এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • আধুনিক বাংলা গানের কথা

    Somen Dey
    গান | ২৪ এপ্রিল ২০১২ | ৪১৮২৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ০৯:০৫543088
  • মহীনের আর একটা গুণ ওদের সকলের চেয়ে আলাদা করেছে, সেটা ওদের গানের প্রতি ভালোবাসা।

    অনেকদিন ধরে মনিদাকে বলছিলাম তোমাদের পুরোনো ইপি গুলো নতুন করে বের করো। এখন তো সাউন্ড টেকনোলজি অনেক উন্নত কিছু কারেকশন বা এনহ্যান্সমেন্টের দরকার থাকলে করে নাও। প্রতিবারই একগাল কাঁচাপাকা দাড়ি শুদ্ধু হাসি পেতাম।
    তারপর হঠাৎ - আবার বছর কুড়ি পরে।
    নিজেদের গান ছড়াও খুঁজে খুঁজে বার করেছে নাম না জানা ছেলেমেয়ে, ব্যান্ড, আর তাদের গান দিয়ে সংকলন বার করে গেলো আমৃত্যু। টাকা পয়সা হয়তো পকেট থেকে যায় নি। কিন্তু সময়, এনার্জি খরচ করে অন্যের গান প্রকাশ করার এই তাগিদ আমি কারুর দেখিনি, যেখানে ইচ্ছে করলেই শুধু নিজেরাই গাইতে পারতো। তখন মহীন বলতে মনিদা আর বাপি। বুলা জামশেদপুরে না রৌলকেল্লায় চাকরী করছে, বিশু ক্যালিফোর্নিয়ায়, রঞ্জন ব্যাঙ্গালোরে বিজ্ঞাপনের ব্যাবসা করছে, ভানু জাহাজে। মনিদা আর বাপি মিলে যে কাজটা করলো সেটা বাংলা গানের জন্য নি:স্বার্থ ভাবে করা। নাহ, ভুল বললাম, একেবারে নি:স্বার্থ নয়। ওদের জঁরটাকে ধরে রাখা ও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বার্থে।
    এভাবে বলা ঠিক কিনা জানিনা, নিজের ঢাক পেটানো হয় হয়তো, তবু.........
    আমার সাথে অসম্ভব ভালো সম্পর্ক থাকা সঙ্কেÄও আমার গান চায় নি কোনদিন। কারন আমার গান ওদের জঁরে নয়। বা হয়তো আমার প্রথম ক্যাসেট আগেই প্রকাশিত।
    অথচ ওদের পুরোনো রেকর্ড কখনোই সিডি হয়ে বের হলো না। করলে ব্যাবসা করতো ফাটিয়ে, অরিজিনাল মহীন।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১০543089
  • আকাদা খুলনা জেলার লোক নাকি?

    চাঁদ কে চান্দ বলে কেন?
  • aka | 75.76.118.96 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ০৯:১৫543090
  • শুধু তাই নয় আনতেলও বলি। আইপ্যাড ও মামুর কলের যান্তাকল।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৪543091
  • :)

    আইপ্যাডে ইউনিকোডে cha^d.ja^takol

    অঙ্কুর ডাউনলোড করে নিলে সবচে সুবিধে
  • Tim | 98.249.6.161 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ০৯:২৫543092
  • আকাদার জন্যই গাওয়া হয়েছিলো, চান্দেরি সাম্পান.. :-)
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৩৮543093
  • আকাদা চান্দেলা বংশী
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪১543094
  • শিলাজিৎকেও বিপিএল নচি বলা অর্থহীন, শিলাজিৎ সম্পূর্ণ এক ভিন্নপ্রাপ্তি। মি: বাণে্‌গল টাইপের, আলালি ভাষার বাংলা গান হলে যেরকম হত, খানিকটা সেই ধরনের
  • aka | 75.76.118.96 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৪৪543095
  • মহীনদের গানের প্রতি ভালোবাসা ইত্যাদি তো তাদের ব্যক্তিগত ভাবে না চিনলে জানা সম্ভব নয়। সুমনের গানের সাথে মহীনের গানের আর একটা পার্থক্য হল। মহীনের গান ভীষণ ভাবে শহুরে। কাফেতে বসে আড্ডা শহুরে ফেনমেনন কিন্তু কিন্তু বাসার আসল ঠিকানা সার্বজনীন। সুমনের গান শহর ছাড়িয়ে শহরতলীতেও একটু চিন্তাশীল শ্রোতার মধ্যে জনপ্রিয় হয়েছিল মনে হয় এই কারণেও। এইমাত্রই মনে হল।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ০৯:৫৩543096
  • বাই দ্য ওয়ে, আকাদার পাড়ার চপওয়ালা লেনিন জানে দেখে আনন্দ পেলাম।

    কারণ জনশ্রুতি আছে, রাতে শারিরীক ঘনিষ্টতার সময় লেনিন নাকি ক্রুপস্কায়াকে বলতেন `ক্রুপু! একমাত্র তুমি-ই পারো আমার কাস্তেকে হাতুড়ি করে তুলতে`

    বুদ্ধিমান চপওয়ালা। ঠিক কানেক্ট করে ফেলেছে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১০:০৬543098
  • কিছু মানুষ সময় ও এনার্জি খরচ করে, অনামীদের গান, যা তাদের ভালো মনে হয়েছে, তা প্রকাশ করে গেলো ধারাবাহিকভাবে। এটা গানের প্রতি ভালোবাসা ছাড়া কি? এটা জানতে ব্যক্তিগতভাবে চিনতে লাগে? ক্যাসেট বা সিডির ইনে্‌ল দেখলেই তো বোঝা যায়।
    আরও বিশেষ করে তারা গান গাইতে পারেন, ভালোই পারেন, এমনকি তাদের একটা ব্র্যান্ডও তৈরী হয়ে গেছে। এরকম অবস্থায় তারা শুধু নিজেদের গান প্রকাশ করার কথা না ভেবে তাদের গানভাবনার সাথে যায় এমন সব অনামীদের গানো প্রকাশ করলেন। এটা গানের প্রতি ভালোবাসা ছাড়া আর কি? অন্য কেউ তো এটা করার কথা ভাবেই নি।
  • lcm | 69.236.168.55 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১০:৫৭543099
  • কল্লোলদা, আমার মনে হয় এটা মহীনেরা ঠিক করে নি। অন্যদের সাহায্য করার সঙ্গে সঙ্গে ওদের নিজেদের গান আরো প্রফেশন্যালি পাবলিশ করার দিকে একটু মনোযোগ দিলে পারত। ভাল জিনিস কিছু উৎসাহী লোকে ঠিকই খুঁজেপেতে বের করে নেবে সেটা যেমন ঠিক, আবার লোকের কাছে পৌঁছে দেবার একটা ব্যাপারও তো থাকে। এটা হয়ত আর একটা কারণ, যার জন্যে অনেকে মহীন জানতেই পারে নি।
    সুমন কিন্তু এদিকটা খেয়াল রেখেছিল।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১১:১৩543100
  • লসাগু।
    খয়াল আপনা আপনা।

  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১১:৪৩543101
  • কিছু চাপ ছিল। তখন মহীন, অ্যাজ এ ব্যান্ড আর নেই। যেমন কল্লোলদা লিখল, সবাই ছড়িয়ে গেছে। ৬৭-র মতো গলা বা ইন্সট্রুমেন্ট পারফর্ম করাও সম্ভব নয় ৯৫ তে। আর মাত্র দুজন কি করে গোটা ব্যান্ডের গানগুলো করবে? অন্যদের দিয়ে নিজেদের গানগুলো করাতে হবে। সেই অন্য ব্যান্ডকেই গাওয়াতে হবে। তারা নিজেদের গান না গেয়ে শুধু মহীন রিমেক গাইবে কেন? প্রস্তাবটা দেওয়াও তো অপমানজনক। আর কিছু মহীনের গান অন্যদের দিয়ে করানো জাস্ট যায় না - বলেও মনে হয়ে থাকতে পারে, কিছু গান বেসিকালি রিমেক করতে হত বা হয়েছে। তো, সংকলন বা সম্পাদনা ছাড়া হাতে কী রইল?

    আর, কল্লোলদার প্রকাশিত অ্যালবামগুলোর নাম জানতে চাই।

  • kallol | 119.226.79.139 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১২:২৩543102
  • সোমনাথ।
    মনিদা আর বাপি, দুজনেই গেয়েছে ঐ অ্যালবামগুলোতে। গলা দুজনেরই বেশ ভালো। সাততলা বাড়ি বুলা গেয়েছে।
    আরও অনেকে আছে যারা মহীনের নতুন পুরোনো গান গেয়েছে, তাদের গান নয়। যেমন, রাবেয়া কি রুকসানা বা ও গঙ্গা তুমি চলেছে ঢেউয়ে ঢুয়ে কোথায়। অরুণ দাসের গান - ভিক্ষেতে যাবোই বা ভালোবাসা তোমায় কি নামে ডাকি - নীল ও অন্যরা গেয়েছে।
    ওরা চাইলে চাট্টি ছেলেপুলে জূটিয়ে নিতেই পারতো। মহীনের নামে গাইতে হবে বল্লে লাফিয়ে আসার বহু ছেলে মেয়ে ছিলো।
    ওরা চেয়েছিলো ওদের ধরনের গান উঠে আসুক আবার পথ চলুক। তাই করেছে। এর মধ্যে কোন ধান্দা ছিলো না।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩০543103
  • আমার প্রথম অ্যালবাম এই রাস্তায়, দ্বিতীয় ধূলোট মূলে।
    দ্বিতীয়টি এই সংখ্যা সাপলুডুতে আছে। নতুন গুরুতে দুটোই থাকবে।
    আমি চেষ্টা করছি, যাদের প্রকাশিত গান ততো প্রচারিত হয় নি মূলত: অর্থনৈতিক কারনে তাদের গানও গুরুর সেই পাতায় রাখতে। কথা বলেছি কয়েকজনের সাথে। আরও অনেকের সাথে কথা বলবো।
    এছাড়া লিখতে বলেছি তাদের যারা প্রায় ৪০ বছর ধরে অন্যধারার বাংলা গানের সাথে জড়িয়ে আছে, তাদের। আমাদের ন্যাড়া আর শিবাংশু তো আছেই।
    গুরুর সেই পাতাটি হয়ে উঠুক বাংলা অন্যধারার গানের অপ্রকাশিত ইতিহাসের পাতা।
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১২:৪৭543104
  • কল্লোলদা, ভুল বুঝো না। মনিদার নামের পাশে ধান্দা শব্দটা আমি ভাবতে/বসাতে পারিনা কখনোই।
    বেসিকালি বলতে চাইছি, ৯৫ তে মহীনের ঘোড়াগুলি অরিজিনাল ব্যান্ড হিসেবে একেবারে নিজেদের অ্যালবাম বের করতে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হতই। গানের প্রতি ভালোবাসা, ছোটোদের নতুন গান প্রোমোট করা এসব নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫৩543105
  • স্বপ্নাভ সায়ন্তনীর গান কেউ জোগাড় করে দিতে পারবেন? আমার ক্যাসেটগুলো একজন মেরে দিয়েছিল। এখন সিডি বা এম পি থ্রি পাচ্ছি না
  • omnath | 59.160.210.2 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৩:২৪543106
  • প্পন একদা লিংক দিয়েছিলো। অনলাইন শোনা যায় পুরোটা। কাকুরে জিগাও।
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৩২543107
  • স্বপ্নাভ সায়ন্তনীর যে গানগুলো নেট এ পেলাম:

    আকাশের শিমুলতুলো
    কলকাতার বৃষ্টি একুশ
    প্রবাসীর কলকাতা
    কবিতার জন্য
    মা
    তার দুচোখে

    সিন্ডেরেলা
    আমার বাড়ি
    দাহ্য কিংবা বিস্ফোরক
    শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত
    কলোসিয়াম
    কোথায় যেন মিল
    হাত কিছু বন্ধুর সকাল ছাতা
    ঘরের ভেতরে আলেয়া
    রাজার গুপ্তচর

    ফ্লিপকার্ট থেকে ৩২০ kbps ডাউনলোড ও করা যাচ্ছে। গান প্রতি ৬ টাকা। ৮ টা গানের সিন্ডেরেলা অ্যালবাম ৪৩ টাকা। :-)
  • yyy | 122.248.183.1 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৫৮543109
  • এ কোনো বহতা ধারার কোনটা বাঁক এবং কোনটা বাঁক নয়ের বিচার বিভিন্ন প্রেক্ষিত থেকে হতে পারে। কাজেই প্রেক্ষিতের তফাতের জন্য প্রত্যেকের তালিকার তারতম্য থেকেই যাবে। যেমন আমার কাছে বাঁক মানে শুধু কথা সুর তাল যন্ত্রের সাঙ্গীতিক প্রয়োগের বাঁক নয়। বরং বাঁক মানে সাধু বাংলায় যাকে যুগসন্ধিক্ষণ বলি, অর্থাৎ নিজে কি করলেন তার সঙ্গে সমানভাবে বিচার্য ভবিষ্যৎকে দিয়ে কি করালেন- সবসময় দায়িত্ব নিয়ে প্রত্যক্ষভাবে করালেন না, কিন্তু পরবর্তী বা সমসাময়িক প্রজন্ম কিভাবে অনুপ্রেরিত হয়ে সেই উত্তরাধিকারকে নিজেদের মতো করে বহন করার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ হলেন।

    নিধুবাবু যেমন। অবশ্যই একধরনের নূতন গানের স্রষ্টা, যাকে আমি "শ্লীল" না বলে বলব মধ্যবিত্ত ভদ্রলোকের জন্য লেখা প্রথম সেকুলার গান। বাংলাদেশে সবুজ মাটিতে বেড়ে ওঠার জন্য পাঞ্জাবি টপ্পাকে নতুনভাবে সাজিয়ে তার বীজ পুঁতলেন। কিন্তু আভাঁগার্দ শ্রেণীর জনপ্রিয় এই গান লোকসমাজে সেরকম পাত্তা না পাওয়ায় সেটার রূপান্তর ঘটল হাফ-আখড়াই গানে। রবীন্দ্র-পূর্ব ব্রহ্মসঙ্গীতে নিধুবাবুর ঘরানার আদলে কিছু গান তৈরি হল। কিন্তু উথালপাথাল বলতে আমরা যা বুঝি তা হল না কখনও।

    রবীন্দ্রনাথ কি তৈরি করলেন তার থেকে বড়ো হল রবীন্দ্রনাথ না থাকলে নজরুল-রজনীকান্ত-অতুলপ্রসাদ-হিমাংশু দত্ত-অনুপম ঘটক-সলিল চৌধুরী হয়ে ওঠা কঠিন ছিল। বস্তুত: নজরুলের পীক ফর্মে রবীন্দ্রনাথের থেকে নজরুল বহুগুণ জনপ্রিয় ছিলেন। রবীন্দ্রনাথের গান সত্যিকারের জনপ্রিয় হয় জন্মশতবার্ষিকীর সময় থেকে। কিন্তু রবীন্দ্রনাথ ছিলেন সুরকারদের সুরকার এবং গীতিকারদের গীতিকার। বাংলা আধুনিক গানের দর্শন বলতে যদি কিছু থাকে, সেটা রবীন্দ্রনাথ সংজ্ঞায়িত করলেন। জানলা-দরজা ভেজাও যত না আকাশ তোমাকে খুঁজবে- রবীন্দ্রনাথ সেই আকাশ। যতই এড়িয়ে যান না কেন, পথ রুধি বসে থাকবেনই থাকবেন। সাধে কি হালের সব ব্যাণ্ডোদাদারা সব কেরদানি সাঙ্গ হলে অন্নকূটের উপর তুলসীপাতার ছোঁয়ার মতো একটি না একটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের সিডি বের করে ফেলেন বা মৃত বৃদ্ধের ঘাড়ে বন্দুকটি রেখে নিজেদের "রক"বাজি চালান!

    সলিল চৌধুরী বাংলা গানকে পূর্ণাঙ্গ করলেন। যন্ত্রকে তার নিজস্ব স্বর দিলেন। রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-হিমাংশু দত্তরা সুর নিয়ে যে পরীক্ষানিরীক্ষা করেছেন সেই ক্ষেত্রকে বিস্তৃততর করে তুললেন। সব গানেই সুর-তাল-লয়ের যথাযথ সংমিশ্রণের ভূমিকা থাকে। রবীন্দ্রনাথ এই ত্রিমূর্তির মধ্যে সমান গুরুত্ব দিয়ে গানের কথাকে স্থাপন করলেন। সলিল নিয়ে এলেন বাদ্যযন্ত্রকে পঞ্চম মাত্রা হিসেবে। তার পরে বাংলা গান আর পুরোনো বাংলা গান থাকে নি। সলিলের সাক্ষাৎ শিষ্য অভিজিৎ-অনল-প্রবীর বা সুধীন দাশগুপ্তের মতো সমসাময়িকদের ছেড়ে দিলেও সলিল মনে হয় একমাত্র সঙ্গীতের কারিগর যিনি ভিন্ন ধারার দুই গান- "মহীনের ঘোড়াগুলি" এবং সুমন- উভয়কে একইভাবে প্রভাবিত করেন। সামগ্রিকভাবে সলিলের প্রভাব আরও ব্যাপ্ত, যদি হিন্দি সিনেমার গানকে হিসেবের মধ্যে আনি। কিন্তু আপাতত: বাংলা গানকে ধরেই এগোনো যাক।

    সুমন একদিক থেকে সলিলের থেকে ভাগ্যবান, কারণ ঠিক সেই সময়টায় মাঠ ফাঁকা। সলিলের বেড়ে ওঠার সময়ের বাংলা গান কিন্তু ষড়ৈশ্বর্যশালিনী- রবীন্দ্রনাথ-দ্বিজেন্দ্রলাল-নজরুল-দিলীপ রায়কে বাদ দিলেও পূর্ণমহিমায় রয়েছেন পঙ্কজ মল্লিক হিমাংশু দত্ত শচীন দেব বর্মনরা। সুমন অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করছেন। বিকল্প গানের চর্চাও সুপ্তভাবে এদিক ওদিকে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বাংলা আধুনিক গান তখন বন্ধ্যা। নব্বইয়ের শুরুর একটি ক্যাসেট চালচিত্র বদলে দিল। গানের আদল পশ্চিমী না ভারতীয়, গীটার হাতে গান বাজাচ্ছেন না এস্রাজ হাতে- ইত্যাদি সাঙ্গীতিক কূটপ্রশ্নের থেকেও বড়ো ব্যাপার হল একটা প্রজন্মের কিশোর ও ছাত্ররা নিজেদের ভাষা খুঁজে পেল। নচিকেতা বা অঞ্জন তার আগেও গান গাইতেন। কিন্তু নিজের গান নিয়ে মঞ্চে দাঁড়াবার সাহস পেলেন। পথপ্রদর্শক হিসেবে এত বিভিন্ন ধারার এত বিপুলসংখ্যক গায়ক ও সুরকারের স্বীকৃতি মনে হয় সলিলের পরে একমাত্র সুমনই পেলেন। প্রথমে বিরুদ্ধতা থাকলেও পরবর্তীকালে আবালবৃদ্ধ শুনলেন সুমনের গান। আজীবন রবীন্দ্র-অনুসারী গানের বাইরে আর কিচ্ছুটি না শোনা প্রৌঢ়কেও দেখলাম আস্তে আস্তে সুমনের গানে মজতে। বিমান মুখোপাধ্যায় বা সুধীর চক্রবর্তীর মতো ধ্রুপদী সঙ্গীতবেত্তারাও সুমনকে বাংলা গানের ভগীরথ হিসেবে স্বীকৃতি দিলেন। সবটুকু কৃতিত্ব শুধু ব্যক্তিমানুষের নয়, প্রযুক্তিগত সুবিধা ছিল, কিছু সামাজিক পালাবদলের সুবিধা অবশ্যই সুমন পেলেন। কিন্তু নব্বই দশকের ঐ মূহুর্তটিই ছিল আমবাঙালীর সামাজিক জীবনে বাংলা আধুনিক গানের পুনর্জন্মের মূহুর্ত।
  • dd | 110.234.159.216 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৩৫543110
  • ব্যাপারটা পরিষ্কার বোঝা গ্যালো।
  • nyara | 203.110.238.17 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৬:২২543111
  • কোন শিল্পীর কতটা পালাবদল করতে পারছেন, সেটা অবশ্যই প্রেক্ষিতের ওপর নির্ভর করে। yyy যেটা বললেন, সেটা একদম ঠিক সমকালীন সাংস্কৃতিক-সমাজের দিক থেকে। আমি বলছিলাম সাঙ্গিতীক প্রভাবের দিকে। যদিও দুদিকের বিশ্লেষনেই পিচ্ছিল উদাহরণ প্রচুর আছে। মোৎজার্টের জীবদ্দশায় সেলিয়ারির নামডাক-পশার-প্রতিপত্তি অনেক বেশি ছিল। তখনকার শ্রোতাদের মজিয়েছিলেন তিনি বেশি। প্রায় হাল আমলে দেখেছি, তিরিশ থেকে সত্তরের বাংলা গীতিকাররা নজরুলের দু:খবিলাসের লিরিকে বেশি অনুপ্রাণিত। কিন্তু শেষ অব্দি এগুলো পালটেছে। অবশ্য শেষ নাহি যে, শেষ কথা কে বলবে?

    আমি যেটা দেখার চেষ্টা করেছি, সেটা হচ্ছে কোন সঙ্গীতকার চলতি হাওয়ার পথ থেকে অন্তত: কিছুটা হলে বেপথু হওয়ার সাহস দেখিয়েছিলেন এবং সেই নতুন পথে আর কতজন অনুজ সঙ্গীতকারকে টেনে আনতে পেরেছিলেন। এটা আমি সঙ্গীতের দিকে থেকে বলেছি, কথার ব্যবহারে নয়। গানের কথার দিক দিয়ে সুমন সম্ভবত: তাঁর অনুজ সব গীতিকারকেই প্রভাবিত করতে পেরেছেন। কিন্তু ওনার সঙ্গীত দিয়ে কি পেরেছেন? না পারলে কেন?
  • nyara | 203.110.238.17 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৩১543112
  • বাই-দা-ওয়ে, পরে ভেবে দেখলাম "চেনা দু:খ, চেনা সুখ"-এর ডিভাইসটা দাদু আগে করে ফেলেছেন - "মধুররূপে বিরাজ" গানে। ওখানেও গানটা কোথাও খরজে এসে দাঁড়ায় না। ফলে গুনগুন করতে গেলে চক্রবৎ চলতেই থাকবে।

    আর একটা কথা "চেনা দু:খ" ক্রোম্যাটিক স্কেলে নয়, পরিস্কার ডায়টোনিক স্কেলের গান। কারুর একটা লেখায় মনে হল কনফিউশন হয়েছে, তাই ক্লিয়ার করে দিলাম।
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৪৫543113
  • সুমনের লেখাটাই ছিল অনন্য, বাংলা গানের ইতিহাসে। অমনটি আর কেউ লেখেননি। সুর/সঙ্গীত নয়। ওঁর চেয়ে অনেক বেটার সুরের উত্তরাধিকার বাংলা গানে রয়েছে। কিন্তু ওর চেয়ে বেটার সমসময়কে ওঁর আগে কেউ ধরে নি, লেখায় (লিরিকে)। এইজন্যেই তো বারবার পেনের কথা কইছি।
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৫৯543114
  • আচ্ছা এক্ষুনি আলাদা গানপাতার দরকার কী? টই করে করে লেখো। 4shared এ গান রেখে লিংক দাও। টই তে অনেক বেশি ডিবেট আর পার্টিসিপেশন পাবে। পরে গানপাতা হলে টইয়ের আলোচনা লেখক অনুযায়ী এডিট করে প্রবন্ধ বানিয়ে রেখে দেবে। মানে বলতে চাইছি, ভালো কাজটা ডিলে করার দরকার আছে কি? গুরু সাইটে বেশি গান না ঝুলিয়ে ফাইল শেয়ারিং-এর জন্য ডেডিকেটেড সাইটগুলো ইউজ করা যায়ই তো।
    ন্যাড়াদা বিনয় চক্রবতী নিয়ে কিছু বললে না?
  • yyy | 122.248.183.1 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৭:১৩543115
  • ন্যাড়ার তালিকার সঙ্গে আমার বিশেষ কোনো মতভেদ নেই। খুব সামান্য এদিক ওদিক ছাড়া। নিধুবাবুর থাকা নিয়ে আমার একটু সন্দেহ আছে। আবার নজরুলের না থাকা নিয়েও। আমার তালিকাটা বৃহত্তর সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রেক্ষিতে।

    যদি কম্পোজিশনের প্রভাব দেখতে যাই তাহলে সুমনের গানের প্রত্যক্ষ প্রভাব সেইরকমভাবে বিপুলভাবে অবশ্যই নেই। কিন্তু কথা ছাড়াও প্রভাব আছে চেতনার দিক থেকে, এবং অনুপ্রেরণার দিক থেকে। সাঙ্গীতিক অনুপ্রেরণা যতটা, তার থেকেও বেশি সাংস্কৃতিক অনুপ্রেরণা- নতুন কিছু তৈরি করার এবং তা প্রকাশ করার সাহসের দিক থেকে। এবং অনুপ্রেরণা পেয়েছেন দুই পক্ষই- গান যাঁরা গান এবং গান যাঁরা ছাপান।

    কেন সাঙ্গীতিক প্রভাব সেইরকম নেই সেটা আলাদা চর্চার বিষয়। কিন্তু খাপছাড়াভাবে এই মূহুর্তে যা মনে আসে- এক, ব্যাপ্তিকাল- রবীন্দ্রনাথের কথা ছেড়েই দিলাম, কিন্তু সলিলও অন্তত: তিরিশ বছর কি তারও বেশি নিজের সৃজনক্ষমতার তুঙ্গে ছিলেন। সুমনের এই সময়ের বহরটা খুব ছোটো। দ্বিতীয়, একধরনের দোলাচলতা এবং সংগঠনের অক্ষমতা। রবীন্দ্রনাথের ভাষায় প্রতিভার গৃহিণীপনার অভাব। সলিল বা রবীন্দ্রনাথ দুজনেই বহু মানুষকে নিয়ে কাজ করেছেন যার ফলে উত্তরাধিকারের একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ তৈরি করতে পেরেছেন। আর ডি-ও তাই। সুমন প্রথমে অনেকের সঙ্গে, তারপর একা, আবার সবিনা, আবার একা। কখন কি ঘটে যায় কিচ্ছু বলা যায় না। তৃতীয়, সলিল বা রবীন্দ্রনাথ রাজনীতির মাঠ থেকে নিজেদের গানকে ঋদ্ধ করেছেন। সুমনের ক্ষেত্রে অদ্ভুতভাবে একধরনের নিম্নগতি শুরু হল মাঠে নামার পরে। কেন জানি না। চতুর্থ, গত দশ কুড়ি বছরের সাঙ্গীতিক সোর্স এত সুলভ হয়ে গেছে, দেশবিদেশের গান শোনা এত সহজ হয়ে গেছে, এখন আর কোনো একক প্রভাবের জমানা নেই মনে হয়। সে কাল মনে হয় গিয়েছে।
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৩২543116
  • আর শিক্ষা? অত রকমের ইন্সট্রুমেন্ট বাজানোর প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞান অর্জন না করলে সঙ্গীত বা কম্পোজিশনে সুমনের প্রভাব আসা সম্ভব কি? পরবর্তীতে উত্তরসূরীরা কেউই সেই নিষ্ঠা ও ডেডিকেশন নিয়ে শেখার চেষ্টা করেছেন কি? হারমোনিয়াম আর গীটারের বাইরে কে কে গেছেন? শোভন চট্টোপাধ্যায় যদি গানে সুর দিতেন তবে কেমন হত জানিনা, তবে সুমনের সাঙ্গীতীক / কম্পোজিশনগত অনন্যতার একটা কারণ তাঁর বিষয়টিতে জ্ঞান ও বটে, যেটা আমার মনে হয় । ঐ বৈচিত্র শিক্ষাগত দূর্বলতার/মিডিওক্রিটির হাতের মোয়া নয়। সত্যজিৎ রায়ের বানানো গান নিয়ে এই প্রসঙ্গে কথা হতে পারে কি?
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৪৭543117
  • সাঙ্গীতিক জায়গা থেকে সুমন ৫০-৬০এর বাংলা আধুনিক গানের অনুসারী। সেখানে সামান্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা, যাতে অবশ্যই একটা শিক্ষার ছাপ আছে। কিন্তু সুমন গানের একধরনের ধারায় বিশ্বাস রাখেন, সেটা মেলডি নির্ভর বাংলা কাব্যগীতির ধারা। তার বাইরের বাংলা গান সুমনকে ভাবায় না।
    তাই সুমনের এতো সাক্ষাতকার, লেখায় রবীন্দ্রনাথ-নজরুল-হিমাংশু-সলিলে এসে থেমে যায়। মহীন, নগর ফিলোমেল, রঞ্জনপ্রসাদ বা অন্যেরা তো কোন ছাড় নিজের নাগরিক ফেজ নিয়েও প্রায় নীরব।
  • omnath | 59.160.210.2 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৫৫543118
  • অ্যাল, সরি। শোভন মুখার্জি। বেবীদা।
  • sda | 59.97.137.44 | ২৬ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২১543120
  • শোভন মুকুজ্যে তো অ্যারেঞ্জার। গানে সুর দিতে যাবেন কেন ?
    বাই দ্য ওয়ে, কলকাতার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে বেবী-দা বলতে লোকজন প্রতাপ রায়কে চেনে। ভদ্রলোক হেমন্ত মুখার্জীর সঙ্গে পিয়ানো অ্যাকর্ডিয়ান বাজাতেন, এখন এই বয়সেও অসাধারণ কি-বোর্ড বাজান। এক গান পাগল বন্ধুর সঙ্গে ওনার শেয়ালদার বাড়িতে গেছিলাম কলেজে পড়ার সময়।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন