এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শহর থেকে শহরে

    bozo
    অন্যান্য | ০১ এপ্রিল ২০০৬ | ১৭১২৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • sinfaut | 165.170.128.65 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৮:১৭563827
  • হা হা হা হা
  • M | 118.69.149.140 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৮:৩১563828
  • হুম, কি হলো? আমি বুঝতে পারলামনা।
  • M | 118.69.149.140 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৮:৩৫563829
  • বড্ড বেশী বকে ফেলেছি কি?
  • sinfaut | 117.195.202.172 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৯:৪৬563830
  • না না বড় ম, আপনি চালিয়ে যান। আমি অজ্জিতের ল্লেহ্‌ তে হাসলাম।
  • M | 118.69.149.140 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ১৯:৪৭563831
  • শ্যামল,
    আমি ভিয়েতনামে আসছিলাম, একটু দেরী হচ্ছিলো, সে যাকগে ভিয়েতনাম সত্যি যথেষ্ট উন্নতি করেছে বলেই মনে হয়,কারন এখানকার কমন লোকেদের জীবনযাত্রার মান ভারতের থেকে অনেক ভালো, এখানকার মনে হয় ৯৪%লোক শিক্ষিত,হস্তশিল্প , বিশেষত: কাঠের কাজ, চাল আর সিফুড এক্সপোর্টে এও এরা বোধহয় ভালো স্থানে আছে।আর আমার মনে হয় উদার অর্থনীতির থেকেও বেশী যেটা এদের উন্নতির সহায়ক সেটা হলো এদের মানসিকতা।এরা সিস্টেম খুব ভালোবাসে,যেকোন ব্যাপারেই,সিস্টেম ভাঙ্গার থেকেও বেশী, যতটুকু দরকার তার বাইরে গিয়ে খুব একটা ভাবার চেষ্টা রাখেনা, আর কোন আইন এলো তো জানে সেটা মানতে হবে, প্রথমেই কেন মানবো সেই প্রশ্ন তুলে মাথা খারাপ করে না।ছোট্ট একটা উদাহরন দিচ্ছি, এখানে লুনার নিউ ইয়ারের উৎসবটাই বড় উৎসব, তো সেটা ২৫ থেকে শুরু হয়েছিলো , কাল শেষ দিন ছিলো,একটা রাস্তা প্রায় হাফ কিমি হবে মনে হয়, সাজানো হয়েছিলো, দারুন দারুন ফুলের বাগান,ভুট্টা ক্ষেত,গ্রাম,ধান ক্ষেত,পদ্ম পুকুর এরকম ভাবে, মানে বুঝতে পারছেন কি বিশাল কর্মযজ্ঞ, কাল অব্ধি ছিলো সে ব্যাপারটা,আজ তেত শেষ, আজ গিয়ে দেখি রাস্তা খুলে গেছে,পুরো ঝকঝকে, কোথাও চিহ্নমাত্র নেই, কারন প্রশাসনের নির্দেশ আজ রাস্তা খুলে দিতে হবে।এবার ভাবুন রাতারাতি সব সরিয়ে ফেলেছে, কিভাবে এরা সিস্টেমেটিক ,আসলে ঐ ক্ষেত গুলো গুচ্ছো গুচ্ছো ট্রের সমষ্ঠি, বাগানগুলো টবের, প্রেজেন্টেশনের ব্যাপারে এরা খুব দক্ষ,তাই যখন দেখবেন তখন মনে হবে না ব্যাপারটা কৃত্রিম।কিন্তু যখন নিয়ম, তখন কোন গাফিলতি করার সাহস নেই, রাতারাতি রাস্তা পরিস্কার।
  • Binary | 198.169.6.69 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ২০:২২563832
  • বড়ম, আপনি লিখতে থাকুন, ভাল হচ্ছে। অরিজিত 'ল্লে' বল্ল অন্য কারণে।
  • d | 117.195.43.197 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ২০:৫২563833
  • বড়মা আপন মনে লিখে যাও। কারো কথায় কান দেবার দরকার নেই। যে শহর বা গ্রাম বা মফস্বল যার কথা, যখন যেমন মনে আসে, এখানে টুকটুক করে লিখে রাখো।

    অজ্জিত "ল্লেহ'টা অন্য কারণে বলেছে। তার সাথে তোমার বা তোমাঅর লেখার কোনই সম্পর্ক নেই।
  • ranjan roy | 122.168.68.214 | ২৯ জানুয়ারি ২০০৯ ২২:৩৬563834
  • বড়মা,
    ব্যাপক হচ্ছে, ডি এর প্রেস্ক্রিপশন অনুসরণ করুন। হাতে হাতে ফল পাবেন। আমরা অনেকেই তাই করি।:))))
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ ০৯:৩৮563835
  • বম্মা - সরি সরি - তোমারে কই নাই। থেমো না, চালিয়ে যাও...
  • M | 118.69.94.37 | ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ ১২:৩৯563837
  • আমি একটা এইয়া বড় পোষ্ট পাঠালাম, তা নেটের জ্বালায় পুরো মাল গাপ হয়ে গেলো,এখন মুড ও খারাপ হয়ে গেলো।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ৩০ জানুয়ারি ২০০৯ ১২:৪৪563838
  • পোস্টানোর আগে একবার পুরোটা সিলেক্ট করে কনট্রোল সি মেরে রাখো।
  • Sudipta | 122.169.181.56 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৯ ০৯:৩৪563839
  • M, বাহ, দারুণ হচ্ছে! কিন্তু দিল্লী, জব্বলপুর, এমনকি বেহালা, দমদম, মানিকতলা, যাদবপুর, বালিগঞ্জ, হাওড়া, শিলিগুড়ি এই শহরগুলোকে নিয়ে আর একটু স্মৃতিচারণ হোক না!
  • b | 117.193.40.50 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:৩৮563840
  • ১।
    এই তো বাড়ি এসে গেলাম। ভোর পাঁচটায় চেনা প্ল্যাট্‌ফর্মে নামিয়ে দিয়েছে হলুদ সবুজে মেশানো লোকাল ট্রেন। ঘুমজড়ানো চোখে রিক্‌শাওয়ালা পেরিয়ে গেলো জি টি রোডের গোলচক্কর,বুনোকালিতলা, তোলাফটক, ওলন্দাজ গোরস্থান। বাড়িঘর অন্ধকার, রাস্তাঘাট সুনসান, দু একটা সাইকেল শুধু দ্রুতবেগে স্টেশনের দিকে চলে যাচ্ছে, ভোরের ট্রেনের জন্যে। ব্যাগটা টানতে টানতে ঢুকে পড়ি আমাদের সরু ইঁট বাঁধানো গলিতে। শেষ বাড়ির দরজাটার বেল টিপে ধরলেই বাবা আর মা জেগে উঠবেন, ব্যস্তসমস্ত হয়ে পড়বেন গত দু রাত্তিরের ট্রেনজার্নির জন্যে । কোন রকমে প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আমি দোতলার ঘরে চলে যাবো,ঘুমটা পুরো করে নিতে। এসব ভাবতে ভাবতে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি কিছুক্ষণ। শীতের রাত এখনো শেষ হয় নি। চারদিক শান্ত। এই আমার বাড়ি ফেরা। মনে রাখতে চাই এই মুহূর্তটা।
  • b | 117.193.40.50 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:৫১563841
  • পুরোনো সাইকেল বের করে, পাম্প দিয়ে বেরিয়ে পড়ি। সে অবশ্য প্রতিবাদ জানাতে কসুর করে না। উদ্দেশ্যহীন ঘোরাঘুরি। পুরোনো গলিঘুঁজি, ঘাট বাঁধানো পুকুর, কলেজ রো, কোর্ট বিল্ডিং, কুঠীর মাঠে জমে ওঠা ক্রিকেট, ইস্কুলের রাস্তা, এই শহরের আদি বাসিন্দা, দত্ত-শীল-মল্লিক অধ্যুষিত বেনেপাড়া: বায়োস্কোপের ফ্রেমের মতো আমার সাইকেল ঘুরে বেড়ায়। হঠাৎ একটা মোড় নিতেই প্রবীণা নদীটিকে সঙ্গিনী হিশেবে পেয়ে যাই মাইলখানেকের জন্যে। রূপোলি ইলিশের মতো জুবিলী ব্রিজ ঝিকিয়ে ওঠে রোদ্দুরে। জেলখানার পাশ দিয়ে ঘুরে বাড়ির পথ ধরি। মায়ের বকুনি খাই সোয়েটার না পরে বেরিয়েছি বলে। দুপুর গড়ায় বিকেলের দিকে। বাগানে একলা রোদে পুড়তে থাকে সাইকেলটা।
  • b | 117.193.40.50 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:০০563842
  • স্কুলের বন্ধুদের সাথে দেখা হয়ে যায়। ব্যস্ত সমস্ত তারা, বাচ্চার জন্যে ফিডিং বটল, বাচ্চার মায়ের জন্যে সেন্ট কিনছে,অন্নপ্রাশনের সময় কতো করে প্লেট হলে কতো জনকে নেমন্তন্ন করা যায়, তার হিশেব করছে। সব মুখগুলো কি আমার চেনা? "সেবার ঐ এ.কে. বি-র ক্লাসে...'', "" এই জানিস তো, ল্যাজা একবার...'', ""চিত্তবাবু মারা গেলেন রে, এই তো হপ্তাদুয়েক....", "" সেবার সরস্বতী পূজোর সময়, বুঝলি, বাণীমন্দিরের সেই মেয়েটা...'' হা হা করে হেসে উঠি সবাই, দমবন্ধ হয়ে যাবার যোগাড়।

    তারপর কথা ফুরিয়ে যায়। মোবাইলের নম্বর দিয়ে আর নিয়ে উঠে আসি।
  • b | 117.193.40.50 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:১৪563843
  • এরকম-ই এক নেমন্তন্ন বাড়িতে দেখা হয়ে গেলো আমার প্রথম প্রেমিকার সাথে, পুরোনো শহরে যেমন হয় প্রায়শ:। প্রায় পঞ্চাশটা রাইম জানা চার বছরের এক কন্যার গর্বিতা মা সে এখন। ধক করে মনে পড়ে ক্লাস ইলেভেনে পাওয়া সেই চিঠি, টেস্ট পেপারের মধ্যে লুকানো, দুটো ফুল্‌স ক্যাপ ভর্তি। তখনো মফ:স্বলে ওরকম চিঠি লিখতো কেউ কেউ। অতি রূঢ় জবাব দিয়েছিলাম, নানা সদুপদেশ দিয়ে, সেই ব্রাভাডোর আড়ালে লুকনো ছিলো আদ্যন্ত ভীতু আর কনফিউসড একটা ছেলে। সে মেয়ে অবশ্য আর সাধেনি।
  • b | 117.193.40.50 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:২৭563844
  • পায়ে পায়ে চলে আসে চলে যাবার দিন। পেছনে রেখে এলাম বাড়ির পাশে বুজে যাওয়া ডোবায় ডাহুকের শিকার খোঁজা, পড়ন্ত বেলায় বাগানে একলা বেজির হঠাৎ চমকে যাওয়া নিথর মুহূর্ত, দরজার ফ্রেমে মায়ের দাঁড়িয়ে থাকার শেষ ঝলক। একের পর এক সবুজ সিগনাল পেয়ে ট্রেন ছোটে, লোহার ওপরে লোহা গর্জন করে, আর ভুতগ্রস্তের মতো থমকে আস্তে আস্তে পিছিয়ে পড়ে পুরোনো শহর।
  • Du | 71.170.156.40 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:৩৮563845
  • ছোঁড় আয়ে হম - কোথাও কিছু একটা ফেলে এসেছি আমরা। সেই জায়গাটা চাপা পড়ে থাকে হয়তো, কিন্তু একেবারে বুজে যায় না। সেইখানটাতেই আপনার লেখাটা ছুঁয়ে গেল একেবারে।
  • M | 118.69.156.222 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৩২563846
  • হ্যানয় শহর:
    এখানেও সাকুল্যে চার পাঁচদিন থাকা হয়েছিলো। এই শহর ভিয়েতনামের উত্তরে অবস্থিত আর এই দেশের রাজধানী। এখানকার আবহাওয়া কেমন যেন আমার দার্জিলিং এর মতো লেগেছিলো, কিন্তু এটা পাহাড়ী শহর নয় মোটে। আর খুব বিশাল কিছু ঠান্ডা ও নয়, শীতকালে শুনেছি ঠান্ডা পরে আমাদের দক্ষিন চব্বিশপরগনার মতো।মানে একটা শীতকাল আছে আর কি, হো চি মিনে কোন শীতকাল নেই।পুরানো একটা গন্ধ আছে এই শহরে, পুরানো গন্ধ মানে-- মানে কেউ যদি হালিশহরে যাও তো কিছুটা বুঝবে, নদী,পুরানো পুরানো বাড়ী, হঠাৎ হঠাৎ বড় বড় গাছ,লোক থাকা সত্বেও কেমন যেন একটা চুপ চাপ ব্যাপার, না কেমন যেন গম্ভীর গম্ভীর, ঠিক বোঝাতে পারছিনা, তবে এরকমই। এখানে অনেকগুলো লেক আছে, আর আছে প্রচুর পার্ক, সুন্দর সুন্দর পার্ক, সবুজে ভরপুর আর অনেক অনেক ফুল গাছ, এখানকার মানুষ খুব সৌন্দর্য্যপ্রিয়। বাড়ী গুলো হোচিমিনের বাড়ীর মতো ই,একটা বাড়ীর দুটো দেওয়াল দুই প্রতিবেশীর ও দেওয়াল, মানে একটা রাস্তার মোড় থেকে আর একটা মোড় পর্যন্ত্য মনে হয় একটাই বাড়ী,আসলে অনেকগুলো।
  • M | 118.69.156.222 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১২:৪৪563848
  • এখানে আমাদের পুরানো কলকাতার মতো অনেক গলি ঘুঁজি আছে,তবে তা বেশ পরিস্কার।আর উত্তরের মেয়েদের অনেক বড় বড় চুল আর তা ডবল বেনী বাঁধা অনেকেরই, দক্ষিনের মেয়েরাও বড় চুল ভালোবাসে কিন্তু সবাই তা খুলে রাখে, আর এই দক্ষিনের মেয়েরা পোশাকেও একটু ভিন্ন, এরা ফুল স্লিপ পোষাক আর পুরো পা ট্রাউজার পরে বেশীর ভাগ, আমি যেসময়ে গেছি তখনতো হট প্যান্ট বা শর্টস্কার্টে কাউকে দেখেছি মনে পড়ছে না, হো চি মিনে যা হামেশাই দেখা যায়, যদিও এদের জন্মগত ভাবে সুন্দর চেহারা হয়, কাজেই যেকোন পোশাকেই খুব ভালো দেখতে লাগে।আর শুনেছি যে এরা ভাবনায় ও একটু গোঁড়া ধরনের হয়।এদের বাড়ীতে খুব ভারী ভারী কঠের আসবাব দেখা যায় , এগুলোর অনেকগুলি আবার মাদার অব পার্লসের সুন্দর কাজ করা।
  • siki | 122.160.41.29 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৭:১৯563849
  • ই কী ই কী! b কখন আমার পাড়ার এমন ছবির মত বিবরণ লিখে দিয়ে গেছে, আমি দেখতেই পাই নি! এখনটাতেই তো আমার বাসা, আমার বাড়ি।
  • shyamal | 72.24.214.129 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২১:৫৪563850
  • [মফস্বল শহরের গল্প]

    আচ্ছা, ডাক্তার দাদুর ছেলেকে পথিকদা ডাকি কেন? সকালে স্কুলে যাওয়ার আগে মা একটা মোটা উলের ওভার অল পরিয়ে দেয়। তার ওপর সোয়েটার। তাই আর শীত করেনা। সেই পৌনে সাতটায় স্কুল যাওয়ার পথে দেখি ডাক্তার দাদু বারান্দায় বসে। "গুড মর্নিং সার"। গুড মর্নিং। রোজ আমার আর ডাক্তার দাদুর মধ্যে এই উইশ করা হয়। ডাক্তার দাদু আগে প্রাইমারী স্কুলের হেড স্যার ছিলেন কিনা ! আমার দাদু শিখিয়েছে।

    স্কুলে যাওয়ার আগেই সোহাগী আসে। রান্নাঘরে উনুন সাজায়। আমি দেখি , কি ভাবে আগে ঘুঁটেগুলো দিয়ে তার ওপরে কয়লা দেয়। ও ঘুঁটেকে বলে ঘসি। এখানকার ভাষা। তারপর একটা কাগজ জ্বালিয়ে উনুনের নীচে ঢুকিয়ে দেয়। ঘুঁটেতে আগুন লেগে সাদা ধোঁয়া হয়। তার গন্ধ বেশ লাগে। শেষে ধোঁয়া শেষ হলে উনুন জ্বলে। কয়লাগুলো লাল হয়ে যায়। যেদিন স্কুল থাকেনা, রান্নাঘরে বসে দেখি মা কি করে রুটি বেলে, সেঁকে। তারপর আমাদের রুটিতে আমুল মাখন লাগিয়ে চিনি ছড়িয়ে দেয়। যেন অমৃত !

    প্রেয়ার মিস হওয়ার আগেই স্কুলে পৌঁছে যাই। স্কুলের গাড়িবারান্দায় প্রাইমারীর সবাই জড়ো হই। ওয়ান থেকে ফোর। তারপর, হও ধরমেতে ধীর, হও করমেতে বীর কিম্বা ধনধান্যে পুষ্পে ভরা। মানস গায়, ভুলিবে দাভেদ জ্ঞান, হও সবে আগুয়ান। আমি আর শুভ বলি, ধুর ওটা ভুলি ভেদাভেদ জ্ঞান। দাভেদ বলে আবার কোন শব্দ হয় নাকি? মানস তর্ক করে, ভেদাভেদ বলেও কোন শব্দ হয়না। আমরা প্রতিবাদ করিনা কারণ আমরাও শিওর নই।

    টিফিনে আমাদের স্কুলে দেয় কোনদিন বিস্কুট, কোনদিন আবার চমচম। কিন্তু চমচম খেয়ে ছেলেরা এত বোর হয়ে গেছে যে অনেক সময়ে বাদামী নেড়িকুত্তাটাকে খাওয়ায়।

    আর স্কুলের বাইরে যে সার দিয়ে বসে? আইসক্রিম, ঘুগনী, ঝালমুড়ি। বাড়িতে আমাদের হাতখরচা দেয় খুব কম। তাই রোজ খাওয়া যায় না। ভুলুদার কাছ থেকে আইসক্রিম। একেকটা দু পয়সা। এক আনায় দুটো। দু পয়সা মানে আগের পয়সা। এখন চলেনা। এখন হয়েছে নয়াপয়সা। লোকে দাম দুপয়সা বললেও আসলে ওটা তিন নয়াপয়সা। আর এক আনা মানে ছয় নয়াপয়সা।
    আইসক্রিম খেতে দারুন লাগে। লাল, সাদা, সবুজ, হলুদ। আমি নেই অরেঞ্জ। একটু নোনতা স্বাদ। দাদু, বাবা, মা সবাই বলে, ওগুলো খাবিনা। ড্রেনের জল দিয়ে তৈরী। আমার অবাক লাগে। টিউব ওয়েল থেকে এত সহজে জল পাওয়া যায় তো এরা ড্রেনের জল কেন দেয় ? কে জানে। তবে গতবার কলকাতায় গেছিলাম যখন, ছোটমামা একটা হোটেলে নিয়ে গিয়েছিল। সেটার নাম কোয়ালিটি। কি ভাল ! প্লেটে করে একটা বিরাট, চৌকো সাদা আইসক্রিম দিল। তার ওপরে একটা বাদামী চামচ। ওমা, দেখি চামচটাও খাওয়া যায়, বিস্কুটের তৈরী। মানসকে বলেছিলাম, বিশ্বাস করেনি।
    (চলবে)
  • d | 117.195.36.176 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:০৯563851
  • চলুক চলুক।
  • Tim | 71.62.2.93 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২২:৫০563852
  • ""ভুলিবে দাভেদ... "":)
    চলুক।
  • shyamal | 72.24.214.129 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ২৩:২৩563853
  • পনেরই আগষ্ট আসছে। ক্লাসে নোটিস এসেছে ছেলেরা অফিসঘরে লাইন দিয়ে বিভুতিবাবুর কাছ থেকে টিকিট নেবে। কিসের টিকিট? আরে পনেরই আগষ্ট স্বাধীনতা দিবস। তার টিকিট। সেদিন সবাই সকালে সাদা শার্ট, সাদা প্যান্ট পরে আসবে। এমনিতে আমাদের ইউনিফর্ম নেই। সকালে স্কুলের বাগানকে ঘিরে ছেলেরা দাঁড়াবে। বাগানের মধ্যে হেড স্যার ফ্ল্যাগ হয়েস্ট করবেন। তার পর সকলে, জন গণ মন। টিকিট পকেটে আছে তো ? টিকিট মানে এক টুকরো সাদা কাগজের ওপর স্কুলের স্ট্যাম্প।

    সেটা নিয়ে সবাই সূর্য হলে। স্কুল থেকে দু পা। বাপরে আজ কি ভিড় ! সেকেন্ডারির দাদারাও এসেছে। নটায় হল খুলবে। টিকিট দেখিয়ে হলে ঢুকে ভাল একটা সীটে বসে যাও। আজকের দিনে ফ্রিতে সিনেমা। গত বছর দেখিয়েছিল, দেড়শো খোকার কান্ড। এবার নাকি লরেল-হার্ডি দেখাবে।
    ঐ দ্যাখ, ওটা নেহরু। ঐযে একটা সাহেবের পাশে বসে। আমরা সবাই জানি নেহরু কে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী। কাগজে প্রায়ই ছবি বেরোয়। বড়রা বলে নেহরুর জন্যই আজ দেশের এত দুর্দশা। কত ছবি দেখাচ্ছে ! বড় বড় নেতাদের দেখাচ্ছে। এদের ছবি কাগজে বেরোয়। তারা নড়ছে, চড়ছে দেখতে পাচ্ছি। তাও ফ্রিতে।
    ঐ দ্যাখ এবার ক্রিকেট দেখাচ্ছে। ওটা পাতৌদি। জানিস, অ্যাক্সিডেন্টে ওর একটা চোখ নষ্ট হয়ে গেছে। তবু কি ভাল খেলে ! কি সুন্দর দেখতে , না ! হবে না, ও তো নবাবের ছেলে। ঐ কালোটা কে, যে চার মারল? ও হল জয়সীমা। শুনলি না ওর নাম বলল। ওর সঙ্গে খেলছে বোরদে। কিন্তু শেষে ভারত হেরে গেল। দাদা বলে নিউজিল্যান্ড ছাড়া আর সবাই ভারতকে হারায়। দাদা আর বাবা রেডিওতে রিলে শোনে। আকাশবানী, বিবিসি, রেডিও অস্ট্রেলিয়া। আমি তো ইংরিজি বুঝিনা। তবে কলকাতায় খেলা হলে সবাই মিলে শুনি। নমষ্কার, ইডেন উদ্যান থেকে বলছি কমল ভট্টাচার্য। আজ আমার সঙ্গে আছেন অজয় বসু, পুষ্পেন সরকার আর প্রেমাংশু চ্যাটার্জি।

    স্কুল শেষ হয় দশটায়। তারপরে দাদাদের সেকেন্ডারী স্কুল শুরু হবে সাড়ে দশটায়। স্কুল থেকে ফেরাটা খুব আনন্দের। বড় রাস্তা পার হয়ে ডানদিকে গেলেই আমাদের পাড়া শুরু। তপন বলে, চল মেয়েদের স্কুলের খিড়কি দরজাটা দিয়ে ঢুকি। তখন মেয়েদেরও প্রাইমারী ছুটি হয়ে গেছে আর সেকেন্ডারী বসেনি। তপন বলে, দেখিস দারোয়ান যেন টের না পায়। স্কুলে ঢুকে দেখি পেছনের বাগানে কদম গাছে কি সুন্দর কদম ফুল ফুটেছে। চল চল কদম ফুল পাড়ি। গোটা কয়েক নিয়ে আবার খিড়কি দরজা দিয়ে দে ছুট।
  • ranjan roy | 122.168.21.89 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০০:১৭563854
  • লড়ে যান শ্যামল, ব্যাপক হচ্ছে।
  • Riju | 125.17.122.22 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ১৩:২৩563855
  • শুধু চলুক কেন। দৌড়োক
  • Binary | 198.169.6.69 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৩:৩৪563856
  • তারপর ? লিখুন না ....
    আর ইয়ে, 'ভগবানের ম্‌ত্যু'-টাও শেষ করুন না শ্যামল বাবু।
  • shyamal | 72.24.214.129 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ ০৭:০৩563857
  • স্কুলের পিছনের দরজা দিয়ে একটু গেলেই আমাদের পাড়া। কিন্তু সে জন্যই যে শর্ট কাটে বাড়ি ফিরতে হবে , এমন কোন কথা আছে কি? তাই কখনো মেইন গেট দিয়ে বেরিয়ে বড় রাস্তা দিয়ে ঘুর পথে বাড়ি ফেরা। গ্র্যান্ট হল পার হয়ে মেয়েদের স্কুলের মেইন গেট। সেটার ঠিক পরেই আছে একটা সূর্য ঘড়ি। তাতে ঠিক টাইম দিচ্ছে কিনা দেখে নেওয়া। আরো গেলে বাস স্ট্যান্ড । আর উল্টো দিকে এফ ইউ সির মাঠ। ফ্রেন্ডস ইউনিয়ন ক্লাব হল এ শহরের বড় ফুটবল টীম। তাদের সঙ্গে ব্রজভূষণ ক্লাবের প্রচন্ড প্রতিযোগীতা। ঐ এফ ইউ সির মাঠেই আমরা ক্রিকেট, ফুটবল নিয়ে পেটাপেটি করেছি আরেকটু বড় হয়ে। এক পাশে একটা টেনিস কোর্ট। সেখানে সরকারী কর্তাব্যাক্তিরা, যেমন ডি এম, এস পি এনারা বিকেলে খেলেন। আমরা অনেক সময়ে দাঁড়াই, যদি পুরোনো টেনিস বল পাওয়া যায়। তাই দিয়ে ক্রিকেট খেলব। কোর্টের পাশে মাঠের এক প্রান্তে এক বিশাল উঁচু রাইফেল শুটিংএর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। সেটার ভেতরে কি হয় দেখা যায় না, শুধু গুড়ুম গুড়ুম গুলির আওয়াজ আসে। পুলিশেরা বোধ হয় প্র্যাকটিস করে।
    এফ ইউ সির মাঠ হলে কি হবে, তারা সারা বছর খেলেনা। শুধু গরমকালে করোগেটের বেড়া দিয়ে মাঠের একাংশ ঘিরে ফেলা হয়। তার ভেতরে বসে কাঠের গ্যালারী। শীল্ডের খেলা হবে। রীতিমত টিকিট কেটে খেলা দেখা। মাকে ধরে সীজন টিকিট কেনার পয়সা জোগাড় করেছি। সেটা অবশ্য একটু বড় হয়ে -- সিক্স, সেভেনে পড়ি। ঐ মাঠের উল্টোদিকের গলিতে ঢুকলে মানসের বাড়ি। আরেকটু গেলে মুড়ির মাসী মুড়ি ভাজে, সুকুমার দার মুদির দোকান। তার পরে আমাদের বাড়ি। বাড়ি না গিয়ে ডানদিকে একটু গেলে বড়বুড়োদের বাড়ি। বড়বুড়ো আমাদেরই বন্ধু, কিন্তু দুজনের নাম বুড়ো হওয়ায় একজনের নামের আগে বড় , অন্যজনের ছোট। আর তারপরেই একটা ফাঁকা জায়গা, সেখানে সবরকম পুজো হয়। দুর্গা পুজোয় চোঙ্গা মাইকে বাজে, বাহারোঁ ফুলো বরসাও বা ঝুমকা গিরা রে। সেই মাইকের ফিডেলিটি যে কোন লম্পট বা অসতীর চেয়ে অনেক কম। তারফলে আমরা যে গানের শব্দ উচ্চারণ করতাম , সেইসব শব্দ আজ অবধি কোন ভাষায় স্থান পায়নি। সবই আমাদের নির্মিত। বাড়িতে হিন্দি গান শোনা হতনা। তা ছাড়া একটু বড় হওয়ার পরে আকাশবানী বিবিধ ভারতী খুলল। তার আগে ছিল শুধু রেডিও সিলোন।
    কিন্তু রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনো, আধুনিক শোনো -- নো প্রব্লেম। সকাল পৌনে আটটায় খবরের পর লাইভ শিল্পীর গান। দুপুর সাড়ে বারোটায় রেকর্ড করা রবীন্দ্রসঙ্গীত। আমাদের একটা আদ্যিকালের গ্রামাফোন ছিল। চোঙ্গাওয়ালা নয়। চোঙ্গাটা ভেতরে। তাতে ৭৮ স্পীডের রেকর্ড বাজত। কদিন আগে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী হওয়ায় অনেক নতুন রেকর্ড বেরিয়েছে। আমার ছিল দুটো অ্যাম্বিশন। এক, কবে চা খেতে পাব। দশ বছর না হলে চা খাওয়া বারণ। শুধু কোকো বা দুধ খাও। দুধ খেলে বমি পায়। আর অন্যটা হল কবে নিজে পিন বদলে ঐ গ্রামাফোনটায় রেকর্ড বাজাব। আমাদের শহরে পিন পাওয়া যেত না। বাবা কলকাতায় গেলে পিন কিনে আনত।
    ঐ রেকর্ড শুনে শুনেই কত শিল্পীর গলা চিনে গেলাম। হেমন্ত, সুচিত্রা, পঙ্কজ, দ্বিজেন। আবার দোতলা , তিনতলায় থাকত বাড়িওয়ালারা। দুভাই। ছোট ভাই পলুদা আবার স্কুলের ড্রয়িংএর টীচার। তখনো বিয়ে করেন নি। আমরা পলুদার ঘরে গিয়ে দেখতাম একটা ছোট রেকর্ড প্লেয়ার আছে। তাতে বাজে সাগর সেন । এক পিঠে নূপুর বেজে যায় রিনিরিনি। অন্যদিকে সে আসে ধীরে।

    আমাদের বাড়ির মধ্যে ছিল এক বিশাল বাঁধানো উঠোন। সেখানে ক্রিকেট খেলা হত। শীতকালে দুপুরেও কি শীত! কলকাতায় এলে মনে হত শীতের দেশ ছেড়ে এলাম। যাই হোক চান তো করতে হবেই। টিউবওয়েল থেকে ছোট বালতিতে জল ভরে উঠোনের ঠিক মাঝখানে বড় চানের বালতি ভর্তি করতাম। তার পর সেটা রোদের তাপে গরম হত। আধঘন্টা বাদে সেই জল বেশ গরম। তখন উঠোনের মাঝখানে চান। চান করে কাঁসার থালা, গ্লাসে ভাত খাওয়া। ছোটদের জন্য ছোট থালা। বড়দের জন্য বিরাট। রাত্রে খাওয়া দাওয়ার পর সব থালা, গ্লাস, বাটি রান্নাঘরে রাখত মা। পরের দিন সকালে ঝি এসে মাজবে। একদিন সকালে উঠে দেখা গেল চোরে সব বাসন নিয়ে গেছে। বোনের কি ভয়! বুঝেছে চোর হচ্ছে খারাপ কোন প্রানী। তার কদিন পরে, কোন একটা বইয়ে -- বোধ হয় হাসিখুশী -- এক চোরের ছবি দেখে বলল, দেখেছ চোর ঠিক মানুষের মত দেখতে হয়।
  • Paramita | 202.3.120.9 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:২০563859
  • রাত প্রায় একটা। পর্দাবিহীন ঘরের কাঁচের দরজা পেরিয়ে আরো অনেকটা অন্ধকার মাঠ পেরিয়ে একটা লেক পেরিয়ে (যেগুলো আছে জানি কিন্তু দৃশ্যমান নয়) সারিবদ্ধ সিটিলাইটস দেখা যাচ্ছে। একটা সমান্তরাল রাস্তা। ক্ষুদি ক্ষুদি গাড়িগুলো হুশ হুশ করে বেরিয়ে যাচ্ছে। কোথাও শহরের নাম ও চরিত্র লেখা নেই। আমি ঘরের আলোগুলো বন্ধ করে বারান্দায় এসে দাঁড়াই। অগ্রাহ্য করি অন্ধকার ভেদ করে দেখতে পাওয়া কাছের অবজেক্টের রৈখিক আকৃতিকে। চোখ ভাসিয়ে দিই দূরে, রাস্তায়, দূরে আলোর সারিতে। আমার প্রতিটি শহর ওখানে দাঁড়িয়ে আছে। রাত এগারোটার নৈহাটি লোকালে আমি শিরশিরে লেডিজ কামরা থেকে ঐ আলো দেখেছি। গ্রান্ড ক্যানিয়ন থেকে ডিসেম্বরের মাঝরাতে দূরে ঐ শহরের আলোর দিকে ধেয়ে গেছি ট্র্যাভেলজনিত ক্ষুন্নিবৃত্তির আশায়। আমার গত সাত বছরের বাসস্থান থেকে যে পাহাড় দেখা যেত, যেখানে এখন অন্য একটি দম্পতি তাদের দুই সন্তান নিয়ে থাকে, সেই পাহাড়ের ওপরে দেখেছি এই শহুরে আলোর মেলা। আর আজ দেখছি নবনির্মিত রাস্তায় এতো রাতে কারা যেন অসংখ্য আলো জ্বালিয়েছে।

    (দূর কেমন আমি এক যাযাবর হয়ে গেল। মোদ্দা কথা বলতে চাইছিলাম যে আলো নিবিয়ে দূরে তাকালে এক জেনেরিক আমার শহরকে দেখতে পাচ্ছি এই এক্ষুনি। ভালো লাগছে। কমফর্টেবল লাগছে।)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন