এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শহর থেকে শহরে

    bozo
    অন্যান্য | ০১ এপ্রিল ২০০৬ | ১৭১৩৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • i | 202.128.112.252 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:২৬564003
  • নাইন এ গোপাল ঘোষ লেন, খিদিরপুর-বার্থসার্টিফিকেটে আমার ঠিকানা।
    সেন্ট টমাস স্কুলের উল্টোদিকের সরু গলিতে একচিলতে পুরোনো কলকাতা-গলির মুখে জলিমাসিরা, উল্টোদিকে 'চক্ষুজ্বালা', আর একটু এগোলেই 'কা গোপালি নেপালি, হাতে হাতে ভোজালি' -গোপালিমামা পরবর্তীকালে পাঁচবছরের আমাকে জিগ্যেস কোর্বে তোমরা কংগ্রেস না সি পি এম আর আমি প্রবল ভয়ে ছুট দেবো- ডানদিকের বাড়ীতে মিঠু বাঁশী বাজানো শিখছে আর তার দাদাকে সকালে ঘুম থেকে তোলা হচ্ছে-'প্রবীর, উঠ উঠ, লুচি , বোঁদে খাবি নি?', বাঁয়ে 'মাড়োয়ারী বাড়ী' ফুচকা, ঘুগনি, আচার কিনেই চলে, দোতলায় বাড়ীওয়ালী আর 'দীপু-গুলু' আর দীপুমামার স্কুটার যার নম্বর রায়মশাইএর 'পাঁতিচান'এর কল্যাণে আজও স্মরণে- ড ম ন সি ফো সি ফা অর্থাৎ ডবলিউ এম এন সিক্স ফোর সিক্স ফাইভ। একতলায় আমার দিদা ; মা এ বাড়ী থেকেই পি জি তে যান আমাকে জন্ম দিতে।পিজি থেকে দমদম-আমার বাবার বাড়ী।
  • i | 202.128.112.252 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ১৯:০৬564014
  • আমার ছোটোবেলা দমদম-খিদিরপুর- গড়িয়া-কেন্দ্রিক।

    খিদিরপুরে সেন্ট টমাসের মাঠে সেন্ট টেরেসা স্কুলের স্পোর্টস - কোয়ালিটির কারখানা থেকে রোজ বিকেলে চকোলেট বার-বেলভেডিয়ারের মাঠ-কন্ডেন্সড মিল্কের প্রথম স্বাদ-ডোরাকাটা টুথপেস্টের প্রথম ব্যবহার-শ্যাওলা ধরা অপার রহস্যাবৃত পরিত্যক্ত চৌবাচ্চা-জলে ক্লোরিন।

    আশাপূর্ণা দেবীর বাড়ী পেরিয়ে গড়িয়ায় ঢুকছি-গড়িয়া পার্কের বুদ্ধমন্দির-দক্ষিণ ফাল্গুনীর মাঠ-আমরা মুঠো ক'রে ফড়িং ধরছি, ছাড়ছি-সাউথএন্ড গার্ডেন্সের পুজোয় প্রতিবছর 'আশা ছিল, ভালোবাসা ছিল' আর 'অনুসন্ধানে' অমিতাভ আর রাখীর ডায়ালগ-পদ্মশ্রীতে মৌসুমী-সৌমিত্রের পরিণীতা-প্রথম টিভি দেখা-বাগান ভ'রে অজস্র দোলনচাঁপা।

    দমদমের কথা পরে।
  • Paramita | 84.203.2.145 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ১৯:০৭564025
  • বড় ভলো লাগলো এমন মন খারাপ করা শহরের গল্প পড়ে।
    আমি আদতে পশ্চিমবঙ্গের এক্টা অজানা অচেনা শহর সোনামুখির মেয়ে,কিন্তু জীবনের বেশির ভাগ্‌টাই কেটেছে চেন্নই,ব্যঙ্গলোরে আর এখন ইউরোপ এ। জানি না শেষ কোথায়,তবে আমার জীবনের শুরু টাই সবচেয়ে মধুর,আমার স্বপ্ন মাখা শৈশব , আমার বাবার বাইকে বসে ছোটো দুহাত ধরে শক্ত করে বাবার কোমর জড়িয়ে আব্দার 'আমাকে দামোদর দেখাবে বাবা?'তারপর এক দিন ঠিক দেখেছিলাম , দামোদর,আমদের শহরটার থেকে ১৫ কিমি দুরে,এক মেঘ মেদুর দুপুরে হু হু করে বাবা রাজ্‌দুত ছুটিয়েছিলো,শুধু আমরা দুইজন।আমাদের শহরের ছোট্টো দোকান গুলো পেরিয়ে,বুড়ো শ্যওলা মাখা কলেজ পেরিয়ে,ন্যারো গেজের রেল লাইন পেরিয়ে ,আমরা এক টা হেজে যাওআ নদী , থুড়ি নদ দেখতে গেছিলাম।ফেরার পরে আমার ছোট্টো ভাইটা হা করে গল্প শুনেছিলো দিগন্ত জোড়া ধানমাঠ আর দামোদরের রুপোলী বালির।
    এতো শহর ই তো দেখ্‌লাম কিন্তু আমার পাগল করা ছবির মত শহর সোনামুখি,তার দামোদর নদ আর আমার বাবার সাথে সেই মোহময় দুপুরটা আর ফেরত এলো না।
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ১৯:২১564036
  • সে কি পারমিতা? ডাবলিনে কোথায় বসে আছো?

    বিক্রম

  • bozo | 61.246.17.25 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ২০:২৫564047
  • সব্বাইকে,

    চালিয়ে খেলে যাও। রঙ্গন দা, আরো লেখো। ইন্দ্রানী দি শুরু কর। মিঠু বিটিয়া, লেখা কই? আর এই যে ফিদেল কাস্ত্রো মামু, সিঙ্গুরের কলার গল্প কে লিখবে? ঘেন্‌চু? ভিকি এϾট্র কই? সব উত্তর কলকাতা মেরে দিচ্ছে। একটা দক্ষিনের লেখা আসুক। অরিজিৎ দা চালিয়ে যাও। dri and b, চুপ মেরে গেলে কেন? তনু, কোয়াসার থেকে নেমে এসে এখানে একটা নামাও দেখি। সোমনাথ একটা 'বেদের' যুগের গল্প লিখবে না কি?
    দময়ন্তী দি, ইন্দ্র রায় রোডের গল্প চাই। আর বাপু যে যে আছ সবাই লিখে ফেল। পারমিতা, দামোদরের পরে কি হল? টিনাদি, অন্তত: এক দিস্তা আগে নামাও দেখি।
    *****************************
    thread শুরু করার moral obligations থেকে আমার-ও লেখার কথা।কিন্তু মামুর কোড ভেংচি কাটছে। আমি নিরুপায়।-:(
    *********************************************
    আরেকটা ভাল জিনিষ আমরা পাচ্ছি। একটা তুলনা। ইন্দ্রাণী দি আর রঙ্গন দার চোখে এক-ই সময়ের একই শহরের রূপ।
    আর এই যে দীপ্তেন দাদা, তুমি জমিয়ে ৬০ এর দশকের উত্তরবঙ্গ নিয়ে লেখো দেখি, আমি ৮০ এর দশক এর গল্প টা লিখে দেব।
    ***********************************************
  • Arijit | 128.240.229.3 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ২১:১৯564053
  • চিরকাল মা একটু আপত্তি করতো - বাসরাস্তা থেকে এত দূরে বাড়ি বলে। আমার কিন্তু কখনো খারাপ লাগেনি, বাসের আওয়াজ নেই, গাড়ির আওয়াজ নেই - গরমকালের দুপুরে বড়জোর কাঁধে বাক্স ঝুলিয়ে রঙিন বরফ বিক্রি-করা ফেরিওয়ালার ডাক - "আ-ই-স-কি-রি-ম"। রোজ সকালে উঠে দৌড়দৌড়ি শুরু হত, আটটার মধ্যে বেরোতে হবে, ইস্কুলের বাস আসবে সাড়ে আটটায় - মঙ্গলদার রিক্সা করে রাণীকুঠি যেতে হত। পথে রাণীকুঠির বাড়িটা - শোনা কথা ওটা পুঁটুরাণীর বাড়ি - পুঁটুরাণী অর্থাৎ সাবর্ণ রায়চৌধুরির মেয়ে - আদিগঙ্গা-পারের বিস্তীর্ণ এলাকা সেই মেয়ের বিয়েতে যৌতুক দেওয়া হয়েছিলো - তাই "পুঁটুরাণী" থেকে বদলাতে বদলাতে "পুঁটিয়ারী"। বাড়িটা দেখে মনে হত ভুতের বাড়ি - পরে বড় হয়ে একদিন আঁকার ইস্কুল থেকে ফেরার সময় আমি আর বাপি সাহস করে ঢুকে পড়লুম - পোড়ো বাড়ি, তাও একদম বসবাসহীন নয় - কেউ কেউ ঝুপড়ি বানিয়ে রাস্তার ধারে থাকতো, কেউ ওই বাড়িতে - পোড়ো হলে কি হয়েছে, বাড়ি তো। তাদের পছন্দ হয়নি হঠাৎ করে দুটো উটকো ছোঁড়া ঢুকে পড়াতে...বেরিয়ে এসে এদিক সেদিক ঘুরে আবিস্কার করলুম পুঁটুরাণীর পরে এই বাড়িটার মালিকানা ছিলো "ইস্ট ইন্ডিয়া স্টুডিও"-র - একটা শুকিয়ে যাওয়া ফোয়ারায় তাদের নাম লেখা...

    প্রাইমারী ইস্কুল শেষ করে সেকেণ্ডারী ইস্কুলের সময় বাস ধরতে যেতে হত নেতাজীনগর - আরেকটু কাছে - আর মঙ্গলদার রিক্সা নয় - এবার থেকে হেঁটে। ইস্কুল বাস মিস করলে ধ্যাদ্ধেড়ে ৪১/১ ভরসা - সোজা ইস্কুলের সামনে - আর নইলে অন্য বাস ধরে হাজরা মোড়ে নেমে হন্টন। ক্লাস সিক্সে পড়ি তখন, একদিন গড়িয়াহাটের কাছে ইস্কুলের বাস জবাব দিলো - পকেটে পয়সা নেই, কিন্তু কয়েকজন বন্ধু মিলে টুপ করে একটা এস১৫-এ চড়ে বসলুম - কনডাকটরও বুঝেছিলো ইস্কুলের ছেলে (বাসটাও তো ওখানেই দাঁড়িয়ে, আর ইউনিফর্মটা ছিলো ইউনিক) - অন্য প্যাসেঞ্জারেরা চাঁদা করে আমাদের টিকিট কেটে দিলো। এখন কেউ দেবে? সন্দেহ আছে।

    এর পর থেকেই আমাকে প্রতি মাসের শুরুতে দুটো করে টাকা দিত মা, এরকম ব্যাপার হলে যাতে বাসভাড়াটা দিতে পারি। সেই টাকাগুলো জমাতুম - দুর্গাপূজোর সময়ও অল্প কিছু জমাতুম, কালিপূজোর বাজি না পুড়িয়ে মা'র কাছ থেকে গোটা দশ-পনেরো টাকা নিয়ে জমাতুম - এই করে করে আস্তে আস্তে একটা ক্রিকেট ব্যাট, একটা হকি স্টিক কিনেছিলুম...

    ওই সিক্সেই যখন পড়ি, তখন একদিন দুপুরবেলা সেকেণ্ডারী সেকশনের প্রিফেক্ট এসে বললেন - ইস্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হচ্ছে, খবর এলো ইন্দিরা গান্ধীকে গুলি করা হয়েছে। রাস্তাঘাট বন্ধ, বাস যাবে না, আর বাড়িতে ফোনও নেই যে ফোন করে বলবো...আর বল্লেই বা কে এসে নিয়ে যাবে? অগত্যা আমি, বৌদি (কৌশিক সেন - বারো বছর বেচারিকে লোকে বৌদি বলে ডেকে গেছিলো) আর আসিফ হাঁটা দিলাম। কোন মোড়ে গিয়ে দেখছি বাস জ্বলছে, কোথাও ঝুপড়ি...তার মধ্যেই টুকটুক করে প্রায় দেড় ঘন্টা হেঁটে বাড়ি - মা চমকে উঠলো - তখনো খবরই শোনেনি কেউ।

    দিদি ওইসময় বি ই কলেজে চলে গেছে, বাড়িটা ফাঁকা, মারামারি করার কেউ নেই। সপ্তাহের শেষে বাড়ি আসতো, নানা রকম গল্প হত - ওইসময় দিদি পড়ালো "ইস্পাত"। মাথা বিগরোনোর সেই শুরু। দিদি কলেজে নাটক করতো, গানের গ্রুপে ছিলো - আমি বাড়িতে বসে সেই গণসঙ্গীতগুলো শিখতুম। সল্টলেকে দ্বাদশ পার্টি কংগ্রেসে একটা একজিবিশন হল, দিদিরা মডেল দিলো - তখন কম্পিউটার নিয়ে বাওয়ালি চলছে - দিদিরা কোথায় কেন কম্পিউটারের প্রয়োজন হতে পারে সেই নিয়ে ডেমো দিত। একদিন ডেমোর সময় একজন ধুতি-পাঞ্জাবী পরা, ছোটখাটো কিন্তু টকটকে চেহারার ভদ্রলোক এলেন, মন দিয়ে শুনলেন, এবং প্রচুর প্রশংসা করলেন - টিভিতে মুখ দেখে খুবই চেনা - জ্যোতি বসু। ওইসময়েই মনে হয় মাথায় কোনভাবে ঢুকে গেছিলো কম্পু নিয়ে পড়তে হবে, আর বি ই কলেজেই যেতে হবে:-)

    টেনে পড়ি যখন তখন দিদির বিয়ে হয়ে গেলো (ওই প্রথম নিজে পছন্দ করে বিয়ে দেখার সৌভাগ্য - অবিশ্যি পরে জেনেছি আমার দুই মামাও একই পথের পথিক - তবে তাদের বিয়ের সময় আমি বড়ই ছোট), দিদিরা বণ্ডেল গেটের কাছে একটা বাড়ি ভাড়া নিলো - রাইফেল রেঞ্জ রোড সম্ভবত রাস্তাটার নাম ছিলো। একদিন দিদি ওদের বাড়ি আমাকে নেমন্তন্ন করলো, রান্না করে খাওয়াবে। দিদির রান্না বলতে এতদিন ছিলো শুধু ভাইফোঁটার দিনগুলো। সেদিন আমার খেলা ছিলো, খেলা শেষ করে আমি বালিগঞ্জ ফাঁড়ির কোয়ালিটির সামনে দাঁড়িয়ে আছি - দিদি বা বিমানদা এসে নিয়ে যাবে - কারো পাত্তা নেই। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে আমি রাইফেল রেঞ্জ রোডের দিকে হাঁটা দিলুম...খুঁজে খুঁজে রাস্তাটা বের করে বাড়ির সামনে অবধি গেলুম - কিন্তু ওই বাড়িতে ঢোকার রাস্তাটা দেখতে পেলুম না - বোকার মতন, বাড়ির পাশের গলিটা খেয়ালই করিনি। আসলে টাইব্রেকে সেদিন হেরে গিয়ে মনটাও খারাপ ছিলো। ফের সেই কোয়ালিটির সামনে এসে কিছুক্ষণ দাঁড়ালাম, কাউকে না দেখে বাড়ি। রাত দশটার সময় বাড়ির সামনে একটা ট্যাক্সি এলো - দেখি দিদি আর বিমানদা। দিদি এসেই জিগ্গেস করলো "মিতুল ফিরেছে" - উত্তর শুনে ওখানেই (মানে গেটের সামনে) বসে পড়ে হাউহাউ করে কান্না - বেচারি সন্ধ্যে থেকে রাত্তির অবধি টেনশন করেছে...

    এই সেদিন বাড়ি গেলুম - সুমনাকে এই ঘটনাটা বলে বলেছিলুম যে দিদি যেই শুনবে আমরা এসেছি, তক্ষুণি আসবে। সুমনা বল্ল - এখন কি আর আসবে? এখন একটা মেয়ে আছে, ঘর-সংসার সামলানো আছে - ফোন করবে, পরের দিন আসবে...এখনো কিন্তু আমার কথাটাই ঠিক হল - দিদি যেই শুনলো আমরা এসেছি, সঙ্গে সঙ্গে হাজির...

    হায়ার সেকেণ্ডারীও একই ইস্কুলে - শুধু ক্লাস শুরু হত সকাল সাতটায়, বাড়ি থেকে বেরোতুম ভোর সাড়ে পাঁচটায়। শীতকালে আকাশে চাঁদ থাকতো। পাঁচটা পঞ্চাশের ৪১/১ ধরলে সাড়ে ছটা নাগাদ ইস্কুলে পৌঁছতুম। বারোটা অবধি ইস্কুল। তখন প্রায়সই আমরা হেঁটে ফিরতুম...মাঝে মাঝে সাইকেলে ইস্কুল যেতুম - বাবার তিরিশ বছরের পুরনো হারকিউলিস - চট করে অন্য কেউ চালাতে পারতো না। প্রথম মিছিলে হাঁটা এই সময়েই - সংহতি মিছিল - এখন মনে নেই কি ব্যাপারে ছিলো, তবে অত লোকের মিছিলে হাঁটার সেই শুরু - এসপ্ল্যানেড থেকে পার্ক সার্কাস ময়দান। গলা খুলে স্লোগান দেওয়ার শুরুও ওখানেই।

    তার পরের চারটে বছর সম্ভবত সেরা সময়। গানে-স্লোগানে-মিছিলে হু হু করে কেটে যাওয়া...
  • tania | 171.72.5.133 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ২২:১৮564054
  • অরিজিৎ, তুমি দেখছি আমার পাড়ার ছেলে! আমার সাকিন চন্ডীতলা, new theatres studio থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরে।

    সত্তরের দশকে আমাদের পাড়ায় নাকি প্রায় রোজই বোমাবাজি হোত, এদিকের রাঙাজবা ফ্যাক্টরির দিকের ছেলেদের সঙ্গে ওদিকের ঘোষপাড়ার ছেলেদের। আর তারই মধ্যে আমার মায়ের হাত ধরে গুটিগুটি নার্সারি স্কুলে যাতায়াত।

    দুপুরে বাগানে ফুলগাছেদের সঙ্গে খেলা আর বিকেলে ITI এর মাঠে গিয়ে হুটোপাটি। ভোরে আর শেষদুপুরে ঠাকুরের চায়ের দোকানের উনুনের ধোঁয়ায় চোখে জ্বালা আর শনিবার করে আন্টিপ্যাক্টিন কারখানা থেকে ভেসে আসা বিশ্রী গন্ধ। তারই মধ্যে আয়েদিন 'জবাব চাই জবাব দাও'। রবিবার সকালে মোড়ের মাথায় সত্যনারায়ণ মিষ্টান্নভান্ডারের সিঙারা জিলিপির মনমাতানো সুবাস।
  • Arijit | 128.240.229.3 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ২২:২৩564055
  • হুঁ, ওই কাছেই - কুঁদঘাট আর নেতাজীনগর থেকে আমাদের বাড়ি সমান দূর। সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন মানে কি ওয়্যারলেসের মোড়ে যেটা সেটা? উল্টোদিকে একটা হার্ডওয়্যারের দোকান - রামকৃষ্ণ বা ওইরকম কিছু, অন্য পাশে কি যেন সেই ছবি তোলার দোকানটা - আজন্মকাল ওখানে পাসপোর্ট ছবি তুলিয়েছি। ওই দোকানটা হলে ওদের দরবেশ ব্যাপক খেতে। ওই তল্লাটেও তো পোচুর ঘুরেছি - "অঙ্কন"-এ আঁকা শিখতুম যে।
  • tania | 159.37.7.93 | ০৬ এপ্রিল ২০০৬ ২৩:১৬564056
  • সত্যনারায়ণ তিনপিস, কুঁদঘাট বাজারে, চন্ডীতলার মোড়ে আর wireless এর মোড়ে। আর hardwareএর দোকানটা তো মানিককাকুদের, পাশেই একটা ওষুধের দোকান... কি যেন নাম! সব আছে, ঠিক আগের মত, আমি শেষবার গিয়েও দেখে এসেছি। আর একটু এগিয়ে Golden eggএর fish roll খেয়েছ নিশ্চয়ই! ওহ! সে গল্প তো আবার এখানে করা যাবে না, অন্য পাড়ায় গিয়ে করব 'খন :-)
  • tania | 159.37.7.93 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ০০:১৮564058
  • ঠাকুমা বলত, শহরে পুজোর বাজার করতে যাব। শুনে আমার কি হাসি! শহরে যাবে মানে? শহরেই তো থাকো! আমাদের চন্ডীতলা তখনো শহরতলীর ভাতঘুম ভেঙ্গে শহর হয়ে ওঠেনি। আমাদের বাড়ির পাশেই একটা বড় মাঠ, মায়ের শোবার ঘরের জানলাটা মাঠের দিকে। মা রাতে খুব ভয় পেত, ঐ মাঠেই নাকি অনেক তাজা প্রাণ শেষ বারের মত ছুটে পালাতে গিয়ে লুটিয়ে পড়েছে পিঠে গুলি লেগে বা বুকে ছোরার আঘাতে। রাতে তাই কাছের বরকার গোয়ালের গরু-মোষ মাঠে ঘাস খেলেও, সেই শব্দে মা ভয় পেত। সেই মাঠেরই পুজোর সময় অন্য চেহারা, রাতভর জলসা, হেমন্ত-মান্নার গান, রুমকি-ঝুমকির নাচ... আরও কত কি! আমার তখনো পৃথিবীতে পা পড়েনি।

    দেখতে দেখতে সেই মাঠজুড়ে বাড়ি হয়ে গেল। তিনতিনটে। সবুজটবুজ কোথায় গেল সব। ইতি-উতি যেখানেই খালি জমি ছিল, সবার একই গতি হল। পড়ে রইল ভরাটমাঠ... যেটা বাপিদের ছেলেবেলায় ডোবা ভরাট করে মাঠ হয়েছিল... যে মাঠের কথা বলতে গিয়ে আজও বাপির গলায় শুনি আক্ষেপের সুর, 'ঐ মাঠের মেদমজ্জায় আমার কত গুলি-ডাংগুলির জীবাশ্ম আছে!' পুলীনদাদু আর মেজরদাদু ভদ্রঘরের ছেলেপুলেরা গুলি খেলছে দেখলেই তাদের গুলি কেড়ে নিয়ে ডোবায় ফেলে দিত সেকালে। একালের দাদুরা কি করে? শ্রাগ করে নিজের কাজে মন দেয় বোধহয়।

    এই ভরাটমাঠে আমাদের রবীন্দ্রজয়ন্তীতে ঋতুরঙ্গ-চিত্রাঙ্গদা। হারমোনিয়াম নিয়ে প্রাণপনে চোখবুজে বেসুরে 'এসো হে বৈশাখ এসো এসো'। মাঠের ওপারে বন্ধ স্টুডিয়োর শেডে অন্ত্যেবাসীদের বসতি। ওখান থেকেই গৌরীদি আসত আমদের বাড়িতে কাজ করতে। ওর মা ঘুঁটে দিত, আর ওদের গায়ে কেমন একটা গোবরের গন্ধ লেগে থাকত সবসময়। গৌরীদিদের ঘরের পেছন দিয়ে বড়রাস্তায় যাবার একটা কান্নিগলি, যেটা ঠিক পীরবাবার মাজারের সামনে এসে বাসরাস্তাকে গলাগলি করে। এই পীরবাবার মাজারে প্রতি সোমশুক্র মেয়ে-বউদের কি ভীড় কি ভীড়! জোড়া জোড়া মাটির ঘোড়া আর ধূপ-বাতাসা দিয়ে পীরবাবার পূজো। পরীক্ষার আগ দিয়ে ভীড়টা বাড়ত, বাড়ত মানত করার হিড়িক!

    মাজার পেরিয়ে নানুবাবুর বাজার, তার পেছন দিয়ে ভারতমাতার মাঠ পেরিয়ে তবেই আবার পড়বে এসে চন্ডীতলার মোড়ে। ভারতমাতার মাঠের ওদিক দিয়ে আর একটা রাস্তা চলে যেত করুণাময়ীর দিকে। আর এদিকে চন্ডীতলার ভেতর দিয়ে রাঙ্গাজবার লালগোলা জল বেরোনো ফ্যাক্টরী ছাড়িয়ে অগ্রগামীর মাঠ পেরিয়ে, রানীর কুঠির পাশ কাটিয়ে east india studio, তার কাছেই আমার নার্সারী স্কুল। সেসময় স্কুলের ভেতর একটা মিনি চিড়িয়াখানা ছিল। হরিণ, ময়্‌না, কাকাতুয়া, খরগোশ। তারই মাঝে দোলনা, স্লিপ, ঢেঁকি :-) আর এই সব কিছুর আনন্দ লুটেপুটে নেবার জন্য নীলজামাপরা একগুচ্ছ কচিকাঁচা। আর ছিলেন বড় আন্টি, আমাদের head mistress। আমাকে কোলে বসিয়ে জিগ্যেস করেছিলেন, 'তোমার বাড়িতে কে কে আছে?' আমি বলেছিলাম, 'বাপি, মা, ঠাকুমা, দাদা আর মন্টু'। শুনে জিগেস করলেন, 'তোমার দাদা কোন ক্লাসে পড়ে?' আমি জবাব দিয়েছিলাম, 'স্কুলে যায়না, সারাদিন বাগানে মাটি ঘাঁটে'! বড় আন্টি তাজ্জব বনে গেছিলেন, উনি কি করে জানবেন আমার দাদার তখন retired life :-)
  • Tina | 64.12.117.11 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ০৫:০৯564059
  • সবাই দেখছি অতীত নিয়ে স্মৃতিচরন করতে লেগে গিয়েছে আর নস্টালজিক করে দিচ্ছে খালি। বোজো আমায় এক দিস্তা নামাতে বলেছে তাই আমার প্রথম কিস্তি বর্তমান কে নিয়ে।

    আমার বর্তমান আবাস বা মাথা গোঁজা র জায়্‌গা যেখানে এটাকে বেশ নিজের নিজের বলে মনে হয়, যদিও এক বছরের অল্প বেশি হলো এখানে আছি। প্রায় দেড় বছর আগে এখানে এসেছিলাম যখন প্রথম, I-70 থেকে ৩২ এ উঠেই একটু পরে দেখি দুধারে সবুজ ঘাস এর গালচে দিয়ে ঘেরা, দুরে দুরে গোরু আর ঘোড়া চরে বেড়াচ্ছে, মাঝে মাঝে জল টলটলে ছোট্টো পুকুর, কোনো পুকুর এ হাঁস চরে বেড়াচ্ছে। তারপরেই চলে এলো আমার এখন্‌কার গ্রাম বা আধা শহর। main street দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়লো দুধারে পুরোনো কিছু বাড়ী, সামনে বারান্দা, বারান্দা য় রকিং চেয়ার, হ্যাংগিং বাস্কেট এ পিটুনিয়া আর জিরানিয়াম। সব মিলিয়ে শান্ত ছায়া ঘেরা একটা ছবি যেন। সেদিন খুব ঘুরেছিলাম এই গ্রাম এ, একটা আইসক্রীম এর দোকানে গিয়ে home-made আইসক্রীম খেয়েছিলাম, রেল লাইন ধরে হেঁটেছিলাম অনেক, দুপাশে নাম না জানা হলুদ গোলাপী বুনো ফুল ফুটে রয়েছে আর একপাশে একটা অগভীর, পাথর এ ভরা পাহাড়ী নদী। সন্ধ্যেবেলায় একটা পাব যেটা আগে ট্রেন স্টেশন ছিলো সেখানে বসে যখন crab sandwitch খাবার অভিপ্রায় এলো মনে তখন বাইরের প্রায় ঘুমিয়ে পড়া গ্রাম টা র দিকে তাকিয়ে বুঝে গেলাম জায়্‌গা টার প্রেম এ পড়ে গিয়েছি, অতএব এখানেই ডেরা বাঁধতে হবে। সেই থেকে আছি..... এখানেই এই গ্রাম এ..... কদিন থাকবো জানিনা। তবে কুয়াশা ঢাকা সকালে বাড়ীর পেছনের বিশাল মেপল, ওক, বার্চ এর দিকে তাকিয়ে ধোঁয়া ওঠা চা য়ে চুমুক দিতে দিতে, কিম্বা কোনো সোনালী, রোদ ঝলমলে দিনে পাইন গাছ থেকে কাঠবেড়ালীগুলো নেমে যখন দৌড়ে বেড়ায় সবুজ এর ওপর দিয়ে অথবা রাস্তায় চলতে চলতে দুরে জঙ্গল এর ভেতরে দেখি হরিন রা খেলে বেড়াচ্ছে তখন এই জায়গা টা র প্রতি একটা টান অনুভব করি মনে মনে।
  • sm | 72.49.45.153 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ০৯:০৮564060
  • আমি এ পাড়ায় নতুন। এই thread এর আলোচনাগুলো খুবই ভালো লাগছে। তানিয়া, অরিজিৎ আমিও তোমাদের পাড়ার। পূর্ব পুটিয়ারি। নিউ টালিগঞ্জ। অরিজিৎ যে বাসস্ট্যান্ডের কথা বলেছো সেটা কি কুদঘাট বাসস্ট্যান্ড ? ওখানে সুরেন্দ্রর সিঙাড়া খুব বিখ্যাত। ভালো লাগলো তোমাদের সঙ্গে আলাপ হয়ে।
  • dri | 66.81.197.213 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১১:০৭564061
  • আচ্ছা অরিজিৎ! আপনি তো আমাদের স্কুলের ছেলে! সুইট! নাহ্‌, বড্ড ছোট এই দুনিয়া।

    মনে আছে টিফিনের সময় ঐ চিলগুলো? আর ঐ ওপাশের কলের জলে ক্লোরিনের গন্ধ? জল খেয়ে জামার হাতায় মুখ মোছা? টিফিনের ঘন্টা পড়তেই ছুট ছুট ছুট? প্রিফেক্টের ঘরের সামনে ফুটবল নেবার লাইন? ফাদার ডিয়াব্রুর চারানার সন্দেশ আর আটানার সন্দেশ? আর সেই গুজব, ডিজি নাকি হোমো? আর ফাদার ফোসোর কুকুরটা? কি যেন নাম ছিল? রেক্স?

    যা তা তো!
  • r | 202.144.91.204 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১১:২৪564062
  • আসলে একটা সময় পর্যন্ত স্মৃতি ওয়াশে আঁকা অস্বচ্ছ ছবি। কয়েকটা রেখা আর রংএর টানটোন ছাড়া আর কিছু পড়ে নেই। এই সময়ে, এই স্থানে সেই দু এক টুকরো রেখা আর তিন চার কুঁচো রংএর উপর আরও রঙ চাপাই, আরও নতুন নতুন লাইন টানি। এইভাবে স্মৃতি গড়ে তোলার খেলা চলে। বড়ো আনন্দ তাতে। কিন্তু তার পরে পুরোটাই ফোটোগ্রাফি। হুড়মুড় করে ছবির বোঝা উলটে পড়ে মগজে ছত্রাকার হয়ে যায়। কোনটা লিখি, কোনটা না লিখি তার আর হুঁশ থাকে না। সেই জন্যই লোকে বোধ হয় একটু বয়স না হলে আত্মজীবনী লেখে না। ছবিগুলোতে একটু ধুলো না জমলে, কাঠের ফ্রেমে উই বাসা না বাঁধলে স্মৃতির পুনর্নির্মাণ হয় না।
  • Arijit | 128.240.229.65 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৪:২৩564063
  • এই কেলো করেছে - আমি তো ইস্কুলের নাম লিখি নাই, দ্রি জানলেন কি করে? অবিশ্যি ক্লু ছিলো ঠিকই - ৪১/১, ইউনিক ইউনিফর্ম...

    ওই চিল যে কতবার আমার টিফিন কেড়ে নিয়ে গেছে তার ইয়ত্তা নেই।

    ঘন্টা পড়তেই ছুট, ফুটবল নেবার লাইন, ফাদার ডি অ্যাব্রু-র চারানা আর আটানা (অসংখ্য বার খেয়েছি), রেক্স - সবই মনে আছে। এক ঘন্টার টিফিনে চুটিয়ে ফুটবল খেলে হাঁফাতে হাঁফাতে কলের কাছে গিয়ে প্রায়সই জল না পাওয়া...ক্লাসরুমে গিয়ে লোডশেডিং - সঅঅব। এবার একবার ঘুরেও এলুম - সেই ফাদার টোট্যাম এখনও:-)

    আপনি কোন ব্যাচ বলুন তো? আমি ৮৯ মা:, ৯১ উমা:।

    sm - কুদঘাটও বটেক, নেতাজীনগরও বটেক - তবে আমরা সাধারণত: নেতাজীনগর যেতুম - বাসের সংখ্যা বেশি।
  • paaThak | 203.197.96.50 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৪:৩৬564064
  • আমিও ভাবছি এই ছোট্ট শহর টা নিয়ে কিছু লিখি। বে এরিয়া থেকে I80ধরে রেনোর দিকে যেতে গিয়ে এক্সিট নিয়ে হাইওয়ে ৫০ ধরে এগিয়ে ২০ মাইল আসলেই পাবো এই শহর । স্কাইস্ক্র্যাপার নেই ,বড় শপিং মল যেতে হলে
    সেই আর্ডেন বা রোসভিল যেতে হয়। বড় শান্ত জীবন। প্রথম যখন এসেছিলুম খুব একাকীত্বর যন্ত্রনায় ভুগতাম , রোজ মনে হত পাশের শহরে নৈশ
    জীবনে ডুব দিতে যাই। তারপর খুঁজে পেলুম বা লা , সেখান থেকে এই সাইট , তাপ্পর মাসীমা খুল্লো চাটুজ্জের রক- সেখানে তোমাদের সাথে মুখোমুখি কথা হল অদ্ভুত
    মায়ায় পড়ে গেলুম। বন্ধু হোলুম । খুঁজে পেলুম সেই ছোট্ট ক্রিক টাকে যার পাড় দিয়ে ট্রেল এ হাঁটতে গিয়ে নিজের সাথে অনেক কথা বলি।এই ছোট্ট শরেই খুঁজে পেয়েছি
    আমার মনের মত লোক টাকে। বড় মায়ায় পড়ে গেছি। আউটলেট মল,
    প্রেইরি সিটি রোড, ইস্ট বিডওয়েল,ব্লু র‌্যাভাইন,অ্যামেরিকান রিভার ,হিস্টোরিক ডৌনটাউন ,এফ এম ৭ বিল্ডিং সব মিলিয়ে ছোট্ট এই শহর। কিছুদিনের জন্যে দেশে ফিরেও তাই সেই শহর ঘুমের মধ্যেও আমায় ডাকে ।এও তো আমার শহর।কই এখানে আসার আগে তো ভাবিনি
    কখন কোলকাতা ছাড়াও আরেকটা শহর আমার হতে পারে।

  • sumeru | 59.93.199.59 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৭:০০564065
  • একটা শহর তৈরি করে ফেলি।

    জলের তলায়। ছড়িয়ে থাকা চাউমিনের মতো ডালপালা মেলে বয়ে যাওয়া ইচ্ছের লালসুতো। আমি কি স্বর্ণলতা দেখছি। ছোট্ট ছোট্ট কচুরিপানা অথচ বেগুনি ফুলে ভরে থাকছে চোখ। সোনালী কাঁকড়ারা মুখ লুকিয়ে হাসছে। ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ, বসন্ত এলো বুঝি। বেশ কটা টাওয়ারে গোল্ড ফ্লেক রাখা আর প্রচুর মাছ। বোয়াল, চিতল, ট্যাংরা, কৈ, পাবদা, চিংড়ি, পাঙাশ, কাজলি, বোরলি, মোরলা, তোপসে, ফ্যাসা, খয়রা, গাঙ্‌ধাড়া, বাচা, প®Çফ্রট, সার্ডিন, ম্যাকরেল, ভেটকি, লেডিস ফেস, গুলে সব খেলে বেড়াচ্ছে নিজেদের মত লুকোচুরি, কানামাছি ভোঁ ভোঁ যাকে পাবি তাকে ছোঁ। বড় বড় বরফের উপর রাখা সব সাজা পান একটু একটু বরফ ভেঙে মদের গ্লাসে ডুবিয়ে দেওয়া। চুড়ি পরা হাত, হলুদের গন্ধ, ধানে ভরে থাকা চর, গাছের ডাল ভেঙে জামরুল পাড়া, গুলতিতে প্রেমপত্র। বাংলা অক্ষরসমূহ। বোতলে মোরব্বা, কুলের আচার, সন্ধ্যের শাঁখ, বেহাগে সানাই, জলবন্দি আমির খাঁ, টেলিফোনের ওপাশে ভীমসেন যোশী। ব্যান্ডেজ বাঁধা ভ্যান গঘ আলতা পরা মেয়ের ছবি আঁকছে। ঢেকিতে চিড়ে কোটা, কলমির লতা শুষনি শাক, কচুপাতায় জলের ফোঁটা, সুতোবাঁধা ফড়িং এখনও উড়ছে। কমলকুমার ও গীতবিতান, গীতা ঘটক, ঋতু গুহ, দূর থেকে ট্রেনের শব্দ, ষ্টিমারের ভোঁ, ভেসেলের ডেকে বাউল গান, সালাবৎ মাহাতো, রামায়ণ, আদিত্য বসাকের ব্যাকগ্রাউন্ড, প্রতি ঘরে চাঁদের আলো, কবরস্থানে বুনো গোলাপ, পিঁপড়েদের মিছিল, কপিকলে জলতোলা, ঘড়ির ব্যান্ডের নিচে সাদা হয়ে থাকা আকাশ, ছাতিমগাছে মৌমাছির লম্বা বাসা, ভোটের আঁকিবুকির উপর দেওয়াল জুড়ে দেওয়া ঘুটে, ডাবের ভিতর চিংড়িমাছসমূহ, সাদা কাগজ, সাদা কাগজ, ক্রুশিয়েন ব্লু, চায়নীজ ব্ল্যাক, বিড়ালের সুন্দর লেজ, ঘোমটা টানা হিমালয়, বন্ধ কাঁচের জানালার ভিতর ট্রেনের শব্দ, রেললাইনে পাতা কানে ভূমিকম্প, পয়ষট্টি রকম কাপড়ের টুকরো জুড়ে তৈরী আলখেল্লা, অর্ধনমিত জাতীয় পতাকা, কুড়িয়ে আনা শিউলির ফুল, বৃষ্টিতে ভেঙে যাওয়া কাশ, দোয়াতে ডোবানো আমের মুকুল, নোনাঝরা বাড়ি, দেওয়ালের গুপ্তকথা, কানে কানে বাশুরীয়া বাঁশী, বেসুরো, নরম মজ্জা, হাড় গুড়ো গুড়ো, কঞ্চি দিয়ে তীর-ধনুক, মাছধরা ছিপ, নিজের সমুদ্রের মধ্যে নিজের বদ্বীপ।

    সুমেরু
  • r | 202.144.91.204 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৭:০৩564066
  • এই না হলে বাঙালীর শহর! স্যাট করে বিশ ভ্যারাইটির মাছ নামিয়ে দিলে!
  • Paramita | 84.203.40.189 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:০২564067
  • দামোদরের পর ,,,,,,,,
    ইন্‌জীয়ারীংএ জুট্‌ল সেই চেন্নাই এ।বড়ো শখ ছিল যাদব্‌পুর এ পড়্‌ব। জোটে নি।আর বাবার ইচ্ছে ছিল বোকা মেয়েটা একটু দুরে যাক , স্মার্ট হোক।
    তারপর দেখি কলেজ চেন্নই এ তো নয় , শহর থেকে অনেক দুরে একটা ছোট্টো গ্রামে , নাম কেলামবক্কম। নাম শুনে ফিক ফিক হেসেছিলাম নিজের মনেই, কেইলামবাক্কম , কেইলামবক্কমা
    কিন্তু সেই যে প্রেমে পড়্‌লাম কেলামবক্কমের , আজো সে প্রেম অটুট।
    নারকেল গছে ঘেরা ছোট্ট একটা গ্রাম।রাস্তার মোড়ে মোড়ে ভাজির দোকান দেখে আমি খুশ , ঠিক বাংলার চপের দোকান।আর ছিলো রংচংএ কয়েকটা মন্দির।যেখানে বসে থকতো কালো গায়ে এক মাথা ধপ্‌ধপে সাদা চুলয়োলা বুড়ো বুড়ির দল।আমরা 'ভনাক্কম' বল্লেই এ ওকে ঠেল দিয়ে হাসি।আর ছিলো 'মুত্তুকাডু' লেক।আমাদের hostelএর এক্‌দম গায়েই।লেক তো নয় আসলে backwater।দোতলার কার্ণিশে সোজা দাঁড়িয়ে ঘাড় উঁচু করলেই দেখে্‌ত পেতাম সমুদ্দুর।একটা ব্রীজের পরে।হু হু লোনা হাওআ সারাদিন। আর মুত্তুকাডুর তীরে চাষ হত তরমুজের।হস্টেলের পাঁচিলে চড়ে আন্না ডাকলেই হাতে দিত খেতের সব চেয়ে পাকা তরমুজ্‌টা।পাঁচ টাকায় একটা।বাজারে তার দাম প্রায় চল্লিশ টাকা। আমরা জোর করে বেশি দিতে গেলে হাত মাথা নাড়িয়ে তামিলে বল্‌ত যে ও ঐ দামেই বেচে মহাজন কে।ওর কষ্টের ফসলের ঐ টুকুই দাম পায় সে।
    আর হত নুনের চাষ।তরমুজ খেতের পাশেই।জল শুকিয়ে ছেঁকে রাখা হতো ঢিপি করে। খেয়েও দেখেছি একবার।কাদা কাদা খেতে আর আঁষটে গন্ধ।
    মুত্তুকাডুর অপর পাড়ে ছিল একটা জেলে বস্তি।আমাদের হস্টেল পাহাদারগুলোকে দেখ্‌তাম সাইকেল চালিয়ে ওদিকে যেতে, প্রায় রোজ সন্ধে বেলায়।পরে চাকরি করর সময় আমি একটা NGO তে ভলানটীয়ার থাকার সময় আমিও অনেকবার গেছি ঐ বস্তিতে।বিনি পয়্‌সার কন্ডোম বিলোতে।ওটা ঐ অন্‌চলের সবে্‌চয়ে বড় লাল বাতি এলাকা যে।
    ও খানে একটা বীচ আছে যার নাম কোভালাম। পাশেই তাজ এর হোটেল fishermans cove ধবধবে সাদা বালির বীচ আছে ওদের নিজের।সাদা চাম্‌ড়াদের খুব দেখেছি গড়াগড়ি খেতে সেখানে।আমিও একবার ডিনার করেছিলাম ওখানে , একটা এক হাত লম্বা চিংড়ি খেতে খেতে মনে পড়ছিল জেলে বস্তির সেই আধো অন্ধকার ঘরগুলোর ,দড়ি পাকানো চেহারার মেয়েগুলোর কঠিন মুখে দরাদরি,
    grilled lobster ট সেদিন বিস্বাদ হয়ে গেছিলো এক লহমায়।

  • vikram | 134.226.1.136 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:০৯564069
  • আর সাড়ে তিন ঘন্টা বাদেই তো মাল খেতে বেরুবে। তকন দুক্কু আরো বাড়বে।

    বিক্রম

  • Paramita | 84.203.40.189 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:১৭564070
  • মাল ?? গিনেস বলূন। আমাদের এই শহরটিকে ঐ একটি তরল ই চালাচ্ছে। ভাটিয়া৯ এ যখন দেখ্‌লাম জে গিনেস তুলে কথা হচ্ছে তখন মনে হল দি দু কথা শুনিয়ে।
    তারপর দেখ্‌লাম আপনিই যখন চুপ্‌চাপ হজম করে গেলেন , আমি কেমন যেন ম্যাদা মেরে গেলুম।
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:১৯564071
  • আমার তো এদেশীয় ল্যাদ। চিঠি পেয়েচো?

    বিক্রম

  • paramita | 84.203.40.189 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:৩৩564072
  • না তো !! পাঠিয়ে ছিলেন নাকি ?
  • vikram | 134.226.1.136 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:৩৪564073
  • লে হালুয়া। গতকাল পাথাইসিলাম।

    ফোন্নং আমার: 16081311
    মোব: 0857394824

    বিক্রম
  • b | 194.202.143.5 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ২০:৪৫564074
  • দীপ্তেন দার উত্তরবঙ্গ টা খুব মর্মস্পর্শী হয়েছে।
    দীপ্তেন দা আরেকটু লিখুন।
  • zz | 129.7.154.6 | ০৭ এপ্রিল ২০০৬ ২১:৫৬564075
  • Hill stations are feminine, very feminine. They are different from one another as all ladies are. Every lady has her own beauty, her own charm, and her own affair. Ladies pucker their lips differently, smile differently, and even look differently when they are angry. Similarly a hill station has got her own beauty, own charm, own heritage, own fame, own scandal and moreover, her own love-stories.

  • dd | 59.93.79.190 | ০৮ এপ্রিল ২০০৬ ১২:১৭564076
  • ছোটো শহরের সালতামামীর কিছু অচর্চিত বিষয়। এক বাড়ীর সব বাচ্চা একই ছিটের জামা/ফ্রক পড়তো। তাই জামা দেখলেই চেনা যেতো কোন বাড়ীর ছেলে। আর (এমনকি) মেয়েরাও একই সাথে ন্যাড়া হতো।

    স্কুল পড়ুয়াদের জামা থাকতো হাতে গোনা তাই চিনিয়ে দিতে হলে পষ্ট বলা যেতো "আরে ঐ যে ছেলেটা হলুদ রংএর জামা পরে আসে, বাঁ পকেটটা ছেঁড়া " অমনি আমরা চিনে ফেলতাম।

    কাদায় খেলতম বলে আমাদের সবাকারই পাঁচড়া, ফোঁড়া , ফুস্কুরি হতো সারা বছর। এখনকার বাচ্চাদের হয় না।

    মালদা শহরে ক্লাস টেনের একটি মেয়ে - নাম অনুরাধা, চমচম খেয়ে পয়সা নাদিয়ে পালাতে গিয়ে ধরা পরে। ব্যাস। সারা শহরে ঐ নিয়েই হুলুস্থুলু । আমরা (ফাইভ, সিক্স ) দল বেঁধে রাস্তা দিয়ে চেঁচাতে চেঁচাতে যেতাম " অনুরাধা, চমচম চোর"

    চমচম আর অনুরাধা -এমন ভাবেই যুগলে অমর হয়ে রইলো।
  • dd | 59.93.77.204 | ০৮ এপ্রিল ২০০৬ ১৫:৫২564077
  • বুঝি না বুঝি না করে বেশ তো আত্মজীবনী হয়ে যাচ্ছে। যাগ্গে।
    কুচবিহারে মদনমোহন ঠাকুরবাড়ীতে পাশাপাশি নারায়ন আর কালী ঠাকুর থাকতেন। পচ্চিম বংগেআর কোথ্‌থাও এদের সহাবস্থান ঘটে নি। ওখানেই প্রথম মোষ বলি দেখি। ধরফর করে গলাকাটা মোষের পবিত্র রক্ত নেবার জন্য হুলোহুলি এখনো মনে আছে।

    আর দেবীবাড়ীর কালি ঠাকুর হতো আঠারো হাত উঁচু। অক্টোবর নভেম্বর মাসে তোর্ষায় জল কই ? তাই কুঠার দিয়ে খন্ড খন্ড করে কেটে প্রতিমা ভাসান হতো।

    রাসের মেলায় বিশাল মেলা হতো। মেইন অ্যাট্রাকশান ছিলো সার্কাস।রাস্তায় রাস্তায় ভানুমতীর খেলা চলতো প্রচুর। নানান ম্যাজিক দেখিয়ে মাদুলি বিক্রি হতো।

    আর সন্ধ্যাবেলা বাঁশ গাছের পাতায় পাতায় সরসর আওয়াজ হতো। নি:ঝুম পথে আশে পাশে তাকানো বারন, কোথায় লুকিয়ে আছে পিশাচীরা।

    শহর থেকে দুরে পরিত্যক্ত লালকুঠির মাঠে কুল খেতে গিয়ে হঠাৎ দেখেছিলাম বিবসনা এক যুবতীর রক্তাক্ত মৃতদেহ। দশ এগারো বচ হরের ছেলেগুলো তারপর খুব দৌড়েছিলো। বাড়ীতে গিয়ে কাউকে বলেনি সে কথা।
  • dd | 59.93.79.220 | ০৮ এপ্রিল ২০০৬ ১৭:১৯564078
  • ঐ কুচবিহারেই প্রথম জানতে পারলাম যে আমার বাবা সন্ধ্যাবেলা যে বড়দের সরবৎ খান - সেটা আসলে, সেটা আসলে.... মদ। মদ !!
    সেই আতংকিত উপলব্ধি এখনো টের পাই।

    শহরে বড়লোকের মধ্যে ছিলো আমার বন্ধুর বাবা - ডাক্তার। তার নিজের গাড়ী ছিলো। সে এক অভাবনীয় বৈভব। প্রায়শ:ই দেখতাম সেই গাড়ী যেখানে সেখানে থমকে আছে, কিছু লোক ঠেলে নিয়ে চলছে।তখন ও রকমই ছিলো গাড়ী।

    বাকিংহাম প্যালাসের অনুকরনে তৈরী ছিলো কুচবিহারের মহারাজার প্রাসাদ। তিনি ও তার আমেরিকান বউ সকালে উঠে বন্দুক বাগিয়ে গুরুম গুরুম করে .... দারোয়ানকে উৎকন্ঠিত জিজ্ঞেশ করি, বন্দুক দিয়া কি মারেন রাজামশাই? প্রহরী খুব নিস্পৃহ উত্তর দ্যায় "কাগ টাগ হবে"

    তার মধ্যে আশ্চর্য্য কান্ড, সহপাঠী বিমলের এক দিদি লাভ ম্যারেজ কল্লো। লাভ ম্যারেজ ? উফ্‌হ !! বিমলের স্কুলে আসা বন্ধ ছিলো অনেকদিন।

    অর নাটক ? চলতো রমরমিয়ে। পাড়ায় পাড়ায়। সব আপিশে। সব ক্লাবে। সারা বছর।
  • i | 202.128.112.252 | ০৮ এপ্রিল ২০০৬ ১৮:৫৬564080
  • দমদম প্রসঙ্গ স্মৃতিকথার জন্য তুলে রাখি :))-

    দমদম থেকে দিল্লি; রাজধানী এক্সপ্রেস ভায়া পাটনা-লোদী গার্ডেনে রাজন সাজন মিশ্র-সিরি ফোর্ট অডিটোরিয়ামে উলহাস কোশলকার-কর্ণাটক সেবাশ্রম সংঘ-সূরযকুন্ডের মেলা থেকে প্রজ্ঞাপারমিতা, কালো পাথরের।

    এরপর মাস ছয় ম্যানিলার গোধূলি-হোয়াইট স্যান্ড বীচ-মাছের বাজার-ভোল্ক্যানোর ক্রেটারে লেক-

    স্যান হোসে, ফ্রিমন্ট, টরন্টো, সিড্‌নি...

    কখনও সিডনির রাস্তায় ঢুকে পড়ে স্যান ফ্রান্সিস্কো, দিল্লির রাস্তায় মনে হয় বাঁকটা পেরোলেই সমুদ্র, পুরীর; ম্যানিলায় দমদম ছিলো ব্যাংএর ডাক আর ঝিঁঝিঁরবে, টরন্টোতে জীর্ণওভারকোটে মীরার পিসিমারা সিকি চাইতেন, আন্ডার গ্রাউন্ড প্ল্যাটফর্মে বিদেশী ভিক্ষুকের তারযন্ত্রে কেশরিয়াঁ বালমাঁ শুনতে পেতাম...
    স্কাই লাইন বদলে যায় তবু রাতের আকাশে মাথা তুলে একাকী ক্রেন সর্বত্র দাঁড়িয়ে থাকে।

    এভাবেই এক শহরে ঢুকে পড়ে অন্য শহর।
    শহর থেকে শহরে যাওয়ার সুতোয় গিঁট পড়ে না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন