয়া যায়। আর হরমোনিয়াম তবলার গন্ডি ছেড়ে গিটার, স্যাক্সোফোন, ড্রামসের সাথে খমক আর বাঁশির উড়ান - এও সম্ভব!!

  • pi | 72.83.85.245 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১১:৪৩543178
  • ব্যক্তিগত আলাপচারিতা তো আমার কাছে এই টইয়ের বড় পাওয়া। ফিনিশড প্রোডাক্ট হিসেবে যে গানকে ক্যাসেটে শুনে এলাম এদ্দিন, তার সূতিকাঘরের কাহিনী জানতে পারলে গানটার পরবর্তী শ্রবণে একটা অন্য মাত্রা যোগ হয় তো। অন্তত আমার জন্য হয়। এই অ্যানেকডোটগুলো আমি অন্তত আরো শুনতে চাই।
  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১১:৪৪543179
  • আর অবশ্যই হারমনির ব্যবহার।
    সলিলের হারমনি চকিতে আসে ও যায়। একমাত্র ও আলোর পথযাত্রী ছাড়া তখলো কোন গানে হারমনির টানা প্রয়োগ শুনিনি। সেখানে মহীন যেন খেলা খেলায় হারমনি তৈরী করছে।
    আমাদের কাছে মনে হচ্ছিলো এ এক অন্য দিগন্ত। বাংলা গানের এক অন্য মাঠ।

    তাই বলছি আমি/আমরা সুমনের গান প্রথম শোনার অভিঘাত বুঝি।

    আপনারা যারা অনেকেই সুমনের গান হয়ে মহীনে এসেছেন, আপনাদের চিন্তাকে বুঝতে পারি। সম্মান করি। আমাদের সময়কে বুঝতে না পারার জন্য কোন গিলা-শিকওয়া নেই। শুধু দাবী এটাই, যদি কথা বলতেই হয়, জেনে বলুন।
  • SC | 63.131.47.69 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১১:৫০543180
  • কিছুদূর পড়লাম। সেই উত্তম-সৌমিত্র, ঋত্বিক-মানিক যে সুমন-মহীনে গিয়ে থামবে কে ভেবেছিলো?
    দু একটা কথা, ম্যাংগোদের তরফ থেকে, মানে মামাটিমানুষের বুদ্ধিতে যেরাম বুঝেছি, সেইরাম আরকি।
    তাতিনের কথার সাথে অনেকাংশে সহমত। মহীনের থেকে সুমন আমার হৃদয়ের অনেক অনেক কাছের মানুষ। কেন?
    উনি গানের ফর্ম বাঁকিয়েছেন, বা হনু এরেঞ্জমেন্ট নামিয়েছেন(বা নামাননি)বলে? না। কারণ সুমন কয়েকটা এমন জায়গাকে ছুঁতে পেরেছেন, যেটা আর কেউ সেভাবে পারেননি। তার মানে মহীন সালা ফালতু, এক্কেবারেই নয়।

    গান, এবং কবিতা, এর মধ্যে দুটো এলিমেন্ট আছে। প্রথম এলিমেন্ট তার কন্টেন্ট, সুর, কথা, যেখানে সুমন, মহীন দুজনেই ফাটিয়ে দিয়েছেন, এই নিয়ে বিশেষ কেউ মনে হয়না কথা বাড়াবেন। কিন্তু ভালো গান ব্যাক্তি নিরপেক্ষ নয়। গান ও কবিতার যে অনুভূতি, তা প্রবলভাবে ব্যাক্তিগত। তার নিজের সংস্কৃতির কিছু ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা টুকরো হঠাত যেনো কেউ জোড়া লাগিয়ে দিয়েছেন, কোনো এক অদ্ভুত মন্ত্রবলে গায়ক হাত রেখেছেন খুব সযত্নে লুকিয়ে রাখা কিছু অনুভুতির উপরে।
    সেক্ষেত্রে গানকে শুধু যুগোত্তীর্ণ হলেই চলবে না, শ্রোতাকে তার সাথে identify করতে হবে। পৃথিবীর বহু যুগোত্তীর্ণ গায়কের ক্ষেত্রেই সেই একাত্মতার জায়গাটা তৈরী হয় না। ছোট্ট একটা উদাহরণ দিই।

    স্করসেসির সেই বিখ্যাত ডকু 'নো ডিরেকশন হোম' একটা দৃশ্য আছে, যেখানে ষাটের দশকের এক বিখ্যাত কৃষ্ণাংগ গায়িকা বলছেন যখন প্রথমবার শুনলাম 'howmanyroadsmustamanwalkdown, beforeheiscalledaman', গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠলো। ভাবলাম ডিলান এ লাইন পেলো কোথায়, এতো আমার বাবার কথা। মাস্টারের ফার্ম থেকে পালিয়ে সিভিল ওয়ারে লড়েছিলেন যে বাবা, স্বপ্ন দেখতেন কৃষ্ণাংগরাও একদিন মানুষের স্বীকৃতি পাবে, সেই স্বপ্ন নিয়েই মারা গিয়েছেন, মনে হচ্ছে ডিলানের গলায় নিজের সেই বাবাকে খুঁজে পেলাম। এই যে গায়ে কাঁটা দেওয়া অনুভুতি,গানের সাথে ব্যাক্তির নিবিড় যোগাযোগ, এই গানটির ক্ষেত্রে এর থেকে আমরা অনেকেই হয়ত বঞ্চিত। আমরা সকলেই উক্ত গানটি শুনেছি, ভালূ লেগেছে অনেকের মনেহয়, কিন্তু ঐ যে বললাম identification এর জায়গাটা, সেখানে হয়ত আমাদের অনেকের ক্ষেত্রে সেভাবে হয়নি। হয়নি কারণ ডিলান যেখান থেকে টুকরো সাজিয়ে সাজিয়ে গানের সাজি ভরিয়েছেন, সেই জায়গাগুলো আমাদের খুব একটা চেনা নয়। আরেকটা ছোট্ট নিজের ব্যাক্তিগত উদাহরণ দেবো। LangstonHughes আমেরিকাতে আসার আগেও পড়েছি, খুব একটা দাগ কাটেনি। পরে এদেশের কৃষ্ণাংগ সংস্কৃতি, তাদের ভাষার ব্যাবহার প্রভৃতি যখন কাছ থেকে দেখেছি, তখন সেই একই কবিতাকে পেয়েছি সম্পূর্ণ নতুন আঙ্গিকে। তার ভাষার ব্যাবহার, প্রতিটি শব্দের মানে, সেগুলো এক্কেবারে অন্যরকম হয়ে এসেছে। (এটা নেমড্রপ করার জন্য বললাম না, সময়ের সাথে সাথে একই লেখার perception কিভাবে বদলায় একই মানুষের কাছে, তার উদাহরণ দেওয়ার জন্য বললাম)।
    যাহোক, অনেকক্ষণ ভ্যানতারা মেরে এবার বেসিক পয়েন্টে আসি। সুমনের সাথে নব্বইয়ের বাচ্চা মামাটিমানুষ প্রবলভাবে identify করতে পারে। শুধু কলকাতার নয়, মফস্বলের বাঙ্গালিও। গড়িয়াহাটার মোড় লেনদেন লেনদেন কখন লেনিন হয়ে যায়, রেডিওয়ে মুলতান, কিংবা ঠান্ডা শীতের রাতে লেপের আদর যে গান হয়ে ফিরে আসতে পারে, এটা নয়ের দশকের বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত perspective এর বাইরে এক্কেবারে meaningless. কিন্তু আমার কাছে, এবং এখানে আরো অনেকের কাছে ওগুলোর মূল্য অন্য অনেক গানের থেকে বেশী।
    মহীন শুনতে ভালো, একদম আনকোরা নতুন একটা ব্যাপার আছে, যেন হঠাৎ ছুটে আসা দমকা হাওয়া। কিন্তু কই ওভাবে ভিতরে গিয়ে নাড়া দিয়ে ওঠে না, আমার কাছে। মূলত বোধহয় এই জন্যই, যে identify করতে পারি না। কল্লোলদার লেখাগুলো মন দিয়ে পড়লাম। টেলিফোন নিয়ে ওনার বক্তব্য, আবার সেই ব্যাক্তিগত perspective, অনেকটা বুঝলাম।অএভাবে আমি কোনোদিন ভাবিনি, কারণ কল্লোলদার আর আমার মধ্যেকার কয়েক জেনারেশনের ও আরো অনেক কিছুর গ্যাপ হয়ত।
    মহীনের গান শোনার কানটা একটু বদলালো। আরো একটা কারণ যোগ করি, এই তাতিন যেটা বললো, সেটার সাথে একটু যোগ করে আমার মনেহয় মহীন কোথাও একট হিপ আর্বান মেকী গোলকধাঁধায় ঢুকে গেছে। এন আর আই সার্কলে দেখেছি মহীন কেমন যেন ডিস্টর্টেড, কিছু আর্বান জনতার খুব মেকী উথলে ওঠা লোকগীতি প্রেমের একটা সাইনবোর্ড যেন। সেটাতেও হয়ত কিছুদুর ডিস্কারেজ হয়েছি, জানিনা।
    পরিশেষে একটা কথা। কেউ লিখলেন মনেহয় সুমনের আজকের গান সেরকম নেই ইত্যাদি। আমার এটা আকেবারেই ঠিক মনে হয়না। সময়ের অমোঘ নিয়মে গলে হয়ত কিছুটা খারাপ হয়েছে, কিন্তু আজও সুমনের অনেক গান একই রকম নাড়া দিয়ে যায়। আমার শোনা শেষ সুমনের অসাধারণ গান "তোমার মতো ইশরত জাহান আমার ছোট্ট বোন'। সেটা খুব বেশীদিন আগের নয়। বছর দুয়েক হয়ত। তবে সুমন বদলেছেন নি:সন্দেহে, এবং সাথে সাথে তার গানও অনেক বদলেছে। contd...

  • kallol | 220.226.209.2 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১১:৫৫543181
  • ঝিকি আমি আপনার সাথে একমত নই।
    ভান গখ তৎকালীন পেইন্টিং এ বিপ্লব। কেউ নেয় নি। পরে স্বীকৃতি।
    পিকাসোর কিউবিজম বা দালির সুররিয়ালিটি তখন তখনই স্বীকৃত।
    পথের পাঁচালী প্রথম রিলিজে ফ্লপ। পুরস্কার পাওয়ার পর মিথ হয়ে যাওয়া।
    ঋত্বিকের কোন ছবিই তেমন ভাবে লোক নেয় নি, কিছুটা মেঘে ঢাকা তারা ছাড়া। কোন পুরস্কার জোটে নি। অথচ পরে দেশে বিদেশে বোদ্ধারা উচ্ছসিত।
    সুমনের তোমাকে চাই বা পরের অনেক অ্যালবামের বহু গান, প্রায় ১২/১৩ বছর আগেই প্রকাশিত। কেউ শোনে নি। কেউ জানতো না। সেগুলোই পরে জীবনমুখী হিট।
    কি বলবো?
  • SC | 63.131.47.69 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১২:০০543183
  • সবথেকে বেশী যেটা বদলেছে সুমনের গানে, সেটা হলো স্বপ্নগুলো।
    সুমনের গানের মধ্যে একটা অদ্ভুত অপ্টিমিস্ম ছিলো প্রথম দিকে। এক্কেবারে শুরুর দিকে যিনি গেয়েছিলেন "পৃথিবীর যত ফায়দা লোটার যন্ত্র, হয়ে যাক ভেঙ্গেচুরে খান খান",নয়ের দশকেও অবলীলায় লিখতেন "মরব দেখে বিশ্ব জুড়ে যৌথখামার", তার রাজনীতির বোধের থেকেও অনেক বেশী করে নাড়া দিত তার স্বপ্ন দেখার চোখগুলো। জাতিশ্বরের পরের ক্যাসেটগুলোতে সেই আশা, দুচোখ ভরা স্বপ্ন, এগুলো সুমনের গানে আরো অনেক কম পাই। অনেক বেশী সিনিকাল, অনেক রাগী গান মনেহয়, হয়তবা হতাশ। আর হ্যাঁ, 'তোমার তুলনা'র পরে সুমনের প্রেমের গান, না, সেভাবে কোথায় আর পেরেছেন লিখতে। তবে ঐ, গান লেখার রসদ তো জীবন থেকেই আসে।

  • tatin | 122.252.251.244 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১২:০০543182
  • ফুলমণি ইশরাতের বয়স দশের কাছাকাছি
  • SC | 63.131.47.69 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১২:০১543184
  • তাতিন জানতাম না। আমার ধারণ ছিলো নন্দীগ্রাম আন্দোলনের কাছাকাছি সময়কার।
    কোন ক্যাসেট?
  • lcm | 69.236.168.55 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১২:০৪543185
  • ডিলান-এর ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড - শ্রীলংকায় স্কুলে ইংরেজী পাঠ্যপুস্তকে কবিতা হিসেবে এটা রাখা হয়েছিল।

    কিন্তু, মহীনকে তো আজও সেভাবে লোকে নিল না, মানে যেভাবে সুমন, অঞ্জন, নচিকেতা, চন্দ্রবিন্দু নিয়েছে।
  • Jhiki | 219.83.85.197 | ২৭ এপ্রিল ২০১২ ১২:০৯543187
  • তো আপনার মতে মহীন থেকে সুমন অনুপ্রানিত, বা মহীনের পথ সুমন অনুসরণ করেছে??
    এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না, সুমন-ই বলতে পারবে.... তবে সুমনের গানে/সাক্ষাৎকারে বারবার বব ডিলানের কথা-ই উঠে আসে.......যেমন অঞ্জনের গানে সুমনের।

    যাইহোক এ টই-এ আমার আর কিছু বলার নেই..... টই ছিল বাংলা গানের কথা নিয়ে.......আমি মনে করি আগে টুকিটাকি কাজ হয়ে থাকলেও, সুমনের হাত ধরেই বাংলা গানের ভাষায় বদল আসে। হয়ত এই টই-এ অনেকেই তা মনে করে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন