এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • আধুনিক বাংলা গানের কথা

    Somen Dey
    গান | ২৪ এপ্রিল ২০১২ | ৪১৫৭৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:২৩542922
  • হ্যাঁ বধুঁয়া।

    শালা সত্তরের ঐ উত্তাল সময়ে দাঁড়িয়ে একজন বধুঁয়া টাইপ মধ্যযুগের শব্দ নিয়ে প্যানপেনে গান গাইছে।

    সে গাক, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু তার পরে তাকে বড় হনু বলে নাচানাচি করলে কিরম একটা ধুর এফেক্ট হয়।

    তার থেকে মহীন বা নাগরিক অনেক ভাল। একটা অনেস্ট এফর্ট ছিল।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:২৩542921
  • সুমন যেটা বলেছিল, সেটাই তাহলে এতক্ষণ বলার চেষ্টা করছিলাম।
    সুমনের মহীনের কাছে ইন্সিকিওর ফিল করার কিছুই নেই, আমার ধারণা একটা ডেভিয়েশন হিসেবে দেখেই আলাদা করে স্বীকার করেনা
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:২৪542923
  • স্বীকার স্থলে মেনশন হবে
  • yyy | 14.99.57.104 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩০542924
  • "মহীনের ঘোড়াগুলি"র জনপ্রিয় না হওয়ার অন্য কিছু কারণও আছে। এঁরা আজকের স্পন্সরলালিত ভঙ্গীসর্বস্ব ব্যাণ্ড তো ছিলেন না, একধরনের সুসংস্কৃত মনন ও চিন্তা ছিল তাঁদের গানে। এই যে বাউলপ্রেম ইদানীং, তাঁর মূল পৃষ্টপোষক কিন্তু বাঙালী এলিট। গড়িয়া বাজারে সার্ভে করে দেখবেন কজন জিৎ গাঙ্গুলির গান শোনে আর কজন বাউল ফকিরি গান নিয়ে সবিশেষ আহ্লাদিত। এলিট খুব একটা খারাপ ব্যাপার নয়। নিম্নবর্গের সংস্কৃতির সঙ্গে উচ্চবর্গের হাতধরাধরি করিয়েছেন এই এলিটরাই। তো সেইরকম "মহীনের ঘোড়াগুলি"র, যাঁরা একে এলিট তায় বিকল্প, গানের পৃষ্ঠপোষণার সম্ভাবনা ছিল সেই শ্রেণীর মানুষের মধ্যেই যাঁরা একটু বিদেশী সঙ্গীত শুনেছেন, কেরুয়াক-গিন্‌স্‌বার্গ অবধি না গেলেও সুনীল-শক্তি-সন্দীপন জানেন, হয় তো কমলকুমারও পড়ে ফেলেছেন, লিন পিয়াও বললে ভাবেন না এটা কোনো চীনে খাবারের নাম। আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে গেলে, সেই শ্রেণীর যুবকদের মধ্যে। কারণ বুড়ো বয়সে পৌঁছে নতুন করে সুমন ভালো লাগলেও "মহীনের ঘোড়াগুলি" বা "ফসিল্‌স" ভালো লাগা একটু চাপ।

    নকশাল আন্দোলন তখন মৃতপ্রায়, নতুন সরকার আসবে আসবে করছে বা এসে পড়েছে। রাজনীতির বহিরঙ্গে যাই হোক না কেন, সামাজিক চেতনায় বামপন্থার হাওয়া প্রবল। সেই সময়ের বামপন্থায় কোনটা ভালো এবং কোনটা মন্দ নিয়ে একধরনের নাইভ কিন্তু সৎ বিশ্বাস ছিল। হার্বার্ট মার্কিউজপন্থী নব্যবামদের প্রতি খুব একটা পীরিত ছিল না কারো- নকশাল বা সিপিএম। প্রবল আমেরিকা-বিদ্বেষ রয়েছে চারদিকে। আমেরিকার বিকল্প ধারার গান আছে কি নেই- সেসব নিয়ে খবর সেইসময়ে এতদূরে এসে পৌঁছায় না সবসময়। গোদাভাবে একধরনের সন্দিগ্‌ধতা প্রচ্ছন্ন রয়েই গেছে রক ইত্যাদি নিয়ে। রাজীবের "মেরা ভারত মহানের" হাত ধরে আসা মধ্যবিত্তের এথনিকের কদর তখনও ভবিষ্যতের গর্ভে। বিশ্বায়ন পরবর্তী কালের বহুস্বরের ক্রেডো কোনো মৌলিক সামাজিক দাবী হিসেবে উঠে আসে নি তখনও। "মহীনের ঘোড়াগুলি"র কোনো সরাসরি রাজনৈতিক ছাপ না থাকলেও প্রোগ্রেসিভ রক-বাউল মেশানো এই গানের প্রচ্ছন্ন সামাজিক-রাজনৈতিক সম্ভাবনাকে সেযুগের মধ্যবিত্ত মানসের ক্যানভাসে ঠাঁই দেওয়া কঠিন ছিল। গান নামক বস্তুকে সুলভে বিক্রি করার প্রযুক্তিও তখন করায়ত্ত নয়। থাকলেও কতটা ছড়াতো তা নিয়ে সন্দেহ আছে। কারণ এখনও হাঁসখালি মহাবিদ্যালয় বা ঘোড়াপুকুর কলেজের ছেলেমেয়েদের কাছে "মহীনের ঘোড়াগুলি" সেরকম লোভনীয় ব্র্যাণ্ড হয়ে ওঠে নি।

    তবে ছড়িয়েছে অবশ্যই কলকাতা এবং কলকাতার আশেপাশে। যাদবপুর-শিবপুর-প্রেসিডেন্সির শ্রোতানির্ভর এই গানগুলো এখন কলকাতা এবং কলকাতার আশেপাশে মফ:স্বলের ছেলেমেয়েদের কাছে বিপুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তার জন্য সামাজিক, প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক পালাবদল অবশ্যই দায়ী। কিন্তু সর্বোপরি যে ফেনোমেননের জন্য "মহীনের ঘোড়াগুলি"কে অপেক্ষা করতে হয়েছিল তাঁর নাম সুমন। অদ্বৈতাচার্য যেমন অপেক্ষা করেছিলেন জগন্নান মিশ্রের কনিষ্ঠ পুত্রের জন্য।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩৪542925
  • ক টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি
  • lcm | 69.236.168.55 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩৫542926
  • কেয়া বাত, ট্রিপ্‌ল-ওয়াই খাসা লিখেছে তো।
    আরো লেখো ভাই।
  • dd | 59.97.121.77 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:৪৭542927
  • এই yyy নামটা খাসা। ঝট করে চুরি হবার চান্স নেই।

    দেখুন গান নিয়ে তো আমার কিছু লেখার কথা নয়, কিন্তু মে মাসের প্রডাকশন প্ল্যান এখনো হাতে পাই নি তাই না লিখেও পারছি না বাপু।

    জীবদ্দশায় গানে এরম সুপারস্টার আর কখনো দেখি নি (মানে রামপ্রসাদ আমার এট্টু আগের লোক)। জীবনমুখী কি সুমনভাবী, ঐ যে একটা পরম্পরা করে দিলেন - সুরে কথায় তাৎক্ষনিক ঘটনা নিয়ে। এমনটি আর কেউ করেছে ?

    রবীন্দ্রসংগীত, নজরুল্গীতি,অতুলপ্রসাদের গান (গীতি, সংগীত, গান ... এইসবে কি তফাৎ কে জানে) এইসবের পরে একমাত্র সুমনসংগীত। একজন কমপ্লিট এনটারটেইনার।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:৪৯542928
  • বাংলা গানের তিনখানা অধ্যায়।

    দাদু। সলিল। সুমন।
  • sinfaut | 121.241.218.132 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫২542929
  • ভালো ভালো লোকজনের মধ্যে আবার রূপম কেন? সে তো এখনও টীনএজ আংস্ট এই আটকে আছে। তোকে ক্ষমা করে দিলাম এবার রাক্ষুসি। ব্লেড দিয়ে কেটে দিলাম নীল শিরা। কিছু মানুষের মৃরিরিত্যু চ্যাইইইই এইসব আবোলতাবোল।
  • omnath | 59.160.210.2 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫৪542931
  • সেটাই বা রূপমের আগে কে করেছিলো?
  • lcm | 69.236.168.55 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১২:৫৯542932
  • রূপম! জনশ্রুতি - এ নাকি এত জোরে চেল্লায় যে ভল্যুম না কমালে দেওয়ালে কাঁচের ফটো ভেঙ্গে চৌচির।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৩:০০542933
  • সুমন যেখানে থেমে যান:
    জানিনা এ পৃথিবীর সিপিয়েম গান শোনে কিনা

    -- সেইখান থেকে রূপম ধরেন
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৩:১২542934
  • তাতিন।
    সুমনের কথার পর নীল টেলিফোন গেয়েছিলো। সুমন আর কথা বাড়ায় নি। টেলিফোন শুনলে আর ""শুধুই পশ্চিমী"" তকমা লাগানো যাবে না বুঝে গেছিলো।
    সম্ভবত: ৮৬/৮৭তে লেখা গান। রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা, শহরে এনে ফেললে কি হয়।
    ঐ একটা লাইন - কালা যখন তখন করো ডায়াল। ও: এভাবে বাঁশিকে টেলিফোন দিয়ে রিপ্লেস করা যায়, কেউ ভেবেছিলো? খেয়াল করবেন কালা কথাটা। তখন ল্যান্ডলাইনের কালো টেলিফোনের যুগ। কালা কথাটার কি অসাধারণ ব্যবহার।
    বা কাপে কাপে আমার হিয়া কাঁপে। প্রথম শুনলে মনে হয় - কাঁপে কাঁপে আমার হিয়া কাঁপে। পরে যখন গানের শেষে আসে আমার প্রিয়া ক্যাফে, তখন বোঝা যায় cupcupএ আমার হিয়া কাঁপে। শব্দ নিয়ে এই খেলা, অসাধারণ।
    এই দুটো উদাহরণ দিলাম যাতে রেঞ্জটা বোঝা যায়।
  • lcm | 69.236.168.55 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৩:২১542936
  • রূপম এবং ওর দলের কয়েকজনের একটা স্টেটমেন্ট/ইন্টারভিউ টাইপের জিনিস ইউটিউবে দেখেছিলাম। তাতে বলছিল, যে ওরা চায় ওদের গান মানুষের ব্রেনের প্রতিটি কোষের মধ্যে ঢুকে যাক।
    ঐ ক্লিপ দেখে চীৎকার/ভল্যুম এর উদ্দেশ্য বুঝতে পেরেছি।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৪:১০542937
  • কল্লোলদা, হয়তো এঁড়ে তক্কো করে ফেলছি- কিন্তু ৮৬-৮৭তে টেলিফোন বা ক্যাফে যাওয়ার কাল্‌চারের সঙ্গে খুব গুটিকয় লোকেই নিজেকে আইডেন্টিফাই করতে পারতো মনে হয়। বরম ' তখন তো আমি পারবোনা খেতে মোগলাই বারে চাউমিন' কিংবা 'রেডিও তে হঠাৎ একটা পুরোনো গান, তার সুরটা চেনা চেনা'-র সংগে লোকে নিজেকে বেশি আইডেন্টিফাই করতে পারবে।

    বা, ভালোবাসি গানটা দেখলে, যা যা ভালোবাসি বলা আছে, আর অনেকই আমাদের বেশিরভাগ লোকের আদৌ কখনো কর হয়ে ওঠেনি- সে সারারাত রবিশংকরই বা কজন শুনেছেন বা কুয়াশায় কাশবনেই বা কলকাতা বা মফস্বলের কজন ছুটেছেন? সেইখানে, সুমন থেকে চন্দ্রবিন্দু সবাই খুব কাছের, আমি যা যা করি, যা যা বলি সেগুলো নিয়েই চলেন।

    তো যেটা বলতে চাইছিলাম, ইন ফ্যাক্ট আমি নিজে যখন প্রথম মহীনের ঘোড়াগুলির গান শুনি, সাইন্সের সংস্কৃতিতে, ১৯৯৯- খুব সাউথ পয়েন্ট মার্কা মনে হয়েছিল। কথা, সুর, ন্যারেটিভের অনুষঙ্গে। সেই জন্য, মহীনের ঘোড়াগুলিকে সুমন নচি বা অঞ্জনের থেকেও দূরতর লেগেছে সব সময়েই। আর এই অ্যালিয়েনেশনটা মনে হয় ১৯৭০-৮০ তে অনেক বেশি ছিল।
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৩৫542938
  • ভুল তাতিন ভুল।
    এখন একটু একটু পরিষ্কার হচ্ছে কেন মহীন তোদের অচেনা লাগে।
    তোরা ক্যাফে বলতে বুঝিস বরিস্টা বা সিসিডি। আমরা বুঝতাম পাড়ার প্রিয়া ক্যাফে, যাতে চায়ের সাথে কফিও পাওয়া যেতো এমনকি চাফিও। তাই আমাদের চিনতে কোথাও কষ্ট করতে হয় নি। আমরা শীতে প্রায় সারা শীত ধরেই কোন না কোন সারা রাতের ক্লাসিকাল শুনতে যেতাম দল বেঁধে। তখন কলকাতায়, ডোভার লেন খুব তেমন ক্রেজ নয়। বরং পার্ক সার্কাস, সদরঙ্গ সঙ্গীত সম্মেলন, মার্কাস স্কোয়ার, বঙ্গ সংষ্কৃতি সম্মেলন এরকম বহু হতো। এছড়া দল বেধে কাকদ্বীপও গেছি সারারতের গান-বাজনা শুনতে।
    কলকাতায় হলে ভোর বেলা হেঁটে হেঁটে কেওড়াতলার চায়ের দোকানে ফিরতাম নানান গুলতানি করতে করতে। তখনই আমাদের হাতে আসছে বিটলস, ডিলান, বেলাফন্তে, পিট সিগার, জোন বায়েজ, পল রবসন.......... সে সব শুনতে শুনতেই তো গেয়ে ওঠে কেউ
    আর কতকাল ধরে হাঁটলে বল / মানুষ সে মানুষ হবে
    বা
    হেই আমার বাউল মন / অ্যাকখান গান গাও না
    বা
    কল্পনা কর প্রিয় মন / নেই স্বর্গ নরকে প্রয়োজন
    তারপর যখন শুনি কেউ একজন বলছে
    কতটা পথ পেরোলে তাকে পথিক বলা যায়
    বা
    ও গানওয়ালা
    এগুলো তার গান। তখন করুণা হয়।
    তখন মনে হয়
    তবুও কিছুই যেন ভালো যে লাগে না কেন...........
    মনে হয়
    এখনো সৌরমন্ডলের / তৃতীয় গ্রহতে আছে পাপ
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৪১542939
  • ও হ্যাঁ। টেলিফোন না চেনার ব্যাপারটা বুঝলাম না। আমরা তো পাড়ার টেলিফোন বুথ থেকেই ওর বন্ধুর বাড়িতে ফোন করতাম বা উল্টোটা। তাও আবার অন্য কেউ ধরে ফেললে স্মার্টলি অপরেশকাকুকে চাইতাম। রং নাম্বার বলে নামিয়ে রাখতো সেই অদৃশ্য ভিলেন। সেদিন আর ফোন করা যেতো না। তোদের মোবাইল সময় এর মানে বোঝা বেশ চাপের।
    তাই....... কখন তোমার আসবে টেলিফোন

  • ppn | 202.91.136.71 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৫২542940
  • কল্লোলদা, আমরা সুমন শুনে বেড়ে ওঠার পরে মহীন শুনেছি, যাদবপুরের ফেস্টে ওরা যখন গাইতে এসেছিল, '৯৫ তে বোধহয়, তারও আগে শুনে ফেলেছি মাইল্‌স আর ফিডব্যাক (মৌসুমী কারে ভালোবাসো তুমি আর মেলায় যাই রে) কাজেই সেই প্রথম অন্যরকম শোনার অভিজ্ঞতা মহীনের হাত ধরে হয়নি, হলে হয়ত মুগ্‌ধতা বেশিই থাকত মহীনের জন্য। এমনকী প্রথমবার প্রতুল বা মৌসুমী শুনে যে গায়ে কাঁটা দিয়েছিল তাও আর মহীন শুনে হল কই? খালি শহরের উষ্ণতম দিনে শুনে মনে হয়েছিল সেই বিশেষ একজনের জন্যই যেন গানটাকে তুলে রাখা যায়, এমনই প্রিয় ছিল সেই প্রেমের গান।

    ঝিকির বক্তব্য ধার করে বলি আমিও গানের 'গ' জানি না, গানে শুধু খুঁজি লিরিক আর হয়ত কিছুটা মেজাজ, কাজেই আমার বক্তব্যের গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। জাস্ট মনে হল তাই লিখলাম।
  • Jhiki | 219.83.85.197 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৫৪542943
  • কল্লোলদার শেষ দুটো পোস্টের মত জীবন তৎকালীন প: বঙ্গের যে সব যুবকেরা কাটাত, তাদের কাছে নিশ্চয় মহীনের ঘোড়াগুলো শ্রেয়........ বাকিরা তো অবুঝ ম্যাংগো পাবলিক, তাদের কথা কি এসব এলিট আলোচনায় আসবে?
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৫৮542944
  • কল্লোলদা, আমি কলকাতার উপকন্ঠে বড় হয়েছি। আমাদের পাড়াটা ১৯৯৫ অবধি গ্রাম পঞ্চায়েত ছিল, কলকাতার দামে কয়লা পাওয়া যেত, আর লোকে চাকরি করতে বা দামি জিনিস কিনতে কলকাতা আসতো।

    আমার পরিচিত খুব কম লোকের বাড়িতেই টেলিফোন ছিল আশির দশকে, ডিলান বেলাফন্টেও কাউকে বিশেষ শুনতে দেখিনি, এক হেমাংগ বিশ্বাসের বেলাফন্টের অনুবাদ ছাড়া। ডিলানের নাম, পল সাইমনের নাম আমি প্রথম সুমনের ক্যাসেটেই দেখি।

    সে যাই হোক, প্রিয়া কাফে খুব কম পাড়াতেই ছিল মনে হয়, কিন্তু রাস্তায় পানের দোকানে রেডিওতে হঠাৎ একটা পুরোনো গান বাজতো। স আমি পোস্ট ব্যারিস্টা পোস্ট সেলফোন যুগ দিয়ে হিসেব করছিনা। কিন্তু সুমনের গানের পরিধিটা ৯০এর দশকেও মহীনদের থেকে অরেকটু বড় ছিল। মহীনকে খুব দক্ষিণ কলকাতা অবধি মনে হত- সেখানে সুমন মানে 'শহরে আসছে ঐ তো সোনারপুর' কিম্বা মধ্যমগ্রামের জলসা। মধ্যবিত্ত মফস্বলি বাড়ি আর পাড়ার বুকে বেজে ওঠা গান, নচিকেতা আরো কিছুটা বেশি- একদম চেনা গুরুপদর দোকান, সকালের প্রভাতফেরি, নাটাকের রিহার্সাল, বিচিরি জ্যামে আটকে থাকা, যখন ধর্মতলা থেকে বাড়ি ফিরতে আরও দেড় ঘন্টা লাগবে- যা যা করছি প্রত্যেকদিন সেগুলোর গান। যার মধ্যে দাঁড়িয়ে 'ভাঙাচোরা জীবনটাকে হঠাৎ লাগে ভালো'।
  • apu | 122.248.183.1 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:০২542945
  • বাংলা কথা প্রথমে গান ট শুনে ভালো লাগতে হবে। সেত কথার জন্যে হতে পারে । সুরের জন্যে হতে পারে। বা দুটোর জন্যে ই।সেটাই প্রধান শর্ত। অ্যাটলিস্ট আমজনতার কাছে। সেখানে আমার মহীনের একট গান ভালো লেগেছে । শুনেছি। ফুরিয়ে গেল। বাকি গান গুলো না শোনায় আমার কোন ক্ষতি বৃদ্ধি হয়েছে বলে মনে করি না।
  • apu | 122.248.183.1 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:০৩542946
  • কোন গান ভালো লাগা সম্পুর্ন তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এটা অরোপিত হতে পারে না। হওয়া উচিত ও নয়।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:০৫542947
  • জনগণমন?
  • omnath | 59.160.210.2 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:১৫542948
  • বেথে-১ এর জন্যে একটা মান্না দের টই খোলা ছিল তো !

    এই কথাগুলো শুনলে শরৎকুমার-এর "সুখী টুলু" কবিতা মনে পড়ে যায়
    " ... কত সুখী টুলু,
    এক লাইন জীবনানন্দ না পড়েও বেশ বেঁচে আছে !!"
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৩৭542949
  • তাতিন। হতে পারে।
    আমি কলকাতায় বড় হয়ে ওঠা। অবশ্য আমাদের কলকাতা তাতো কলকাতা ছিলো না। তবু কলকাতাই। আমি ৭৫এ প্রথম বিটলস-লেনন-ডিলান শুনি। ৭৭এ প্রথম পল রোবসন ও সাইমন গারফাঙ্কেল। এগুলো হয়তো কলকাতায় থাকার ফল।
    ও হ্যাঁ, সুমনের করা সাউন্ড অফ সাইলেন্সের একটা দারুন অনুবাদ ছিলো। স্তব্ধতার গান শোনো।
    তবে আপনাদের এলাকায় চায়ের দোকান যার নাম অমুক কেবিন বা তমুক কাফে, ছিলো না? মফ:স্বলে তো খুব বেশী ছিলো। বর্ধমান, কৃষ্ণনগর, বোলপুর, সিউড়ি সব জায়গাতেই এরকম চায়ের দোকান পেয়েছি।

    ঝিকি।
    আমাদের বেড়ে ওঠার সময়ে কলকাতায় ও মফ:স্বলে সাধারনভাবে ছেলেরা প্রায় সকলেই রাজনীতিতে ছিলো। কেউ বেশী কেউ কম। আর সেই রাজনীতির উপর যখন আঘাত এলো (এখানে সিপিএম-নকশাল নির্বিশেষে) তখন আমাদের আশ্রয় ছিলো এই ধ্রুপদী গান-বাজনা। এমনও হয়েছে বঙ্গসংষ্কৃতি সম্মেলনে সন্ধ্যায় ভিতরের মঞ্চ গাইছেন শচীনকত্তা বাইরের মঞ্চ দেবব্রত। দৌড়াদৌড়ি করে গান শুনেছি। তারপর সারারাত ধরে বিলায়েৎ, নিখিল ব্যানার্জি, সরাফৎ হুসেন খাঁ, আর তাদের সাথে কখনো কেরামতুল্লা, সাব্বির খান, গোবিন্দ বসু তবলায়, সারেঙ্গীতে সাগিরুদ্দিন।
    আবার বন্ধুরা মিলে চাঁদা করে রেকর্ড কিনছি (একজনেরই প্লেয়ার আছে) - বেগম আখতার, আনন্দশংকরের ফিউশন, রবিশংকর য়িহুদী মেইনুহিন, বেলাফন্তে, জোন বায়েজ, ডিলান.........
    বা একটু সাহসী হয়ে বন্ধুর বাবার পল রোবসনের এলপি ঝেড়ে দেওয়া। আর বন্ধুর বাড়িতে বসে শোনা সেই মেঘমন্দ্র গলায় - ওল ম্যান রিভার
    আমরা আমই ছিলাম। হয়তো কলকাতার আম একটু বেশী আম ছিলো..........
  • apu | 122.248.183.11 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৪২542950
  • কল্লোল দা ও 'আম' ছিল।

    তাহলে 'কাঁঠাল' কে?
  • apu | 122.248.183.11 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৪৩542951
  • ওমনাথ বটে। তোমার পছন্দের সঙ্গে আমার ম্যাচ না হলে আমি ব্রাত্য। অন্যথায় তুমি। এই রকম কী কেস টা?
  • omnath | 59.160.210.2 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৪৫542952
  • "দর্পণে শরৎশশী " এরকম কি একটা ছিল না?
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৫ এপ্রিল ২০১২ ১৫:৫০542954
  • কেন - অসীম চট্টো, বুদ্ধ ভট্টো - এসব রাজনীতিতে। গৌতম ঘোষ, রাজা মিত্তির, অভিজিত চট্টো - সিনিমা ঘেঁষা। রমাপ্রসাদ, দেবরাজ, নবারুণ - থেটার ঘেঁষা। আবার নবারুণ, সৃজন সেন, সব্যসাচী - কবতে ঘেঁষা...... এমনি আরও কিছু।
    ইলিট হলগে এয়াঁরা, যারা ঋত্বিক, মৃনাল, বিজন ভট্ট, শক্তি-সুনীল, শম্ভু মিত্তিরদের সাথে টক্কর নিতেন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন