এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শহর থেকে শহরে

    bozo
    অন্যান্য | ০১ এপ্রিল ২০০৬ | ১৭১২২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Prongs | 131.241.218.132 | ০১ আগস্ট ২০১২ ০৯:৪৮563995
  • শহর থেকে শহরে - ১৫
    ============

    ইট ফুটি, স্লিপ ফুটি, ড্রিঙ্ক অনলি নিউক্যাসল ব্রাউন
    ==========================

    ঘিঞ্জি স্যাঁতস্যাঁতে ঠাণ্ডা এই শহরটার সাথে ছয় বছরের অ্যাটাচমেন্ট প্রায় শেষ হওয়ার মুখে। বাক্স গোছানো, ডেস্ক খালি করা, তড়িঘড়ি প্রোজেক্টের কাজ এগনোর মত বোরিং জীবনে এই শেষ কয়েক সপ্তাহের একমাত্র আকর্ষন - বলা ভালো টেনশন - সীজন শেষে এই সাদা-কালো শহরটার সাদা-কালো ফুটবল দলটা ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগে কোন তলায় থাকবে। মাসটা মে মাস, ২০০৮।

    ফুটবল তো সব শহরেই খেলে - লণ্ডনে নয় নয় করে চার থেকে পাঁচটা দল প্রিমিয়ার লীগে খেলে - আর্সেনাল, চেলসী, ফুলহ্যাম, টটেনহ্যাম, ওয়েস্ট ব্রমউইচ অ্যালবিয়ন...। কিন্তু এই শহরটার স্কাইলাইনের সবচেয়ে প্রমিনেন্ট চিহ্ন - সেন্ট জেম্‌স পার্কে - একটা বল নিয়ে এগারোজন সাদা-কালো মানুছের নব্বই মিনিটের দৌড় টাইনসাইডের লোকজনের কাছে শুধু একটা ফুটবল ম্যাচ নয়। লন্ডন অঞ্চলে ফুটবল রিক্রিয়েশন হতে পারে - নর্থ-সাউথ ডিভাইড পেরিয়ে টাইনসাইড বা টীজসাইড বা উইয়ারসাইডে ফুটবল ওই লণ্ডনের সাথে টক্কর দেওয়ার মাদ্যম। টাইনসাইডের ফুটবল ফিলোজফিটা এর মধ্যে আবার একটু অন্যরকম - দাঁতে দাঁত চেপে ম্যাচ বাঁচানোর চেয়ে বিপক্ষকে কাঁপিয়ে হেরে যাওয়াও অনেক বেশি প্রিয়। নব্বইয়ের দশকের সেই কীগানের জমানার এন্টারটেইনার্সদের পর ববি রবসনের কার্পেট ফুটবল অবধি এই ফিলোজফিই মেনে এসেছে টাইনসাইডের জর্ডিরা। ফুটবল মানে এন্টারটেইনমেন্ট - লণ্ডনে লোকের মনোরঞ্জন ওয়েস্ট এণ্ডে থিয়েটার বা অপেরা - হপ্তাভর কাজের পর টাইনসাইডের এককালের খনিমজুরদের মনোরঞ্জনের জায়গা ফুটবল মাঠ আর পাব। নব্বই মিনিটের দৌড় আর লাগাতার বীয়ার।

    কয়েকমাস আগের কথা। কার্পেট ফুটবলের যুগ শেষ হয়েছে বছর তিনেক আগে। তখনকার চেয়ারম্যান ফ্রেডি শেফার্ডের অবিমৃষ্যকারিতায় স্যার ববির দিন শেষ। গ্রেম সোনেসের নেগেটিভ ট্যাকটিক্স, তারপর গ্লেন রোডারের পাস অ্যাণ্ড মুভের অল্প কিছুদিন পর টাইনসাইডে বোল্টন-খ্যাত এক নার্সিসিস্ট ম্যানেজার - বিগ স্যাম। এফ-এ কাপের তৃতীয় রাউন্ডে দ্বিতীয় ডিভিশনের স্টোক সিটির সাথে কোনোরকমে ম্যাচ ড্র করার পর *উল্লসিত* ম্যানেজারের মুখের ওপর ক্লাব সমর্থকদের তুমুল অসন্তোষ - তার আগের বেশ কিছু খেলায় নার্সিসিস্ট বিগ স্যামের বিরক্তিকর লং বল ট্যাকটিক্স আর কোনোরকমে ম্যাচ বাঁচানোর খেলায় তিতিবিরক্ত গোটা টাইনসাইড। স্টোক সিটির সাথে প্রথম লেগের খেলার দিন দুই পর সেই ম্যানেজার ছাঁটাই, তারপর বেশ কিছুদিন ধরে খবরের কাগজে নানান উড়ো গুজব, অনেক বড় বড় লোকের নাম জড়িয়ে - কখনো *স্পেশ্যাল ওয়ান* মোরিনহো, কখনো বা অন্য একটা কেউ। সাউথহ্যাম্পটন গেলুম - সেখানে ট্যাক্সিচালক আমাকে খবর দিলো এর পরের ম্যানেজার নাকি *অ্যারি* রেডন্যাপ। দিন কয়েক এই সোপ অপেরা চলার পর সেদিন ছিলো ওই স্টোক সিটির সাথে দ্বিতীয় লেগের খেলা - সেন্ট জেম্‌স পার্কে। ম্যানেজারহীন নিউক্যাসল নিয়ে কেউ আর কিছু আশা করে না - কট্টর সমর্থকেরাও না। সব বদলে গেলো ক্লাবের তরফে আসা একটা টেক্সট মেসেজে - সন্ধ্যেবেলায় ক্লাবের সাইটে রেজিস্টার্ড সব সমর্থকে মোবাইলে একটা দুই লাইনের মেসেজ এলো নতুন মালিকদের তরফে - "দ্য কিং ইজ ব্যাক, মোর টু ফলো"।

    গোটা টাইনসাইড একটি মানুষকে রাজা বলে চেনে - এককালের খেলোয়াড়, পরে নব্বইয়ের শেষের দিকে এন্টারটেইনার্সদের কম্যাণ্ডার - ম্যানেজার - কেভিন কীগান। ইউনিভার্সিটি থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফেরার পথে দেখলুম শহরটার অন্য চেহারী - রাম অযোধ্যায় ফেরার সময় অযোধ্যাবাসীরা মনে হয় এমনই আনন্দ করেছিলো...সেন্ট জেম্‌স পার্কের সামনে হাজার দশেক লোকের ভিড় জমতে আধ ঘন্টাও লাগেনি। মাঠের মধ্যে চেগে ওঠা নিউক্যাসল যখন প্রথম গোলটা দিচ্ছে তখনও সমর্থকদের দল ডিরেক্টর বক্সের দিকে তাকিয়ে - রাজা কখন আসবেন। পরের দিন নিউক্যাসল ক্রনিকল লিখলো - "দ্য রিটার্ন অব দ্য কিং - কেভ কাম্‌স ব্যাক টু সেট্‌ল আনফিশড বিজনেস"। আট-দশ বছর বয়সী ছেলেমেয়ের দল - কীগানের আগের আমলে এরা কেউ জন্মায়নি - শুধু গল্প শুনেছে বাপমায়ের কাছে - রিজার্ভ দলের খেলায় *কিং কেভকে* গ্যালারীতে দেখে তাদের উচ্ছ্বাস দেখলে চমক লাগে। হুজুগ? পাগলামি? কিন্তু কেনই বা?

    ছয় বছর এই সাদা-কালো শহরটাতে থাকতে থাকতে বুঝেছি এই আবেগ আসে অনেক ভিতর থেকে। বাইরে থেকে দেখলে হুজুগ বা পাগলামি মনে হলেও এর পিছনে আছে একটা স্বপ্ন, আরেকবার উঠে দাঁড়ানোর স্বপ্ন - পুরনো জৌলুষ আর সম্মান ফিরে পাবার ইচ্ছে। রোমান সম্রাট হেড্রিয়ানের সময় থেকে মঙ্কচেস্টার হয়ে শিল্পবিপ্লবের সময়কার নিউক্যাসলের জৌলুষকে ফিরিয়ে আনার স্বপ্ন। কয়েক দশকের বঞ্চনার ইতিহাস - বন্ধ হয়ে যাওয়া কয়লাখনি, রুগ্ন জাহাজশিল্প - ধুলো ঢাকা সোয়ান হান্টারের ইতিহাসকে চাপা দিতে *জর্ডি-প্রাইড* ঘুরে চলেছে সেন্ট জেম্‌স পার্কে ছুটে বেড়ানো সাদা-কালো জার্সি পরা এগারোটা ছেলেকে ঘিরে।

    স্যার জন হলের কথা লিখেছি আগে, মনে পড়ে? মেট্রো-সেন্টারখ্যাত প্রোমোটার স্যার জন হল এই *জর্ডি-প্রাইডকে* খুঁচিয়ে তুলেছিলেন। "The Geordie nation, that's what we're fighting for. London's the enemy! You exploit us, you use us"...শুরুও করেছিলেন চমক দিয়ে - খেলোয়াড় হিসেবে একসময় সমর্থকদের প্রিয়পাত্র কেভিন কীগানকে ম্যানেজার হিসেবে এনে। দ্বিতীয় ডিভিশনের তলার দিকে ধুঁকতে থাকা নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে কীগান তুলে আনেন প্রথম ডিভিশনে, আর তার পরের কয়েক বছর জর্ডি স্মৃতিতে সোনায় বাঁধানো। আপাদমস্তক জর্ডি এবং নিউক্যাসল ইউনাইটেড ফ্যানজিন ট্রু-ফেইথের এডিটর মাইকেল মার্টিনের তাঁর ছেলেবেলায় কীগানের এন্টারটেইনার্সদের খেলা দেখে ফুটে ওঠা জর্ডি রক্তের কথা মনে পড়ে - সেই সময়ের আরো অসংখ্য জর্ডি সমর্থকদের মতন - "John Hall tapped into something latent, the pride and the apartness of the north-east. Newcastle was depressed; industries like mining and shipbuilding had been destroyed. We bought into the idea of the club as the flagship of revival."

    জর্ডি নেশনের সেন্টিমেন্ট ছড়িয়ে দিয়ে হল পরিবার ভালো রোজগার করে নিলেন - সীজন টিকিট, দোকানে হটকেকের মতন বিক্রি হোয়া রেপ্লিকা শার্ট - সারভাইভালের স্বপ্নে বুঁদ গোটা টাইনসাইড সাদা-কালো ইউনিফর্মে ছেয়ে গেলো। উচ্চবিত্ত পশ লণ্ডন ব্যাঙ্গ করে নাম দিলো *বারকোড*। তবুও। চার বছরের বাচ্চা থেকে আশি বছরের বৃদ্ধা অবধি মাঠে আসে এই ইউনিফর্মে - শেষ জেতা ট্রফি সেই কবে ১৯৫৯-এ অধুনা-লিপ্ত ফেয়ার্স কাপ হলেও। কীগান সেই স্বপ্নটাকে কিছুদিনের জন্যে হলেও অনেকটাই বাস্তবরূপ দিতে পেরেছিলেন - ১৯৯৫/৯৭/৯৭-এর প্রিমিয়ার লীগে সাদা-কালো জার্সির দৌড় পাঁড় কক্‌নি ওয়েস্ট হ্যাম সমর্থকেরাও ভোলেনি - আর জর্ডিরাও তাই কীগানকে রাজা বানিয়ে রেখেছে। হল পরিবার নিউক্যাসল ইউনাইটেডকে *ক্যাশ কাউ* হিসেবে দেখলেও জর্ডিদের কাছে ক্লাবটা *ফ্ল্যাগশিপ অব সারভাইভাল* হিসেবেই রয়ে গেছে। হল পরিবারের হাত থেকে ক্রমে পিএলসি, তারপর চাকা ঘুরে আরেক মালিক - দিন পাল্টেছে, কিন্তু সেই জর্ডি-প্রাইড বা প্যাশন কমেনি। বাপ-মায়ের হাত থেকে ব্যাটন এসেছে তাদের ছেলেমেয়েদের হাতে, সেখান থেকে তাদের ছেলেমেয়ের হাতে, যাবে তাদের ছেলেমেয়েদের কাছে - জেনারেশন থেকে জেনারেশন...

    ফুটবল আর সামাজিক পরিচয় নিয়ে অনেক লেখালেখি আছে - গ্লাসগোর দুই দল, সেল্টিক আর রেঞ্জার্সের মধ্যে রেষারেষি শুধু দুটো ফুটবল দলের মধ্যে রেষারেষি নয় - ওর পরিধি অনেক বিস্তৃত - উত্তর আয়ারল্যান্ডের শিন ফেন আর ইউনিয়নিস্টদের লড়াই অবধি, ক্যাথলিক-প্রোটেস্টান্টদের বিভেদ অবধি - সেল্টিকের সবুজ-সাদা জার্সি আর সেল্টিক পার্ক ছেয়ে যাওয়া আয়ারল্যান্ডের সবুজ পতাকা প্রমাণ দেয় এই সামাজিক পরিচিতির। ফুটবল আর সমাজের গবেষণায় বলা হয় যে ফুটবল মাঠে একটা জিৎ আর তার সাথে যুক্ত মিডিয়া কভারেজ, সোশ্যাল ইভেন্ট, নিজের দলের জার্সি পরা - বা দলের এমব্লেম আর চিহ্ন জমিয়ে রাখা - এসব শুধু খেলা নয় - এর সাথে রয়েছে কয়েকশো বছরের ইতিহাস - সামাজিক ভেদাভেদ, দৈনন্দিন বাস্তব। ঠিক তাই হয় সেল্টিক আর রেঞ্জার্সের মধ্যে, বা এইখানে - এই টাইনসাইডে। ঠিক তাই হয়েছিলো ১৯১১ সালে অন্য এক দেশের অন্য এক শহরে - যখন অন্য আরেকটা দল গোরা ইস্ট ইয়র্ককে হারিয়ে প্রথম স্বদেশী দল হিসেবে শিল্ড জিতেছিলো - যাকে লোকে সেদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের সাথে এক জায়গায় বসিয়েছিলো। সেই একইভাবে নিউক্যাসল ইউনাইটেড জর্ডি রিভাইভালের ফ্ল্যাগশিপ হয়েছে। প্রায় একই ঘটনা উইয়ারসাইডে সান্ডারল্যান্ডের ক্ষেত্রে। টীজসাইডে মিড্‌লসবরোর ক্ষেত্রে। উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের তিনটে শহর একইভাবে আঁকড়ে আছে তাদের ফুটবল ক্লাবগুলোকে। একই নর্থ-সাউথ ডিভাইডের ফসল এরা।

    ১৬৫৩ সালে কেউ একটা গান লিখেছিলেন -

    "England's a perfect World; has Indies too.
    Correct your Maps; Newcastle is Peru."

    গানটা তখনকার নর্দাম্বারল্যান্ড অঞ্চলের উন্নতি আর সম্পদের কথা বোঝাত - অ্যাজটেক আর মায়ার পেরুর সাথে তুলনা করে। সেই যখন কয়লাখনি আর জাহাজ শিল্পের দৌলতে নিউক্যাসল আর সান্ডারল্যান্ড আগেকার *অসভ্য* আর *পশ্চাৎপর* দিন থেকে বেরিয়ে নতুনভাবে এগোচ্ছে। "The growth of the coal industry since 1560 had had a profound impact; a rural world of corn-laden mules and cottage collieries had been transformed into England's first industrial landscape, dominated by coal-filled wagons, pit-heads, and the great wharfs of the Tyne and Wear. Newcastle and Sunderland had grown into major centres surrounded by prospering agricultural hinterlands aided by the recent enclosure of fields. Newcastle was England's third largest city, with a population of 12,000 in 1660, and had been described in 1633 by William Brereton - widely travelled in Britain and the Low Countries - as 'beyond all compare the fairest and richest town in England, inferior for wealth and building to no city save London and Bristol'. North-east England was anything but a backwater, and for some, Newcastle was a place of fine living, wining and dining: a true capital of culture." [Cattle to Claret: Scottish economic influence in North-East England, 1660-1750 - Mathew Greenhall]

    আর এই ২০০৮-এ এই উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ড একটা এলিয়েন টেরিটরি - রুগ্ন শিল্পাঞ্চল, ধোঁয়াটে আকাশ - দক্ষিণ ইংল্যান্ডের স্বচ্ছল কক্‌নি সম্প্রদায়ের কাছে পশ্চাৎপর, দূষিত ব্যাকওয়াটার। গার্ডিয়ানে স্টুয়ার্ট জেফরিজ লেখেন - "There is something different, not just about Newcastle and its football club, but about the north-east. Newcastle's like Liverpool - only more so - and nothing in the rest of England quite prepares you for it."

    দক্ষিণের নাক সিঁটকোনোতে অভ্যস্ত এখানকার লোকে নিজেদের অঞ্চল আর তার ইতিহাস নিয়ে অসম্ভব গর্বিত - এই অঞ্চলটা আলাদা, কারণ এখানকার লোকে মনে করে এটা আলাদা - "pride in immutability and apartness are Geordie sentiments" - জর্ডিরা এভাবেই ভাবতে ভালোবাসে। আর এই ভাবনা থেকে তৈরী হয় একটা সলিডারিটির প্ল্যাটফর্ম, অসম্ভব গভীর ফেলো-ফিলিং - যেটা শুধু ফুটবল ক্লাব নয়, এই অঞ্চলের যে কোনো কিছু ঘিরেই গড়ে ওঠে, উদাহরণ *নর্দার্ন রক্‌*। নর্দার্ন রক্‌ যখন মুখ থুবড়ে পড়লো, আঞ্চলিক খবরের কাগজ নিউক্যাসল ক্রনিকলে একটা অ্যাপীল বেরিয়েছিলো - ব্যাঙ্কটাকে বাঁচানোর জন্যে - "In the past 10 years 1,520 organisations have received £175m from the Northern Rock Foundation. NOW IT'S YOUR TURN TO HELP" - কোনো আর্থিক সংস্থা সম্পর্কে এই মনোভাব আর ক্তোহাও দেখা সম্ভব নয়, কেউ চিন্তাও করবে না। আর এই অ্যাপীলে লোকে সাড়াও দিয়েছিলো - লণ্ডনে যখন লোকে নর্দার্ন রকের কাউন্টারে লাইন দিয়েছে টাকা তুলে নেবার জন্যে, এই অদ্ভুত জায়গাটাতে লোকে যেচে এসে নতুন অ্যাকাউন্ট খুলেছে।

    পাগলের আরেক নাম জর্ডি।

    ************

    পাগলের আরেক নাম বাঙালীও। আবেগপ্রবণ হুজুগে বাঙালী - এদের দেখতে দেখতে আমিও প্রায়-জর্ডি এক বাঙালী হয়ে উঠি। এই শেষ প্রেমটা তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে বসে পাঁজরের ভিতরটায়। ওপরের লেখাটার কয়েক সপ্তাহ পরেই নিউক্যাসল ছেড়ে ফিরে আসি - সঙ্গে নিয়ে আসি আমার নিজের আর আমার ছেলের সাদা-কালো জার্সি, অনেক ছবি, লিট্‌ল ব্লু-তে লাগানো নিউক্যাসল ইউনাইটেডের একটা এমব্লেম - যেটা এখন আমাদের *ফ্যাট গ্রে*-তে লাগানো আছে। কলকাতার প্রেমে পড়েছিলাম, দিল্লীরও - কিন্তু কোনো শহরকে ছেড়ে আসার সময়ে গলার কাছে বাষ্প জমে উঠেছিলো এই একবারই। প্লেনটা যখন মাটি ছেড়ে উঠেছিলো তখন শেষবার শহরটাকে দেখে একটা কথাই বলেছিলাম - একদিন ঠিক আসবো তোমার সঙ্গে দেখা করতে। আসবোই।

    তার পর নিউক্যাসল ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লীগ থেকে নেমে গেছিলো এক বছরের জন্যে - ভিলা পার্কে শেষ খেলায় হেরে গিয়ে। কলকাতায় বসে থেকেও আমি টের পেয়েছিলাম সেদিন ভিলা সমর্থকদের হাতে অপমানিত হয়ে গোটা শহরটা কেঁদেছিলো। পরের বছর চ্যাম্পিয়ন হয়ে আবার প্রিমিয়ার লীগে উঠে আসার খুশী আমি এখানে বসে দেখেছিলাম। প্রিমিয়ার লীগে ফিরে আসার পর সেন্ট জেম্‌স পার্কে যখন ভিলাকে ছয় গোলে হারালো এই সাদা-কালো ছেলেগুলো সেদিন দু বছর আগের অপমানের বদলা আমিও নিয়েছিলাম ওদের সঙ্গে মিশে গিয়ে।

    আমি জানি একদিন আবার দেখা হবেই এই শহরটার সঙ্গে। হয়তো ওয়েমব্লিতে, হয়তো সেন্ট জেম্‌স পার্কে - যেদিন নিউক্যাসলের হাতে আবার একটা ট্রফি উঠবে। শহরের ইতিকথা শুধু সেদিনই শেষ হবে।
  • Prongs | 131.241.218.132 | ০১ আগস্ট ২০১২ ০৯:৪৮563994
  • শহর থেকে শহরে - ১৪
    ============

    রোজবেরি টপিং, ফাটা প্যান্ট এবং মাউন্টেন রেসকিউ
    ===========================

    ২০০৬ সালের জুলাইয়ের এক রবিবার নিউক্যাসল জার্নালে হয়তো আরেকটু হলে হেডলাইন হত - "মাউন্টেন রেসকিউ সেভস কাপল ফ্রম রোজবেরি স্লোপ" বা "আ ডেয়ারিং রেসকিউ বাই দ্য মাউন্টেন রেসকিউ টীম"...

    গল্পটা বলি শোন।

    তখন প্রতি সপ্তাহেই কোথাও না কোথাও যাই - বয়স হচ্ছে, ওজন বাড়ছে - তাই হাঁটতে যাই, বেড়ানোও হয়, সাথে একটু গা-ঘামানো - এই করে যদি ওজনটা কমে। ব্রিটিশরা হাঁটতে খুব ভালোবাসে, তাই হাঁটার র‌্যুট নিয়ে প্রচুর ওয়েবসাইট আছে, ওয়াকিং র‌্যুটগুলো খুব ভালো করে মেইনটেইন করা হয়, রীতিমতন ভালো ডিরেকশন দেওয়া...তো সেই রকম এক সাইট থেকে রোজবেরি টপিং-এর খবর যোগাড় হয়েছিলো। মিড্‌লসবরোর কাছে নর্থ ইয়র্ক মুর-এর একদম শুরুর দিকে, মাইল চারেকের পথ, ক্যাটেগরি "strenuous" (যদৈ সেটা আগে খেয়াল করে দেখা হয়নি) - হেঁটে একটা পাহাড়ের মাথায় ওঠা এবং নামা। পথটা একটা বনের মধে দ্যিয়ে গেছে, আশেপাশের দৃশ্য অতীব সুন্দর - এরকমই দাবী ছিলো লিফলেটে। তাই গেলুম। পার্কিং লটে লিট্‌ল ব্লু-কে দাঁড় করি একটু খেয়ে হাঁটার শুরু।

    কিছুদূর গিয়ে দেখলুম রাস্তা দু ভাগ হয়েছে, একটা পথ বাঁদিকে চলে গেছে - দিব্যি সুন্দর ফুটপাথ, আরেকটা সিধে ওপরদিকে উঠেছে, ভালো চড়াই (সেটা কতদূর ভালো তা ক্রমশঃ প্রকাশ্য)। সিধে রাস্তায় দেখলাম বেশ ওপরে জনা দুই লোক উঠছে, আমরাও ভাবলুম এটাতেই যাই। একবার সাবধানবাণী উচ্চারণ করেছিলুম বটে - একটা পুঁচকে ছেলে আছে, ফুটপাথ ধরে গেলে ভালো হয় না...কিন্তু...তো যাই হোক, এই ভোটের ফল তো জানা - ভোট নয়, ভেটো - চড়াইটা ধরাই ঠিক হল।

    চাড়িতে তিনটে ধাপ - প্রথম ধাপটা ছোট - ফুট পঞ্চাশেক হবে - খুব বেশি খাড়া নয়, কিন্তু ঝুড়ো মাটি। তার মধ্যে যে পাথর-টাথরগুলো আটকে আছে সেই ধরে প্রথম ধাপের মাথা অবধি তো পৌঁছনো গেলো। সেখানে আবার মোলাকাত সেই আগের ছেড়ে আসা ফুটপাথের সাথে - চড়াইয়ে উঠছি - কাজেই সেটাকেইগ নোর মোডে ফেলে দেওয়া হল। এবার দ্বিতীয় ধাপ। প্রথম কুড়ি তিরিশ ফুট অবধি ঠিকঠাক, কিন্তু হাত ব্যবহার না করে শুধু হেঁটে ওঠা অসম্ভব। আমি সুমনাকে বল্লুম - তুমি আর ঋক আগে ওঠ, আমি পিছনে আসছি - কেউ গড়ালে ধরতে পারবো। কিন্তু সে প্ল্যান খাটলো না, ঋকবাবু মায়ের স`ঙ্গে যাবেন না, এবং তাঁর প্রথম আপত্তি হল হাতে মাটি লাগবে। একটু চেষ্টা-চরিত্তির করতে করতেই তিনি একবার ধপাস্‌ হয়ে ভ্যাঁ জুড়লেন - অগত্যা আমার হাত ধরে তাঁর ওঠা শুরু হল। আমি এক হাতে ঋককে একটু করে তুলছি, তারপর নিজে উঠছি, পিঠে ব্যাগ, পিছনে সুমনা আসছে। এবার যত উঠি, তত দেখি স্লোপটা খাড়া হচ্ছে। সামনের প্রায় শ তিনেক ফুট বেশ খাড়া - আমাকেও হাত-পা ব্যবহার করে রীতিমতন স্ক্র্যাম্বল করে উঠতে হচ্ছে, আর ঋককে নিয়ে ওঠা ক্রমশঃ আরো মুশকিল হ্ছ্হে। কিন্তু ততক্ষণে প্রায় পঞ্চাশ-ষাট ফুট উঠে এসেছি, ওই পথে নামা আরোই কঠিন। আমি আগে পুরুলিয়ার পাহাড়ে চড়েছি দড়িদড়া নিয়ে - আমি পারলেও ঋককে নামাতে পারবো না, আর সুমনা বলেই দিলো ও নামবে না, মানে পারবে না। সুতরাং উঠে যাওয়াই একমাত্র উপায়।

    প্রায় মাঝামাঝি যখন পৌঁছেছি, তখন আরেকটা কোনোক্রমে দাঁড়ানো বা বসার জায়গা, সেখানে ঋককে বসিয়ে ভালো করে ওপর-নীচ খতিয়ে দেখলুম। সামনে আরো অন্ততঃ দেড়শো ফুট, প্রায় ন্যাড়া, মাটিতে অল্প ঘাস, কিন্তু সে ঘাস ধরে ওঠার চেষ্টা করলে ঘাস উপড়ে আসবে। আগে অন্যান্য লোক গেছে, এবং ভেজা অবস্থায় গেছে নির্ঘাৎ - তাই কিছু খোঁদল রয়েছে - জুতোর খোঁদল। ওগুলো ধরে ওঠা ছাড়া কোনো গতিক নেই। আরেকবার বহ্বালুম নেমে যাবো কিনা - কিন্তু ততক্ষণে সেও অসম্ভব হয়ে গেছে। সুমনা যখন ওই ছোট ধাপের কাছাকাছি পৌঁছেছে তখন আমি ঋককে নিয়ে আবার উঠতে শুরু করলুম - এবার আর কোথাও দাঁড়ানোর উপায় নেই। নীচে নেমে সুমনাকে যে টেনে তুলবো তাও সম্ভব নয়। এক হাতে ঋককে একটু করে তুলছি, এবার ওকেও বাধ্য হয়ে হাত দিয়ে খামচে উঠতে হচ্ছে। একটা জুতোর গর্তে ঋক যখন পা রাখছে ওকে পিছন থেকে ধরে আমি নিজে এক ধাপ উঠছি। মাঝে মাঝেই ঋক আমার ঘাড়ে ওঠার জন্যে বায়না করছে - ঘাড়ে উঠবে কী - পিঠে বাঁধা গেলে হয়তো ওঠা সম্ভব। হঠাৎ ">pharhaa`t<" - আমার সাধের আউটডোর ট্রাউজারের পায়ের ভ্তিঅরের দিকে যে সেলাই থাকে সেখানে ফাটলো। প্রথমে ছোট। তারপর কে ধাপ উঠছি, আরেকটু ">pharhaa`t<" - ঋকের কান্না, ওই ফড়াৎ ফড়াৎ, আর সুমনার "এবার কোনদিকে" শুনতে শুনতে আর ঋককে কোনোমতে ঠেলতে ঠেলতে দ্বিতীয় ধাপের মাথায় তুলে ধপ্‌ করে বসে পড়লুম। ঋককে একটা পাথরের মাথায় বসিয়ে নীচের দিকে তাকিয়ে দেখে চমৎকৃত - ওখান থেকে পড়লে আর দেখতে হবে না, গড়গড়িয়ে সোজা নীচে, তাতে মরণ না হলেও হাসপাতালে গমন অবশ্যম্ভাবী। দ্বিতীয় চমক নিজেকে দেখে - বেল্টের ঠিক নীচ থেকে হাঁটুর তলা অবধি - প্যান্টটা পুরো পতাকা হয়ে ঝুলছে, পুলিশে চাইলে ইনডিসেন্ট এক্সপোজারের জন্যে হাজতে ভরতে পারে। একদম কেলেংকারী কেস নয় যদিও, তবুও...

    এবার তৃতীয় সমস্যা হল সুমনাকে দেখতে পাচ্ছি না। আমরা যেখানে দাঁড়িয়ে, তার নীচের বেশ কিছুটা অতি খাড়া, তার নীচে খানকয়েক ঝোপঝাড়, কিন্তু সুমনা নেই। হাঁক পাড়লুম - ঝোপের আড়াল থেকে সাড়া এলো। সুমনা ওখানে আটকে আছে, আর এগোতে পারছে না। অনেক হাঁকডাকের পর মাথাটা বেরলো, তারপর বাকিটা - ওখানে চারটে খোঁদলে হাত-পা আটকে সুমনা প্রায় ত্রিশঙ্কু। বেশ কিছুটা মেহনত করে ফুট কয়েক উঠলো, কিন্তু এমন একটা জায়গায় চলে গেছে যেখান থেকে ধরে ওঠার মতন কিছু নেই। আমি যে গর্তগুলো বেয়ে উঠেছি সেগুলো থেকে বেশ কিছুটা ডানদিকে সরে গেছে। এবার আমি যত বলি গর্তগুলোর কাছে আসতে সে আর পারে না। বলে - আমি আর উঠতে পারবো না, নামতেও পারবো না, তুমি এমার্জেন্সী ডায়াল করো। মুশকিল হল আমি ঋককে বসিয়ে যেতেও পারছি না - কারণ আমি নামলেই তিনি ধারে এসে পর্যবেক্ষণ শুরু করবেন - তাহলে পড়ে যাবার প্রভূত সম্ভাবনা। দড়িও নেই যে দড়ি নামিয়ে দেবো...আর অন্য কেউ সেদিক দিয়ে আসছেও না যে সাহায্য করবে। গতিক না দেখে করলুম ৯৯৯ - তারা বললে "ফায়ার, অ্যামবুলেন্স না পুলিশ" - আমি বললুম "মাউন্টেন রেসকিউ" - তো সেখানে ট্রান্সফার করে দিলে। ওদের পুরো অবস্থাটা বললুম - যে আমার বউ রোজবেরি টপিং-এর স্লোপে ঝুলছে, উঠতেও পারছে না, নামাও সম্ভব নয়, বাঁচাও। সে কত প্রশ্ন - তোমার নাম কী, বউয়ের নাম কী, বয়স কত, তোমার সাথে আর কেউ আছে কিনা, বাচ্চা-টাচ্ছা - বললুম হ্যাঁ, একটা ছোট ছেলে আছে, কিন্তু সে সেফ...তখন বললে হ্যাঙ্গ অন, আমরা আসছি।

    এর ঠিক পরেই দেখি একটা অল্পবয়সী ছেলে আর তার বাবা ওই পথেই উঠছে। ছেলেটা রীতিমতন মাউন্টেনিয়ারিং জানে, চটপট উঠছে, তার বাবাও তাই। ওরা পাশ দিয়ে আসার সময় সুমনাকে বললো যে ওরা যেখান দিয়ে যাচ্ছে, সেখান দিয়ে আসতে। ছেলেটার বাবা বেশ ভারিক্কী চেহারার - ওকে দেখে সুমনার মনে হয় ভরসা কিছুটা বাড়লো, হাঁচোড়-পাঁচড় করে মাথা অবধি চলে আসার পর আমি টেনে নিলুম। সাথে সাথেই মাউন্টেন রেসকিউয়ের ফোন - যে আমরা রওনা দিয়েছি, তোমরা ঠিক আছো কি? আমি ববলুম যে আরেকটা টীম আসছিলো, তারা সাহায্য করেছে, আমার বউ উঠে এসেছে...

    এর পর আর গপ্পো নেই। আমার প্যান্ট তো ওইরকম পতাকা হয়ে রয়েছে, ব্যাগ থেকে ঋকের একটা স্পেয়ার জামা নিয়ে পায়ের ফাঁক দিয়ে বাঁধলুম, হাঁটুর কাছে নিজের রুমালটা বাঁধলুম, সুমনার কাছে সেফটিপিন ছিলো - সেই দিয়ে নিজের জামাটা প্যান্টের সঙ্গে আটকে দিলুম - যাতে কোনোরকমে রেখেঢেকে রাখা যায়। কিন্তু মুশকিল হল - এক পা করে হাঁটছি, আর ফুট্‌ করে আরেকটু ছিঁড়ছে...দেখলুম ওই করে আর পুরো পাহাড়ের মাথা অবধি যাওয়া যাবে না, তাহলে আর প্যান্টটাই থাকবে না...অগত্যা নেমে এলুম, এবার সেই সেই ফেলে আসা ফুটপাথ দিয়েই... ততক্ষণে সুমনার প্যানিক তৈরী হয়ে গেছে - রাস্তটা মাঝরি স্লোপের - কিন্তু তাতেও ভয়...ধরে ধরে নামলো।

    সেদিন কয়েকটা জিনিস শিখেছিলুম।

    (১) আউটডোর ট্রাউজার কক্ষণো সেল-এ কিনতে নেই।
    (২) দড়ি আর হুক ছাড়া এমনভাবে যেতে নেই।
    (৩) ফুটপাথ ছেড়ে শর্টকাট ধরতে নেই।
  • পাই | 82.83.90.116 | ০১ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫০563996
  • তখন কি চারপেয়ে ছাড়া অচল ছিল? এখন কিন্তু মোটামুটি চলে যায়। আমরা প্রায় বছর দুয়েক বিন-গাড়ি কাটিয়েছি।
    সিলভার স্প্রিং এখানকার জ্যান্ত জায়াগাগুলোর মধ্যে একটা। অন্যগুলো তো আরও মরা মরা ঃ)
  • Prongs | 131.241.218.132 | ০১ আগস্ট ২০১২ ০৯:৫১563997
  • আপাতত এই। গুচ-র কিছু লেখা, কিছুটা নতুন করে লেখা - আমার ব্যাক টু স্কোয়্যার ওয়ানের গল্প।
  • pipi | 139.74.191.52 | ০২ আগস্ট ২০১২ ০০:২৫563998
  • বাহ খুব, খুব ভাল লাগল। কিন্তু এখানেই শেষ করে দিলে কেন? কলকাতার কথা, তোমার সেই প্রথম শহরে এত বছর পর ফিরে এসে বিদেশী রোদচশমার আড়াল থেকে আজকের শহরটা কেমন লাগছে সেটা লিখবে না? আফটার অল, তোমার ছেলেবেলার সেই শহরটা তো হারিয়েই গেছে প্রায় - এটা তো এখন নতুন আরেকটা শহর বললেও হয়। আজকের এই শহরের কথাও একটু লিখলে পারো।
  • Prongs | 131.241.218.132 | ০২ আগস্ট ২০১২ ০৯:৩৬563999
  • পিপি - ইচ্ছে করে না। যে অ্যাটাচমেন্টটা এক সময় ছিলো সেটা খুব খারাপভাবে কেটে গেছে। এখন শুধু অ্যাডজাস্টমেন্টের পালা। সেসব নিয়ে কোনো আবেগ নেই।
  • siki | 12.50.23.33 | ০২ আগস্ট ২০১২ ১১:১১564000
  • ওয়াও! ওয়াও!! ওয়াও!!

    আজ সকালটা সুন্দর বানিয়ে দিল অজ্জিত। ইয়েস, আমার সেই দিল্লি জায়গায় জায়গায় এখনও ঐ রকমই আছে। অনেক বদলেছে সেদিনের থেকে দিল্লি, কিন্তু একশোটা মন্দ লোকের সঙ্গে পাঁচটা এই রকমের দিলদরিয়া মানুষ আজও আছে।

    দারুণ লাগল, একসাথে পুরোটা পড়ে ফেললাম।
  • শ্রাবণী | 127.239.15.27 | ০২ আগস্ট ২০১২ ১২:১৩564001
  • দিল্লী নিয়ে আর একটু লিখতে পারতে! দিল্লী তো দিলওয়ালোঁ কী নগরী.......মানুষের মত শহর জায়গা এগুলোও ভালোমন্দ মিশিয়ে, এটা আমাদের ওপর আমরা কতটা কী নিতে পারি!
  • siki | 12.50.47.44 | ০২ আগস্ট ২০১২ ১২:১৮564002
  • স্পেশালি এই বাড়িওয়ালা সর্দার কমিউনিটি।

    মানুষের ওপর থেকে তখন বিশ্বাস হারানো সবে শুরু করেছি, এমন সময়ে একদিন বাড়িওয়ালা শেঠিজি এসে ... নাহ থাক। পরে লিখব।
  • Prongs | 131.241.218.132 | ০২ আগস্ট ২০১২ ১৩:১৭564004
  • খুব বেশি বড় করতে ইচ্ছে করলো না। ইস্কুলে বাংলা পরীক্ষাতেও একই প্রবলেম হত;-)

    টুরিং অ্যাওয়ার্ডটা পেয়ে নিই, নিদেনপক্ষে ডিস্টিঙ্গুইশড সাইনটিস্ট হলেও হবে - নামধাম হবে, তখন আত্মজীবনী লিখবো - তখন আরো ফেনিয়ে লিখবো।
  • de | 190.149.51.69 | ০২ আগস্ট ২০১২ ১৪:৪০564005
  • এক্ষুনি পড়লাম -- খুব ভালো লাগলো!
  • b | 135.20.82.164 | ০২ আগস্ট ২০১২ ১৬:২০564006
  • দারুণ।
  • kd | 69.93.206.4 | ০২ আগস্ট ২০১২ ১৮:৩২564007
  • ভাল্লাগলো, খুব ভাল্লাগলো। পুরোটাই ভালো লেগেছে তবে দিল্লি সেকশনটা আলাদা করে - স্পেশালি যখন আমার পাড়া নিয়ে লিখছে (শমীকও লিখেছে) - কেমন যেন গর্ববোধ করছিলুম ("গর্ব" হয়তো ঠিক কথা নয় কিন্তু কি করবো বাংলায় উইক - ঠিকঠাক শব্দ ভেবে পেলুম না ফিলিংটাকে বোঝাতে গিয়ে)।

    নিজের শহরের টীমের জন্যে পাগল আর একটা শহরের কথা মনে পড়িয়ে দিলো - উইস্কন্সিনের গ্রীন বে। এককালের চাম্পিয়ন টীম প্যাকার্স যখন বেশ কিছু বছর ধরে গাড্ডায়, তখনও প্রতি বছর সীজন সোল্ড-আউট - হাফ সীজন তো মাঠে দশের তলায় টেম্প - বিলো জিরোও বেশ কয়েক দিন। একবার তো প্লেয়ার স্ট্রাইকে কয়েক হপ্তা খেলা হোলো না, তাতেও মাঠ কিন্তু ভর্তি - রোব্বারের বিকেল অন্য কোন ভাবে কাটানোর কথা যে ছোটবেলা থেকেই শেখেনি ওরা।
  • sp | 217.239.86.106 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২০:০০564008
  • দারুন লাগলো পুরো সিরিজটাই !
  • Abhyu | 107.81.108.14 | ০২ আগস্ট ২০১২ ২০:৩৯564009
  • খুব খুব ভালো লিখেছো অরিজিতদা।
  • nina | 78.34.167.250 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ০৭:৪৮564010
  • ভারি সুন্দর লাগল। বড্ড ঝপ করে শেষ হয়ে গেল------সত্যি এই সব পেয়েছের দেশে ঐ গুলাবো-বিবি (pink slip)ও সঙ্গে লেপ্টে থাকে !
  • Prongs | 24.99.129.2 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১১:৩৩564011
  • এখানেই শেষ করা ছাড়া উপায় নেই, কারণ আর কোনো শহর, কখনোই নিউক্যাসলের জায়গা নিতে পারবে না। কেন বোঝানো সম্ভব নয়, চেষ্টাও করবো না।

    সেদিন প্যারিসের হোটেল খুঁজতে খুঁজতে আবিষ্কার করলাম যে গুগুল ম্যাপের ডানদিকের কোণে যে মানুষের আইকন থাকে সেটাকে টেনে ম্যাপের মধ্যে নামিয়ে দিলে একটা প্রায় রিয়েল টাইম থ্রী-ডি ভিউ পাওয়া যায়। সেটা বের করার পর কয়েকদিন ধরে নিউক্যাসলের সেই ১০৪ ওয়ারউইক স্ট্রীট, সেখান থেকে একটু এগিয়ে যে পার্কে ঋককে নিয়ে যেতাম দোলনা চড়ানোর জন্যে, বা হন্ডার যে ডিলারশিপ থেকে লিটল ব্লু এসেছিলো, ইউনিভার্সিটি যাওয়ার রাস্তা, সিডের কর্নার শপ, বাসস্টপ, ২৪৫ হেল্মস্লে রোড, ঠিক পাশে সেন্ট ক্যাথেরিন্স - ঋকের প্রথম স্কুল, তার উল্টোদিকের ওল্ড এজ হোমটা - যেখানকার বুড়িগুলো রোজ ঋকের গাল টিপে দিত, ১০ স্প্রিংব্যাঙ্ক রোড, রয়্যাল ভিক্টোরিয়া ইনফার্মারি - যেখানে ঋতি জন্মালো - সেই সব রাস্তাগুলো ঘুরে বেরিয়েছি।

    হয়তো আর কখনো যাওয়া হবে না, হয়তো হবে - কে জানে। তবে ওই পুরনো ধূসর ডেরেলিক্ট শহরটাই শহরের ইতিকথার শেষ বিন্দু।
  • সিকি | 96.98.44.250 | ০৩ আগস্ট ২০১২ ১৫:২৭564012
  • কাব্লিদা, সেই জন্যেই এবারে লিখলাম, "আমার দিল্লি"।

    জড়িয়ে গেছি শহরটার সঙ্গে। মাত্র তিরিশ পার্সেন্ট চিনেছি, কিন্তু জড়িয়ে গেছি।
  • কৃশানু | 226.113.128.239 | ২৯ আগস্ট ২০১২ ১৯:৪৯564015
  • Prongs আপনি ভেরিজোন এ ছিলেন? আম্মো ছিলুম। অবিশ্যি মাদ্রাজ এ, অধুনা চেন্নাই। আমার ওখানকার বন্ধুরা মাদ্রাজ বলতেই পছন্দ করত, সবাই নয়। আমার গল্প কল্যানী, মাদ্রাজ আর এই কলকেতা সহর নিয়েই।

    প্রথমে কল্যানী-র কথাই বলি। কত বলব আর কি বলব। ক্লাস সেভেন এ ওঠার আগেই চার-চারটে ভাড়াবাড়ি পেরিয়ে factory -বন্ধ বাবা একটা ঘর করতে পারল, কোন জাদু-মন্ত্রে তা আমি জানি না। কিন্তু প্রথমে আমার ছিলাম housing estate এ। তখন যৌথ পরিবার।বাবা বড় ভাই, আমি বাড়ির বারো ছেলে।কাকা দের তখন বিয়ে হয় নি। নিচেই থাকত বড় পিসি আর তাদের তিন ছেলে মেয়ে, সবাই আমার চেয়ে বড়। আমার তখন রাজা-র মতন খাতির। খুব শান্ত ছিলাম শুনেছি, আমার সেজ মাসি নাকি বলেছিল - মনুর পোলাডা হইসে একখান কাদার তাল। আর housing estate এর ওই বাড়িতে আমি ছিলাম সব চেয়ে ছোট-ও বটে। ন-কাকু tuition পড়াতে গেলে আমাকে নিয়ে যেত, বিস্কুট পেতাম হাতে। আর ছিল মেজদা-র (সবার মেজদা) দোকানের বান রুটি। একটা তিন নম্বর সাইজ এর ফুটবল নিয়ে লাফালাফি করতুম। আর দিদি রা (পাড়াতুত আর পিসতুতো) আরো অনেক মেয়েদের সাথে খেলত চু-কিত-কিত। আমিও খেলেছি খুব। তবে সব চেয়ে প্রিয় ছিল গনেশ-জেঠুর নতুন সোফা তে উঠে লাফানো।কান-মলাও খেতুম অল্প-বিস্তর, তবে রূপাদিদি কিছু বলত না। তাই আমার বয়সী কেউ এলেই তাকে লাফাতে নিয়ে যেতুম সেই wonderland এ। আর রবি জেঠু বানিয়ে দিত কাঠের তলওয়ার, রাংতায় মোড়া, চক চক করত। মনে আছে শীতএর দুপুরে মা-ঠাকুমা-পিসিরা সবাই বোরোলিন মেখে রোদে বসে থাকত। সেই ছিল স্কিন-চর্চা। একটু বেশি কালো হতে হতেই বেলা বয়ে যেত।জানলা-এ ছিল একটা বোলতার চাক। আর অন্য জানলা-এ? একটা গাছ। একটাই গাছ, আম বট আর অসথ্হ মিশিয়ে। তিন-তলা-র ঘর থেকেই দেখা যেত ইউনিভার্সিটি। নীল নীল রং এর বাস ও ছিল তার। এখন আর নেই। সেই বাস দেখে আমরা বুঝতুম পাঁচটা বাজলো। কাকা-রা ফিরবে বলে মা আটা মাখতে বসত। factory-র ভো, ফুটবল ফেরত ছেলে, পিঙ্কি-রুমি-র 'তুমি কেমন করে গান কারো হে' আর লোডশেডিং এর মধ্যে দিয়ে সন্ধে নামত। স্মৃতি-তে খালি সন্ধেবেলা গুলো-ই আসে। কেন কে জানে।
  • তাতিন | 132.252.251.244 | ২৯ আগস্ট ২০১২ ২০:০৯564016
  • ামি গত দশবছর শুধু গ্রাম থেকে গ্রামে গেছি
    কানপুর থেকে ব্যাটন রুজ
    আবার ব্যাটন রুজ থেকে পাটনা

    সব-ই আবার গোবলয়
  • Ben Arfa (ex Prongs) | 131.241.218.132 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ০৯:৪৯564017
  • হ্যাঁ, ভেরাইজনে। তবে ঠিকেদার হিসেবে।
  • b | 135.20.82.164 | ৩০ আগস্ট ২০১২ ১০:৪১564018
  • পাটনা গ্রাম? প্রবল প্রতিবাদ করলাম, (এক্স) বিহারি হিশেবে।
  • r2h | 78.46.93.195 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০৯:২৭564019
  • অরিজিৎদার তোলা কলকাতার ছবি দেখতে দেখতে মনে পড়লো, টালিগঞ্জ সিটিসি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে যে ভদ্রলোক হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের গাওয়া গান গানগুলি গাইতেন তাঁর কথা।
  • hu | 34.13.11.220 | ০১ নভেম্বর ২০১২ ১৫:০০564020
  • 'আজ এই ঘরে এলায়ে পড়েছে ছবি
    এমন ছিল না আষাঢ় শেষের বেলা'
    আষাঢ় শেষের বেলায় ছিল আকাশভরা রামধনু, ড্রাইভওয়ে জুড়ে থাকা অজস্র শীতার্ত বেরি। হলুদ আলোমাখা পার্কিংলটে মরা পাতারা উড়ে বেড়াচ্ছিল। খিড়কি দুয়োরের লোহার সিঁড়িটিতে বসে মনে হচ্ছিল এই অস্ত মুহূর্তটিকে আরো বহুক্ষণ ধরে রাখি।
    কেউ আমায় কিছু ফুল দিয়েছিল। অঞ্জলীভরা শুকনো গার্বেরা ছড়িয়ে দিলাম বাতিস্তম্ভের নিচে, বেরি গাছের আনাচে-কানাচে। আকাশধোয়া ভেজা বাতাস এসে তাদের কোথায় নিয়ে গেল - আর খুঁজে পেলাম না। হয়তো ফিরেছিল দিনশেষের নরম আলোয়। হয়তো তুষারকুচি হয়ে ছড়িয়ে ছিল রাশি রাশি ভ্রাম্যমান আনন্দকণায়।
    একাকী শহর, আমায় ছুঁয়ে থাকো। যেমন পশমে জমানো থাকে ওম। এই বিষন্ন সিঁড়ি; নিয়নভেজা রাস্তা অন্ধকারে হারিয়েছে; ঝরা পাতা স্তূপ হয়ে আছে পথের পাশে - এই জাদুকরী রাতে বড় সাধ হয় - নিজেকে টুকরো করে দিই তোমার হাতে।
  • dd | 125.187.50.199 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০০:০৩564021
  • ...............ফিরে দ্যাখা কোলকাতারে

    এক দশক। আবার কোলকেতায় আসলে বাসিন্দারে হামলে পরে, "ক্যামোন দ্যাখেন ? শহরটাকে?" তারা জিগায়।

    আমি খুব অদল বদল টের পাই না। ঐ সেক্টর ফাইব আমি দেখে যাই নি। এবারে দেখলে খুসী হই। ঐ পুওর ম্যান'স সিংগাপুর টিংগাপুর গোছের। রাস্তায় ত্রিফলা আলোর ডিজাইন ভাল্লাগে। পুরোনো পাড়াগুলোর শ্যাওলা ধরা হাড় পাঁজর বাড় করা হতশ্রী বাড়ীগুলো ভেঙে নতুন বাড়ী হচ্ছে। নতুন হাম্প,ফ্লাই ওভার। রাস্তায় নতুন ব্র্যান্ডের দোকান।এই সব হবারই কথা।

    মেট্রোর এতো রমরমা আগে দেখি নি। ঐ গড়িয়া থেকে দমদমা। এটা নতুন। বাসে কম ভীড়,আপিস টাইমেও ঠেলে ঠুলে ওঠা যায়।

    এতো বাহিরের কথা। অন্তরেও বদলেছে বোধয়।শহর বড়ো বুড়িয়ে গেছে। সি পি এম থেকে মমতা। কোথাও আশা নেই। আত্মীয় স্বজন বান্ধবেরা সবাই হায় হায় করে। ঘোলাটে চোখ। ছেলে মেয়েরা সব "বাইরে"।

    সল্ট লেকে দুটো নাটক দেখলাম। দেবশংকরের "যদিদং" আর নান্দীকারের "অজ্ঞাতবাস"। হল ভর্ত্তি দর্শকেরা ব্যাবাক সিনিয়র সিটিজেন। তরুনেরা কি আর নাটক দেখে না? না কি এই নগরী আজ শুধুই বিশ্বের বৃহত্তম ওল্ড এজ হোম?

    আমার সন্তান যেনো থাকে পরবাসে।
  • কৃশানু | 213.147.88.10 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০০:০৭564022
  • প্রচুর তরুণ নাটক দ্যাখে। এ কেমন কতা?
  • dd | 125.187.50.199 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০০:১০564023
  • ইহা সত্য কতা। নিজের চোখে দ্যাখা।

    অ্যাতো বুরো (একসাথে)কোনোদিন দেখি নিতো আগে।
  • | 24.97.174.21 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০০:১৪564024
  • সল্লেক তো একটা মস্ত বড় বৃদ্ধাবাস। ওখানে তো বুড়োসুড়ো লোকই পাবেন।
  • dd | 125.187.50.199 | ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ ০০:২২564026
  • তাইলে এই ট্রুথ ইজ সল্লেক স্পেসিফিক? হবে।

    কিন্তু সল্লেকই বা শুধু মুদু হাবড়াদের পীঠস্থান কেং কোরে হোলো?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন