এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তুঘলকি শাসন

    mila
    অন্যান্য | ০৮ নভেম্বর ২০১৬ | ৭৬৯৩৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • cm | 127.247.96.31 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:০৩724914
  • ভুল বোঝাবুঝি হল মনে হয়, আমি ভেবেছি আমাজন ইন্ডিয়া। অন্যটা নিয়ে ধারনা নেই।
  • dc | 132.174.83.71 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:০৯724915
  • নানা অ্যামাজন ইন্ডিয়া তো আসলটার একটা ব্র্যাঞ্চ। আসলটার কথা বলতে চেয়েছি। আমারই লেখার ভুল হয়েছে, আমাদের দেশে ফ্লিপকার্ট ডিসরাপশানের উদাহরন (কারন ফ্লিপকার্ট লো মার্জিন অনলাইন বই রিটেলিং দিয়ে শুরু করে তারপর অন্যান্য প্রোডাক্ট রিটেলিং এ গেছিল), আর গ্লোবাল মার্কেটে উদাহরন অ্যামাজন ডট কম।
  • dc | 167.50.250.55 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৩724917
  • আমারও কদিন আগে এই খবরটা পড়ে ভয়ানক হাসি পেয়েছিল। আশা করব সরকার কোনভাবেই এদের সাহায্য করতে এগিয়ে আসবেনা।
  • রোবু | 213.132.214.83 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:৩৪724918
  • নঃ, আপনি ছহি ক্যাপিটালিস্ট মশয় :-)
  • cm | 127.247.98.34 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:৫০724919
  • মোবাইল কোম্পানি থেকে এসেমেস পেলাম 4G handset ছাড়া 4G/3G/2G top up কাজ করবেনা। আমার এটা ট্রুলি ডিসরাপ্টিভ মনে হল। লো মার্জিন তো বাজারের প্রতিযোগিতা। অবশ্য টার্মিনোলজির যৌক্তিক ভিত্তি নাও থাকতে পারে।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৯:৩১724920
  • RBI further said that the banking stability indicator shows that the risks to the banking sector remained elevated due to continuous deterioration in asset quality, low profitability and liquidity.
    --
    The GNPA (gross non-performing advances) ratio of SCBs increased to 9.1 per cent in September 2016 from 7.8 per cent in March 2016, pushing the overall stressed advances ratio to 12.3 per cent from 11.5 per cent.
    http://www.business-standard.com/article/economy-policy/demonetisation-gst-to-transform-india-npas-key-risk-rbi-116122900816_1.html
    ইকোনমির অবস্থা বেশ সঙ্গিন।ব্যাংকের লোকজন বেশ ভালোরকম ঝুলিয়ে দিয়েছে। তার ওপর ডিমনির এফেক্টে লোকজন জিনিস পত্র/প্রপার্টি কেনা থেকে বেশ দূরে আছে।
    দেখা যাক কি হয়!
  • রোবু | 52.110.184.147 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২০:০৩724921
  • ব্যাংকের লোকজন আবার কি ঝোলাল?
  • sm | 53.251.91.253 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২০:৩০724922
  • এতো এন পি এ আর স্ট্রেস অ্যাসেট বাড়লো কি করে?
    ভারতে এন পি এ বাড়ার কারণ তো সাধারণ মানুষের নেওয়া লোন নয়। এসব লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার কর্পোরেট লোন। যার সাপোর্টে সিকিউরিটিজ বলে সেরকম কিছুই নেই। প্রত্যেক সপ্তাহে স্টেট্ ব্যাংক মাল্যর বাড়ি ১০০ কোটি টাকা দরে নিলাম তুলছে আর খালি হাতে ফিরে আসছে। কেন?দেখাচ্ছে কত চেষ্টা চলছে। এদিকে মাল্যর মোট লোনের পরিমান ৭০০০ কোটি টাকার মতন। ইনি তো তুলনা মূলক ভাবে স্মল ফিশ।
    বিগি দের লোনের পরিমান কারো লক্ষ কোটি টাকা কারো ৭০-৮০ হাজার কোটি টাকা।
    এদের ব্যবসা মন্দ চললে কিভাবে টাকা উদ্ধার হবে?
    দুই, ব্যাংকের লোকজন এই বিপুল পরিমান ডিপোজিট মানি কোথায় খাটাবে?
    তিন, এই যে লক্ষ লক্ষ কোটি টাকার এনপি এ ও স্ট্রেস এসেট বাড়ছে; এর জন্য কজন শীর্ষ ব্যাংক কর্তার শাস্তি হয়েছে? এরা কার কাছে জবাবদিহি করে?
    চার, ব্যাংকের শেয়ার এর দাম বাড়ছে কি করে? এরা কিভাবে নিজেদের ব্যালান্স সিট দাখিল করছে?
  • সিকি | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২১:৪২724925
  • অন্য থ্রেডে ডিসি "পদক্ষেপটা কেন ভালো" লিখতে গিয়ে কিছু বক্তব্য রেখেছেন, সেটার উত্তর আমি এই থ্রেডেই দিচ্ছি, কারণ এটাই রেলেভ্যান্ট থ্রেড। তো, সবার আগে ডিসির বক্তব্যটা কপি-পেস্ট করে দিই।

    "পদক্ষেপটা ভালো কারন বেশ কয়েকটা "ব্ল্যাক ইকনমি" সেক্টরে একটু নাড়াচাড়া পড়লো, বিশেষ করে যেসব সেক্টরে ক্যাশ টাকার হাত বদল হতো। বিজনেস অ্যাস ইউসুয়াল ব্যাপারটা একটু ধাক্কা খেল, এর ফলে এইসব সেক্টরের প্লেয়ারদের সামান্য হলেও একটু লস অফ কনফিডেন্স হলো। আর আরেকটা কারন ক্যাসলেস ইকনমিতে যাওয়া যায়, বা ক্যাশলেস ট্র্যান্সাকশান বলে একটা ব্যাপার আছে, এটা বহু মানুষ জানলেন, অ্যাওয়ারনেস তৈরি হলো। ফলে রেকর্ডেড ট্র্যান্সাকশানের ভল্যুম গ্রোথ রেট অল্প একটু বাড়লো, ফর্মাল ইকনমির এক্সপ্যান্সান রেটও অল্প একটু বাড়লো।"

    আমার বক্তব্যঃ

    ১। একেবারে প্রথমে জিজ্ঞেস করা উচিত, ব্ল্যাক ইকোনমি কারে কয়। না, যেখানে মূলত ক্যাশে ট্র্যাঞ্জ্যাকশন হয়। ট্যাক্সের আওতায় পড়ে না। প্রথমেই মনে পড়ে রিয়েল এস্টেট, সোনা-প্ল্যাটিনাম, হাওয়ালা ইত্যাদি। সাধারণভাবে মনে পড়ে না পাড়ার সব্জিওলা, মুচি, টেলার-মাস্টার, ফলবিক্রেতা, কাবাড়িওলা (টিন-ভাঙা-লোহা-ভাঙা) - এদের কথা। সাধারণভাবে মনে পড়ে না পার্কিং লটের অ্যাটেন্ড্যান্টের কথা, মনে পড়ে না ঘরের কাজের মহিলার কথা - অনেক কথাই মনে পড়ে না। মনে না পড়ার একটা বড় কারণ হল, এঁদের ইনকামগুলো সচরাচর ট্যাক্সের আওতায় পড়ে না।

    ব্ল্যাক ইকোনমি কখনওই "কুশন" ছাড়া অপারেট করে না, সেটা তো আপনি জানেন আশা করি। বার দুত্তিন প্রপার্টি কেনাবেচা করলাম (প্রপার্টিগরিমা), আমিও কিছু কিছু জেনেছি। একটি লোকের কাছে দশ লাখ থাকলে সেইটা ট্যাক্সেবল, ট্যাক্স না দিয়ে আমি ক্যাশ হিসেবে নিজের কাছে জমিয়ে রাখলে সেটাকে মোটামুটি ব্ল্যাক মানি বলা যেতে পারে, কিন্তু যদি আমি দাবি করি ওইটা আমার, আমার স্পাউস, আমার বাবা, মা, ছেলে, বৌমা সবার সম্মিলিত প্রপার্টি? হতেই তো পারে, তাই না? প্রমাণ কি, যে পুরো টাকাটা আমার? ট্যাক্স ক্যালকুলেট হয় পারহেড বেসিসে। আমার দশ লাখ থাকলে সেটা ট্যাক্সেবল, কিন্তু পাঁচজনের কাছে দুই দুই লাখ করে টাকা থাকলে কারুরই সেটা ট্যাক্সেবল হয় না, তাই তো? - এইটা হল আমার কুশন। তেমনি রিয়েল এস্টেটেরও এ রকম গুচ্ছ রকমের কুশন থাকে। এবং রিয়েল এস্টেটে গাঁতিয়ে হাওয়ালা চলে। লোকে দুবাইতে বসে নয়ডাতে প্রপার্টি কিনছে এ আমি নিজের চোখে দেখেছি।

    সোজা উদাহরণ - প্রপার্টি বুকিং হল আনফার্নিশড ফ্ল্যাটের। বিবরণ সমস্ত ঠিকঠাক, অমুক ফ্লোর, এত স্কোয়্যার ফিট এরিয়া, সাউথ ফেসিং, কেবল আনফার্নিশড, ফলে দামে বিশাল তফাত। আসলে লোকটি কিনছেন ফুল ফারনিশড ফ্ল্যাট, যেমনটি ওই হাউজিং-এর বাকি সবাই পাচ্ছেন, কেবল ডিফারেন্স অ্যামাউন্টটা হাওয়ালার মাধ্যমে চলে আসছে চেন্নাইতে, সেখান থেকে একজন গিয়ে ক্যাশ নিয়ে চলে আসছেন। রিয়েল এস্টেটের যারা খেলোয়াড়, মানে বিল্ডার - তাদের বুক অফ অ্যাকাউন্টসে ক্যাশ ইন হ্যান্ড বলে একটা ব্যাপার থাকে, সেখানে গুচ্ছ ম্যানিপুলেশন চলে। এসক্রো অ্যাকাউন্ট তো যেটা শুধু এসক্রো হিসেবে ডিক্লেয়ার্ড, তার বাইরেও অ্যাকাউন্ট তো থাকেই - বিল্ডারের অফিসের পিওনের নামেও ফ্ল্যাট বুক করে রাখা হয়, পরে সেগুলো দাম বাড়লে ধীরে ধীরে ফেজে ফেজে ছাড়া হয়।

    প্রপার্টিতে ব্ল্যাক ইকোনমি থাকে মূলত সেকেন্ডারি মার্কেটে। বিল্ডারের কাছে ও রকম হাওয়ালাপ্রেমী দুবাইবাসী তো ঝাঁকে ঝাঁকে আসে না - বেশির ভাগই স্থানীয় বায়ার। বাকি সবাই বিল্ডারের থেকে হোয়াইটেই কেনে। বিল্ডার সচরাচর ব্ল্যাক নিতে পারে না। ব্ল্যাক নেওয়া হয় রিসেল প্রপার্টিতে, যেখানে সেলারের ব্যক্তিগত ডিসক্রেশন কাজ করে লোকেশনের ভিত্তিতে।

    এরিয়ার সার্কল রেট হয়। ধরুন দিল্লির মধ্যে এক্স এলাকা, সেখানে একটা প্রপার্টির সার্কেল রেট অনুযায়ী দাম হল চুয়াল্লিশ লাখ টাকা। বাড়ি এর কমে রেজিস্ট্রি হতে পারে না। রেজিস্ট্রি ওই অ্যামাউন্টেই হয়। বাড়ির আসল দাম নেওয়া হয় আশি লাখ। বাকি ছেচল্লিশ ক্যাশে নেওয়া হয়, আনঅ্যাকাউন্টেড। এর ট্যাক্স দেওয়া হয় না, এটা সেলারের ব্ল্যাক মানি। - এসব গল্প সবাই জানে।

    মোদ্দা কথা হল, ব্ল্যাক মানি সামলে রাখার জন্য যে যত কুশন ইউজ করে রাখার চেষ্টা করে। কেউ ভাই বন্ধু বাবার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা করে রেখে দেয়, কেউ মার্কেটে খাটায়, কেউ সোনাহীরে কেনে। তো, ডিমানি হওয়াতে ব্ল্যাক ইকোনমিতে নাড়া পড়েছে একদম ঠিক কথা, কিন্তু যাদের তেমন তেমন কুশন আছে, তারা শুধু একটু নাড়াই খেয়েছে, তার বেশি কিছু হয় নি। অসুবিধে হয়েছে যাদের কোনও কুশন নেই, অথচ পুরোপুরি ক্যাশবেসড জীবন। ওই যাদের কথা একদম শুরুতে লিখলাম। কাজের মাসি, সব্জিওলা, টেলার মাস্টার ইত্যাদি ইত্যাদি।

    ডিমানির উদ্দেশ্য কী ছিল? ব্ল্যাক ইকোনমিকে নাড়া দেওয়া? জাস্ট নাড়া দেওয়ার জন্য এত কিছু করতে হল? যাদের ব্ল্যাক ইকোনমিতে কনট্রিবিউশন প্রায় নেই বললেই চলে, তারা যে নাড়ার চোটে দলে দলে দেহত্যাগ করছে, সেটা আমাদের "ভালো পদক্ষেপ"এর কোল্যাটেরাল ড্যামেজ বলে মেনে নিতে হবে?
    **************************

    লস অফ কনফিডেন্স -সে কখনও শেয়ার মার্কেট ধসে গেলেও হয়। বিভিন্ন কারণে লোকের টাকা মার খায়। লোকের হাতে উদ্বৃত্ত টাকা থাকলে লোকে সেই টাকা নিয়ে রিস্ক নেয় - হাই ক্যাপ ফান্ডে লাগায় কি প্রপার্টিতে লাগায়। সেখানে টাকা কখনও কখনও কারুর কারুর মার খায়। কিন্তু যে লোকগুলো রিস্ক নেয়ই না, পাতি পাবলিক, তাদের কনফিডেন্স নড়িয়ে দিয়ে কী চতুর্বর্গ লাভ হল? খচ্চর মোদীর আটই নভেম্বরের ভাষণে তো বলা হয়েছিল আতঙ্কবাদ, জাল নোট, কালা ধন সব হুড়হুড় করে ধ্বংস করে ফেলা হবে - করা গেছে? পরের পর আতঙ্কবাদী হামলা হয় নি? নোট জাল হয় নি? নিহত পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীর জিম্মা থেকে নতুন দু হাজারের নোট পাওয়া যায় নি? ভবিষ্যতেও যাবে না এমন গ্যারান্টি কেউ দিতে পেরেছে? কেউ কোনওদিন দিতে পারবে?
    *************************

    ক্যাশলেস ইকোনমি হল, বহু লোক "অ্যাওয়ার" হলেন - আপনি শিওর, যে, হল? মানে, ঘরে ঘরে, দোকানে দোকানে পেটিএম চালু হয়ে গেল - অতএব ক্যাশলেস হল, এটাই কি বলতে চাইছেন? যে পরিমাণে পেটিএম চালু হল, সেই পরিমাণে কি ইউপিআই চালু হল? অথচ সেটাই আগে হওয়া উচিত ছিল নয় কি? সবার ব্যাঙ্কের খাতা খোলবার জন্য প্রোঅ্যাকটিভ উদ্যোগটা নেওয়া উচিত ছিল নয় কি?

    একজন ডিমানি সমর্থককে টেলার-মাস্টারের গল্পটা বলছিলাম। দেড় লাখ টাকা নিয়ে মাথায় হাত, কীভাবে সেটাকে দিয়ে কী করবে, জানে না। ব্যাঙ্কে খাতা নেই। কোনওদিন দরকারই পড়ে নি। তিল তিল করে টাকাটা জমিয়েছিল, গ্রামে জমি কিনবে তার কথাবার্তা চলছিল। ব্যাঙ্কে যাও নি কেন? খাতা খোলো নি কেন? - তিন জায়গায় প্রশ্নটা করেছিলাম, উত্তর মূলত এক ধরণের। লিখতে পড়তে জানি না, আর ব্যাঙ্কের ফর্ম বুঝতে পারি না - ব্যাঙ্কের লোকেদের জিজ্ঞেস করলে তাঁরা গুসসা করেন, বাজে ব্যবহার করেন। কী দরকার ব্যাঙ্কে যাবার? দশটা ঝামেলা বাড়ানো। দিনে তো হয় পাঁচ ছশো টাকা রোজগার, যদি ব্যাঙ্কেই যাবো তো কাজ করব কখন?

    ডিমানি সমর্থকের বক্তব্য কেটে দেবার মত নয়। তাঁর বক্তব্য - সে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলে নি তো সরকারের দোষ কেন হবে। সে লিখতে পড়তে শেখে নি তো সরকারের দোষ কেন হবে? সরকারের তো নীতি আছে, পলিসি আছে - সর্বশিক্ষা অভিযান, জনধন অ্যাকাউন্ট। কে আটকেছিল ওকে লেখাপড়া শিখতে, বেসিক হিন্দি শিখতে - যাতে করে সে নিজের ব্যাঙ্কের কাজটা নিজে সামলে নিতে পারে, কারুর মুখঝামটা খেতে না হয়?

    সত্যিই উত্তর নেই। সরকারের পলিসি আছে সত্য - কিন্তু সে পলিসি গ্রাসরুট লেভেলে ইমপ্লিমেন্ট হয় কিনা, সে দেখার কেউ নেই। সর্বশিক্ষা অভিযান আর জনধন অ্যাকাউন্ট যে ক্যাশলেস হবার পথে বেসিক নেসেসিটি - এটা কেউ এই মিলিয়ন মিলিয়ন লোকগুলোকে বলে দেয় নি। আজও ভারতে বহু বহু এমন লোক আছে, যারা নোটের সংখ্যা পড়তে পারে না, নোটের রঙ দেখে নোট চেনে। কখনও নতুন ডিজাইনের নোট বাজারে এলে ঘেঁটে যায়, বুঝতে সময় লাগে। এদের কোনওদিন সেইভাবে অ্যাড্রেস করা হয় নি, হঠাৎ একদিন এসে গেল ডিমানিটাইজেশন।

    একজন কার্পেন্টারকে চেকে পনেরো হাজার টাকা দিয়েছিলাম। সে অনেক দোনামোনা করে চেক নিয়েছিল। ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট আছে বটে কিন্তু চেক কোনওদিন দ্যাখে নি সে। এখন সে নিজে জমা করেছে কি কাউকে দিয়ে জমা করিয়েছে - আমি জানি না, সে আমাকে ফোন করে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে যে তার অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়ে নি, এদিকে আমি পরিষ্কার দেখছি তার নামে টাকা কেটে গেছে আমার অ্যাকাউন্ট থেকে। একদিকে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, অন্যদিকে কর্পোরেশন ব্যাঙ্ক। আমার ব্যাঙ্ক বলছে সাকসেসফুলি ক্রেডিটেড, কিন্তু সে বেচারা কাস্টমার কেয়ারের আইভিআর বোঝে না, মেল করতে জানে না, ব্যাঙ্কে গেলে তো আজকাল যে কাউকেই রক্তচক্ষু মুখখারাপ শুনতে হচ্ছে, নয় তো পাহারারত পুলিশের গলাধাক্কা খেতে হচ্ছে, সেখানে এ লোকটা সারাদিন লাইন দিয়ে একদিন নিজের জমা দেওয়া চেকের স্টেটাস খোঁজ করতে যাবে - নাকি নিজের কার্পেন্ট্রির কাজ সামলাবে? একদিন ব্যাঙ্কে যাওয়া মানে একদিনের রুজি বন্ধ, আর একদিনে যে ব্যাঙ্কের কাজ মিটবে এমন কোনও কথা নেই।

    ঠিক কী কারণে ক্যাশলেস করা জরুরি হয়ে পড়েছিল? ধীরেসুস্থে ইনসেন্টিভ ঘোষণা করে ধাপে ধাপে ক্যাশলেস করলে কী অসুবিধে হত? এই সার্জিকাল স্ট্রাইক করে কিছু ক্যাশলেস ট্র্যানজ্যাকশনে সার্জ এসেছে ঠিকই, কিন্তু দেশের অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়ে এই চাপ নেবার জন্য কি প্রস্তুত? পুরোপুরি সিকিওর্ড? একটা দশ মিনিটের কাজের জন্য আমার সেদিন দেড় ঘণ্টা নষ্ট হয়েছে, জানেন? কার্ড সোয়াইপ করা যাচ্ছিল না। সমানে পেমেন্ট ফেলিওর। সারা দিল্লিতে পেমেন্ট গেটওয়ে বসে গেছিল সেদিন। একদিনের জন্য বিজনেস শেষ। বললাম, সময় নষ্ট কেন করছেন - পেটিএমে নিয়ে নিন! সে করুণ মুখে বলল, মোবিকুইক আর পেটিএম - দুটোতেই আমাদের লিমিট ফুল। কুড়ি না পঁচিশ হাজার মান্থলি লিমিট, সেটা প্রথম পাঁচদিনেই টাচ করে গেছে - চাইলেও পেটিএমে টাকা নিতে পারব না। দেড় ঘন্টা চেষ্টা করার পরে কার্ড সোয়াইপ করে টাকা দিয়ে বেরোলাম। পুরো সন্ধেটা চৌপাট।

    দাদা, শুনতে ভালো - ক্যাশলেস, নাড়া লাগা, ভুলে যাচ্ছেন দেশটা ভারত, এর ডাইভার্স ইকোনমি, ডাইভার্স ডেমোগ্রাফি, এই ভাবে এক জাতি এক প্রাণ এক সুরে সার্জিকাল স্ট্রাইক করা যায় না। ঘানাতে যেটা সম্ভব সেটা ভারতে করা সম্ভব নয়।

    কী আর বলব, এইভাবে ডান্ডা লাগিয়ে যে একটা নেশনকে ক্যাশলেস করার দরকার ছিল, এইটাই আমার এখনও হজম হচ্ছে না। বাকি নোট ছাপানো, দেশ জুড়ে সমস্ত এটিএম রিক্যালিব্রেট করা - এসবের খরচাগুলো তো ধরলামই না। আরও ধরলাম না এনপিএ মাফ করে দেওয়া, মাল্য-আদানি-আম্বানিকে আনডিউ সুবিধে পাইয়ে দেওয়া আর মুম্বাইয়ের উপকূলে বেঢপ শিবাজিমূর্তি উদবোধন করার গপ্পো। ধরলাম না ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে মিলিয়ন মিলিয়ন পার্সন আওয়ার নষ্ট হওয়া, ব্যাঙ্কের লোকেদের ওভারটাইম, বাড়তি সিকিওরিটির খরচা। দাঁড়িপাল্লার অন্যদিকে এইগুলোকে চাপাবার পরে - এখনও, চব্বিশে ডিসেম্বরের তারিখেও মনে হচ্ছে - এটা "ভালো পদক্ষেপ"?
  • dc | 120.227.227.214 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২১:৫৮724926
  • "১। একেবারে প্রথমে জিজ্ঞেস করা উচিত, ব্ল্যাক ইকোনমি কারে কয়। না, যেখানে মূলত ক্যাশে ট্র্যাঞ্জ্যাকশন হয়"

    আমার মনে হচ্ছে এখানে একটু ভুল হলো। ক্যাশ ট্র্যাঞ্জ্যাকশন মানেই ব্ল্যাক, তা কিন্তু নয় (এটা বোধায় এই সরকারের ছড়ানো আরেকটা ঢপ, কারন এটা কিছু ডিমনি সাপোর্টারকে আমিও বলতে শুনেছি। আমি যদ্দুর জানি, "ব্ল্যাক" মানে যে ট্র্যাঞ্জ্যাকশনটার ফলে আপনার কিছু ইনকাম হলো, সেই ইনকাম দেশের আইন অনুসারে ইনকাম ট্যাক্সের আওতায় আসে, কিন্তু আপনি হয় ট্যাক্স দিলেন না নাতো আন্ডাররিপোর্ট করে কম দিলেন। আইন মেনেও ট্যাক্স কমানোর অনেক উপায় আছে, বিশেষ করে বিজনেসম্যানদের জন্য হাজারটা লুপহোল আছে যেগুলো সিএরা ভালো জানে, কিন্তু আমি সেই লুপহোলগুলোও ধরছি না। "ব্ল্যাক" মানে হলো সেই ইনকাম যাতে আপনি ট্যাক্স দিতে বাধ্য অথচ দেননি বা কম দিয়েছেন।

    ফলে যেসব ইনকাম আটি স্ল্যাবের নীচে, সেগুলো বোধায় বাই ডেফিনিশান "ব্ল্যাক" নয়।

    "পাড়ার সব্জিওলা, মুচি, টেলার-মাস্টার, ফলবিক্রেতা, কাবাড়িওলা (টিন-ভাঙা-লোহা-ভাঙা) - এদের কথা। সাধারণভাবে মনে পড়ে না পার্কিং লটের অ্যাটেন্ড্যান্টের কথা, মনে পড়ে না ঘরের কাজের মহিলার কথা - অনেক কথাই মনে পড়ে না। মনে না পড়ার একটা বড় কারণ হল, এঁদের ইনকামগুলো সচরাচর ট্যাক্সের আওতায় পড়ে না।"

    ঠিক কথা, এঁদের ইনকাম "ব্ল্যাক" ক্যাটেগোরিতে পড়বেই না, কারন এঁরা সাধারন্ত বছরে আড়াই লাখের নীচে ইনকাম করেন। এঁরা যখন ক্যাশ ট্রানসাকশান করেন তখন সরকারের কিছুই বলার নেই। ডিমনির মাধ্যমে যে কালো টাকা উদ্ধার করার কথা হয়েছে, আমার মনে হয় সেখানে এঁদের কথা বলা হয়নি, বা এই স্মল ট্র্যানসাকশানের কথাও বলা হয়নি। বলা হয়েছে অন্তত দশ-পনেরো লাখ থেকে শুরু করে আরো বেশী ইনকামের কথা, যে ইনকামে আপনি কোনভাবেই ট্যাক্স এড়াতে পারেন না, অথচ দেশের বিপুল সংখ্যক ব্যবসায়ী বা কিছু প্রফেশনাল এড়িয়ে যায়। যেমন দেখুন দিল্লির এক উকিল আজকে ধরা পড়েছেন। ডিমনির ফলে ব্যাংকে যেসব অত্যধিক অ্যামাউন্ট জমা পড়লো, ইনকাম ট্যাক্স-ইডি যদি সেসবের প্রপার ইনভেস্টিগেশান করে তো এরকম আরো অনেক ধরা পড়ার সম্ভাবনা আছে।
  • dc | 120.227.227.214 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:০০724927
  • *ফলে যেসব ইনকাম আইটি স্ল্যাবের নীচে
  • dc | 120.227.227.214 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:০২724928
  • পরে আরও লিখছি।
  • সিকি | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:১৫724929
  • ঠিক। যেটা ট্যাক্সেবল, কিন্তু ট্যাক্সের পরিমাণটা জমা পড়ে না।
  • sinfaut | 52.106.16.243 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:৫৯724930
  • ডিসি যে লেভেলে (সেটা শুধু অর্থনৈতিক না, মরাল ও বটে) বিলং করেন সেখানে একটা দিল্লির লইয়ার বা একটা হায়দ্রাবাদের ব্যবসাদার দেখতে পান। দুশোজন দিনমজুর, মুটে, সব্জিওয়ালা এরা অদৃশ্য হয়ে গেছে ওনার জগতে। ডিসরাপশন তো ভালো লাগবেই।
  • dc | 120.227.227.214 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:১২724931
  • যাত্তেরি, গুচ্ছের টাইপ করলাম আর পেজ নট ফাউন্ড বলে দিল ঃ(((
  • sm | 53.251.91.253 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:১৪724932
  • ক্যাশলেস সিস্টেম চালু করা ভারতের মতো দেশে বিরাট জরুরি। কারণ এটা জাল টাকা ও কালো টাকা থেকে বাঁচার একটা ভালো উপায়।ও সহজেই ট্র্যাক করা যায়।
    কিন্তু দেখতে হবে কিভাবে সহজ পদ্ধতিতে ইমপ্লিমেন্ট করা যায়।
    এখানে মনে হয় দুটো জিনিস প্রায়োরিটি তে প্রথমে আসবে।
    এক চেক, দুই কার্ড।
    এই দুটো প্রথমে আসবে কারণ দুটোই চালু সিস্টেম ও খুব সহজ।
    চেক তো সবাই জানে। কার্ডের ব্যবহার বহুলোক ভালোই জানে। অর্থাৎ এটিএম থেকে টাকা তুলতে পারে।
    এখানে সরকার কে খুব কম মূল্যের (যেমন ১০-২০ হাজার লিমিটের ) ও কমসুদের কার্ড সাপ্লাই করতে হবে। যেগুলো বায়োমেট্রিক এনাবল্ড হবে। অর্থাৎ ফিঙ্গার প্রিন্ট দিয়ে একটিভেট করা যাবে। এরপর দোকানে, ইলেকট্রিক অফিস, দুধের ডিপো,ট্রেন সব জায়গায় এমাউন্ট টা পে করে দিন। যিনি প্রিন্ট করতে পারবেন না ( মানে নিরক্ষর) তাকে লার্জ সাইজে এমাউন্ট প্রিন্ট করা রশিদ দেবার বন্দোবস্ত করুন।
    মোবাইল ওয়ালেট কে একটু কম প্রাইওরিটি দিন।

    আর সিকির লেখায় ফার্নিশড আর আনফার্নিশড ফ্ল্যাটের ব্যাপার টা বুঝলাম না। সরকার তো ওই অঞ্চলের সরকারি রেট অনুযায়ী রেজিস্ট্রেশন ফি পেয়েই যাচ্ছে। যদি বেশি পেতে চায় তো ওই অঞ্চলের সরকারি রেট বাড়িয়ে দিক।
    আর ফার্নিচার দিয়ে বাড়ি সাজাতে গেলে বা ইন্টেরিয়র ডেকোরেশন করতে গেলে যা খরচ সেতো আসবাবপত্র ও র মেটেরিয়াল কেনা বাবদ সরকার সেল ট্যাক্স পাচ্ছেই।আসল ট্যাক্স তো ফাঁকি দিচ্ছে বিল্ডার রা। যারা কোম্পানি লোকসানে রান করছে দেখাচ্ছে আর ট্যাক্স পে করছে না।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:১৭724933
  • সিকি, দিল্লির/নয়ডার রেজিস্ট্রেশন আর মিউটেশন চার্জ শতাংশে কতো?
  • সিকি | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:২০724934
  • বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন রকমের। নয়ডা অথরিটি আর ডিডিএ-এর সাইট ঘেঁটে দেখতে হবে।
  • সিকি | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:২১724936
  • ডিসি, ধীরেসুস্থে লিখুন। আমি ট্যাক্স কালেকশন ও তার সদ্ব্যবহার নিয়ে আরেকটা রচনা লিখব কালকে, কিন্তু আবার সন্ধ্যের আগে টাইম পাবো না। অফিসে নেট নাই - হাই সিকিওরিটি জোন।
  • dc | 120.227.227.214 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:২৩724937
  • যেটা বলছিলাম, দেশের গরীব বা প্রান্তিক মানুষ যাঁদের ইনকাম বছরে আড়াই-তিনের কম, তাঁদের উদ্দেশ্যে ডিমনি করাই হয়নি। অবশ্যই বলতে পারেন যে এঁরাও তো সাফার করছেন বা এঁরাই বেশী সাফার করছেন। আমার মতে যদি ডিমনির এক্সিকিউশান বেটার হতো, এক-দেড় মাস ক্যাশ শর্টেজ থাকতো, তো হয়তো এখনকার মতো এতোটা অসুবিধে হতোনা। টেনেটুনে এক-দেড় মাস চালিয়ে দিতাম, "ব্ল্যাক ইনকাম"ও ব্যাংকে জমা পড়তো, ইনকাম ট্যাক্সও ইনভেস্টিগেট করতে পারতো।

    "ক্যাশলেস ইকোনমি হল, বহু লোক "অ্যাওয়ার" হলেন - আপনি শিওর, যে, হল? মানে, ঘরে ঘরে, দোকানে দোকানে পেটিএম চালু হয়ে গেল - অতএব ক্যাশলেস হল, এটাই কি বলতে চাইছেন? "

    না এটাও বলতে চাইছিনা। তিন-চার-পাঁচ হাজার টাকার মূল্যের প্রচুর ট্রানজাকশান সারা দেশে হয়, আমার মনে হয় সরকারের সেগুলো নিয়ে কিছু বলার নেই। চায়ের দোকানে, সেলুনে, ইস্ত্রিওলাকে কি কেউ ডিজিটালি পে করে, নাকি সরকার সেটা এক্সপেক্ট করে? (আমার মনে হয় করেনা)। কিন্তু পাঁচ বা ছয় হাজারের ওপর মূল্যের ট্রানসাকশান হলে আমার মতে ডিজিটালি করার ওপর জোর দেওয়া উচিত (পাঁচ বা ছয় একটা উদাহরন)।

    এবার প্রশ্ন, এই দুটোর জন্য কি ডিমনি দরকার ছিল, ধীরেসুস্থে কি হতনা? আমার মতে হতনা। মানে এই না যে আমি ডিমনি নিয়ে আগে কিছু ভেবেছিলাম, এরকম কিছু যে করা যায় তাই জানতাম না। কিন্তু ডিমনি ঘোষনা করার পর এটা নিয়ে ভেবে মনে হয়েছিল এই শকটা দরকার ছিল, অন্তত এই দুটো উদ্দেশ্য সফল করতে। অতি অবশ্যই, এরকম দীর্ঘ্স্থায়ী শক না, আরো স্বল্প মেয়াদের শক হওয়া উচিত ছিল।
  • dc | 120.227.227.214 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:২৯724938
  • আর রিয়েল এস্টেটের জালি নিয়ে আর কি বলবো, ও তো সবাই জানে। সার্কেল রেটের থেকে বেশী দাম কিভাবে কাঁচা রশিদে একরকম থাকে আর পাকা রশিদে আরেক রকম, সেই কাঁচা রশিদের গ্যারান্টর হন একজন বিশ্বস্ত ব্যাক্তি সেসবই তো জানেন। আমার মনে হয় সরকার যদি এমনকি পঞ্চাশ হাজার বা চল্লিশ হাজারের ওপরেও ক্যাশ নট অ্যালাউড এরকম কোন নিয়ম আনে, তাহলেও দেখবেন রিয়েল এস্টেটে অনেকটা জালি কমেছে। অবশ্যই বলতে পারেন যে সেই নিয়মকেও ঠিক ফাঁকি দেওয়া হবে। সে তো ভবিষ্যতের ব্যপার, ফাঁকি দেওয়ার লুপহোলগুলোকেও সরকারকেই বন্ধ করতে হবে।
  • dc | 120.227.227.214 | ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ২৩:৪১724939
  • আজকের মতো আমিও কাটি, কালকে সিকির পোস্ট পড়ে আরো লিখব। একটা কথা মনে হয়, সরকার ডিমনির টার্গেট, স্কোপ ইত্যাদি কিছুই না বলার ফলে এর সাপোর্টার আর অপোনেন্ট দুপক্ষেই প্রচুর কনফিউশান তৈরি হয়েছে। এটা অবশ্যই অ্যাভয়েডেবল ছিল।
  • cm | 127.247.99.190 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:১৬724940
  • একসাথে স্লিম এবং সকল প্রকার চুরি ও লুপহোল ধরায় পটু সরকার হতে পারেনা। ইহা একটি উপপাদ্য।
  • টুংকাটাকিলা | 127.194.229.5 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:২২724941
  • "চায়ের দোকানে, সেলুনে, ইস্ত্রিওলাকে কি কেউ ডিজিটালি পে করে, নাকি সরকার সেটা এক্সপেক্ট করে? (আমার মনে হয় করেনা)। "

    একদম ভুল মনে হয়। সরকারি অ্যাডগুলো শুনবেন - রেডিওতে দশ মিনিটে সাতবার করে দেয়। সেখানে ধোপা, মুচি, মুদির দোকানে চিনি কিনলে সবেতেই ক্যাশলেসের কথা বলা হচ্ছে। এগুলো পেটিএমের অ্যাড নয়, একেবারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের অ্যাড।

    আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ভক্তকূলের কথা তো ছেড়েই দিলাম।
  • সিকি | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:৪২724942
  • আমাকে অ্যাত্তো কাজ দিয়েছে, আজ আর লেখার টাইম পাবো কিনা জানি না। দেখি।
  • dc | 181.49.217.163 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:০২724943
  • আচ্ছা, অ্যাডগুলো শুনিনি। সরকার যদি সত্যি মনে করে লোকে একশো-দুশো-পাঁচশো টাকার লেনদেন ডিজিটালি করবে তাহলে সেটা ভুল, তার কারন সিম্পলি ওরকম কম অ্যামাউন্টের লেনদেন ক্যাশে করা বেশী সহজ। তবে অ্যাডের কথা যদি বলেন তো বলব সেটা একটা স্ট্র্যাটেজিও হতে পারে। দ্রেজেবাবু যেমন লিখেছেন, সরকার পাবলিসিটি করে সাধারন মানুষের মধ্যে অ্যাওয়ারনেস আনতে চাইছে, কারন অনেকেই ডিজিটাল ট্র্যানসাকশানের কথা জানেনই না। এটা হয়তো খুব একটা ভুল স্ট্র্যাটেজি না।

    সিকি সময় করে লিখুন।
  • টুংকাটাকিলা | 127.194.229.5 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪০724944
  • স্ট্র্যাটেজিক্যালি অবাস্তব মেসেজ?

    সে ছাড়াও, এই মেরা মোবাইল মেরা ব্যাঙ্কভি মেরা বটুয়াভি - পোটেনশিয়ালি খতরনাক স্ট্র্যাটেজি, কনজিউমারদের পক্ষে।
  • dc | 181.49.217.163 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪২724945
  • আজকের টাইমস অফ ইন্ডিয়াতে দুটো খবর বেরিয়েছেঃ

    http://timesofindia.indiatimes.com/business/india-business/rs-4-lakh-crore-of-cash-deposits-so-far-may-be-suspect-estimates-i-t/articleshow/56245953.cms

    এই চার লাখ কোটির সাসপেক্ট ডিপোজিট যদি ঠিকমতো ইনভেস্টিগেট করা হয়, বিশেষ করে আশি লাখ টাকার ওপরের ডিপোজিটগুলো, তাহলে মনে হয় বেশ বড়ো একটা অ্যামাউন্ট ট্যাক্স রেভিনিউ রিকভার করা যেতে পারে। আমার মনে হয় ডিমনির শক না এলে এভাবে প্যানিকড হয়ে চার লাখ কোটির ডিপোজিট হতো না।

    আরেকটা খবরঃ

    http://timesofindia.indiatimes.com/india/rs-4200-crore-in-dirty-cash-detected-since-november-8/articleshow/56246437.cms

    এই যে চার হাজার দুশো কোটির মানি লন্ডারিং ধরতে পেরে পাঁচ হাজার নোটিস পাঠানো হয়েছে, এই কেসগুলোতেও ঠিকমতো ফয়সালা করতে পারলে মনে হয় ভালোই রেভিনিউ জেনারেট হবে। তবে এই খবরগুলো প্ড়ও আবার মনে হলো যদি সরকারের ঢপে বিশ্বাস করে অনেকেই "ব্ল্যাক মানি" পুড়িয়ে বা নষ্ট করে ফেলতো তাহলে এই কেসগুলো ধরা পড়তো না।
  • dc | 181.49.217.163 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪৪724947
  • টুংকাটাকিলা, আমি যেটা বলতে চাইছি যে পাবলিসিটি ক্যাম্পেনে পজিটিভ দিকটা সব সময়েই এক্সাজারেট করা হয়, সে পোলিও ক্যাম্পেন থেকে লিটারেসি ক্যাম্পেন সবেতেই।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে মতামত দিন