এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • ফেসবুক থেকে কিছু পুরনো লেখা

    sosen
    অন্যান্য | ১৮ আগস্ট ২০১২ | ১৮০২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 154.160.226.53 | ২৯ মার্চ ২০১৩ ২১:৪৫569798
  • বিঙ্গো :-)
  • Bhagidaar | 106.2.241.35 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ০০:০৭569799
  • ভল্লু সর্দার
  • sosen | 111.63.189.171 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ১২:০৮569800
  • মদ খাওয়া এর আগেও দেখিনি এমন নয়। সাবেক পাড়ায় মাতাল মানে ছিল গোরা মাতাল, দিনের বেলা সে দিব্বি গোরাকাকু হয়ে যেত, সকালে স্নানের সময় সব বাচ্চাদের নিজের শ্যাম্পুর বোতল থেকে দরাজ হাতে শ্যাম্পু মাখিয়ে দিত পুকুরে। আর রাত একটার সময় টলতে টলতে এসে আমাদের রোয়াকে বসে শ্যামাসঙ্গীত গাইত। দুটো একটা গান গেয়ে সে বাড়ি চলে যেত। এর চেয়ে বেশি মাতলামো কাকে বলে জানতাম না।
    এ পাড়ায় বাসিন্দারা পাবলিক বাসের ড্রাইভার , কন্ডাক্টর , খালাসী, মাছের দোকানদার। তাদের কর্মধারার সাথেই মিশে আছে বুঝি মদ্য-সংস্কৃতি, তাতে মজা নেই, রাতের এলিয়ে পড়া আনন্দ নেই , আছে হতাশা, অবোলা পশুর যন্ত্রণা, দগদগে উন্মোচন। রাত্রের টলতে টলতে বাড়ি ফেরা, শিশুগুলিকে ছিটকে দেওয়া এদিক ওদিক, তাদের ঘুম ভাঙ্গা ভয়ার্ত কান্নায় আমার রাত্রের পড়ার মনোযোগ টুটে যায়। চোখ না তুলেও দেখতে পাই , কান না খাড়া করেও শুনতে পাই দিবসান্তে রোজের মন্থন। কোনো নারীর আর্তনাদ, কান পাততে না পারা অশ্লীল গালিগালাজ , যন্ত্রণার শীত্কার, কখনো লুটিয়ে পড়া অঞ্চল, নগ্নপ্রায় দেহে মাঠের মধ্যে ছুটে আসে মেয়েমানুষ আর তার পিছনে প্রহার ও পুরুষ। সারা পাড়ার লোকজন জড়ো হয়ে যায়, কান্না, অভিযোগ, খুল্লামখুল্লা নগ্নতার দৃশ্যের শেষে একসময় মিটেও যায় বোধহয় সব। পরের দিন, সেই মেয়েমানুষকেই তার পুরুষের পক্ষ নিয়ে ঝগড়া করতে শুনি দিনের আলোকে। আমার বমি পায়, সব মুখ গুলিয়ে একশা হয়ে যায়। ন হন্যতের মধ্যে মুখ গুঁজে কেঁপে কেঁপে উঠি, কই, কই সেই হলুদাভ রেণুর আদর, আঙ্গুলের ডগায় ইলেকট্রিক নুন, আর খাড়া হয়ে ওঠা রোমগুচ্ছের উপর পিছলে যাওয়া আলো, এই কি সেই গ্রামভূমি যা বিভূতির সবুজ মলাটের উপর থেকে উঁকি মারে? কেউ নম্র গলায় কথা কয় না, কেউ কবিতা ছোঁয় না, মায়ের গায়ে হাত দিলে ঘামাচির কর্কশতা ভরে যায় স্মৃতিময়। পালাও পালাও বলে আমার মাথার মধ্যে গোলমাল পাকাতে থাকে সদ্য উপসে ওঠা বয়: সন্ধি ।

    শরীর জেগে ওঠে নিজস্ব নিয়মে। লাইব্রেরি থেকে ফিরতে ফিরতে উত্তাল হাওয়া অভ্যন্তর শুকিয়ে দিয়ে চলে যায়, বড় তেষ্টা। নোনা জলের উপর বাস করে সে তেষ্টা মেটে না, পিত্ত-মিশ্রিত জলের মত উগরে ওঠে কবিতার খাতায়। কবিতার সঙ্গী জোটে না আমার, কথার সঙ্গী জোটে না । হায়, এমনকি ইস্কুলেও কেউ আমার কবিতার সংরাগ বোঝে না, অমন যারা গান গায়, অমন নাচে, অমন ফুলের উপরে বসবাস, তারাও আমায় ব্যঙ্গার্থে কবি বলে, আর বুঝি মুখ টিপে হাসে। আমি ইস্কুল ফেস্টের জন্য ছড়া লিখে দিই, ছবি এঁকে দিই, কিন্তু ছেলেমানুষী এই খেলার উপরে আর উঠতে পারি না। যে জীবনানন্দ আমার গোটা অস্তিত্বকে মুঠি করে, চটকে পাকিয়ে ফেলে দিতে পারেন, তাঁরও মানে-বইতে স্থান দেখে আমার রাগ হয়। আরো রাগ হয়, কারণ পরীক্ষার আগের দিন অব্দি বুঝতে পারিনা, পরীক্ষা দিতে পারব কিনা, ছ'মাসের মাইনে, ফাইন এসব দিতে পারলে তবেই না এডমিট কার্ড। বাবার দিকে তাকাই, আর বইয়ের দিকে। দুপুরবেলায় ছোটকাকার বন্ধু শেখরকাকা এসে বাবাকে টাকা দিয়ে যান, বাবা মাইনে দিতে ছোটে। অনাত্মীয় ভালবাসায় ব্যথা ব্যথা বুক ভরে ওঠে আমার।
    কবিতার সঙ্গী , কথার সঙ্গী না জুটলেও অনিবার্য রটনায় এক শরীর-সঙ্গী জুটে যায়, অল্পদিনের জন্য। আমি তার ওপর আরোপ করার চেষ্টা করি আমার অধীত আদর, আমার সমস্ত রোমান্টিসিজম। তার ক্ষমতায় ও -সব চেনা কুলোয় না, শরীর ভরে যে নরম সান্নিধ্যের নতুন রেণুগুলি জেগে ওঠে, তা তার কাছে পুরনো, আবিষ্কারের ধন নয়, শুকনো ঘাস, মাড়িয়ে যাওয়ার ট্র্যাশ। পানীয় জলের অভাবে নর্দমার জলে মুখ দেওয়ার ক্লেদে স্বাদগ্রন্থি সব বিস্বাদে ভরতে থাকে। আমি সরে আসি, গায়ে একটু রক্তের দাগ লেগে থাকে। এ আমার প্লাবন নয়, আমার প্রথম সাঁতারের পুকুরও নয়। সে কি খুঁজে পাওয়া যাবে, কোনদিন? বিশ্বাস হয় না আর।

    আমি আর ছবি আঁকতে আঁকার ইস্কুলে যাই না। দমদম্পার্কের বাজারের মধ্যে সেই আঁকার ইস্কুল, যেখানে দীপঙ্করদা ছবি আঁকা শেখাতেন ঠিকই, তবে শিশুদের শরীরে হাত দিতেন, কখনো ব্যথাও দিতেন; কিন্তু তারচেয়েও ভালো আঁকাতেন। সেই ব্যথার ইস্কুলই আমি হন্যে হয়ে খুঁজি আবার। আমার নাটক নেই, আমার আর দেশ-আনন্দমেলা নেই, আমার ইস্কুলের বন্ধুরা আমায় চেনেনা, আমার আছে মিথ্যের মুখোশ, ধাপহীন সিঁড়ি, অজস্র ধার, ব্যথা, অপমানের ভাগ, আর জেদ। হাত পা ছুঁড়ে সেই কালো, ভারী পাঁকের মধ্যে সাঁতরে যাওয়ার জেদ। রাতের বেলায় ইউনিফর্ম কেচে শুকিয়ে পরিষ্কার কাপড় পরার জেদ। আমার লম্বা, প্রায় কোমর ছোঁয়া ঘন মোটা চুল লাল হতে থাকলে আমি তার নিচের দিকে সর্ষের তেল লাগাই। তবুও পোশাক হলুদ হয়ে যায়, আর একদিন নন্দিনী বলে , কি রে, তোর জামাটা তো আর সাদা নেই, বিচ্ছিরি লাগছে! আমি কি একটা বলে ঢাকা দিই সেই কথা। নতুন ক্লাসে ওঠার সময় কি জামা পাব, বা পুজোর সময়?

    এই দিগরেও এমন কি পুজো আসে। তুমুল , ঝোর-অঝোর বৃষ্টিধারার মধ্যে আমাদের না-চল ভাটি সেবার ভাড়া দিয়ে দেশী কেক তৈরী হয়েছিল, মনে আছে। তারপর নতুন ডিজাইনে কিছু করার জন্য সে-ও ভাঙ্গা শুরু হয়। এই পুজো আমাদের নতুন জামা নেই, পায়ের জুতো নেই, কই মামাবাড়ি থেকেও তো এখনো কেউ এলো না? সে কি শুধু গরীব হয়েছি বলে, আমার দাদু, দোদন, আমার মামারা, মাসীরা যাদের প্রাণের টুকরো ছিলাম, সবাই ভুলে গেল এই উমা -মা আর উমা-মেয়েকে? সে-ও তবে হয়, হতে পারে?

    আমার বুকের মধ্যে আগুন লাগা বাড়ির থেকে ওঠা ধোঁয়ার মত পাকিয়ে পাকিয়ে ওঠে কালো, চাপ চাপ অভিমান। তার পর একদিন সত্যিই খুব বুকে ব্যথা হতে থাকে, শ্বাসকষ্ট। ডাক্তার বলেন, সাইকোসোমাটিক।
  • siki | 132.177.254.141 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ১২:২৭569801
  • পড়ছি।

    তারপর?

    আর কিছু বলতে পারছি না।
  • aranya | 154.160.5.25 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ১২:৩৩569802
  • আমিও পড়ছি। বড় কষ্টের, তবু পড়ছি।
  • kumu | 132.176.32.39 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ১২:৩৪569803
  • পড়ে যাচ্ছি,পড়ে যাচ্ছি।বহুযুগ পার হয়ে উঠে আসছে কতশত ভুলে যাওয়া রাগদুঃখ-
    লেখো সোসেন -
  • sosen | 125.242.219.236 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ১৯:১৫569804
  • মাঝে মাঝেই আগের কথা পরে চলে যায়, পরের কথা আগে। ক্রমবিন্যাস রাখা বড় মুশকিল । উত্তর ভারতের গরম হাওয়ার ঝাপটা যেমন ধাঁধায় চোখ, মাথা এলোমেলো হয়ে যায়, আমার , আমাদের জীবনের সেই গরম হাওয়ার পর্বও তেমন। বেসামাল সেই সব দিনের কথা কেন লিখি? যা পিছনে ফেলে এসে ভুলে যাওয়ার কথা ছিল, কেন লিখি তা? কি হবে লিখে? কি চাই আমি , সহানুভূতি, পুজো, গ্লোরিফিকেশন? না:!
    সেই যে ছোট্ট মেয়ে, ভারী অবাক অবাক চোখে এখনো যে তাকিয়ে রয়েছে বাক্স, আলমারি, খাট, টিভির আড়ালে চুপটি করে লুকিয়ে থাকা স্নিগ্ধ শৈশবের দিকে, তার কাছে আমার আজও বড় ঋণ। কি করলে ঋণমুক্তি হবে জানি না, শুধু বলতে ইচ্ছে করে, তোকে আমি ভুলিনি রে মেয়ে। সে আর কেমন করে বলতে পারি? এক কার্পেটের আসনের চৌকো উলবোনা খোপগুলোকে রাজ্যের সীমানা বানিয়ে সে রানী সেজে বসত, সেই পুকুর ঘেরা পাড়ার একটেরে। আনন্দমেলা আর রামায়ণ-মহাভারতের শৈশব, এক্কাদোক্কার শৈশব, আমার বাবা সর্বশক্তিমান বলার , আমার মা সব জানে বলার শৈশবঘোর থেকে অকালে তাকে জাগিয়ে দেওয়ার অপরাধ আমায় তাড়া করে, অকারণে ঠাস ঠাস চড় খাওয়া , স্বপ্ন থেকে জেগে ওঠা ছোট শিশুর সেই চোখ দুখানি আমাকে তাড়া করে। সে আমি, কিন্তু আমি নই। তাকে সেই ঠ্যাঙ্গাড়ে মাঠে ছেড়ে পালিয়ে এসেছি কবে, কিন্তু দূর থেকে আমার ভিতরে সে ঢেলে গেছে জলের করুণ লালন। সে ছাড়া আমি কেউ নই, অথচ তাকে স্বীকার করার জোর আর কোথায় ছিল? এ আমার ঋণস্বীকার রে কন্যে, তোর কাছে।

    আস্তে আস্তে সেই সব মানুষদের সাথেও আলাপ হয়, যাঁরা এখানের হয়েও একটু আলাদা থাকতে পেরেছেন। এমনি এক বয়স্ক মানুষ, ,তিনি জীবিত, তাই একটু ঢাকনা টানি এখানে। বড় গুণী মানুষ তিনি, একটি প্রখ্যাত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী, রবি ঠাকুরের কাছে মনপ্রাণ ঢেলেছেন। অপূর্ব গান করেন। পরিবার পরিজন তাঁকে বড় বোঝে না, বোঝেনা চারপাশের মানুষ-ও। হঠাত এই ছোট্ট মেয়ের বড় গুণগ্রাহী হয়ে ওঠেন তিনি।
    লাইব্রেরি থেকে এনে দেন রাশি রাশি রবি ঠাকুর। বলতে কি, এতদিন ওই মানুষটির সাথেই বিশেষ আলাপ ছিল না আমার। হঠাত, স্রোতের মত ঠাকুর আমার জীবনে ঢুকে পড়েন। সে ভারী নরম বয়েস কিনা? সব কিছুই ভালো লাগে, মাধুর্য্যে সাঁতার দেয়, এমন ব্যাপার। পায়ের তলায় স্থিতি পাই আমি, মনে হয় দহনজ্বালা জুড়বে বই কি, সময়ের অপেক্ষা শুধু।

    হ্যারিকেনের আলোয় পড়ার ফোকাস বাড়ে কি না, জানি না। বুকের ব্যথার ক্রমান্বয়িক আক্রমণের মধ্যেই বাত্সরিক পরীক্ষা দিয়ে আসি আমি। দিয়ে নিশ্চিত হই, পাশ করব না। এ চত্বরে একটি স্কুল আছে। তার কোনো পোশাক নেই, বা থাকলেও কাউকে পরতে দেখি না। ছাত্র-ছাত্রীদের কথাবার্তা , আচরণ দেখে ছোট্ট থেকে দেখা আমার স্কুলের সঙ্গে মেলাতে পারি না। কিন্তু শুনেছি সে স্কুলে মাইনে নেই। আমার স্কুলে অনেকই মাইনে। ভয় করে, আমাকে ওই স্কুলে ভর্তি করে দেবে না তো বাবা?
    রেজাল্ট আমাদের স্কুলে দেওয়া হয় মা-বাবার হাতে। এ বছর, আমার রেজাল্ট আমাকেই অবাক করে সব বারের চেয়ে অনেক ভালো হয়, প্রথম তিনের মধ্যে উঠে আসি, যা আগে কখনই হয়নি। সে বছরের মার্কশিটটি আজও আমার অমূল্য, অকুলান সম্পদ।ভাই ও তার নতুন স্কুলে প্রথম হয়। মা, বাবার মুখে বহুদিন বাদে সেই সাফল্যের হাসি দেখি, আরামের হাসি দেখি। ভিতরে একটা তৈলধারা বয়ে যেতে থাকে, অজানা বোধসমূহকে নিষিক্ত করে। পরীক্ষায় ভালো করলে আনন্দ এমন হয়, এমন সব কিছুকে মোলায়েম , মসলিনময় করে দেয় , কে জানত।
    আঞ্চলিক পার্টি থেকে আমায় কিছু বই কিনে দেওয়া হয়, বৈতরণী কাকু কিছু বই দেন। নতুন করে লড়াইয়ের জন্য তৈরী হতে হয়, কিন্তু অত-ও কষ্টকর লাগে না আর এই আঁধার ঘরের কোনাচ, ছেঁড়া বালিশ , তেলচিটে চাদর। আমি খুব ভালো সেলাই করতে শিখি, সে কেবল ইস্কুলের এমব্রয়ডারি নয়। বালিশ ছিঁড়ে যায়, আমি নিজের পুরনো ফ্রকের ঘের দিয়ে নতুন বালিশ বানাই। পুরনো সিন্থেটিক শাড়ি দিয়ে পর্দা, বিছানার চাদর , নিজেদের জামা-কাপড়ে দর্জিকে হার মানানো রিফুর কাজ। হ্যারিকেনের আবছা আলোতে ইস্কুলের জিনিসপত্রে খুব ভালো এমব্রয়ডারি করতে পারি । ঠোঙ্গার ব্রাউন পেপার জাজিমের তলায় রেখে সমান করে তাই দিয়ে মলাট, সে বেশ সুন্দর। ভাইয়ের বইখাতা, নিজের , সব মলাট দেওয়া, বাঁধানো, আমি করি এখন।

    ভাইটা ছোট্ট। কিন্তু দুষ্টু নয়, দিদি-অন্ত প্রাণ। সে আমার সব যন্ত্রণার মলম হয়ে ওঠে। খালি মনে হয়, এই এত কষ্ট, এত গরম হাওয়ার ঝাপটা, এর থেকে ওকে আড়াল করতে হবে , হবেই। সে এক অনি:শেষ মন্ত্র, যা উচ্চারণ করে চলি নিয়ত। রাস্তা কাটতে হবে, কাটতেই হবে সমান করে।
    এবারকার ডিজাইন বোধহয় এদিক ওদিক করে কাজ করে। চালু হয় ফ্যাক্টরি। সে বড় পরিশ্রমের দিন বাবার, বেশির ভাগ কাজ নিজে হাতে করে, ভোর চারটে থেকে উঠে। তবু, কিছু চলে, কিছু হাতে পায়ে জোর আসে এই ভাঙ্গা রাজ্যে। এ বর্ষায় বাথরুমের উপর একটা ভাঙ্গা টিন পড়ে। কুয়ো ল্যাট্রিন, সে ভারী বিচ্ছিরি, বর্ষায় জল জমলে প্যানে জল উঠে আসে, গা গুলোয়, কিন্তু , তবু, এই তো বাঁচা। আমরা দক্ষিণেশ্বর যাই একদিন। বেলুড়ে নৌকা চড়ে যেতে গিয়ে চরে আটকে যায় নৌকো। কিন্তু এমন করে, ধীরে ধীরে ছন্দ তৈরী হয়, বাঁচার ছন্দ। ইস্কুলে নাটক, ফাংশন, গুণগ্রাহিতার ছন্দ। আটকে যায় না কিছু, ধার, বাকি, গালি গালাজ, আবার পরিশ্রম, শিরদাঁড়া বাঁকানো খাটুনি, এইসব দিয়ে আমরা এগোতে থাকি। ছন্দ তৈরী হয়, ছন্দ বদলে যায়। ফ্যাক্টরির জন্য আসে যে কয়লা তার গুড়ো লোকে কিনে নিয়ে যায়, গুল-কয়লা দেবার জন্য। আমার মা সেই টাকা জমিয়ে রাখে। হরিকাকুর দেনাও শোধ হয় ধীরে ।

    আবার ছন্দপতন ও ঘটে। ভারী দুলিয়ে দেওয়া সেসব পতন। বয়সের তুলনায় বড়, পরিণত, স্থিতিময়ী হয়ে ওঠার দামও আমাকে বিভিন্ন ভাবে দিতে হয়। এ একটু পরের ঘটনা, আমি তখন নবম শ্রেণী। না, কোনো বেণীমাধবের আবির্ভাব ঘটেনা এই প্রদাহে।
    এক সন্ধ্যায় বই আনতে গিয়ে সেই বয়স্ক মানুষটিকে বিছানায় শুয়ে থাকতে দেখি। জিগ্যেস করি, কেন শুয়ে আছেন, জ্যেঠু?
    জবাবে তিনি উঠে বসে আমাকে মুহূর্তে কাছে টেনে নেন, তপ্ত চুম্বন আছড়ে পড়ে আমার ঠোঁটে গালে মুখে। দিশাহারা হয়ে সরে যাই আমি। কিন্তু সরে আর কতদূরে যাব? বার বার পুনরাবৃত্তি হয়। এতদিনের সাহিত্যের আলোচনা, খাতায় বাংলা লেখা দেখিয়ে নেওয়া, এসব-ই ব্যুমেরাং হয়ে ধেয়ে আসে আমার দিকে। বার বার, বিভিন্নভাবে তিনি আমায় জানাতে থাকেন, কিভাবে তিনি মনের সঙ্গী পাননি কখনো, তাঁর মাত্র অক্ষর-পরিচিত সহধর্মিণীর মধ্যে, বার বার বলতে থাকেন আমার মধ্যে তিনি খুঁজে পান তাঁর অভীষ্ট। আমি দিশাহীন হই, ভাবি বাড়িতে জানালে কি হবে? এক ক্লেদময় আলোড়নে পরিসমাপ্তি ঘটবে এই সবের, আমি তো তা চাইনা, উনি তো সত্যিই আমায় সেই প্রার্থিত জানলা দিয়েছিলেন, কুশন দিয়েছিলেন। আমি পালিয়ে যাই। আর সাড়া দিই না। বাবা বলে- উনি ডেকেছেন, বই পাঠান, আমি কাউকে কিছু জানাই না, বই ফেরত দিয়ে দিই, অন্য রাস্তায় পথ হাঁটি। জানলা বন্ধ করতে করতে, খিল টানতে টানতে ঢোঁক গিলি, কান্না পায় না আর। সাবান ঘষে ঘষে ত্বকের থেকে মুছতে থাকি এই অনাকাঙ্খিত আবেদন। আমি বড় হতে চাই না, কিন্তু বড় না হলেই যে নয়!
  • | 24.97.105.105 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ২০:৩৪569805
  • পড়ছি
  • Bhagidaar | 218.107.178.181 | ৩০ মার্চ ২০১৩ ২৩:২৯569806
  • বাবাগো, এই মেয়েটা কে আমি বলি, শুক্রবার এত লিখিসনা! পরে পরে কাঁদতে কাঁদতে কান্না থামার আগেই আমার আবার সোমবার এসে যায় যে!
  • sosen | 111.63.205.38 | ৩১ মার্চ ২০১৩ ০৯:১১569808
  • লোকে যদি সব জেনেশুনেও ফের দফায় দফায় কাঁদে, তবে আর আমি কি করি!
  • siki | 132.177.194.44 | ৩১ মার্চ ২০১৩ ০৯:৪১569809
  • ক্ষী আর করবে, দফায় দফায় কাঁদিয়ে যাও।
  • sosen | 125.241.26.151 | ৩১ মার্চ ২০১৩ ১৪:৪০569810
  • আর কি? শেষ করতে হয় এবার শৈশবগাথার এই গরম হাওয়া পর্ব। কি করে সে হাওয়া আস্তে আস্তে উত্তাপ কমালো, সে এক অন্য কাহিনী। শিশুকাল ফুরিয়ে গেলেও হাওয়া থেকেই যায়, থেকে যায় গরম পোড়া পোড়া আঁচ দেওয়ালে, কালচে পিঠে, মায়ের গিট পাকানো হাতে। কিন্তু সে তো বড় হয়ে যাওয়া লড়াই।

    মনে পড়ে এক উত্সব, এরই মধ্যে, শ্রীরামপুরে এক পিসতুতো দিদির বিয়ে। এই নির্বাসনে আসার পর সেই বুঝি প্রথম উত্সব, সেই বুঝি একটু স্বীকৃতি। যত্ন করে দেখি বিয়ের সব খুঁটিনাটি, স্ত্রী আচার থেকে সপ্তপদী, কি মনে হয়, একটা খাতায় লিখতে থাকি সব অনুষঙ্গ। সেই শুরু করা লৌকিক আচারের এক ডায়েরি। ছোটবেলায় , শনিশ্চর পুজো থেকে , লক্ষ্মী পুজো থেকে , সত্যনারায়ণ পুজো থেকে সব পাঁচালি আপনি মুখস্থ হয়ে যেত। সেই সব স্মৃতি লিখতে থাকি, এদিক ওদিক সংগ্রহের চেষ্টা করি। মন একটু বিক্ষিপ্ত হয়, চোখে কেবলি ভাসে কমলা বেনারসির পাড়, আলো ঝলমল এক বাড়ি, উত্সবে উজ্জ্বল প্রাঙ্গণ। বইয়ের অভাবে ছটফট করি। এই লাইব্রেরির সব বই শেষ, কিন্তু তেষ্টা অনিবার। সে তেষ্টা মেটানোর রসদ কোথা পাই?

    রসদ পাইনে, কিন্তু টিউশনি পাই। হিসেব করে দেখছি নবম শ্রেণী, শাড়ি থেকেই দুটি টিউশনি করি আমি। ইংরেজি পড়াই, ফাইভ /সিক্সের ছাত্রীকে। তাতে যা মেলে সবটাই মা-কে দিয়ে দিই, শুধু একটি দেশের বায়না রাখি। জানলা খোলার চেষ্টা আর কি।
    দেশ আসতে থাকে, সেই জানলার গরাদে মুখ রেখে আরামের কথাও একটু একটু মনে পড়ে। তপ্ত বালির মধ্যে একটু একটু মেঘের আভাস।

    বিরানব্বইএর সেই দুর্যোগে , মুসলিম অধ্যুষিত এই অঞ্চলে প্রবল প্রতিক্রিয়া হয়। হঠাত শুনি হাতে উন্মুক্ত কৃপাণ নিয়ে রাস্তায় বেরিয়েছে মানুষ, মানুষকে কাটতে। হাওয়াই চটি পরে ভিতরের রাস্তা দিয়ে দৌড়ে আমি ও মা ভাইকে স্কুল থেকে নিয়ে আসতে যাই, সে প্রায় তিন বাস স্টপেজ দূর। সে আতঙ্ক ভুলতে পারি না। দরজা বন্ধ করে সিঁটিয়ে এক রাত্রিযাপনের কথা মনে পড়ে,আবছা।

    সূর্যগ্রহণ হয় একদিন। পাতার ঝিরি ঝিরি ফাঁক দিয়ে সহস্র সূর্যগ্রহণ দেখতে দেখতে মনে হয়, সারা পৃথিবীর মানুষ যা দেখছে, আমিও তা দেখতে পাচ্ছি, এ কেমন আশ্চর্য! খোলা আকাশ, অঝোর বৃষ্টি সব বড় ভালো লাগে অকস্মাৎ, জানলা আস্তে আস্তে খুলতে থাকে ফুলে ওঠা , বেড়ে ওঠা অস্তিত্বের ঠেলা খেয়ে।

    একদিন ইস্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে দারোয়ান জয়ন্তদাকে দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সারা রাস্তা বলতে থাকি, আমায় এইখানে ছেড়ে দিলেই আমি চলে যেতে পারব, কি করে সেই ভাঙ্গা ঘরে জয়ন্তদাকে নিয়ে যাই আমি? জয়ন্তদা মোটেই শোনেনা। ক্লেদজর্জর আমাকে টেনে নিয়ে এসে ঢোকে সেই মাটির ফাটল ধরা ঘরে।
    সেই দিন থেকে, সব বন্ধুদের থেকে অনেক বেশি আপন হয়ে ওঠে জয়ন্তদা। এই প্রথম যেন কেউ লজ্জাবস্ত্র তুলে দেখেছে কন্যকার মুখ, সেই আরামে বড় ভালো লাগে আমার। কই, একবারও তো বলেনি, কেমন করে থাকিস এখানে, যেমন বলেছেন আমার কোনো কোনো আত্মীয়রা এসে। যাতায়াতের পথে জয়ন্তদার দিকে তাকিয়ে হাসি, এক বুক স্বীকৃতি। ভালো লাগে, মনে হয়, হারবো না, এক না এক সময় ঠিক যাবো জিতে। বদলে যাবে অনেক কিছু।

    বদল আসে। ক্লাস টেনের টেস্টের, আগে , অবশেষে আমার এই পোড়া বাড়িতে একটা টিউব জ্বলে, একটা ইলেকট্রিক পাখা চলে। এত এতদিন পরে পরিষ্কার , ঝকঝকে আলোয় সবাইকে দেখতে পাই, দেখতে পাই ইট বের করা বাড়ির ফাটল, রান্নাঘরের আনাচ কানাচে ময়লা আর ইঁদুরের তোলা মাটি। দেখতে পাই মায়ের আধা ফর্সা মুখ কেমন যেন বুড়িয়ে গেছে কালো ছোপ নিয়ে, শাড়ির তালি পষ্ট আলোতে ভীষণ চোখে লাগছে, বাবার হাতে চামড়ার ভাঁজ, কড়া ফুটে উঠেছে। থতমত খাই। আয়নার দিকে তাকিয়ে দেখি এই ইষৎ স্ফীত মুখের, এনিমিক মেয়েটাকে কি চিনি? গত চার বছরের দৈন্য, পিদিমের আলোয় যা লুকিয়ে ছিল সাদা কালো মুভির গ্রেইন হয়ে এখন নিখুঁত , নিখুঁত দৃশ্যমান হয়ে ওঠে। চার বছরের একটি শ্বাস রুদ্ধতার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসে, কিন্তু স্বস্তি দেয় না, বুঝিয়ে দেয় ফুসফুসে হাওয়ার অভাব, মনে করিয়ে দেয় কতটা পথ আরো বাকি।

    বুকের মধ্যে সেই আবিল হাওয়া টেনে নিয়ে আমি ভাঙ্গা চেয়ার টেবিলে ঘরের এক কোণে বইয়ে মুখ গুঁজি। খাটের ওপর বাবা আর ভাই, মাটির উপর মাদুরে মা ঘুমোয়। ওদের দিনের শেষ, আমার সবে শুরু, চোয়াল একটু একটু শক্ত হতে থাকে, কাঁপতেও থাকে। হেরে গেলেই সব শেষ। হারা যাবে না। পারতেই হবে। সবে তো খোয়া নুড়ি পড়ল রাস্তায়। ছেঁড়া কেডসে পা গলিয়ে আমাকেই প্রথম নামতে হবে সামাল দিতে, পারতেই হবে।

    পেরেছিলাম কি? সে তো অন্য গল্প। অন্যভাবে।

    কিন্তু , পারে তো সবাই। নিজের মত করে। নিজের আয়নাতে আর সেই ছেড়ে আসা মেয়েকে দেখে যাতে বুক কেঁপে না ওঠে, তার জন্যই তো চেষ্টা। নিরবচ্ছিন্ন এই ছুট, রক্তপাত, প্লাবন। দেহের জলথলিতে অন্য শ্বাসের শব্দ।

    তোর জন্য, কন্যে।
    _____________________________________________________________________________________
    (শেষ)
  • kc | 204.126.37.78 | ৩১ মার্চ ২০১৩ ১৫:১২569811
  • সেলাম রইল। লেখার জন্য নয় কিন্তু।
  • siki | 132.177.209.188 | ৩১ মার্চ ২০১৩ ১৫:২৩569812
  • থ্যাংকু, সোসেন।

    কী বলব জানি না। শুধু একটু ছোট আবদার আছে ...

    পেরে ওঠার গল্প যদি পারো, শুনিও। পরে কখনও।
  • sosen | 233.176.235.108 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ০১:৫৭569813
  • লিখতে বড় কষ্ট, সিকি। পরে, পরে কখনও ..
  • sch | 126.203.198.189 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ০২:০৯569814
  • কিন্তু পরে কখনো,,,,,আশায় রইলাম
  • Blank | 69.93.193.134 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ০২:১৫569815
  • সিকিরে ক। এবারে পরের পর্ব শুরু হোক, জেতার পর্ব।
    আর ঐ ডায়েরিটা আছে এখনো?
  • Bhagidaar | 218.107.178.181 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:০৪569816
  • আমারও প্রশ্ন, লৌকিক আচার লেখা ডায়েরি-টা আছে নাকি এখনো ?
  • ঐশিক | 132.181.132.130 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ১২:০৬569817
  • সোসেন দি খুব ভালো লাগলো, জানি লিখতে কষ্ট হবে কিন্তু পরের পর্বের আশায় রইলাম
  • sosen | 24.139.199.1 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ১২:২৮569819
  • সে ডায়রি নাই, কি হয়েছে শুধাবেন না :(
  • Bhagidaar | 218.107.178.181 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ১৩:১৪569820
  • কেন? কাগজ-এর এরোপ্লেন বানিয়ে উড়িয়েছিস নাকি সেটাকে? ছাগল!
  • jhumjhum | 127.194.226.178 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ১৭:৫৯569821
  • সোসেন, অনেক যন্ত্রণা সয়ে বড় হয়েছো, কিন্তু জেতার পর্বটা বাদ গেলে যে বৃত্তটা পূর্ণ হবে না। তাই অনুরোধ, ওটা লেখো। কষ্ট হবে হয়তো, আমরা তোমার কষ্টটা ভাগ করে নেবো। ( যদিও জানি সব কষ্ট হয়তো ভাগ করে নেওয়া যায় না)।
  • raatri | 24.96.121.10 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:০৩569822
  • কী সাহসী এই মেয়েটা!!
  • sch | 132.160.114.140 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:১১569823
  • সোসেন কাউকে একটা আপনার লেখাটা পড়াচ্ছিলাম। কঠিন অবস্থায় লড়াইয়ের জোর পাওয়ানোর জন্যে - জেতার গল্পটা না পড়ালে যে সে বেচারী আর লড়াইটায় নামার ই সাহস পাবে না
  • siki | 132.177.71.199 | ০১ এপ্রিল ২০১৩ ১৯:১৪569824
  • ক। এটি জনে জনে ডেকে ডেকে পড়ানো উচিত।

    আর সোসেন, কষ্ট ভাগ করে নিলে কষ্ট কমে যায়, আনন্দ ভাগ করে নিলে আনন্দ বেড়ে যায়।
  • sosen | 125.242.155.138 | ০২ এপ্রিল ২০১৩ ০০:১২569825
  • সবাইকে এত্ত এত্ত ধন্যবাদ এই ধুলোট গল্প পড়ার জন্য।
    আরো, যাঁরা আমার এই পুরনো, ধুলো পড়া উপাখ্যান শুনে কাঁদেন , কষ্ট পান, আবার লিখতেও বলেন তাদের যে কি বলব জানিনা। নিজেকে ভারী ভাগ্যবান মনে হয়।
    অবস্থার বিপাকে একটু লড়তে হয়েছে বটে, কিন্তু এমন গল্প কতজনের আছে, একটু ফর্ম আলাদা,একটু একটু অন্য। তার মধ্যে হারিয়ে যাওয়ায় সম্ভব ছিল, হারিয়ে যে যাইনি এ-ও ভাগ্য।
    বিপাকটি এসেছিল আচমকা, সে গল্প লিখলাম, উঠে আসার গল্প ঘষে ঘষে, ক্রমান্বয়ে, আজও চলছে হয়ত। সে লেখা কেমন করে লিখব জানিনা, তবে চেষ্টা করব, সকলের কথায়, একটু সময় নিয়ে।

    সবাইকে অশেষ কৃতজ্ঞতা।
  • ladnohc | 233.176.113.18 | ০২ এপ্রিল ২০১৩ ০০:২১569826
  • সোসেন্দি,
    এট্টু কষ্ট করে এটার একটা ইংরিজি অনুবাদ করবেন? কাউকে প​ড়াতে চাই যে বাংলা প​ড়তে পারে না! আর আমার ইঞ্জিরির বিদ্যা যা, তাদিয়ে হবে না :(
  • sosen | 125.242.155.138 | ০২ এপ্রিল ২০১৩ ০০:২৫569827
  • কি সাংঘাতিক!
    আমার ইংরেজি যে মারাত্মক খারাপ।
  • ladnohc | 233.176.113.18 | ০২ এপ্রিল ২০১৩ ০০:৪৩569828
  • একটু চেষ্টা করে দেখুন না, ডক হিসাবে পাঠিয়ে দিতে পারেন robotburn১৯৮৩@জিমেলে
    কিংবা indranibhattacharjee১২৬@জিমেলে।
    আগাম ধন্যযোগ :)
  • Bhagidaar | 216.208.217.6 | ০২ এপ্রিল ২০১৩ ০৫:০৪569830
  • যে বাংলা পড়তে পারে না, সে কি বাংলা বুঝতে পারে? তাহলে transliteration কল্লে চলবেনা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন