এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কৌস্তভ ভট্টাচার্য | 213.99.211.18 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১০:২৬624598
  • ক্যামেরা – ভালো। এডিটিং – মোটের উপর ভালোই (রক্ত ছেটানোর সিলি এফেক্টসগুলো ছাড়া)। মিউজিক – শেষের গানটা সম্ভবতঃ শ্রীজাতের জীবনের সবচেয়ে খারাপ লিরিক্স –তাছাড়া মোটের ওপর খারাপ না।

    এখানেই শেষ করে দেওয়া যেতো বুঝলেন রিভিউটা – আর একটা শব্দ বেশি না লিখলেও চলতো – কিন্তু তার আগে কয়েকটা কথা।

    তথাকথিত ‘চাঁদের পাহাড়’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরী এই ছবিটি একটি অত্যন্ত খারাপ ছবি হবার জন্য দায়ী আপনারা। আপনারা প্রত্যেকে – যারা বারবার বলা সত্ত্বেও ‘মেঘে ঢাকা তারা’ দেখেননি- আঁতেল ছবি বলে দূরে সরিয়ে দিয়েছেন – আর বাঙলা ছবিতে একটা সত্যি সত্যি ক্লাসিক – নিতান্ত অনাদরে কয়েকদিনের মধ্যে ডিভিডি রিলিজ করাতে বাধ্য হয়েছেন।

    কমলেশ্বর মুখার্জী ভালো পরিচালক, ভালো ডাক্তার সব হতে পারেন – কিন্তু দিনের শেষে তিনিও তো মানুষ। ‘উড়ো চিঠি’ বলে একটা দিব্যি ঠিকঠাক ছবি বানালেন – কেউ দেখলো না। স্বয়ং ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ব্যাকআপ নিয়ে ঋত্বিক কুমার ঘটকের একটা প্রচন্ড নির্লিপ্ত বায়োপিক বানিয়ে ফেললেন – কেউ দেখলোনা। অগত্যা।

    তবে একটা কথা মিস্টার মুখার্জীকে – দাদা গায়ের ঝাল ঝাড়ার জন্য শেষপর্যন্ত বিভূতিভূষণ? এটা একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেলোনা?

    তবে অন্য ভাবে ভেবে দেখলে বিভূতিভূষণ সবচেয়ে সেফ বেট – আর তার জন্য দায়ী – বিশপ লেফ্রয় রোডের লম্বা লোকটা। যবে থেকে ‘অপু ট্রিলজি’ তৈরী হয়েছে – তারপর থেকে বাঙালি ভেবে বসেছে – বিভূতিভূষণের গল্প নিয়ে ছবি মানেই ‘এই নে তোদের আর একটা ক্লাসিক’ দিলাম। স্বয়ং তরুণ মজুমদারও যে ‘আলো’ বানাতে গিয়ে একটা ইয়ে বানিয়েছিলেন – সেটা অনেকেই ভুলে যায়।

    যাই হোক সেসব কথা পয়েন্টে ফিরি – বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়কে আগে একটু বোঝা যাক? সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘আমার জীবনানন্দ আবিষ্কার ও অন্যান্য’ বলে একটা খাশা বই আছে। বইটা কিন্তু আসলে মৃত লেখকদের অবিচুয়ারি – যেটা সুনীল আনন্দবাজারের জন্য লিখতেন – সে যাই হোক। তো সেখানে বিভূতিভূষণের ওপর – মেইনলি আরণ্যকের ওপর একটা খাশা লেখা ছিলো – সেখানে অনেক কিছু লেখার পর একটা অবিশ্বাস্য ভালো বাক্য দিয়ে লেখাটা শেষ করেছিলেন সুনীল – ‘যা চিরন্তন তাই প্রকৃত আধুনিক’।

    তো – তো – এটাই বিভূতিভূষণ – মানুষের গহীন গোপন ভালোমানুষীগুলোর অবয়ব একের পর এক ফুটিয়ে দিয়ে গেছেন – আরণ্যকে, আদর্শ হিন্দু হোটেলে, পথের পাঁচালী – অপরাজিততে এবং অতি অবশ্যই চাঁদের পাহাড়ে।

    চাঁদের পাহাড় যদি কেউ ভবিষ্যতে আবার বানায় তার জন্য আজন্ম বিভূতিভূষণ ভক্তের একটা ছোট্টো গাইডলাইন – প্লিজ প্লিজ প্লিজ মনে রাখবেন চাঁদের পাহাড় ইন্ডিয়ানা জোনসের অ্যাডভেঞ্চার নয় – এটা বিভূতিভূষণের উপন্যাস – এটা ইচ্ছেপূরণের গল্প বটে কিন্তু এর নায়ক আদ্যন্ত বাঙালি। সে ‘অজ পাড়াগাঁয়ের ছেলে’। সে ‘ডিয়েগো আলভারেজের মতো কঠিন প্রাণ স্বর্ণান্বেষী প্রসপেক্টর নয়’ এবং – এবং তার ভয় আছে।

    গল্পের বইতে প্রত্যেকবার শঙ্কর যখন সিংহের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে – তার মনে ভয় এসেছে – শুধুমাত্র বিপদের মুখে তার মাথাটা অবিশ্বাস্যরকম ঠান্ডা বলে বেঁচে বেরিয়ে গেছে – বুনিপকে ভয় পেয়েছে – বধ করতে যায়নি – কোনো অভিজ্ঞতা ছাড়া যখন এক পা এক পা করে মরবার সময় এগিয়ে আসছে – তখন বাঁচতে চেয়েছে – মরার ভয় ছিলো বলে - একমাত্র শেষের দিকটা ছাড়া – যেখানে মৃত্যু সম্বন্ধে একটা গভীর নির্লিপ্তি এসে গেছিলো তার মনে।

    একটা কথা বলে রাখি এই রিভিউ লেখক কিন্তু মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন কোনো উপন্যাস – সে যতোই ভালো ক্লাসিক হোক অ্যাজ ইট ইজ ছবি করা সম্ভব নয় – দুটো সম্পূর্ণ ভিন্ন মিডিয়াম। কিন্তু একটা ব্যাপার – যখন আপনি ঘোষিত ভাবে একটা উপন্যাস অবলম্বনে ছবি করছেন – সেটার এসেন্সটা তো রাখতে হবে রে বাবা। সত্যজিৎ অপুর সংসারের শেষ দিকটা ফেলে দিয়েছিলেন, লীলার ক্যারেক্টারটাই আনেননি – কিন্তু কোথাও উপন্যাসটার মানবিকতাটা হারিয়ে ফেলেননি।

    মানবিকতা – দ্যাটস দ্যা ওয়ার্ড – অপু মানুষ, সত্যচরণ মানুষ, বিভূতিভূষণের সমস্ত চরিত্র মানুষ – এবং যতোই অবিশ্বাস্য জীবনযাপন করুক – শঙ্করও শকুন খাবার আগে, হীরের গুহা থেকে প্রাণ নিয়ে বেঁচে ফেরার আগে, পায়ে হেঁটে কালাহারি পেরোবার আগে – একটা রক্ত মাংসের মানুষ।

    সমস্যাটা হচ্ছে কমলেশ্বর বাবুর অরণ্যদেবটি ভয় পাননা – ছবির শুরুতেই সিংহের সামনে চোয়াল শক্ত করে দাঁড়িয়ে পড়েন। তারপর প্রাণের বন্ধু তিরুমল আপ্পা – যার সাথে ঠিক সাড়ে তিন সেকেন্ডের সিকুয়েন্সে প্রাণের বন্ধুত্ব হয়েছে – তার মৃত্যুর বদলা নিতে গায়ে রক্ত মেখে বদলে কি আগে হাত পোড়াতে চলে যান – খেতে পাননা – এদিকে বুনিপ মারার জন্য একটা গাব্বু ফাঁদ বানিয়ে ফেলেন, আর বুনিপের দিকে তেমন ভাবেই তাকান যেভাবে প্রতি সিনেমায় রজতাভর দিকে তাকান এবং বিশ্বাসযোগ্যতা হারান।

    সিরিয়াসলি স্পিকিং মেঘে ঢাকা তারা অবধি কমলেশ্বর মুখার্জী ধীরেসুস্থে আমার বেশ পছন্দের ছবিকরিয়ে হয়ে যাচ্ছিলেন – দুঃখের ব্যাপার – এই ছবিটার পরে লিস্ট থেকে নাম কাটবো কিনা ভাবছি – যদিও তাতে ওনার কিছু এসে যায়না।

    রাগটা বেশ তারিয়ে তারিয়ে উঠছে – ঠিকঠাক জমে ওঠার আগে কয়েকটা পয়েন্ট লিখি।

    ১) শঙ্কর ভূগোল ছাড়া বিশেষ কিছু ভালো করে পড়েনি – তাই কালাহারিতে মৃত্যুর মুখোমুখি বসে কবিতা আউড়ানোটা বেশ ইয়ে ইয়ে ব্যাপার।

    ২) ডিয়েগো আলভারেজ চুঁচড়োর লোক – ইল্লি পেয়েছেন? ভেবেছেনটা কি? মফস্বলে দেবের দর্শককে ছবিটা দেখাতে হবে বলে যা খুশি তাই? শেষে ডিয়েগো আলভারেজের মুখে বাঙলা?

    ৩) ১৯০৯ সালে আফ্রিকার রেলওয়ের গার্ড একজন কালো মানুষ? ভেবেছেনটা কি? ইতিহাস বলে একটা বস্তু আছে তো নাকি? নাকি সবকিছুই সিনসিনারি দিয়ে মেকআপ করা যায়? মহাত্মা গান্ধী আর নেলসন ম্যান্ডেলা বর্ণবিদ্বেষ বর্ণবিদ্বেষ করে হেদিয়ে মরলেন যে আফ্রিকায় – সেখানে কালো মানুষ ট্রেনের গার্ড? ব্রিটিশরা এতো লিব্যারাল হলো কবে থেকে?

    ৪) আসল গল্পে শঙ্কর মাছ ধরতে গিয়ে আলভারেজকে পেয়েছিলো। গাছের তলায় – জরাজীর্ণ অবস্থায় – এখানে দু সেট চিতা, সাড়ে ছ’খানা হায়না সমৃদ্ধ একটা সীনে। গাছের ডালে ঝুলে ঝুলে। শঙ্করের বডি অডর কি জন্তু টানে – যেখানে শঙ্কর সেখানেই জন্তু?

    ৫) বিংশ শতাব্দীর শুরুর দিকে মাসাইরা, জুলুরা এতো ভালো ইংরিজি জানতো কি করে? সবাই কি প্রবল ভাবগম্ভীর ইংরিজি বলে রে বাবা! ওদের ভাষায় বলিয়ে তলায় সাবটাইটল দিলে খুব খারাপ হতো? মানে বিশ্বাসযোগ্য ছবি বানাতে আপত্তি আছে?

    ৬) অবিশ্বাস্য অতিনাটকীয় এবং খারাপ অভিনয় – শুধু দেবের নয় সবার। আলবুকার্ক থেকে শুরু করে, জিম কার্টার থেকে শুরু করে, আলভারেজ থেকে শুরু করে, প্রসাদদা থেকে শুরু করে সবার। আর সিচুয়েশনগুলোও সমান অতিনাটকীয় – যে বুনিপের ভয়ে সবাই থরহরি কম্প – শঙ্কর প্রত্যেকবার ঘুম থেকে উঠে বলে আমি যাই মালটাকে ফিনিস করে দি। মাগোঃ।

    তবে একটা কথা এই ছবিটা দেবের কাস্টিং হবার জন্য খারাপ ছবি নয়। এটা একটি অতীব খারাপ ছবি যেটায় দেবের কাস্টিং হয়েছে।

    ৭) শঙ্কর এক গুলিতে একটা পাখি মারে। এ’রকম ‘ক্রাকশট’ কবে হলো বাপ? যে ছেলে সিংহের মতো ঢাউস জিনিস দশ হাত দূর থেকে ফসকায় – সে কালাহারিতে মরবে মরবে অবস্থায় একগুলিতে এক পাখি।

    ৮) এই ছবিটা চাঁদের পাহাড় নয় – কারণ এখানে শঙ্কর শেষে আত্মহত্যাও করবে ভেবে ফেলে – গল্পটা না আসলে বেঁচে থাকার গল্প – পুরো ফিল্মক্রিউকে রি রিডিংয়ের অনুরোধ রইলো – প্লিজ পড়বেন – বড়ো ভালো গল্প – সিনেমাটা তো নেমে গেলো – একটু সময় নিয়ে পড়বেন এবার।

    ৯) ভেবে দেখলাম দেবের কাস্টিংটা আখেরে ভালোই হয়েছে – তার জন্য চাঁদের পাহাড়টা ওই কিছুর একটা পাহাড় হয়ে গেছে। কিন্তু কিছু লোক ছবিটা দেখবে যাদের কথা ভেবেই সম্ভবতঃ বিভূতিভূষণের ডিগ্রেডেশন। ও হ্যাঁ এটার নামটা আফ্রিকায় রংবাজ জাতীয় কিছু হলে বেশ হতো।

    ১০) ব্ল্যাক মাম্বার ছোবল খেয়ে কেউ বাঁচেনা। আর ব্ল্যাক মাম্বা খাটের ওপর উঠে ঘুম ভাঙার সময় দেয়না। আসল গল্পে একটা দূরত্ব ছিলো দু’জনের মধ্যে। সেটাই শঙ্করকে বাঁচিয়েছিলো। হিরোগিরি নয়।

    ১১) আত্তিলিও গাত্তির শেষকৃত্য গল্পে শঙ্কর করেছিলো – একটা পিপের কাঠ ভেঙে মরচে পড়া পেরেক ঠুকে ক্রশ বানিয়ে।

    সিনেমায় – কালাহারি মরুভূমিতে – মাঝে বডি রেখে – চারপাশে প্রদীপের মতো আলো জ্বালায় – কিভাবে পেলো এতো আয়োজন করার টাইম না খেতে পেয়ে। পাশে একজন বয়স্ক ভদ্রলোক একটা মারকাটারি যুক্তি দিলেন – ‘অনেকগুলো হীরে পেয়ে গেছে তো তাই’। গল্পে আত্তিলিও গাত্তি একজন ইতালীয় যুবক ছিলো, যাকে শঙ্কর চিনতো না। তার ট্র্যাজেডিটায় একটা হঠাৎ আইডেন্টিফিকেশান করতে পেরেছিলো নিজের সাথে।

    এখানে গাত্তি সাত বুড়োর এক বুড়ো – আর সে মোটামুটি চাঁদের পাহাড়ের আবিষ্কারক হিসেবে উপকথার নায়ক। তার বডি পাওয়াটায় একটা ফালতু থ্রিলার ফালতু থ্রিলার পেঁয়াজি তাই। ট্র্যাজেডি বেচারি আর কি করবে?

    ১২) ডিয়েগো আলভারেজ মারা যান শঙ্করকে বাঁচাতে গিয়ে ছবিতে। পুরো হিরোর বড় ভাই গুলির সামনে দাঁড়িয়ে পড়া স্টাইলে – পারিনা।

    ও হ্যাঁ একটু আগে বলছিলাম না সবাই খারাপ অ্যাক্টিং করেছে – বুনিপটাকে কিন্তু আমার দিব্যি লেগেছে। একটা স্যাম্পেল বাড়ি পুষলে হতো।

    ১৩) সবচেয়ে মেজর আপত্তি – এই শঙ্কর না মুগ্ধ হয়না। গল্পে বহুবার, বহু বহু বার শঙ্করের মনে হয়েছে হীরের দরকার নেই – যা নিসর্গ দেখলাম তাতে জীবন ধন্য। বিভূতিভূষণে সমস্ত চরিত্রই তো আসলে এই সুতোটা দিয়ে সংযুক্ত – তারা প্রকৃতিতে মুগ্ধ হয় – গালে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ বাহ্‌ কি সুন্দর ভাবে । তাদেরকে কিলিমানজারো, লেক টাঙ্গানিকা, ভিক্টোরিয়া জলপ্রপাত দেখতে হয়না। হতদরিদ্র অনাম্নী নিসর্গ তাদের টানে – উদাহরণ? লেট মি কোট বিভূতিভূষণ –

    ‘ শঙ্করের তাই অদ্ভুত মনে হচ্ছিল বহুদূর বিদেশের এই স্তব্ধ রাত্রির সৌন্দর্য। কুলিদের ঘরের একটা খুঁটিতে হেলান দিয়ে সে একদৃষ্টে সম্মুখের বিশাল জনহীন তৃণভূমির আলো-আঁধারমাখা রূপের দিকে চেয়ে চেয়ে কতো কি ভাবছিল। ওই বাওবাব গাছটা ওদিকে অজানা দেশের সীমা কেপটাউন পর্যন্ত বিস্তৃত – মধ্যে পড়বে কত পর্বত, অরণ্য, প্রাগৈতিহাসিক যুগের নগর জিম্বারি – বিশার ও বিভীষিকাময় কালাহারি মরুভূমি, হীরকের দেশ, সোনার খনির দেশ’।

    কিছু বোঝা গেল?

    এই ছবির শঙ্করকে নৈসর্গ দেখাতে আলভারেজ ঘুম থেকে তোলেন – সে তাও হ্যাঁ ডাকছো কেন টাইপ হাবভাব করে।

    আসলে কেউ ঘাটশিলায় বসে স্যার এইচ এইচ জন্সটন, রোসিটা ফরবস পড়েই চাঁদের পাহাড় লিখতে পারে – যেটা বুদ্ধদেব গুহ চব্বিশবার আফ্রিকাতে গিয়েও ঋজুদা লিখতে গিয়ে সশ্রদ্ধায় বলেন – একটাও ভুল নেই।

    আর কেউ সাতাত্তর বার – রেকি করেও পারেনা।

    আমি কিন্তু ট্রেলার দেখে এই ভয়গুলো পাওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র পরিচালকের ওপর ভরসা করেই দেখতে গেছিলাম ছবিটা। আপনারা ভুলটা না করলে ভালো থাকবেন। অনেক চেষ্টা করেও ভালো কিছু লিখতে পারলাম না।

    ও হ্যাঁ – ক্যামেরা – ভালো।

    পুনশ্চঃ ছবিটা না দেখে বইটা একবার পড়ে ফেলুন – যে ব্ল্যাক মাম্বার কামড় খেয়ে দেব হাতে স্রেফ একটা ব্যান্ডেজ বেঁধে ঘুরে বেড়ালেন – তার সাথে শঙ্করের মোলাকাতে সেই বিখ্যাত সিকুয়েন্স – আরেকটা কোট করে ফেলি?

    "শঙ্কর ভুলে গেছে চারপাশের সব আসবাব-পত্র, আফ্রিকা দেশটা, তার রেলের চাকরি, মোম্বাসা থেকে কিসুমু লাইনটা, তার দেশ, তার বাবা-মা - সমস্ত জগৎটা শূন্য হয়ে গিয়ে সামনের ওই দুটো জ্বল্-জ্বলে আলোর দানায় পরিণত হয়েছে, তার বাইরে শূন্য! অন্ধকার! মৃত্যুর মতো শূন্য, প্রলয়ের পরের বিশ্বের মতো অন্ধকার।

    সত্য কেবল ওই মহাহিংস্র উদ্যত-ফণা মাম্বা, যেটা প্রত্যেক ছোবলে ১৫০০ মিলিগ্রাম তীব্র বিষ ক্ষতস্থানে ঢুকিয়ে দিতে পারে এবং দেবার জন্যে ওৎ পেতে রয়েছে।"

    কেমন জানি বাঙলা পড়তে পারি বলে একটা নিজেকে নিজে নোবেল দিয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে না?
  • aranya | 78.38.243.161 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১০:৪০624709
  • কোট-গুলোর জন্য অনেক ধন্যবাদ, কৌস্তুভ। অনেক দিন পড়া হয় নি বইটা, আবার হাতে নিতে হবে। এই বইটার কথা যখন ভাবি, মেয়ে বাংলা পড়তে শিখল না বলে সত্যি দুঃখ হয় ..
    আলভারেজ ছিল কঠিন প্রাণ প্রসপেক্টর, শঙ্করের ছিল প্রকৃতির সৌন্দর্য অনুভব করার চোখ, বাংলার শ্যমলিমা সেই চোখ তৈরীতে সাহায্য করেছিল। সিনেমায় উল্টো :-(
    আফ্রিকার রংবাজ - নামটা ভাল :-)
  • siki | 135.19.34.86 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:২১624776
  • চাঁদের পাহাড় বই তো আছেই, পিডিএফও বোধ হয় আছে বাড়িতে। লাইন বাই লাইন না হলেও এখনও মনে আছে পুরো গল্পটা। কৌস্তুভের লেখা ভালো লাগল।
  • গান্ধী | 213.110.243.23 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:২৭624787
  • কৌস্তভ, ভেবেছিলাম দেখবো সিনেমাটাঃ(
  • jhiki | 190.214.232.84 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১১:৩৩624798
  • খুব ভাল লাগল রিভিউটা।
  • রোবু | 177.124.70.1 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১২:২২624809
  • পারফেক্ট রিভিউ। সিনেমা দেখেছি, তাই বলছি। প্রত্যেকটা লাইনে লাইনে ক।
  • Radagast | 125.112.74.130 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১২:৪৫624820
  • বাহ, বেশ রিভিউ। এবার কেউ দেখার কথা বল্লে এই লিংকটা দিয়ে দেবো।
  • jhiki | 190.214.232.84 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৩:১৮624831
  • এই রিভিউ সত্ত্বেও কিন্তু সুযোগ পেলে সিনেমাটা দেখতাম। এটা কেমন পাড়ার পুজোর মত, যতই বড় বড় পুজো দেখিনা কেন, পাড়ার পুজো না দেখলে মন ভরে না ঃ)
  • | 24.97.9.240 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৩:৩৩624842
  • রিভিউটা খুব ভাল।
  • de | 69.185.236.51 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৩:৩৫624599
  • দারুণ রিভিউ! সিনেমাটা দেখার কষ্ট নেওয়া যাবে না সেটা বোঝা গেলো!
  • siki | 135.19.34.86 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৪:১০624610
  • আমার দেয়ালে জঘো-র পোস্টে কেউ এই রিভিউটা প্লিজ কপি পেস্ট করে দিয়ে আসবে? আমি এখন অফিসে, ফেবু খুলতে পারব না।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৪:১৭624621
  • আমিও এই দুদিনে আসল সিনেমাটা দেখে ফেললাম যেটা বিভূতিভূষণ ২০০ পাতা ধরে লিখে গেছেন। দেয়া কোটেশনগুলো তাই তাজা তাজা হয়ে আছে মনে। আর এই নকল সোনা দেখতে যাবার সাধ নেই। কী অসহ্য সব ভুলভ্রান্তি ! কমলেশ্বর শুনেছি ডিটেলিঙে নজর দেন, ওটাই ওনার প্লাস পয়েন্ট, মেঘে ঢাকা তারা-তে তাই মনে হয়েছিল। সেই লোক এরম সিনেমা করল শেষে !
  • ছেনাল ঘোষ | 127.194.120.34 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৪:৪১624632
  • কমলেশ্বরের মেঘে ঢাকা তারাও দেখিনি, দেখিনি দেবের কোনো সিনেমা,ফলে সিনেমা দেখতে যাওয়ার আগে খুব একটা আশা নিয়ে যাই নি।এটা বিভূতিভূষণ বন্দোঃ নামক এক লেখকের লেখা বই থেকে নাম ধার করে তৈরী হওয়া এক বাণিজ্য সফল ছায়াছবি। কয়েক মিনিটের বন্ধুর জন্য গায়ে রক্ত মেখে সিংহ'এর সামনে হিরো হওয়া, সিংহ 'এর সাথে দৌড় বা বুনিপ হত্যা( মাইরি বুনিপের পিছনে এত খাটাখাটনি না করে রজতাভ দত্ত কে নিতেই পারতেন ) বোধহয় হিরো দেব'এর জন্যই।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৪:৪৮624654
  • /স্বস্তি
  • Kaju | 131.242.160.180 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৪:৪৮624643
  • আমি একটা জিনিস সত্যি বুঝিনি। আসল ব্ল্যাক মাম্বা নিয়ে শট নিয়েছে, সেখানে সাপটাকে বুকের ওপর তুলে দেয়া, ছোবল খেয়ে হাতে ব্যান্ডেজ এসব হল কী করে? এমনিতেই তো নাকি অ্যাণ্টিভেনোম নিয়ে ডাক্তার, হেলিকপ্টার সব রেডি ছিল যে কিছু হলেই... দেব শুধু বলেছিল আরেকবার দেবো, চিট করে শট দিয়ে স্বতি হচ্ছে না। সেখানে এত হিরোগিরি আসে কোদ্দিয়ে? এটা কি ক্যমেরার কারসাজি করে করা?
  • Ekak | 24.99.97.133 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৪:৫১624665
  • অনেকে বলছেন আগের সিনেমার পর এই সিনেমা দেখে বেজায় হতাশ হয়েছেন । এইটা সবচে গোলমেলে লাগচে ।
  • Blank | 180.153.65.102 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৪:৫৮624676
  • রিভিউ টা প্রথম ফেবু তে পড়ি। দারুন।
  • রোবু | 177.124.70.1 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:১০624687
  • কীভাবে শুট করা হলো তাই দিয়ে কী হবে ধুস!
  • রোবু | 177.124.70.1 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:১২624698
  • এককদাকে, দুটো সিনেমা আলাদা ডিরেক্টরের বানানো :-)
  • Ekak | 24.99.97.133 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:১৬624710
  • এটা কেন মনে হচ্ছে ? আমি তো কোনো তফাত পাইনি ।
  • রোবু | 177.124.70.1 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:২০624732
  • আমি পেয়েছি।
  • Kaju | 131.242.160.180 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:২০624721
  • বাঃ এত রংবাজি হল, জানতে চাইব না কীভাবে শুট করা হল? শুটিঙের দিন থেকেই তো এত গল্প শোনা হল !
  • Ekak | 24.99.97.133 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:২৫624743
  • নাহ , টেকনিকাল সীমাবদ্ধতা বাদ্দিলে এক মনে হয়েছে । ইনফ্যাক্ট ঐজন্নেই শুটিং এর গোটা বারো ভিডিও আর ট্রেইলার দেখেই সিদ্ধান্ত নি আর সময় নষ্ট নয় :/ কমলেশ্বর ইস আ মাস্টার অফ কিত্স্চ । কিত্স্চ আর্টের অবশ্যই বাজার রয়েছে । আমার পোষায় না । চয়েস ।
  • siki | 135.19.34.86 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:৩৪624754
  • কিত্‌স্চ কী?
  • রোবু | 177.124.70.1 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:৪৬624765
  • http://en.wikipedia.org/wiki/Kitsch

    মে ঢা তা কিত্স্চ কিন্তু চাঁদের পাহাড় তো নয়!!
  • sosen | 24.139.199.11 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৫:৫২624772
  • আমি মে ঢা তা দেখে হতাশ হয়েছিনু। তাইলে এইটে দেখলে কি ভাল্লাগবে?
  • রোবু | 177.124.70.1 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৬:৩১624773
  • না :-)
  • PM | 24.207.21.101 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৯:১৩624774
  • এই রিভিউ টা সত্তেও সাম্নের মাসে দেশে ফিরে মেয়েকে নিয়ে "কিছু একটা পাহাড়" দেখতে যাবো। রিভিউ-টা পড়ে আমি নিশ্চিত বিভুতি প্রেমীর পছন্দ না হলেও আমার ৯ বছরের মেয়ের বেজায় পছন্দ হবে। সিনেমাটা দেখে ও যদি বইটা উৎসাহ নিয়ে পড়ে ফেলতে পারে তাহলে তো দুগুন লাভ।

    বাঙালীর দাড়ি-দাদুর ছাড়া গান/কবিতা ছাড়া গান/কবিতা পছন্দ হবে না, সত্যজিত ছাড়া সিনেমা পছন্দ হবে না, শন্ভু /উৎপল ছাড়া নাটক পছন্দ হবে না, হেমন্ত/মান্না ছাড়া গায়ক পছন্দ হবে না, সৌমিত্র/উত্তম ছাড়া নায়ক পছন্দ হবে না---কি জ্জ্বালা রে বাপু। কি করে যে জাতটাকে বর্ত্তমানে ফিরিয়ে আনা যায় -----ঃ)।

    মফস্বলের দর্শকদের রুচিবোধকে গালিও দেবেন আবার চাইবেন- যে তারা দলে এসে আপনার পছন্দমতো শিল্পকর্মকে হই হই করে বাজারে চালাবেন----ইল্লি আর কি ঃ)
  • sosen | 125.242.183.245 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৯:২৯624775
  • ইয়ে, মানে বাঙালীকে ইন জেনেরাল বকাবকি না করেও সিন্মাটা দেখা যাবে বোধহয়।
    আরেকটা কথা কই, ধরেন বিভূতিবাবুর আদ্ধেক বই কোনদিন-ই সিন্মা হবে না, তাই ও আশায় না থেকে এমনি-ই যদি আমাদের পুঁচকি কন্যেরে কিছু মিছু পড়াতে থাকেন, তাইলে আরো লাভ কিন্তু।
  • S | 109.27.138.238 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৩ ১৯:৪৪624777
  • রিভিউয়ের শেষ লাইনটা খুব সত্যি। বিভূতিভূষণ বাবুর লেখা সত্যি অসাধারান - এটা মারাত্মক আন্ডারস্টেটমেন্ট। যে লোক পূর্ব ভারতের বাইরেই বোধয় কোনোদিন যাননি, সেই লোক কি করে চাঁদের পাহাড় আর হীরা মানিক জ্বলে লেখেন, তাও সেযুগে কমিউনিকেশন বলতে লাইব্রেরির গোটাকয়েক বই, অ্যাটলাস, আর হয়তো কিছু বিদেশি সংবাদ্পত্র/ম্যাগাজিন।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন