এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মায়ের কর্তব্য ভিন্ন কিছু নাই

    Yashodhara Raychaudhuri লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৬৮২১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ekak | 53.224.129.40 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩১722613
  • বাতিল তো করা হয়নি । শুধু বলা হয়েছেঃ গৃহশ্রম যদি শ্রম ই হবে এবং তাতে প্যাশন থাকবে তাহলে তার দর্শগ্রাহ্য বহিঃপ্রকাশ কী ? সেখানেই ক্রিয়েটিভটির প্রশ্ন এসেছে । এখানে "উন্নয়ন ফুন্নয়ন " এনে গুলিয়ে দিয়ে লাভ নেই :)

    আমি যদি আমার মেক এসে বলতুম অমুকের মা তোমার চে বেটার আলুপোস্ত রাঁধেন তাহলে তিনি বলতেন , নো প্রব্লেম এবার থেকে ওকেই মা বোলো । ফ্রম দ্যাট ডে দিস ২ ক্লিয়ার টু মেয়ে যে সন্তানের জন্যে আলুপোস্ত রান্না করা কোনো শ্রম নয় । এটা কো হ্যাবিটেশন কন্ট্রাক্ট । কিন্তু শ্রম নয় । কাজেই এখানে অন্য সঙ্গে তুলনা চলবে না । "কমন ইয়ার্ডসটিক " তো দূরের কথা কোনো ইয়ার্ডসটিক ই রাখা যাবে না । ব্যাস ।

    কাজেই এটা "কমন " নয় এই কারণেই যে এটা আদৌ শ্রম নয় । তুলনা তো তার পরে আসবে । কোনো তুলনায় এলাউড নয় । সো বাতিল করার দরকার ই আসছেনা কারণ পরিমাপের প্রশ্ন ও উঠছেনা ।

    দৃষ্টিকোণ ফ্রিস্টাইকন এক্ষেত্রে আসেই না :)
  • π | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৪৩722614
  • ইদনীং কিছু ডাক্তারের সাথে কথা হল। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্থকরী ব্যাপারও আছে। মানে ডাক্তারদের ততটা না, কিন্তু তাঁদের সুযোদ দেবার সুবাদে কিছু সাংবাদিক নাকি প্রচুর সুযোগ সুবিধে পেয়ে থাকেন। মোটামুটি একটা অলিখিত মাফিয়া রাজও চলে নাকি। অনেক ডাক্তারই কিছু লেখেন না, কারণ তাহলে সাংবাদিকেরা চটে গেলে পিছনে লেগে এমন রিপোর্টিং করে দেবেন যে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাবে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তো ফাঁসানো এমনিতেও খুব সহজ।
  • Arpan | 100.215.227.82 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫১722615
  • আরে ওটা শীর্ষেন্দু না, স্মরণজিৎ।

    সেই শিবের গীত।
  • cm | 127.247.97.18 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৫৫722616
  • বাকি শ্রমের দর্শনগ্রাহ্য বহিঃপ্রকাশ যা এখানেও তাই। আলুপোস্তই এই শ্রমের মুখ্য উৎপাদন নয়।

    আমি শ্রম মাপা দূরের কথা তাদের ক্যাটেগোরিতে ভাঙ্গার বিরোধী। মাপা মানেই তাকে খোপে ফেলা যাবে।
  • Ekak | 53.224.129.42 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০২722617
  • ওকে , তাহলে তো শোষণ বলেও কিছু নেই । যাও সবে নিজ নিজ কাজে :)

    আসলে ক্যাপিটালিজম ও একই কথা বলে যে শ্রমদাতা আর উপভোক্তা মিলে ঠিক করবে কোনটা শ্রম তার কী মূল্য আর কী বা শোষণ । সেখানে থার্ড পার্টি -রাষ্ট্র -শ্রমিক ইউনিয়ন -ভাতা বৃদ্ধই এসব আসে কোত্থেকে ?

    বড়োই প্রীত হলুম আপনিও একই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন দেখে ।
  • cm | 127.247.97.18 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০৬722618
  • ক্যাপিটালিজমেও শ্রমের মূল্যায়ন নাই বুঝি! আমি কাউকেই ক্যাটেগোরাইজ করার অধিকার দিচ্ছিনা। উপভোক্তাকেও নয়। সামগ্রিক উৎপাদন ভাগ করে নেওয়া হচ্ছে। সংখ্যা মাপতেই হিমশিম দশা এসবের মাপ ওভাবে অসম্ভব।
  • Ekak | 53.224.129.42 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:০৮722619
  • না লিবারটেরিয়ান ক্যাপিটালিজম এ অভাবে শ্রমের মূল্যায়ন নেই :) শরিক ও উপভোক্তা শেষ কথা । কোনো সেন্ট্রাল বডি নেই । আর উৎপাদন ভাগ করাও অসম্ভব কারণ যেহেতু শ্রমের কোয়ান্টাইজেশন সম্ভব না কাজেই তাকে থার্ড পার্টির পক্ষে ভাগ করাও সম্ভব না শুধু না রীতিমতো অনৈতিক !

    কী আনন্দ হচ্ছে আপনাকে দলে পেয়ে :):)
  • h | 212.142.75.223 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪০722620
  • এবাবা অভি আমাকে পোষা বল্লো কিন্তু ছাপোষা বল্লো না ঃ-))))
  • h | 212.142.75.223 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৪৬722621
  • এ বাবা অভি আমায় পোসা বল্লো কিন্তু ছা পোসা বল্লো না ;-)
  • cm | 127.247.97.18 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:০৬721927
  • শ্রমের কোয়ান্টিফিকেশনের সাথে উৎপাদন ভাগের সম্পর্ক কোথায়? কোন থার্ড পার্টি নেই সবাই মিলে এক পার্টি তৃণমূল।
  • ranjan roy | 132.176.185.252 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:০৮721928
  • কুমড়োর প্যাশনেট আর্গুমেন্ট পড়লাম (অন এ সিরিয়াস মোড)ঃ

    কুমড়োর বক্তব্যের যে অংশটুকুর সাথে আমি একমত, সেটা হল এইটে টিঁকে থাকার পেছনে এই মেয়ে/মা'দের বেশ অবদান আছে। এঁরা 'ভাল মেয়ে/ভাল মা' এই স্ট্যাম্পের জন্য সমানে সহ্য করে যান। ফল হয় অফেন্ডাররা মাথায় চড়ে বসে।
    --- এই জায়গাটায় কুমড়ো ও দ'য়ের সঙ্গে একমত।

    একক বলছেন-- ফিউডাল পিতৃতন্ত্রের চেয়ে লিব্যারালদের পারিবারিক শোষণ বেশি ভয়ংকর,, বা এমনি কিছু। একমত।
    যশোধরা এই সেকেন্ড ভ্যারাইটির দিকেই আঙুল তুলেছেন। যাদের সঙ্গত ভাবেই কুমড়ো বলছেন সম্পন্ন সুবিধাভোগী ও মাইনরিটি।
    এটা সেই রবীন্দ্রনাথের কথা মনে পরায়। একদল বাঁধে কিন্তু ভোলায় না ( ফিউডাল ডমিনেশন), আরেকদল ভোলায় এবং বাঁধে (লিব্যারাল ডমিনেশন)।
    এখন কুমড়ো তুলেছেন গরীবদের কথা, খেটে খাওয়া মানুষদের কথা।
    আমার কাছ থেকে দেখা কাজের মাসিদের কথাই বলি।
    ছত্তিশগড়ে তিনজন (দুই হিন্দু, এক মুসলিম)। কোলকাতায় তিন মুসলিম, দুই হিন্দু। দিল্লিতে তিন হিন্দু (একজন বাঙালী)।
    ভাষা, ধর্ম, রিজিওন কত আলাদা--কিন্তু গল্প একই।
    সবারই স্বামীরা হয় রিকশা চালান, অটো চালান, রাজমিস্ত্রি বা রং এর মিস্ত্রি। দিল্লির একজনের স্বামী ঝারখন্ডে চাষ করেন।
    এরা প্রত্যেকে নিয়মিত বৌকে পেটান। রাজারহাটের মুসলিম মেয়েটির শরীরে কালসিটে! সবাই নিয়মিত মদ খান, অনেক সময়েই কাজে না গিয়ে বৌয়ের হাত মুচড়ে পয়সা নিয়ে নেন। সবাই তারপরও বৌকে খিস্তি করে বলেন-- এই পয়সা তুই কোত্থেকে কিভাবে এনেছিস, সব জানি।
    বাচ্চাদের সামনে বৌকে পেটানো ও বৌয়ের সামনে বাচ্চাদের পেটানো বেশ কমন। দিল্লির হিন্দিভাষী মেয়েটি এখানে কাজ করে বাচ্চাদের স্কুলে পড়াচ্ছে। তারপর প্রতিমাসে ঝারখন্ডে স্বামীকে টাকা পাঠাচ্ছে। তারপরও ফোনে দুটো ভাল কথা ( ঝুটা হী সহী ) শোনার বদলে অশ্রাব্য গালাগাল। মেয়েটি স্বামীর কল্যাণ কামনায় নিয়মিত ব্রত করে, উপোস করে। বিশ্বাস করে এই ভাবে কোন একদিন স্বামীর মন ফিরবে। একদিন ওদের নিতে আসবে, বাচ্চাদের জন্যে কাপড়জামা আনবে। মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করবে।
    ব্যতিক্রম দুজন।
    ছত্তিশগড়ের এক মহিলা স্বামীকে ছেড়ে মাকে নিয়ে থাকে। সদা হাসিমুখ। রায়পুরে একটি পাড়ায় কাজের মাসিদের ইনফর্ম্যাল ইউনিয়নের ওই লিডার! নেগোসিয়েশন ও করায়!!
    নরেন্দ্রপুরের মুসলিম মহিলাটি। ব্যাংকে নিয়মিত পয়সা জমায়। সেখান থেকে লোন নিয়ে স্বামীকে অটো কিনে দিয়েছিল। স্বামী একদিন জুয়োয় হেরে অটো দান করে বাড়িতে ফিরে এল। ও থানা-পুলিশ ঝগড়া করে গাড়ি উদ্ধার করল। সংসারের দায়িত্ব ওর কাঁধে। বুঝে গেছে স্বামীর থেকে আপাতত ঃ কোন আশা নেই। একটিই মেয়ে (মুসলিমদের নাকি অনেকগুলো হয়!)। তাকে গ্র্যাজুয়েট করেছে। মেয়েটি একটি এম এ ফাইনাল ইয়ারের সঙ্গে প্রেমে পড়েছে। এই উদ্যোগী হয়ে বিয়ে দিল। বলল--এম অ পড়ছে। এরা কিছু না কিছু ঠিক করে নেবে।
    ওকে জিগ্যেস করেছিলাম-- কোরানে তো দেখলাম চার চারটে বিয়ে তো কম্পালসারি নয়। তাও তোমরা --?
    -- কাকু, কেন এসব নিয়ে মাথা খারাপ করছেন? আজকের এই বাজারে একটা বউ আর একটি সন্তান নিয়েই সংসার চালানো কত কঠিন!
  • h | 212.142.75.223 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:১০721929
  • Name: দ

    (IP Address : 116.221.137.3 (*) Date:25 Sep 2016 -- 09:38 AM)

    "আবার ক্ল্যাসিকাল মার্ক্সবাদীরা জেন্ডারকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করে ক্লাসকেই একমাত্র বিচার্য্য বিষয় ভাবেন।"
    "আমার যেমন কবিতা কৃষ্ণানের চেয়ে কমলা ভাসিন অনেক বেশী পছন্দের।"

    তোমার 'ক্লাসিকাল' ব্যাপারটা কে ঠিক করে দিল ঃ-))) পুরোনো হলে যদি ক্লাসিকাল হয় তাইলে তো রোজা লুকসেমবার্গ / জেনি মার্ক্স ক্লাসিকাল হয় ঃ-) বিষয়্টা হল সময়। আজকে যে ভাষায় ফেমিনিজম লেখা হচ্ছে, বেগম রোকেয়ার সময়ে সে ভাষায় হবে না সেটাই স্বাভাবিক। আর আরেকটা কথা, কবিতা কৃষ্ণান কে ধরে ঠিক ক্লাসিকাল বিচার কোরো না, এর পরে বলবে এই তো মার্ক্সবাদী তাত্ত্বিক শ্রী হনু বলছিলেন, বলে গাল দেবে, তাইলে তত্ত্ব পড়া থেকে বাঁচলে ঠিক ই, কিন্তু ছুঁচো মেরে হাত গন্ধ হল একটু।

    আমার মূল বক্তব্য প্রথম থেকে একটাই ছিল, তো ভেটেরান অ্যাক্টিভ ভাটুরে দের সেটা বুঝিয়ে দিতে হচ্ছে সেটা দুঃখের। যশোধরা, কেন এই অ্যানেকডোটাল টেকনিক টা, যে ম্যানেজমেন্ট ক্লাসের সিচুয়েশন অ্যানালিসিসে ব্যবহার করা হয়, বা পুরোনো আমলের সাহিত্য তর্কে মরাল পজিশন নেওয়ার সময়ে ব্যবহার করা হয়, তার আকর হিসেবে এই লেখার এই ফর্ম কে বেছেছেন কেন, পার্টিকুলারলি যে খানে একটা অবজেক্টিভ প্রবন্ধ নামানো ওঁর কাছে কোন ব্যাপার হওয়া উচিত নয়, তো ফেবল এর সাহায্য কেন নিচ্ছেন। ধরে নিচ্ছি, দুটো সমস্যা, একটা হল মজার সমস্যা, যে ইপসিতার মত ওনার মেনস্ট্রীমকে অ্যাড্রেস করতে হবে গোছের ভুত চেপেছে। আরেকটা সমস্যা হল, খানিকটা কম ইয়ার্কির, সেটা হল, ওয়ার্কশপ এর আলোচনা কে গদ্য ফর্মে লেখা যায় কিনা সেটা দেখতে গিয়ে। তো আমি এই দুটা কেই কোচ্চেন করছিলাম। কারণ এতে করে সমস্যা যেটা হয়, সেটা কুমড়োর ক্ষেত্রে হছিলো, সেটা হল অ্যানেকডোট এক্সচেঞ্জের সমস্যা, একটা ট্রেডিং বা নিলেম ডাকার মত, আমি তো অন্য কিসু দেখেছি বা করেছি, এবং ধরে নেওয়ার সমস্য(সেটা অবশ্য কুমড়োর হয় নি) এটা যশোধরার ব্যক্তিগত জীবনের কথা কিনা সেটা অযথা গুরুত্ত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা, এবং এই 'সেট' নামক বস্তুটাকে নিয়ে অযথা কন্ডূয়ন।

    সমস্যা একটা আছে, এটা কে ফেমিনা তে লেখা যাবে না, কারণ লেখাটা বাংলা। এটা সানন্দায় লেখা যেতে পারে, তবে, তাতে হয়তো আয়াদের বক্তব্য কখন কি থাকে সেটা বলা মুশকিল, অতএব সেল্ফ পাবলিকেশনস ব্লগম-গতি। এটা একটা জেনুইন সমস্যা। এটা অনেকের ই অনেক সময়েই হয়। কিন্তু আমার বক্তব্য ছিল এই ওয়ার্কশপ স্টোরি ফর্মাটের সমস্যা হল, সেটা ইন্স্ট্যান্ট বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করছে না, দুটো পার্টিসিপান্টের মধ্যে, যেটা ওয়ার্কশপে সহজে, পাঁয়তাড়া ছাড়াই ঝট করে হয়ে যেতেই পারে, কনভারসেশনে। অতএব আমার বক্তব্য ছিল লিখিত ফর্মাটে আনতে গেলে তাকে একটা পুরোনো অবজেকটিভ প্রবন্ধদের চেহারা দিতে হবে, নইলে এই অভিজ্ঞতা ট্রেডিং বন্ধ হওয়া মুশকিল।

    আরেকটা দিক লেখাটা হয়তো বিতর্ক উশকানোর জন্যই এমন ভাবে লেখা, যে ক্লাস একসক্লুসিভিটির অভিযোগ আসতৈ। যেটা কুমড়ো এড়াতে পারে নি, কিন্তু সেটাকেই ইপসিতা কে কষ্ট করে বর্মা থেকে বসে টাইপ করে ডিফেন্ড করতে হয়েছে ;-))))), গ্রামের/সমাজের নিচের তলার মহিলা দের যে জেন্ডার ডিসক্রিমিনেশন এক ই ভাবে, ভালো মা হওয়ার চাপ থাকে সেটা নিয়ে বলতে হয়েছে।

    তো ইত্যাদি। আমার মনে হছিলো,যশোধরা ক্লিয়ারলি প্রবন্ধ ফর্ম টা অ্যাভয়েড করাতেই এই ক্যাচাল হয়েছে। তো কেন অ্যাভয়েড করেছেন বুঝতে চাইছিলাম, আর শুধু 'সেট' এর আলোচনা না করে, একট অবজেকটিভিটি আনতে চাইছিলাম, 'নির্মান' প্রসঙ্গে মতাদর্শ এসে যাওয়াতে একটু মজা করছিলাম ঃ-))) সঙ্ক্ষিপ্ত ওআয়িজক্র্যাকিং ফর্ম টা ধরেই, শুধুই এক্ষপিরিয়েন্স ট্রেড না করে জেনেরালিটির দিকে যাওয়া যাছিলাম। যাকে বলে মেনস্ট্রীম এর উপকার ই কছিলাম, এমন সময়ে তুমি খেয়াল না করে খচে গেলে, আর ডিসি ব্যাটা মজা পেয়ে কেটে গেল ;-)
  • h | 212.142.75.223 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:১২721930
  • ***যাওয়া যায় কিনা দেখছিলাম।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:১৪721931
  • যারা যারা ভেবেছেন যে আমি রেগে গিয়ে কিছু লিখেছি কালকে তাদের জানিয়ে দিচ্ছি যে পুরো ঠান্ডা মাথাতেই লেখা পুরোটা। "রেগে" গেছি বললে বক্তব্যের গুরুত্ব কমিয়ে দেওয়া যায়, উঁহু সেটি হচ্ছে না।

    এবার জানতুম যে ক্রমশ জিনিসটা গৃহশ্রমের মূল্য দেওয়ার লাইনে খেলা হবে। আমার বক্তব্য হচ্ছে যে, গৃহশ্রম প্রোফেশন(?)টা যেহেতু মেয়েদের একচেটিয়া, ওটাকে মূল্য দিলে আরোই ঐদিকে ঠেলে দেওয়া হবে তাদের। তার চেয়ে মেয়েরা নিজেরা বাইরে গিয়ে খেটে খুটে রোজগার করুক না। খেটে আয় করে সেই পয়সা খরচ করে খেতে শিখুক। যেকোনো প্রোফেশন (বোল্ড অ্যান্ড আন্ডারলাইন্ড) ঘরে বসে অন্যের উপার্জনে খাবার থেকে সম্মানজনক বলে আমি মনে করি।
  • | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:২০721932
  • আমি 'খচে' গেলাম এইটা তোমাকে কে বলল? যে বলেছে তাকে বলে দাও ভুল বলেছে।

    আর মেইনস্ট্রীমকে অ্যাড্রেস করার দরকার নেই বলছ? নিজের স্ট্যান্ড নিতে না পারারাই তো মেইনস্ট্রীম হে। তাদের অ্যাড্রেস করা তো খুবই জরুরী মনে হয় আমার কাছে।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:২২721934
  • রঞ্জনদা এখুনি যে উদাহরণগুলো দিলেন সেগুলো বরাবর রয়েছে সমাজে। যে মহিলারা প্যাঁদানি খেয়েও সংসার করে যাচ্ছে স্বামীর সঙ্গে, তাদের সাহস নেই সম্পর্ক ছিন্ন করবার। অসুস্থ সম্পর্ক টিঁকিয়ে রাখার চেয়ে ছেড়ে যাওয়া অনেক ভাল। যেসব ক্ষেত্রে ছেড়ে চলে গেলেই সম্পর্ক শেষ, সেখানে ছেড়ে দাও। যেখানে ডিভোর্স দরকর, সেখানে সেটাই মুক্তির উপায়। এরকমই তো লিখলাম কালকে। একটা ভুল লোককে বিয়ে করে পুরো লাইফটা নষ্ট করবার কোনো মানে হয়? তা সে গরীব হোক কি বড়লোক।
  • ranjan roy | 132.176.185.252 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:২২721933
  • সংযোজনঃ
    দিল্লির মেয়েটিকে শাশুড়ি বলেছিলেন বংশরক্ষার খাতিরে তাড়াতাড়ি ম হতে; হল মেয়ে। পরে ছেলেও। তখন আবার শুধু একফসলি চাষে এতগুলো পেট? তুমি খেটে খাও গে বাছা।
    খানিকটা অমিতাভ-হেমার ফিল্মি করওয়া চৌথ ব্রতের মত এখানেও স্বামী ঝারখন্ডের গাঁয়ের বাড়িতে আর দিল্লিতে বৌ উপোস করে মরছে।
    মার্ক্সের ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রলেতারিয়েতের জায়গায় এদেশের গরীবরা অনেক অনেক শেকলে জড়িয়ে আছে।
  • ranjan roy | 132.176.185.252 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৩০721936
  • এটা আমাদের ভ্যালুজ! আমাদের লিবার‌্যালদের কনসেপ্ট।
    ওদের বোঝানো কঠিন। কারণ আমরা বাইরের লোক। ওদের কম্যুনিটি ওদের সমাজ এমন একরোখা মেয়েকে সহ্য করতে পারে না।
    কাল দিল্লির ওয়ার্কিং মধ্যবিত্ত মডার্ণ মেয়েদের নিয়ে তৈরি অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরির "পিংক" সিনেমা দেখলাম।
    মেইনস্ট্রিমেও এই সমস্যা। কারণ দিল্লি হরিয়ানায় সম্পন্ন উচ্চশিক্ষিত পুরুষেরা মেয়েদের অবজেক্ট হিসেবেই দেখে। জামার মাপ, মদ খাওয়া দেখলেই ওদের সহজলভ্য কোশ্চেনেবল ক্যারেকটার ধরে নেয়। পুলিশ কোর্ট ক্ষমতার সঙ্গে দাঁড়ায়। কঠিন হয় বেঁচে থাকা, টিকে থাকা।
    আর ক্লাস? ক্লাস স্ট্রাগল? মেয়েরা একই অর্থনৈতিক ক্লাসের মধ্যে ডাবলি এক্সপ্লয়েটেড। শ্রমিক বলে একবার কাজের ক্ষেত্রে, মহিলা বলে একবার ঘরের পরিবারের মধ্যে। দলিতদেরও একই অব্স্থা। তাই মেয়েদের দ্বিতীয় জন্ম হয় না। পৈতে হয় না।
  • আ মোলো | 195.100.87.82 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৩০721935
  • কোন মহিলা কবে ঠিক লোককে বিয়ে করলেন আজ অবধি ?
  • ranjan roy | 132.176.185.252 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৩১721938
  • @, আ মোলো!
    উই আর অল স্ট্রেঞ্জ বেডফেলোজ! ঃ))
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:১৩721939
  • পৈতে ফৈতে বাদ দিন। ওগুলো ব্রাহ্মন ছেলেদের হয় কেবল। তারা ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ মাত্র টোটাল পপুলেশনের নিরিখে। তাও বহু পরিবার আছে যারা পৈতে দেয় না আজকাল।
    এবার ডাবলি এক্লপ্লয়েটেড বলতে যেটা বলছেন সেটা এক বাইরের সমাজে, দুই ঘরের মধ্যে। একটা অন্যটার সঙ্গে জড়িয়ে গেছে। সেটা বুঝতে পারি নিজে মেয়ে বলেই। তার জন্য তো লড়তে হবে। লড়তে হলে ব্যথা লাগবে, আহত হতে হবে। মানসিকভাবে এবং দৈহিকভাবে। সেটা তো না লড়লেও হতে হচ্ছে। কম্প্রোমাইজ করে যে জীবনটা আমরা পাচ্ছি, তাতে অসম্মান নেই? তাতে মানসিক আঘাত নেই? সেটা ফিল করতে চাইনা বলে, নিজেদের ভুলিয়ে রাখছি আমরা। দেখুন, জন্মের পর থেকেই যতটা না আমাদের হাতে ধরে বা বলে কয়ে শেখানো হচ্ছে, তার চেয়েও বেশি আমরা পারিপার্শিক থেকে দেখে বুঝে নিচ্ছি। সেটা এমনভাবে মনের মধ্যে গেঁথে গিয়ে মূল্যবোধ তৈরী করে দেয় যে, সেটার থেকে বেরিয়ে আসতে বইয়ের পড়া কি লোকের বোঝানো যুক্তি কম পড়ে যায়।
    আমি নিজে একটা রিজিনেবল সময় অবধি ঐরকমই ছিলাম। মেয়েদের "চরিত্র" বিষয়ে অত্যন্ত সংরক্ষণশীল, খোলামালা পোশাক পরা মেয়েদের ব্যাপারে বিরূপ মনোভাবাপন্ন। পরিস্থিতি ও পরিবেশ আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখালো। সেই ট্রানজিশন ফেজ একদম সহজ ছিলো না। ক্রমাগত লজিক ও কাউন্টার লজিকের টানাপোড়েনে বিদ্ধস্ত হয়েছি সেই ফেজে। মূল্যবোধের পরিবর্তন একদিনে হয় নি। তারপরে বুঝতে পারলাম যে কোনটা বেছে নেব এবং কেন বেছে নেব। যেই জীবনটা আপাত দৃষ্টিতে সহজ ও নিরাপদ মনে হচ্ছে, সেটা আদতে সহজ নয়, নিরাপদও নয়। সবার আগে ঘরের মধ্যে যে সমস্যাটা আছে সেটা অ্যাড্রেস করা যায়। ঘরের বাইরেও অসংখ্য সমস্যা আছে। যেমন মনে করুন চাকরির ক্ষেত্রে। সবাই তো মোটা বেতনের চাকরি পাচ্ছি না। মেয়েদের স্যালারী বনাম ছেলেদের স্যালারী, (একই কাজের জন্য) এর মধ্যে বড়ো একটা ব্যবধান থাকে। বিদেশে খুব বেশি করে। আরো অনেক জটিল ফ্যাক্টরও জড়িত। সেসব একদিনে নালিফায়েড হবার সম্ভাবনাও নেই।
    দিল্লি হরিয়ানা ইত্যাদি জায়গায় ১৯৮৫ সাল থেকে টানা দশ বছর যাতায়াত করেছি, পরে আবার কিছু সময় থেকেছি, কাজ করেছি। ঐসব অঞ্চলের ছেলেদের এবং মেয়েদের সঙ্গে টানা দশবছর খুব কাছ থেকে মিশেছি। ওসবদিকের ছেলেরা যেমন মেয়েদের অবজেক্ট হিসেবে দেখে সেটা সত্য, তেমনি ওসবদিকের মেয়েরাও নিজেদের কখনো ছেলেদের সমান হিসেবে ভাবতে শেখেনি। প্রভুর জাত হিসেবে দেখতে অভ্যস্থ। ভয় পায়। একা বাঁচতেও শেখেনা মেয়েরা। কিন্তু ছেলেগুলো একা বাঁচতে জানে। তারা একটা কমোডিটির মতো দেখে মেয়েদের (হয়তো সকলে নয়, এটা পোলিটিক্যালি কারেক্ট হবার জন্য লিখলাম)। একটা বাড়ি, একটা গাড়ি, কিছু জামাকাপড়, একটা বউ, একটা ফ্রিজ, একটা টিভি, এইরকম। রুড শোনাচ্ছে, কিন্তু ব্যাপারটা এইরকমই। মেয়েদের ক্ষেত্রে তার স্বামী তার রক্ষাকর্তা। প্রোটেক্ট করবে অন্য পুরুষদের থেকে। নইলে অন্যরা তাকে ছিঁড়ে খুঁড়ে খাবে। তাই একজনের হয়ে যাও, তাকে দেহ দাও, শ্রম দাও, "তার" সন্তান গর্ভে ধারণ করো, দেন ইউ আর সেফ। সে তোমাকে ভালোওবাসতে পারে, অসম্মানও করতে পারে, আদরও করতে পারে, মারধোরও করতে পারে, তবে তুমি যদি মন দিয়ে সংসারটা করো, গৃহকর্তাকে সুখী ও খুশি রাখতে পারো, তবে তোমার লাইফটা নিরবচ্ছিন্ন নিরুপদ্রব থাকবে বলেই ধরে নিতে পারো।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৪:২৭721940
  • নির্ভয়া কাণ্ড মনে আছে?
    বেসিক্যালি সন্ধের পর শিকার করতে বেরিয়েছিল তারা। মৃগয়া। হরিণ নয়, মেয়ে শিকার। একা কোনো মেয়ের পক্ষে রাতের বেলায় বেরোনো সেফ নয় বলে। দলে দলে মেয়েরা যদি বেরোয়, তখন কে আটকাবে? ৯৯ শতাংশ মেয়ে বেরোয়নি অত রাতে। ভয় পেয়ে। যদি সকলের লেট নাইট বেরোনোর অভ্যাস থাকত, হয়ত এইরকম মৃগয়া/শিকার করতে বেরোনোদের "সাহস" হতো না। "ভালো মেয়েরা" রাত বাড়ার আগেই নিরাপদ আস্তানায় ঢুকে গেছল। যারা তখনো বাইরে ছিল, তাদের সেফটির গ্যারান্টি সমাজ দিতে পারছে না। রেপ হয়ে গেলে কি মার্ডার হয়ে গেলে, তখন কেস হতে পারে, কিন্তু তার আগে অবধি সেফটির গ্যারান্টি সমাজ দেবে না। যারা মোমবাতি মিছিল করেছে কি নানারকম প্রোটেস্ট করেছে, তারা এরকমটা করতে পারতনা যে লেট নাইটে প্রচুর প্রচুর মেয়ে রাস্তায় বেরিয়ে পড়বে? প্রচলিত নর্মটাকে ভেঙে দিতে? বলবে, এনাফ ইজ এনাফ, এবার থেকে আমরা রাতের বেলায় নির্ভয়ে বাইরে বেরোবো, কী করবি করে নে।
  • kc | 204.126.37.130 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:১৫721941
  • সুকুমারী ভট্টাচার্য র একটা প্রবন্ধের বই আছে, 'দাম্পত্যের স্বরূপ' নাম। এই টইটা ওই বইটার তিন চারটে প্রবন্ধের উপর গোলগোল ঘুরেই চলেছে।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৫:৪৭721942
  • কচ,
    যদি সম্ভব হয় ঐ বইটা কোনোভাবে আমাকে পাঠান যায় কি? পড়তে চাই।
    এই টইয়ে কিন্তু আলোচনা দাম্পত্যের বাইরেও বেশ কিছুটা ছিটকে বেরিয়ে এসেছে বলে মনে হয়। যেমন দিল্লিহরিয়ানা এলাকার জীবন বা নির্ভয়া। সেগুলোকে দয়া করে দাম্পত্যের পিনকোডে ঢোকাবেন না। সুকুমারী ভট্টাচার্যের বইয়ে এই সমস্ত স্বরূপ থেকে বেরোনোর কোনো পথ বলা ছিলো কি? থাকলে একটু কোট করুন প্লীজ। জানতে চাই লেখক এই লাইনে কী ধরণের সমাধানের পথ ভেবেছেন।
  • kc | 204.126.37.130 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:১১721943
  • সেন্ট।

    সুকুমারী ভট্টাচার্যকে কোট করা আমার কম্ম নয়। তবে উনি যে সমাধানের পথ ভেবেছেন, সেটা আমার প্রাচীনপন্থী বস্তাপচা টাইপ লেগেছে। তবে মানুষের মন, কে জানে কাল হয়ত ওই সমাধানই পসন্দ হয়ে যাবে!!
  • cm | 127.247.97.18 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৯721944
  • সমাধানের জন্য বড়ই কৌতুহল অনুভব করছি। এই টই এ নির্ভয়া কেন এল সেটা বোঝা গেলনা। অবশ্য সব যে বুঝতেই হবে তেমন কিছু নয়।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:০৪721945
  • কচ,
    হ্যাঁ, পড়লাম।
  • Yashodhara Raychaudhuri | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:২২721946
  • কথা অনেক গড়িয়ে গেছে। অনেক দিকে। আর, কিছুটা রিপিটিটিভ হয়েও যাচ্ছে। তবু কয়েকটা কথা বলি।

    এক, লেখাটার শৈলী নিয়ে। এটার ধরণ অবজেক্টিভ প্রবন্ধ নিবন্ধের ধরণ নয়। কেন? কেননা, প্রবন্ধ নিবন্ধ লিখতে গেলেই "অ্যাভারেজ" ভারতীয় মেয়েদের কথাই উঠে আসত। এবং গ্রাউন্ডেড প্রবন্ধে "তথাকথিত উচ্চবিত্ত" মেয়েদের -ও যে এই এই নির্মাণের বিষয়ীভূত হতে হয় সেটা আর লেখা হত না। দরিদ্র অতিদরিদ্র দের গল্পগুলো অনেক বেশি রগরগে এবং সেগুলোর বিষয়ে স্ট্যাটিস্টিক্স ও অনেক বেশি সংখ্যায় সুপ্রতুল।
    কাজেই এ লেখার উদ্দেশ্য সেটা নয়। উদ্দেশ্য একটা আপাত সাবজেক্টিভ টেক্সট তৈরি করা। সেটা আমার গল্প হতে পারে, আমার মাসতুতো বোনের ও হতে পারে। এভাবেই লিখতে চেয়েছি এভাবেই লিখে নিজের কথাগুলো বলার আরাম পেয়েছি, সেটা আমার চয়েস।
    দুই , লেখাটার ভাষা নিয়ে। রাগি কটকটে, ভীষণ র‍্যাডিকাল কথা লিখতেই পারা যায়। সে লাইনে একদা খেলেছি , ছোট্ট বেলায়। কিন্তু ভাষাটা ন্যাকা লাগার কারণ বোধ হয় স্বেচ্ছায় রাগি কটকটে সরিয়ে , আম পাঠকের লসাগু গসাগু কষেই এর ভাষাকে যথেষ্ট নরম রাখা। কেননা আমার কথাটা গরিষ্ঠ সাধারণ পাঠকের কাছেই আমি পৌঁছতে চাই। নইলে লিখে পেপার ছাপানো যায়, সভাসমিতি কাঁপানো যায়।
    ন্যাকা লাগার আর একটা সম্ভাব্য কারোন বোধ হয়, অ্যাপারেন্টলি এই লেখার যে মেয়ে সে কিছুটা প্যাসিভ, যেন সবই তাকে করা হচ্ছে, তাকে বলা হচ্ছে, সে কিছুই বলছে না। সবই গিভেন, সে নিজে অ্যাকটিভ নয়। এটা ডেটাবেস এর মত করে লেখা। উলটো ডেটাবেসটা যে কেউ লিখতেই পারেন। আমারো না পসন্দ তথাকথিত নারীবাদীদের "ওরা আমাকে এই এই করল, দ্যাখো না... " বলে প্যানরপ্যানর করা। যেটা আমি তসলিমা বা মল্লিকার লেখায় পাই। কিন্তু এই লেখাটায় এই অংশে অন্তত গিভেন ডেটাবেসটা লিখতে গেলেই ওই ব্যাপারটা উঠে আসবে।
    উল্টোদিকে আমার এক অতি প্রফেশনাল বান্ধবীকে আমিই যে বলেছিলাম জানো তো আমার মেয়ে সোস্যাল স্টাডিজ এ এবার ডি পেয়েছে, আর তার মুখ ঝুলে গেছিল, কারণ আগের দিন অব্দি সে তার মেয়ের এ পাওয়ার গল্পই আমাকে করত, এবং এটা শোনার পর তার একটা পরিষ্কার ভাবান্তর আমি লক্ষ্য করেছিলাম... এই সব গল্পগুলো না হয় অন্য কোন আলোচনার জন্য তোলা থাকে। আমি আমার ব্যক্তিগত জীবনে হ্যান করিয়াছি ত্যান করিয়াছি বলার জন্য এই লেখাটা ছিল না।
    তিন, আমার লেখায় যারা কাভারড নয়, সেইরকম একাধিক নিম্নবিত্ত মা -এর সঙ্গে উঠিবসি আমি। তারা সারাক্ষণ সর্বদা চিন্তিত থাকে ছেলে বা মেয়েকে নিয়ে, সারাজীবনের সব টাকা রোজগার ছেলে বা মেয়ের কথা ভেবেই। তাদের অনেকের স্বামী হয় অক্ষম নয় উপার্জন বাড়িতে দেয় না। নিজের টাকায় ঘেঁষ ফেলে ঘর বানাচ্ছে, দেওয়াল তুলেছে আমার কাছেই টাকা ধার করে, এর পরের স্টেপ কিন্তু দেওয়ালে সিমেন্টের প্লাস্টার দেওয়া নয়, ইঁট গাঁথার পরই তাদের লাগে লোহার দরজা, অন্তত দুটো... একটা ঘরের, একটা বাথরুমের...আর লাগে জানালা দিতে...তারা বলে, তাদের অনবদ্য ভাষায়, দরজা জানালা না থাকলে তো ঘর হয়না, দিদি, লোক ঢুকে যাবে তো ঘরে... এই তাদের প্রায়োরিটি। আলু ভাতে খেয়ে যা রোজগার করে সব ছেলেমেয়েকে মানুষ করতে নিজের গ্রামে থাকা মা বা শাশুড়ির কাছে দেয়। বড় হলে এক্সপেক্ট করে উপার্জন করে ছেলে খাওয়াবে। আর মেয়েকে ভাল ঘরে বিয়ে দেবে। অনেক সময়েই বৃদ্ধ বয়সে শরীর পড়ে গেলে কেউ দেখে না তাদের।
    তাদের গল্প বড়ই আলাদা। কিন্তু মাতৃত্বের গল্পটা তাদের জীবনে যে একটা প্রায় বাঁচা মরার লড়াইয়ের মতই থাকে.. এটা নিয়ে বোধ হয় কোন সংশয় নেই।
    চতুর্থ কথা যেটা অ্যাড করব, তা হল, এই হালেই একটি বই পড়েছি, অস্মিতা রায়ের লেখা মুনিয়া জন্ম এবং... প্রকাশক কাগজের ঠোঙা। কিনে কিনে সবাইকে উপহার দিচ্ছি। বইটা এক স্কুল শিক্ষিকার বাঁকুড়া জেলা হাসপাতালে সন্তানজন্মের সময়ে এবং সন্তানের স্বাস্থ্যগত কিছু সমস্যা থাকার কারণে দীর্ঘ কালীন চিকিৎসার অভিজ্ঞতা নিয়ে লেখা। পাশাপাশি হ্যাভ নটস মায়েদের পুঙ্ক্ষাণুপুঙ্ক্ষ দলিল । এত ভাল ফার্স্ট হ্যান্ড লেখা, এত তাজা দপদপে দগদগে লেখা কমই পড়েছি। রক্ত পুঁজ গজ ব্যান্ডেজ ঝাঁটা ফিনাইল ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে আমাদের মা হয়ে ওঠার বিবরণ। যদি পারেন প্লিজ আপনারাও পড়বেন।
  • Yashodhara Raychaudhuri | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:২৮721947
  • এর পাশাপাশি আর একটা লেখা ও বোধ হয় দরকার, যাকে বলে, মাংগতা হ্যায়। সেটা হল, উচ্চবিত্ত নিম্নবিত্ত সব স্তরে, সন্তানহীনা মহিলাদের কী কী ফেস করতে হয়।
    সেটা নিয়েই সম্প্রতি বোধ হয় ফেসবুকেই একটা কারুর স্ট্যাটাস পড়েছিলাম।
    অনেস্ট কোন আত্মকথন জাতীয় লেখা যদি কেউ পান, সন্তানহীনা বিবাহিতা মহিলার, প্লিজ শেয়ার করবেন এখানে
  • avi | 113.24.86.157 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৮:৪৭721949
  • h 12:40 pm, ঃ))))))))))))))))))))))
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন