এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিঙ্গুর: কী ভাবছেন সবাই?

    Samik
    অন্যান্য | ০২ অক্টোবর ২০০৬ | ৬০৭৮২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PM | 116.78.13.84 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:০৯670245
  • আধপেটা খাওয়া কৃষি শ্রমীক দের আধ্পেটা খাইয়েই রাখুন। যারা পারবে কেরল, হরিয়নায় গিয়ে শ্রমীক হবে--বকিরা এখানে আধপেটা খেয়ে চাষ করবে---- প্রজন্ম ধরে আমরা সস্তায় খাবো বলে। হেব্বি সমাধান ঃ)
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:১২670246
  • আমি যখন ছিলাম তখন মুম্বাইতে সেকেন্ড ক্লাসের ভাড়া যদি ৬ টাকা হয় তবে ফার্শ ক্লাসে ভাড়া ছিলো ১০৬ টাকা। তবে প্রতি কোয়ার্টারের মান্থলি কিনলে সাধারণতঃ মাসে ৫০০র কম হতো। লোকে ঐটাই কিনতো। মুম্বাই লোকালে মারাত্মক ভীড়। ঐভাবে মানুষ যেতে পারে ভাবাই যায়্না।
  • amit | 213.0.3.2 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:১৩670248
  • কল্লোল বাবু, আর একটা প্রশ্ন। আপনি Date:12 May 2016 -- 09:58 AM এর পোস্টে লিখেছেন: "জমি অধিগ্রহণ করতে গেলে, জমির সাথে যুক্ত প্রত্যেকের সম্মতি চাই। ঐ জমির সাথে যুক্ত প্রত্যেককে ক্ষতিপূরণের আওতায় আনতে হবে। ক্ষতিপূরণের পরিমান ঠিক করবে কৃষি বিশেষজ্ঞদের কমিটি ও অন্ততঃ একজন বিচারপতি, আইনজ্ঞ হিসাবে।"

    খুব ভালো প্রস্তাব। একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে আমিও চাই ideal পৃথিবীতে সবার অধিকার ও ইচ্ছে বজায় থাক। এবার ধরা যাক পুরুলিয়ার শুকনো প্রান্তর এ কোনো শিল্পপতি কোনো শিল্প গর্তে চাইলেন (দিবাস্বপ্ন দেখতে ক্ষতি কি, আমি প্রায়ই দেখি )। এবার তিনি ১০০ একর জমি কিনতে চান। (কম করে ধরলাম , ১০০০ একর হলেই আবার সিঙ্গুর না হয়ে যায় ) । সেই ১০০ একর এর ধরলাম ২০০ ভাগিদার। তাদের সবাইকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এবার তাদের মধ্যে ২০ জন বেঁকে বসলো, তারা জমি বেচবে না। ৪ জন ওই রুক্ষ জমি তেই চাষ করতে চায়, ৫ জন তাদের মেয়ে বিয়ে দেবে ১০ বছর পরে , তখন বেচবে , এখন দেবে না , ৩ জন দোতলা বাড়ি করবে ভেবে রেখেছে , ওই দরে পোষাচ্ছে না , ৩ জন জমি ধরে রাখতে চায় , শিল্প হলে পরে দাম বাড়লে প্রোমোটার কে দেবে আর বাকি ৫ জন জাস্ট দেবে না কারণ শিল্পপতির মুখটা তাদের পছন্দ নয় (হতেই পারে , আমার কাছে মব্য র মুখটা ঘোড়ার মত লাগে )।

    এবার কৃষি বিশেষজ্ঞদের কমিটি ও অন্ততঃ একজন বিচারপতি, আইনজ্ঞ কি করবে ? আর সিঙ্গুর এর জমি যেমন সেখানকার লোকের কাছে প্রিয় , পুরুলিয়ার জমিও কারোর কাছে প্রিয় হতেই পারে , হলে দোষের তো কিছু নেই । সে ওখানে জন্মেছে এতে তো তার কোনো হাত নেই । তাহলে আপনার কথা মত প্রত্যেকের সম্মতি হচ্ছে না , তাহলে সেই প্রজেক্ট এর লালবাতি জ্বালানো উচিত কিনা ?
  • T | 165.69.188.96 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:১৩670247
  • আরে ওটা বাল্মীকি নয়, বাল্বীচি। ওটা অন্য আরেকজনের সাথে কথা নিয়ে বলা। আপনাকে নয়।

    ইয়েস বাম আমলে ওয়েজ বেড়েছে। কিন্তু একই সাথে বাজারের অবস্থাও দেখুন। দুহাজার সাল পরবর্ত্তী সময়ে দরকার ছিল কৃষিক্ষেত্রে আরো টেকনোলজির ইন্ট্রোডাকশন। সেইটে হয় নি। এখানে টেকনোলজি মানে নট নেসেসারি অটোমেশন, অ্যাডমিন্সট্রেটিভ রিফর্মও হতে পারে যেটা কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থার সাথে জড়িত গোটা ব্যবস্থার এফিশিয়েন্সি বাড়াবে। কিন্তু সেটা হয় নি। আগের সিস্টেমই চলেছে। এরপর একসময় লেবারদের ওয়েজ যেমন বাড়া উচিত ছিল তা হয় নি, এবং তাদের একবেলার খাবারের কেস চলে আসছে।

    এইবার একফসলিই বলুন বা তিনফসলি, এই খেতমজুররা আর সুবিধে পাচ্ছেন না। আমি এইটাই বলতে চাইছিলাম যে কৃষি উৎপাদন ব্যবস্থায় রদবদল না ঘটালে (কি ঘটাতে হবে সেটা পরের ব্যাপার) এঁদের কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না, চাষের জমি থাকা সত্ত্বেও। :)

    আমি তো লিখেইছি অনুর্বরতা একটা আপাত কন্সেপ্ট। পুরুলিয়ার অনুর্বর জমির উর্বরতা বাড়িয়ে চাষ যদি লাভজনক হয় কম্পেয়ার্ড টু পরিকাঠামো উন্নয়ন সংক্রান্ত খচ্চাপাতি করার পর শিল্প, তবে সেখানে শিল্প সাধারণ নিয়মে না করাই উচিত। পুরোটাই অর্থনৈতিক অবস্থান থেকে পর্যালোচনা করতে হবে।

    তো, শিল্পের জন্য বহুফসলি কৃষি জমি নেওয়া যাবে না, এর পেছনে নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দর্শন মানে বাংলার মাটি বাংলার জল এইসব থাকলে কিছু বলার নেই। শিল্প মানে তো শুধু অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রী নয়, এগ্রিকালচার ইন্ডাস্ট্রীও তার মধ্যে পড়ে। কেউ যদি বলে ঐ জমিতে আমি ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রী গড়ব তখন তাকে কি বলবেন। আমার বক্তব্য জমি থেকে ম্যাক্সিমাম বেনিফিট (শর্ট/লং) হিসেব করে সেই অনুযায়ী চরিত্র বদল হোক।

    গোটা সিঙ্গুর পর্ব দেখেছে অ্যাজিটেশন এবং ক্যাল। যে সমস্ত পার্টি ইনভলভড ছিল তারা কেউ বাংলার কৃষকের অবস্থার কথা ভাবে নি। কারণ ঐ সিঙ্গুর পর্বের আগে থেকেই চাষের অবস্থা নিয়ে আমি কোনো কর্মসূচী ইত্যাদি মনে করতে পারছি না। বিকল্প রিফর্ম বা স্ট্রাকচার কি হবে সেসব নিয়ে লেখাপত্র বা আলোচনা কিছু হতে দেখি নি। হয়ে থাকলে জানাবেন। এইসব বাদ দিয়ে হঠাৎ করে কৃষি লুটে গেল বলে চীৎকার ঐ জুজুবাদের কাছাকাছি যায়। বিবিধ পক্ষ নিজেদের স্বার্থ দেখেছে।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:১৫670249
  • "বাম আমলে ক্ষেতমজুরেরা ক্রমশঃ আরো বেশী করে স্বেচ্ছায় এসেছে কৃষিকাজে কারন বাম আমলে ওয়েজ বেড়েছে।"

    এটা এতো সহজে কি করে বলা হলো জানিনা। শিল্প হয়নি বলেও আসতে পারে।
  • T | 165.69.188.96 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:১৮670250
  • এলসিয়েমদার কমেন্টটায় একগাল হাসি দিয়ে গেলাম। বাংলা ভাষাতেই তো লিখলুম, পড়ে বোঝা যাবে অ্যামন ভাবেও লিখেছি মনে হ'ল। যাক গে, কতরকমই তো হয়...
  • T | 165.69.188.96 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:২০670251
  • S, হ্যাঁ, সেটা সহজে অবশ্য বলা যাবে না। বিকল্প কিছু ছিল না বা বিকল্প আয় হয়তো তুলনামূলক ভাবে কম ছিল, শিল্প ছিল না ইত্যাদি। হতে পারে। বর্ধনের পেপারে ওঁরা দেখিয়েছেন এমপ্লয়মেন্ট বেড়েছে, ওয়েজ বেড়েছে। সেই হিসেবেই বলেছিলাম।
  • pi | 74.233.173.181 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:২১670252
  • চাষকরা কি খারাপ না নিচু ব্যাপার ? নাকি অদরকারি ? আমি তো চাইবো পড়াশুনা করেও যারা চাইবে , চাষীর ঘরের না হলেও চাষবাসে আসুক। আবাত চাষীর ঘরের জন্যও অন্য চয়েজ থাক।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:২৩670253
  • চাষ করা নিচু ব্যাপার নয় - কিন্তু সবাই চাষি হয়ে গেলে দেশ চলবে না।
  • T | 165.69.188.96 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:২৪670255
  • পাইদি কি আমাকে জিগাচ্ছে? চাষবাস খারাপ মনে করব ক্যানো। হ্যাঁ চয়েসেরই তো ব্যাপার। যার যা ইচ্ছে তাই সে করবে।
  • d | 144.159.168.72 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:২৬670256
  • টি-এর 1:13র পোস্টে ১০০০ টা লাইক।
    এরকম কিছু প্ল্যান হলে সেটা নিয়ে আলোচনা চেলতে পরে।
  • PM | 116.78.13.84 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৩১670257
  • ব্যাপারটা চয়েসের। চাষ না করার চয়েস অছে ন নেই??

    টাটা সাইটের আসে পাশে কোনো জমি অবিক্রিত নেই ৩-৪ KM রেডিআসে---- সেটা জানেন কি? ক্রেতারা কেউ লোকাল নয়--কেউ চাষের জন্য কেনে নি (রাজনৈতিক নেতারাও আছে ক্রেতার তালিকায়)। আমার এক তুতো ভাই ওখানে থাকে ঐ বল্ল। ইস্শানবাবু ইওচত্তেরের লোক , ভালো বলতে পারবেন।

    মানে কি ? দাম পাওয়া মত্রই জমী মালিকরা চাষের জমি বেচে দিয়েছে।

    এবার আমাদের মতো সুযোগ সন্ধানীরা চিপ ফেলে বসে আছে বড় দাও মারার জন্যে।

    এই তো হাল কালীদা----- পিটার প্যানের রাজ্য থেকে একটু নেমেও দেখুন কখনো সখনো। ঃ)
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৩৬670258
  • জানি। সিঙ্গুরের আশ-পাসের জমির দাম মারাত্মক বেড়ে গেছে টাটার কারখানার পর থেকে। চাষীরা অনেকেই বিক্কিরি করে দিয়েছে বা দেওয়ার কথা ভাবছে। ওখানে কোনোমতে যদি একটা ফ্যাক্টরী লাগে তারপরে দেখবো ওখানে কত ফসালী জমি থেকে কত ফসল বেড়োয় আর মহান কৃষি সভ্যতার কালচার কোথায় থাকে। তখন এইসব পকাবু আর তিনোজীবিরাই সবার আগে দৌড়াবে সেই মুলো খেতে।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৩৮670259
  • http://paullewakowski.blogspot.com/2015/03/zooming-singur-real-estate-prices.html

    Amar Ghosh is a real estate broker, who is negotiating a deal with a Mumbai-based company for 65-acres around Singur, 40-km. from Kolkata for Rs. 22.5-lakh (Rs. 2.25-million) per acre. His last deal before work began on the Tata Motors’ small-car project in this fertile potato-growing belt was for Rs. 4, 50,000-per acre.
  • d | 144.159.168.72 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৪৩670261
  • S এর 1:36 এর লক্ষ্য কি এই পাতায় যারা লিখছে? দুই একটা নাম শুনি।
  • T | 165.69.188.96 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৪৩670260
  • এবং এও কল্লোলদাকে,

    আপনি যে খেতমজুরদের কথা উল্লেখ করছেন এর মধ্যে কতজন প্রশাসনিক নথিভুক্ত? পশ্চিম মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া, হাউর, ঘাটাল এইসব বিস্তীর্ণ জায়গায় দেখবেন, চাষের মরসুমে উড়িষ্যা থেকে লোক আসে। তারা চাষ করে, টাকা পয়সা নেয় চলে যায়। কোনোবার প্রচুর লোক আসে, কোনোবার কম। একটা অদ্ভুত ডায়নামিক্স। সম্পন্ন চাষী সস্তায় এদেরকে দিয়ে ধান কাটিয়ে নেয়। এইরকম আরো ভেরিয়েশন, আমি শিওর, পশ্চিমবঙ্গের অন্যত্র জায়গাতেও দেখবেন। এই ভেরিয়েশনগুলো ট্র্যাডিশনাল চাষ সম্পর্কে আমাদের গ্রাম ওরিয়েন্টেডে ধারণার বাইরে।
    কিন্তু এই ভেরিয়েশনগুলো প্রায় আড়াই দশক ছিল লিটল অর ইনসিগনিফিক্যান্ট। কিন্তু ক্রমশঃ দেশের পরিস্থিতি পাল্টাতে হুড়মুড়িয়ে ঘটতে আরম্ভ করে। প্রশাসন এই নতুন রদবদলের সাথে সাথে চাষাবাদকে কোনো নির্দিষ্ট স্ট্রাকচার দিতে পারে নি, এটাও লক্ষ্য করবেন।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৪৪670262
  • নাহ নাহ। এপাতায় যারা লেখেন তারা সব কাগুজে বাঘ।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৪৭670263
  • তাদের ঐ লেভেলে ইনভেস্ট করার ক্ষমতা আছে নাকি? ওখানে নাকি এখনই 2bhkর দাম ২০-২২ লাখ।
  • কল্লোল | 125.242.182.73 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৪৯670264
  • টি।
    অনুর্বর জমিকে উর্বর করার খরচ যদি পরিকাঠামো গড়ার খরচের চাইতে কম হয় (যেটা আপনার ধারনা, আমার তা মনে হয় না), তবে অবশ্যই সে জমিতে চাষ করাই শ্রেয়। এবার তবে চাষ কিভাবে লাভজনক করা যায়, সে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করা উচিৎ।
    দিনের শেষে মানুষকে খেতে হবে। টাকা বা নাট বল্টু কি টায়ার বা গিয়ার বক্স এমনকি লুব্রিকেটিং তেলও খাওয়া যায় না। তাই কৃষিকাজ করতেই হবে। আপনি কি একমত? একমত না হলে জানাবেন, কি কি খাওয়া যেতে পারে, কৃষিজাত বস্তু ছাড়া।
    পিএম।
    যতদিন এই পুঁজিবাদী ব্যবস্থা থাকবে, ততোদিন বৈষম্যও থাকবে। আজও তুমি যে শাক সব্জি, মাছ, ডাল ভত খাও - সেগুলো কেউ না কেউ তো ফলায়। তুমি কি ওসব না খেয়ে থাকো? মনে তো হয় না।
    অমিতবাবু।
    স্বপ্নে পোলাউ খেলে ঘি ঢালতে কার্পণ্য কেন? কোন অনুর্বর জমির মালিকই যদি রাজি না হয় তো শিল্প হবে না। ব্যস।
    এবার স্বপ্নে এট্টু ব্যাগড়া দেই। জমি চাষ করে যদি বছরে ২৪হাজার টাকা আয় হয়, তবে সে মালিক সেই পরিমান টাকা যার মাসিক সুদ বছরে অন্ততঃ ৩৬হাজার টাকা হয়, তার কমে রাজি হবে কেন? এখানে জমির মালিক প্লেস হোল্ডার, এর জায়গায়, সেই জমির ভাগচাষি/ক্ষেতমজুরদেরও ধরে নিন।
    সকলে তো শিল্পে কাজ পাবে না। তাই তারা এর কমে ছড়বে কেন?
    এবার শিল্পপতি বুঝে নিক।
    তার বদলে জোর করে জমি কেড়ে নেওয়া, কম ক্ষতিপূরণ দেওয়া - মেনে নেবো কেন?
    তাহলে শিল্প হবে কি করে? জমির মালিককে/ভাগচাষিদের/ক্ষেতমজুরদের তাদের রোজগারের চেয়ে বেশী রোজগারের বন্দোবস্তো করে।
    সিম্পুল।
  • sm | 233.223.157.69 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৫২670266
  • প্রথমত চাষীরা ভালো দাম পেলে জমি বিক্রি করবেনা এমন নয়। হরিয়ানাতে একর প্রতি এক কোটি মতো দিলে হয়ে যায়।সিঙ্গুরে এক হাজার এর জন্য হাজার কোটি খরচা করলে অনিচ্ছুক এর সংখ্যা কম হতো।
    কয়েক মাস না হয়ে বছর দুয়েক প্রসেস চললেও অনিচ্ছুক দের সংখ্যা কমতো।পার্টি নিজের হাতে ক্ষমতা না তুলে, এডমিনিস্ট্রেশন বেশি ইনভলভ করালে বেটার হতো।
    কৃষকদের কারখানার শেআর ও কাজের গ্যারান্টি দিলে বেটার সিচুএশন হতো।
  • T | 165.69.188.96 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৫৩670269
  • ক্ষি আর বলব কল্লোলদা। যা বলার বলেছি অলরেডি। যাক গে, কাটিয়ে দিন।
  • Arpan | 233.227.113.130 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৫৩670268
  • জমির ঊর্ধ্বসীমা আইন তুলে দেবার পক্ষে কারা কারা হাত তুলুন।

    টি যেমন অনুর্বর জমিকে উর্বর করবার কথা বলছে, তা যদি ধরে নেই টেকনোলজিক্যালি ফিজিবল, অত পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট একলপ্তে জমি না পেলে কেউ করবে না। হাজার একর জমি কন্ট্রাক্ট ফার্মিঙের জন্য দিতে নীতিগত ছাড়া অন্য কোন আপত্তি কী আছে?
  • Arpan | 233.227.113.130 | ১২ মে ২০১৬ ১৩:৫৩670267
  • জমির ঊর্ধ্বসীমা আইন তুলে দেবার পক্ষে কারা কারা হাত তুলুন।

    টি যেমন অনুর্বর জমিকে উর্বর করবার কথা বলছে, তা যদি ধরে নেই টেকনোলজিক্যালি ফিজিবল, অত পরিমাণ ইনভেস্টমেন্ট একলপ্তে জমি না পেলে কেউ করবে না। হাজার একর জমি কন্ট্রাক্ট ফার্মিঙের জন্য দিতে নীতিগত ছাড়া অন্য কোন আপত্তি কী আছে?
  • sm | 233.223.157.69 | ১২ মে ২০১৬ ১৪:০১670270
  • অনুর্বর জমিকে বেশি প্রডাকশনের কি কস্ট, সেটা উর্বর মস্তিকদের হিসাবে নেই, বোধ হয় ।এমনটা তো হতে পারতো, বামফ্রন্ট সরকার গত ৩৪ বছরে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, প মেদিনীপুর, এইসব জায়গায় উন্নত টেকনোলজি প্রয়োগ করে, আলু, ধান ,কপি বিপ্লব করে দেখিয়ে দিয়েছে। করেনি যখন; তখন, ফালতু যুক্তি মানবো কেন?
    করে ফেললে তো পুরুলিয়া দ্বিতীয় ইস্রায়েল হয়ে যেতো!
    এতো করেও বলা গেলনা,সিঙ্গুরে ন্যানো হলে খেত মজুর দের কি হতো?
  • T | 165.69.188.96 | ১২ মে ২০১৬ ১৪:০২670271
  • জমির ঊর্ধ্বসীমা আইন তুলে দিলে তার কনসিকোয়েন্স কি হবে তা ভেবে দেখিনি তাই আপাতত হাত তোলা বা না তোলার কন্ডিশনে নেই।

    প্পনদা, সরকারও তো করতে পারে। সমবায়ের মাধ্যমে। টেকনোজিক্যাল ফিজিবিলিটি স্টাডি করে যদি দ্যাখে নাঃ চাপ হয়ে যাবে তাহলে করবে না। মানে নেসেসারি তো নয়।

    এমনিতে কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিয়ে আমার কোনো আপত্তি নেই। এরও তো রকমভেদ রয়েছে। সরকারী নজরদারীর ভেতর চলুক না।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৪:০৪670272
  • তাহলে আসল গল্প হলো ক্ষতিপুরণ। সেটা নিয়ে লড়াই করলেই ভালো হতো না কি? তা না করে কিছুতেই কারখানা হতে দেবোনা ধরনের লড়াই তো বেসিকালি ক্ষমতার জন্য বজ্জাতি। যাক অন্তত ৫ বছরে এখানে আসা গেছে, আর ৫ বছরে ঐতিহাসিক ভুলও মানবে লোকে।
  • T | 165.69.188.96 | ১২ মে ২০১৬ ১৪:০৫670273
  • রিয়াক্ট না করাই ভালো হবে। জমি তো দূরের কথা, মাথার উর্বরতার যা অবস্থা দেখছি। ফট করে না ফুলকপি ফলে যায়। ;)
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৪:০৯670274
  • আচ্ছা কৃষি জমিতে কি রিয়েল এস্টেট করা যায়? আর একইসাথে জমির ঊর্ধ্বসীমা ও ক্রমশ জমির ভাগ হয়ে যাওয়া সেই রিয়েল এস্টেটের দিকেই নিয়ে যাচ্ছে। কারণ জমি যত ভাগ হবে লাভ (যদি আদৌ থাকে) তত কমবে, অতেব একদিন সেটা সিন্ডিকেটের হাতে দিতেই হবে। তাই অন্য কোনো সলিউশান চাই। সমবায় প্রথা খুব ভালো। সরকারে থেকে লিজে জমি নেও, কি চাষ করবে কত করবে বলে নেও, নিজেরাই চাষ করো (ক্ষেত মজুরদের মিনিমাম ওয়েজ বেশি রাখো), তার পরে আবার হয়ে গেলে ফিরিয়ে দেও - এইরকম জাতীয়।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ মে ২০১৬ ১৪:১২670275
  • ও হ্যাঁ আরেকটা কথা। ট্যাক্সো দাও চাষি ভাইরা। অনেক হয়েছে।
  • sm | 233.223.157.69 | ১২ মে ২০১৬ ১৪:১৪670277
  • ক্ষতিপূরণ যে কম দিয়েছে সে বিষয়ে কুনো সন্দেহ নেই।উপরি পাওনা ছিল,আইন বলে অধিগ্রহণ করবার হুমকি।
    টাটারা বলছে আমাদের যেকোনো জমি দিলেই চলতো।ভূমি দপ্তরের ও আপত্তি ছিল। এগুলো কি অজানা?
    বহুফসলি জমি, প্রাইভেট কোম্পানির জন্য অধিগ্রহণ গাইডলাইন এর পরিপন্থী।
    কিন্তু, এত করেও উত্তর পাওয়া গেলনা ৩৪ বছরে অনুর্বর জমি কেন উন্নত হলনা।কেন কেন? কোথায় গেল সেই সুমহান টেকনোলজি?
    পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, প মেদিনীপুরে কেন শিল্পের জন্য পরিকাঠামো গড়ে তোলা হলো না। কেন, কেন ???
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ মতামত দিন