এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মায়ের কর্তব্য ভিন্ন কিছু নাই

    Yashodhara Raychaudhuri লেখকের গ্রাহক হোন
    অন্যান্য | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ | ৬৮৫২৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Yashodhara Raychaudhuri | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:১৬721925
  • মা। একজন কারুর স্ত্রী, একজন কারুর মেয়ে, একজন কারুর বোন। এবং মা। এইসব পরিচয় তৈরি হয় সমাজে। তারপর সারাজীবন সেই ছাপ্পা গুলো নিয়ে চলতেই হয়। সেটাই দস্তুর।

    হ্যাঁ মাতৃত্বের আনন্দ আছেই । আনন্দটুকুকে এতটুকুও খাটো করছিনা। অনন্ত সুখের পিন্ড আছে সন্তানে। কিন্তু তারপরেও থাকে অনেক প্রশ্ন, অনেক কথা।

    প্রথম যেদিন সে মাতৃত্বের রণডংকা বাজতে শুনেছিল, সেদিন ছিল তুমুল দুর্যোগের দিন। বিবাহিত জীবনের মোটে আট কি ন মাসের মাথায় সেই দিন।

    তার আগে সে তার বরকে, যৌন সঙ্গমের সময়েও , নানা বিধিনিষেধের মধ্যে রেখে, নিজের গর্ভাধান আটকানোর চেষ্টা করেছে। তার বরও কিছু কম শিক্ষিত পরিশীলিত নয়। সে নিজেও চাইত না বিয়ের পরের রাত্তিরেই বউকে প্রেগনেন্ট করার মত “নীচকর্ম” করতে। যেটা তার অনেক বন্ধু করেছে, এবং আড়ালে খিঁকখিঁক হেসেছে তারা , এরা সব ফার্স্ট নাইট কেস।

    শিক্ষিত স্বামী হবার নাতে, স্ত্রীর সঙ্গে বসে ক্যালেন্ডার দেখে সংসর্গ ঠিক করেছে। দু হাজারের দম্পতি তারা।

    বহু স্ত্রীর এই সৌভাগ্য হয়না সে জানে। সে দিক থেকে তার কোন আপশোস অভিযোগ নেই স্বামীর প্রতি।

    সেটা অন্য গল্প, যে তথাপি অ্যাক্সিডেন্ট ঘটিয়া থাকে, এবং ঘটিলে তাহা “ঈশ্বরের দান” হিসাবে মানিয়া লইতে হয়।

    অ্যাক্সিডেন্ট ঘটল এবং পিরিওড মিস হল। সে দেখল, মুহূর্তে পৃথিবীর রঙ পালটে পাটকিলে, ধোঁয়াটে এবং অসম্ভব ক্লান্তিকর হয়ে গেল তার কাছে। গুরুভার হয়ে উঠল জীবন।

    কিন্তু সে তো তার নিজের কাছে। অফিসে একটা নতুন অ্যাসাইনমেন্ট। সেটাতে দক্ষতা দেখাতে পারবে না , ভেবে বসের কাছে কুঁকড়ে যাওয়া। শরীরের নানা আশ্চর্য নতুনত্বের ঝড় , তাকে বহন করার জন্য দক্ষতা অর্জন। সব ছিল কার্যক্রমে। প্রথম তিনমাসের অসম্ভব গা গুলনো এবং আর যা যা হয়ে থাকে। সকালে ঘুম থেকে উঠে রান্নাঘর থেকে আসা এমনকি সাদা পটল আলুর ছেঁচকির সেই সম্বর দেবার গন্ধেও অন্নপ্রাশনের ভাত উঠে আসতে থাকছিল তার।

    এইসব পেরিয়ে সে দেখল, পুত্রার্থে ক্রিয়তে ভার্যার পুরাতন, আদিম, প্রাচীনতম খেলা শুরু। শ্বশুর এবং শাশুড়ি আনন্দে আটখানা। অন্য সবকিছু গোপনীয়তার চাদরে ঢাকা থাকলেও, সন্তানসম্ভাবনা একধরণের প্রোমোশন।

    ভয়ানক পরিশীলিত এবং বাঙালি ভদ্রলোকের এপিটোম তার শ্বশুরমশাই হঠাৎ বসবার ঘরে সবার সামনে আবেগ থরথর কন্ঠে প্রায় আবৃত্তির ঢঙে বলে ফেললেন, প্রথমে সে তুমি ছিলে কন্যা। তারপর স্ত্রী হলে। এখন হবে মা। নারীত্বের সম্পূর্ণতাই তো মাতৃত্বে। তোমার পদোন্নতি হল। জীবনের সর্বোচ্চ ধাপে উঠে গেলে তুমি।

    তার শাশুড়ি কেমন ভয়ানক গুরুত্ব দিতে শুরু করলেন তাঁকে। প্রায় যা পুলিশি খবরদারির মত দেখায়!

    একমাত্র আনন্দ জন্মেছিল তিনমাসের মাথায় প্রথম সোনোগ্রাফির দিনে, অপরিচিত এক নতুন ধুকপুকুনির শব্দ ডাক্তার যখন শোনালেন, আর সোনোগ্রাফির স্ক্রিন তার দিকে ঘুরিয়ে দিয়ে বললেন কী ভীষণ দৌড়চ্ছে আপনার বাচ্চা জলের ভেতর। মাছের মত ঘাই মারছিল একটি ছায়া। সেই ছায়াকেই ভালবাসল সে। মুখহীন এক শিশু।

    সন্তানটির আসার আগে, সকলের ফুর্তি আর পুলক তাকে খুবই বিচলিত করলেও, সে মেনে নিল মাসে একবার করে ডাক্তার দেখিয়ে আসা।

    তারপর, মেনে নিল সবার তার ওপরে নানা খবরদারি। এটা করবে না ওটা ধরবে না। এভাবে শোবে না, ওখানে বসবে না। কিচ্ছু বাইরের খাবে না।

    ফুচকা চুরমুর চিকেন রোল আদি দীর্ঘ কয়েক মাসের জন্য বন্ধ হল।

    তারপর সেই মহা মুহূর্ত। সে ঢুকে গেল ভীত চকিত এক স্ফীতোদর শরীর নিয়ে, নার্সিং হোমের গর্তে। সেই রাতেই তার যৌনকেশ ব্লেড দিয়ে শেভ করতে করতে বয়স্কা নার্স বললেন অমোঘ বাণীঃ মেয়েদের এই এক জ্বালা। যতই পড়ো আর যতই বড় চাকরি কর, এর থেকে নিস্তার নেই।

    সাতদিনের নার্সিং হোম বসবাসে সে দেখে শুনে বুঝে ফেলল সন্তানজন্ম নিয়ে আয়াদের উল্লাস, নতুন শাড়ি পাওয়ার আশ্বাস। চোখে মুখে অশ্লীল ভঙ্গি করে কত না রসিকতা, সন্তানজন্মের গূঢ় তত্ত্ব নিয়ে। দাদার এবার একতলায় ঢোকা বন্ধ, দোতলায় নতুন ভাড়াটে এসেছে। হি হি।

    স্বামী তো অদ্ভুত আচরণ করছে, সে দেখল। অপারেশনের দিন দেখতে এল, তারপর কেমন বিচ্ছিন্ন হয়ে , অন্যমনস্ক হয়ে, কেমন যেন উদাসীন, বাড়ি চলে গেল, একটু মিষ্টি কথাও না বলে। গলা আটকে এল কান্নায় , মেয়েটির। বাচ্চাটা আমাদের দুজনের তো। তাহলে কেন আমাকেই শুধু থাকতে হবে ঠান্ডা সাদা এই নার্সিং হোমটায়। আর তুমি ভিতু আত্মীয়ের মত, অসুস্থা গিন্নিকে দেখে কাষ্ঠ হাসি হেসে চলে যাবে, তারপর পরদিন বলবে, সারা সন্ধে ছেলে বন্ধুরা তোমাকে ঘিরে রেখেছিল মালের আড্ডায় , কেননা, বাচ্চা হলেই গিন্নির প্রেম চলে যাবে, সব অ্যাটেনশন কেন্দ্রীভূত হবে বাচ্চার দিকে, তাই একলা হয়ে যাবে স্বামী, এই ভয়ে সে পারছিল না একা একা সন্ধেটা কাটাতে।

    অপারেশনের দিনের সেই ধক করে নাকে আসা ক্লোরোফর্মের গন্ধ আর তার আগের মুহূর্ত অব্দি ডাক্তারদের হাসাহাসি, অ্যানেস্থেটিস্টের নানা টুকরো কথা, এ বাবা, পেশেন্ট অ্যাতো ফ্যাকাশে কেন, ব্লাড কাউন্ট দেখি তো! আর গোটা ব্যাপারটার প্রবল শীত-করা প্রাইভেসিহীন নিশ্ছিদ্র নৈর্ব্যক্তিক একটা পরিবেশে দম আটকে এসেছিল তার। উলঙ্গ সে এক বিটকেল পিঠখোলা হাস্পাতাল সবুজ মোটা কাপড়ের জামার তলায়। এই বোধ এসেছিল। তলপেট উন্মুক্ত করে তাকে কেটেকুটে বাচ্চাকে বার করবে পুরুষ ডাক্তার, অন্তত আজকের জন্য স্বামীর চেয়ে সে বেশি প্রিভিলেজড, ভাবতে গিয়ে অসংখ্য গোল গোল জোরালো আলোর বৃত্ত দেখতে দেখতে সে অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিল।

    জ্ঞান ফিরেছিল চাপ চাপ অনির্দেশ্য ব্যথায়। অবশ হয়ে আছে সারাটা তলপেট অঞ্চল। কিছু জানে না। অথচ প্রচন্ড ব্যথা। চোখ খুলতে একটা ন্যাকড়ার পুটলি এনে তাকে দেখানো হয়েছিল। এই তো বাচ্চা, ছেলে হয়েছে, ছেলে।

    বর এসে হাত ধরেছিল বিবর্ণ মুখে।

    আবার কেবিনে ঢুকে ঘুম, ঘুম, ওষুধের ভেতর।

    পরদিন থেকে ক্ষতচিহ্ন, ব্লিডিং, শিশুকে দুধ খাওয়ানোর নতুনত্ব, নার্সের বকুনি, আয়ার ধমক।

    সবকিছুর মধ্যে ছোট একটা নতুন মাংসদলার ধুকপুক, ভয় আর আনন্দের জোট বাঁধা অদ্ভুত এক ফিলিং।

    এই ডেটাবেসের প্রান্তে ছিল আবার বাড়ি ফিরে আসা। বালতি বা কোণ ভারি জিনিশ না তুলতে পারা ইত্যাদি ইত্যাদি, প্রায় দু মাস।

    একটু ইনফেকশন, ব্লিডিং বন্ধ না হওয়ায় অনেকটা ওষুধ পালটানো, ভয় ডর। ক্যাথিটার লাগিয়ে রাখার পর যন্ত্রণা আর চুলকুনি তার যোনিদ্বারে। এই অস্বস্তিগুলি তো কিছুই নয়। তারপর যা আরম্ভ হল তা জীবনের নতুন দিক।



    কন্টিনুয়াস সারভেইলেন্সে বন্দিদশায় থাকা শুরু হল। শিশুটির জন্য আয়া আছে। তবু সে বই পড়ে শিখে নিয়ে তাকে স্নান করাতে চেষ্টা করত, জামা পরাত, হাগু পরিষ্কার করে দিত। হিসির কাঁথা পাল্টাত। কিন্তু যারা কিছুই করত না , সেই সব বাড়ির লোকেরা তার আশেপাশে ঘুরত। মা ছিল না বলে মায়ের বাড়িতে গিয়ে থাকা হয়নি সের। শ্বশুরবাড়ির লোকের পুলিসগিরি তার সহ্য হত না।

    বাচ্চা কাঁদলে অভিযোগের আঙুল উঠত, কাঁদছে কেন? খাওয়াচ্ছ না ঠিক করে?

    খাওয়াতে গেলে বলা হত, মাথাটার তলায় হাত দাও ঠিক করে। পশ্চার ঠিক হয়নি।

    শুইয়ে রাখলে শাশুড়ি এসে নাতির মুখচন্দ্রমা নিরীক্ষণ করতে করতেই ইম্যাজিনারি পিঁপড়ে খুঁজে পেত, অথবা ঠিক করে কাঁথা দিয়ে ঢাকা হয়নি ওকে, বলে সেকে এক প্রস্থ জ্ঞান দিয়ে যেত।

    শিশু ছ মাস হতে হতে অলটারনেটিভ খাবার দেওয়া শুরু। সেই সময়ে বোতল ঠিক ঠাক পনেরো মিনিট ধরে না ফোটানোর অপকারিতা আর বুকের দুধ অনেকক্ষণ ধরে খাওয়ানোর উপকারিতা নিয়ে লেকচার শোনানো হত তাকে। কে না এসে জ্ঞান দিয়ে যেত। কে না এসে বক্তব্য রাখত। যেখানে পৃথিবীতে যত মহিলা আছে যারা কখনো না কখনো বাচ্চা রেখেছে বা পেটে ধরেছে, তাদের বক্তব্য রাখার অধিকার জন্মে যায় কীভাবে যেন। আর নতুন মায়ের কাজ সবার কাছ থেকে তাদের নিজস্ব টিপস শুনে যাওয়া। জমা করা। ডেটাবেসে। শুধু শ্বশুর শাশুড়ি নয়, বাবা, কাকা, পিশি, পিশে, মাসি শাশুড়ি , কে নয় এই জ্ঞানদাতাদের দলে। এমনকি আয়া, বাড়ির ঘরমোছার লোক। এমনকি রাস্তার অপরিচিত মহিলা। ডাক্তারখানার হেল্পার।

    ঠিক করে ধরুন। ধরা ঠিক না আপনার।

    বাব্বা, ছেলেটাকে সামনে দিয়ে জামা পরিয়েছে দ্যাখো, হি হি , পেছনটা পুরো বেরিয়ে আছে…

    কেন দাঁত উঠল না এখনো? আমার নাতনির তো ক—বে…

    কেন শিশু কথা বলতে শিখল না আজো? আমার ছেলে তো কত আগে…

    একবছর হয়ে গেছে বাচ্চাটার? এ মা, হাঁটতে পারে না? আমাদের টা তো এরই মধ্যে…

    এরপর স্কুলিং নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হল। তালিকা তৈরি হল। লাইন লাগানোর জন্য অনুপ্রাণিত হল স্বামীটি।

    স্কুলে যেতে গিয়ে শিশু কাঁদল না। সেটাও বিস্ময়ের। কেন কাঁদল না? শিশু স্কুলে কিছু শিখছিল কিনা, তা নিয়েও সংশয় ছিল। প্রশ্ন ধরা হত ওকে, বাইসাইকেলে কটা আই বলতো? গাজর দেখিয়ে জেঠিমা জিগ্যেস করত, এটা কি কালার শিশু? রেড বলেছিল বলে আ আ ছি ছি শুরু হল, সেকি, ওকে অরেঞ্জ কালারটা চেনাও নি?

    সবকিছুর শেষেও, ভাল মা হয়ে উঠতে পারল কি, সে? খুব সন্দেহ আছে তাতে।

    শিশুর ক্লাস টু। একদিন অফিস থেকে ফিরে এসে সে দেখল শাশুড়ির মুখ হাঁড়ি। শিশুর ক্লাস টিচার ওর খাতায় লাল কালি দিয়ে লিখে দিয়েছেন, হোম ওয়ার্ক নট ডান।

    শাশুড়ি ঝাঁঝিয়ে উঠে সেকে জবাবদিহি চাইলেনঃ হোমওয়ার্কটা করল কিনা এটাও দেখতে পারো না?

    ডিসিপ্লিন অ্যান্ড পানিশ, মিশেল ফুকো নাকি লিখেছিল। একজন মা শুধু বায়োলজিকালি মা হয়ে ওঠেনা। পেট থেকে পড়লেই বাচ্চা পয়দা করা যায়না। মা হওয়া শিখে উঠতে হয়। কঠোর তপস্যা চাই।

    আজকের দিনের মায়েদের কত না চাপ। তাকে সর্বংসহা ও সর্বকর্মা হতে হবে। কে যেন গোটা একটা বইই লিখে দিয়েছে, আমার মা সব জানে। তাই তাকে সেই বইটা কিনে পড়ে ফেলতে হবে ও শিশুর সব প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে।

    টিভির বিজ্ঞাপনে যেরকম দেখায়, মা কখনো বকবে না অধৈর্য হবে না বিরক্ত হবে না। নিজের সুখের কথা ভাববে না। সারাদিন ছেলের মুখে জলের গেলাস খাবারের থালা এবং কুলকুচি হয়ে গেলে গামছা তুলে দেবে। জামা বার করে রাখবে, পরিয়ে দেবে। জুতো পরিয়ে দেবে। স্কুলে র থেকে এলে গ্লুকন ডি গুলে দেবে। পরীক্ষায় ভাল করলে কিটক্যাট কিনে দেবে।

    মা কখনো নিজের কাজ করবে না, বাড়িতে যতক্ষণ থাকবে ছেলের সঙ্গে খেলবে কথা বলবে, ছেলের পড়া দেখবে। অফিসে গেলে তো আরো বেশি অপরাধী হয়ে মাকে ফিরে আসতে হবে, আরো দ্বিগুণ উৎসাহে ছেলের সেবাযত্ন করতে হবে, সে সময়টা সে ছিল না সেই সময়টার অভাব পুষিয়ে দিতে হবে।

    মাতৃত্ব কত আনকন্ডিশনাল তা নিয়ে অনেক ভাল ভাল কথা পড়া যাবে, বলা হবে অনেক সুন্দর কবিতা গান আর বাণী, মা হল সবার ওপরে।

    এইভাবে , কন্ডিশনড হতে হতে, সে দেখেছে, সে এক রোবট মা এখন।

    সারাদিন অফিস করে বাড়িতে ঢুকেই চুড়িদার কামিজের ওপর থেকে চুন্নিটা নামিয়ে রেখে সে রান্নাঘরে ঢুকে ছেলের দাবি অনুসারে কোনদিন চাউমিন কোণদিন পাস্তা কোনদিন ভাত নেড়ে বিরিয়ানি করে দেবে। অনায়াসে তারপর ছেলের হোমওয়ারক দেখবে, অনায়াসে তার প্রয়োজন হলে বেরিয়ে কিনে এনে দেবে সেলোফেন পেপার অথবা ফেভিকল, কলম পেন্সিল বা রুলটানা খাতা। যখন যেটা দরকার।

    রাত এগারোটায় ঘুমে ঢুলে পড়তে পড়তেও, ছেলের দাঁত মাজা জামা পালটানো সুপারভাইজ করবে, বিছানা পাতবে।

    স্বামী করে না এসব? না তা নয়। স্বামী অনেক কিছুই করেছে, করে হালকা করেছে গুরুভার সন্তানপালনের দায়। সে জুতো পরিয়ে দিয়ে চুল আঁচড়ে দিয়ে শার্ট পরিয়ে দিয়ে নিয়ে গেছে শিশুকে টিউশনে। কিন্তু জুতোটা কিনে এনেছে মা, চিরুনি হারিয়ে গেলে কথা শুনতে হয়েছে মাকে, শার্টের বোতাম না থাকলে মার সামনে ছুঁড়ে ফেলে বলা হয়েছে, দেখে রাখতে পারো না, আদ্ধেক শার্টের বোতাম নেই?

    আসলে , একটাই তফাত থেকেছে। স্বামী যা যা করেছে, সেগুলো স্বামী স্বেচ্ছায় করেছে। ওর করার কথা ছিল না বাধ্যতা ছিল না তাও করেছে।

    বাই ডিফল্ট ওগুলো সব মায়ের করার কথা ছিল। স্বামী করে, তাকে ধন্য করেছে, হেল্প করেছে। স্বামীর কাজ করাটা স্বামীর ক্রেডিট। আর স্ত্রীর না করাটা, স্ত্রীর গাফিলতি। ত্রুটি। তাকে চিরজীবন অপরাধী হয়ে থাকতে হয় এই তথ্যের জন্য, যে, সে যখন অফিসে থাকত তখন তার সন্তানকে শাশুড়ি দেখত, আয়া দেখত, অনেক সময় আগে ফিরে এসে স্বামীও দেখত।

    অন্যেরা যে যা অবদান রেখেছে শিশুর জীবনে, কোনটাই বাই ডিফল্ট ছিল না। সেগুলো অবদান ছিল। আর সে যা করেছে? একজন মায়ের তো তা করারই কথা। সেজন্যে আলাদা করে কোন থ্যাঙ্কস প্রাপ্য আছে নাকি আবার? ওটাকে কোন কাজ বলতেই নারাজ তো, সমাজ। ওগুলো তো তার কর্তব্য।

    পেট থেকে পড়েছে কার, বাচ্চাটা, শুনি?

    করবে না মানে?

    শিশু একদিন বড় হয়ে যাবে, শিগগিরি একদিন সে নিজের জীবন খুঁজে নেবে। তারপর অচিরেই নিজের জীবন সঙ্গিনীও।

    তখন , সেই জীবন সঙ্গিনীও , সে কি চাইবে, করুক সব কাজ বাই ডিফল্ট?
  • a | 213.219.201.58 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৫:০৭722036
  • লেখার কোয়ালিটি ভাল, কিন্তু বক্তব্য খুব খুব দুর্বল
  • π | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:২৯722147
  • কোন বক্তব্য দুর্বল ?

    আমার তো বেশ ঠিকঠাক লাগলো।
  • | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৩১722258
  • অসম্ভব জোরালো বক্তব্য। "মা' এই আর্কিটাইপ সমাজ তৈরীই করেছে, তাতে আরেও দাগা বুলিয়ে বুলিয়ে জোরালো করে চলেছে নিজেদের ইচ্ছা অনিচ্ছা দিয়ে আরেকটা আস্ত মানুষকে আস্ত মানুষের চিন্তা থেকে বের করে এনে, নিজের স্বাভাবিকত্ব থেকে বের করে এনে নিজেদের সুবিধেমত একটা খোলসে ভরে দেবার জন্য।

    'পোস্টপার্টাম ডিপ্রেশান' এই শব্দ জানতাম না এই কয়েক বছর আগেও। জানবার পর নিজের আশেপাশে দেখা বেশ কিছু নিন্দিত ও ধিকৃত মায়েদের জন্য বড্ড মায়া হয়।

    একটা পর্শ্ন, এখন কি এই মা'এর খোলস থেকে বেরোনর চেষ্টা, আত্মপরিচয় সন্ধান, এইগুলো যথেষ্ট সংখ্যক দেখছেন যশোধরা?
  • dc | 132.174.114.159 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৮:৫৪722369
  • লেখাটা ভালো লাগলো, আরো এইজন্য যে নিজের সংসারের সাথে অনেক কিছু রিলেট করতে পারলাম। আর মনে পড়লো, "সাতদিনের নার্সিং হোমে থাকার সময়ে", আমি নিজেও বেশ কিছু ভুল করেছি। যতোটা সাপোর্ট দেওয়া দরকার ছিল বলে এখন বুঝি, যতোটা সাপোর্ট আমার স্ত্রী এক্সপেক্ট করেছিল, ততোটা দিইনি।
  • avi | 113.24.86.157 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০২722480
  • পুরোটাই রিলেট করা যায়। দিব্যি লাগলো।
  • | 183.24.110.20 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:০৩722589
  • ডিসি, ব্যক্তিগত হলে উত্তর দেবেন না, আপনি কি স্ত্রীকে নিজের এই ভুলটার কথা বলেছেন? তারপরে কি সন্তানের দায়্টায় ভাগাভাগি করে নিয়েছেন?
  • π | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:১৫722600
  • 'ভয়ানক পরিশীলিত এবং বাঙালি ভদ্রলোকের এপিটোম তার শ্বশুরমশাই হঠাৎ বসবার ঘরে সবার সামনে আবেগ থরথর কন্ঠে প্রায় আবৃত্তির ঢঙে বলে ফেললেন, প্রথমে সে তুমি ছিলে কন্যা। তারপর স্ত্রী হলে। এখন হবে মা। নারীত্বের সম্পূর্ণতাই তো মাতৃত্বে। তোমার পদোন্নতি হল। জীবনের সর্বোচ্চ ধাপে উঠে গেলে তুমি।
    '

    এটা যে কী প্রচণ্ড সত্যি একটা চাপ আর নির্মাণ, এবং কী পরিমাণে এখনো সর্বস্তরে ফেস করতে হয়, ভাবা যায়না।

    বইমেলায় এক নীরব পাঠিকা এসে বলছিলেন, গুরুতে এত কিছু নিয়ে লেখালেখি হয়, এই ইস্যু নিয়ে কেন হয়্না। জানিনা, তিনি দেখছেন কিনা, বা নিজের কথা লিখবেন কিনা।
  • dc | 132.174.114.159 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৯:২১722611
  • এই ভুলটা আমার স্ত্রী নিজেই অনেক আগে পয়েন্ট আউট করেছিল। তখনই না, পরে আস্তে আস্তে এক-দুবছর ধরে বুঝিয়েছে, এ নিয়ে আমাদের অনেক আলোচনা হয়েছে। আর সন্তানের দায়ভার আমরা অনেকটাই ভাগাভাগি করে নিয়েছি, এক্ষেত্রেও নিজেরা সবসময়েই আলোচনা করি। যেহেতু আমরা দুজনেই কাজ করি তাই সবসময়ে চেষ্টা করি সংসারের সব কাজ ভাগাভাগি করে নিতে। আবার মেয়ের অসুখ হলেও কখনো আমি ছুটি নি, কখনো স্ত্রী ছুটি নেয়, যেমন সুবিধে হয় সেই মতো।
    কিন্তু এই যে লেখাটা, "অন্যেরা যে যা অবদান রেখেছে শিশুর জীবনে, কোনটাই বাই ডিফল্ট ছিল না। সেগুলো অবদান ছিল। আর সে যা করেছে? একজন মায়ের তো তা করারই কথা। সেজন্যে আলাদা করে কোন থ্যাঙ্কস প্রাপ্য আছে নাকি আবার? ওটাকে কোন কাজ বলতেই নারাজ তো, সমাজ। ওগুলো তো তার কর্তব্য।" - এটা একদম সত্যি বলে মনে হলো। প্রায় সব্বারই এই মনোভাব দেখেছি।
  • cm | 127.247.96.229 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৩০721926
  • “ অন্যেরা যে যা অবদান রেখেছে শিশুর জীবনে, কোনটাই বাই ডিফল্ট ছিল না। ” জীবনে মা-র অবদান কখনই বাই ডিফল্ট ভাবিনি, সেভাবে ভাবতে শেখান হয়নি। মার কাছে কৃতজ্ঞ থাকতে শিখিয়েছেন বাবা। বড় হয়ে মাকে বহুবার প্রশ্ন করেছি কর্তব্যের জন্যই সব কিনা। এ প্রশ্নের একই উত্তর পেয়েছি, সন্তান মায়ের অঙ্গ। মায়ের ভালবাসাকে শুকনো কর্তব্য ভেবে ছোট করতে লজ্জা পাই। মাকে শিল্পী মনে করি, আর সন্তান তার সৃষ্টি। শুধু দেহটুকু নয় গোটাগুটি গড়ে তোলার ব্যাপারটা।

    মা হওয়া ভালবাসা প্রকাশের উৎকৃষ্টতম পন্থা হতে পারে তবে নিজের চারিপাশের সকলকে ভালবাসতে না পারলে জীবনটাই বৃথা। এর কোন পুরুষ নারী ভেদ হয়না। কেবল হিংসা নয় ভালবাসাও আদিমতম প্রবৃত্তি।
  • Yashodhara Raychaudhuri | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১১:৪৭721937
  • আলোচনা খুব খুব জমেছে। এখানে বলি, প্রশ্ন যেটা আমাকে করা হল তার উত্তর। এই রোল থেকে উত্তীর্ণ হতে আমি খুব কাউকে দেখিনি। আমার পরিচিত এক মহিলা যাঁকে নানা কারনে দুবার বিয়ে ভাঙতে হয়েছে, তিনিও অসম্ভব অপমানিত বোধ করেন যদি এমন ইঙ্গিত করা হয়, যে তিনি সন্তানকে অবহেলা করেছিলেন, ছোট বয়সে, যখন তাঁর দ্বিতীয় বিয়ে ( সন্তান প্রথম বিয়ে সঞ্জাত)। স্বামীকে ছাড়া যায়, ডিস ওন করা যায়। সন্তানকে করা যায়না, এটা বায়োলজিকাল তো বটেই। তবু, এখানে যেন কোথায় সমাজ আমাদের কানে ধরে রাখে। সন্তানের এ প্লাস না পেয়ে ডি পাওয়াকে সব মা নিজের অসাফল্য ভাবেন। ভাবেন না, বা যথেষ্ট মুক্তমনা হয়ে সন্তানকে নিজের থেকে আলাদা এনটিটি ভাবা, এটা খুব খুব বিরল। দেখিনিই বলা চলে।

    অনেক কারণ আছে, ওই যা বললাম, বায়োলজিকাল তার একটা। এমনও বলছি না যে ওরকম "আলাদা" ভাবতেই হবে সন্তানকে। তবে ভাবতে পারলে বেশ রিলিফ পাওয়া যায়, নয়কি?
  • b | 24.139.196.6 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:২৬721948
  • এই মুহূর্তে, সেন্ট্রাল গভর্ণমেন্টের আন্ডারে বোধ হয়, সন্তান ১৮ বছর বয়স না হওয়া অবধি , মা দু বছরের (একটানা বা খেপে খেপে) ছুটি নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে পিতৃত্বকালীন ছুটি ১৫ দিনের, সেটাও সন্তানের জন্মের ৬ মাসের মধ্যে নিতে হয়।
    মানেকা গান্ধী আবার এটাকে সাপোর্ট করেছেন। বলেছেন, ছেলেরা বাচ্চার জন্যে কিস্যু করে না, ওরা ঘরে বসে বসে খায়। ছুটি কিসের?
  • কিন্তু | 188.217.187.39 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৩২721959
  • আলাদা এনটিটির অভাব কোথায় সংসারে ? মা হওয়া তো ম্যান্ডেটরি না ।
  • শৌভ | 233.179.144.94 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৩৩721970
  • আলাদা ভাবা আদৌ সম্ভব কি না, এমন একটা বায়োলজিকাল এনটিটির ক্ষেত্রে, যেটা আমারই শরীরের একটা সম্প্রসারিত অংশ। এই যে, একটা কোষপুঞ্জ যা ৯মাস পরজীবীর মত আমারই শরীর থেকে পুষ্টি সংগ্রহ করেছে, নিজের অস্তিত্বের জন্য পূর্ণত আমারই ওপর নির্ভরশীল থেকেছে, তাকে আলাদা এনটিটি ভাবার ক্ষেত্রে কোথাও একটা বাধা কাজ করে বলে মনে হয়। তবে আমি বলার কে?
  • b | 24.139.196.6 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১২:৫৮721981
  • মানে সেই সানি (লিওন নয়) আর কাঁবা।
  • san | 113.245.14.101 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৩:৩১721992
  • আমি কিন্তু আমাদের মায়েদের জেনারেশনে এরকম মহিলা বেশ অনেকজনকে দেখেছি যাঁরা এই গিল্ট থেকে মুক্ত ছিলেন , বাচ্চাকে ফেলে চাকরি করতে যাবার জন্যে অপরাধবোধ তো ছিলই না , এবং বাড়িতেও নিজের পড়াশোনা বা প্যাশনের পিছনে সময় দেবার জন্যে জন্যে অকারণ গিল্টে ভোগেন নি। বরং আমরা , তাঁদের সন্তানেরা এইটাকে স্বাভাবিক সত্যি বলে জেনে বড় হয়েছি যে সকলেরি নিজের নিজের জগত থাকাটাই স্বাভাবিক।

    আমি যাঁদের দেখেছি সকলেই প্রায় শিক্ষাজগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাড়িতেও পেশাগত চাহিদা পিছু ছাড়ত না , সময় দিতে হত প্রচুর । এমনকি রিসার্চের কাজে বিভিন্ন সময়ে এঁরা কেউ কেউ দেশে-বিদেশে কয়েক মাস বা দু-একবছরের জন্যে থেকেছেন , সংসারের থেকে দূরে , ছেলেমেয়ের থেকেও দূরে। অবশ্যই সামাজিক চাপও ফেস করেছেন। আবার সেগুলোর বিরুদ্ধে ফাইটও দিয়েছেন। ইন্টারেস্টিংলি এঁদেরকে আমি ছেলেমেয়ের ছোটো ছোটো অ্যাচিভমেন্ট বা ফেলিওরকে ব্যক্তিগত সাফল্য বা ফেলিওর হিসেবে ভাবতে দেখি নি। সব মা সন্তানের ডি পাওয়াকে নিজের অসাফল্য ভাবেন না এইটা আমি জোর দিয়ে বলতে পারি , এবং স্যাম্পল সাইজ সেখানে একের অনেক বেশি :-)

    ডিঃ লেখিকা বর্ণিত চাপ নির্মাণের প্রক্রিয়াকে আমি অস্বীকার করছি না কোনোমতেই। আমি জানি এই চাপ ছিল। লেখাটা আমায় ভাবাচ্ছিল কারণ অনেককেই আমি এই চাপ নতমস্তকে মেনে না নিতে দেখেছি। সেইটুকুই।
  • 0 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ১৭:২২722003
  • এই দুটো পর্ব আগে পড়েছি না? একটা বড়গল্পের পার্ট ছিল মনে হচ্ছে।

    এর আগে বহু জন বহু বার লিখেছেন। ক্লিশে হলেও আরেকবার লিখি।
    খুব পিচ্চিবেলা থেকেই যতো তাড়াতাড়ি ইন্ডিপেন্ডেন্ট্‌ হতে শেখানো যায় ততো ভালো।
    কাপড়্জামা ধোয়া-কাচা, বোতাম/ছেঁড়া এসব টুকটাক সেলাই ক'রে নেওয়া, জুতোগুলো ঠিকঠাক মেন্টেন করা, বই-খাতা মলাট দেওয়া আর ছিঁড়ে গেলে টেপ/গ্লু দিয়ে লাগিয়ে নেওয়া বা সেলাই ক'রে নেওয়া, ঘরে মোটামুটি সহজে বানানোর মতো খাবার নিজে খুঁজে জলখাবারটুকু সময় মতন ক'রে নেওয়া, এইসব।

    এটা না পারলে অন্ততঃ কাজগুলোর ইকুয়াল শেয়ারিংটা মাস্ট্‌। পিচ্চিরা যাতে দুজন পেরেন্ট্‌কেই সমান ভাবে দেখে, সেটা শেখানোর জন্যেও এটা খুব খুব দরকার।
  • ranjan roy | 132.176.185.252 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২১:৪৮722014
  • লেখাটা খুব ভালো লাগল; সেইসঙ্গে পুরনো অপরাধ বোধ জেগে উঠল। ডিসির সঙ্গে অনেকটা মেলে, আবার মেলে না। এই অপরাধবোধের গ্লানি কাটিয়ে ওঠা খুব কঠিন। নিজেকে আলসে সুবিধাভোগী বলে মেনে নিতে মন চায় না। কিন্তু বিপরীত সাক্ষ্য যে হাজারটা!
    আরেকটা জন্ম কি পাওয়া যাবে ভুল গুলো শুধরে নিতে!
    তবে o র প্রেসক্রিপশনে একমত। দুটো বাচ্চার সঙ্গেই ইন্ডিপেডেন্ট করতে চেষ্টা করেছি, আর মাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া শেখাতে।
  • তার চেয়ে | 138.199.180.255 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২২:১৯722025
  • মাকে বেশি গুরুত্ব দিলে তো একই লুপে পড়বেন ।
    বরং মা একজন আছে (যেমন বাবা কি পিসেমশায়), তবে তার ওপর ভরসা করা যাবে না - এইটা শেখান - তবে তো ইন্ডিপেন্ডেন্ট হবে ।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২১722037
  • এইরকমের মা নিশ্চয় প্রচুর আছেন ধরে নিয়েই বলছি যে আমি নিজের মা কে এরকম দেখিনি। পরপর দুটো সন্তানের জন্ম দেবাপ পরেও আমার মা তার প্রোফেশনাল লাইফ পুরোদমে বজায় রেখেছে। বাচ্চাদের অসুখ বিসুখের জন্য কোনোদিনো আলাদা করে ছুটি নেয় নি। সামান্য জ্বরজারি নয়, টাইফয়েড (আমার পাঁচ বছর বয়সে), হাম (আমার এবং বোনের), মাম্পস, ইত্যাদির জন্য মা একদিনো ছুটি নেয় নি। বাবা অনেক বেশি দেখাশোনা করেছে। বাবার মৃত্যু হয় আমাদের শিশুকালে। তারপরেও মা অনেক কাজ করত বাইরের, কিন্তু চুল আঁচড়ে জামা পরিয়ে ইস্কুলে পাঠানো কি রান্নাঘরে রান্না করা এসব দেখিনি। খুব রেয়ার ছিল রান্না করার ব্যাপারটা। কৈশোরে আমার বোনের দুবার বড়ো অসুখ হয় (বাবার মৃত্যুর চার ও পাঁচ বছর পরে) প্রথমবার আমার বোনকে প্রায় মাসাধিক কাল হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল, মা কোনো ছুটি নেয় নি। দ্বিতীয়বার বিকোলাই হয়েছিল যা ভুগিয়েছিল বেশ কিছুদিন। কোনো ছুটি নেয় নি মা। আমাদের দুই বোনের মাধ্যমিক পরীক্ষা ও উচ্চমাধ্যমিকের জন্যও ছুটি নিয়েছে বলে মনে পড়ে না, তবে হ্যাঁ টিফিনের ব্রেকে খাবার নিয়ে গেছে। আমার উচ্চমাধ্যমিকের সময় মা ছুটিতে ছিল, মেডিক্যাল লীভ। মা নিজেই তখন ক্রিটাকালি অসুস্থ হয়ে প্রায় মাসখানেক হাসপাতালে। বাঁচবে কিনা কেউ জানত না।
    আমি নিজেও একজন সিঙ্গল মাদার বলতে যা বোঝায়, তা। মাতৃত্ব নিয়ে এই প্রবন্ধের গোড়ায় যেসব অভিজ্ঞতার গল্প আছে সেগুলোর সঙ্গে রিলেট করতে পারলাম না। আমার মাতৃত্ব প্ল্যান্ড। অ্যাক্সিডেন্টাল নয়। হ্যাঁ, ফিনানশিয়াল স্টেবিলিটি ছিল না, কিন্তু আমি সেইরকম মা, যে নিজে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স ডেকে ব্যাগ গুছিয়ে দরকারি কাগজপত্র সঙ্গে করে নিয়ে ম্যাচারনিটি হাসপাতালে অ্যাডমিশন নিয়েছে। যে নিজেই প্রসবের তিন দিন পরে ট্যাক্সি ডেকে শিশুসহ ফিরতে জানে। অবশ্য সেজারিয়ান সেকশন করে প্রসব হয়নি, সেটা একটা সুবিধা। প্রসবের পরে বহুবার সদ্যোজাতের অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে শিশুর সঙ্গে থেকেছে যে, সে। আমি সেই মা, যার শিশুকে একাধিকবার ছিনিয়ে নিয়ে গেছে অশুভ শক্তি, এবং যাকে পুনরায় ফিরিয়ে আনতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। শিশুর শৈশবে বারবার নানারকম অ্যাক্সিডেন্ট শক্তরোগ ঘটেছে, যেমন ডিফথেরিয়া, ইত্যাদি। অনেক সময় এমন হয়েছে যে অসুস্থ শিশুকে চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেছে কিছু ডাক্তার। ছুটি নেবার দরকার ছিল, কিন্তু নেবার উপায় ছিল না। শিশুকে স্কুলে ভর্তি করবার জন্য নানান "অসদুপায়" অবলম্বন করতে হয়েছে। শিশুর পাসপোর্ট পাবার জন্য রকমারি লোকজনের সংস্পর্শে আসতে হয়েছে। আমার সেভাবে দেখতে গেলে কোনো শ্বশুর শাশুড়ি ছিলো না সেসময়ে, কিন্তু অর্থোপার্জনের দরকার ছিল এবং তা করেওছি। নানান পেশা বেছে নিয়েছি যখন যেটা অ্যাভেইলেবল ছিল এবং নিজের কেরিয়ারে নিজের যোগ্যতায় যতটা উন্নতি করা যায় করেছি। বাচ্চাকে অবৈতনিক ইস্কুলে পড়িয়েছি প্রাইমারি ক্লাস অবধি। বিদেশে নিয়ে আসবার আগে মাত্র একবছর ইংরিজি মাধ্যম ইস্কুলে পড়িয়েছি। যদিও তার দরকার ছিলো না সেটা তখন বুঝিনি। সাধারন জীবন যাপন নিজেও করেছি, সন্তানকেও তেমনটিই করিয়েছি। ইস্কুল ইউনিফর্ম দুসেট, বাইরে পরবার জামা একটা, ঘরে পরবার দুটো। ইস্কুলের ইউনিফরমের জন্য একজোড়া জুতো, এরবাইরে একজোড়া চটিজুতো বাইরে যাবার জন্য। সমস্ত জামাকাপড় সস্তার, সুতির। ইস্কুল ব্যাগ একটাই। তার ইস্কুলের ক্লাসমেটদেরো সেরকম ছিল। শেষের একটা বছর (এক বছরের কম সময় আসলে) ইংরিজি ইস্কুলেও ঐরকম ব্যবস্থাই ছিলো। এরজন্য আমার কোনো গিল্টি ফিলিংস নেই। বিদেশে আসবার পরে সে প্রথম দিন থেকেই ইন্টিগ্রেটেড হতে শুরু করে। এদেশে ইউনিফর্ম নেই। তিনজোড়া জুতো লাগত। গ্রীষ্মের, শীতের এবং স্পোর্টসের। নিজের পোশাক আশাক নিয়ে সচেতনতা কম থাকার অভ্যাস ও শিক্ষার ফলে ব্র্যান্ডেড মালের দিকে লোভ করেনি বরং তার অসারতা বুঝতে শিখেছিল। এরজন্য তার শৈশব "নষ্ট" হয়ে যায় নি। কারণ অন্য দামি অনেক কিছু তার সঙ্গে ছিল। এতকথা এইজন্যই বলা, যে, যাদের কথা লেখক লিখেছেন প্রবন্ধে তাদের সঙ্গে রিলেট করতে আমি অপারগ। তবে এরকম লোকজন নির্ঘাৎ প্রচুর আছে। তবে আমি বলব, তারা নিজেদের পরিস্থিতির জন্য নিজেরাই দায়ি। দুবার কি তিনবার ডিভোর্স করলেই পরিস্থিতি থেকে বেরোনো যায় না। বারবার একই জিনিসের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।
    এই লেখায় নিজের কথা লিখেছি, তাই "আমি" শব্দটা বারবার এসেছে ইচ্ছাকৃতভাবেই। সেটা যাদের অপছন্দ হবে, তাদের ইগনোর করলাম।
  • [email protected] | 11.39.38.192 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২৭722048
  • ০ কে বলি, হ্যাঁ একটা বড় লেখায় এটা ছিল। আলোচনা র দাবিতে আলাদা দিলাম। আর, স্যান, এমন লড়াকু মহিলা আগের প্রজন্মে দেখা যেত, আপনার কথায় সেটা আমারও মনে পড়ল। আমার বেদনার জায়গা এটাই যে গত ৫০ বছরে সমাজের এমন কোন পরিবর্তন দেখা গেল না কেন, যাতে এই নির্মাণ টা অন্তত গৌণ হয়ে যায়!!!
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:২৯722059
  • এবং, লেখকের পুরো লেখাটা অসম্ভব ন্যাকা ন্যাকা লেগেছে সেটা না লিখলে সত্যের অপলাপ হবে। উনি যে সেট অফ মায়েদের কথা লিখেছেন, সরি টু সে তারা ওরকমই ডিজার্ভ করে।
  • pi | 11.39.37.126 | ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ২৩:৪৩722070
  • যশোধরা রায়চৌধুরী লিখলেই দেখেছি সে মানে কুমড়ো বা আরেকটা কোন নিক থেকে কখনো এই অসম্ভব ন্যাকা লেখা কখনো আপনি আর লিখবেন না কখনো ওরকম আরো কিছু মন্তব্য আসে। এটা মনে হল।
  • কুমড়োপটাশ | 198.155.168.109 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০৫722081
  • না। এরকম মনে করবার কোনো কারণ নেই। লেখক নয়, লেখার বক্তব্য এখানে আলোচনার বিষয়। লেখককে আমি চিনি না। লেখকের লেখা সেভাবে পড়বার কোনো সুযোগ হয় নি তাও বলে দিচ্ছি। আগে একবার লিখেছিলাম আমার বক্তব্য, সেটা প্রাক্তন সোভিয়েত দেশের ওপরে ছিল। সে দেশে দীর্ঘকালের বসবাসের কারণে ঐ ট্যাভেলগটি আমার পছন্দ হয় নি। সেকথা সরাসরি লিখেছি। পাঠক হিসেবে নিজের মতামত যদি জানাতে না পারি তাহলে তো মন্তব্য করাই যাবে না। এবং, নিক তখন আমার "সে" ছিল কিছুকাল হল নিক পাল্টেছি। কোনো লেখকের লেখার ওপর মন্তব্য করবার জন্য নিক পাল্টাই নি, সেটা বলে দিলাম। ওপেন ফোরামে লিখলে সে লেখার পক্ষে বা বিপক্ষে মন্তব্য তো আসতেই পারে তাই না? এতে ব্যক্তি লেখককে ব্যক্তি পাঠক না ও চিনতে পারে। আমার বক্তব্য লেখার সারবস্তুর ওপরে। আগেরবার যেমন ট্র্যাভেলগটা দাঁড়ায়নি মনে হয়েছিল। আবার সেটা পছন্দও হয়েছিল অনেক পাঠকের। পক্ষে বিপক্ষে নানারকম মন্তব্য নিয়েই তো একটা লেখার ফিডব্যাক তৈরী হয়। অনেকেই তো তাদের মতামত দিচ্ছেন দেখলাম। আমিও দিয়েছি। আগের লেখাটা এবং এই লেখাটায় আমার মতামত জানিয়েছি। এগুলোর সঙ্গে ব্যক্তি লেখক একই হওয়াটা সম্পূর্ণ কাকতালীয়। অন্য কেউ একই লেখা লিখলেও আমার মন্তব্যে কোনো হেরফের হতো না।
  • Arpan | 100.215.227.82 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০৭722092
  • বিয়ের পরে বেশ কয়েক বছর আলাদা থাকা ভালো এবং সম্ভব হলে অন্য শহরে। শতকরা ৮০% সমস্যা তাতে কমে যায়।

    সবার সেই চয়েস থাকে না জানি।
  • Arpan | 100.215.227.82 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:০৮722103
  • আলাদা মানে নিজেদের আলাদা সংসার।
  • ranjan roy | 132.176.185.252 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৭722114
  • @অর্পন,
    অনেকখানি সত্যি!

    @তার চেয়ে,
    ঠিকই বলেছেন। আসলে আমার মনে হত পিতৃতন্ত্রে মায়েরা কম গুরুত্ব পায়। বাবারা আর্থিক দায়িত্ব ডিসিশন মেকিং ইত্যাদির জোরে স্বতঃই বিষমানুপাতিক গুরুত্ব পায়। তাই তখন ভেবেছি যে দাঁড়িপাল্লায় ব্যালান্স আনতে একদিকে এক্টু বেশি ঝোঁকানো দরকার। কিন্তু বড় প্রেক্ষিতে দেখলে আপনার স্ট্যান্ড বেশি সঠিক।

    @,
    কুমড়োপটাশ,
    আপনার লেখা পড়েই বুঝেছি যে আপনি একজন আত্মনির্ভর সাহসী ব্যতিক্রমী মহিলা। কিন্তু যশোধরা তো একটা সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরতে চাইছেন। উনি তো সেটাকে গ্লোরিফাই করছেন না। বরং আফশোস করছেন । পিতৃতন্ত্রের শেকড় চেনাচ্ছেন।
    ওই পুত্রবধূর প্রতি কন্যাসম ব্যবহার করা এবং মা হলে তার জন্যে আবেগে থরোথরো হওয়া শ্বশুর তো আমার বাবা! গড়পড়তা বাঙালী পরিবারের অনেক পুরুষই যশোধরার আঁকা পারিবারিক পিতৃতন্ত্রের পরিবেশের সঙ্গে আমার মত রিলেট করতে পারছেন বলেই মনে হচ্ছে।
    অবশ্যই আপনার অভিজ্ঞ্তা আলাদা; কিন্তু তাতে এই ছবিটি কেন মিথ্যে হবে?
    আপনার মতপ্রকাশের অধিকারের প্রতি পূর্ণ সম্মান জানিয়েই বলছি।
  • san | 113.245.14.101 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০০:৪৮722125
  • যশোধরাদি ,
    আমি সহমত। ওটা একটা প্রজন্ম আগের কথা , এই হিসেবে এতদিনে যতটা গৌণ হয়ে যাবার কথা ছিল , সে তুলনায় প্রায় কিছুই হয় নি ।
  • Abhyu | 85.137.4.123 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২৪722136
  • রঞ্জনদা, কুমড়োপটাশ একবারও বলেন নি ছবিটি মিথ্যে, বলেছেন "... উনি যে সেট অফ মায়েদের কথা লিখেছেন ..." অর্থাৎ মেনে নিচ্ছেন যে এটা বাস্তব। তার সঙ্গে লিখেছেন "পুরো লেখাটা অসম্ভব ন্যাকা ন্যাকা লেগেছে" - এটা লেখার কোয়ালিটির উপরে বক্তব্য। তো, সেই মত প্রকাশের অধিকারটুকু তো থাকা উচিত।
  • Abhyu | 85.137.4.123 | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০১:২৭722148
  • এবং স্যান যেমন লিখেছে যে আমাদের আগের প্রজন্মেই ও এর ব্যতিক্রম দেখেছে। আমাদের প্রজন্মে এটা আরো সহজ হয়ে এসেছে, অন্ততঃ আমাদের সোস্যাল ক্লাসে। গুরুতে আমাদের বয়সী যারা লেখে তাদের ক'জনের বাড়িতে এই পরিবেশ বলে আপনি মনে করেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন