এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শহর থেকে শহরে

    bozo
    অন্যান্য | ০১ এপ্রিল ২০০৬ | ১৭১৩৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • san | 14.99.109.247 | ১১ এপ্রিল ২০১১ ০০:৪৫563927
  • একদম ছবির মতন পড়লাম লেখাটা , বা:
  • i | 124.168.150.52 | ১১ এপ্রিল ২০১১ ০৩:৫৫563928
  • দুর্দান্ত। আর অসম্ভব স্বত:স্ফূর্ত। পাই কেন কম লেখে ?
    কেসির কথার প্রতিধ্বনি করলাম। ছবি আর লেখা মিলিয়ে একটা বড় লেখা।চাই।
  • kabiyaal | 123.242.248.130 | ১১ এপ্রিল ২০১১ ০৯:০৩563929
  • সন্ধ্যে নামার সময় হলে, পশ্চিমে নয়, পুবের দিকে
    মুখ ফিরিয়ে ভাববো আবার, কোন্‌দিকে রাত হচ্ছে ফিকে ...
  • aishik | 115.184.15.148 | ১১ এপ্রিল ২০১১ ০৯:০৬563930
  • AsAdhAran...ArkichhuibalArnei
  • Samik | 123.242.248.130 | ১১ এপ্রিল ২০১১ ০৯:৪৪563931
  • সৃষ্টির দেবতা যখন তাকে কিছু দেন, তো শালা ছপ্পড় ফাড়কে দিয়ে ফেলেন। সকালে আপিসে এসে কিছুটি করার আগে ঈপ্সিতার লেখা বাংলাপ্লেনে এডিট করে পিডিএফ বানিয়ে ঈপ্সিতাকে পাঠিয়ে দিলাম। এখান থেকে শেয়ার করার অসুবিধে আছে। পাইখুক্স ইচ্ছে করলে কোথাও শেয়ার করে দিতে পারে।

    একটি কমপ্লিট কাব্য। একটি লাইনেও এতটুকু বাহুল্য নেই।

    সৃষ্টির যন্ত্রণা অনেকদিন তাকে ভোগাচ্ছিল। আমি জানি। দীর্ঘ নীরবতা সার্থক হল।
  • sayan | 98.225.180.78 | ১১ এপ্রিল ২০১১ ০৯:৫৯563932
  • বাপ্‌স! :-D
  • shrabani | 124.30.233.85 | ১১ এপ্রিল ২০১১ ১০:২০563933
  • এই লেখা এত সুন্দর মন খারাপের লেখা, কেমন করে উঠল মন!
  • til | 203.33.161.53 | ১১ এপ্রিল ২০১১ ১৭:৪৮563934
  • পাইদি, খুব ভাল লাগলো, খু উ ব। এখন, কেন কোন জায়গাটা ভাল লাগলো তার কারণ বলতে পারবো না। ভাল লেগেছে, আসটে ( কানাড়ায়)!
    আরও একটু নিয়মিত হলে কি ল্যাবে আবিষ্কার করাটা পিছিয়ে যাবে? যাক না।
  • pi | 128.231.22.150 | ১৩ এপ্রিল ২০১১ ২৩:২০563935
  • সক্কলকে ধন্যবাদ।
    কিন্তু ইয়ে , মানে এই সৃষ্টির যন্ত্রণা ও তদ্‌জনিত নীরবতা, এসব তো আমি নিজে কিছুই টের পাই নাই, কেমনে ব্যাটা বেথে পারিলো সেটা জানিতে ? :)
  • siki | 123.242.248.130 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ০৯:৫৪563937
  • শালা, সুগারকোটিং করে দিলাম পুরো ব্যাপার্টা, আবার এখানে নাক গলাতে এয়েছে? দেব নাকি ব্যথার আসল কারণটা ধ্যাদ্ধেড়িয়ে লিখে এখানে?
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:১৪563938
  • কি কারণ? শুনি শুনি
  • siki | 123.242.248.130 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১০:২৬563939
  • না:, ছেলেটা সিরিয়াস হয়ে গ্যাছে।

    টিম, জাস্ট মজা মারছি প্রথম থেকে :-) পাইয়ের কী হয়েছে না হয়েছে আমি কিসুই জানি টানি না। জাস্ট ক্যাও করছিলাম।

    পাই, সরি বস্‌, লেখার পরে মনে হচ্ছে একটু বেশি ক্যাও করে ফেলেছি। রোলব্যাক, রোলব্যাক।
  • kk | 71.236.36.122 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:০১563940
  • পাইএর এই লেখাটা আগেই পড়েছি, কিন্তু লিখতে একটু দেরি হয়ে গেলো। আমার মনে হলো এটা একটা কবিতা , কিম্বা তার থেকেও বেশি একটা পেন্টিং । একটা পেন্টিং যেন একটা সিনেমা হয়ে গেছে। বোঝাতে পারছি কি? এত ভালো লেখা, এত অনেস্ট এক্সপ্রেশন, এত স্পনটেনিয়াস ভাষা বিন্যাস, এতো সুরেলা অনুভুতি অনেক দিন পরে পড়লাম। অমি কাগুজে এবং নেট দুই গুরুতেই এই ধরণের লেখা আরও দেখতে চাই ।
  • Tim | 173.163.204.9 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:১৪563941
  • হ্যাঁ ইপিস্তো এখন থেকে প্রতি উইকেন্ডে বুবুভা লিখুক। কেউ একজন মেইল করে করে তাগাদা দেবে---এমনি হলে বেশ হয়। ;-)
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ১৯:৪৯563942
  • টিম্ভাইরে একেবারে ক্ক দিলাম।
  • hu | 12.34.246.72 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ২০:০২563943
  • এই পোজেক্টে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে আমি রাজি। ইপিস্তাকে তাগাদা দেব ভাবতেই কেমন হিংস্র আনন্দ হচ্চে! ;-)
  • byaang | 122.167.86.183 | ১৪ এপ্রিল ২০১১ ২৩:৫৮563944
  • হ্যাঁ, হ্যাঁ, আমিও খুব ভালো তাগাদা দিতে পারি। আমিও দেব, আমিও দেব।
  • MeghAudity | 61.247.176.154 | ২৯ জুন ২০১১ ১০:২৫563945
  • শূন্যের ভিতর ঢেউ

    জানলা দিয়ে তাকিয়ে আছি। নারকেলগাছের গা গলে ঢুকে পড়েছে রোদ্দুর। উঠোনে দুটো শালিক। কার্নিশে বসে ডেকে যাচ্ছে চড়াই। রোদ আরও চওড়া হয়ে এবার উঠোনে এসে পড়েছে। ভুরু কুঁচকে, চোখ কুঁচকে তবু রোদ্দুরের দিকে তাকিয়ে আমি। প্রায়ান্ধকার জানলার এপাশে দাঁড়িয়ে মুখ ভেঙ্গেচুরে যায়, আমি ভাঙ্গতে শুরু করি ভিতর থেকে। মনে হয় মানুষ হয়ে জন্মালাম কেন! পাখি হতে পারতাম, ঘাস হতে পারতাম অথবা প্রজাপতি, শালিক, চড়াই বা রোদ্দুর যে কোন কিছুই তো হতে পারতাম! মানুষ না হয়ে এসবের যে কোন কিছু হয়ে জন্মালে আমার অনুভূতি থাকত কি!!
    এই যে এখন জানলার পাশে দাঁড়িয়ে আছি, মরে যাচ্ছি আমার অপ্রাপ্তিবোধে – এ তো থাকত না। ইচ্ছে হলেই তো আমি ছুঁতে পারিনা কাঁশফুল, মাঠে দৌড়ে বেড়ানো ছেলেমেয়েদের সাথে মিশে যেতে পারি না। রাতে একা একা নদীর ধারে বসতে পারি না। তিথি বুঝে বেরিয়ে যেতে পারিনা সেই সব উৎসবের রাতে। আমি কেবল ঘরে বসে থাকি। নিজের ঘরে, অফিস ঘরে। দমবন্ধ হয়ে গেলে আমি জানলা খুলে দিই। নারকেল পাতার রোদ্দুরে দোল খাওয়া দেখে বিষণ্ন হয়ে পড়ি, চোখ থেকে চশমা খুলে নিয়ে কাঁচের অদৃশ্য ধুলো মুছতে ব্যস্ত হয়ে পড়ি।
    যেখানে দাঁড়িয়ে আছি এখন, আসলে কোন গাছ বা রোদ্দুর সেখানে নেই। আছে জানলা ঘেঁষে ছাইরঙা গম্ভীরমুখো এক মস্ত দেওয়াল। এখানেই দাঁড়িয়ে আমার ছোটবেলার উঠোনজুড়ে রোদের আলোর কথা ভাবছিলাম যেখানে দুটো শালিক আসত, আর কার্নিশে বসে ডাকত চড়াই। ছোট মফস্বল শহরটা ডুবে থাকত রোদ্দুরে, বৃষ্টিতে। আকাশ থাকত ঝকঝকে নীল বা কখনও স্তূপ করা সাদা মেঘে। কালো হয়ে গেলে সে আকাশ থেকে বৃষ্টি ঝরত খুব। বৃষ্টি শেষে আকাশ জুড়ে ফুটে উঠত রামধনু, মন ভালো করে দেওয়া সব রঙ।
    মনে মনে চোখ নামিয়ে নিই সেইসবের কাছ থেকে। জানলা বন্ধ করি, এমনকি দরজাও। চুপ করে এসে আমার জায়গাটিতে বসি। চোখ আড়াল করতে ফের চোখে তুলে নিই চশমা। কাগজ নিই, কলম নিই, চেকবই নেড়েচেড়ে দেখে রেখে দিই।
    জারিয়ে তোলা আমলকির মত প্রবল বিষাদের তোড়ে
    আমি
    নি:স্ব থেকে নি:স্বতর হই।
  • MeghAudity | 117.18.231.13 | ২৯ জুন ২০১১ ১২:৪৮563946
  • Pi-এর লেখাটা খুব ভালো লেগেছে।
  • PRB | 14.99.57.145 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৩০563948
  • ইপ্সো দির লেখাটা'র প্রুফ দেখার সময়ই ভাবছিলাম আমি এরকম কবে লিখব! যাকগে, ও আমাকে বলল নিজের একটা লেখা এখানে দিতে, পরের কমেন্টে দিচ্ছি। এটা গত একমাস ধরে আনন্দবাজার এর ই-পেপারে ফিচার্ড।
  • PRB | 14.99.57.145 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৪১563949
  • কলকাতার কল্লোলিনী রূপটা ছোটবেলা থেকে প্রতিদিন দেখার সৌভাগ্য হয়নি। আমার ছোটবেলা খুব বেশিদিন নয় অবশ্য, এই মাত্র বছর কুড়ি বা এক যুগ আগে। বড় হয়েছি মফস্বলে, বাবার চাকরিসূত্রে থাকতাম সরকারি কোয়ার্টার্সে। একেকদিন বাবা বাড়ি ফিরে বলত, “আজকে অফিসে ফোন এসেছিল কলকাতা থেকে।” ঐ হয়তো কোনো অনুষ্ঠানে নেমন্তন্নের জন্যে বা এমনি কুশল সংবাদ আদান-প্রদান। আমিও আশেপাশের বন্ধু বা খেলার সঙ্গীদের বলতাম গর্বের সাথে, “আজকে দিদার বাড়ি যাচ্ছি, কলকাতায়।” দিদার বাড়ি, যেটা কিনা বরানগরে হলেও না কলকাতা না মফস্বল একটা যায়গা ছিল, সেটা আমার মহঙ্কেÄ কলকাতাই হয়ে যেত লোকের কাছে। মাঝেমধ্যে অবশ্য কলকাতার ওপর বেশ রাগও হত। কিছু অকালপক্ক দূরসম্পর্কের ভাইবোন ছিল যাদের সাথে দেখা হলেই মফস্বল নিয়ে খোঁটা দিতে ছাড়ত না। তখন মনে মনে ভাবতাম কলকাতায় বড় হলেই বুঝি লোকজন এমন নিষ্ঠুর হয়ে যায়। আরেকটি আশ্চর্য্য ছিল আমার এক সহপাঠিনী, যে কোনো অজ্ঞাত কারণে বালিগঞ্জ থেকে রোজ ট্রেন ঠেঙিয়ে মফস্বলের স্কুলে আসত।

    তখন কলকাতা যাওয়া বলতে বিভিন্ন আত্মীয়দের বাড়ি বা দুর্গাপুজোয়। আর ছিল কিছু স্পেশাল ভ্রমণ, যেমন প্রতি বছর শীতের নরম দুপুরে তাড়াতাড়ি খেয়েদেয়ে ট্রেন ধরে বইমেলায় যাওয়া। আরেকটু ছোটবেলায় ক্রিসমাসের দিন যাদুঘর বা চিড়িয়াখানায় ঘুরে ক্লান্ত শরীরে নাহুমস-এর কেকের গন্ধ মেখে সারা নিউ মার্কেট চষে নানারকম লজেন্স কেনা পরবর্তী কয়েক মাসের জন্য। স্কুলে পড়াকালীন কলকাতা যাওয়া মানেই ছিল অনাবিল আনন্দ – নেমন্তন্ন, ছুটির মেজাজ, দিদার বাড়ি, ঠাকুর দেখা আর বেলুড় মঠের ভোগ। আমরা বোধহয় রেকর্ড স্থাপন করেছি, একটানা নয় বছর প্রতিবার অষ্টমীর ঠিক সকাল নটায় বেলুড় মঠের পুষ্পাঞ্জলির লাইনে হাজিরা দেওয়ার। পুজোর সময় আমার কাছে ঐ ঘনশ্যাম ঘুসুড়ির খিচুড়ি ভোগ ছিল কলকাতার সমার্থক। আমাদের সময়ে পুজোয় সারারাত্রি ধরে ঠাকুর দেখার এত হিড়িক ছিল না। তাই কোনো বছর সন্ধ্যের ভীড় এড়াতে মাসতুতো-পিসতুতো ভাইবোন আর বড়রা মিলে বিশাল গ্যাঙ নিয়ে মাঝরাত্রে দক্ষিণ কলকাতার সব ঠাকুর দেখতে বেরোতাম। এইরকমই একবার ঘুরতে ঘুরতে ম্যাডক্সে স্কুলের প্রিয় মিসের সাথে দেখা হয়ে যাওয়ায় সে কী রোমাঞ্চ! ছুটির পর ক্লাসে গিয়ে ঈর্ষান্বিত বন্ধুদের কাছে জাহির করেছিলাম, “জানিস, মিস আর আমি একই জায়গায় ঠাকুর দেখতে গেছিলাম।” কখনো শীতকালে কলকাতায় বিয়েবাড়ির নেমন্তন্ন খেয়ে রাত্রের ফাঁকা ট্রেনে বাড়ি ফেরার সময়ে মায়ের কোলে মাথা রেখে গরম শালের ওমে ঘুমিয়ে পড়তাম।

    স্কুলে একটা পাশ দেওয়ার পর ঠিক করলাম কলকাতায় গিয়ে পড়ব। মফস্বলের পাট চুকিয়ে সবাই মিলে বালিগঞ্জে চলে এলাম। কলকাতার সাথে সেই আমার সহবাসের শুরু। প্রথমদিকে সবকিছু বেশ অচেনা লাগত। ছিলাম মেইন লাইনের ট্রেনে চড়া পাবলিক, সেখান থেকে রোজ বাসে-অটোতে যাতায়াত মোটেও ভাল লাগছিল না। কত লোক, কত গাড়ি, সবাই খালি ছুটেই চলেছে সারাদিন। বাস জিনিসটা আমার কস্মিনকালেও পোষায় না বিশেষ, তায় আবার কলকাতার। এক বাস লোকের দৃষ্টির সামনে যখন বার বার স্কার্ট টেনে নামিয়ে বসতে হত, তখন মনে মনে কনভেন্ট স্কুলকে এবং লোককে গালাগাল দিয়েছি অনেক। তবে এসব তুচ্ছ বিষয়ের থেকে অনেক গভীর সমস্যা ছিল নতুন স্কুলে ভর্তি হওয়া। অ্যাডমিশন টেস্ট, ইন্টারভিউ হ্যান-ত্যান দিয়ে ভর্তি তো হয়ে গেলাম, কিন্তু এ যে বেজায় বড়লোকদের স্কুল! প্রথমদিন গেট থেকে ক্লাসরুম অব্দি হেঁটে যেতে পা সরছিল না ভয়ে। কলকাতার স্কুল, তাতে সব বড়লোকের মেয়েরা স্টুডেন্ট(কেন জানি আমার ধারণা ছিল কলকাতার স্কুলে শুধু বড়লোকরাই পড়ে), আমার কি আর কোনো বন্ধু হবে এদের মধ্যে? মনমরা হয়ে হাঁটতে হাঁটতে দেখলাম একটা রোগা প্যাংলা মত মেয়ে এসে পাশে পাশে হাঁটতে লাগল। কথায় কথায় বেরোল সেও আমার সমব্যাথী, সেও মফস্বলের। ব্যাস, সেই যে একসাথে হাঁটা শুরু হল, আজও দুজনে আলাদা মহাদেশে বসেও মনে মনে একে অপরের পাশাপাশিই হাঁটছি। বোর্ডের শেষ পরীক্ষাটা দেওয়ার পর চার বন্ধু মিলে প্রথমবার হৃতিক রোশনের সিনেমা দেখতে যাওয়াটা এমনই স্মৃতি, যা বোধহয় এখনও পৃথিবীর চার দিকে থাকা চারজনকে এক করে দিতে পারবে। সম্‌ব্‌ৎসরের সবকটা ঋতুর ভোরে একের পর এক রাস্তা পেরিয়ে স্কুল অব্দি সফরটায় আস্তে আস্তে শহরটাকে ঝেড়ে মুছে জেগে উঠতে দেখতাম রোজ।
  • PRB | 14.99.57.145 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ২২:৪২563950
  • “এই শহর জানে আমার প্রথম সবকিছু...” না, প্রথম সবকিছু না হলেও অনেক কিছুই জানে আমার কলকাতা। স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে প্রথমবার কলেজের স্বাধীনতা আর অবশ্যই প্রথম প্রেমে পড়ার অনুভূতি, আমার ধারণা কলকাতা ছাড়া আর কেউ বুঝতও না। শহরের বুকে দূষণে পাঁশুটে হয়ে আসা সূর্যাস্ত কতবার দেখেছে আমাদের লুকিয়ে লুকিয়ে কান্না। কারুর কাছে কলকাতা মানে আড্ডা, কারুর কাছে এগরোল, কারুর কাছে ভালবাসা, আমার কাছে হয়তো কলকাতা মানে বন্ধুরা। কলেজ কেটে সবাই মিলে সিনেমা বা বইমেলায় যাওয়া, নিজে না গেলেও বন্ধুদের অভিসারে সাহায্য করা, ব্যর্থ প্রেম, সফল ভালবাসা, অনাবিল বন্ধুত্ব, সবকিছুরই সাক্ষী শুধুই কলকাতা। আমাদের কলেজের পেছনের গেটের পাশের গলিতে একটা জেরক্সের দোকান ছিল। সেমেস্টার শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকে ওটাই আমাদের ঠেক হয়ে দাঁড়ায়। সকাল হোক বা সন্ধ্যে, ক্লাসের শুরু হোক বা শেষ, পরীক্ষার আগে হোক বা পরে, ঐ এক ফালি দোকান আর তার সামনের বেঞ্চই আমাদের কফি হাউস ছিল। কলেজ ছাড়ার এত বছর পরেও ওখানে গেলে দোকানের মালিক বাড়ি থেকে চা বানিয়ে এনে খাওয়ান, আমাদের ব্যাচের প্রত্যেকের নাম ধাম ওঁর মুখস্ত। এটা আর কোথাও সম্ভব কিনা জানিনা, তবে কলকাতায় অবশ্যই সম্ভব। বললে বিশ্বাস করবেন না, রাত আটটা-নটা অব্দি আমরা কলেজে বসে থাকতাম প্‌র্‌যাক্টিক্যালের নামে। বাবা মায়েরা কী ভাবত জানিনা, তবে প্রফেসাররা নিশ্চিত বুঝে গেছিলেন আমরা আড্ডার জন্যই ল্যাবে বসে থাকতাম। রোজ যে তুমুল আড্ডা হত তা কিন্তু নয়, তবে ঐ বয়সে নিছক চা-মুড়িমাখা সহযোগে বন্ধুসঙ্গই আমাদের কাছে স্বর্গ ছিল। বাড়ির লোকে খুব একটা চিন্তা করত না, কলকাতার বুকে কলেজ, অনেক রাত অব্দি গাড়িঘোড়া পাওয়া যায়, তাছাড়া বন্ধুরা একসাথে বাড়ি ফিরব তো। আমার এবং আরেক বন্ধুর মুশকিলটা ছিল আমরা কলেজে আটটা অব্দি থাকলেও তার পরে বালিগঞ্জ ফাঁড়ির বাসস্টপেই আরো আধঘন্টা কাটিয়ে দিতাম। কী করব বলুন, এমন অনেক ব্যক্তিগত কথা থাকত যা অন্য বন্ধুদের সামনে বলা যেত না। কোনোরকমভাবে আমাদের ধারণা হয়েছিল যে একমাত্র ঐ বাসস্টপে দাঁড়িয়ে আলোচনা করলেই সমস্যাগুলোর সমাধান বেরিয়ে আসবে। এভাবে যে কত গূঢ় কথা, গুপ্ত ব্যাথার সাক্ষী রয়ে গেছে ঐ বাসস্টপ, তা শুধু আমরাই জানি।
    কে যেন বলেছিল যে কলকাতায় থেকে শহরটাকে যতটা না চেনা যায়, তার চেয়ে অনেক বেশী চেনা যায় কলকাতা ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে থাকলে। প্রবাসে থাকাকালীন হয়তো এমন একটা দিনও যায়নি যখন কলকাতার কোনো না কোনো কথা মনে পড়েনি। একবার বিদেশে বসে কলকাতাগামী এক বন্ধুকে বলেছিলাম, “ফিরে গিয়ে বালিগঞ্জ ফাঁড়িটাকে বলিস যে আমি আবার আসব, শিগগিরই।”’তলার ক্যান্টিন থেকে প্রতিদিন দীপাবলীর মতো আলো মাখা দক্ষিণ কলকাতা দেখার সৌভাগ্য কি খুব বেশি লোকের হয়? কলকাতার ঐ রূপটা বোধহয় শুধু আমাদের জন্য তুলে রাখা ছিল। এরকম আরো কত রূপে, কত অবতারে যে শহরটা প্রত্যেকটা লোকের কাছে ধরা দিয়েছে তার কোনো হিসেব হয়না। তাই সবার কাছেই কলকাতা কল্লোলিনী, সবার কাছেই কলকাতা তিলোত্তমা।
    ________________________________________________

  • আড্ডি | 34.98.197.245 | ২৭ জুলাই ২০১২ ২০:১৭563951
  • এই টইটা ফাটাফাটি, আবার এর পুনর্জন্ম হউক।
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২৭ জুলাই ২০১২ ২৩:১৫563952
  • পাইদি এমন অদ্ভুত ভালো লেখে, কিন্তু আর লেখেনা কেন ?
  • গান্ধী | 213.110.243.22 | ২৭ জুলাই ২০১২ ২৩:২৬563953
  • যদিও লিখতে পারিনা। তবু চেষ্টা করি।

    ছোটবেলা থেকে এখন অব্দি কেটেছে উত্তর কলকাতার এক হাউসিং-এ, পাইকপাড়ায়। এখনো বলতে ৪ বছর আগে অব্দি। এখন তো অন্য শহরে। মাসে যদিও ২বার মিনিমাম যাই। কিন্তু এখন আর ঠিক থাকিনা সেখানে। আমার কোয়ার্টার আমার কাছে একটা ছোটখাটো শহরের মতই ছিল।

    সরকারী কর্মচারীদের কোয়ার্টার। একটা বিশাল বড় ফ্যামিলীর মত। একদম যখন ছোট ছিলাম। কিছু কিছু জিনিস ছেঁড়া ছবির মত মনে আছে। সকালে সাড়ে ৬টা নাগাদ বোধহয় দুধের গাড়ি আসত। হরিণঘাটা দুধের গাড়ি। আমাদের কোয়ার্টারে একটা দুধের ডিপো ছিলো। আমার জন্য বাঁধা রুটিন ছিল ঘুম চোখে একদৌড়ে গিয়ে লাইনে দাঁড়িয়ে দুধ নিয়ে আসা। শীতকালের ভোরে দারুণ লাগত।

    কোয়ার্টারের মধ্যে ছিল দুখানা মাঠ। একতা বড়, একটা একটু ছোট। পরীক্ষার পর বা গরমের ছুটিতে ভোর থেকেই ফুটবল প্র্যাক্টিশে নামা হত। সকাল ৫টায় লোকের বাড়ির জানলার কাঁচে বল মারার যে কি আনন্দ সেটা কেউ না করে থাকলে বোঝানো সম্ভব নয়। অথচ কেউ কিছু বলতও না। অল্প চেঁচামেঁচির পর ঠিক হয়ে যেত।

    পরীক্ষার পরের সন্ধ্যেগুলো কেটে যেত রবীন্দ্র-জয়ন্তীর রিহার্সালে। একদম ছোটকালে আবৃত্তি করতে হত। সব বাচ্ছদের কিছু না কিছু করা মাস্ট ছিল। একবার শ্যামা নৃট্যনাট্যে কোটাল কম পড়ে যাওয়াতে আমাদের গোটা পাঁচেক ছেলেকে ধরে কোটাল বানিয়ে দেওয়া হল। নাচানাচিও করেছিলাম। তারপর আরো বড় হতে নাটক। গোটা ২ মাস রিহার্সাল দিয়ে নাটক নামানো হত। হ্যাঁ, নামানই হত শেষমেশ।

    সারা ছোটবেলাটাই বোধহয় ঐ মাঠদুটোতে কেটে গেছে। সকাল বললেই মনে পড়ে, অল্প আলো সুর্য তখনো ওঠেনি, ৪-৫টা ছেলে একটা মাঠে কয়েক পাক জগিং করে ব্যায়াম করছে। রোদ উঠলো। জানলার পাশে বসে চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে রিডিং পড়া, যাতে ৩-৪টে পরের ব্লকের কৌশিকও শুনতে পায়, তারপর সে চিল্লাবে।

    সাড়ে ৯টা বেজে গেলে চোখটা বারবার জানলা দিয়ে বাইরে, মা ডাকছে স্কুলের জন্য স্নান করতে যেতে, এদিকে যাকে দেখার জন্য এতক্ষন পড়া সে স্কুলে বেরালো না। কোনো কোনো দিন সামনের রাস্তা দিয়ে মায়ের সাথে হেঁটে চলে গেল আমার সারাদিন ভালো কাটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে। স্কুলের জন্য তৈরী হয়ে এক্দৌড়ে বাসস্ট্যান্ড। যতদিন স্কুলবাসে যেতাম, পিছনের সিটে বাসের শেষের সিটে বসে গোটা বাসের সমস্যার সমাধান করা। বিকেলে ফেরার সময় জামার বোতাম খুলতে খুলতে সিঁড়ি দিয়ে উঠে আসতাম, এসেই কিছুটি না খেয়ে আগে মাঠে, আবার হয়ত একটা ঝলক।

    সবকিছুর মতন সেই সময়ের প্রেমটাও (প্রেম নয় ঠিক, প্রেম প্রেম ভাব) ছিল আমার শহর আমার কোয়ার্টারের মধ্যেই। শুধু আমার প্রেমপ্রেম ভাব নয়, আমাদের বহু সিনিয়ারদের বিয়েও আমার ছোট্ট শহরের মধ্যেই।

    তারপর? হঠাৎ যেন বড় হয়ে গেলাম। কোয়ার্টারের বাইরের জীবনটা খুব অ্যাট্রাক্টিভ হয়ে উঠল। আমার শহরটাও আমার কোয়ার্টারের গন্ডী টপকে প্রথমে শ্যমবাজার, পরে প্রায় গোটা কোলকাতাটাই আমার শহর হয়ে গেল। আমার ছোট্ট শহরটা জাস্ট একটা কোয়ার্টার হয়ে থেকে গেল ।

    কিন্তু আজ যখন বাড়ি যাই। সেই বন্ধুরা কেউ বাইরে, কেউ বা চাকরি খুঁজতে বেড়িয়েছে। যে মাঠে আমরা সকাল থেকে রাত পড়ে থাকতাম, সেই মাঠ বিকেলেও খাঁ খাঁ করে। রবীন্দ্র জয়ন্তী উঠে গেছে হয়্না। আগে পুজোর কদিন প্যান্ডেলে বসে জমিয়ে আড্ডা মেরেই কাটিয়ে দিতাম। বাকি কোলকাতার ঠাকুর কোনোদিন দেখিনি। এবার পুজোয়, একলা দূর্গা সাথে আমাদের সেই বহু পুরানো ঢাকি। আর আমি আর আমার এক বাচ্ছবেলার বন্ধু।

    ছোটবেলার আমার শহরকে মিস করি। আজ বাড়ি গেলে ভুলেও মাঠের দিকে তাকাইনা। বিকেল হলে অন্য কোথাও আড্ডা মারতে যাই। মনে হয় আর সবার মত আমিও কোথাও চলে গেলেই ভালো হত।

    'শহর থেকে শহর'-এর গল্পে হয়ত বেমানান কিছু লিখে ফেললাম। আগাম ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
  • r2h | 208.175.63.19 | ২৭ জুলাই ২০১২ ২৩:৫১563954
  • গান্ধীর লেখা ভালো লাগলো।
    ছোটবেলায় বেশ কবার বাড়ি টাড়ি পাল্টেছি, সব মিলিয়ে পাড়ার বন্ধুগোষ্ঠী আমার কখনো ছিল না- সবই স্কুল কলেজের। কিন্তু, বিশেষ করে কলকাতার বন্ধুদের হাত ধরে এই অনুভুতিটা খুব চেনা বলেই হয়তো আরো।
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০১:০৮563955
  • গান্ধী, মাঠে এখন আর খেলে না কেউ ?
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০১:৪৮563956
  • স্কুলের বাচ্চারা আজকাল বিকেলে খেলার সময় পায় না বোধহয় - পড়াশুনোর চাপ বড় বেশী, প্রাইভেট টিউটর ইঃ
  • sp | 217.239.86.106 | ২৮ জুলাই ২০১২ ০৩:১৮563957
  • খেলার সময় থাকলেও খেলার যায়্গা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর (যেকোনো বড় শহরে, মফ্স্বলে হয়তো এই সমস্যা নেই ) তাছাড়া ভিডিও গেমস, ফ্যাঁসবুক ইঃ এইসব এর প্রেফারেন্সে বেশি
  • pi | 82.83.90.116 | ২৯ জুলাই ২০১২ ২০:৪৬563959
  • গান্ধীর এই শহরের ভিতরের ছোট শহরটার সাথে আমার ছোটবেলার ছোট শহরটা, আর তার জীবনের অনেক মিল ঃ)

    অরণ্যদা, দেখে এলাম, ভাইঝির শহরটাও অনেকটা একইরকম আছে। ঐ বিকেলে খেলা ইঃ ঃ)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন