এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • হীরকের রানী ভগবান (৩)

    সিকি
    নাটক | ১৪ জানুয়ারি ২০১৫ | ১০৬৪১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ? | 126.203.147.177 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:১৭666185
  • কুণাল, টুম্পাই, মদন, মুকুল ও আমি তো পাঁচজন। ষষ্ঠ জন আবার কোত্থেকে এল?
  • PM | 233.223.159.136 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৩৪666186
  • অতজ, কল্লোলদার গল্প পড়ে আমার মনে হয় নি যে আপনি যেভাবে ভাবছেন সেটাই ঐ গল্পের বটম লাইন ঃ)

    বরং আমার মনে হয়েছে ঐ সময়ে ব্যবহারিক বিদ্যা আর পুঁথিগত বিদ্যার যে গ্যাপটা ছিলো সেটার দিকেই ইংগিত করছে গল্প্টা। জ্ঞন চর্চার অধীকারী ব্রাহ্মন-রা ব্যবহারিক জ্ঞান রহিত। দুটোর সিন্থেসিসের প্রয়োজনিয়তার কথাই বলা হয়েছে বলে মনে হলো।

    কিন্তু এ যুগে তা যে হয় নি তাতে সন্দেহ নেই
  • কল্লোল | 111.63.196.102 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৪২666187
  • আতোজ। না, বোঝেন নি।
    ব্যাস ঐ প্রান্তিক মানুষদের থেকে শিখছেন কি করে বন্ধ্যা জমি উর্বর হয়। আর সেই জ্ঞান নিজের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করছেন। শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় সৃষ্টি হয় না। সৃষ্টির জন্য লাগে অভিজ্ঞতা। যা কিছু চারপাশে ঘটছে তাকে ভালো-মন্দ নির্বিশেষে গ্রহন করতে হয়। শুধু ভালোতে হয় না শুধু মন্দতে হয় না।
    মহাভারত তাই আজও অনন্য, যেখানে কেউ অবিমিশ্র ভালো বা কেউ অবিমিশ্র মন্দ নয়। মানুষের মধ্যে যেমন মহত্ব থাকে, সেই একই মানুষের ভিতর ক্ষুদ্রতাও বাস করে।
    আপনি যদি কলকাতায় থাকেন তো, শাহজাদ ফিরদৌসের ''ব্যাস'' কিনে পড়ুন। ঠকবেন না।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৪৪666188
  • কল্লোল,
    এই যে
    ভালো মন্দ
    উচ্চ নিম্ন
    সাদা কালো

    ডট ডট ডট

    এই আগে থেকেই ভাগ করে রাখা আর অ্যাসোসিয়েট করে দেওয়া এক এক দলের সঙ্গে, এইটা বেশ প্রকট তো!
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৪৬666189
  • সেইজন্যেই তো যুধি টুধি অর্জুন টর্জুন রা পড়ে যায় একদলে আর একলব্যেরা ঘটোৎকচেরা পড়ে যায় আরেক দলে।
    কর্ণরা হয়ে পড়ে লিম্বো।

    ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৪৮666190
  • হরিশঙ্কর জলদাসের "একলব্য" পড়লাম, প্রথম অংশ। কোনো একটা ঈদ সংখ্যায়।
    পড়েছেন?
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৫২666191
  • পিএম,
    তাহলে আর আমার বোঝার ভুলটা কোথায় হলো?
    সত্যিই তো ব্রাহ্মণেরা "জ্ঞানের বর্ষা" আর প্রান্তিকেরা "অভিজ্ঞতার জৈব সার"---এইভাবেই ইমপ্লাই করা হচ্ছে।
    ঃ-)
  • kc | 198.70.25.165 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৫৩666192
  • আতোজ, কুর্নিশ জানবেন।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৪ ডিসেম্বর ২০১৫ ২৩:৫৮666193
  • কেসি, ঃ-)
    আমি দেবীর নিশি মাত্র, কুর্ণিশ দেবী চৌধুরানীকে করুন।
    ঃ-)
  • কল্লোল | 111.63.196.102 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:০১666195
  • আতোজ। আমার তেমন মনে হয়নি। বরং মনে হয়েছে গোটা সৃষ্টি ভালো-মন্দের মিশেলে তৈরী, যেখানে দুটোকে আলাদা করা যায় না। ভালোর মধ্যে মন্দ থাকে মন্দের ভিতর ভালো রয়ে যায়। এটা ভালো-সাদা, ওটা মন্দ-কালো এমন ভাগ সৃষ্টিতে হয় না। সৃষ্টি তাই নানা রংএ রঙ্গীন। এমনকি সাদায়-কালোয় মিশে শুধু ধূসরও নয়।

    আপাততঃ এই।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:০৪666196
  • আহা রে! এমন যদি হতো গো!
    বামুনে শুদ্রে পাশাপাশি যুদ্ধু করতো গো! কর্ণকে বাপেন্নামের দোহাই দিয়ে না থামানো হতো গো! একলব্যের আঙুল কেটে না নেওয়া হতো গো! ঘটোৎকচকে টোপ বানিয়ে অর্জুনকে বাঁচানো না হতো গো!

    ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০০:২৭666197
  • এস এম,
    বৈষম্য, ঘৃণা, শত্রুতা টিঁকিয়ে রেখে রিজার্ভেশন করেও কোনো লাভ হয় না। দেশের উন্নতি ব্যাপারটা তো আসলে সামগ্রিক ব্যাপার, কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর তো না।

    একটা উপায় হতে পারে, সমস্ত রিজার্ভেশন বন্ধ করা হোক, এমনকি আর্থিক অনুদানও বন্ধ করা হোক। তারপরে সবাইকে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেওয়া হোক, একদম তাদের নাম পদবী পিতৃপরিচয় ঠাকুদ্দাপরিচয় সামাজিক সমস্ত প্রিভিলেজ বা নন-প্রিভিলেজ মুছে নিউট্রাল কোনো চিহ্ন দিয়ে তাদের পড়াশুনো করতে দেওয়া হোক সম্পূর্ন রাষ্ট্রের খরচে ও সুপারভিশনে(বাবা মা পরিবার সব কিছু থেকে দূরে নিয়ে গিয়ে) আর তারপর ফেয়ার কম্পিটিশন হোক। সেখান থেকে যারা উঠতে পারবে, উঠবে, যতদূর পারে উঠবে।

    কিন্তু এই উপরোক্ত উপায় অসম্ভব। মানুষ রোবট না, মানুষকে যন্ত্রের মতন মানুষ করা যায় না।
  • কল্লোল | 125.242.140.108 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০১:৫৭666198
  • আতোজ।
    সেটাই তো মহাভারতের বৈশিষ্ট।
    মহাভারতকার কোন কিছু গোপন করেন নি। আড়াল করেন নি কোন কিছু।
    একলব্যের উপর দ্রোন যে অন্যায় করেন সেটা কোথাও মান্যতা দেন নি। দ্রোন অর্জুনের প্রতি পক্ষপাতে একলব্যের বৃদ্ধাঙ্গুষ্ঠ দক্ষিণা চান এটা মহাভারতকারই লিখে গেছেন।
    কর্ণের প্রতি অন্যায় হয়েছে সেও মহাভারতকারই লিখে গেছেন, কোথাও সেটাকে আড়াল করেন নি। যে কর্ণ স্বয়ম্বর সভায় দ্রৌপদীর অপমানের শোধ তুলছেন তাকে বিবস্ত্র করায় উৎসাহ দেখিয়ে, সেই কর্ণ কুন্তীর পান্ডবদের জ্যেষ্ঠ আসনের প্রস্তাব, দ্রৌপদীর প্রথম স্বামী হওয়ার প্রস্তাব হেলায় ফিরিয়ে দিচ্ছেন, বন্ধুত্বের তাগিদে।
    ভীষ্ম, দ্রোন, কর্ণকে অন্যায় ভাবে মারা হয়েছে একথা মহাভারতকারই লিখেছেন।
    ঘটোৎকচের মৃত্যুর পর কৃষ্ণ উল্লাসে নেচে ওঠেন। কারণ ঘটোৎকচের মৃত্যু অর্জুনকে বাঁচিয়ে দিয়ে গেলো। একথাও মহাভারতকারই লিখে গেছেন।
    শকুনির সম্পর্কে স্ত্রীপর্বে গান্ধারীর মুখ দিয়ে অদ্ভুত কথা বলিয়েছেন - ঐ নির্বোধ আমার পুত্রগণের বিনাশসাধনের নিমিত্তই শঠতা শিক্ষা করিয়াছিলো।
    গল্পটা দুরকম।
    এক) গান্ধারীর ভাগ্যগণনা করে জানা গেলো তার বৈধব্য যোগ আছে। তাই তার সাথে এক ছাগের বিয়ে দিয়ে তাকে মেরে ফেলা হয়। তারপর ধৃতরাষ্ট্রের সাথে তার বিয়ে হয় এই তথ্যটি গোপন করে। পরে তা জানতে পেরে ধৃতরাষ্ট্র গান্ধার রাজ ও তার সমস্ত পুত্রদের বন্দী করে আনেন। আদেশ হয় এদের সবার জন্য দিনে মাত্র একমুঠো চাল খেতে দেওয়ার। গান্ধার রাজের আদেশে সেই একমুঠো চাল তারা না খেয়ে শুধু শকুনিকে খেতে দেন। অনাহারে সকলের মৃত্যু হলে, শুধু শকুনিই বেঁচে থাকেন। তখন গান্ধারীর অনুরোধে তাকে মুক্তি দেওয়া হয়। এর প্রতিশোধ নিতে শকুনি শাঠতা করে কৌরবদের গোটা বংশকেই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দেন।
    ২) গান্ধারীকে একরকম জোর খাটিয়েই ভীষ্ম অন্ধ ধৃতরাষ্ট্রের সাথে বিয়ে দেন। এর শোধ তোলে শকুনি কৌরবদের ধ্বংসের দিকে এগিয়ে দিয়ে।
    এরকম নানান বৈপরীত্যে মহাভারত অনন্য মহাকাব্য হয়ে আছে।
    যাগ্গে। তবে বিচার আপনা আপনা। এই আর কি।
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:২২666199
  • ঐ আরকি আগে থেকেই ঠিক হয়ে আছে কারা ভিলেন, কারা হিরো। কারা জিতবে কারা হারবে। (সম্ভবতঃ পুরো কাহিনিই ফ্ল্যাশব্যাকে লেখা, জো জিতা ওহি সিকান্দর স্টাইলে আগে থেকেই জানা আছে কারা জিতেছিলো, তাই তাদের হীরো বানানো। তবে হারা পক্ষেও বীরেরা ছিলো, তাদেরো কিছু কিঞ্চিৎ মান টান দিয়েছে আরকি মহানুভব জমিদার মশাইয়ের বস্ত্রদান স্টাইলে ঃ-) )
    বাকী সব ডিটেলের কাজ। ওদের নানা ইয়ে দেখানো। নইলে ঐ মিনমিনে যুধি, পাগলা ভীম, সাত্থপর অজ্জুন, আবাহনো নেই বিসজ্জনও নেই নকুলসহদেব---এর কেউ কি রাজত্ব করবার যোগ্য? বরং কর্ণের মধ্যে লীডারশিপ কোয়ালিটি বেশি দেখা যায়, অন্তত বন্ধুর কাছে বিশ্বাস না ভাঙার দিকটা দেখলে---
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০২:৩৫666200
  • মান্যতা দ্যান নি আবার ক্যামোনধারা কথা?
    একলব্যের আঙুল গেলই, তার কোনো ক্ষতিপূরণও হলো না। এমন যদি হতো একলব্যের গোষ্ঠীকে বিশেষ সাহায্য করে প্রায়শ্চিত্ত করা হচ্ছে, তবে তাও একটা কথা ছিল।
    আর ঐ ঘটোৎকচ! সে তো মরলই, যার গেল তার গেল। হীরোদের কাছে জাস্ট কোল্যাটেরাল ড্যামেজ মাত্র।
    কর্ণের উপরে অন্যায় হয়েছে, তার জন্য কোনো প্রতিকার হলো কোথাও? গোটা মহাকাব্যে? মাঝখান থেকে সভাপর্বে ঐ গন্ডগোল, তার জেরে শেষে কুরুক্ষেত্র বেঁধে কর্ণ মরে বাঁচলো। বেশ কায়দা করে ওর উপরেই চাপিয়েও দেওয়া গেল জিনিসটা।
    ভীষ্ম নিজেই নিজের মৃত্যুর উপায় বলে দ্যান যুধিকে। এদের চেপে ধরলে এরা বলবে আহা ঠাউদ্দাকে তো পরম শ্রদ্ধাভরেই আমরা মারলুম উনি যেভাবে কয়েছিলেন, ঠিক সেইভাবে।
    দ্রোণের ক্ষেত্রেও প্রায় তাই, মারি অরি পারি যে কৌশলে। ব্যাটা গ্যাছে তো দুর্যো পক্ষে লড়তে, সেটাই তো যথেষ্ট ওকে মারার জন্য।
    শেষ পর্যন্ত গান্ধারীকে অবধি মগজ ধোলাই(তেনার অবশ্য শুরু থেকেই মগজ ধোলাই, চোখে গামছা বেঁধে জীবন বিতিয়ে দিলেন তিনি, একশোটা ছেলেপিলে মানুষ হয়ে গেল নিউটনের আপেলের মতন ঃ-) ) করে বলিয়ে দিল ছেলেপিলে সব শঠ। যেন উনি কত কেয়ার নিয়ে এদের মানুষ করতে গেছিলেন!!!!
  • cm | 127.247.98.231 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:২০666201
  • atoz বেশ ভালো ফোকাস করেছেন। এই উচ্চনিম্নের ভূত আমাদের মাথায় এমন ভাবে বিরাজমান যে তা বুঝতে অব্দি পারছিনা। দেশের আইন বলছে পদবীর মাধ্যমে এই ইন্ডেক্সিং হবেনা, কিন্তু আইন থাকলেই হবেনা, মন কে পাল্টায়। অতএব পদবী ও তার সাথে মনের মাঝে উচ্চনিম্ন ভেদ বিভাজন জারি আছে। অন্য যে সমাধান হতে পারত তা আপনি বলেছেন, পদবী ওড়াও।

    সেদিন আপনি এই টই এ এক নামের লিস্টি দিয়েছিলেন, তখন যা লিখতে হাত নিশপিশ করছিল তা হল একদল তাদের লেখালেখিকে মহান সাহিত্য বলে ঘোষণা করলেই তা মহান হয়ে যায় না। ঐ লিস্টি সর্বজনগ্রাহ্য এই অ্যাসাম্পশনটি ইম্প্লিসিট এবং তা অযৌক্তিক।
  • Atoz | 161.141.84.183 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:২৬666202
  • মুশকিল তো ঐখানেই।
    ভালো লেখক হয় তো তেনারা নন, কিন্তু গণতন্ত্রে পরিচিতি আর পাবলিসিটি যে বিরাট ব্যাপার। প্রচুর লোক শুধু ওনাদেরই জানে যে!
  • Atoz | 161.141.84.183 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৩৯666203
  • দুটি ট্রীটমেন্ট দেখুন।
    কাল্পনিক না। এটাই আমাদের সমাজে আজও ঘটে চলছে।
    দুটি বাচ্চা মেয়ের স্কুলে ভর্তির ব্যাপার।
    প্রথম ট্রীটমেন্টের মেয়েটি তথাকথিত উচ্চকুলজাতা এবং স্থানীয় নেতার দৌহিত্রী। তার বাবাকে স্কুলের পরিচালন কমিটি-
    "আরে আরে আসুন আসুন, কী সৌভাগ্য, ব্যানার্জীসায়েবের নাতনি আমাদের স্কুলে পড়বে, সে যে আমাদের বিরাট সৌভাগ্য। তার আবার অ্যাডমিশন টেস্ট কী, ইন্টার্ভ্যু কী? ও এমনিই হয়ে যাবে। হীরের টুকরোই আসবে হীরের ঘর থেকে। নিশ্চিন্তে বসুন আপনি। বলুন, কী আনাবো, গরম না ঠান্ডা?"

    দ্বিতীয় মেয়েটি অতি সাধারণ ঘরের, তথাকথিত নিম্নকূলজাতা। তার বাবাকে," যান যান ঐ লাইনে গিয়ে দাঁড়ান, ফর্ম তুলুন। তারপরে ফিলাপ করে ঠিক সময়ে জমা দেবেন। তারপর ইন্টার্ভ্যুর ডেট পড়বে, সেদিন নিয়ে আসবেন। বুঝলেন? কিছুকিঞ্চিত শিখিয়েছেন মেয়েকে? মেয়ে যদি পারে ভর্তি হবে।"

    তারপরে জনান্তিকে পাশেরজনকে, "এই তো সব ছিরি। তাদের আবার ভালো স্কুলে পড়ানোর শখ। বারো তেরো বছর থেকে তো বিয়ে দেবার চেষ্টা করবে, তাদের আবার পড়ানোর ফ্যাশন।"
  • Atoz | 161.141.84.183 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৪৬666204
  • এর চেয়েও অনেক প্রচন্ড দুর দুর ছেই ছেই অবস্থা থেকে যে দলিত ছেলেটি বা মেয়েটি কলেজ পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছতে পারে, তাদের কতগুণ বেশি প্রমাণ দিয়ে শুধুমাত্র ঐটুকু পৌঁছতে হয়, তা তো অনুমান করে নেওয়া যায়।
    একটি সতেরো আঠেরো বছরের তথাকথিত উচ্চ্কূলের ছেলে/মেয়ে আর নিম্নকূলের ছেলে/মেয়ে মানসিক ভাবে প্রায় একই রকম ভালনারেবল থাকে ঐ কিশোর বয়সে, যেখানে উচ্চরাই অনেকে চাপ সইতে না পেরে নিজের হাতে নিজে মরে, সেখানে চিন্তা করুন তথাকথিত নিম্নকুলেরটির কী অবস্থা! তারপরেও কেউ কেউ দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করে, নেহাৎ মরে গেলে হেরে যাবে ভেবে, নেহাৎ আরেকটু বেশী বাঁচতে চায় বলে।
  • কল্লোল | 125.185.153.176 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৫:৫৮666206
  • আতোজ। আপনার Date:15 Dec 2015 -- 02:35 AM পোস্টে করা তথ্যগুলো আপনি কোথায় পেলেন?
  • Atoz | 161.141.84.176 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৬:০২666207
  • মহাভারত থেকেই তো!
  • কল্লোল | 125.185.153.176 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:০৯666208
  • আমিও তো তাইই বলছি। মহাভারত কিছু গোপন করেনি। সেটাই মহাভারতের ও মহাভারতকারেদের বৈশিষ্ট। মহাভারতকারেদের বললাম কারন, মহাভারতের প্রাথমিক শ্রুতি (পাঠ নয়) ছিলো বিজয় নামে এক শ্রুতি সমগ্রে। সেসব লিপিবদ্ধ হয় সম্ভবতঃ গুপ্তযুগে। তখন থেকেই বহু কাহিনী যোগ হয়েছে ও বাদ গেছে। কিন্তু বৈশিষ্টটি রয়ে গেছে, যা ঘটেছে তা বলে যাওয়া।
    ঘটোৎকচের মৃত্যুতে কৃষ্ণের আনন্দ লুকানো হয় নি। নির্মমভাবে স্বার্থপর কৃষ্ণকে চিনিয়ে দেওয়া হয়েছে।
  • Atoz | 161.141.84.183 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৭:২০666209
  • মহাভারত বিজয় কাব্যই বটে, বিজয়ীদের গাথা।
    ঐ ঘটোৎকচ এর বোড়ে দিয়ে অর্জুন বাঁচলো, সেটা কৃষ্ণের বিচক্ষণতা বোঝানোর জন্যই। আমাদের একালের দৃষ্টিতে দেখলে যেসব "অমানবিক" মনে হতে পারে, সেকালের দৃষ্টিতে সেগুলো "বীরত্ব"।
    (এককালে বিজিতদের মৃতদেহ থেকে মুন্ডু কেটে নিয়ে মিনার তৈরী করে বিজয়ী মহারাজের জয়স্তম্ভ তৈরী হতো, সেসব ছিল বীরত্বের ব্যাপার )
    তাই কী লুকানো হয়েছে আর লুকানো হয়নি সে নিয়ে অত শক্ত করে কিছু বলা মনে হয় যায় না। ওদের সময়ে কোন্‌গুলো লজ্জার আর লুকোনোর ছিল, সেসব আমাদের সময়ে জানা যাবে কেমন করে অত নিশ্চিতভাবে?
  • কল্লোল | 125.185.153.176 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:০৮666210
  • আতোজ। আপনিও তো একালের দৃষ্টিতেই দেখছেন। আমার বেলায় হঠাৎ সেকালের দৃষ্টি কেন?
  • sm | 233.223.155.80 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩০666211
  • বৈষম্য, ঘৃণা, শত্রুতা টিঁকিয়ে রেখে রিজার্ভেশন করেও কোনো লাভ হয় না। দেশের উন্নতি ব্যাপারটা তো আসলে সামগ্রিক ব্যাপার, কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর তো না।
    ---
    খুব ভালো লিখলেন। কোটা চালু রেখে মানুষে মানুষে ঘৃনা কমানো যায়না, বরঞ্চ বাড়ে।
    একটি উচ্চ বর্ণের গরিব ফ্যামিলির ছেলে যখন জয়েন্ট পরীক্ষায় নাম তুলেও ডাক্তারি/ইঞ্জি পড়ার চান্স পায়না আর কোটার দৌলতে তফশিলি গোষ্ঠির সরকারী উচ্চপদে কর্মরত পিতার ছেলে যখন হাসতে হাসতে পড়ার সুযোগ পায়, তখন তার ও সেই রকম খারাপ লাগে।
    আবার নিজ গোষ্ঠির লোকজন যখন উচুপদে চাকরি পেয়ে চলে যায়; পিছনে ফিরেও তাকায় না সেই গোষ্ঠির লোকজন কেমন রইলো।তাকানোর দরকারই বা কি আছে? কারণ সেতো প্রিভিলেজ্ড হয়ে গেল। এরপর তার ছেলে মেয়েরাও সেই সুযোগ পাবে।
    যে বিতৃষ্ণা অন্তত নিজ গোষ্ঠির লোকেদের মধ্যে ছিল না; সেটাও বৃদ্ধি পেল।
  • Atoz | 161.141.84.183 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩২666212
  • আহা, আপনি তো সেই স্বপ্নের নৈরাষ্ট্রবাদী, যেখানে "নাহি রবে হিংসা অত্যাচার/ নাহি রবে দারিদ্র্য যাতনা/ যাও সবে নিজ নিজ কাজে", ঃ-)
    তো আপনি তো অনেক পরিব্যাপ্ত দৃষ্টিতে দেখবেন, তাই নয়?
    ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.183 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩৩666213
  • আগের পোস্ট কল্লোলকে। ঃ-)
  • Atoz | 161.141.84.183 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৩৭666214
  • এস এম, সেইজন্যেই তো বলছিলাম, সমস্ত রিজার্ভেশন আর্থিক অনুদান ইত্যাদি প্রভৃতি সব লোপ করে সবাইকে লেভেল প্লেইং ফিল্ড দেওয়া হোক।
    কিন্তু ব্যাপারটা অসম্ভব। কারণ তাহলে নাম পদবী পিতৃপিতামহপরিচয় সব মুছে দিয়ে নিউট্রাল নম্বর দিয়ে বাবামা পরিবার পাড়া সবকিছু থেকে দূরে নিয়ে তাদের মানুষ করতে হবে সম্পূর্ণ প্রেজুডিসহীন পরিবেশে, তারপরে তাদের ফেয়ার কম্পিটিশনে ফেলতে হবে। সেখান থেকে যারা উঠবার উঠবে, যারা উঠবার নয় উঠবে না।
    কিন্তু এটা ঐ কল্যাণময় নৈরাষ্ট্রস্বপ্নের মতন অবাস্তব।
  • robu | 122.79.37.233 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৪৮666215
  • এরকম জালিকা তর্ক বহুদিন দেখিনি।
  • sm | 233.223.155.80 | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৫ ০৮:৪৯666217
  • কেন হটাত করে মনে হলো যে, নাম পদবি সব মুছে ফেলতে হবে? আপনি তো খালি হিন্দু বর্ণ বিভেদে ফোকাসড আছেন ।বৈষম্য তো আর একটা দিকে নেই। ভারতে বৈষম্যের চাষ হয়। কোন দিকটা ধরবেন? হিন্দু দের এক শ্রেণী কে কোটা দিলে মুসলমানরা বলবে আমাদেরও চাই। ক্রিস্টান রাও বলবে। এবার কে বেশি নিপীড়িত; কোন স্কেলে মাপবেন? বৌদ্ধরাই বা কি দোষ করলো?
    আর অঞ্চল ভিত্তিক বঞ্চনা তো রোএই ছে ।চত্তিশ্গর আর দিল্লি কি এক ট্রিটমেন্ট পায়? মহারাষ্ট্র আর মেঘালয় কি সরকারের র্সমান পুত্র স্নেহ লাভ করে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন