এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • কারাগার, বধ্যভূমি ও একঝাঁক স্মৃতি বুলেট

    kallol
    অন্যান্য | ২৬ অক্টোবর ২০০৬ | ১৩৩৪৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 61.95.167.91 | ১২ জানুয়ারি ২০০৭ ১৫:১০695565
  • কল্লোলদা,

    এটা থেমে গেল কেন? লোকে আমাকে মেল করে বলছে কল্লোলদাকে গিয়ে খোঁচাও।

    এখানেই খুঁচিয়ে দিলাম, শুরু করো আবার, বসে আছি।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৭ ১৩:৪৭695566
  • ১৯৭৪ আগষ্ট। গৌতম-মিত্রা সংসারে ব্যস্ত। উদয়ন আলগা দিয়েছে। জয়ীক-জয়তী প্রায় বিচ্ছিন্ন। আমি আর শিবাজী ঠিক করলাম, যখন প্রকাশ্য কাজ কিছুই করা যাচ্ছে না, তখন পুরোনো যোগাযোগগুলো বজায় রেখে যাওয়াই কাজ। তখন সারাদিন আমরা দুজনে ঘুরে বেড়াতাম বিভিন্ন বাম দলগুলোর দপ্তরে (সিপিএম আর এসইউসি বাদে - সিপিএম দপ্তরে ঢোকা যেত না, এসইউসি-তে অনর্থক সিপিএম কাঠিবাজি হতো)। আমরা মূলত: যেতাম, আরসিপিআই(বৌবাজার) অফিসে বিমলানন্দবাবুর কাছে, ফরোয়ার্ড ব্লকে ভক্তিদার (ভক্তিভূষণ মন্ডল) কাছে, আরএসপিতে ক্ষিতিদার (ক্ষিতি গোস্বামী) কাছে। এছাড়া তারকদার মুক্তারামের মুক্ত আরামে। নানান বিষয়ে কথা হতো, কিন্তু সবচেয়ে বেশী কথা হতো মে মাসে ঘটে যাওয়া রেল স্ট্রাইক নিয়ে - কেন তা ব্যর্থ হল। সকলেই ডানপন্থী নেতৃত্বের বিশ্বাসঘাতকতার কথা বলতেন। আমাদের প্রশ্ন ছিলো ডানপন্থীরা শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্বে গেলেন কি করে? রেল শ্রমিকদের মতো সংগঠিত "প্রোলেতারিয়েৎ" ঐ নেতৃত্বে আস্থা রাখলো কেন? কেন আজও শ্রমিকদের নিজেদের নেতৃত্ব গড়ে উঠলো না? কোথাও-ই জবাব মিলতো না, তবে খুব তর্ক হতো। তর্ক হতো শ্রমিকশ্রেনীর চেতনা নিয়ে (কি করে, কোন যুক্তিতে ৭২-এ নব কংগ্রেস ক্ষমতায় আসতেই একের পর এক কারখানায় বাম ইউনিয়ানগুলো রাতারাতি আইএনটিইউসি হয়ে গেলো)। তর্ক হতো মার্কস বর্ণীত "প্রোলেতারিয়েৎ" ভারতে আদৌ বিরাজ করে কি না, তাই নিয়ে।
    এই সময়টা থেকেই আমার রাসবিহারী-কেওড়াতলা-কালিঘাট অঞ্চলে যাতায়াত শুরু। শিবাজী (আসল নাম দেবাশিস ভট্টাচার্য) ঐ অঞ্চলের ছেলে, তখন অ্যাবস্কন্ড করছিলো। ও আমাকে চিঠি দিয়ে পাঠাতো এক এক জনের কাছে। আমার কাজ ছিলো, তাদের সাথে যোগাযোগ রেখে যাওয়া। তাদের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলা। এইভাবে প্রচুর নতুন বন্ধু পেলাম। গৌতমদা (গৌতম ভদ্র), গোবিন্দদা, দেবু, বাবু, অরুণ, তিনে, মহারাজ, অনুপ আর পিনাকীদা (আন্দামানে দাঁড় বাওয়া নৌকায় পাড়ি দেওয়া, পিনাকী চ্যাটার্জি)।
    এই করতে করতে ১৯৭৫ পেরিয়ে ১৯৭৬-এর ২৬ জুন, আভ্যন্তরীন জরুরী অবস্থা জারী হল।

  • Suhasini | 203.123.181.130 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৭ ১৫:২৭695567
  • কল্লোল,

    আর একটু বেশি করে লিখুন প্লিজ। আর এই যে এত দিন লম্বা একটা গ্যাপ নিলেন, এ তো প্রায় নিষ্ঠুরতার সামিল!
  • J | 160.62.4.10 | ১৬ জানুয়ারি ২০০৭ ১৬:৫৭695568
  • কন্‌হৌজি আংরে -র ডিউক-পিনাকীর পিনাকী? উ:! ভাবলেও গায়ে কাঁটা দিচ্ছে।
  • kallol | 220.226.209.2 | ১৭ জানুয়ারি ২০০৭ ১১:১৩695569
  • এর মধ্যে একটা মজার ব্যাপার ঘটলো। বলছি বটে মজার, কিন্তু ব্যাপারটা তত মজার নয়। নেতজিনগর, চন্ডীতলা অঞ্চল থেকে জনা পাঁচেক সিপিএম অ্যাকশন স্কোয়াডের ছেলে (সুভাস, তপন, রঙ্গ, আরো দুজনের নাম মনে নেই) কেওড়াতলা এলাকায় শেল্টার নেয়। যথারীতি ওখানকার নব-যুবরা, এদের পেছনে লাগে। ঐ এলাকায় তখন লক্ষী বসুর রাজত্ব। এদিকে, দেবু আর তিনে তখন সদ্য ছাড়া পেয়েছে। ফলে নকশাল পরিচিতি থাকা সঙ্কেÄও পুলিশী ঝামেলা নেই। পিনাকীদার একটা আন্তর্জাতিক পরিচিতি, আর তার ওপর তখন পিনাকীদা রাজাবাজার সায়ন্স কলেজে স্পোর্টস মেডিসিন আর ফিজিওলজি পড়াতেন। এই সব কারনে লক্ষী বসুর চ্যালারা আমাদের বিশেষ ঘাঁটাতো না। মহারাজের বাড়ির কাছে সুভাস, তপন, রঙ্গরা ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতো (না, সিপিএম-এর ব্যবস্থা করা নয়, ওদের নিজেদের করে নিতে হয়েছিলো। এটা লিখলাম এই কারনে, যে অনেকের ধারনা আছে ৭২-৭৭ সিপিএম তার ঘরছাড়া কর্মীদের জন্য অনেক করেছিলো। আসলে ওটা একটা চালু অতিকথা)। মহারাজ ওদের নিয়ে আসে আমাদের আড্ডায়। পিনাকীদা একটা ক্যারাম বোর্ড কিনে দিয়েছিলেন। ওটা আমাদের আড্ডার অছিলা মাত্র। যদিও আমাদের মধ্যে বাবু, তিনে, অনুপ বেশ ভালো ক্যারাম খেলতো। তারপর থেকে সুভাস, তপন, রঙ্গরাও আমাদের আড্ডার অংশ হয়ে গেলো। লক্ষী বসুর ছেলেরা একবার দেবুকে বলেছিলো, ওরা তো তোদের কত কমরেডকে মেরেছে। দেবু বলেছিলো ওটা আমাদের ব্যাপার, তোরা নাক গলাবি না। চুপচাপ আছি বলে ভাবিস না মরে গেছি। ব্যাস। তারপর থেকে ওদের ওপর ঝামেলা বন্ধ।
    আমাদের আড্ডায় ওদের আসাতে, আড্ডা একটা অন্য মাত্রা পেলো। আমরা আমাদের ভুলগুলোকে নিয়ে যখন আলোচনা করতাম ওরাও বন্ধু হিসাবে যোগ দিতো, ওদের ভুলের কথা বলতো। আমাদের কাছে, ওদের কাছেও, সেটা বিরাট পাওনা ছিলো। আমরা যারা কিছুদিন আগেও একে অন্যের বিরুদ্ধে হাতিয়ার ধরেছি, তারা একসাথে বসে নিজেদের ভুলের কথা বলছে, অন্যদের দৃস্টিভঙ্গী থেকে নিজেদের দেখছে, কাটা ছেঁড়া করছে, বন্ধুত্ব গড়ে তুলছে - এটা একটা অনন্য অভিজ্ঞতা।
    এরই মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর ১৯৭৬ মাও চলে গেলেন। রাসবিহারী জগৎসুধার গুরুদ্বারের উল্টোদিকে ক্যারাম ঘিরে দাঁড়িয়ে থাকা দশ-বারোজন বামপন্থী তরুণ নীরবে মাথা নীচু করে দাঁড়িয়েছিলো। হঠাৎ তিনে মৃদু অথচ দৃঢ় উচ্চারনে গেয়ে উঠলো - জাগো জাগো জাগো সর্বহারা/অনশন বন্দী ক্রীতদাস/শ্রমিক দিয়াছে আজি সারা/উঠিয়াছে মুক্তির আশ্বাস............
    আমরা সকলে গাইছিলাম, হ্যাঁ সুভাস, তপন, রঙ্গরাও। আমরা সকলে কাঁদছিলাম, হ্যাঁ সুভাস, তপন, রঙ্গরাও।
  • S | 61.95.167.91 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ১২:৪০695570
  • আবার খুঁচিয়ে দিলাম। ও কল্লোলদা ...
  • Suhasini | 203.123.181.130 | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ ১৪:০৯695571
  • আম্মো খোঁচালুম। ও দাদা, কি হলো?
  • kallol | 192.77.111.7, 220.226.209.2 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ০৯:২৯695572
  • একটু সময় চাই। বড় ঘেঁটে আছি। হয়তো ব্যাঙ্গালুরুতে চলে যেতে হবে। মন ভালো নেই।
  • dd | 58.68.82.203 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ২০:২৪695573
  • কল্লোল
    আমি ব্যাংগালুরে আছি বারো বছর। অতি অখাদ্য যায়গা।

    যদি সত্যি হেথায় বদলি হও আর কোনো দরকার পরে তো আমারে হাঁক পাইরো।
  • dd | 58.68.81.3 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ২০:৫১695575
  • কিন্তু কল্লোল গ্যালো কই ? কেউ খপর রাখো ?
  • kallol | 192.77.111.7, 220.226.209.2 | ০৪ মে ২০০৭ ১৬:০৫695576
  • সম্ভবত: ১৪ মে ব্যাংগালুরুতে নেমে পড়ছি। তাপ্পর ফের কারাগার...... চালু।
  • tan | 131.95.121.121 | ০৪ মে ২০০৭ ১৮:১৮695577
  • সব্বনাশ! বেঙ্গালুরু কি কারাগার নাকি?
    :-)))
  • dd | 202.122.20.242 | ০৪ মে ২০০৭ ১৯:৪৯695578
  • তনু হে
    ব্যাংগালুরু শুদু কারাগারই নয় - এটি কিরকির মহাদেশ। শুদু রংগনের মতন কিছু মহাপুরুষই এর মায়াজাল কাটাতে পারে।

    কল্লোল
    ঐ চোদ্দো তারিখে আমি সপরিবারে মধ্যপ্রদেশে যাচ্ছি - হাওয়া বদলাতে। দুই হপ্তা থাকবো।

    তার আগে কোনো খোঁজ চাইলে অবিলম্বে যোগাযোগ কোরো।

  • kallol | 192.77.110.18 | ০৭ জুন ২০০৭ ১৮:৫৯695579
  • জরুরী অবস্থায় ধরপাকড় চলছে যথেচ্ছ। নানান সত্যি-মিথ্যে খবরে বাজার সরগরম। খবরের কাগজ সেন্সর করা হচ্ছে। কোন সরকার বিরোধী খবরই ছাপতে দেওয়া হচ্ছে না। এমনকি রেডিয়োতে একটু সামান্য বলিষ্ঠ গানও আটকে দেওয়া হচ্ছে। রবীন্দ্রনাথ বা নজরুলের দেশাত্মবোধক গান, এমনকি "আগুনের পরশমণি" আটকে গেল "আগুন" শব্দটার জন্য। বানানো গপ্পো মনে হলেও ঘটনাটা ষোল আনা সত্যি। পরে তার মোক্ষম প্রমান পেয়েছি জেলে।
    খবর আসছে জয়প্রকাশ নারায়ন, জর্জ ফার্ন্ডান্ডেজ, সহ সারা ভারত জুড়ে বহু ডানপন্থী নেতা গ্রেপ্তার। বহু সাংবাদিকও গ্রেপ্তার হয়েছেন। বরুণ সেনগুপ্ত (তখন আনন্দবাজারে) গ্রেপ্তার। বামপন্থীদের মধ্যে বড় নাম বলতে একজনই সিপিএমএর সাংসদ জ্যোতির্ময় বসু।
    সেন্সর নিয়ে প্রচুর ঘটনা ঘটল। প্রথম দিন থেকে সত্যযুগ আর গণশক্তি যা কোনকিছু সেন্সরে বাদ গেল সেই জায়গটা ফাঁকা রেখে কাগজ বার করল। খুব হৈ চৈ হল বটে, কিন্তু সরকার আইনত কিছু করতে পারলো না। কোন কিছু না লেখা হলে সেটা যে সরকার বা দেশ বিরোধী তা বলা যাবে কি করে ?
    তখন আমরা ধর্মতলা স্ট্রিটে জ্যোতি সিনেমার পেছনে মট লেনে "দর্পন"-এর দপ্তরে আড্ডা মারতাম। দর্পন ছিলো একটা বাংলা সাপ্তাহিক কাগজ। চালাতেন হীরেনদা (সাংবাদিক হীরেন বসু)। সেই সময় দৈনিক খবরের কাগজগুলোতে, আজকে যাকে অর্ন্ততদন্তমূলক সাংবাদিকতা বলে তার অস্তিঙ্কÄই ছিলো না। সে কাজটা করত "দর্পন" , "বাংলাদেশ" জাতীয় সাপ্তাহিক কাগজগুলো। খুব বিক্রি হতো। বাঙ্গালী শিক্ষিত মধ্যবিত্ত পাগলের মত পড়ত। দর্পনের উল্টোদিকের ঘরে ছিলো সমরদার (কবি/সাংবাদিক সমর সেন) ফ্রন্টিয়ারের দপ্তর। অমাদের আড্ডা ছিলো দর্পনের ম্যানেজার(আর কোনো কর্মচারী অবশ্য ছিলো না) শ্যামলের সাথে। শ্যামল চেতলার ছেলে, সেই সুবাদে শিবাজীর বন্ধু। দেদার চা আর বিড়ি উড়িয়ে ভালো আড্ডা হতো। কখনো কখনো সমরদা আসতেন হীরেনদার সাথে আড্ডা মারতে। মাঝে মাঝে মৃনাল বাবুও (মৃনাল সেন) আসতেন। তবে সে আড্ডায় আমরা নেহাৎ শ্রোতা। তবে যেদিন মিহিরদা (সাংবাদিক মিহির ঘোষদস্তিদার - ৪০এর দশকে কম্যুনিষ্ট পার্টির কাগজ স্বাধীনতার সাংবাদিক) আসতেন, সেদিন জমে যেত। পুরোনো কম্যুনিষ্ট পার্টির নানান মজার গল্পে ডুবে যেতাম আমরা। সব গল্প যে খুব নিরামিশ ছিলো তাও নয়। হয়তো একটু অপ্রাসঙ্গীক হয়ে যাবে তবু একটা সামান্য সামিশ কিস্‌সা না বলে পারলাম না।
    প্রথম যুব উৎসব। রাশিয়া থেকে এক তরুনী এসেছেন তাতে যোগ দিতে। মিহিরদা রাশিয়ান ভালো জানতেন, তাই তার উপরেই ওনার দেখাশোনার ভার। রম রম করে চলছে যুব উৎসব। লোক ঝেঁকে আসছে নতুন সংষ্কৃতির টানে। এদিকে সলিল চৌধুরী তো ওদিকে শম্ভু মিত্র। এ মচ্ঞে হেমাঙ্গ বিশ্বাস তো ও মচ্ঞে বিজন ভট্‌চার্য। সে এক ফাটা ফাটি কারবার। শেষ দিন সেই রাশিয়ান তরুনী বক্তব্য রাখবেন। তিনি মিহিরদার কাছে অনুরোধ করেছেন একটা লাইন বাংলায় বলবেন। কি লাইন ? উনি বাংলার যুবক-যুবতীদের সাথে মিশে বড় আনন্দ পেয়েছেন। মিহিরদা অতি যত্নে তিনদিন ধরে শিখিয়েছেন। শেষ দিন উনি বলতে উঠে শুরু করলেন বাঙ্‌লায় - "প্রিয় কমরেডস, হামি বাংলার যুবক যুবটিদের সহিট সঙ্গম খারিয়া কুব হানান্ডিট হইয়াচি....... মেলামেশার শুদ্ধ বাংলা সঙ্গম হতেই পারে.... !!!!! না, মিহিরদাকে কেউ শো কজ বা সাসপেন্ড করেনি।
  • kallol | 192.77.110.18 | ০৮ জুন ২০০৭ ০৯:৪৩695580
  • ব্যাঙ্গালুরুতে এসে এই সময় পেলাম। এবার নিয়মিত চলবে।
  • suhasini | 203.123.181.130 | ০৮ জুন ২০০৭ ১০:১৬695581
  • কল্লোলদা কথা রেখেছেন। খুব ভালো লাগল। বেঙ্গালুরুতে স্বাগতম। কোথায় আছেন? কোনো দরকার পড়লে নির্দ্বিধায় জানাবেন।
  • d | 122.162.105.12 | ০৮ জুন ২০০৭ ১০:৫৪695582
  • এতদিন গ্যাপ গেছে কল্লোলদা। এবার থেকে দিনে কম করে অন্তত দুটো করে এϾট্র চাই কিন্তু।
  • kallol | 192.77.110.18 | ০৮ জুন ২০০৭ ১৫:২৩695583
  • জরুরী অবস্থার মধ্যে কান্ড ঘটিয়ে ফেললেন তিনজন। প্রথমজন আমদের হীরেনদা। অন্য সব কাগজের মত দর্পনেও সরকারী বিজ্ঞপ্তি এসেছিলো মহাকরনে গিয়ে ছাপার বিষয়গুলো সেন্সর করিয়ে নিতে। সকলেই তাই করছিলেন, এক হীরেনদা বাদে। সেন্সর-ফেন্সরকে গুলি মেরে দর্পন বার হচ্ছিলো সপ্তাহে সপ্তাহে। কিছুদিন বাদে তথ্য দপ্তর থেকে লোক এলো। সে নাকি হীরেনদাকে বলেছিলো "আপনাকে সুব্বোতোদা ডেকে পাঠিয়েছে"। তাইতে হীরেনদা উত্তর দিয়েছিলেন "ওসব অশিক্ষিত লোকজনের কাছে আমি কাগজ "সেন্সাস" করতে যাব না। এই "সেন্সাস" এর পিছনে একটা ঘটনা আছে। সেন্সরশিপ চালু হওয়ার প্রথম দিন তখনকার তথ্যমন্ত্রী সুব্রত মুখার্জি সব বড় বড় কাগজের দপ্তরে নিজে গিয়েছিলো সেন্সর করতে। ঐ পাড়ায় তখন স্টেট্‌সম্যান, যুগান্তর/অমৃতবাজার (সিটি অফিস), আনন্দবাজার, সত্যযুগের দপ্তর। প্রথমেই পড়ে স্টেট্‌সম্যান। সেখান থেকে বের হতেই সাংবাদিকরা ঘিরে ধরলেন তথ্যমন্ত্রীকে। তিনি তার তখনকার স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে সাংবাদিকদের আজকের ভাষায় যে বাইট দিয়েছিলেন তা অজর অমর হয়ে রয়েছে - "সব সেন্সাস করে দিলুম"।
    হীরেনদার ঐ অমৃত উবাচের পর যা হবার তাই হল। দর্পন আর দর্পনের ছপাখানা পুলিশ সিল করে দিলো। খবর পেয়ে আমি গেলাম মটলেনের সেই বাড়িতে। শিবাজী গেলো না, কারন ওর মাথার ওপর সেই সত্তর থেকেই "দেখিলেই গুলি" ঝুলছিলো (ওর আসল নামে)। দেখি ফ্রন্টিয়ার দপ্তরে সমরদার সাথে বসে আছে হীরেনদা আর শ্যামল। শ্যামলটার খুব মন খারাপ। কতই বা মাইনে পেতো। কিন্তু সেটাও না থাকলে চলবে কি করে ? ফ্রন্টিয়ার তথ্যদপ্তর ছোঁয়নি, কারন সমরদার ইংরাজি বোঝার সাধ্য সুব্বোতো মুখাজ্জির ছিলো না।
  • Du | 67.111.229.98 | ০৮ জুন ২০০৭ ১৯:৪৪695584
  • কল্লোলদা, ফিরে পুরোটা আবার পড়তে গিয়ে মুভি তোলার জায়গাটা এলো। যদি কিছু রীলও তোলা থাকতো এইসব দিনের ,আমাদের হয়ে ওঠা ইতিহাসকে রাখা যেত রীলবন্দী করে!
  • kallol | 192.77.110.18 | ০৯ জুন ২০০৭ ১৩:৪৬695586
  • ডু - ব্যাপারটা বোঝো। তুমি আজ ভাবছো যে মুভি তোলা থাকলে আজ কত প্রামাণ্য ইতিহাস পাওয়া যেতো।

    সেদিন যারা মিছিলে ছিলেন তাদের অনেকের মাথাতেই গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ঝুলছিলো। তুমি বলবে গ্রেপ্তারী পরোয়ানাই যদি ঝুলছিলো, তারা তবে পুলিশের চোখের সামনে মিছিলে হাটছিলো কি করে ?

    প্রথমত: যাদের মাথাতে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ঝুলছিলো তাদের সবাইকে, বা বলা ভালো, তাদের অধিকাংশকেই পুলিশ চেহারায় চিনতো না। হয়তো সে যে এলাকার মানুষ, সেই এলাকার পুলিশ চিনতো। কিন্তু মিছিলে নজরদারী করা পুলিশ তাদের চিনতো না। আবার কখনো কখনো কাকতালীয় ভাবে তা ঘটেও যেতো। যেমন ১৯৭৪ এর ২০শে জুলাই-এর মিছিলে দেবর্ষির বেলায় ঘটে গেলো।
    দ্বিতীয়ত: এই গ্রেপ্তারী পরোয়ানাওয়ালা মানুষের সংখ্যা এতো বেশী ছিলো (প্রায় ১০/১২ হাজার), একটা মিছিলে (শ পাঁচেকের) তাদের আলাদা করে চিহ্নিত করাটা খুব সহজ ছিলো না।

    কিন্তু মুভি তোলা থাকলে পুলিশ সেটা যেকোন সময়েই বাজেয়াপ্ত করে বার বার করে দেখে সেই সব মানুষদের, তাদের সাথে কথা বলছে এমন মানুষদের, সহজেই চিহ্নিত করে ফেলতে পারতো। সেটা কোনভাবেই কাম্য ছিলো না। তাই সেদিন ইতিহাস নথিবদ্ধ করার দায়ের থেকে অনেক বড় দায় ছিলো বন্ধুদের/কমরেডদের নিরাপত্তা। সে কারনেই মৃনালবাবুকে ১লা মে মিছিলের ছবি তুলতে বারন করা হয়েছিলো।
  • kallol | 192.77.110.18 | ০৯ জুন ২০০৭ ১৬:০৯695587
  • দ্বিতীয় কান্ডটা ঘটালেন গৌরদা, গৌরকিশোর ঘোষ।
    যে দিন জরুরী অবস্থা জারী হল, তার পর দিন গৌরদা মাথা মুড়িয়ে কাছা পরে সোজা চলে এলেন কফি হাউসে। সে তো এক হৈ হৈ কান্ডো। সকলেই জিজ্ঞাসা করছে কি হলো! কে? আর গৌরদা সবাইকেই বলে যাচ্ছেন - আমার মা। অনেকেই ব্যাপারটা ধরতে পারেনি। শেষে গৌরদার পরিচিত একজন খুব কিন্তু কিন্তু করে বললেন - তিনি তো......... ব্যস! গৌরদাকে আর পায় কে। গলা চড়িয়ে সেই ভদ্রলোকটিকে বলতে লাগলেন - আরে না না, সে মা তো কতদিন হলো....... এ আমার গণতন্ত্র মা, গতকাল মারা গেছেন। কফিহাউস সুদ্ধু লোকজন তো বিষম-টিষম খেয়ে অস্থির। তখনো কফিহাউস নানা প্রকার বামেদের দখলেই। তারা যখন কি করা যায় , কিইই বা করা যায় বলে টেবিল ফাটাচ্ছেন তখন গৌরদার মত ঘোষিত দক্ষিণী এমন একটা প্রতিবাদ করে বসবেন..... গলায় কালো কফি, চারমিনারের ধোঁয়াসহ তো আটকাবেই। তারা জলটল খেয়ে সুস্থ হয়ে যে যার টেবিলে সপার্ষদ ফিরে আসতে আসতে গৌরদা চালান হয়ে গেলেন মিসায় (মেইন্টেনেন্স অব ইন্টার্নাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট)-প্রেসিডেন্সি জেলে।

  • dear | 203.145.188.131 | ১০ জুন ২০০৭ ০২:১৭695588
  • এই থ্রেডে আজই প্রথম এলাম।
    রাত ১০টা (৯জুন ) থেকে রাত ২টো (১০জুন) অবধি এক নিশ্বাসে।

    ভাষা নেই বলার........আমি হিপ্‌নোটাইজ্‌ড্‌
  • dear | 203.145.188.131 | ১০ জুন ২০০৭ ০২:২১695589
  • ইস্‌ ! বিচ্ছিরি বানান ভুল !
    "নি:শ্বাসে'

    স্যরি.......
  • kallol | 192.77.110.18 | ১১ জুন ২০০৭ ১৭:৩৬695590
  • তৃতীয় কান্ডের কান্ডারী জ্যোতিদা (জ্যোতির্ময় দত্ত)। জ্যোতিদা তখন কলকাতা নামে একটা পত্রিকা চালাতেন। তখনও মানুষে জ্যোতিদাকে বুদ্ধদেব বসুর জামাই বলেই চিনত। বামেদের কাছে সিআইএর দালাল। সেহেন জ্যোতি দত্ত কলকাতা পত্রিকার গণতন্ত্র সংখ্যা ছাপলেন। তাতে গৌরদার একটা অনবদ্য লেখা ছিলো। অন্য লেখাগুলোর বেশীটাই জ্যোতিদার লেখা না না নামে। যথরীতি কলকাতার সেই সংখ্যা বেআইনী ঘোষিত হল। সম্পাদক জ্যোতিদা, প্রকাশক প্রশান্ত আর দপ্তর সম্পাদক কবি শম্ভূ রক্ষিতের নামে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা বের হল। তিনজনেই আত্মগোপন করলেন। পরে লালবাজার লক-আপে প্রশান্ত আর শম্ভূর সাথে আলাপ হয়। আর প্রেসিডেন্সি জেলে জ্যোতিদার সাথে।
    ৪৭ পরবর্তী কালে প্রতিবাদ করে পুলিশের তাড়া খাওয়া, আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাওয়া, এসব এতোকাল বামেদের একচেটিয়া ছিলো। সেখানে গৌরদা, জ্যোতিদা বা বরুণ সেনগুপ্তের প্রতিবাদ করে ধরা পরা বা আত্মগোপন করা বেশ নাড়া দিয়েছিলো। সবই যে সিআইএ বা কেজিবির ব্যাপার নয় সেটা আস্তে আস্তে বোধে জায়গা করে নিচ্ছিল। ক্রমশ: অন্য মতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হচ্ছিলাম, একমত না হয়েও।
  • kallol | 192.77.110.18 | ১২ জুন ২০০৭ ১১:২৬695591
  • এতসব কান্ডের মধ্যে নানান সংগঠনকে বেআইনী ঘোষনা করা হল। সিপিআইএমএল-এর তখন অনেকগুলো ভাগ - মহাদেব মুখার্জির নেতৃত্বে, বিনোদ মিশ্র/জহরের নেতৃত্বে, সত্যনারায়ন সিন্‌হার নেতৃত্বে। এছাড়া এমসিসি, নাগী রেড্ডি/পোল্লা রেড্ডিদের গোষ্ঠী, এনএলডিএফ...... এরা সকলেই বৃহত অর্থে নকসালপন্থী। বেআইঅনী করা হয়েছিলো আরএসএসকে। এবং আমাদের এপিডিআর। খবর আসছে সঞ্জয়দা (তখন এপিডিআর-এর সহ সম্পাদক) ধরা পড়েছে। সুভাষদা, দিলীপদা, এমনকি শিবাজীর নামে ওয়ারেন্ট। তারকদা আর তারকদার ছোটো ছেলে আশিষকে মুক্তারামের বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে গেছে। বডি কাটার ইউনিয়ানের অনেকেই গ্রেপ্তার। ধরা পড়েছেন কবি সমীর রায়। ছড়াকার সৃজন সেন, কবি কমলেশ সেন আত্মগোপনে। যারা ইতিমধ্যেই ছাড়া পেয়েছেন, তারাও সব চুপচাপ। সবচেয়ে চুপ সিপিএম। ভাবা গেছিল, অন্তত: পশ্চিম বাংলায় প্রতিবাদ হবে। সিপিএম এবার মরিয়া হয়ে ঝাঁপাবে। তা হল না। প্রতিবাদহীন একদা বাম দূর্গ না ৭৫-এ ""মুক্ত'' হল, না ''অত্যাচারের পরিনাম''-এ ""ভিয়েৎনাম'' হল। নব-যুব'র প্রেত নৃত্য চলতে থাকলো, চলতেই থাকলো।
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৩ জুন ২০০৭ ১৩:৩৪695592
  • শিবাজীর নামে ওয়ারেন্ট জারী হওয়াটা আমাদের কাছে বেশ মজার খোরাক হয়েছিলো। আগেই বলেছি শিবাজীর আসল নাম দেবাশিস। ও কালিঘাট-কেওড়াতলা এলাকার ছেলে। ওখানে সিপিআইএমএল-এর এরিয়া কমিটির সদস্য ছিলো। ওখানে একটি পুলিশের দালাল (তখন ""ইনফর্মার'' কথাটা চালু ছিলো) ""খতম'' হয়। সেই কেসে, আর কালিঘাট ফাঁড়ি অ্যাকশনের কেসে, পুলিশ ওকে সেই ৭০ থেকে খুঁজছে। ওর উপর ""শ্যূট অ্যাট সাইট'' অর্ডার ছিলো। কিন্তু ঐ যে, ওকে ভবনীপুর বা টালিগঞ্জ থানার পুলিশ চিনলেও, অন্য এলাকার পুলিশ চেনে না। তাই, ঐ রকম ওয়ারেন্ট থাকা সঙ্কেÄও মধ্য আর উত্তর কলকাতায় এপিডিআর-এর পথসভায় দিব্যি বক্তৃতা দিয়ে বেড়াত শিবাজী নামে। ফলে এপিডিআর যখন বেআইনী হলো, তখন শিবাজীর নামেও ওয়ারেন্ট জারী হলো। আমাদের পুলিশের ""ইন্টালিজেন্স'' নিয়ে তখন প্রচুর কথা হত। শোনা যেত তা নাকি স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের পরেই। পরের বার ধরা পরার পর সম্যক বুঝলাম, কলকাতার/পশ্চিম বাংলার পুলিশের মত অপদার্থ খুব কমই আছে। আর তখনকার নকশালেরা সাধারন ভাবে নিশ্চিত রকমের অপদার্থতর ছিলো - এ নিয়ে মানহানির মামলা হলেও পরোয়া করি না, কারন প্রমাণ ""মনিমুক্তোর'' মত অজস্র ছড়িয়ে আছে।
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৫ জুন ২০০৭ ১৬:০৯695593
  • মাঝারী আর ছোটো বাম দলগুলোর দপ্তরে দপ্তরে আমার আর শিবাজীর চরকিবাজি চলছে। শিবাজী ধীরে ধীরে দক্ষিণ কলকাতাতেও আসতে শুরু করেছে। ভরসা একটাই, ভবানীপুর আর টালিগঞ্জ থানার পুরোনো লোকজন যারা দেবাশিসকে (শিবাজী) চিনতো তারা অন্য থানায় বদলী হয়ে গেছে। আমরা রাসবিহারী গুরুদ্বারের উল্টোদিকে গলিপাড়ার মোড়ে, পিনাকীদার দেওয়া ক্যারাম ঘিরে আড্ডা মারতাম। ওখানে চলে আসতো, দেবু, অরুণ, তিনে, বাবু, মহারাজ, অনুপ আরো অনেকে আর সিপিএমএর পাড়াছাড়া সুভাষ, তপন, রঙ্গরাও।
    দেবাশিসের(শিবাজী)পাড়ার বুবু তখন কৌশিক ব্যানার্জিদের ""ইউনিটি কমিটি'' করছে। ওর সাথে আমার যোগাযোগ ছিলো। ওরা মনে করতো, সিপিআইএমএল তৈরী হওয়াটা ঠিকই ছিলো। দলটা ভাগ হয়েছে যত না মতদর্শগত কারনে, তার চেয়ে অনেক বেশী নেতাদের ব্যক্তিগত ঝামেলায়। ফলে ওদের চেষ্টা ছিলো সব গোষ্ঠীগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে সিপিআইএমএল-কে পুনর্গঠিত করা।
    খবর এলো বুবু ধরা পড়েছে। আবার দেবাশিসের রাসবিহারী আসা বন্ধ করতে হলো। মাস তিনেক পরে শুনলাম বুবু ছাড়া পেয়েছে। ছাড়া পেয়ে বুবু খবর পাঠালো ও দেখা করতে চায়। আমি দেখা করলাম, এসপ্ল্যানেড ইস্টে ন্যাশেনাল লাইব্রেরীর নিউজ পেপার সেকশনের ক্যান্টিনে। বুবু বললো, দেবাসিশের সাথে কথা আছে। জেল থেকে কৌশিক কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছে। ঠিক হলো দুদিন পর মট লেন (দর্পন-ফ্রন্টিয়ার দপ্তরের রাস্তা) পোস্ট অফিসের সামনের জায়গটাতে একটা বড়ো চায়ের দোকান আছে, সেখানে দেখা হবে।
  • kallol | 192.77.110.18 | ১৫ জুন ২০০৭ ১৭:২০695594
  • অনেকদিন আগে দীপেশদাকে মেল করেছিলাম নকশালবাড়ির ঘটনার সময়ে দীপেশদারই বাঁধা একটা গান লিখে পাঠাতে। আমার পুরে গানটা মনে পড়ছিলো না। সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামের পর গানটা আবার প্রাসঙ্গীক হয়ে উঠেছে। গতকাল দীপেশদা গানটা পাঠিয়েছে।
    মনে হল গানটা এখানে দেওয়া যায়।

    ওরে তোর কিসের গোঁসা হোলুঁ রে
    যুক্তফ্রন্টের মার্কুসিস্টো রে।।

    ও তুই ভিয়েতনামের বুলি ঝারো রে
    ওরে ও রে মাও-সে-তুঙ্গ-এর গুরু-মারা চেলা আহা আ
    এবার উড়িয়া গিরির ঘরে বসো
    করো বেহা বেহা খেলা রে
    যুক্তফ্রন্টের মার্কুসিস্টো রে।।
    (এটা হরেকৃষ্ণ কোঙ্গারকে। উনি সভা সমিতিতে কথায় কথায় খুব ভিয়েৎনামের উদাহরণ দিতেন, মাওয়ের কথা বলতেন। আর নকশালবাড়ির কৃষক যখন জোতদার গিরির জমি কেড়ে নেয়, গিরি বন্দুক নিয়ে বাঁধা দিতে গেলে, পাল্টা মার দেয়; তখন কৃষক নেতা, কৃষিমন্ত্রী, হরেকৃষ্ণবাবু, হেলিকপ্টারে চড়ে গিরির বাড়িতে যান তাকে সান্ত্বনা দিতে।)

    অজয় নদের বান মজিয়া রে
    ওরে ও রে মেচিক করো লাল
    এবার সিংহচর্ম খসিয়া পড়িল তোর
    এখন চীনক দিছো গাল রে
    যুক্তফ্রন্টের মার্কুসিস্টো রে।।
    (এটাও হরেকৃষ্ণ কোঙ্গারকে। উনি বর্ধমানের কৃষক নেতা, তাই অজয় নদের উল্লেখ। খুব জঙ্গী নেতা বলে নাম ছিলো ওনার, তাই ""সিংহচর্ম খসিয়া পড়িল''।)

    লালবাজরের লাল পাগুড়ি রে
    ওরে ও রে রাইটেরাসের কোঁচা আহা আ
    আর ধনীর বাড়ীর মোটোর গড়ির মুখে
    তুমি হান্ডিলে দাও খোঁচা রে
    যুক্তফ্রন্টের মার্কুসিস্টো রে।।
    (এটা জ্যোতিবাবুকে। উনি তখন পুলিশমন্ত্রী।)
    এখন বিনয় কোঙ্গার আর বুদ্ধ ভট্‌চাজ্জিকে মানিয়ে যায়। মেচিক নদীর জায়গায় হলদী নদী, চীনের জায়গায় মাওবাদী হতে পারে। আর যুক্তফ্রন্টের জায়গায় বামফ্রন্ট।

  • I | 172.207.237.203 | ১৫ জুন ২০০৭ ১৭:৩২695595
  • অসাধারণ। ফাটাফাটি।
    কোন ডায়ালেক্ট? উত্তরবঙ্গের কোনো একটা , সে তো মনেই হচ্ছে।
    কল্লোলদা, চালিয়ে যান।
  • d | 202.142.6.253 | ১৫ জুন ২০০৭ ১৭:৩৭695597
  • দারুণ!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন