এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • আধুনিক বাংলা গানের কথা

    Somen Dey
    গান | ২৪ এপ্রিল ২০১২ | ৪১৬০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • omnath | 59.160.210.2 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৬:২৮543440
  • অশ্রুতপূর্ব?
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৪৫543442
  • মিউজিক বা মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট বাংলা মূলধারার গানে কখনঐ খুব ইম্পর্ট্যান্ট ছিল কী?
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৪৯543443
  • অ্যারেঞ্জার বাংলা গানে সেভাবে ছিলো কোথায় এব্রাহাম মজুমদারের আগে পরে, অনেকদিন? মধু মুখোপাধ্যায় কিছুটা মন্দের ভালো কাজ করেছেন, মূলত নচিকেতার কিছু অ্যালবামে। কাজ তো শুরু হল শোভন মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে। বেবীদার আগে বাংলা গানে , ক্যাসেটে অ্যারেঞ্জার কোথায়? সুমন নিজে করত অ্যারেঞ্জমেন্ট। প্রথম অন্যের হাতে ছাড়ে "চাইছি তোমার বন্ধুতা" অ্যালবামে। তো সুমন অ্যারেঞ্জার হিসেবে এব্রাহাম মজুমদারের লেভেলে যেতে পারবে না, এতে আর তক্কের কী আছে?

    কিন্তু এই যে বিনয় চক্রবর্তীর নাম গুগুলকাকু শোনেনি, কল্লোলদা আর অনুশ্রী-বিপুলের মুখে ছাড়া, সে কি ভালো কথা? দেজ থেকে একই নামের একজনের একটা কবিতার বই আছে, "মনীষা চ্যাটার্জীর হৃদয়" । এই কি সেই সুরকার? কোনো গান, কোথাও আছে অনলাইনে? ও কল্লোলদা?
  • ppn | 202.91.136.71 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৫৩543444
  • সোমনাথ, কাজী কামাল নাসের কোথায় শোনা যায়? অনলাইন কিছু আছে?
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৬:৫৪543445
  • তপন সিনহার গান কেউ শুনেছেন, সেই আমলে?
  • sinfaut | 121.241.218.132 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৭:২১543446
  • এঁরা তো পাথব্রেকার, আগে কী গুরুত্বপূর্ণ ছিল সেসব না মেনে নিজেরা তো পথসৃষ্টি করবেন। আর যদি, অ্যারেঞ্জমেন্ট গুরুত্বপূর্ণ না মনে করেন, নো আপত্তি, খালি গলায় বা গীটার/হার্মোনিয়াম/দোতারা ইত্যাদি বাজিয়ে গান করলে দিব্বি শোনাবে, কিন্তু খামোখা অক্টোপ্যাড আর কীবোর্ড (কীবোর্ড কিন্তু সুমন দারুন বাজান, সেকথা হচ্ছেনা এখানে) দিয়ে বালখিল্য করলে অ্যারেঞ্জমেন্ট এর কথা তো শুনতেই হবে।
  • omnath | 59.160.210.2 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৩২543447
  • http://www.4shared.com/account/dir/vwIsuVg1/_online.html#dir=14635306

    এখানে কাজী কামাল নাসের এর প্রথম অ্যালবাম টা আছে। আমার 4shared। আরো অনেক কিছু আছে অবশ্য। ;-) বাকি অ্যালবামগুলো ডিজিটাইজড নেই। করতে হবে, হয়তো আমাকেই। লাস্ট দুটো অ্যালবাম প্রচন্ড ভালো করেছিলো। :-)

    তপন সিনহার দুটো বোধহয় অ্যালবাম মিস আছে আমার। সেই গানটার তুঅনা নেই -
    ও লীনা
    তুই কেন কাল এলিনা
    সারাদিন না দেখে তোকে
    বড়ি মুশকিল হ্যায় ইয়ে জিনা।
    :-)
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৩৯543448
  • স্বাগত-র গান ও নেট এ নেই বোধয়। ৩-৪ টে প্রচন্ড ভালো গান ছিলো।

    কামালের সেই গানটা শুনেছো?
    সব হারিয়ে আজ বাঙালীর একটাই(?) সম্বল
    সারাবছর গ্যাসের ব্যথা, বুকজ্বালা, অম্বল ....
    :-)
  • kallol | 115.242.178.181 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৫২543449
  • বিনয়দার গান আমি এবার কলকাতায় গিয়ে অনেক খোঁজার চেষ্টা করেছি, পাইনি। তবে পবো, পাবোই। আমার কাছেই ছিলো, সেটা যে কোথায় গেলো......
    আমাদের মধ্যে এক ন্যাড়া শুনেছে।

    অ্যারেঞ্জার। সলিল চৌএর চেয়ে বড় অ্যারেঞ্জার আমি শুনিনি। পরে মধু ভালো অ্যারেঞ্জ করেছে, ধ্রুব (মৌভৌয়ের প্রথম দুটো অ্যালবাম) খুব ভালো।
    এর মাঝে অবশ্যই সুধীন দাশগুপ্ত, ভি বালসারা। আর বাংলা গানে অ্যারেঞ্জমেন্ট নিয়ে নিরীক্ষা করেছে আমাদের আরডি।
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৫৭542832
  • ক্যালকাটা ইয়েলো পেজ থেকে দেখলাম, কামাল নাসের এর দুটো অ্যালবাম মিস আছে আমার, "তিন বন্ধু ও রাজকুমার" (সাগরিকা) আর রবীন্দ্রসঙ্গীত "লুকালে বলেই" (অনন্য মিউজিক)। বাকিগুলো - "ছোট্ট খবর", "কেমন আছেন", "ইচ্ছে ফিরুক", "অন্য গল্প বলে", "অন্য গানের সীমানায়" "লক্ষ্মণের শক্তিশেল" রয়েছে। ক্যাসেটগুলো ক্রমশ নষ্ট হয়ে যচ্ছে এটাই দূ:খের।

    অরিজিৎ-দা ডিজিটাইজ করে দেবে?

    অবশ্য আসল কাজটা ওঁর লেখা আর সুর করা গান, যেগুলো অন্যরা গেয়েছে। সৌভাগ্য, অধিকাংশই শুনতে পেরেছি বলে মনে হয়। গায়ক হিসেবে অতটা কৃতি তো নন, ২০০৩ এ বেস্ট লিরিসিস্ট পেয়েছেন দেখলাম এবিপি থেকে। সুরগুলো ও বেশ ভালো লাগে আমার অনেক গানেরই।

  • kallol | 115.242.178.181 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৫৮542833
  • সোমনাথ।
    পাথরে পাথরে নাচে আগুন শুনেছো!!
    ওটা প্রতুলদা, বিপুল-অনুশ্রী আর মৌসুমী ভৌমিকের প্রথম রেকর্ডিং।
    ঐ গানগুলোর অ্যারেঞ্জমেন্ট শুনো। অসাধারণ বললেও কিছুই বলা হয় না। দীপক চৌধুরীর করা।
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৮:১৪542834
  • নেট এ পাওয়া যাচ্ছে কল্লোলদা, mp3 বেস্ট পসিবল বিটরেট (320kbps)। বাংলাটরেন্টে।

    ট্র্যাকলিস্ট
    ১. মে দিন ~ প্রতুল মুখোপাধ্যায় ~ সুরঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায় - (৩.১৭)
    ২. রূপকথা ~ অমিত রায় ~ সুরঃ হাবুল দাস – (৫.২৩)
    ৩. মে দিন ১৯৬৫ ~ প্রতুল মুখোপাধ্যায় ~ সুরঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায় - (৩.৫৭)
    ৪. কালো বস্তির পাঁচালী ~ মৌসুমী ভৌমিক ও সন্দীপ রায় ~ সুরঃ হেমাঙ্গ বিশ্বাস - (৯.০৮)
    ৫. ন্যাংটো ছেলে আকাশ দেখছে ~ অমিত রায় ~ সুরঃ অমিত রায় - (৩.১৩)
    ৬. সবচেয়ে উঁচু পাহাড়ের গান ~ অনুশ্রী চক্রবর্তী ও বিপুল চক্রবর্তী ~ সুরঃ বিপুল চক্রবর্তী – (৪.৩৫)
    ৭. বেকার জীবনের পাঁচালী ~ প্রতুল মুখোপাধ্যায় ~ সুরঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায় - (৫.২৮)
    ৮. নীলকমল লালকমল ~ কেয়া চট্টোপাধ্যায় ~ সুরঃ অমিত রায় -(৪.২৪)
    ৯. লং মার্চ ~ প্রতুল মুখোপাধ্যায় ~ সুরঃ প্রতুল মুখোপাধ্যায় -(৪.৪২)



    "তুই" বললেই খুশি হই।

  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২১542835
  • কামাল নাসেরের এই গানগুলো শোনা তো জনতার? অন্যদের গাওয়া।

    http://www.muzigle.com/artist/kazi-kamal-naser#!artist/kazi-kamal-naser/songs_composed

    দেখলাম "অন্য গানের সীমানায়" অ্যালবামটা পুরোটাই আছে।
  • yyy | 14.99.232.233 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৮:২৬542836
  • মোড় ঘোরানো। একেবারে মোড় ঘোরানো। একেবারে ঘাড়ে ধরে মোড় ঘোরানো। আশির দশকের শেষে জনপ্রিয় বাংলা গান প্রায় যখন অদৃশ্য তখনই ঘাড় ধরে- বাংলায় ভালো গান হয় না, এই ল্লে:! কেন মোড় ঘোরানো তার খোঁজ শুধু সুমনের গানে নেই। সুমনের পরবর্তী গায়কদের সুরকারদের কথায় আছে। নচিকেতা অঞ্জন থেকে চন্দ্রবিন্দু, কাজী কামাল নাসের থেকে রূপঙ্কর- প্রায় সবার গলাতেই এক কথা ফিরেফিরে বিভিন্নভাবে শুনেছি- সুমন নামক ফেনোমেননটি না ঘটলে আজকে আমরা যে বাংলা গান গাই এবং যেভাবে গাই- এর কোনো কিছুই হয়ে উঠত না।
  • Somnath | 59.160.210.2 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৮:৫০542837
  • আমার মনে হয় মূলত: বাংলা গানের মূলস্রোতের বাইরে যে বিকল্প ধারার ভালো গান হচ্ছিল, হয়ে চলছিল, সেটাকে মূলধারার গানে পরিণত করা। প্রযোজকদের কনভিন্স করা, মিডিয়াকে কনভিন্স করা, যার ফলশ্রুতিতে ক্যাসেট কোম্পানীগুলো আরো আরো নতুন, এই "জীবনমুখী" গানের অ্যালবাম রিলীজ করে, খুঁজে খুঁজে শিল্পী বের করে, এনকারেজ করে। ভালো গান যে মানুষের পছন্দ হবে, সেটা তো ঠিকই আছে, কিন্তু সুমনের এই বাণিজ্যিক সফলতা না এলে ৯২ থেকে পরবর্তী ১০-১২ বছরের এই অন্যধারার গানের বিপুল প্রোডাকশন অসম্ভব ছিল। আর বাণিজ্যিক সাফল্য ছাড়া এই দিকে গানের কেরিয়ার করার কথা তো কেউ ভাবতেও পারত না।

    নচিকেতা অবশ্য সুমনের সামনে ছাড়া ওঁকে এতটা গুরুত্ব দেয় না। মূলত: বলে, প্যারালাল কাজকর্ম চলছিল। তোমাকে চাই টা হ্যাপেনড টু বি এই সিরিজের প্রথম রিলিজড অ্যালবাম। এই বেশ ভালো আছি রিলিজ করতে এক বছর দেরি না হলে লোকে নতুন বাংলা গানের্ব ইতিহাসটা অন্য নাম দিয়ে শুরু করত হয়তো।
  • kallol | 115.241.96.121 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৯:১৬542838
  • সোমনাথ। তোকে যে কি বলে ধন্যবাদ দেবো।
    গানগুলোর লিংক দিতে পারিস?
    খুব স্মৃতিমেদুর লাগছে। বেহালার অডিও সেন্টারে রেকর্ডিং হচ্ছে। রেকর্ডিং রুমে দীপকদা, আমি, সুমিত চট্টোপাধ্যায়, অমিত রায় আর রেকর্ডিস্ট সমীর দাস। মৌসুমী এলো গাইতে। ওর তখন সাত মাস চলছে। শরীরের ঐ অবস্থায় ঐ গান গাওয়া। ও: এখনো ভাবতে গায়ে কাঁটা দেয়।
    অমিতের গানগুলো, বিশেষ করে ঘর ফুটপাথ (ন্যাংটো ছেলে আকাশ দেখছে) , অনবদ্য। সুমন গান শুরু করে অমিতদের সাথে, সমতান নামে একটা গানের দলে। সুমন খুব ভালো হারমোনিকা বাজাতো।
  • ppn | 112.133.206.20 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৯:১৭542840
  • অ্যালবামের নাম "পাথরে পাথরে নাচে আগুন'।
  • ppn | 112.133.206.20 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ১৯:১৭542839
  • প্রতুলের মে দিন এবং অন্যান্য গানের যে লিস্ট সোমনাথ দিয়েছে সেটা এইখান থেকে শুনলাম।

    http://www.raaga.com/channels/bengali/moviedetail.asp?mid=BFM00277

    মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট সত্যি ভালো লাগল। থ্যাংকু সোমনাথ আর কল্লোলদা।
  • siki | 122.177.16.128 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২০:৪১542841
  • প্রবৈচ আরেকটু বেশি লিখলে তো পারেন।

    তবে গানের লিরিকটা এখনও কেউ সঠিক লিখল না।

    বয়েস আমার মুখের রেখায়
    শেখায় আজব ত্রিকোণমিতি
    কমতে থাকা চুলের ফাঁকে
    মাঝবয়েসের সংস্কৃতি।
  • siki | 122.177.16.128 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২০:৫৩542843
  • শুনি নি। সত্তরের দশকের, আশির দশকের সেই সব পরীক্ষা নিরীক্ষা আমরা শুনি নি, আমরা যারা সত্তরের জাতক। প্রথমত শোনার মতন বয়েস ছিল না আমাদের। দ্বিতীয় কথা, যাঁদের শোনার মতন বয়েস ছিল সেই সব দশকে, তাঁদের মনে দাগ কাটতে পরে নি ষাট-সত্তরের দশকের হেমন্ত-মান্না-রফি-কিশোর ছাপিয়ে সেই সব "অন্যরকমের' গান।

    হয় তো কোনওদিনই শুনতাম না। যদি না সুমন শুনতাম। সুমনের গান হঠাৎ করে শুনতে পেয়ে যাওয়া, সেই ক্লাস নাইনে, সে এক অ্যাক্সিডেন্ট মনে হয়, আজ যখন ফিরে তাকাই। এমন একজনের কাছ থেকে ক্যাসেট পেয়েছিলাম, যার টেস্টের সঙ্গে আমার প্রায় কিছুই মিলত না। কিন্তু এখন বুঝি, টেস্টের খামতি ছিল আমারই, তার নয়। তোমাকে চাই ক্যাসেট দিয়েছিল সে, ভদ্রতা করে নিয়েছিলাম, নিয়ে ঘরে রেখে দিয়েছিলাম, শুনি নি। কদিন বাদে ফেরত দেবার সময় যখন সে শুধলো, পাগল শুনেছিস? দশ ফুট বাই দশ ফুট শুনেছিস? মন খারাপ করা বিকেল শুনেছিস? ভালো লাগে নি??

    আমি মুচকি হেসে চলে গেছিলাম। জানাই নি, যে আমি শুনিই নি।

    কদিন পরে সে আবার আমায় জোর করে হাতে গুঁজে দিল বসে আঁকো। কী উদ্ভট হলুদ রং ক্যাসেটের খাপটার। যথারীতি, নিলাম, নিয়ে ঘরে ফেলে রেখে দিলাম।

    একদিন, কী মনে করে কে জানে, সময় ছিল হাতে, চালিয়ে দিলাম ক্যাসেটটা। গরমের দিনের দুপুর ছিল সেটা। আমার ঘরে একলা আমি। শুনলাম। পুরোটা শুনে, রিওয়াইন্ড করে আবার শুনলাম, এক মুহূর্তে ফিরিয়ে দিলে। আবার ফাস্ট ফরোয়ার্ড করে, সকাল বেলার রোদ্দুর। পাগল হয়ে গেলাম।

    সাইকেল নিয়ে দৌড়লাম তার বাড়ি। আবার চেয়ে আনলাম তোমাকে চাই। শুনলাম। উন্মাদ হয়ে গেলাম।

    আগেকার গান সম্বন্ধে অনুসন্ধিৎসা তো এল তার পরে।
  • pi | 72.83.85.245 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২১:০৪542844
  • এই টইতে ন্যাড়াদাকে মিস করছি।
  • pi | 72.83.85.245 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২১:০৫542845
  • পামিতাদিকেও।
  • ppn | 112.133.206.20 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২১:০৯542846
  • সিকিকে ক-এ ক দিলাম।

    আমাদের আগের প্রজন্ম মন দিয়ে সলিল চৌধুরী-হেমাঙ্গ বিশ্বাস-ভূপেন হাজারিকা শোনার পরেও কেন মহীনের থেকে মুখ ফিরিয়ে থাকলেন এমনকী পরের প্রজন্মের কাছে নাম উল্লেখ করার প্রয়োজনও বোধ করলেন না কে জানে?

    ভাগ্যিস, সুমন এসেছিলেন।
  • kallol | 101.63.177.76 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২২:৫৭542847
  • তার একটাই কারন মহীন পৌঁছায়নি সবার কাছে। এইচএমভি পাত্তা দেয় নি। সেটাই স্বাভাবিক। কারন তখনও মূলধারার বাংলা গানে ব্যাবসা হচ্ছে। তাই নতুন কোন ঝুঁকিতে তারা নেই।
    হেমাঙ্গ-সলিল-ভূপেনের তবু একটা আইপিটিএ ছিলো। যদিও সলিলকে বাঙ্গালী চিনেছে সেই এইচএমভি দিয়েই। গাঁয়ের বধূ। রানার তো রিজেক্টেড হয়েছিলো। তখন গাঁয়ের বধূ তৈরী করেন। সেটা গৃহীত হলে তার সাথে রানার গেলো। ভূপেনও একই ব্যাপার মানুষ মানুষের জন্য এইচএমভি না প্রকাশ করলে, ভূপেনকে কে চিনতো। সাগর সঙ্গমে সাঁতার কেটেছি কতো, উত্তম অভিনীত সিনেমার গান হিসাবে জনপ্রিয় হয়নি তো। হেমাঙ্গদাকে তো এখনো খুব অল্পই চেনে মানুষ।
    আশিতে মূলধারার গান ফুস। তাই নব্বইতে এইচএমভিকে ঝুঁকি নিতেই হলো।
    ভাগ্যিস এইচএমভি ছিলো। তাই তো বাংলা ভাষায় গান হলো। নইলে বাঙ্গালীর যে কি দশা হতো!!!
    সময়ের আগে যারা চলে তাদের এসব সইতে হয়, সব ক্ষেত্রেই। মহীনও তাদের সময় থেকে অনেক এগিয়ে ছিলো। সেটা নিশ্চই তাদের দোষ নয়। অবশ্য,বাঙ্গালীকে তো লালনও শুনতে হয় রবিবাবু হাত ঘুরে।
  • sda | 117.194.192.183 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২৩:০৯542848
  • একটু সাহস করে বলেই ফেলি, মহীনের ঘোড়াগুলি (এবং অন্যান্য বেশীরভাগ বাংলা ব্যান্ড)কে আমার খুব ওভারহাইপড মনে হয়। মানে এক্সপেরিমেন্ট হিসেবে মন্দ নয় , কিন্তু প্রতুল মুখার্জী, মৌ ভৌ বা সুমনের মত ম্যাচিওরিটি এঁদের গানে পাইনি কখনো। নচিকেতা সম্পর্কেও একই কথা খাটে, বরং আমি আরও বলবো নচিকেতা চিরকালই চটকদারী অগভীর লিরিক লিখে সস্তার জনপ্রিয়তা পেতে চেয়েছেন, আর জনপ্রিয় বিদেশী গানের সুর নোট বাই নোট কপি করে নিজের বলে চালিয়েছেন। বরং শিলাজিৎ মজুমদার প্রথমদিকে কিছু ভালো কাজ করেছিলেন। ওনার পিতৃদেব অরুণ মজুমদারের লেখা কিছু অসাধারণ গান আছে। শিলাজিৎ এর প্রথম অ্যালবামের "প্রেম যেন ওয়েসিস" শুনুন। এত আধুনিক অথচ সংযত অ্যারেনজমেন্ট, বিশ্বাস হয়না এটা নব্বইয়ের প্রথমার্ধে গাওয়া যখন বাংলা গানে ইলেকট্রিক গিটার ডিস্টর্শন কেউ ভাবতেও পারতো না।
    অঞ্জন দত্ত শুরু টা ব্যাপক করেছিলেন, কিন্তু শেষে ঐ জনপ্রিয়তার লোভেই ছড়ালেন । শেষ বয়সে কেক পাউরুটি নিয়ে গান লিখতে শুরু করলেন। অথচ প্রথমের দিকে কি সব মণিমুক্তো নামিয়েছিলেন - আমি বৃষ্টি দেখেছি, মেরি অ্যান,2441139,মাসের প্রথম দিনটা...
    একই ভাবে প্রথম তিনটে অ্যালবামে চন্দ্রবিন্দু অনবদ্য, আজকাল ঝুলস্য ঝুল হয়ে গেছে।
    তো, সব মিলিয়ে আমার মনে হয় যে এই নতুন ধারার বাংলা গানে ভালো যা কিছু সব মোটামুটি ২০০০ সালের আগে অব্দি হয়েছে, তার পরে শুধুই অবক্ষয় আর পুনরাবৃত্তি। ফসিলস এল ২০০২ নাগাদ, লোকজনের কি উল্লাস- বাংলা রক। এখন মেটালিকা বা জুডাস প্রিস্ট শোনার পর ওগুলো যে ক্ষী দূর্বল আর ছেলেমানুষি মনে হয় তা আর বলার নয়।
  • siki | 122.177.16.128 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২৩:১৭542849
  • প্রেম যেন ওয়েসিস সত্যি ভালো লেগেছিল। প্রায় প্রতিটা গান।

    অঞ্জনের প্রথম দুটো অ্যালবাম ভালো লেগেছিল, কিন্তু সবচেয়ে ভালো লেগেছিল তিন নম্বরটা ... মালা, তুমি কে। ততক্ষণে অঞ্জনের গান প্রচন্ড চেনা আর প্রেডিক্টিভ হয়ে গেছিল।
  • sda | 117.194.192.183 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২৩:২৪542850
  • তবে সুমন ইজ সুমন। দাড়িদাদুর মতো একাই একটা প্রতিষ্ঠান। ওনার সংগে মহীনের তুলনা চাঁদে আর হুলো বেড়ালের ইসেতে তুলনার মতো হবে :-) শুধু টাকা আর পাবলিসিটি দিয়ে দু চারটে ক্যাসেট হয়তো বের করা যায়, কিন্তু সুমনের মতো জিনিয়াস সেসবের ঊর্দ্ধে।
  • nnn | 14.99.184.110 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৩১542851
  • কেন "মহীনের ঘোড়া" জনপ্রিয় হয় নি তার কিছু রাজনৈতিক কারণ আছে। কিছু সামাজিক কারণ আছে। কিন্তু সাঙ্গীতিক কারণ খুঁজতে গেলে ঐ সময়ের বাংলা গানের দিকে তাকাতে হবে। সত্তরের মাঝামাঝি থেকে আশির দশকের শুরু। এই সময়টা বাংলা আধুনিক গানের আশির দশকে নিভে যাবার আগে শেষবার জ্বলে ওঠার সময়। ভূপেন হাজারিকার উত্তাল জনপ্রিয় গানের এল পি বেরিয়েছে উনিশশো আশিতে, অর্থাৎ "বিস্তীর্ণ দুপারে", "আমি এক যাযাবর" ইত্যাদি। হেমন্ত এক অদ্ভুত কীর্তি করলেন সলিল চৌধুরীর পুরোনো গানগুলোর রি-রেকর্ডিং করে- লেজেন্ড অফ গ্লোরি, ভল্যুম টু। আদি ভার্শনের থেকে শতভাগ নিকৃষ্ট, কিন্তু তাই লোকের মুখে মুখে ফিরল। এমন অবস্থা হল এইচ এম ভি এইগুলোকেই বার বার ক্যাসেটে সিডিতে প্রকাশ করল। মান্না দের বহু জনপ্রিয় গান এই সময়ের- "গহন মেঘের ছায়া", "কে তুমি তন্দ্রাহরণী", "এ নদী এমন নদী" ইত্যাদি। মায় বাঙালীর কাল্ট ক্লাসিক "কফিহাউসের সেই আড্ডাটা" বেরিয়েছিল উনিশশো তিরাশিতে। সলিল চৌধুরী তখনো অসাধারণ কিছু গান তৈরি করছেন- অরুন্ধতীর গলায় "ফাগুনকে ডাকলাম" উনিশশো একাশিতে,সুবীর সেনের গলায় "ধরণীর পথে পথে" উনিশশো আশিতে। দুর্ঘটনার পরে শ্যামলের কণ্ঠ অস্তমিত। মানবেন্দ্র আস্তে আস্তে নজরুলগীতি ও পুরাতনী গানে সরে আসছেন। কিন্তু তখনও জলসা আছে, যেখানে সরাসরি শিল্পীদের গলায় মানুষ পুরোনো গানগুলো শুনতে পায়। রেডিওতে অনুরোধের আসর আছে, পুজোতে এইচ এম ভির শারদঅর্ঘ্য গানের বই আছে। তথাকথিত "স্বর্ণযুগের" অস্তিত্ব যদি তর্কের খাতিরে মেনে নিই, তবে এই সময় সেই স্বর্ণযুগের গোধূলিবেলা। কাজেই প্রতিযোগিতা খুব একটা সহজ ছিল না। তুলনায় সুমন আসার আগে পর্যন্ত আশির মাঝ থেকে নব্বইয়ের শুরু অবধি একেবারেই বন্ধ্যা সময়।
  • kallol | 101.63.177.76 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৩২542852
  • সদার প্রথম লাইনের অংশ বিশেষের সাথে একমত। অন্য বাংলা ব্যান্ড সত্যিই ওভারহাইপড মহীন বাদে। মহীনের ম্যাচিওরিটি নিয়ে সদার সাথে দ্বিমত থাকলো। যারা দরিয়ার মত গান সৃষ্টি করতে পারে, যা আজ ভিখারীরা ট্রেনে লোকসঙ্গীত ভেবে গেয়ে ভিক্ষা করে, তাদের ম্যাচিওরিটি নিয়ে কথা হবে না। ১৯৭৬ সালে যারা হায় ভালোবাসি, রানওয়ে, চৈত্রের কাফন আর অজানা উড়ন্ত বস্তু সৃষ্টি করে তাদের ম্যাচিওরিটি অন্য তলের।
    মৌভৌ আর প্রতুল চিরকালই অন্য রকম। নচি নিয়ে আমারও তাই মনে হয়। নচির গলাটা ছাড়া আর সবই খুব বানানো। অঞ্জন নিয়ে কিছু বলতেই ইচ্ছে করে না। লোকটা কোহেন ঝেড়েই বেরিয়ে গেলো। সুমনের গান যে খুবই ভালো, সেটা নিশ্চই আর আমার বলার অপেক্ষায় নেই। কিন্তু পথিকৃত নয়।
  • apu | 14.96.8.25 | ২৪ এপ্রিল ২০১২ ২৩:৩৭542854
  • nnn র লেখা খুব ভালো লাগলো। আচ্ছা স্বর্ন যুগ না হলেও একটু পরের দিকে হৈমন্তী শুক্লা, নির্মলা মিশ্র, অরুন্ধতী হোম চোধুরী,প্রতিমা ছিলেন তো। বা পিন্টু? অবশ্য সময়ের হিসেব বলতে পারবো না। আগে পরেও হতে পারে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন