এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আমেরিকান প্রেশিডেনশিয়াল ইলেকশান ২০১৬

    Abhyu
    অন্যান্য | ১০ মার্চ ২০১৬ | ৭০৫৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ০৪:০১700602
  • আমি ২০ বছর লোন দেবার পরেও ডিফল্ট দেখেছি। কারণ, চাকরি নেই। সেভিংস নেই। বাজারে দেনা।

    আমি শিওর S ও এমন দেখেছে।
    ধুস, S ইয়ার্কি মারছে, ট্রোল করছে।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ জুন ২০১৬ ০৪:১৫700603
  • না না সত্যি বলছি। ২০ বছর পরে ডিফল্ট করলে ব্যান্ক খুব খুশি হয়। লিখছি সব। একটু সময় দিন।

    আর ঐ বাজারে দেনাটা খুব ইম্পর্ট্যান্ট। সেই লোকের টোটাল লোন-টু-ভ্যালু রেশিও বেড়ে গেছে, তাই ডিফল্ট করেছে।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ০৪:২২700604
  • সেভেন পয়েন্ট্‌স --

    1) The Rise of Subprime Lending

    Subprime borrowing was a major factor in the increase in home ownership rates and the demand for housing during the bubble years. The U.S. ownership rate increased from 64 percent in 1994 to an all-time high peak of 69.2 percent in 2004. The demand helped fuel the rise of housing prices and consumer spending, creating an unheard of increase in home values of 124 percent between 1997 and 2006. In turn, U.S. household debt as a percentage of income rose to 130 percent in 2007, 30 percent higher than the average amount earlier in the decade.

    2) New Kind of Lender Emerges

    Some economists blame the emergence in the boom years of a new kind of specialized mortgage lender for fueling the mortgage crisis. These lenders were not regulated as are traditional banks.

    3) Risky Mortgage Products and Lax Lending Standards

    Along with the rise of unregulated lenders came a rise in the kinds of subprime loans that economists say have sounded an alarm. The large number of adjustable rate mortgages, interest-only mortgages and “stated income” loans are an example of this thinking. “Stated income” loans, also called “no doc” loans and, sarcastically, “liar loans,” are a subset of Alt-A loans. The borrower does not have to provide documentation to substantiate the income stated on the application to finance home purchases. Such loans should have raised concerns about the quality of the loans if interest rates increased or the borrower became unable to pay the mortgage.

    4) Moral Hazard Led to Lax Standards

    Some experts believe that mortgage standards became lax because of a “moral hazard,” where each link in the mortgage chain collected profits while believing it was passing on risk. Mortgage denial rates for conventional home purchase loans reported under the Home Mortgage Disclosure Act, dropped from 29 percent in 1998 to 14 percent in 2002 and 2003.

    5) Mortgage Brokers and Underwriters

    Because mortgage brokers do not lend their own money, there is no direct correlation between loan performance and compensation for them. Brokers also have financial incentive for selling complex ARMs because they earn higher commissions on them.

    6) Securitization

    Black’s Law Dictionary defines securitization as a structured finance process in which assets, receivables or financial instruments are acquired, classified into pools and offered as collateral for third-party investment. Due to securitization, investor appetite for mortgage-backed securities (MBS) and the tendency of rating agencies to assign investment-grade ratings to MBS, loans with a high risk of default could be originated, packaged and the risk readily transferred to others. The securitized share of subprime mortgages, those passed to third-party investors, increased from 54 percent in 2001, to 75 percent in 2006.

    7) Credit Rating Agencies

    Credit rating agencies are under scrutiny for giving investment-grade ratings to securitization transactions holding subprime mortgages. Higher ratings theoretically were due to the multiple, independent mortgages held in the mortgage-backed securities, according to the agencies. Critics claim that conflicts of interest were involved, as rating agencies are paid by those companies selling the MBS to investors, such as investment banks.
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ০৪:২৪700605
  • হে হে, ২০ বছর পরে ডিফল্টে ব্যাংক খুশি হয়, যদি অ্যাসেটটা বিক্রি করতে পারে।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ জুন ২০১৬ ০৪:৩৩700606
  • যাহ এতোটা লিখলাম - সব ডিলিট হয়ে গেলো।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ০৪:৪৬700607
  • সে কি! লেখো। আমি একটু বেরোই এবারে।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ জুন ২০১৬ ০৬:১৬700608
  • একটা সিম্পল উদাহরণ দিচ্ছি। এর উপরেও অনেক কম্প্লেক্সিটি আনা যায় (ট্রান্চিঙ্গ, রেট, গ্যারান্টি, পার্শিয়াল গ্যারান্টি, অন্য ধরনের স্ট্রাকচার, অ্যাসেট মিক্সিঙ্গ ইত্যাদি)। সত্যি নাম্বারের সাথে কোনো যোগাযোগ নেই। ইনসাইড জব দেখা থাকলে ওখানে খুব ভালো করে এক্সপ্লেন করা আছে।

    ১) ধরুন আপনি একটি ব্যান্ক থেকে বাড়ি কেনার জন্য লোন নিলেন। ২ লক্ষের বাড়ির জন্য 1.5 লক্ষ লোন। মান্থলি রিপেমেন্ট+ইন্টারেস্ট (ইএমাই) ১০০০।

    ২) একটা ট্রাস্ট গঠন করা হলো। এই ট্রাস্টটি ঐ ব্যান্ক থেকে এরকম ১০০০০ লোন কিনে নিলো (তৈরী হলো পুল) - 1.35 বিলিয়নে। টোটাল লোনের পরিমাণ 1.5 বিলিয়ন, মানথলি ইএমাই ১০ মিলিয়ন। ব্যান্কের লাভ - যদি বেশি ডিফল্ট হয় ট্রাস্টের হবে, তাছাড়া ঐ লোন শোধের জন্য ২০-৩০ বছর ওয়েট করতে হচ্ছে না (আপফ্রন্টিঙ্গ), আর ফাইনালি ঐ 1.35 বিলিয়ন দিয়ে আরো লোন দেওয়া যাবে (ক্যাপিটাল রিলিজ)। ট্রাস্টটি প্রতি মাসে ১০ মিলিয়ন পাবে। এই ১০এর মধ্যে মনে করুন প্রথম ৬ মিলিয়নের লসের তেমন কোনো প্রোবাবিলিটি নেই (ধরুন ১%), তার পরের ২ মিলিয়নে লসের প্রোবাবিলিটি ১০%, এইরকম। রেটিঙ্গ এজেন্সি প্রথম ৬ মিলিয়ন ক্যাশফ্লোকে রেটিঙ্গ দিলো AAA, তার পরের ২ মিলিয়নকে দিলো BBB আর শেষের ২ মিলিয়ন জান্ক (ধরুন B)। ট্রাস্ট সেই অনুযায়ী প্রথম ৬ মিলিয়নের জন্যে AAA সার্টিফিকেট ইসু করলো। তারপরের ২ মিলিয়নের জন্য BBB। এইযে যাহা ছিলো ব্যান্ক লোন তাহা হঐয়া গেলো ইনভেস্টিবল সিকিউরিটি (সো দ্যাট ইনভেস্টররা আপনি লোন শোধ করবেন কিনা তার উপরে স্পেকুলেট করতে পারে) এটাকেই বলে সিকিউরিটাইজেশন। আর এইসব সিকিউরিটিগুলোকে বলে রেসিডেনশিয়াল মর্টগেজ ব্যাক্ড সিকিউরিটি (আর এম বি এস)।

    ৩) বেশিরভাগ ইনভেস্টর AAA তে ইনভেস্ট করতে রাজী হয়ে যাবে। AAA সুকিউরিটির মার্কেট রিটার্ণ ধরে এই ৬ মিলিয়ন AAA রেটেড ক্যশফ্লোর জন্য ইনভেস্টররা দিলো (প্রাইস) 1.1 বিলিয়ন। কিন্তু ট্রাস্ট লোন কিনেছে প্রায় 1.35 বিলিয়নে আর AAA সার্টিফিকেট বিক্রি করে পাচ্ছে মোটে 1.1 বিলিয়ন। জান্ক তো কেউ কিনবেই না, এমনকি BBB তেও ইনভেস্ট করার মতন লোক খুব কম। আর যারা ইনভেস্ট করবে তারাও ঐ বাকি 0.25 বিলিয়ন দেবেনা। আর ট্রাস্টকেও তো লাভ করতে হবে। তাহলে কি করা যায়। তৈরী করা হলো সিডিও।

    ৪) এইরকম ধরুন দুটো আলাদা ট্রাস্টের থেকে BBB নেওয়া হলো। প্রত্যেকটার ইন্ডিভিজুয়াল ডিফল্ট প্রোবাবিলিটি ১০%। কিন্তু দুটো আলাদা ব্যান্কের লোনের পুল। দুটোর বরোয়ারদের জিওগ্র্যাফি, ডেমোগ্র্যাফিক্স ইত্যাদি আলাদা। ধরুন দুটো পুলেরই BBB ট্রান্চ একসঙ্গে ডিফল্ট করবে এমন প্রোবাবিলিটি কম (মানে কোরিলেশন কম)। ফলে এইরকম দুটো পুলের BBB ট্রান্চকে মিশিয়ে দিলে তার সেই মিশ্রিত লোন পুলের ডিফল্ট প্রোবাবিলিটি কমে যাবে। ফলে সেখান থেকে আবার কিছু AAA বের করে আনা হলো। এইবারে দুটোর বদলে আরো বেশি পুল থেকে BBB ট্রান্চ নিলে সেখান থেকে আরো বড় AAA বেড় করা যায় ডিউ টু দ্য কনসেপ্ট অব জয়েন্ট প্রোবাঅবিলিটি অ্যান্ড লো কোরিলেশন।

    ৫) এইবারে ব্যাপারটাকে আরো কম্প্লেক্স করা যাক। a: যেহেতু দুটো BBB থেকে AAA বেড়ে করা যাচ্ছে। অতেব অনেকগুলো পুলের B ট্রান্চ থেকে একটু হলেও AAA বেড় করা যাবে। আর AAA মানেই সেটা চড়া দামে বিক্রি করা যাবে। b: স্টেপ ৪এ যে সিডিও গুলো তৈরী করা হলো, সেগুলোর মধ্যেও BBB থাকবে যেমন হয়েছিলো স্টেপ ৩এ। অতেব ঐরকম একাধিক সিডিওর BBB নিয়ে তৈরী করা হালো সিডিও স্কোয়ার। একই নিয়মে সেই সিডিও স্কোয়ার থেকেও একটু হলেও AAA বেড় করা হলো। এইভাবে যত বেশি লোন, তত বেশি পুল, তত বেশি সিডিও, তত বেশি সিডিও স্কোয়ার। আর এই ভাবে এই সিরিজটাকে আরো বাড়ানো যায় সিডিও স্কোয়ারের পরেও। এইভাবেই ঐযে স্টেপ ৩এ যে ঘাটতিটা হয়েছিলো তার অনেক বেশি টাকা (প্রফিট) তোলা যায়।

    এই ২ নম্বর থেকে ৫ নম্বর স্টেপগুলো আইবিগুলো করে। এইসব ট্রাস্টগুলোতে (সিডি/স্কোয়ারও ট্রাস্টের থ্রু দিয়ে করা যায়) একটা প্রফিট ট্রান্চ রাখা হয়। ধরুন এক মাসে ইনভেস্টদের যত দেওয়া দরকার তার থেকে বেশি অ্যামাউন্ট শোধ হলো, সেটা আইবিগুলো নিয়ে নেবে। কারণ হিসেবমতন তারা যেহেতু ঐ একদম শেষ দুই মিলিয়ন লসটা নেওয়ার কথা।

    এই পুরো প্রসেসে তিন্টে প্রবলেম আছে।
    ১) যেহেতু ব্যান্ক সব লোন বিক্রি করে দিতে পারছে আপফ্রন্ট - অতেব তাদের ভালো লোন দেওয়ার কোনো ইনসেন্টিভ নাই। লস হলে হবে ট্রাস্টের মানে ইনভেস্টরদের।
    ২) আর যেহেতু আইবিগুলো প্রচুর লাভ করছিলো ফলে তারাও প্রচুর লোন চাইছিলো যেগুলোকে তারা এইভাবে স্ট্রাকচার করে মার্কেটে বিক্রি করতে পারবে। আর সাব প্রাইম হলে সবথেকে ভালো কারণ যেহেতু লোনের ইন্টারেস্ট রেট বেশি তাই সেখানে মার্জিন রাখার সম্ভাবনা আর পরিমাণ দুইই বেশি।
    ৩) আমার মতে সবথেকে বড় প্রবলেমঃ ঐ কোরিলেশন। ওখানে গন্ডগুলো হলে সব ধপাশ করে পড়বে। হয়েছেও তাই। ধরা হয়েছিলো সবাই একসঙ্গে ডিফল্ট করবে না। কিন্তু করেছে। এইসব মডেলগুলোর একটা প্রাইমারি অ্যাজাম্পশান ছিলো যে প্রপার্টি প্রাইস কমবে না। প্রপার্টি প্রাইস যতক্ষন বাড়বে ততক্ষন মডেলটা ঠিকঠাক চলবে। কিন্তু প্রপার্টি প্রাইস পড়ে যায় অনেকটা।

    এই অ্যাজাম্পশানের উপরে নির্ভর করে এইসব সিডিও/স্কোয়ারগুলো ইন্সিওরেন্স বিক্রি করেছে এআইজি। মানে আপনি একটা সিডিও স্কোয়ারের AAA ট্রান্চে ইনভেস্ট করেছেন। তা সত্ত্বেও আপনি প্রোটেক্শান চাইছেন। এ আই জি এসে গেছে ইন্সিওরেন্স নিয়ে - আপনি প্রতি মাসে একটা ফি দেবেন আর ঐ AAA সিকিউরিটি ডিফল্ট করলে এআইজি আপনাকে কম্পেনসেট করবে। এটাই সিডিএস।

    প্রপার্টি প্রাইস কমার ফলে (বা লোন শোধ দেওয়ার ক্ষমতা/ইচ্ছে না থাকার ফলে) অনেকে ডিফল্ট করে দেয়, ফলে ঐসব এম্বিএসের BBB আর B ডিফল্ট করতে শুরু করে। তার ফলে স্সিডিও/স্কোয়ার গুলোতে যেসব AAA বেড় করা হয়েছিলো সেগুলো ডিফল্ট করতে শুরু করে। সিকিরিটাইজড ইন্স্ট্রুমেন্টের ডিমান্ড কমতে থাকে, ব্যান্ক লোন দেওয়া বন্ধ করে, প্রপার্টি প্রাইস আরো কমে যায়। এআইজির লায়াবিলিটি বেড়ে যায় কারণ প্রচুর সিডিএসে ক্রেডিট ইভেন্ট (ডিফল্ট) হয়। আর এই এআইজিকে বাঁচাতে গিয়েই মুলতঃ সরকারকে ওয়াল স্ট্রীট বেইল আউট করতে হয়।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ জুন ২০১৬ ০৬:৩১700609
  • এর পরেও অনেক কিছু লেখার থেকে যায়। ছোটো করে লিখি। যেকোনো ফাইনান্সিয়াল ইনস্ট্রুমেন্টের পপুলারিটির পিছনে কমপক্ষে তিনটে কারণ থাকে। টেকনলজি - এটা খুব খুব ইম্পর্ট্যান্ট। কম্পিউটার আর ইন্তারনেট সবথেকে বেশি লাভ করেছে ওয়াল স্ট্রীটের। ভলিউম বড়েছে সাংঘাতিক। দুই - রেগুলেশন। রেগুলেশন বেশি থাকলে তাতে অপারেশন কস্ট বাড়ে মারাত্মক, এছাড়াও রেপুটেশন রিস্ক বাড়ে। আর নভেলটি - যেকোনো জিনিসের মতন নতুন ইনস্ট্রুমেন্টের প্রতি ইনভেস্টরদের আকর্ষণ বেশি থাকে, হয়তো রিটার্ণ বেটার থাকে বলে।
  • dc | 132.174.165.85 | ১২ জুন ২০১৬ ০৮:৪৮700610
  • lcm লিখেছেন, "ইয়েস্‌, সিডিও=শেডি" আর "দ্য মেইন জালি, দ্য মেইন কালপ্রিট।"

    এই স্টেটমেন্ট গুলো ঠিক কিনা সেই তর্কে ঢোকার আগে ধরে নিচ্ছি এগুলো সঠিক (সঠিক কিনা সেই আলোচনাতে পরে আসছি)। আগে দেখে নি গ্লাস স্টিগাল থাকলে সিডিওর ওপর কোন এফেক্ট হতো কিনা।

    ১৯৭৮ সালে ব্যাংক রেগুলেটর অফিস অফ কম্প্ট্রোলার অফ কারেন্সি (ওসিসি, OCC) সিকুরিটাইজেশানের অনুমতি দেয়, যার ফলে ব্যাংক অ্যাম সহ অন্য ব্যাংকরা residential mortgage-backed securities, RMBS প্রোডাক্ট কেনাবেচা শুরু করে। এই অনুমতির ফলে ব্যাংকগুলো সিকিউরিটির আন্ডাররাইটিং আর ডিস্ট্রিবিউটিং শুরু করে। গ্লাস স্টিগাল কিন্তু তখন ছিল। ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্ট ওসিসির অনুমতিকে বৈধ বলে। প্রথম সিডিও ইস্যু হয় ১৯৮৭ সালে, এর পর কয়েক বছরের মধ্যেই সিটিব্যংক সহ অন্যান্য ব্যাংক গুলো বড়ো ভল্যুমে সিডিও হ্যান্ডল করতে শুরু করে। গ্লাস স্টিগাল কিন্তু তখনো ছিল। গ্লাস স্টিগালের ব্যাংক আর সিকিউরিটাইজেশন সংক্রান্ত নিষেধ তুলে দেওয়া হয় ১৯৯৯তে, ততোদিনে অলরেডি সিডিওর মার্কেট এস্ট্যাব্লিশড হয়ে গেছে।

    মানে lcm এর "দ্য মেইন জালি, দ্য মেইন কালপ্রিট", সেটাকেই গ্লাস স্টিগাল আটকাতে পারেনি।

    যাব্বাবা!
  • bip | 183.67.3.44 | ১২ জুন ২০১৬ ০৯:০৮700612
  • আমেরিকান নির্বাচন ২০১৬ - ডেমোক্রাটিক প্রাইমারী
    (১)
    ২০১২ সালে যখন ক্লিনটন স্টেট সেক্ট্রেটারী থেকে পদত্যাগ করলেন, তখনই আন্দাজ ছিল, এইচ আর সি, সম্ভবত ২০১৬ এর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়বেন। অবশ্য ২০০৮ সালে যখন, ওবামার হাতে প্রাইমারীতে পরাজিত হয়ে, হিলারী প্রাইমারী রেস থেকে সরে দাঁড়ালেন সেদিন অনেকেই আমরা ভেবেছিলাম, প্রেসিডেন্ট ওবামার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে হিলারী ক্লিনটন প্রেসিডেন্ট হওয়া আমেরিকার জন্য সব থেকে ভাল হবে।

    ২০০৮ সালের প্রাইমারীতেও আমি হিলারী ভলিউন্টিউয়ার ছিলাম। সেবার হিলারী ওবামার কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। কোন সন্দেহ নেই ওবামাই ছিলেন সেরা ক্যান্ডিডেট। হিলারী এবং ওবামার টিমের সদস্যদের মিলিয়ে দেবার জন্য ২০০৮ সালের জুন মাসে ডেমোক্রাটিক পার্টির হেডকোয়াটারে একটি বিশাল সান্ধ্যপার্টির আয়োজন করেছিল পার্টি কমিটি। আমার সৌভাগ্য, ইন্ডিয়ান আউটরিচ কমিটির সদস্য হিসাবে সেদিন পার্টিতে ছিলাম। হিলারী ভক্ত অনেকের সাথেই আলাপ হয় সেদিন। যাদের অধিকাংশই আবার ফেমিনিস্ট। আমরা সবাই আশা করেছিলাম ২০১৬ তে এই দিন আসবে যেদিন ওবামার পরে হিলারী ডেমোক্রাটিক পার্টির নমিনেশন পাবেন।

    ২০১৩ সালেই আমি প্রথম খবর পাই হিলারী ২০১৬ তে লড়ছেন। তখন ক্যাপিটালে এই ব্যপারে কানাঘুঁশো চলছে। এর মধ্যে আমাদের এক আই আই টি প্রাত্তনী খবরটা দিয়েছিলেন। উনি এখানে একজন বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী এবং হিলারী ঘনিষ্ট ডোনার। ২০১৩ সালেই হিলারী তার ঘনিষ্ট ডোনারদের ডেকে নিজের সংগঠন গোপনে মজবুত করছিলেন। ২০১৫ সালে তার প্রেসিডেন্সি ক্যাম্পেইন ঘোষনা ছিল সময়ের অপেক্ষা।

    ইনফ্যাক্ট বিল ক্লিনটনের থেকেও অনেক সফল আইনজীবি ছিলেন হিলারী ক্লিনটন। বিল ক্লিনটনের থেকে তার পলিটিক্যাল ট্রাক রেকর্ড ও ভাল। কিন্ত আমেরিকাতেও পলিটিক্সে মেয়েদের গ্লাস সিলিং ভাঙাটা সত্যিই আছে। আপনারা ১৯৬৯ সাল থেকে হিলারীর লেকচার শুনতে পারেন। শুনলেই বোঝা যাবে হিলারী ক্লিনটন অনেক বেশী ডিটেলড ওরিয়েন্টেড এবং চিন্তা করেই বক্তব্য রাখতে ভালবাসেন। ২০০৮ সালেই তার প্রেসিডেন্ট হওয়ার কথা। কিন্ত সেই বছরেই উত্থান প্রেসিডেন্ট ওবামার। কোন সন্দেহ নেই প্রেসিডেন্ট ওবামার মতন রাজনীতিবিদ শতাব্দিতে দু একটিই জন্মায়। প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিঙ্কন অথবা থমাস জেফারসনের লীগেই স্থান হবে বারাক ওবামার।

    (২)

    ২০১৬ তে হিলারী নমিনেশন কেক ওয়াক হবে -এটাই ভেবেছিল আমেরিকা। আমিও ব্যতিক্রম নই।

    কিন্ত বাধ সাধলেন ভার্মন্টের সেনেটর বার্নি স্যান্ডার্স। উনি কিন্ত ডেমোক্রাট নন। ২০১৫ সালেও ডেমোক্রাটিক পার্টির সদস্য ছিলেন না। কিন্ত প্রেসিডেন্সিয়াল ক্যান্ডিডেট হওয়ার জন্য ২০১৫ সালে উনি পার্টি মেম্বারশিপ নেন।

    অন্যদিকে হিলারী প্রায় ৩৫ বছর ধরে ডেমোক্রাটিক পার্টির অন্যতম মূল স্তম্ভ! সুতরাং লড়াই হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। অন্যদিকে বার্নিও ওবামার মতন হার্ভাড শিক্ষিত ক্যালিবান কেও নন। ব্যাচেলর ডিগ্রি পাশ করার পর দশ বছর চাকরি পান নি। কখনো ছুতোর মিস্ত্রির কাজ, কখনো সাংবাদিক, কখনো এটা ওটা করে সংসার চালিয়েছেন। ট্রেলার বা বস্তির ঘরে থাকতেন। ফলে প্রথম বিয়ে টেকে নি। দশ বছর বাদে তার প্রথম স্টেবল জব, মিউনিসিপালিটির কাউন্সিলর।

    কিন্ত বার্নির এই নিম্নমধ্যবিত্ত বা দরিদ্র ব্যাকগ্রাউন্ডই এডভান্টেজ হয়ে দাঁড়াল। আমেরিকাতে বড়লোকরা প্রতিদিন আরো বেশী ধন সম্পত্তির মালিক হচ্ছে, অথচ গরীবেরা আরো বেশী দারিদ্রের সম্মুখীন। মধ্যবিত্তরা আরো বেশী গরীব হচ্ছে। এমন অবস্থা- ল কোম্পানিতে কাজ করা একজন সাধারন চাকুরিজীবি যদি এই মাসে গাড়ীর কোন জিনিস সাড়ায়, দুমাস তাকে অপেক্ষা করতে হয় ডেন্টিস্ট দেখাতে । কারন টাকা নেই। সবার সংসার চলছে টেনেটুনে। ওপরে চাকচিক্য-তলায় একদম ঘুনে খাওয়া অর্থনৈতিক অবস্থা অধিকাংশ ফ্যামিলির।

    ফলে চাপা ক্ষোভ ছিলই এস্টব্লিশমেন্টের বিরুদ্ধে। সেটাকে সম্বল করে গড়ে উঠল বার্নি বা বাস্ট মুভমেন্ট। বার্নি বোঝাতে সক্ষম হলেন-এই গণতন্ত্র আসলেই ব্যবসায়ীদের কাছে চুরি হয়ে যাওয়া গণতন্ত্র। যা শ্রমিকদের কথা ভাবে না। কাজ পাচার করে দেয় ভারত আর চীনে। বেকার বসে থাকে আমেরিকার দক্ষ শ্রমিক।

    কিন্ত বার্নি অনেকগুলো স্ট্রাটেজিক মিসটেক করেছেন। ডেমোক্রাটিক টিকিটে লড়ার মূল সমস্য হচ্ছে না উনি , না উনার সাপোর্টারদের অনেকে ডেমোক্রাটিক পার্টির রেজিস্টারড সাপোর্টার। ডেমোক্রাটিক পার্টিতে বাম বেস ১৫-৩০%। দক্ষিনের রাজ্যগুলিতে আরো কম। যেখানে হিলারি ক্লিনটন হচ্ছেন পার্টি ডার্লিং। এক্ষেত্রে উনার উচিত ছিল কালো, ল্যাটিনো এবং এশিয়ানদের মধ্যে ঢোকা। সেটা উনি করেন নি। উনি আমেরিকাতে ইনকাম অসাম্য নিয়েই লেজার ফোকাসড ছিলেন। ফলে ছোট ছোট রাজ্যগুলি যা সাদা চামড়ার লোক অধ্যুশিত-সেগুলো বাদ দিলে কোন বড় রাজ্যগুলিতে-যেখানে এশিয়ান বা ল্যাটিনো ভোট বেশী-সেখানে গোহারা হেরেছেন বার্নি।

    (3)

    এখানে নানান রাজ্যে প্রাইমারীর নিয়ম আলাদা। মূলত তিনটে টাইপের প্রাইমারী হয়-ক্লোজড, ওপেন এবং কক্কাস। ক্লোজড প্রাইমারীতে শুধু ডেমোক্রাটিক পার্টির কার্ড হোল্ডাররাই ভোট দিতে পারেন। ওপেন প্রাইমারীর ক্ষেত্রে যারা ডেমোক্রাটিক পার্টির কার্ড হোল্ডার না, তারাও ভোট দিতে পারেন। কক্কাসের ক্ষেত্রে সবাইকে উপস্থিত থেকে, একসাথে ভোটিং হয়। ফলে কক্কাসে সব থেকে কম টার্ন আউট।

    এখানে বার্নির সাপোর্ট বেস হচ্ছে আমেরিকান বামেরা। যাদের বাধ্য হয়ে ডেমোক্রাটিক পার্টিতে থাকতে হয়-কিন্ত পার্টির মধ্যে এদের কেউ পাত্তা দেয় না। কারন ডেমোক্রাটিক পার্টি একটি সেন্ট্রিস্ট প্রগ্রেসিভ পার্ট। এই নিয়ে আমেরিকান বামেদের বিশাল ক্ষোভ। যে তাদের কোন রাজনৈতিক ভয়েস নেই। এদিকে যে আলাদা পার্টি করবে, তার ও উপায় নেই। কারন ডেমোক্ট্রাটরাই কষ্টে শিষ্টে রিপাবলিকানদের সাথে জেতে-কংগ্রেস এবং সেনেটে রক্ষনশীল রিপাবলিকানদেরই প্রাধান্য। এর মধ্যে বামেরা যদি বেড়িয়ে আসে-আরোই কোথাও পাত্তা পাবে না।

    ফলে এবার বার্নিকে ডেমোক্রাটিক নমিনি করার জন্য আমেরিকান বামেরা অনেক খেটেছে। যদিও তা সত্ত্বেও বার্নি ভালভাবেই হেরেছে!! এর মূল কারন

    আমেরিকাতে ত্রীস্তরীয় সিস্টেম। এখানে আইন বদলাতে গেলে কংগ্রেস এবং সেনেটের সাহায্য লাগে। সেখানে ডেমোক্রাটরা স ংখ্যলঘু। সুতরাং শুধু প্রেসিডেন্ট হলেই হবে না, আইন করতে কংগ্রেস এবং সেনেটেও জেতা দরকার। হিলারী ক্লিনটন এই ব্যপারে গুরুত্ব দিয়েছিলেন। উনি উনার ক্যম্পেনের টাকা থেকে পার্টি ফান্ডে টাকা দিয়েছেন যারা সেনেট এবং কংগ্রেসে দাঁড়াচ্ছে। ফলে পার্টির সংগঠন হিলারীর পাশে ছিল। বার্নি তা করেন নি। বরং বার্নি ক্রমাগত ডিমোক্রাটিক পার্টিকেই গালাগাল করছিলেন তার হারের জন্য। এতে বার্নি এবং ডেমোক্রাট মেশিনারীর মধ্যে দূরত্ব বেড়েছে।
    এর ফল হয়েছে এই যে ক্লোজড প্রাইমারী যেসব রাজ্যে হয়েছে,- অর্থাৎ যেখানে শুধু ডেমোক্রাটদের ভোটাধিকার ছিল, বার্নি শ্রেফ উড়ে গেছে। এবং এটাই বৃহৎ রাজ্যের সিস্টেম। ফলে ছোট ছোট রাজ্য যেখানে কক্কাস হয়-সেখানে প্রায় সব জিতেও বার্নির কোন লাভ হয় নি।
    আরেকটা অবশ্যই মেয়েদের এবং আফ্রিকান আমেরিকানদের ভোট-যা হিলারীর পক্ষে। কালো মানুষদের জন্য আইনজীবি হিলারী লড়ছেন সেই ১৯৬৯ সাল থেকে। তার ইতিহাস দীর্ঘ। সুতরাং তারা হিলারীর পক্ষে দাঁড়াবে এটাই স্বাভাবিক।
    অন্যদিকে ফেমিনিস্টদের ভোটও হিলারী পেয়েছেন।
    বার্নির দিকে ছিল সুধু কিছু তরুন যুবক যুবতী এবং বয়স্ক সাদা পুরুষ লিব্যারালরা।
    মাঝখান থেকে যেটা হল, সেটা অনেকটা মমতার হাতে সিপিএমের ধ্বংশের মতন। ফেসবুকে, সর্বত্র বার্নি সাপোর্টাররা দাপিয়ে গেল তাদের অতি খাজামার্কা বস্তাপচা বাম বিপ্লব নিয়ে-দেখে মনে হত হিলারির কোন সাপোর্ট বেসই নেই। রাস্তাঘাট, বাড়ি, ফেসবুক সর্বত্রই ঝড় তুলেছিলেন বার্নি সমর্থকরা। কিন্ত ভোটবাক্সে সব কটা বড় রাজ্যেই গোহারা হেরেছেন বার্নি হিলারীর কাছে। আমি ভোট দিতে গিয়ে দেখি, ভোটকেন্দ্রে হিলারীর কোন প্ল্যাকার্ড নেই-কেউ ক্যানভাস ও করছে না। অথচ হিলারী কিন্ত মেরিল্যান্ডে বার্নির থেকে দ্বিগুন ভোটে জিতেছেন!

    বার্নির সাথে হিলারীর যেকটি বিতর্ক হয়েছে সবকটিতে বার্নি ধেরিয়েছিলেন-এবং সব প্রশ্নের উত্তরেই সেই গরুর রচনা ধণের বৈষম্যে এসে ঠেকত। এমনকি মেজর লেবার ইউনিয়ানগুলিও হিলারীকেই এনডোর্স করেছে।

    তবে বার্নির লাভের লাভ হচ্ছে এই যে বার্নি হিলারিকে একদম মধ্যপ ন্থা থেকে বামে ঠেলেছেন। ওয়ালস্ট্রিট, পলিটিক্যালি রিফর্ম এসব কিছুই হিলারির এজেন্ডাতে ঢুকেছে।

    (৪)

    এর মধ্যে আরেকজন বড় খেলোয়ার এলিজাবেথ ওয়ারেন, ম্যাসাচুসেটসের সেনেটর। উনি আমেরিকার বাম প্রগেসিভ সেকশনের ডার্লিং। হার্ভাডের আইনের অধ্যাপক, অত্যন্ত ভাল বক্তা-প্রতিপক্ষকে কচুকাটা করতে তিনি সিদ্ধহস্ত। অনেকেই চেয়েছিলেন, বার্নির বদলে ওয়ারেন পার্থী হোন। আসলে সেটা হলে হয়ত, হিলারী হারতেও পারতেন। কিন্ত ওয়ারেন রিক্স নেন নি। সম্ভবত লিজ ওয়ারেন জানতেন বার্নি বা হিলারী যেই জিতুক না কেন, ভিপির পোষ্টটা তিনিই পাবেন।

    এলিজাবেথ ওয়ারেন গোটা প্রাইমারীর সময় সাইডলাইনে বসে খেলা দেখলেন। বার্নির সাপোর্টবেসের পুরোটাই লিজ ওয়ারেনের ফ্যানবেস-কিন্ত তবুও তিনি বার্নির পক্ষে গেলে না। গোটা ডেমোক্রাটিক পার্টিতে উনিই একমাত্র সেনেটর যনি বার্নি-হিলারী যুদ্ধে নিরেপেক্ষ ছিলেন।

    হিলারী ক্যালিফোর্নিয়া জেতা মাত্র, যখন বার্নি সম্পূর্ন ভাবেই বিধ্বস্ত, লিজ ওয়ারেন হিলারী ক্যাম্পে যোগ দিলেন। ওই একই দিনে আমেরিকান কন্সটিউশন সোসাইটির মিটিং এ, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে প্রায় কচুকাটা করলেন। খুব স্বাভাবিক ভাবেই ডেমোক্রাটিক বেস চাইছে লিজ ওয়ারেন ক্লিনটনের রানিং মেট হৌক। কারন তাতে বার্নির বিধ্বস্ত সমর্থকদেরকে হিলারী ক্যাম্পে টানা যাবে। সাথে সাথে ট্রাম্পকে ধ্বংস করার কাজ হিলারীকে করতে হবে না। ওটা লিজ ওয়ারেনই পারবেন ভাল।

    তবে সেই হিসাবটা ভুল। বার্নির সমর্থকদের মোটে ১/৩ ভাগ, খোদ ডেমোক্রাটিক পার্টির লোক। বাকি ২/৩ অংশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট। ওই স্বাধীন ভোটাররা হিলারীকে ভোট দিতে রাজী না। খুব সম্ভবত ঘরে বসে থাকবে বা গ্রীন পার্টিকে ভোট দেবে। আবার এই স্বাধীনভোটারদের একাংশ আবার লিজ ওয়ারেনের ফ্যান। লিজ ওয়ারেন হিলারীর রানিং মেট হলে, এই অংশটার ভোট হিলারী পাবেন।

    কিন্ত তাতে অন্য আসুবিধা। ট্রাম্পের প্রতি ঘৃণাতে অনেক রিপাবলিকান হিলারীকে ভোট দিতে চান। জুলিয়ান কাস্ট্রোর মতন সেন্ট্রিস্ট রানিংমেট হলে, হিলারী রিপাবলিকান পার্টির ভোট ও পাবেন। লিজ ওয়ারেন হলে সেটা হবে না। যেমন আজকেই মার্ক কিউবান বলেইদিয়েছেন লিজ ওয়ারেন রানিংমেট হলে উনি হিলারীকে ছেরে ট্রাম্পকে ভোট দেবেন।

    তবে ডেমোক্রাটিক পার্টি থেকে লিজ ওয়ারেনকে ভিপি করার চাপ বাড়ছে। ডেমোক্রাটিক সেনেট নেতা, হ্যারি রিড পরিস্কার ভাবেই বলেছেন, লিজ ওয়ারেনকেই ভিপি করা হৌক।

    কিন্ত একই সাথেই আমেরিকার মাথায় দুজন মহিলা জনগন কেমন নেবে কেউ জানে না। সাদা পুরুষদের ২০% ভোট ও হিলারীর সাথে নেই! তাছাড়া হিলারী বাস্তববাদি সেন্ট্রিস্ট, লিজ ওয়ারেন আদর্শবাদি বামপন্থী। তাদের দুজনের কেমিস্ট্রি কেমন খাবে কে জানে।

    (৫)

    এবার আসি রিপাবলিকান পার্থী ট্রাম্পের প্রসঙ্গে। কে এই ডোনাল্ড ট্রাম্প?

    এক কথায় একজন অসৎ বিলিয়নার ব্যবসায়ী। কিন্ত ধুরন্ধর এবং চালাক। পালস বোঝেন। মিডিয়া বিজনেসে থাকায়, জনগণ কি খেতে চাইছে, সেটা ধরেন অনেক আগে।

    অনেকেই ট্রাম্পকে মুসলমান বিদ্বেশী বর্ণবাদি বলছেন। কিন্ত আমার ধারনা ট্রাম্প ওসব কিছুই না। পাতি মুসলমান বিদ্বেশ এবং বর্ণবাদি বিদ্বেশকে নিজের ভোটব্যাঙ্ক বানিয়েছেন।

    তবে ট্রাম্প এখন গভীর গাড্ডায়। ট্রাম্প বিশ্ববিদ্যালয় খুলে জালি ডিগ্রি দিয়ে প্রচুর ছাত্রছাত্রীর টাকা মেরেছিলেন। তারা এখন ২২০ মিলিয়ান ডলারের ক্ষতিপূরন চেয়ে মামলা করেছে। এবং সেই মামলায় একজন মেক্সিকান আমেরিকান জাজ কিউরিও-যিনি মেক্সিকান ড্রাগের বিরুদ্ধে লড়াইতে একজন আমেরিকান হিরোও বটে, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কেস চালাতে দিয়েছেন। ট্রাম্পের ধারনা কিউরিও মেক্সিকান আমেরিকান বলে ইচ্ছা করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছেন। রিপাবলিকান কংগ্রেসের স্পীকার পল রায়ান পর্যন্ত এটাকে ট্রাম্পের রেসিস্ট কমেন্ট বলে মন্তব্য করেছেন।

    ইনফ্যাক্ট ট্রাম্প রিপাবলিকান প্রাইমারী জিতেছেন বটে-কিন্ত সাথে সাথে গোটা রিপাবলিকান পার্টিকে ক্রাইসিসে ফেলেছেন। সবাই তার থেকে দূরে থাকতে চাইছে পাছে রেসিস্ট ট্যাগ লেগে গেলে ভোট পেতে অসুবিধা হয়।

    ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রিপাবলিকান পার্টির মধ্যেই বিদ্রোহ আসন্ন বলেই আমার বিশ্বাস। আগের বারের পার্থী মিট রমনি, বুশ পত্নী লরা বুশ সবাই রিপাবলিকান পার্টিকেই দুশছেন। খুব সম্ভবত, রিপাবলিকান পার্টি, মিট রমনিকেই আবার পার্থী দাঁড় করাতে পারে যদি ডেলিগেটরা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে চলে যান ট্রাম্পের বেজনির রেসিস্ট কার্যকলাপ এবং অসাধু ব্যবসার কারন দেখিয়ে।

    মোদ্দা কথা এমন ঘটনাবহুল আমেরিকান প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আগে দেখা যায় নি। যেখানে প্রতিটা দিনেই নতুন কিছু ঘটছে। কি হবে বলা মুশকিল।
  • dc | 132.174.165.85 | ১২ জুন ২০১৬ ০৯:৩১700613
  • বিপের পোস্টটা খুব ইন্ন্টারেস্টিং, অনেক কিছু জানলামও। দুয়েকটা কথাঃ

    "পলিটিক্সে মেয়েদের গ্লাস সিলিং ভাঙাটা সত্যিই আছে" - একমত, শুধু আমের্রিকাতে না, অনেক দেশেই এই দরকার আছে। আমি হিলারিকে সাপোর্ট করি যে কারনগুলোর জন্য তার মধ্যে এটা একটা।

    "অন্যদিকে বার্নিও ওবামার মতন হার্ভাড শিক্ষিত ক্যালিবান কেও নন। ব্যাচেলর ডিগ্রি পাশ করার পর দশ বছর চাকরি পান নি। কখনো ছুতোর মিস্ত্রির কাজ, কখনো সাংবাদিক, কখনো এটা ওটা করে সংসার চালিয়েছেন। ট্রেলার বা বস্তির ঘরে থাকতেন। ফলে প্রথম বিয়ে টেকে নি। দশ বছর বাদে তার প্রথম স্টেবল জব, মিউনিসিপালিটির কাউন্সিলর।" - বিপ এটাকে বার্নির ডিসয়াডভান্টেজ মনে করছেন, আমার কিন্তু উল্টোটা মনে হয়। একজন পলিটিশিয়ানএর ডাইভার্স ব্যাকগ্রাউন্ড থাকা উচিত, সেটা তাঁকে গ্রাউন্ড রিয়েলিটি বুঝতে সাহায্য করে। তাছাড়া পলিটিশিয়ানের ওরকম হার্ভার্ড টাইপের ব্র্যান্ডেড ডিগ্রি থাকতেই হবে সেটাও মনে করিনা।

    "মাঝখান থেকে যেটা হল, সেটা অনেকটা মমতার হাতে সিপিএমের ধ্বংশের মতন" - এটা আমারও মনে হচ্ছে ঃ) শুধু ফেবুতে জনপ্রিয়তা থাকলেই হয়না, আসল কথা হল জনপ্রিয়তাকে ভোটে কনভার্ট করা, এটা বেশ কয়েকবার দেখছি। এটা কেউ পারছে (বিজেপি পেরেছিল), কেউ পারছেনা।

    "কিন্ত ধুরন্ধর এবং চালাক। পালস বোঝেন। মিডিয়া বিজনেসে থাকায়, জনগণ কি খেতে চাইছে, সেটা ধরেন অনেক আগে" - এক্স্যাটলি এটাই আমারও মনে হচ্ছে। ট্রাম্পের অনেক স্টেটমেন্ট মনে হচ্ছে স্রেফ বিতর্ক তৈরি করার জন্য দেওয়া, জাস্ট মিডিয়ার অ্যাটেনশানে থাকার জন্য দেওয়া।
  • bip | 183.67.3.44 | ১২ জুন ২০১৬ ১০:০৯700614
  • বিপ এটাকে বার্নির ডিসয়াডভান্টেজ মনে করছেন,
    >>>
    নাত। আপনি আমার লেখাটা মনোযোগ দিয়ে পড়েন নি-তার পরের প্যরাতেই ছিল

    "কিন্ত বার্নির এই নিম্নমধ্যবিত্ত বা দরিদ্র ব্যাকগ্রাউন্ডই এডভান্টেজ হয়ে দাঁড়াল।"
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ১০:১৪700615
  • lcm লিখেছেন, "ইয়েস্‌, সিডিও=শেডি" আর "দ্য মেইন জালি, দ্য মেইন কালপ্রিট।"

    ডিসি, এসব আমার স্টেটমেন্ট নয় রে ভাই। এই গ্লাস-স্টিগাল, সিডিও, মর্টগেজ ব্যাক্‌ড সিকিওরিটি... ব্লা, ব্লা... এসব অন্যদের কথা, আমি শুধু কাট পেস্ট করেছি।
  • dc | 132.174.165.85 | ১২ জুন ২০১৬ ১০:২০700616
  • হ্যাঁ আপনার কাটপেস্টের প্রেক্ষিতেই বলেছি ঃ) আমি যেগুলো বললাম সেগুলোও কাট পেস্টই ঃ)
  • dc | 132.174.165.85 | ১২ জুন ২০১৬ ১০:২৩700617
  • বিপ, পরের প্যারাটা পড়েছি। পরের প্যারাটা সিম্পল ফ্যাক্ট, কিন্তু আগের প্যারাটা যেটা আমি কোট করেছি সেটায় কিছুটা আপনার ওপিনিয়ন মিশেছে মনে হয়েছে, কারন "হার্ভাড শিক্ষিত ক্যালিবান"।
  • ranjan roy | 132.162.161.160 | ১২ জুন ২০১৬ ১১:৪৩700619
  • এই স্টেজে চাইছি -- আমাদের মামু কিছু বলুক!
  • দ্রি | 56.166.188.211 | ১২ জুন ২০১৬ ১১:৪৩700618
  • "৪) এইরকম ধরুন দুটো আলাদা ট্রাস্টের থেকে নেওয়া হলো। প্রত্যেকটার ইন্ডিভিজুয়াল ডিফল্ট প্রোবাবিলিটি ১০%। কিন্তু দুটো আলাদা ব্যান্কের লোনের পুল। দুটোর বরোয়ারদের জিওগ্র্যাফি, ডেমোগ্র্যাফিক্স ইত্যাদি আলাদা। ধরুন দুটো পুলেরই ট্রান্চ একসঙ্গে ডিফল্ট করবে এমন প্রোবাবিলিটি কম (মানে কোরিলেশন কম)। ফলে এইরকম দুটো পুলের ট্রান্চকে মিশিয়ে দিলে তার সেই মিশ্রিত লোন পুলের ডিফল্ট প্রোবাবিলিটি কমে যাবে। ফলে সেখান থেকে আবার কিছু আআআ বের করে আনা হলো। এইবারে দুটোর বদলে আরো বেশি পুল থেকে ট্রান্চ নিলে সেখান থেকে আরো বড় আআআ বেড় করা যায় ডিউ টু দ্য কনসেপ্ট অব জয়েন্ট প্রোবাঅবিলিটি অ্যান্ড লো কোরিলেশন।"

    দুটৈ একসঙ্গে ডিফল্ট করার প্রোব্যাবিলিটি কম হতে পারে। কিন্তু যেকোন একটা ডিফল্ট করার প্রোব্যাবিলিটি তো ভালোই। কারণ তাদের রেটিং বিবিবি ছিল। এইরকম একটা প্রোডাক্টে যেকোন একটা ডিফল্ট করলেও নিশ্চয়ই ইনভেস্টারের কিছু লস হবে। সেটাকে কি লস বলে ধরা হবে না? শুধু দুটো একসাথে ডিফল্ট করলেই লস?
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ১২:৪০700620
  • S ভালো লিখেছে। এটা থেকে হল হাই লেভেলে, বা, কনসোলিডেটেড লেভেলে কি হচ্ছিল তার একটা ছবি পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু, ইন্ডিভিজুয়াল হাউস ওনার-দের লেভেলে, ডিফল্ট হচ্ছিল। ঐ যে ফার্স্ট ৬ মাস (AAA রেটিংএর টার্ম), অনেকেই ঐ অবধিই পারছিল, কারণ সত্যিই কোনো ইনকাম নেই অথচ মর্টগেজ দিতে হবে। কনসোলিডেটেড লেভেলে তখনও ঠিক চলছিল। ফ্লোরিডাতে একটা সেক্টরে বাড়ি/লোন ফেলে রেখে লোকে চলে যাচ্ছে, সেখানে বাড়ির দাম পড়ছে, কিন্তু স্যান ডিয়েগো-তে তখনও দাম বেড়েই চলেছে। কিন্তু স্যান দিয়েগোর লোনও টক্সিক, সাসটেইন করবে না। একটা সময় দেখা গেল, ডিফল্ট সব জায়গাতেই শুরু হল, লাস ভেগাসে খুব বিচ্ছিরির অবস্থা হল। কিন্তু তাও, লোন চলছে, তার কয়েকটি কারণ হল - এক, যা S লিখেছে, সব জায়গায় একই সঙ্গে ডিফল্ট হচ্ছিল না। আর, দুই হল এই ফান্ডিং গুটিকয়েক বড় কোম্পানীর, গ্লাস-স্টিগাল অ্যাক্ট তুলে দেবার ফলে হাই লেভেল কনসোলিডেশন হচ্ছিল গুটিকয়েক ব্যাংকি/আইবি কোম্পানীর মধ্যে, যেগুলির মালিক আবার ঐ গুটিকয়েক কোম্পানি। আর, তিন নম্বর হল - যে রেটে নতুন বাড়ি তৈরি হচ্ছিল, তার কম রেটে লোন ডিফল্ট হচ্ছিল, যার ফলে সাপ্লাই ডিমান্ডের থেকে কম থাকছিল।
    কিন্তু এরকম বেশি দিন চলতে পারে না। জিরো ডাউনপেমেন্টে, চাকরি-বাকরি ছাড়া লোন - পৃথিবীর খুব কম দেশে দেওয়া হয় - তাও এত গাদা গাদা টাকার।

    তিনটে সিনেমা দেখেছি এই নিয়ে - মার্জিন কল, ইনসাইড জব, দ্য বিগ শর্ট। সিনেমা অবশ্য ড্রামাটিক হবে একটু, কিন্তু তাও খারাপ না।
  • dc | 132.174.165.85 | ১২ জুন ২০১৬ ১২:৫০700621
  • মার্জিন কল তো বেশ ভালোই হয়েছিল।

    তবে গ্লাস-স্টিগাল অ্যাক্ট তুলে দেবার সাথে ২০০৮ এর বিশেষ সম্পর্ক নেই, গ্লাস স্টিগাল থাকলেও আটকাতে পারতো না।

    ডিঃ lcm পয়েন্ট আউট করার আগেই বলে নি আমি জানি আপনি কপি পেস্ট করেছেন, সবই অন্যের বক্তব্য। আমিও তাই করেছি।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:০০700624
  • গ্লাস স্টিগাল রিপিল হওয়ার ফলে কমার্শিয়াল ব্যান্কগুলো স্পেকুলেটিভ ইনভেস্টমেন্ট করতে পারছিলো। মানে সাধারণ লোক যে ব্যান্কে ডিপোজিট রাখে, সেই ব্যান্কগুলো-ও তাদের নিজেদের ক্যাপিটাল নিয়ে স্পেকুলেশান করতে পারছিলো। ফলে কোনো ইনভেস্টমেন্টে যদি ম্যাসিভ লস হয়, তখন সাধারণ লোকের ডিপোজিটও সমস্যায় পড়বে। কিন্তু সিটি ছাড়া তেমন কোনো বড় ব্যান্ক সেই সমস্যায় পড়েনি। জেপি তো এম্বিএসে প্রফিট করেছিলো, বোফার এক্সপোজার মনে হয় কম ছিলো, স্টেট স্টৃটও তেমন ঝামেলায় ছিলোনা। এক ছিলো সিটি - বেইল আউট না হলে উঠে যেতো।
  • aka | 34.96.82.109 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:০৩700625
  • মুশকিল হল রেটিঙ্গ স্ত্র্যাটেজিই ভুল।

    প্রথম ৬ মাস AAA> কেন? প্রথম বলে? ওদিকে আয়ের ৬০ শতাঙ্গশ লোন পে করতে চলে গেলেও? একমাসে শরীর খারাপ হলেই লোন ডিফল্ট হবে, আর হলও তাই। রিস্কি লোন রিস্কি থেকে রিস্কিতর হতে হতে একসময়ে টিপিঙ্গ পয়েন্টের ওদিকে চলে গেল, AAA, BBB সব একসাথে ফেইল করল। কারণ যা আসলে AAA বলে ধরা হয়েছিল তা AAA নয়।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:০৮700626
  • দ্রি, ধরুন দুটো পুল আছে ২+২=৪ মিলিয়নের। দুটৈ BBB, কিন্তু ঐ ৪ মিলিয়নের প্রথম ১ মিলিয়নকে AAA রেটিঙ্গ দেওয়া যেতেই পারে।

    লসাগু, মনে রাখতে হবে এই পুরো প্রবলেমটাই হয়েছিলো সাব প্রাইম সেক্টরে। অনেক লোন দেওয়া হয়েছিলো (ইনকাম নেই ইত্যাদি) ঐ প্রপার্টি প্রাইস বাড়বে এই অ্যাজাম্পশানে। আর স্যান ডিয়াগোর রিয়েল এস্টেট প্রাইস আম্রিগাতে সব থেকে বেশি (৬০%) ফল করেছিলো - আমি একটা লিস্ট দেখেছিলাম।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:০৯700627
  • প্রথম ৬ মাস AAA কেন? প্রথম বলে?

    না প্রথম ৬ মাস নয়। আমার লেখাটা আবার পড়ুন।
  • S | 108.127.180.11 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:১০700628
  • ওকে বুঝেছি, লোকে প্রথম বলতে টাইম ভাবছে। টাইম না, প্রতি মাসে যে ক্যাশফ্লো আসছে, তাকে যদি ভাগ করা হয়, তাহলে টপ ৬০% ইত্যাদি।
  • dc | 132.174.165.85 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:১৬700629
  • সাব প্রাইম সেক্টর কোল্যাপসের সবথেকে ডাইরেক্ট কারন ছিল ল্যাক অফ ডিউ ডিলিজেন্স আর হাই রিস্ক মর্টগেজ। এর সাথে হাউসহোল্ড ডেট বাড়া - ডেট টো ডিসপোসেবল ইনকাম রেশিও ১৯৯০ তে ৭০% থেকে ২০০৭ এ ১২৭%। হাউসিং বাবল কোল্যাপসের ফলে সেইজন্য ডোমিনো এফেক্ট হয়েছিল।

    সব কপি পেস্ট।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:১৯700630
  • তিন বড়দা - সিটি, চেজ, ব্যাংক অফ্‌ আমেরিকা। সিটি তো ঝামেলায় পড়ল, বইল আউট হেল্প পেল। বিঅফ্‌এ কে ডিল দেওয়া হল - হয় মেরিল নাও, নয় ঝাঁপ বন্ধ করো। আর, হেনরি পলসন কল করলেন জেমি ডিমন (চেজ) কে - হয় জেপিমর্গ্যান নাও নইলে ঝাঁপ বন্ধ করো। পলসন ডোবালেন লেম্যান-কে , বাঁচালেন গোল্ডম্যানকে । অবশ্য হেনরি তো গোল্ডম্যানেরই লোক, সোনার লোক কি আর লেম্যান-এর খবর রাখে।

    স্টেটস্ট্রিট, আর, বনি মেলন ()- এরা বড় কাস্টোডিয়ান ব্যাংক। স্টেটস্ট্রিটের ইনভেস্টমেন্ট সেকশন মার খেয়েছিল - আমার বৌ স্টেটস্ট্রিটে প্রায় ১৩ বছর চাকরি করেছিল, সেই সময় ওখানেই ছিল। ঐ চাকরির জন্যেই শুরুতে আমাকে পার্সোনাল ট্রেডিং বন্ধ করে দিতে হয়, করা যেত কিন্তু সব নথিপত্র স্টেটস্ট্রিট-কে পাঠাতে হবে - কাগজপত্রের ঝামেলা।

    যাই হোক, এই স্পেকুলেশন গেমে - খুব বড় হলে সুবিধে হয়।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:২১700631
  • ঠিক ঠিক, আমার ভুল হয়েছে। AAA রেটিং এর সঙ্গে কিছু নেই।
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:২৪700632
  • আকা,
    একদম, রেটিং এজেন্সি চূড়ান্ত ইয়ে।
    বিগ শর্ট সিনেমাতে একটা সিন আছে - স্টিভ ক্যারেল আর এজেন্সির (মুডি ছিল বোধহয়) এক মহিলা । যাচ্ছেতাই।
  • aka | 34.96.82.109 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:২৫700633
  • টপ ৬০% মানে? টপ কথাটার মানে কি?
  • lcm | 83.162.22.190 | ১২ জুন ২০১৬ ১৩:২৬700635
  • স্যান দিয়েগো তো বেড়েওছিল খুব, বেশি ফল তো করবেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন