এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তুঘলকি শাসন

    mila
    অন্যান্য | ০৮ নভেম্বর ২০১৬ | ৭৬১৮৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dc | 181.60.218.95 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:০২725049
  • খবরটার হেডিংটা ঠিক লিখেছেঃ Rs 4 lakh crore of cash deposits so far may be suspect, estimates I-T
  • netai | 175.225.104.69 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:০৪725050
  • http://economictimes.indiatimes.com/industry/banking/finance/banking/rs-4-lakh-crore-of-cash-deposits-so-far-may-be-suspect-depositors-likely-to-get-i-t-notice/articleshow/56249384.cms

    এই পেজ থেকে একটা কমেন্ট টুকছি-

    There are 4 Crore tax filers, out of which only a crore so pay tax, out of which hardly a percent is scanned. Not sure where is the resource to go after 60 lakh people. It is easy to scan but not easy to prosecute so many of them. First you send notice, then wait for their reply, then again remind them, else raid them or chargesheet them. In reciprocation the alleged will challemge the observation/chargesheet which will take decades to get resolved. By the time we recover we are all dead to savour the fruit of demonetization. There are myriad complication. In first place there was so much pain in 1 time transaction. Prosecution is multitudes of that. May be Government need to recruit lakhs of revenue inspectors and lawyers which may cost 100 times the potential revenue
  • dc | 181.60.218.95 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:০৬725051
  • হ্যাঁ আগেও লিখেছিলাম, ইনকাম ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টে আরো লোক বাড়ানো উচিত।
  • dc | 181.60.218.95 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:১০725052
  • আরেকটা কমেন্টঃ

    Does income tax department even have the printers to print so many notices? Is it efficient enough to pursue all? Why didn''t the government made IT corruption-free and sufficiently staffed in 2.5 years it was in power before demonetisation? Will all this activity decrease or increase corruption? Won''t IT people use this opportunity to garner more black money for themselves?

    এগুলো চিন্তার বিষয়, প্রিন্টার, কালি, কাগজ ইত্যাদিও যথেষ্ট পরিমানে কেনা উচিত।
  • shibir | 193.82.231.245 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:২৪725053
  • ডিসি-
    ৭৮ এর টা তুলনা করতে বললাম কারণ তখনকার টা অনেক ভালো ভাবে ইমপ্লিমেন্ট করা গেছিলো কারণ তখন লোকের হাতে ৫০০, ১০০০ বা তার বেশির নোট খুব কম থাকতো তাই তখন এখনকার মতো ভুগতে হয়নি । ১০০ এর ওপর কোলাটেরাল ড্যামেজ হয়নি, ৪ লাখ জবলস হয়নি কিন্তু ব্ল্যাক ইকোনমি এর ওপর কোনো লং টার্ম ইমপ্যাক্ট হয়েছিল ? না । যদিও ব্ল্যাক ইকোনমির ইমপ্যাক্ট এখনকার থেকে বেশি হওয়ার কথা কারণ নমিনাল টার্ম এ এখন কোনো বাড়ি থেকে X এমাউন্ট উদ্ধার করা আর তখন X এমাউন্ট উদ্ধার করা এক হলেও রিয়েল টার্ম এ তখনেরটার ভ্যালু অনেক বেশি কারণ ইনফ্লেশন । তাহলে কি দাঁড়ালো ? তখন ভালো ভাবে ইমপ্লিমেন্ট(কম কস্ট আর হাই ইমপ্যাক্ট ) হওয়ার পরও তার কোনো লং টার্ম বেনিফিট কালো বাজারের ক্ষেত্রে আমরা দেখতে পাইনি ।

    এখনকারটায় আরো পাওয়া যাবেনা কারণ প্রথমত এটার টার্গেট৩/১ পার্সেন্ট অফ টোটাল ব্ল্যাক ওয়েলথ। এরপর ১৫ লাখের মধ্যে ১৪ লাখ অলরেডি ফিরে এসেছে মানে একটা বড়ো অংশ সাদা হয়ে গেছে। এবার যারা সাদা করেছে তাদের কিছু কিছু ED ধরছে কিন্তু তারা কিসের বেসিস এ ধরছে সেটা জানিনা । যদি ব্যাঙ্ক ট্রানসাকশান ট্র্যাক করে হয় তবে সেটা কিছুটা ডেমনির জন্যে । কিন্তু এই শর্ট টার্ম বেনিফিটটাও ওয়াশ আউট হয়ে যাবে 1000 এর নোট 2000 দিয়ে রিপ্লেস করার জন্যে ।

    এরপর আসা যাক ক্যাশলেস ট্রান্সাকশনের ক্ষেত্রে কি লাভ হয় । প্রথম কথা ক্যাশলেস এর জন্য ইনফ্রাস্ট্রাকচার নেই কারণ লো ব্যাঙ্কিং পেনিট্রেশন, খাজা মোবাইল নেটওয়ার্ক সার্ভিস, লো ইন্টারনেট এক্সেস । এগুলোর প্রত্যেকেরই কিছু কস্ট আছে তাই প্রত্যন্ত এলাকায় এগুলোর ইম্প্রুভমেন্ট ডিপেন্ড করবে প্রফিটেবিলিটি কন্ডিশনের ওপর । প্রফিটেবিলিটি আবার কিছুটা হলেও ডিপেন্ড করবে সেখানকার লোকেদের ইনকাম, এডুকেশন, লাইফ স্টাইলের ওপর তাই সেখানে ক্যাশলেস ইমপ্লিমেন্ট ওতো সহজ হবে বলে মনে হয়না । আর শহরের কথা যদি বলেন সেখানে ক্যাশলেস অলরেডি ইম্প্লিমেন্টেড সেখানে ডেমন এর কি দরকার ?

    তাহলে শর্ট রান এ কিছু বেনিফিট দেখতে পাচ্ছিনা , লং রান ও হবে বলে মনে হয়না কারণ হলে আগেও হতো আর তাছাড়া লং রান আমরা সবাই মৃত সেটাতো আপনি জানেন । ক্যাশলেস ইমমেডিয়েটলি সম্ভব নয়, লেস ক্যাশ হতে পারে কিন্তু সেটা দিয়ে বিশেষ লাভ কিছু হবেনা। তাহলে হাতে কি রইলো পেন্সিল ? এই জন্যই মনে হয় ডান বাম নির্বিশেষে সবাই মোদিকে গালাগালি দিচ্ছে ।
  • রোবু | 213.132.214.84 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:৪৬725054
  • এটাই করা উচিত ছিল, ওটাও করা উচিত ছিল, এটাও করা হয়নি, এটাও ভুল সেটাও ভুল, এটা করলে বেটার হত, ওটা না করে বাজে করেছে।
    কিন্তু ডিমনি ভালো।
  • dc | 181.60.218.95 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:৪৯725055
  • "এরপর ১৫ লাখের মধ্যে ১৪ লাখ অলরেডি ফিরে এসেছে মানে একটা বড়ো অংশ সাদা হয়ে গেছে"

    এখানটা ঠিক বুঝলাম না। আমি যদ্দুর জানি ব্যাংকে জমা পড়া মানেই সাদা হওয়া না, বরং উল্টোটা। ইন ফ্যাক্ট আইটি এখন মনে করছে আশি লাখের ওপর অনেক ডিপোজিট, যার মোট পরিমান চার লাখ কোটি, সেগুলো ইনভেস্টিগেট করবে। তো এটা কিন্তু কম অ্যামাউন্ট না।

    "এরপর আসা যাক ক্যাশলেস ট্রান্সাকশনের ক্ষেত্রে কি লাভ হয় "

    ঠিক বলেছেন, ডিজিটালের জন্য ইনফ্রা আর রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক নেই। সরকারের উচিত ফ্রেমোয়ার্ক তৈরি করা, কনসিউমার প্রোটেকশান বাড়ানো। আর মিডিয়াম টু লং রানে যদি ডিজিটাল ট্রানসাকশান বাড়ে তাহলে কিন্তু ফর্মাল ইকোনমিও এক্সপ্যান্ড করবে, ট্রান্সাকশান রেকর্ডও হবে বেশী, ট্রান্সপারেন্সিও বাড়বে। আমার মনে হয় এগুলো ডিমনির লাভ।

    আর ডান বাম নির্বিশেষে তো মোদিকে গাল দিচ্ছেই। তবে আমি শুধু আমার মতামতটাই জানাচ্ছি, অজয় দেবগান বা দ্রেজে কি বলছেন সেই মতগুলো না ঃ) আমি এমনিতে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দি, কাজেই মোদি পরের ভোটে হেরে গিয়ে যদি কং এসে এই ডিমনি এক্সারসাইজের পরের স্টেপগুলো কন্টিনিউ করে তো আমার ভালোই লাগবে। কং ডিমনির এগেনস্টে না, এর ইমপ্লিমেন্টেশানের ছড়ানোর বিরুদ্ধে। ডিমনি ইস্যুতে আমি কং এর সাথে একমত।
  • dc | 181.60.218.95 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৬:৫১725056
  • আঃ, রোবু আমার মতামতের চমৎকার সামারি করেছেন। যেহেতু মোটামুটি এটাই কং এর স্ট্যান্ড, তাই আশা করি যেন পরেরবার কংগ্রেস এসে এর পরের স্টেপগুলো কন্টিনিউ করে।
  • sm | 53.251.91.253 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৭:২৮725057
  • কিন্তু ডিসি একটা কথা বুঝলুম না।বলছেন, ৪ লক্ষ কোটির ওপর ডিপোজিট সন্দেহজনক আর ট্যাক্স ডিপার্টমেন্ট ৮০ লাখের ওপর যারা জমা করেছে মোটামুটি ভাবে তাদের জমার ওপর তদন্ত করবে।খুব ভালো কথা। কিন্তু যারা জমা করেছে, তারা কি এতোই গাড়োল যে দুম করে নিজেদের একাউন্টে ১ কোটি ২ কোটি টাকা জমা করে দেবে? কারণ তারা ভালো করেই জানে ৮ ই নভেম্বরের পর বড়ো ডিপোজিট এর ওপর ট্যাক্স ডিপার্টমেন্টের লোকেরা তদন্ত করবেই।ব্যাপারটা এতো সরল মোটেই না।
  • dc | 167.50.99.137 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৭:৩৫725059
  • এতো সরল তো নাই। তবে সবাই নিজের অ্যাকাউন্টে জমা নাও করে থাকতে পারে। দেখা যাক আদৌ কিছু হয় কিনা।
  • bb | 113.227.97.10 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৭:৪০725060
  • জমা না করে করবে টা কি? নোট গুলো কাগজ হয়ে যাবার থেকে ট্যাক্স, পেনাল্টি ইত্যাদি দিয়ে কিছুটা তো বাঁচানো যাবে? তাছাড়া এই ব্ল্যাক ম্যানি ওয়ালারা তো আদৌ সরল নয়। না সরকারী কিছু লোকেরা। খুব ষড়ল ভাবেই ম্যাক্সিমাম টা বাঁচানোর চেষ্টা করবে।
  • dc | 167.50.99.137 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৭:৪৫725061
  • রাইটো।
  • dc | 167.50.250.55 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৭:৫৮725062
  • আরেকটা সম্ভাবনা হলো, এই চার লাখ কোটিটা স্রেফ সরকারের প্রোপাগান্ডা। লেটস সি।
  • sinfaut | 52.106.70.225 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৮:০০725063
  • গীতাতেও এই কথাই লেখা আছে, যা হয়েছে ভালোর জন্যই হয়েছে।
  • dc | 167.50.250.55 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৮:৩৫725065
  • গীতা আর বিগ ব্যাং, এই নিয়েই তো জীবন।
  • dc | 167.50.250.55 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৮:৪১725066
  • cm কে ধন্যবাদ।
  • shibir | 193.82.231.245 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৮:৪৭725068
  • একটা গল্প শুনেছিলাম যে ১৫ এর মধ্যে ৩ লাখ নাকি কালো আর govt প্রেডিক্ট করেছিল যে সেটা নাকি ফেরত আসবেনা । এখন এসে গাছে মানে বেশ কিছু লোক বিভিন্ন উপায় তাদের কালো টাকা সাদা করতে সক্ষম হয়েছে । এখন ed ব্যাঙ্ক ট্রানসাকশান দেখে এদের কে ট্র্যাক করতে পারে আর কালো টাকা উদ্ধার করতে পারে । সেটাই একমাত্র বেনিফিট । এবার দেখুন কত টাকা উদ্ধার হয়।

    আপনি ওই রিগ্রেশন, মাল্টিকোলিনেয়ারিটি না অটোকোরিলেশন বললেননা তো তার জন্য ডেটা চাই সেটা আপনার কাছে আছে কি ? আমার কাছে নেই তাই ওই ইকোনোমিস্টরা কি বলছে সেটা শুনতে হয় ।
  • dc | 181.60.218.95 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৯:২৪725070
  • শিবির ঐ গল্পটা আমিও শুনেছিলাম। ইন ফ্যাক্ট যখন প্রথম শুনেছিলাম তখন থেকে এটাই বুঝতে পারিনি যে টাকা ব্যাংকে জমা পড়বে না কেনো। কারন টাকা বাই ইটসেল্ফ তো কালোও না সাদাও না, যে ইনকামটা আনঅ্যাসেসড সেই ইনকামটা কালো। তো লোকে টাকা ব্যাংকে জমা দেবে না কেন? আমাদের প্রধানমন্ত্রী এন্তার ঢপ দেন, তাই সব টাকা জমা না পড়ার থিওরিটাকেও ওরকম একটা ঢপ হিসেবে ধরে নিয়েছিলাম।

    না আমার কাছে কোন ডেটা নেই। আমি সরকারের মুখপাত্রও নই আর সরকারে চাকরিও করিনা, স্রেফ একজন পাতি প্রাইভেট সিটিজেন মাত্র। তাই ডিমনিতে সরকারের কি টার্গেট, কি স্কোপ, কি এইম ইত্যাদি কিছুই জানিনা, শুধুমাত্র আমার যা মনে হয়েছে তাই লিখেছি। এখানে যা পোস্ট করেছি সবই আমার নিজস্ব ইন্টারপ্রেটেশান (মানে এই না যে ওগুলো শুধুমাত্রই আমার আইডিয়া, প্রায় সবই এখানে ওখানে পড়ে যা মনে হয়েছে তাই লিখেছি)। আর মাল্টিকোলিনিয়ারিটি ইত্যাদি নিয়ে যা বলেছিলাম, দেখুন ওগুলো নেতাইবাবুর প্রশ্নের উত্তরে। যাকে বলে থিংকিং অ্যালাউড।
  • সিকি | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৯:৪০725071
  • সকালে অফিসে বসে খানিক লিখতে শুরু করেছিলাম, কাল পর্যন্ত হয়ে যাওয়া মতামত পড়ে। তবে এখন আলোচনা এতদূর এগিয়ে গেছে, আর লেখাটা দিয়ে লাভ আছে কিনা, জানি না। তবে কপি করেই দিলাম - লেবার দিয়ে লিখেছি যখন। বাকি ব্যাকলগ ক্লিয়ার করে আবার লিখব।

    ইকোনমির নিটি-গ্রিটি না-বোঝা একজনকার বক্তব্য।

    ***********************

    যে কোনও সমস্যা বা চ্যালেঞ্জের সমাধানের বিভিন্ন রকমের অ্যাপ্রোচ হয় - সকলেই জানেন। টপ ডাউন অ্যাপ্রোচ, বটম আপ অ্যাপ্রোচ এই রকম একটা দুটো অ্যাপ্রোচ। আরেকটা অ্যাপ্রোচ আছে - তাকে বলে বিগ ব্যাং অ্যাপ্রোচ। বাংলায় বলে ধর-তক্তা-মার-পেরেক অ্যাপ্রোচ। এই ডিমানির অ্যাপ্রোচটা হয়েছে একেবারে সেই বিগ ব্যাং। আগুপিছু ইমপ্লিকেশন কনসিকোয়েন্স কিচ্ছুটি চিন্তা না করে কালাধন রুখতে হবে, অতএব দে ডিমানি করে।

    ডিসি - কী হলে ভালো হত, বেটার হত, কী হলে হত না, আমরা আর বোধ হয় সে আলোচনার অবকাশে নেই, তবু তর্কের খাতিরে সেগুলো নিয়ে একটু আলোচনা করা যেতেই পারে। আপনার মতে ডিমানি এক্কেবারে ঠিক পদক্ষেপ, কেবল শকটা দীর্ঘমেয়াদী না হয়ে স্বল্পমেয়াদী শক্‌ হলে আরও ভালো হত। একটা হাইপোথিসিস নেওয়া যাক।

    বেশির ভাগ সাপোর্টারই গত একমাস ধরে এই কথাটা বলছেন - ডিমানি সঠিক পদক্ষেপ, কেবল ইমপ্লিমেন্টেশনটা সফলভাবে এক্সিকিউট করা হয় নি, ব্যাঙ্কে টাকার জোগান রাখা হয় নি, এটিএম রিক্যালিব্রেট করে রাখা হয় নি ইত্যাদি।

    ধরুন, আমি প্রধানমন্ত্রী। শপথ নিলাম কালা ধন রুখব। রুখবই - কেউ আমারে দাবায়া রাখতে পারবা না। এখন কালা ধন লোকে কীভাবে নেয়? বাঁ হাতে। আমি হুকুম দিলাম কাল থেকে বাঁ হাতের ইউজ বন্ধ। যাকেই দেখা যাবে বাঁ হাতে কোনও কাজ করছে, অমনি সেগুলো অবৈধ ঘোষিত হবে আর লোকটির বাঁ হাত কেটে ফেলা হবে অন স্পট। তবে চিন্তার কিছু নেই - সবার বাঁ হাত কাটা হবে না, যারা সৎ, বাঁ হাতে ট্র্যানজ্যাক্ট করেন না তাঁদের কোনও চিন্তা নেই। আর যাঁদের কাটা হচ্ছে, তাঁদের একটু রক্তপাত হবে ঠিকই, তবে শিগগিরই প্রচুর প্রস্থেটিক বাঁ হাতের অর্ডার দেওয়া হয়েছে, একে একে সবার বাঁ দিকে ভ্রষ্টাচারমুক্ত হাত লাগিয়ে দেওয়া হবে। সার্জিকাল স্ট্রাইক করে জানুয়ারির মধ্যে দেশ থেকে কালা ধন ইর‌্যাডিকেট করে দেব।

    কেমন লাগছে শুনতে, প্রপোজালটা? উদ্দেশ্য মহৎ, কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু ইমপ্লিকেশন? একশো শতাংশ লোকের কাছেই যে বাঁ হাত আছে!

    যে কারেন্সির সার্কুলেশন ছিয়াশি পার্সেন্ট, প্রপার ব্যাক-আপ কারেন্সির ব্যবস্থা না করেই রাতারাতি তাকে অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া অনেকটা এ রকমই লেগেছে। ব্ল্যাক মানি খতম হোক সবাই চায়, সন্দেহ নেই একফোঁটাও - কিন্তু তাতে মার খেল বেশি তারাই - যাদের ব্ল্যাক মানি নেই বা থাকলেও সেটা ধর্তব্যের মধ্যে আসে না। আর যাদের ব্ল্যাক মানি, যাদের তৈরি করা ব্যাঙ্কের এনপিএ ধরা পড়লে দেশের ইকোনমি রাতারাতি পাল্টে দেওয়া যেত - তাদের কিচ্ছু হল না, কিচ্ছুটি না। তাদের সসম্মানে নিরাপদে দেশ থেকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হল বা ব্ল্যাক মানি হোয়াইট করে দিতে দেওয়া হল, তার ভুরিভুরি উদাহরণ আমরা দেখে ফেললাম এই দেড় মাসে।

    টপ ডাউন অ্যাপ্রোচ নেওয়া যেতে পারত, আগে রাঘববোয়ালদের আইডেন্টিফাই করো, তাদের ট্যাক্সের জালে জড়াও, টাকা উদ্ধার করো, তাই দিয়ে সমাজকল্যাণমূলক কাজ করে গ্রাসরুট লেভেলের কাছে নিজের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়াও, তারপরে সাধারণ মানুষকে অ্যাটাক করো।

    বটম আপ অ্যাপ্রোচ নেওয়া যেত - ব্ল্যাক মানি তো জাল টাকা নয়, সিস্টেমের কোনও না কোনও স্তরে সেটা ব্যাঙ্কেই জমা থাকে, সেখান থেকে টাকা তুলে লোকে ক্যাশ বানায় আর ব্ল্যাক মানি দেয়। আমিই দিয়েছি। এফডি ভেঙে ক্যাশ তুলে বিল্ডারকে ক্যাশে পে করেছি। এইখানে যদি ক্যাপ লাগানো শুরু করা হত, আমার মতে সেটা একটা দারুণ স্টেপ হত - পাঁচ লাখের ওপরে ক্যাশ উইথড্র হলেই স্ক্রুটিনি বাড়াও, টাকা কোথায় কোন খাতে যাচ্ছে তার ডিক্লারেশন চাওয়া হোক - বা ট্যাক্স ইমপোজ করা হোক, যাতে লোকে একসঙ্গে এত টাকা তুলতে না পারে। আলাদা অ্যাকাউন্ট থেকে তুললেও প্যান বা আধার কার্ডের মাধ্যমে গল্পটা যাতে লিঙ্ক করে ফেলা যায়। ইউপিআই যাতে সমস্ত ব্যাঙ্ক ইমপ্লিমেন্ট করে, এবং লোকে যাতে তার মাধ্যমে পেমেন্টে উৎসাহী হয় তাতে সরকার ব্যাঙ্কগুলোকে বাধ্য করতে পারত অ্যাগ্রেসিভ ক্যাম্পেইনিং শুরু করার জন্য। লোকে যাতে আরও শস্তায় আরও সহজে ইন্টারনেট ইউজ করতে পারে - বা বিনা ইন্টারনেটে টাকা ট্রান্সফার করতে পারে - সেইসব ইনফ্রাস্ট্রাকচার বাড়িয়ে দেওয়া যেত, তারপরে এই ডিমানি করা যেতে পারত, অ্যাজ সাচ কোনও ইমপ্যাক্ট পড়ত না। শুধু জনধন অ্যাকাউন্ট আর সর্বশিক্ষা অভিযানের স্কিম নামিয়েই যদি কোনও জননেতা মনে করেন আমি সব করে ফেলেছি, এখন লোকে অ্যাকাউন্ট ওপেন কা করলে সেটা তার দোষ, আমার নয় - তা হলে বলব সেই জননেতা ভারতকে চেনেন নি, তাঁর থেকে ভারতকে আমি বেশি চিনি। ফিনল্যান্ডে কী হয়, অস্ট্রেলিয়াতে কী হয়, ঘানাতে কী হয় - তাই দিয়ে ইন্ডিয়াতে কী হবে সেটা প্রেডিক্ট করা যায় না, যাবে না। ইন্ডিয়া দুনিয়ার সমস্ত দেশের থেকে আলাদা রকমের। এখানকার ইকোনমি আলাদা, এখানকার ডেমোগ্রাফি আলাদা, এখানকার রিলিজিয়াস স্পেকট্রাম আলাদা। ... রিলিজিয়াস বলতে মনে পড়ল, মন্দির মসজিদ গির্জার গচ্ছিত সম্পত্তি - স্থাবর বা অস্থাবর - সেগুলোকে ট্যাক্সের আওতায় আনা উচিত ছিল। হাজার রকমের অপশন ভেবে দেখা যেত।

    কিন্তু মোদীবাবু ভাবেন নি। তিনি সার্জিকাল স্ট্রাইক নিয়ে এতই মোহিত ছিলেন, দেশের ৮৬% ক্যাশ রাতারাতি হাপিশ করে দেবার আগে একবারও ভাবলেন না এর পরিণতি কী হবে। নাড়া খেল, ধাক্কা খেল দেশের লোক, দেশের ইকোনমি। কিন্তু বড় করুণ এ ধাক্কা। সরকার খুন করল এতগুলো লোককে, যেখানে বড় বড় ডিফল্টাররা পার পেয়ে গেল। ক্যাশের জোগান কীভাবে হবে সে সম্বন্ধে কোনও গাইডলাইন নেওয়া হল না, সাইজ আলাদা করে সরকারের খরচাই বাড়ল, এত এটিএম রিক্যালিব্রেট করতে হল, কিন্তু সাইজ বদলে লাভটা কী হল কেউ বুঝতে পারল না, পারবে বলে মনেও হল না।

    মোদীবাবুকে সমস্ত কালাধন এক রাতেই উদ্ধার করতে হত। বিগ ব্যাং অ্যাপ্রোচ। ওপরের এক বা একাধিক পন্থা নিলেই ধীরে ধীরে অনেক কালা ধন মেন ইকোনমিতে ফেরত আসত। পাঁচশো ব্যান না করে শুধু হাজার টাকার নোট ব্যান করতে পারত। কিন্তু ওই - কে যেন ভেবে নিয়েছে গরীবরা তো পাঁচশো হাজারের নোট চোখেই দ্যাখে না, ওরা তো তেইশ টাকায় দিন চালায়, ওদের কোনও অসুবিধে হবে না। দেশের থেকে, দেশের লোকের থেকে কতখানি ডিসকানেক্টেড হলে এই সব লাইনে চিন্তা করা যায়।

    ***************************

    এবার আসি ট্যাক্সের গল্পে।
  • সিকি | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৯:৪২725072
  • আচ্ছা, ট্যাক্সের গল্পটা আপাতত কাটিয়ে দিলাম। আগে পড়ি।
  • সিকি | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৯:৫০725073
  • আর এদিকে মোদীবাবু আজ ভিম নামে একটা মোবাইল অ্যাপ লঞ্চ করেছেন, ইউএসএসডি বেসড। একটু নেড়েচেড়ে দেখি।
  • dc | 181.60.218.95 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৯:৫৯725074
  • সিকির লেখা পড়তে খুব ভালো লাগলো, বেশ লজিকালও মনে হলো। ইন ফ্যাক্ট আমাকে যদি কেউ বলতো যে আমি কালো টাকা উদ্ধার করতে চাই, তাহলে হয়তো আমিও অনেকটা এভাবেই আমার মতামত দিতাম।

    কিন্তু.......এখানে একটা বড়ো কিছু আছে, সেই কিন্তুটা হলো, ডিমনি নিয়ে আমাকে কেউ কিছু জিগ্যেসও করেনি, আগে থাকতে কিছু জানায়ওনি। এটা আমার কাছে কোন আ প্রায়োরি ডিসিশান না, স্রেফ একটা গিভেন ডিসিশান, যেটা নেওয়ার পর আমি জেনেছি। আর নেওয়ার পর যতটুকু চিন্তা করেছি, তাতে মনে হয়েছে ডিসিশানটা ঠিক ছিল। ডিমনি ডিসিশান নেওয়াটাকে আমি ভুল বলতে পারছিনা। কেন ঠিক ছিল সেই দুটো প্যারামিটারও বারবার আলোচনা করেছি। কিন্তু এর এক্সিকিউশানে অবশ্যই মনুমেন্টাল ফেলিওর হয়েছে, এর প্ল্যানিং অবশ্যই আরো বেটার হওয়া উচিত ছিল।
  • dc | 181.60.218.95 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ২০:০১725075
  • ট্যাক্স নিয়েও লিখুন।

    ভীম অ্যাপটা আজকে ইনস্টল করবো না। কদিন যাক, কয়েকটা গিনিপিগ খুঁজে বার করি, তারপর ভেবে দেখবো :p এইসব সরকারি অ্যাপে আমার বেশ ভয় আছে।
  • T | 229.75.11.86 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ২০:০৭725076
  • কেউ এবার একটু কথা ঘোরাও, না হলে ডিসি বলতেই থাকবে যে এক্সিকিউশনটা বাজে হয়েছে। ঝালাপালা হয়ে যাচ্ছে এবার।
  • dc | 181.60.218.95 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ২০:১০725077
  • হ্যাঁ এবার খানিক অন্য আলোচনা হোক নাহয়।
  • b | 24.139.196.6 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:১৪725078
  • মানে ধরুন সেই প্রাচীন সিলেটি প্রবাদটি

    অচরিতের লীলে খেলা/ পা** গিয়া হা** দিলা।

    মানে পা*র ডিসিশন টা ঠিকই ছিলো, শরীর থেকে গ্যাস বার করতে এর থেকে ভালো উপায় আর হয় না। শুধু এগসিকিউশনটা বাজে হল।
  • রোবু | 55.123.162.247 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:৫৫725079
  • বি-বাবু, এটা কপি করে ফেবুতে দেব?
    না বল্লেও দেব।
  • রোবু | 55.123.162.247 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১৬ ২২:৫৬725081
  • স্টারগুলো সরিয়ে একবার দেবেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন