এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শহর থেকে শহরে

    bozo
    অন্যান্য | ০১ এপ্রিল ২০০৬ | ১৭১৪৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 122.162.85.218 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৭ ১৩:২৮563794
  • ব্ল্যা,

    বড্‌ডো কম লিখছিস। আট্টু লেখ না বাপ!
  • r | 59.162.191.115 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৭ ১৩:৩২563795
  • ব্ল্যাঙ্কি তো শুধু ইতিহাস লিখছে। বর্তমান নিয়ে কিছু লেখো বাপু- জানার জন্য আমার একটু ব্যক্তিগত তাগিদও আছে।
  • Blank | 203.99.212.224 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৭ ১৩:৪৯563796
  • বর্তমানের লিংক

    http://www.bartamanpatrika.com/

  • nyara | 64.105.168.210 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৭ ১৫:০৪563797
  • আর প্রিন্সটন থেকে মাইল কয়েক দূরে নিউ ব্রান্সউইক-হাইল্যান্ড পার্ক-পিসকাটাওয়ে চত্বরে ন্যাড়াদা কিছুদিন - অধ্যাপনা নয় - দিনগত পাপক্ষয় করেছেন। এডিসনে দল বেঁধে গিয়ে ৬.৯৯ থেকে ৯.৯৯-এর অল-ইউ-ক্যান-ইট ইন্ডিয়ান-বাফে খেয়ে ঘেউ ঘেউ করে ঢেঁকুর তুলতে তুলতে ফিরেছেন এবং চোখের সামনে এডিসন টাউনকে আহমেদাবাদ থেকে ভিজয়ওয়াড়া হয়ে যেতে দেখেছেন।
  • Du | 67.111.229.98 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৭ ২০:৩৭563798
  • :-)) । কাছাকাছিই একটা মার্সিডিজের সাইনবোর্ড দেখেছিলাম । phaaaa-aast । ওখানটা বোধহয় আমেদাবাদ ছিল :))
  • Blank | 59.93.193.26 | ০৬ ডিসেম্বর ২০০৭ ২২:৫৬563799
  • বারুইপুরের দক্ষিনে তো প্রবল প্রতাপে রাজঙ্কÄ চালাচ্ছেন প্রতাপাদিত্য, আর উত্তর দিকে বোসেদের নিজেদের জমিদারী, নবাবের প্রিয় পাত্র তাঁরা, কিন্তু সেই সময়ে বারুইপুরের কি অবস্থা? কি চলছিল এখানকার মানুষ দের মধ্যে?
    এই সময় টা ছিল বারুইপুরের ইতিহাসের মাহেন্দ্রক্ষন, বারুইপুরের মাটি তে পা রাখলেন শ্রী চৈতন্য। বয়ে গেলো কৃষ্ণ প্রেমের ধারা।

    "হেন মতে প্রভু তঙ্কÄ কহিতে কহিতে।
    উত্তরিলা আসি আটিসারা নগরেতে।।
    সেই আটিসারা গ্রামে মহাভাগ্যবান।
    আছেন পরম সাধু শ্রী অনন্ত নাম।।
    রহিলেন আসি প্রভু তাঁহার আলয়।
    কি কহিব আর তাঁর ভাগ্য সমুচ্চয়।।"
    --- শ্রী চৈতন্য ভাগবত, বৃন্দাবন দাস

    বারুইপুরের পুরনো বাজারের দিক টা, যেখানে এখন মহা প্রভুর মন্দির রয়েছে, ঐ জায়গা টার ই নাম আটিসারা। নদীয়ার শান্তিপুর থেকে সপারিষদ বেড়িয়ে, আদি গঙ্গার তীর ধরে দিব্যোন্মাদ অবস্থায় হাঁটা শুরু করেছিলেন শ্রী চৈতন্য। এসে পৌঁছেছিলেন আদি গঙ্গা র তীরে, আটিসারা নিবাসী অনন্ত পন্ডিতের কাছে। এক রাত্রি ছিলেন অনন্ত পন্ডিতের বাড়িতে। সারা রাত ধরে চলেছিল কীর্ত্তন। অনন্ত পন্ডিতের বাড়ির পাশে, নদী তীরে ছিল শ্মসান, সেখানেই বসেছিল কীর্ত্তনের আসর। 'কীর্ত্তন খোলা' শ্মসান আজ ও আছে বারুইপুরে, ওটাই বারুইপুরের সব চেয়ে বড় শ্মসান। খুব ধুম ধাম করে শ্মসান কালীর পুজো হয় এখানে।
    যাই হোক, অনেকে বলেন যে, সারা রাত খোল বাজিয়ে কীর্ত্তন করার সময় একবার ভেঙে গেছিল সেই খোল। সেই থেকেই জায়গার নাম হয়েছে কীর্ত্তন খোলা। সারা রাত কীর্ত্তনের পরে পরের দিন ভোর বেলা কটকের দিকে যাত্রা শুরু করেন মহা প্রভু, যাওয়ার আগে স্নান করেন পাশের পুকুরে। সেই পুকুর তাই হলো আজকের 'কটকি' পুকুর। এখান থেকে দ্বারীর জাঙ্গলের পথ ধরে হাঁটা শুরু করেন তিনি। দ্বারির জাঙ্গল আজ আর অবশিষ্ট নেই সেই ভাবে, ধপধপির দিকে গেলে এখনো দেখা যায় একটা রাস্তা, স্থানীয় লোকজনদের মতে ঐ রাস্তা টাই হলো দ্বারির জাঙ্গল।
    শ্রী চৈতন্য চলে গেলেও, আটিসারার অনন্ত পন্ডিতের বাড়ি কে কেন্দ্র করে বারুইপুরে কৃষ্ণ চর্চা শুরু হয়। অনন্ত পন্ডিতের বাড়িতে স্থাপিত হয় গৌর নিতাই মূর্তি। বহুদিন অব্দি খোঁজ পাওয়া যায় নি এই মুর্ত্তি দুটির। অনেক পরে, কয়েক দশক আগে কোনো এক স্থানীয় মানুষের বাড়ি তৈরীর সময় ফের খুঁজে পাওয়া যায় মুর্তি দুটো। মহা প্রভু তলার মন্দিরে রাখা আছে মুর্তি দুটি, নিত্য পুজা হয় সেখানে।
  • Blank | 59.93.206.2 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৭ ০০:২০563800
  • শ্রী চৈতন্যের আগমন যে শুধু বারুইপুরের সাধারন মানুষকেই নাড়া দিয়েছিল, তা নয়, বৈষ্ণব ধর্মের প্রভাব ছড়িয়েছিল অনেক দুর অব্দি। সেই প্রভাবেই রাজ পুর, সোনার পুর অঞ্চলের জমিদাররা (দত্ত বাড়ি, যদিও এরা চৌধুরি উপাধি পান) বৈষ্ণব হয়ে যান। এঁরা আজ ও বৈষ্ণব ধর্ম মেনে চলেন, বাড়িতে রাধা গোবিন্দের পুজা হয় নিয়মিত।
    এই দত্ত বাড়ি বা রায় চৌধুরি দের আদি পুরুষ ছিলেন মদন রায়। মদন রায় কে নিয়ে একটা অদ্ভুত গল্প প্রচলিত আছে এই অঞ্চলে। দিল্লীর বাদশাহের কাছ থেকে সনন্দ পেয়ে এই অঞ্চলে জমিদারি পত্তন করেছিলেন মদন রায়। এদিকে রাজস্ব বাকি পরে যায় প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। সেই সময়ে মুঘল সিংহাসনে বসে আছেন শায়েস্তা খাঁ। মদন রায়কে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ দেন তিনি। ঢাকাতে নিয়ে আসা হয় বন্দী মদন রায় কে। পথে ছিল বিশাল জঙ্গল। সেই জঙ্গলে বাস করতেন মোবারক গাজী, এক দৈব শক্তি সম্পন্ন ফকির। মদন রায় শরনাপন্ন হন তাঁর, আর তাঁর ই দৈবী শক্তি বলে ঢাকাতে গিয়ে সসন্মানে মুক্তি লাভ করেন মদন রায়।
    এই অঞ্চলে যে গাজী সাহেবের গান প্রচলিত আছে, সেই গান আসলে এই মোবারক গাজী কে নিয়েই।
    " জাহ্নবীর পূর্বভাগ, মেদন মল্লানুরাগ
    অধিপতি শ্রী মদন রায়।
    নিজে মোবারক গাজী, আপনি হইয়া রাজী,
    বন মাঝে দেখা দিল তায়।।
    সঙ্গেতে সহায় হয়ে, নবাবে স্বপনে কয়ে
    শিরোপা পাইলো জমিদারী।।
    দত্ত কুল সমুদ্ভব, গোষ্ঠী পতি খ্যাতি রব
    কয়স্থ কুলের অধিকারি।।'

    (হর পার্ব্বতী মঞ্‌গল, কবি রামচন্দ্র)
  • Blank | 59.93.206.2 | ০৭ ডিসেম্বর ২০০৭ ০০:২১563801
  • হর পার্ব্বতী মঙ্গল...

    (বাকি গপ্প কাল)
  • RATssss | 63.192.82.30 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:০৫563802
  • ব্ল্যাংকি উল্টোপাল্টা কাজে সময় নষ্ট করছে - ওর যে একটা "কাল' - মাস দুই ধরে এসে পৌছচ্ছে না সে টা খেয়াল রাখে না। কালের প্রত্যাশায় ..........
  • tan | 131.95.121.132 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০১:০৭563804
  • শিব্রামের কালকে র মতন!
  • b | 78.137.144.235 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:৫১563805
  • একটা কথা, চৈ১ রুট ম্যাপটা তবে কি ছি৫ বারুইপুর থেকে কোন পথে ৩ পার হয়েছিলেন?
  • b | 78.137.144.235 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ ০২:৫৩563806
  • ১। চৈতন্য
    ৫।ছিল?
    ৩। গঙ্গা।
  • Blank | 59.93.247.12 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ২৩:২৯563807
  • বারুইপুরের পঞ্চানন ঠাকুর নিয়ে কি আগে লিখেছি? মনে নেই। পঞ্চানন বা পঞ্চানন্দ হলেন জঙ্গলের ভগবান। জঙ্গলের চোর ডাকাত দস্যুর হাত থেকে মানুষকে বাঁচান ইনি।
    এই শনি রবি বিশাল করে পঞ্চানন পুজো হয়ে গেলো এখানে। তার খান কয়েক ছবি দিয়ে গেলাম,







    এই খানে পুজোর বিশেষঙ্কÄ হলো যে, এখানে আলাদা করে ঠাকুর বিসর্জন হবে না। পুজো শেষ হওয়ার পর ওপর থেকে চাঁদোয়া সরিয়ে নেওয়া হবে। খোলা আকাশের নীচে বটতলায় পরে থাকবে ঠাকুর। বৃষ্টির জলে ধুয়ে যাবে ধীরে ধীরে।
  • Blank | 59.93.247.12 | ২৪ মার্চ ২০০৮ ২৩:৩৫563808
  • b এর প্রশ্ন টা আগে দেখিনি আমি।
    চৈতন্য দেব শান্তিপুর থেকে নৌকায় উঠে আসেন আটিসারায় (বারুইপুর)। তারপর এখান থেকে দ্বারীর জঙ্গল ধরে হেঁটে গঙ্গাসাগর মতান্তরে চক্রতীর্থে চলে যান। দ্বারির জাঙ্গাল এক পুরনো রাজপথ, এখন আর দেখা যায় না। বারুইপুরের একটা অঞ্চলকে লোকজন দ্বারীর জাঙ্গাল বলে। আগে নাকি এই পথ দক্ষিনেশ্বর থেকে গঙ্গাসাগর অব্দি ছিল।
  • Binary | 24.66.94.144 | ০৮ নভেম্বর ২০০৮ ০৯:৩৬563809
  • ব্ল্যাংক যকন একদম ব্ল্যাংক, আর লিকচেনা, তকন আমি-ই লিকি। আবাজ দিওনি। আমি লিকি কলকেতার কতা-ই, মানে নস্টালজিয়া । তথ্য বিচারে ইদিক-সেদিক ভুল অবশ্য থাকতে-ও পারে।

    ডানলপ ব্রিজের নাম ডানলপ কেন ? সময়ের গভীরে হারিয়ে গেছে কারণটা, নামটা রয়ে গেছে পুরো জায়গাটার-ই। কারণটা নিয়ে অবশ্য আমার একটা অনুমান আছে। অনেক ছোটোবেলার ঝাপসাতর অতীতে বাবার সঙ্গে বেলুড় গেছিলাম। যদিও তখন আমরা যেখানে থাকতাম, সেই 'কালীচরণ ঘোষ রোড' থেকে সিঁথিমোড়-সচ্চাষীপাড়া হয়ে কুথিঘাট থেকে নৌকায় গঙ্গা পেড়িয়ে বেলুড়মঠ যাওয়া মনে হয় অনেক সোজা পথ ছিলো। কিন্তু বাবা বোধহয় ভরা গঙ্গায় দোদুল্যমান ডিঙ্গি নৌকায় ভরসা পাননি। তাই ডানলপ হয়ে বেলুড়। ক্ষীণ হয়ে আসা স্ম্‌তির সুতোয় টান দিলে, এখনো, বিটি রোডের উপর দিয়ে ডানকুনি লাইনের রেলব্রিজটার গার্টারে, হলুদের ওপর কালো র-ংএ বিশাল 'ডানলপ' লেখা হোর্ডি -ংটা মনে পড়ে। মিলিয়ন ডলার বাজি, সেসময় ডানলপ ব্রীজটা যেরকম দেখেছিলাম, অনেক পরে, নব্বই দশকের মাঝামাঝি, যখন আমি ডানলপ হয়ে ইন্ডাল-বেলুড়ের কারখানায় চাকরি করতে যেতাম, তখন-ও একই রকম দেখেছি। সেই রকম-ই রাস্তার দুপাশে ব্রীজের তলায় দর্মার বেড়ার বসতি। সেরকম-ই ভলকে ভলকে গঙ্গার জল উগরে দেওয়া হাইড্রান্ট, আর স্নানরত কুলি-মজুর-ফুটপাথবাসী। সেইরকম-ই বিটিরোডের ব্রিজের তলার অংশটুকু, গ্রানাইট পাথরের এবরো-খেবরো। বিটি রোডের দুপাশে বুজে আসা ড্রেন । সোনালী সিনেমার রাস্তায় ঢোকার মুখে ফুটপাথ দখল করা কাঁচা বাজার, আর ৫১/৫৬ রুটের বাসটার্মিনাস। এতদিনে বোধহয় এনএইচ২ আর দ্বিতীয় বালিব্রিজের কল্যানে, ডানলপের এই চেহারাটা বদলে গেছে।

    তো, আমার ধারনা (ভুল-ও হতে পারে) 'ডানলপ' লেখা সেই বিশাল হোর্ডি -ংটা থেকেই, জায়গাটা-ও ডানলপ। যদিও সেই হোর্ডি -ংটা উঠেগেছে কবেই, ডানলপ কম্পানীটাও বহুদিন রোগগ্রস্থ। নব্বই দশকের মাঝে ডানলপ ছাড়িয়ে বেলঘোরিয়া-আগরপাড়া-সোদপুর চত্বরে নিত্য যাতায়াত ছিলো। বিটি রোড আর ব্যারাকপুর রেললাইন চলেগেছে সমন্তরাল। বিটি রোডের ধারে ধারে আধা বন্ধ, আধা চালু অসংখ্য কলকারখানা। ডানলপ ব্রিজ পেড়িয়েই বাঁদিকে সরস্বতী প্রেস। বেলঘোড়িয়া পেরিয়ে 'ইন্ডিয়া ফয়েলস'। আগরপাড়া-র কাছে 'ডাকবাক'-এর কারখানা। এসব শিল্পাঞ্চলের প্রতিটি এলাকার আলাদা বৈশিস্ট আছে। আর আছে গন্ধ। বাসের জানালায় চোখবুঁজে বসে থাকলে, বলে দেওয়া যায়, কোথায় চলেছে। সরস্বতী প্রেসের আছে, ছাপার কালির তৈলাক্ত গন্ধ, আগরপাড়ার কাছে ভেষজ তেলের গন্ধ বা ডাকবাকের সামনে সিন্থেটিক রাবারের গন্ধ। ব্যারাকপুর রেললাইনের প্রতিটি স্টেশনে, বিটিরোড সংযোগকারি রাস্তা আছে, স্টেশন রোড। দমদম স্টেশন রোড, বেলঘড়িয়া স্টেশন রোড বা সোদপুর স্টেশন রোড। এই স্টেশন রোড সবগুলো কিন্ত একদম এক। ট্রেন থেকে নেমে, প্ল্যাটফর্মের রেলি-ংএর গায়ে সারিসারি চৌকিপাতা দোকান। ফলের, ম্যাগাজিন-পত্র-পত্রিকার, ঘড়ি সারাই-এর আর দাদ-হাজা-চুলকানির অব্যর্থ আয়ুর্বেদিক ঔষধের । সন্ধ্যে বেলা কেরোশিনের কুপি জ্বালিয়ে বিক্রিবাটা হচ্ছে দেদার। আয়ুর্বেদিক ঔষধের দোকানে ভাঙ্গাচোরা অ্যামপ্লিফায়ারে কর্কশ শব্দে চলছে গুপ্তরোগের চিকিৎসার প্রচার। পত্রিকার স্টলের সামনে, সদ্য ট্রেন থেকে নামা বা ট্রেনের অপেক্ষায় থাকা ভরলোক আধবুড়োদের ভীড়, 'ইন্ডিয়া টুডে' হাতে নিয়ে আড়চোখে তাকিয়ে দেওয়ালে টাঙ্গানো 'রহস্য কাহিনী' মার্কা বইয়ের মলাটে। স্টেশন থেকে বেরোনোর মুখে, ভাঙ্গা সিমেন্টের বসার জায়গা আর টিকিটঘর। টিকিট ঘরের সামনে এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে, কিছু ভবঘুরে আর ঘেয়ো কুকুর। স্টেশন থেকে বেরিয়ে জমজমাট বাজার। বারোফুট রাস্তার সাড়েছয়ফুট জুড়ে দোকান। সাইকেল রিক্সার ক্যাঁচকোঁচ। প্রতি বছর পুজোর আগে খোয়া আর পিচ ঢালা হয়, বর্ষায় আবার কঙ্কালসার। অফিসফেরত ট্রেনযাত্রী আর সাইকেল রিক্সার ধাক্কা বাঁচিয়ে হাঁটতে হবে। নিয়নের আলোয় ঝলমল 'সন্ধ্যা ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট' বা 'মাকালি মিস্টান্ন ভান্ডার, অভিজাত মিস্টান্ন প্রতিষ্ঠান'। পাম্প করা স্টোভের ওপর লোহার চাটু চাপিয়ে, ডালডায় ভাজা হচ্ছে, এগরোলের পরোটা। কর্মক্লান্ত ক্ষুদার্ত লোক, হাঁই-হাঁই করে খাচ্ছে এগরোল আর চাউমিন, পেটে অ্যামেবাওসিস। চায়ের দোকানে উচ্চস্বরে আড্ডা দিচ্ছে, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো, বেকার 'বাবলু'-র দল। শনিঠাকুরের বেদি-র পাশে, লালঝান্ডা লাগনো অপিস, ভারতের ক্যমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্স বাদী)। পাশের দেওয়ালে ভুষোকালিতে লেখা, 'রাম নারায়ন রাম' বা পঞ্জিকার বিজ্ঞাপন।

    স্টেশনথেকে একটা সাইকেল রিক্সায় উঠুন । কোনটায় উঠবেন আপনার চয়েস নয়, রিক্সা স্ট্যান্ডের কাছে গেলে কেউ হাঁকদেবে, 'ও-ও-ও হরিদা-আ-আ-আ কার লাইন গো-ও-ও'। টিনের খোঁচা আর বেরিয়ে থাকা পেরেক বাঁচিয়ে উঠুন। বলুন, যাবেন 'সেনবাগান' বা 'ঘোষবাগান'। ভাঙ্গাচোরা রাস্তায়, ঝকর-ঝকর করে চলবে রিক্সা। স্টেশন রোড ছেড়ে বাঁদিকের গলিতে (ডাইনে-ও হতে পারে)। ক্রমে কমে আসবে হই-হট্টোগোল। রিক্সা চলেছে এগোলি-সেগোলি। রাস্তায় টিম্‌টিমে বাতিস্তম্ভ। ৬০ পাওয়ারের আলোয়, আলোর চেয়ে অন্ধকার বেশী। দুচারটে পাকাদোতালা বাড়ি, আবার একটা টালির চাল। ঘেঁষাঘেঁষি বাড়ি। দোতালার রাস্তার দিকের ঘরে টিউবের আলো চলকে এসেছে। ভেতেরে, পড়ুয়া ছেলেটা সরুগলায় চেঁচিয়ে পড়ছে, মোগোল সাম্রাজ্যের ইতিহাস। দুটো বাড়ী ছেড়ে, অল্পবয়সী মেয়ের গলা, 'রাঙ্গিয়ে দিয়ে যাও-যাও-যাও যাওগো এবার যাবার আগে ---', বিয়ের জন্য গানের তালিম চলছে। আরএট্টু এগোলে পাড়ার মুদি দোকান, পাড়ার একদাদা দোকানিকে বলছে, 'দুটাকার (কে যানে এখন পাঁচটাকার কিনা, টাকার দাম-তো কমছে দিন দিন) মুড়ি-চানাচুর আর দুটো চারমিনার' দিতে। রিক্সা ডানদিকে গোঁত্তামেরে ঢুকে, চলবে একটা পুকুরের পাশ দিয়ে। পাড়ার পুকুর। এদিক-সেদিক আরো পুকুর আছে এরকম। কোনোটা পানাপুকুর, কোনোটা বা ডুবো পুকুর। ডুবো পুকুর মানে, দৈনন্দিন ব্যবহার হয়। কাপড়কাচা, বাসনধোয়া স্নান করা ইত্যাদি। এই পুকুরটা অবশ্য অনেকটা বড়। প্রায় দিঘি-র সমান। পুকুরের ওপর ঘন অন্ধকার। বর্ষাকাল হলে জল প্রায় রাস্তার কিনারায়। অবিরাম ভাওয়া ব্যা-ংএর 'বাংলা ব্যান্ড'। ডিসেম্বর জানুয়ারী হলে অবশ্য, জল নীচু। 'জল উঁচু বললে উঁচু, নীচু জল তল পাবিনে'।

    বেলুড় কারখানায় ননীগোপাল ঘোষ ছিলেন সিনিয়ার অ্যাকাউনটেন্ট। ননীদার বাড়ী ছিলো বেলঘোড়িয়ায়। ননীদার বাড়ী যাওয়ার রাস্তাটা একদম এরকম-ই ছিলো। ননীদা ছিলেন, পাক্কা সিপিএম বিরোধি। মানে কেউ ওনাকে বলেছিলো, বাংলায় সিপিএম অজর-অমর, যুগে-যুগে। ননীদা বললেন, 'এইরে আমার হিসি পেয়ে যাচ্ছে'।
  • Riju | 121.241.164.22 | ০৮ নভেম্বর ২০০৮ ১১:২৪563810
  • না নিবেদিতা সেতুর কল্যাণে ডানলপ জায়গাটার কোন ভোল বদল হয়নি।শুধু চাট্টি দোকান বেড়েছে-
    যেমন ঢাকা বিরিয়ানি হাউস(ভালো বানায় কিন্তু,পরীক্ষা প্রার্থনীয়),স্পেনসার আর একটা অ্যাক্সিস atm ।কিন্তু ভেতরে ভেতরে সেই আগের ডানলপ।
  • Binary | 24.66.94.144 | ০৮ নভেম্বর ২০০৮ ১৩:০৪563811
  • প্রায় গত জন্মের কথা মনে হয়। সোনালী সিনেমার ঢোকার মুখে একটা রেস্টুরেন্ট ছিলো। নামটা ভুলে গেছি। খাসা জিভে জল আনা ডিমতরকা আর চাপাটি পাওয়া যেত। রাত দেড়টার সময়, কারখানা থেকে বাড়ি ফেরার পথে। ওফ!!!!
  • d | 117.195.35.199 | ০৮ নভেম্বর ২০০৮ ১৫:০৯563812
  • বাইনারির লেখার হাতটা বেশ। তা দু এক পীস বুলবুলভাজা লিখে পাঠালেও তো পারো, দেশ ও দশের উপকার হয়।
  • Du | 71.164.133.160 | ০৮ নভেম্বর ২০০৮ ২২:০৯563813
  • ছবির মতন হয়েছে। বঢ়িয়া।
  • ranjan roy | 122.168.203.255 | ০৮ নভেম্বর ২০০৮ ২২:৩৪563815
  • আহা, বাইনারি! কি লেকাই লিকেচো? দশে দশ। দময়ন্তীর সৎপরামর্শের( অসৎ পরামর্শ ও দেবে ক্যানো?) সমর্থন জানালাম।
    ষাটের আর সত্তরের দশকে কুঠিঘাট, সৎচাষীপাড়া, টবিন রোড্‌( এমনি নাম কেন?), কালীচরণ ঘোষ ল্‌র্‌ন, সিঁথির মোড় চষে বেড়িয়েছি।
    ডানলপ,বেলঘরিয়া,আড়িয়াদহ, আলমবাজার।
    প্রায় চল্লিশ বছর পরে গত আগস্টে ডানলপ-সোদপুরের ওপর দিয়ে ব্যারাকপুর-কল্যাণী-চুঁচড়ো ঘুরে এলাম।
    হ্যাঁ, আমার সময়ের হিসেবে হয়তো বাড়ি-ঘর, রাস্তাঘাট সংখ্যায় কিছু বেড়েছে। কিন্তু, ভেতরে সেই এস ওয়াজেদ আলি! এমনকি পুকুরের পাড় ধরে সাঁ করে ঘুরে যাওয়াও অপরিবর্তিত।
    তবে বেলঘরিয়া এক্সপ্রেস হাইওয়ে অবশ্যি সুখদ ব্যতিক্রম।
  • r | 198.96.180.245 | ১০ নভেম্বর ২০০৮ ১৭:১১563816
  • বা:! উত্তর শহরতলির বর্ণনাটা ব্যাপক লাগল।
  • r | 198.96.180.245 | ১০ নভেম্বর ২০০৮ ১৭:১৮563817
  • তবে হাওড়া-শেয়ালদার মত ইলেকট্রনিক বোর্ড আর ট্রেনের যান্ত্রিক অ্যানাউন্সমেন্টটা চালু হবার পর এই স্টেশনগুলোর চেহারা কিছুটা অচেনা হয়ে গেছে। ও, আর এখন প্ল্যাটফর্মে বসে বিড়ি ফোঁকার চলও কমেছে।
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১০:৩৩563818

  • M | 118.69.149.154 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৩:৫৫563819
  • এই টই টা দেখে কতগুলো লাইন খুব মনে পড়ছে:

    লেগেছে অমল ধবল পালে
    মন্দ মধুর হাওয়া।
    দেখি নাই কভু দেখি নাই
    এমন তরনী বাওয়া।

    কোন সাগরের পার হতে আনে
    কোন সুদুরের ধন।
    ভেসে যেতে চায় মন......
  • M | 118.69.149.154 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৪:২৭563820
  • আমার ছোটবেলাও তো শহরেই, কলকাতা। তবে গ্রাম ও ছিলো ছোটবেলায়। প্রথমে ক্লাস থ্রী পর্যন্ত্য মানিকতলায়, বাগমারি বাজারের কাছে।কিছু কিছু জিনিস এখন ও মনে আছে, যেমন খালের উপর দিয়ে একটা ব্রিজ ছিলো।আসলে আমাদের পাড়াটা তে বেশীর ভাগ বাড়িতেই অনেক ভাড়াটে থাকতো, আর পাড়ার মোড়ের মাথায় ছিলো পালকম্পানির বিরাট বাড়ীটা, ওটা নাকি ভুতের বাড়ী ছিলো, আর বিয়ে গুলো ঐ বাড়িতেই হতো, মানে অনেক জায়্‌গা কিনা, ওখানে তো গলিঘুঁজি , জায়গা বড় কম। তবে আমরা যে বাড়ীতে ভাড়া থাকতাম তাতে আমরা ই শুধু ভাড়াটে, আর মা আর সেই বাড়ীওয়ালী ঠাকুমা খুব পরিস্কার আর সতর্ক মানুষ ছিলেন তাই আমরা ঐ ধরনের পাড়াতেও অন্য রকম পরিবেশ পেয়ে বড় হয়েছিলাম।আমাদের পাড়ায় তো খেলা বারন ই ছিলো, কারন বড় রাস্তা খুব কাছে আর পরিবেশ ভালো নয়, এমনকি আমাদের বাড়ীর দরজায় দাঁড়ানো পর্যন্ত্য বারন ছিলো।এ ব্যাপারে বাবা মার মতো দাদু, ঠাকুমা, ভালো পিসি আর ভালো কাকু ও খুব কড়া ছিলো।ওদের আমরা কখন পর বলে ভাবতে শিখিনি আর ওরাও আমাদের নিজের মতো ই ট্রিট করতো। ছোট কাকু বা পিসি বড় হয়েছে তবে খুব বড় নয়, ওদের সাথেই আমার আর ভাই এর খেলা। আমাদের বাড়ীর পিছনে যে দিকটাতে টয়লেট ছিলো সেদিকে ছোট্ট একটা বাগান আর স্কটিশচার্চ এর মাঠটা ছিলো।স্কুল যেতে খাল এর উপর দিয়ে হাঁটার সময় খালপাড়ের মানুষদের বাচ্চা গুলোর অপার স্বাধীনতাকে খুব হিংসে করতাম।আর ঐ ব্রিজের উপর থেকেই একবার একটা চিলে আমার আলুকাবলির ঠোঙায় অ্যা করে দেয়। তখন কত কান্নাকাটি করে ঐ ডেলিকেসি পাওয়া যেত, আমি ব্রিজের উপরেই কাঁদতে বসে পড়েছিলাম,একবার মানিকতলা থানার কাছে উপরের রেলিং ভেঙ্গে একটা লড়িকে ঝুলে থাকতে দেখেছিলাম, পরে স্কুল যেতে গিয়ে আমি নিজেই একবার ওখান থেকে তবে ব্রিজ যেখানে নেমে এসেছে , পপাত হয়ে গেছিলাম।সেই প্রথম হাসপাতাল দর্শন, তখন থেকেই ফিনাইল আর ডেটলের গন্ধ পেলেই হাসপাতাল মনে পরে, আমার কিছু পিকুলিয়ারিটি আছে, কেন জানিনা গন্ধ আর ও অনেক কিছুর সাথেই জায়গা বা ক্ষন রিলেট হয়ে যায়। যেমন জেসুদাসের গান শুনলেই শিলিগুড়ি মনে পড়ে। আমাদের খুব প্রিয় একটা পোষা কুকুর ছিলো , কালু, কালুকে কেউ বিষ দিয়ে দেয়। ও মরে গেছিলো আর ওকে ঐ খালে ফেলে দেওয়া হয়। আমি ছোটবেলায় বড্ড নরম ছিলাম, সে ভারী কষ্টের, এখন ছেলেটাকে দেখে বুঝি, ও ও আমার মতো, আমি কাঁদবো বলে আমায় সবাই বললো কালু হাসপাতলে , চলে আসবে।পরে স্কুল থেকে ফিরছি যখন ভাই বলেছিলো জানিস দিদি কালু মরে গেছে তাই ওকে এই খালে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তারপর থেকে রোজ স্কুল যাওয়া আর ফেরার সময় একবার করে ঝুঁকে দেখতাম দেখা যায় নাকি।
    আর বাড়ী থেকে পাড়ায় খেলতে যেতে না পারার জন্য খুব নিয়ে যাওয়া হত হেঁদুয়া আর বিধান শিশুর উদ্যান। দুটো জায়গায় হেঁটে যাওয়া হতো, এখন ও আমি হাঁটতে খুব ভালবাসি, তুমি যদি কোথাও খুব ভালো করে দেখতে চাও তো হাঁটা টা মাষ্ট, না হলে কত কিছু যে দেখা হবে না।হেদুয়াতে একটা ছোট পার্ক ছিলো যাতে একটা গাছ ছিলো , তার পাতারা পেকে কমলা হলুদ হয়ে যেত আর ধরলেই টুপ করে খসে পড়তো।
  • M | 118.69.149.154 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৫:০৫563821
  • এরপর আমরা বাড়ী করে বেহালা চলে গেলাম, ৮৩ সালের জানুয়ারীতে, ভাই আগেই আর্যতে ভর্তি হয়ে যায়, ও কয়েকদিন মানিকতলা থেকে বেহালায় গিয়ে স্কুল করেছে,তখনতো অ্যাকাডেমিক সেশান মানে বেঙ্গল বোর্ডের জানুয়ারীতেই শুরু হতো, মার খুব কষ্ট ছিলো ভাইকে স্কটিশ থেকে বার করে নেওয়া হলো বলে, বেহালায় আমি ফোর আর ভাই টু তে তখন আসি, কাজেই আমাদের সেভাবে কষ্ট আসেনি, মাদের খুব কষ্ট হত কারন যেখানে ছিলাম সেখানে রামের সাথে এই মাত্র তফাত ছিলো যে সেখানে বাড়ী গুলো সব পাকা বাড়ী, যদিও এখন গ্রামের বাড়ী ও পাকা ই হয়, আর আগে কেবল অবস্থাপন্ন মানুষদের বাড়ী ই পাকা হতো গ্রামে।বেহালাকে ও কলি-৩৪ লিখতাম কাজেই কলকাতা, এটা বিরাট ধাঁধা লাগতো, কলকাতা বলতে তো বুঝতাম কেবল বাড়ী আর বড় রাস্তা আর তাতে গাড়ীর সারি।তবে মজার ব্যাপার এই এখানকার লোকে বড় রাস্তায় মানে ট্রাম ডিপো যেতে হলেও বলতো বেহালা যাবো, আর এসপ্লানেড যেতে হলে বলতো কলকাতা যাবো। এই নিয়ে মারা খুব মজা পেত। আসলে যেখানে বাড়ী করে যাওয়া হলো সেখানে সবাই নতুন বাড়ী করে এসেছে, সবাই বাবার অফিসের মানে টেলিফোনের তখন বোধহয় টেলিফোন এন্ড টেলিগ্রাফ না কি যেন বলতো,সেই আফিসের লোক। বেশীর ভাগই কলকাতা মানুষ।
    শহরের এই দক্ষিন প্রান্ত(আসলে বোধহয় পশ্চিম)কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছিলো।মা এখানে আর আমাদের আটকে রাখতো না, চারিদিকে তখন ও কেবল মাঠ, রাতে পিছনের জলা থেকে বোধহয় শেয়ালের ডাক শোনা যেত। এবারে গিয়ে দেখি এয়ারোডামের মাঠটা যেখানে একটা নিউ এয়ারপোর্ট হবে তার চারিদিক ছাড়া কোন জায়গা আর ফাঁকা নেই, খালি বাড়ী আর বাড়ী।তবে অখন ও আমাদের বাড়ীর কাছে দুষন অনেক কম, গাড়ীর আওয়াজ নেই, ধুলো ও সেভাবে নেই।আমরা যখন গেলাম তখন দুপুর গুলো কি মজার ছিলো, ছিপ দিয়ে মাছ ধরা, কুল পেড়ে খাওয়া, ভাইয়ের সাথে ঘুড়ি ওড়ানো, ভাই আর আমি পিঠো পিঠি, কাজেই আমাদের খুব মারপিট আর খুব ভাব দুটৈ চলতো।ভাই আমায় ঘুড়ি উড়িয়ে সুতোটা ধরতে দিলো, এছাড়া আমার কাজ ছিলো লাটাই ধরা আর ফাত্তা দেওয়া।ঋভুকে একবার ঘুরি ওড়ানোর কথা বলেছিলাম তো বেচারী ওড়াতে চেয়ে কি মুস্কিল, ওর বাবা ও ওড়াতে জানেনা। অবশ্য ও বেশির ভাগ সময় ই বাবাকে কাছে ও পায় না। ছেলেরা ঘুড়ি ওড়াতে পারেনা সেই প্রথম দেখলাম, শেষে একবার গ্যাস বেলুন কিনে ঘুড়িতে লাগিয়ে ঋভুকে দিলাম, কি আনন্দ ওর। তবে এখনকার বাচ্চা গুলো ও কেমন যেন, রোদ্দুর থাকলে ঋভু সানগ্লাস পরে তবে উপর দিকে তাকাবে।কি থেকে কোথায় চলে যাচ্ছি, তবে শহর বলতে গেলে তো মানুষ অবশ্যম্ভাবী ভাবে আসে তাই না? মানিকতালা আর বেহালা পুরো অন্য রকম। বেহালায় পুজো মানে ছোটদের ও বিরাট ভুমিকা, সেটা হলো প্যান্ডেল বাঁধার পর বাঁশ ধরে দোল খাওয়া, আর প্রতিদিন নিজেদের এলাকার প্রগ্রেস নিয়ে অন্যদের কাছে কেতা নেওয়া।এখানে এসে স্কুল ও একা যেতে শুরু করলাম, এই এলাকাটা খুব ঝামেলা প্রবন এলাকা ছিলো, আসলে খুব ফাঁকা বলেই কিনা কে যানে, মাঝে মাঝেই স্কুলে আটকে দেওয়া হতো, পাড়াতে গন্ডগোল হচ্ছে বলে,আর লুনার মাঠ থেকে আমাদের বাড়ী পর্যন্য আসতে কোন ইলেক্ট্রিক আলো ছিলো না বলে বাবা ব্যাগে টর্চ রাখতো,আর সেই রাস্তায় ঘোষ জেঠুদের বিরাট বাউন্ডারী যেটা কিনা বেড়ায় ঘেরা তার গাছ থেকে প্রায়শই সাপ ঝুলতো।বাবা , কাকু জেঠুরাই প্রথম নিজেদের গ্যাঁট ভেঙ্গে খোয়া এনে ছুটির দিনে নিজেরা বয়ে রাস্তায় ফেলেছিলো, যার মধ্যে দাশগুপ্ত জেঠু ছিলেন ক্লাস ওয়ান গেজেটেড অফিসার,তখন ও মানুষ চেঁচিয়ে অন্য লোককে গালি দিয়ে নিজের শিক্ষা রুচি জাহির করার থেকে কাজে কিছু করাকে গুরুত্ব দিতো, কত বছর ই বা আগে, মাঝে মাঝে অবাক হয়ে দেখি শিক্ষিত মানুষেরা নিজের রুচি জাহির করার জন্য অন্যকে রুচিহীন ভাবে কাটা ছেড়া করছে এটা সত্যি বড় কষ্টের।
    এখন সেই রাস্তা পিচ হয়ে গেছে, সেই জেঠু আর বেঁচে নেই। আমার বেহালায় ঐ জায়গার মানুষ এখন ও অন্যের জন্য ছুটে আসতে দ্বিধা করে না।
  • M | 118.69.149.154 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৫:৫৭563822
  • এছাড়াও বেশ কিছু শহর এক ঝলক দেখে এমন লেগেছে,
    দিল্লী, ব্যস্ত শহর, কেউ থামতে চায় না।জব্বলপুর ,প্রায় দু দশক আগে হবে, সাইকেলের শহর, পুরানো দিল্লী,পুরানো গন্ধ আর মন কেমন করা শহর, জামসেদপুর, এটাও ৮৬ সালে দেখা, বিশাল বিশাল গাছের আর সুন্দর পার্ক আর সুবর্নরেখা নদীর কাছে টেনে নেওয়ার শহর।
    বেনারস, কেমন যেন দক্ষিনেশ্বর মন্দির টাইপ, শিলিগুড়ি , এখানে বিয়েরপর তিন মাস সাকুল্যে কাটিয়েছি, কিন্তু বড় ভালোবাসার শহর, ৯৬ এ গেছিলাম, তখন ওখানকার মানুষজন খুব কাছে টেনে নিয়েছিলো, আমার বাড়ীওয়ালা ভাগ্য বড় ভালো, কাকু কাকীমা খুব ভালো ছিলেন, আমি প্রায়শই কড়াইয়ে তেল দিয়ে কাকীমার কাছে ফোড়নটা জানতে ছুটতাম, এই ব্যাপারটা বড্ড পাজেল টাইপ, কিছুতেই কি ফোড়ন দেবো মনে থাকতোনা, কাকীমা খুব স্নেহ ভরে শিখিয়ে দিতেন, নিজের লোকেরা সেই স্নেহ কোনদিন দিলেন না। ভীষন ভালো লাগার শহর আমার শিলিগুড়ি, সোঁদা মাটির গন্ধ, জেসুদাসের গান, বিধান মার্কেট, বন্ধে টু হুইলারে কোন চাপ নেই, তাই সুখনা যাওয়া যেখানে কিনা বৃষ্টি আগে আগে যায়, মানে দেখতে পাচ্ছো কিন্তু ভিজতে পারছো না।হাওড়া হলো দম আটকানো শহর ,বোটানিকাল বাদ দিলে আর ঐ বাগানে বড্ড মিঠে কষ্ট কারন তার পাশেই শিবপুরের ডিমড ইউনিভার্সিটি,ওখানেই আমার প্রথম ভালো লাগা থাকতো যাকে আমি চিনতাম কেবল চিঠিতে। আর কলকাতার বিভিন্ন জায়গা এমন হচ্ছে,
    মানিকতলা: ধুলো আর আওয়াজ।
    দমদম:এরোপ্লেন আর শিলিগুড়ি যাবার রকেট।আর খুব খারাপ মনের আর সমালোচনা করা মানুষদের ভীড়, আসলে আমার নিজের অভিজ্ঞতা -র জন্য, সবাই সত্যি এমন নয়।ওখানে আমার বিয়ের পরের প্রথম দশ বছর কাটে, প্রথম কত কিছু ওখানেই তবু ভালোবাসতে পারিনি এতটুকু,কেমন যেন দমদম মনে হলেই সবার আগে গোরাবাজারের জেলখানাটা মনে পড়ে।
    বেহালা:উদ্দাম খুশির জায়গা।
    বালিগঞ্জ:নাক উঁচু লোকেদের জায়গা।
    যাদবপুর:স্বাধীন স্বাধীন গন্ধের জায়গা, আসলে জীবনের প্রপার স্বাধীনতার স্বাদ এখানেই পাই ছমাসের জন্য, পলিটেকনিকে ভর্তি হয়ে RIPT-র স্টুডেন্ট হিসাবে এখানে ছিলাম ছমাস, তারপর আর পড়া হলো না। কিন্তু ইউনিভার্সিটির চার নম্বর গেটের পাশে আমার কলেজটা যেমন ইন্টারেস্টিং মেশিনে বোঝাই ছিলো তেমনি ছিলো গোটা এলাকাতে একটা বড় হয়ে যাওয়া স্বাধীন গন্ধ।বেটার বেপরোয়া একটা গন্ধ।
  • M | 118.69.149.154 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৬:৫৩563823
  • আর বিদেশের শহর বলতে এয়ারপোর্ট থেকে বা উঠতে নামতে সিঙ্গাপুর আর ব্যাঙ্কক কাজেই সে শহর ভালো করে দেখা হয় নাই, এ ছাড়া দেখেছি নমপেন, হ্যানয় আর হো চি মিন।

    নমপেন এ খুব কম থাকার দরুন, মানে বেড়াতে গিয়ে কেবল তাই খুব ভালো করে চেনা হলো না। কিন্তু শহরটা কেমন যেন থমথমে।ওখানে দেখার জিনিস মাত্র দুরকম, এক সাইকিক পল পটের অত্যাচারের নমুনা আর দুই হলো রাজবাড়ী।এখনকার রাজা নরদম সিংহানুক বিয়ে করেননি, কাজেই মনে হয় এখানেই বংশের ইতি, মানে রাজার ইতি হবে হয়তো, রাজা নাকি গে এমন একটা রিউমার আছে।
    এখানে একটা স্কুলকে পলপট জেলখানা বানিয়েছিলো, সেই স্কুলটা এখন মিউজিয়াম হিসাবে রয়েছে।নাম ভুলে গেছি।কি বিভৎস অত্যাচার হয়েছিলো তার সাক্ষী এই স্কুল, পল পট তার জমানায় বিশ্বাস করতো যে দেশে থাকবে দু ধরনের মানুষ এক হচ্ছে শাসক দল আর এক হচ্ছে শাসিত মজুর বাহিনী, কাজেই প্রথমেই সে সমস্ত শিক্ষিত আর বুদ্ধিজীবিদের বন্দী করে।কারন একটাই, মস্তিস্ক বেশী যারা খেলাতে পারে তাদের নিয়েই সমস্যা আসে,কাজেই সবার আগে তাদের নিকেশ করে দেওয়া হলো।পল পটের বাহিনী ছিলো বারো থেকে উনিশ বছরের ছেলে মেয়েদের নিয়ে তৈরী যাদের কিনা পরিনত বুদ্ধি আসেনি আর সহজেই তাতিয়ে দেওয়া যায় আর ভয় পাইয়েও।বন্দীদের দুরকম ভাবে ফটো তোলা হতো, এক সামনে থেকে আর দুই সাইড থেকে, কচি বাচ্চা থাকলে তাকে মার সাথে ফটো তোলা হতো।এই অত্যাচারের হাত থেকে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোকেও বাদ দেওয়া হতো না।এই বন্দীদের ঘরের সামনে দশ দফার নোটিশ থাকতো, তাতে শেষে লেখা থাকতো যে এগুলো না মানলে তাকে দশ ঘা বেত মারা হবে বা ইলেক্ট্রিক শক দেওয়া হবে আর সে সময় তুমি কাঁদতে পারবে না।কথা বলানোর জন্য পা বেঁধে ঝুলিয়ে দেওয়া হতো এমন ভাবে যে নাকটা কোন পচা জলের পাত্রে চুবে যাবে।আর বেশিক্ষন উল্টে থাকার সময় নাক উঁচু করে রাখা ও যেত না।একটা ক্লাসরুমকে খুব ছোট ছোট কামড়ায় ভাগ করা হতো তাতে একটা মানুষ হাত পা ছড়িয়ে থাকতে পারে না, সেখানে পায়ে শিকল বেঁধে রেখে দেওয়া হতো।স্নান করার সময় একঘরে ঢুকিয়ে জানলা দিয়ে পাইপ দিয়ে কিছুক্ষন জল ছিটিয়ে দেওয়া হতো আর সেটাও সপ্তাহে একবার। আর বড় ঘরে এভাবে বন্দীদের রাখা হতো যে দুজনের পা একসাথে বাঁধা, ফলে বেশীর ভাগ সময় মুখোমুখি বসতে হবে বা দুদিকে মাথা করে শুতে হবে।সকালে নগ্ন করে এক্সেরসাইজ করানো হতো।আর এই সময় বেশিরভাগ মেয়েদের রেপ করা হতো। এখান থেকে বন্দী দের নিয়ে যাওয়া হতো কিলিং ফিল্ডে, সেখানে প্রথমে তাদের চোখ উপরে নেওয়া হতো, তারপর হাঁটু মুরে বসিয়ে পিছন থেকে মাথায় লাঠির বারি দিয়ে মেরে ফেলা হতো, আর এই কাজ করতো সেই সব খমের রুজ বাহিনীর বাচ্চা সদস্যরা।আর তাদের খুঁড়ে রাখা ডোবায় ফেলে দেওয়া হতো যাকে বলে মাস গ্রেভ। এখানে এখন একটা বিশাল মিনার মতো করেছে যেখানে কাঁচের একতলা দোতলা মনে নেই তিন তলাও ছিলো হবে যা কিনা মানুষের মাথার খুলিতে ভর্তি, যেখানে কয়েকমাসের শিশু থেকে সত্তর বছর বয়স্ক মানুষের খুলি পাওয়া গেছে।প্রায় ত্রিশ মিলিয়ন মানুষকে মেরে ফেলা হয়েছিলো, বাচ্চাদের নাকি গাছে ছুঁড়ে বা আকাশে ছুঁড়ে বন্ধুকের যে দিকে ছুড়িটা থাকে সেই দিক দিয়ে গেঁথে ফেলা হতো। মজার ব্যাপার এই ঘটনা কোন প্রাচীন ঘটনা নয়, এটা আশির দশকের ঘটনা, একটা সাইকো লোক তার নিজের দেশের একটা গোটা জেনেরেশান শেষ করে দিলো। এখন ও দেশটা চুড়ান্ত অরাজক অবস্থায় আছে, যদিও পল পটের শাসনের শেষ হয়েছে।এখানকার মেয়েদের নাকি খুব দাম। মেয়েদের জন্য তার বাবা মারা মোটা দ্যাহেজ নেন। আমাদের যে গাড়ীতে ঘোরাচ্ছিলো সে ছেলেটির তাই তার প্রেমিকার সাথে বিয়েই হচ্ছে না। এখানে সহবাস কোন পাপ বলে ধরা হয়না, মানে বিয়ের আগে,কিন্তু বাচ্চা হবার আগে বিয়ে করতে হয়। আর এখানে বেশীর ভাগ মেয়েই দেহ ব্যবসায়ী, কারন এই ব্যবসা এখানে লিগাল। এখন ও সন্ধ্যেতে হামেশাই রাস্তায় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে লোকজন দেখা যায়, যে যেমন ভাবে পারছে লুটে নিচ্ছে আর কি।এমনকি বর্ডারে চেকিং এর সময় অফিসাররা বেমালুম আমার হাবির ক্যামেরা ঝেড়ে দিয়েছিলো আর তারপর এক মিষ্টি হাসি উপহার দিয়েছিলো।এখানেই প্রথম দেখি ডিমটা এমন যে তার ভিতরে হাঁস বা মুরগীর বাচ্চাটা হয়ে গেছে , সেই রকম ডিম লোকে খাচ্ছে।আর ক্রিকেট ভাজা ঝাঁকাতে বাদাম ভাজার মতো বিকোচ্ছে।
    তবে রাজবাড়ীটা খুব সুন্দর লেগেছিলো, আর রাজবাড়ী ঢোকার একটা নিয়ম আছে, তুমি হাঁটুর উপরে বা স্লিভলেস এই ধরনের পোষাকে ঢুকতে পারবে না।এখানে একটা মন্দির আছে যেটাতে খুব দামী দামী বুদ্ধ মুর্তি আছে,পান্না, কৃস্টাল,জেড পাথর, সোনা এবং হীরে, এইরকম নানা দামী পাথরের। এই মন্দিরের ফ্লোরটা পুরো রুপার টাইলসে তৈরী, একটা বুদ্ধ মুর্তি আছে যেটা বোধহয় পাঁচ ফিট হাইটের ৯০ কেজি-র আশে পাশে হবে সোনার পরিমান যা দিয়ে এটা তৈরী আর সারা গায়ে দু হাজার এর মতো হীরা আছে, আর এর পিছনে রয়েছে এক ফুট মতো হাইটের বসে থাকা পান্নার বুদ্ধমুর্তি।
  • shyamal | 67.60.248.121 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৭:৫৭563824
  • M, আপনি তো ভিয়েতনামে থেকেছেন। ও দেশ সম্বন্ধে কিছু লিখুন না। এক দশক আগেও দেশটা ছিল এশিয়ার অন্যতম এক গরীব দেশ। কিন্তু উদার অর্থনীতির জন্য নাকি ইদানিং খুব উন্নতি করেছে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৮:১৪563826
  • ল্লেহ্‌
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন