এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • সিঙ্গুর: কি ভাবছেন সবাই(২)

    Ishan
    অন্যান্য | ১৮ অক্টোবর ২০০৬ | ৫৩১৮০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:০৬696679
  • আমি তো বরং আজ্জোর অবস্থান নিয়ে কনফিউজড।

    শুরু থেকেই যা মনে হচ্ছে সেটা হল বুদ্ধ খারাপ, মমতা সেই কারণে খারাপ হলেও সেটা বলা যাবে না কারণ বুদ্ধ আগে খারাপ। নক্সাল/সুশীলেরা ছ্যাবলামো করলেও বলবেন না, কারণ সব দোষ সিপিএমের। আবাপ সিপিএমের সমালোচনা করলে ভালো, নইলে টাটার মতন এনলাইটেন্ড। ন্যানো হলেও যা, না হলেও তাই, কারণ সিপিএম খারাপ।

    আরো মনে পড়লে লিখে দেবো।

    ;-)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:১৪696680
  • টাটা আবার পাবলিক স্টেটমেন্ট দিয়েছে - http://www.anandabazar.com/17raj1.htm - যদিও কোন কাগজে বিজ্ঞাপন সেটা জানি না।

    সেদিন লিখেছিলুম যে কয়েকজনের কাছে শুনলাম যে টাটা গোষ্ঠী এই প্রথম কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে/বিপক্ষে পাবলিকলি কিছু বল্ল। এই কথাটা কতদূর ঠিক কেউ জানো? সত্যিই কি দেয়নি? যদি তাই হয় তবে প:ব: রাজনীতিতে এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ০৯:২০696681
  • আজ্জোর অবস্থানটা বোঝার চেষ্টা করি - চারটে প্রশ্ন, দুটি করে চয়েজ - একটি বাছতে হবে। অ্যাবস্টেইন করা চলবে না।

    (১) প:ব:-র রাজনীতিতে আপনি কাকে বাছিয়া লইবেন? বুদ্ধ/মমতা
    (২) সিঙ্গুরে কারখানা হওয়া উচিত ছিলো কি? হ্যাঁ/না
    (৩) চারশো একরের দাবি কি যুক্তিযুক্ত? জমি ফেরত দিয়ে সেটাকে কৃষিযোগ্য করা কি সম্ভব ছিলো? হ্যাঁ/না
    (৪) বাংলা মিডিয়ার মধ্যে কোনটিকে তুলনামূলকভাবে পদের বলিবেন? আবাপ/আজকাল/বর্তমান/প্রতিদিন/গণশক্তি/জাগোবাংলা

    ;-))
  • r | 125.18.104.1 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৩:৪০696682
  • এই ব্যাপারে আজ্জো আর ঈশেনের অবস্থান খুব পরিষ্কার- অন্যদের অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করে যান।

    এইরকম:

    আপনার অবস্থান কি?
    আমি টাটার পক্ষে।
    ও! আপনি টাটার পক্ষে, বুদ্ধর পক্ষে, তাহলে আবাপর-ও পক্ষে। আর মমতা, সুশীল, নক্সালদের বিরুদ্ধে।
    ঠিক তাই।
    তাহলে অবস্থানটা কি?
    কেন? বললাম যে?
    ও:, তাহলে আবাপ ভালো?
    আমি তো বলি নি আবাপ ভালো।
    তাহলে আপনার অবস্থান কি? অবস্থান নাও থাকতে পারে, কিন্তু সেটা স্পষ্ট করে বলুন।
    আমি টাটার পক্ষে, আপাতত:।
    না, এইরকম করলে চলবে না। আজ টাটার পক্ষে, কাল অবস্থান নেই বললে চলবে না। ওটা সুবিধাবাদ।
    আমি তো বলি নি অবস্থান নেই?
    কিন্তু অবস্থান না থাকলে সেটা স্পষ্ট করে বলুন।
    জ্বালালেন তো! বলেছি তো অবস্থান আছে। আমি টাটার পক্ষে।
    ও:! তাহলে টাটা ভালো, বুদ্ধ ভালো, মমতা খারাপ, সুশীল খারাপ?
    হ্যাঁ, ঠিক তাই। কিন্তু আপনার অবস্থান কি মশাই?
    মমতা-সুশীল-নক্সালদের খামোখা গালি দিচ্ছেন কেন?

    :-))))
  • siki | 203.122.26.2 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:২৭696684
  • আরে, আগে বলবে তো প্রতিদিন ই-পেপার ফায়ারফক্সে চলে না!
  • umesh | 62.254.196.200 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৪:৫৬696685
  • কিছু সত্যি আছে। যেমন হাজার হাজার ছেলে কাজের জন্যে বাইরে চলে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারে পয়সা তে পড়াশুনা করে আমরা অনেকে অন্য রাজ্যে বা অন্য দেশে কাজ করে তাদের উপকার করছি। কিন্তু এতে যে ভদ্র (বলা যায় কি?)মহিলার নিজের অনেক অবদান সেটা বলেননি।

    তবে শান্তিপুর্ন বিরোধীতা আন্দোলন শুনে ঘুড়ায়-ও হাসবে। মমতা আর শান্তি পাশাপাশি থাকতে পারে না।
  • siki | 203.122.26.2 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৫:২৯696686
  • একটা জিনিস ঠিক বুঝতে পারলাম না। আমি পড়াশোনা করেছি না-হয় রাজ্য সরকারের পয়সায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কিন্তু আজ আমি চাকরি করে যে পরিমাণ ইনকাম ট্যাক্সটা "সরকার'কে দিই, সেটা তো অন্য কোনও রাজ্য সরকারকে না! সেটা তো কেন্দ্রীয় সরকার পায়। যে কোনও রাজ্য সরকারেরই তাতে সমান শেয়ার আছে! আমি থাকি উত্তরপ্রদেশে, চাকরি করি হরিয়ানাতে, আর আমার আইটি রিটার্ন জমা পড়ে নিউ দিল্লির ইনকাম ট্যাক্স অফিসে, আর আমার প্যান কার্ডটা ওড়িশার। তো? পবঙ্গে কাজ করে আমি কি পবঙ্গকে আলাদা করে টাকাপয়সা বা সার্ভিস দিতে পারতাম? আর আমি যাদের জন্য কাজ করি, পবঙ্গে বসেও আমি তাদের জন্যই কাজ করতাম, সেটা পবঙ্গ সরকারও নয়, দিল্লি সরকারও নয়, উপ্র সরকারও নয়।

    তা হলে আমি বাইরে চাকরি করতে গেলে রাজ্য সরকারের লসের কী আছে? হ্যাঁ, দেশের বাইরে সেটল করলে অবশ্য সরকারের রেভিনিউ লস আছে, কিন্তু তাও কেন্দ্রীয় সরকারের, রাজ্য সরকারের কী এসে যায়?
  • umesh | 62.254.196.200 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৬:২৭696687
  • আমরা Income Tax ছাড়া আর কিছু Tax দিই না!!!!!!!!!
    ঘর কিনলে resigtration charge, property tax, sales tax, fuel surcharge, profesional tax এরকম আরো অনেক কিছু রাজ্য সরকারের ঘরে যায়।
    তা ছাড়া আমার সারা মাসের বাকি খরচ গুলো তো সেখানেই করি। সেগুলো তো লোকাল economy তে সাহায্য করে।
  • arjo | 216.186.250.204 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৭:২২696689
  • কি বাজে ভাট। :-)))। পড়ে ব্যপক মজা পেলাম যে অবস্থান নিয়ে কনফিউজড হয়েও লোকে কেমন মতামত দিতে পারে।

    আমার মতামত যে মহাকালের পাতায় অনেক অনেক বার লিখলাম তাতে হল না। মাইরী বলছি এককথা বারবার ঘ্যান ঘ্যান করতে ভালো লাগে না। তবে প্রেমে অন্ধ হইলে অনেক কথাই চোখে ঢোকে না। :((
  • arjo | 168.26.205.5 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:৫২696690
  • অরিজিতের প্রশ্নের উত্তর আমি দেব না, কারণ ঐ প্রশ্নাবলীর উত্তর দিতে হলে আমার ভোটিং প্রেফারেন্স জানাতে হয়। প:ব: এ আমি আমার ভোটিং প্রেফারেন্স জানানো নিরাপদ বলে মনে করি না।

    এবারে কয়েকটি কথা:

    শিল্পায়ণ ও উন্নয়ন:

    শিল্পায়ণ মানে উন্নয়ন নয়। শিল্পায়ণ উন্নয়নের একটা ধাপ হলেও হতে পারে। কিন্তু মিডিয়া, আপার ক্লাস বাঙালী ও শাসক দলের বর্তমান কর্মসূচী ও প্রচার দেখে মনে হচ্ছে শিল্পায়ণ = উন্নয়ন। আমি মনে করি না প:ব: এর বর্তমান পরিস্থিতিতে ট্রিকল ডাউন সম্ভব। তাই আমার কাছে সিঙ্গুরে শিল্পায়ন ১৫০০ লোকের চাকরী তার বেশি কিছু নয়। এতে প:ব: এর সামগ্রিক চেহারার বিশেষ কিছু উন্নতি হবে না। কারণ শিক্ষা, চিকিৎসা, পরিবহণের মতন বেসিক পরিষেবা নিয়ে সরকারের কোনো কর্মসূচী নেই। তাই উন্নয়নের সাথে শিল্পায়ণ কে এক করে যে প্রচার চলছে তা নিছকই ভোটের রাজনীতি, ভোট কেনার ছল, অন্য সমস্যা থেকে লোকজনের নজর সরিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা বা নিছকই অদূরদর্শিতা। জানা নেই।

    তার মানে কি শিল্প চাই না, অবশ্যই চাই। কিন্তু ৫০০ লোকের জমি জোর করে কেড়ে নিয়ে, পূণর্বাসনের সঠিক ব্যবস্থা না করে ১৫০০ লোকের চাকরী কখনোই নয়।

    জমি অধিগ্রহণ:

    ভারতের মতন কৃষিপ্রধান দেশে শিল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণ খুব বড় সমস্যা। প:ব: এর মতন ডেন্সলি পপুলেটেড স্টেটে তো আরও বেশি। সেটা ""হাল্লা চলেছে যুদ্ধ"" র মতন করে হয় না। সুপরিকল্পিত ভাবে পন্ডিতদের মতামত নিয়ে, বিরোধীদের একই মঞ্চে এনে তারপরেই সেটা সম্ভব। না করলে হয় নন্দীগ্রামের মতন ""পেইড ব্যাক ইন দা সেম কয়েন"" হয় অথবা সিঙ্গুর হয়। রেফারেন্ডামের বন্দোবস্ত হতে পারে, গুজরাটের মতন শাসক এবং বিরোধী একসাথে বসে শিল্প ম্যাপ তৈরি করতে পারে, পূনর্বাসন প্যাকেজ তৈরি করতে পারে। হ্যাঁ এটা করতে গিয়ে বিরোধের রাজনীতির সম্মুখীন হতে হবে অবশ্যই, সেটাকে নিজেদের এলিটিসিজম ছেড়ে ধৈর্য্যের সাথেই মোকাবিলা করতে হবে নইলে অশ্বডিম্ব।

    বিরোধী নেত্রী:

    সিঙ্গুরে বিরোধী নেত্রী একটাই জিনিষ করেছেন তা হল একটা সঠিক দাবীকে লেজিটিমেসি দিয়েছেন। তাঁকে এর জন্য যতটা মর্যাদা দেওয়া উচিত, আমি ব্যক্তিগত ভাবে ততটাই মর্যাদা দিই। তার বেশিও না কমও না। কিন্তু সমস্ত ভালো কাজের ফলাফলই নির্ভর করে কোথায় থামতে হবে তার উপর। উনি থামতে জানেন না। অতএব ভূক্তভোগী কিছু নিরীহ, গরীব চাষী এবং এর জন্য বিরোধী নেত্রী এবং সরকার দুজনেই সমান দায়ী - একটুও কম না একটুও বেশি না। সিঙ্গুরের পুরো এপিসোডে সব থেকে দু:খজনক পার্ট এটাই যে সরকার, বিরোধী, সুশীল, গোপালদের লড়াইয়ে কিছু লোকের ভাত এবং জমি গেল।

    টাটা:

    টাটা এনলাইটেন্ট কি না, সেটা সম্পূর্ণ ইরিলেভেন্ট কারণ টাটার জায়গায় বিড়লা, ছাবাড়িয়া, রিলায়েন্স বা ক্রাইসলার হলে ঐ ১৫০০ লোকের একই লাভ বা ৫০০ লোকের একই রকম ক্ষতি হত। টাটাকে সাধুসন্তের মতন প্রচারও এক রাজনৈতিক চাল।

    রাজনৈতিক আগ্রাসন এবং বাঙালী জাতি:

    এটা বাঙলাদেশের বিরোধের রাজনীতির ফসল। বঙ্গদেশের বামপন্থী রাজনীতি সর্বভারতীয় স্তরে বিরোধীই, এবং উগ্র বিরোধী। এই আগ্রাসন, লড়ে নেওয়ার রাজনীতি তাদেরই দান। বর্তমানে প:ব: এ যাঁরা সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত তাঁরা হয় এই রাজনীতির ছত্রছায়ায় বড় হয়েছেন অথবা এই রাজনীতির পাল্টা জবাব দিতে দিতে বড় হয়েছেন। তাই আজ শাইনিং ইন্ডিয়ার আলোকে আলোক প্রাপ্ত শিক্ষিত বাঙালীর এই আগ্রাসনের রাজনীতি যতই খারাপ লাগুক না কেন, বাঙালী জাতিকে তার এই রাজনৈতিক ইতিহাস থেকে আলাদা করে দেখলে বড় ভুল হবে।

    আগ্রাসনের রাজনীতির ভালো দিক অবশ্যই আছে। সম্প্রতি জেট এয়ারওয়েজের ঘটনাই তার বড় উদাহরণ কিন্তু তার সাথে এটাও জানতে হয় এই অস্ত্র কোথায় ব্যবহার করব। নইলে নিজেরই অস্ত্র বুমেরাং হয়ে আসে।

    সবশেষে:

    মমতা নামক জীবন বিমায় চেপে অনে বৈতরণী তো পার হলেন মাইট, এইবার একটু ঘুরে দেখুন। নইলে নিজেদের অন্ধ প্রেম নিয়ে মত্ত থাকুন, কিন্তু অন্যদের ছ্যাবলামোর বিচার করতে গিয়ে যে কোল্যাটারাল ড্যামেজটা করছেন তার কথাও মাথায় রাখুন।
  • arjo | 168.26.205.5 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ১৯:৫৪696691
  • **উপরের লেখার সংখ্যা এক্স্যাট নয়, আমার কাছে এই মুহুর্তে ডেটা নেই। তবে সংখ্যা এদিক ওদিক হলেও বক্তব্য একই থাকে।
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২০:০২696692
  • অবস্থান বলে অবস্থান?!- যাকে বলে রীতিমত পরিস্থিতি! :-))))
  • h | 121.242.13.34 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২০:৩১696693
  • সিঙ্গুর থেকে টাটা চলে গেল , সাত তাড়াতাড়ি গুজরাটে জমি পেল, নরেন্দ্র মোদী ভীষণ তাড়া তাড়ি বাংলা শিখে গেলেন; এবং জেটে কেবিন কর্মী রা চাগরি হারিয়েও ফিরে পেলো, এবং অ্যাভিয়েশন ইন্ডাস্ট্রি তে বেল আউট হয়তো হবে, সিটুর আপত্তি সঙ্কেÄও এবং রাজ থ্যাকারের অবস্থান এই প্রসঙ্গে অজানা হওয়া সঙ্কেÄও। মোটামাট সপ্স কিছু হবে। এই সবেরি দুটো কারণ বলে মনে হয়।
    সমকালীন ভারতবর্ষে অর্গানাইজ্‌ড কর্পো প্রায় যা খুশি করতে পারে। ডিগনিফায়েড বা প্রিডেটরি সব রকম ক্যাপিটালিজমেই তার -ই প্রতিপত্তি। এবং বিকল্প অর্থনীতির প্রোগ্রাম যেগুলো ছেল সেগুলো কয়েকটি নানা কারণে মৃত অথবা বড় মাপের বিকল্প হয়ে উঠতে ব্যর্থ।
    আর সিভিল সোসাইটি নামক সুবিধে মত কমা বাড়া বস্তুটির পাবলিক ওপিনিয়ন তার পক্ষে। তার ক্লাস ইন্টারেস্ট সহজবোধ্য। এবং শাইনিং ইন্ডিয়ানদের জন্য কান্নাকাটি করবার অনেক লোক আছে, তাদের 'পরিবার' - এ পিতার সংখ্যাও বেশি। জেট এয়ারওয়েজ কে ছাঁটাই হওয়া কর্মীদের ফেরত নিতে হয়েছে বলে এটাকে সরকারের, শ্রম মন্ত্রকের বা রাজ ঠ্যাকারের বা সিটুর জয় বলে ধরা হচ্ছে এটা বোগাস। এই ধারণা আদৌ যুক্তি যুক্ত নয়।

    যদিও এই কেসে যদি লেবার ল টাকে নিয়ে একটু অ্যানালিসিস হয়, কাটা ছেঁড়া হয়, কর্মীদের অধিকার কিছু স্বীকৃত হয়, সামাজিক নিরাপত্তা বাড়ে, এয়ার ইন্ডিয়ার আসন্ন ছাঁটাই কমানো যায়, তাহলে আমি নাগরিক হিসেবে তো খুশি ই হব। কিন্তু কোমরে যাদের জোট বাঁধার শক্তি নাই, তাদের , অসংগঠিত ক্ষেত্রে র শ্রমিক দের লড়াই টা বাবার অভাবে স্লাইট অনাথ এইটা মাথায় থাকা দরকার।

    এই বিষয়টার সংগে মমতার ও সিপিএমের ঝগড়ার, সিঙ্গুরে ঝগড়ার, বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই। তাদের নাটকটি বিশেষ রূপে স্থানীয়।

    বাই দ্য ওয়ে, রাত জেগে জেগে বহুত উৎসাহ নিয়ে অমিত ভাদুড়ি পড়ে আমি কিছুটা হতাশ। লেখাটা অনেকটা অম্লান দত্তের বক্তৃতার মত। দারুন লাগে শুনতে বা পড়তে। বিশেষ কিছু দাঁড়ায় না, শেষে গিয়ে।
    র, তোমারে যে কত কোচ্চেন করব, পরের দিন দু বোতল ওয়াইন লাগবে। সাদাটা আমি ই নিয়ে যাব খন, লালের দিকটা তুমি দেখো ;-)
  • Ishan | 121.245.102.57 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:১৬696694
  • এই ব্যাপারে রঙ্গনের অবস্থান অবশেষে পরিষ্কার হল। সক্কলকে প্রশ্ন করুন। শুধু টাটা আবাপ আর বাম সরকারকে নয়। :)

    অ্যাদ্দিন পচ্চিমবঙ্গে দুই ধরণের মনোপলি ছিল। বামফ্রন্টের মনোপলি আর আবাপর মনোপলি। কপালগুণে এরা ছিল আড়াআড়ি ভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে। এখন দিনকাল বদলে গেছে। দুই মনোপলি এখন মাসতুতো ভাই। সঙ্গে আছেন এনলাইটেনমেন্টের মহাগুরু রতন টাটা। তিনি রীতিমতো বিজ্ঞাপন দিয়ে পচ্চিমবঙ্গবাসীকে পক্ষ বেছে নিতে আহ্বান জানাচ্ছেন। শপিং মলীয় প্রগতির মাহেন্দ্রক্ষণ আগতপ্রায়।

    শুধু বাম সরকারের প্রতি টাটার কেন এতো দরদ ঠিক বোঝা যাচ্ছেনা। ও নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন করা বারণ। :)
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:২১696695
  • ছোঁড়ার ডিকনস্টারাকশনের ওব্যেস আর গ্যালো না! ;-))
  • Ishan | 121.245.102.57 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৩১696696
  • আর হ্যাঁ। রাজ্যপালকে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়তে বারবার উপদেশ দিচ্ছেন জননেতারা। মমতাকে বাজাজ না অন্য কেউ টাকা যোগাচ্ছে, এ নিয়েও গবেষণার শেষ নেই।

    পোরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে, মমতা থেকে বাজাজ, রাজ্যপাল থেকে সুশীল সবাই ধান্দাবাজ। শুধু রতন টাটা হলেন, এনলাটেনমেন্টের স্তম্ভ। তিনি মহামানব। রামমোহন বিবেকানন্দ অশোক দাশগুপ্তর পরেই তাঁর স্থান। সিপিএমের সঙ্গে তাঁর কোনো আন্ডার দা টেবল এগ্রিমনেট নাই। স্রেফ জনহিতকর কারণে বিজ্ঞাপন দিয়ে তিনি রাজনৈতিক মতামত জানাচ্ছেন। তাঁর মতামত রাজনৈতিক বা ব্যবসায়িক স্বার্থজনিত তো নয়ই, বরং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গভীরভাবে প্রণিধানযোগ্য। কারণ? খুব সোজা। তিনি সিপিএমের পক্ষে বলছেন।

    রতনবাবু উল্টো দলের পক্ষে বললে অবশ্য হিসেবটা অন্য হত। সরাসরি সমর্থন তো নয়ই, এর এক দশমাংশ বললেও নির্ঘাত তার সঙ্গে পরমানু চুক্তির একটা সম্পর্ক থাকত।

    এরে কয় প্রশ্নচিহ্নহীন আনুগত্যমূলক অবস্থান। থুড়ি পরিস্থিতি। :))
  • Ishan | 121.245.102.57 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৩৪696697
  • ডিকনস্ট্রাকশন একটু সূক্ষ্ম ব্যাপার। যত্রতত্র ইটপাটকেলের মতো শব্দটি ব্যবহার না করাই ভালো। :)
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৩৫696698
  • কি রাগ! :-))))
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৩৮696700
  • বয়স হচ্ছে তো। মুখে হাসি রেখে অত রেগো না। পুঁদিচ্চেরি কেস হয়ে যাবে।
  • Ishan | 121.245.102.57 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৩৯696701
  • টাটা আবাপর পক্ষে কি অনুপম যুক্তিবিস্তার। আহা। :)
  • r | 198.96.180.245 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৪৫696702
  • এই দেখো! যুক্তি না দিলে আরও রেগে যায়! আহা ফাহা বলে ফেলছে। "অবস্থান" আর "যুক্তি" না এলে এত রাগার কি আছে? ওরা না হয় নাই এল। ;-))))
  • Ishan | 121.245.96.151 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২১:৫৯696703
  • কিন্তু টাটার কি হল? সেটা নিয়ে দৌড় কমপ্লিট তো? :)
  • aja | 207.47.98.129 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২২:১৬696704
  • টাটার তো কিছু হল না? সিঙ্গুরের হল।
  • Ishan | 121.245.107.191 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২২:২৬696705
  • সে আর বলতে? টাটা কারখানা বানালে টাটার আর কি। দু-চার পয়সা যা আসবে আসবে, সে না এলেও হয়, আসলে তো সিঙ্গুরের উন্নয়নটাই মূল উদ্দেশ্য। :)

    এই নতুন ঘরাণার প্রোপাগান্ডাগুলি আমরা চমৎকার শিখছি। একে কেউ কেউ নতুন ধাঁচের অর্থনীতিও বলে থাকেন।

  • aja | 207.47.98.129 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২২:২৮696706
  • ঈশেনতো কিছু শিখছে না !! তবে আমরা শিখছি বলছে কেন?
  • Ishan | 121.245.107.191 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৩৪696707
  • আমার হাসি-রাগ-অভিমান শিক্ষা-অশিক্ষা নিয়ে আলোচনা করার থাকলে একটা অন্য টই খুললে হয়না?

    অবশ্য না খুললেও কিছু মনে করবনা। প্রাসঙ্গিক কিছু বলার না থাকলে তো এসবই বলতে হবে। প্রোপাগান্ডা মেশিন তো আর বন্ধ রাখা যায়না। :)
  • aja | 207.47.98.129 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৩৬696708
  • মামু এত্ত অভিমান করছে কেন? কে বলেছে মামুর রাগ প্রাসঙ্গিক নয়?
  • Ishan | 59.161.115.244 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২২:৫০696709
  • কথাটা উঠল যখন বলেই ফেলি। অভিমান না। আপনাদের রাজনৈতিক আলোচনার মান দেখে এট্টু দু:খই হয়।

    অবশ্য দু:খ করে আর কি হবে। বাকিদের মান তো আর আমি পাল্টাতে পারবনা। অতএব এই সুতোয় এইসবই চলুক। ব্যক্তিবিশেষের মান-অভিমান আর টাটা লালসেলাম। আমি কাটি।

    আবার কাল দেখা হবে। কি কি মণিমাণিক্য ছড়িয়ে আছে পড়ে নেব। কেমন?
  • r | 125.18.104.1 | ১৭ অক্টোবর ২০০৮ ২৩:১০696711
  • আহা রে! টাটা সি পি এমকে সার্টিফিকেট দিল, আলোচনার মান ছ্যা: ছ্যা: হয়ে গেল, সব দেখে মামু দু:খ পেয়ে শুয়ে পড়ল। কোনো মানে হয়? তোমার ভুবনে মাগো এত পাপ। :-(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন