এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রাইভেট হাসপাতালের ওপর নজরদারি - প্র্যাক্টিকালি কী করা যায়?

    pinaki
    অন্যান্য | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ১৫৮০৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • PT | 213.110.242.22 | ০২ মার্চ ২০১৭ ০৭:২৯728156
  • স্বাস্থ্য নিয়ে বামেদের ধুয়ো তুললাম? কোথায় দেখলেন?
    নাকি মুলোদের ৬ বছর ক্ষমতায় থাকার পরেও বামেদের স্বাস্থ্যব্যব্স্থার উল্লেখ করে মুখ ঢাকতে হচ্ছে?
    তবে পব-র স্বাস্থ্যব্যব্স্থা যে ক্রমশঃ উন্মাদ ও লুম্পেনদের হাতে চলে যাচ্ছে সে ব্যাপারে সন্দেহ নেইঃ
    Trinamul MLA and Dinhata municipality chairman Udayan Guha today announced a ceiling on the consultation fees charged by private medical practitioners within the civic area amid questions whether he has the authority to do so.........
    .......Guha announced that private practitioners in Dinhata would not be allowed to charge more than Rs 250 for consultation. If the patient has to go back to the doctor for another consultation within 10 days of the first visit, the charge cannot be more than Rs 125.
  • sg | 135.20.82.164 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১০:২৮728158
  • এ পাতায় ডাক্তারদের কেউ লিখছেন না কেন? তাদের মতামত বা perspective টা জানা খুব জরুরী কিন্তু।
  • pi | 174.100.177.10 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১০:৩৮728159
  • গ্রুপে অনেক ডাক্তারের পোস্টই পড়ছে।

    একটা পেয়েছিলাম।
    Yesterday night was on night duty. At night 1am got a call from casualty that a patient collapsed.
    Ran to reach asap.
    Took history
    25 year old female with a known history of ASTHMA SINCE 12 YEARS
    And HYPOTHYROIDISM since 2 years and stopped medications on her own since 6 months
    Patient severely dyspneic and Oxygen was not reaching her lungs. Bilateral no air entry Saturation was falling and she was completely unresponsive.
    Husband was standing besides.
    We asked his consent regarding mechanical ventilation need and he gave a strange look but agreed(he said ohhh i knew you would ask for ventilator consent). I sent them out for intubation procedure and to fill up forms as there was not more than 30 secs left for me to decide what to do next.
    With dyspnea for so long and exhaustion, during process of intubation of trachea and lungs she developed a cardiac arrest. With a exhausting 30 mins of cardio pulmonary resuscitation we revived the patient.
    Her Blood pressure was falling and we started on Inotropes to keep her alive.
    Till then he had not signed the consent form but i had taken a chance having trust on him that he wont backtrack.
    Now after intubation he came with tears in eyes and said whats need for signature doctor. She's dead and please declare. I am ready for any worst consequence.
    I tried reasoning with him, please see the monitor her heart is working now. Please feel her pulse its bounding now. He was not satisfied and kept on saying shes no more and said all hospitals and doctors do this for money.
    I was completely heartbroken. All your exhausting efforts were shown the garbage bin in a single sentence.
    Truly speaking even with such negativity i had little hope she would make it to the morning to prove that not all doctors are businessmen. I didnt have the conviction to forcefully tell him that she will make it just dont insist on removing the ventilator, afterall shes a young lady of 25 years, her heart can take a arrest in stride and still move on. She doesnt deserve to die because you her husband dont trust me the doctor.
    Anyways just gave all medicines myself and my medicine specialist friend at that moment and just prayed to God.Yes we doctors pray for our patient. No doctor wants his patient to die.
    At 4 am she showed a sign of struggle. Somehow she removed her endo tracheal tube. Again an emergency for me to re intubate. Again the need for explaining to someone who shows no sign of trust.
    Anyhow re intubated her. And dunno when i caught dozed off at around 5:30am. Got up at 6:15am and saw she was signs of recovery and i took a quick bath and visited her again at 8:20am. She was wide awake asking me for water but she was intubated. She was comfortable.
    I cried inside but with a joy within. Just looked at the husband and said politely
    "SHE WAS NOT DEAD YESTERDAY, SHE'S NOT DEAD NOW"
    THANK YOU SOCIAL MEDIA for all the help.
    Copy and pasted from The Anaesthetist Group. Kudos to Dr Sahoo for his efforts.
    It's for all non medical friend to go through it.
    Message copied.

    https://www.facebook.com/arijit.naskar.98/posts/1604196266272173
  • pi | 174.100.177.10 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১০:৪৬728160
  • কেয়াদির লেখায় ডঃ অরুণাচল দত্ত চৌধুরির একটা পোস্টও রইলো, ওঁর অনুমতি নিয়ে।

    Arunachal Dutta Choudhury
    The word "hospital" comes from the Latin hospes, signifying a stranger or foreigner, hence a guest. Another noun derived from this, hospitium came to signify hospitality, that is the relation between guest and shelterer, hospitality, friendliness, and hospitable reception. By metonymy the Latin word then came to mean a guest-chamber, guest's lodging, an inn. Hospes is thus the root for the English words host (where the p was dropped for convenience of pronunciation) hospitality, hospice, hostel and hotel.

    যিনি হোটেল না খুলে হাসপাতাল খুলেছেন, বুঝতে হবে তিনি যথেষ্ট বুঝে শুনে লাভের কড়ির হিসেব করেই তা’ করেছেন। এই সহজ সত্যিটা ভুলে যাওয়ার ন্যাকামির সত্যি কোনও মানে হয় না।

    সরকারি হাসপাতাল কি ব্যবসার বাইরে? সমস্ত চিকিৎসা ফ্রিয়ের নামে গুচ্ছের রুগীকে মেঝেতে শুইয়ে কম সংখ্যার ডাক্তার আর তার চাইতেও কম নার্সিং স্টাফ দিয়ে ভোটব্যবসা জিইয়ে রাখা, এটা ব্যবসা না? সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা ফ্রিয়ের নামে আলট্রাসোনোগ্রাফির ডেট পড়ছে আট ন’মাস বাদে। টিকিট কাটার লাইনে একঘণ্টা, ডাক্তারের ঘরের সামনে লাইনে একঘণ্টা আর ডাক্তারের সাথে সাক্ষাতকার দেড় থেকে দু’মিনিট, এই হেনস্থার মাঝে কমিউনিকেশন… সে কোথায়? ডাক্তার যাঁর তথাকথিত বিবেক আছেও ধরে নিলাম, তাঁকে কিন্তু একটানা দেখে যেতে হবে দেড়শ’ বা দু'শ… হয়তো বা তারও বেশি মানুষকে, ভোটব্যবসায়ীদের ভাষায় এইলিং হিউম্যানিটিকে। সমস্ত ওষুধ যদি ফ্রিতে তবে ন্যায্য মূল্যের দোকান কী ও কেন? সমস্ত পরিষেবা বিনামূল্যে হবে যদি, পিপিপি মডেলের প্যাথলজি ল্যাব কী ও কেন? সমস্তটাই ভোটব্যবসার অবশ্য করনীয় ভান। আর যাঁদের মানে যে ডাক্তারবাবুদের চোখের চামড়া নেই? সরকারি হাসপাতাল তাঁদের মৃগয়াক্ষেত্র। সম্ভাব্য হরিণশাবক তথা আরোগ্যকামীকে চেম্বারের চাঁদমারিতে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়াই তাঁদের একমাত্র ধ্যানজ্ঞান। এই মেধাবী শয়তানদের রুখবে কে? আমাদের হাসপাতালের প্রাক্তন হাউসস্টাফ চাকরি নিয়ে গেছে সুদূর মফসসলে। দেখা হতে জিজ্ঞেস করলাম। সগর্বে বলল হেলথ সেন্টারে থাকে হপ্তায় দু’দিন। বাকি পাঁচদিন শহরতলিতে ফিরে নার্সিং হোম আর প্র্যাকটিস। করদাতার টাকার এই নয় ছয় ভোটব্যবসায়ীরা জানেন না বললে মানতে হবে। আঙুলের টিপছাপের ব্যবস্থা আছে? তাতে কি? সকালে দাঁত মাজার পরই টিপছাপ দিয়ে ট্রেনে চেপে প্র্যাকটিস করতে চলে যান অন্য শহরে, আবার রাত ন’টায় বাড়ি ফেরার পথে টিপছাপ, এমন উদাহরণও বিরল নয়। কাজেই সরকারি হাসপাতাল হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন এক জায়গা, যেখানে ভয় নাই(আসলে যথেষ্টই ভয় আছে), ভরসাও নাই।

    বেসরকারি, কর্পোরেট অথবা অকর্পোরেট যে হাসপাতাল, সে’খানে মালিকপক্ষের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলেন অতি আজ্ঞাবহ এই মেধাবী চিকিৎসককুল। এঁদের নূনতম রোজগার বছরে আধ কোটি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার কয়েকগুণ। করুন… তাঁরা রোজগার করতে থাকুন। কিন্তু মাথা নীচু করে এই নৈরাজ্য যা কিনা ওভারবিলিং, ফলস স্টেটমেন্ট ইত্যাদি তাঁরামেনে নেন অম্লানবদনে, এ’টাই ভারি আশ্চর্যের। অথচ তাঁরা জানেন সহকর্মী নার্স বা প্যারামেডিক্যাল টেকনিক্যাল স্টাফেরা কত কম মাইনেতে কত খাটতে বাধ্য হন। আজকেই এক বড় হাসপাতালের কর্মকর্তা মিটিংএ বললেন তাঁদের হাসপাতালে নার্সেরা থাকছেন না। কেন? সহজ কথা, ওই কম মাইনের জন্য। ব্যবসায়ী কর্তৃপক্ষ বোঝে শুধু নিজের মুনাফা। যে জানে কিছু মেধাবী চাকর(পড়ুন ডাক্তার)কে অন্যায় লভ্যাংশের কিছুটা ছিটিয়ে দিলেই কাজ চলে যায়। সেই চাকরকে রূঢ় অথচ মিষ্টি গলায় মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দিতে হয় নতুন কেনা যন্ত্রপাতির প্রোজেক্টের ভায়েবিলিটি বজায় রাখার কথা।

    আর আজকের ওই বৈঠক? মিডিয়ার তারস্বরে প্রচার? স্টেন্টের দাম কমানো?
    হে দরিদ্র ভারতবাসী হে মূর্খ ভারতবাসী হে ইনশিওরেন্সধন্য ভারতবাসী হে ইনশিওরেন্সহীন ভারতবাসী, স্বাস্থ্যসম্বন্ধীয় এই নাটকের সবটাই ভোটব্যবসার ফুয়েল। এই ভারতে প্রাণ ফুরোয় কিন্তু ভোট ফুরোয় না। চিকিৎসা প্রত্যাশী আগত হে বাংলাদেশী, লজ্জায় তোমার কথা আর বললাম না।

    তা’ সত্ত্বেও আমরা মানে বোকা চিকিৎসাকামীরা আর চিকিৎসাকর্মীরা এক অলীক সুদিনের স্বপ্ন(আজ্ঞে হ্যাঁ, স্বপ্নই) দেখব, দেখেই চলব।
    মানে,
    স্বপন যদি মধুর এমন, হোক সে মিছে কল্পনা…
    জাগিয়ো না আমায় জাগিয়ো না।
  • pi | 174.100.177.10 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১০:৫৬728161
  • ডঃ কৌশিক দত্তর একটা পোস্ট।

    একটা প্রশ্ন নাকি খুব আলোড়ন ফেলে দিয়েছে সম্প্রতি। ঘুরেফিরে প্রশ্নটা আমার কাছেও এল বিরাট জিজ্ঞাসা চিহ্ন সমেত। রাত দুটোয় যদি ডাক্তারকে উঠে হাসপাতালে রোগী দেখতে ছুটতে হয়, তাহলে পেট্রলের খরচ কে দেবে? (পাশাপাশি আরেকটা তর্ক চক্কর দিচ্ছে, ডাক্তারের মার্সিডিজ থাকা উচিত কিনা?)
    এই প্রশ্নের উত্তর দেবার জন্য আমি একেবারে অনুপযুক্ত লোক। আমার কোনো গাড়ি নেই। মার্সেডিজ দূর, মারুতিও নেই। আগে যেখানে থাকতাম, সেখান থেকে অটো না পেলে দেড় মাইল হেঁটে, তারপর একবার ট্রেন বদল করে হাসপাতালে আসতাম। ভয়ানক ভিড়, সবার জন্যই যেমন হয়। এই যাতায়াতে আমি রীতিমত অভ্যস্ত ছিলাম। এর জন্য প্রয়োজনীয় ক্যারাটে, যুযুৎসু, ইত্যাদির প্রশিক্ষণও হয়ে গিয়েছিল পথ চলতে চলতেই। কিন্তু কয়েক বছর অন্য শহরে হাসপাতাল ক্যাম্পাসে থেকে অভ্যেসে মরচে পড়ে গেছে। বাকি সবকিছু সহজে করতে পারলেও রাতে ফেরার সময় দমদমে নামার কাজটা বেশ কঠিন মনে হতে লাগল। একদিন কনুইয়ের গুঁতো খেয়ে নাক ফাটার পর বুঝতে পারলাম বুড়ো এবং অপদার্থ হয়ে গেছি। অগত্যা দক্ষিণ কোলকাতায় বাসা ভাড়া নিলাম।
    এখন যেখানে থাকি, সেখান থেকে দু'প্রস্থ রেল লাইন ডিঙিয়ে মিনিট কুড়ি হেঁটে হাসপাতালে পৌঁছে যেতে পারি। রোজ সেভাবেই যাই এবং ফিরি। অসুবিধে হয় না। রাতেও ওভাবেই যাই। পেট্রল আদৌ খরচ হয় না, তবে কুকুরে তাড়া করে মাঝে মাঝে। অস্বীকার করব না, দলবদ্ধ মাঝরাত্তিরের কুকুরকে একটু ভয় পাই। কামড়ে দিলে, যদি একেবারে পেড়ে ফেলতে না পারে, তাহলে ইঞ্জেকশন বাবদ হাজার দুয়েক টাকা যাবে। কে দেবে? আমাকেই দিতে হবে। বাবা তো নেই, থাকলে দিত। অবশ্য মা আছে এখনো, চাইলে নির্ঘাত দেবে।
    কর্পোরেট হাসপাতালে কাজ করি। টাই পরি না। জামা-কাপড় বেশিরভাগ পুরোনো। (কদিন আগে একটা জামার বিষয়ে এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলেছিল, "একেবারেই জেল্লা নেই। কতদিনের?" মনে পড়ল ঐ জামাটা ১৯৯৯ সালে কেনা, বিশেষ উপলক্ষে। সবে আঠারো হল। হাতের কাছে পেয়েছি, পরে ফেলেছি।)
    যাহোক, ম্যাদামারা চেহারা। তারওপর গাড়িও নেই। এত অপরাধ সত্ত্বেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কর্পোরেট হাসপাতাল আমাকে তাড়িয়ে দেয়নি, এমনকি প্রশ্নও তোলেনি। প্রশ্ন বরং তুলেছেন রোগীরাই নানা সময়ে। আমার বহুদিনের এক চেম্বারের পাশেই বাস স্ট্যান্ড। আমি যথারীতি সেখানে বাস থেকে নামতাম। ফুটবোর্ডে দৃশ্যমান থাকতাম। দেখেই সবাই বলত, "এই তো ডাক্তারবাবু এসে গেছেন।" কেউ কেউ প্রশ্ন তুলতেন, "গাড়ি নেই? তাহলে কি ভালো ডাক্তার হবে? বড় ডাক্তার কেউ নেই এখানে?"
    ডাক্তারের মার্সিডিজ নিয়ে আমারও একটু কিন্তু আছে। আতিশয্যবর্জিত জীবনযাত্রাই শোভন। বিলাসী ডাক্তার অশ্লীল ব্যাপার। কিন্তু পাশাপাশি এটাও সত্যি, ডাক্তার মার্সিডিজ থেকে অবতরণ করলে আপনিও বুকে বল পাবেন, আর বাস থেকে নামতে দেখলে জিজ্ঞেস করবেন, "বড় ডাক্তার কেউ নেই?" সমস্যা হল, ডাক্তারেরা এই কথাটা জানে।
  • PT | 213.110.242.22 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১০:৫৯728162
  • @b
    ভাই তুমিই দেখ আর অনুধাবন কর কেন আমি বারংবার ময়ূরপুচ্ছধারী কাকের কথা মনে করাই।
    বাঙালীর ক্রমবর্ধমান দ্বিচারিতা বেজায় ক্লান্তিকর।
  • d | 144.159.168.72 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১১:০৮728163
  • অরুণাচলবাবুর পোস্টটা ভাল লাগল। মাঝেমধ্যেই যা কান্নাকাটি দেখছি ডাক্তারদের নাকি ভয়ানক অন্যাভাবে গালি দিচ্ছে লোকে, বেচারা সরোল গোলগাল মাল্টিস্পেশালিটির =ডাক্তারগণ ...
    সেখানে ওনার পোস্টটা সত্যি খুব ভাল লাগল।
  • d | 144.159.168.72 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১১:১০728164
  • অরুণাচলবাবুর পোস্টটা ভাল লাগল। মাঝেমধ্যেই যা কান্নাকাটি দেখছি ডাক্তারদের নাকি ভয়ানক অন্যায়ভাবে গালি দিচ্ছে লোকে, বেচারা সরোল গোলগাল মাল্টিস্পেশালিটির ডাক্তারগণ ।।।
    সেখানে ওনার পোস্টটা সত্যি খুব ভাল লাগল।
  • pi | 174.100.177.10 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১১:৩৪728166
  • রাকার একটা পোস্ট ও শেয়ার করতে ইচ্ছে হল। ওর অনুমতি নিয়েই করলাম। যদিও এটা দঃ কোরিয়ার কথা। কিন্তু এই সদ্ব্যবহার আর সদিচ্ছাটুকুন থাকলেও অনেক কিছু করা যায় বোধহয়।
    সরকারের দিক থেকে ব্যয়ভার বহনের ব্যাপার তো আছেই।

    আর ইংরাজী না জেনেও দেশগুলো এত্কিছু এত ভালভাবে করে, মানে করাই যায় দেখেও ভাল লাগে।

    তবে আমাদের দেশে ব্যস্ত সরকারি হাসপাতালে প্রচণ্ড চাপ এসবের জন্য একটা বড় ডেটারেন্ট। সেখানে আবার কথা উঠবে ডাক্তার, নার্সের অপ্রতুলতার।
    সমস্যা নানা ডালপালা মেলে একেবারে জট পাকিয়ে আছে।

    Raka Dasgupta

    ডক্টর জুং -এর কথা মাঝে মাঝেই মনে পড়ে।
    দক্ষিন কোরিয়া যাওয়ার পরে ইনস্টিটিউটের কর্মচারীরাই বলে দিয়েছিলেন, অসুখ-বিসুখ হলে হিয়োজা মার্কেটে ডক্টর জুং-এর কাছে যেতে। ওঁর কাছেই কেন? " উনি ইংরেজি জানেন, তোমার সুবিধে হবে।"
    এটা সত্যি একটা জরুরি ব্যাপার। কারণ ওদেশে ডাক্তার হলেই যে তিনি ইংরেজি জানবেন এমন নয়। উচ্চশিক্ষা ওখানে পুরোপুরি মাতৃভাষায় হয়, ফলে একবর্ণ ইংরেজি না জেনেও মেডিক্যাল এডুকেশন সম্ভব। ওখানকার ভারতীয় বন্ধুরাই বলত, দৈবাৎ কাউকে যদি হাসপাতালে যেতে হত - এমনিতে চমৎকার ব্যবস্থা, আন্তরিক ব্যবহার, কিন্তু ভাষা নিয়ে প্রচন্ড সমস্যা। কী হয়েছে বুঝিয়ে বলাই তো মুশকিল।
    প্রথম কীসের জন্য ডক্টর জুং -এর কাছে গিয়েছিলাম মনে নেই। হয়তো জ্বর-টর। দেখলাম, ভারী হাসিখুশি মাঝবয়সী ভদ্রমহিলা। পিছনের শেলফে ক্রনিকলস অফ নার্নিয়ার পুরো সেট। দেখেই মন ভালো হয়ে গেল। যে ডাক্তার রুগী দেখার ফাঁকে ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া পড়তে ভালোবাসেন, তিনি যে সব অসুখ সারিয়ে দিতে পারেন সে ভরসা আমার তখনও ছিল, এখনও আছে।
    ওষুধপত্র লিখে দিলেন। আমার স্বভাব হল, চোখকান বুজে কোনও ওষুধই খেতে পারি না। এটা কী, ওই ওষুধটা কী কাজ করে, আমার কিন্তু অমুক অমুক গ্রুপে অ্যালার্জি-ওসব দেন নি তো, ইত্যাদি বহুবিধ প্রশ্ন আমার। জুং-দিদি যত্ন করে সব বুঝিয়ে দিয়ে বললেন -" তুমি তো পোস্ট ডক? বায়োসায়েন্সের, না?"
    " না না, ফিজিক্সের"
    চোখ গোলগোল করে বললেন, তাহলে এত টেকনিকাল বিষয়গুলো কী করে জানলে!
    একবার ভাবলাম বলি, ওটা বাঙালি হওয়ার লক্ষণ। আমরা আসলে সবাই একেকজন স্বাস্থ্যবিশারদ! বলিনি অবশ্য। বাইরে বসে থাকা কর্মচারীদের কাছে বিল মিটিয়ে ফিরে এসেছি।
    ওদেশে চিকিৎসা বহুমূল্য। ডাক্তারের ফিজ, ওষুধের দাম সব কিছুই আকাশছোঁয়া, হেলথ ইনশিওরেন্স না থাকলে। তাই সরকারের তরফ থেকে সাহায্যও আছে অঢেল। আমরাই যেমন বিদেশী, আমাদের তো আর ব্যক্তিগত ইনশিওরেন্স নেই। কিন্তু ওখানে দীর্ঘকালীন থাকার যে অনুমতিপত্র, " এলিয়েন রেজিস্ট্রেশন কার্ড" , তার মধ্যেই আমাদের পেশাগত ও অন্যান্য সব তথ্য ঢুকিয়ে রাখা, সেই সঙ্গে সাবসিডাইজড চিকিৎসার সুযোগটিও। (রিসার্চ ভিসা জিনিসটা এমনিতেও শুনেছিলাম ওখানে সর্বোচ্চ মর্যাদার ভিসা ক্যাটেগরিতে পড়ে, ফলে সুযোগ সুবিধে বিস্তর) । ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলেই প্রথমে ওঁরা ওই কার্ডটি চেয়ে নিয়ে সিস্টেমে ঢুকিয়ে দেন। তারপর ডাক্তারের ফিজ হোক বা তাঁর প্রেসক্রিপশন নিয়ে গিয়ে দোকানে ওষুধ কেনা - আমাদের খরচ সামান্যই, বাকি ব্যয়ভার সরকারের।
    আমার এক ভারতীয় বন্ধুর স্ত্রী ওখানে সন্তানসম্ভবা হয়ে পড়ে। এবার, ওখানে গর্ভকালীন সমস্ত চিকিৎসার দায় ও খরচ সরকারের। আমার বন্ধু সেটা জানত না, ফলে নিজের খরচে ডাক্তার দেখিয়েছিল প্রথম দুতিন মাস। ভুলটা টের পাওয়ার পর ওদের যত না দু:খ, তার চেয়েও বেশি আপশোশ স্বাস্থ্যকর্মীদের। কী করে প্রায়শ্চিত্ত করা যাবে? তাঁরা সিদ্ধান্ত নিলেন , যেহেতু ওই দম্পতি অলরেডি বেশ কিছুটা বাড়তি খরচ করেই ফেলেছেন, ক্ষতিপূরণস্বরূপ সন্তানজন্মের পর ভ্যাক্সিনেশন ইত্যাদির খরচ সরকার থেকে দিয়ে দেওয়া হবে।
    একবার সায়ন ছুটিতে এসেছে আমার কাছে, কী একটা শরীর খারাপ হল। জুং দিদিমনির কাছে নিয়ে গেলাম। প্রেসক্রিপশন লিখতে লিখতে আমায় বললেন, " তোমার নামেই লিখলাম। তোমার হাজব্যান্ড তো এদেশে এমপ্লয়েড না, ওর নামে লিখলে ওষুধের দাম অস্বাভাবিক বেশি নেবে। কেন অত দেবে?"
    আড়াই বছর ওখানে ছিলাম। তার মধ্যে শরীরের কলকব্জা যতবার বিগড়েছে, ডক্টর জুং সামলে দিয়েছেন। একবার রাস্তায় আছাড় খেয়ে কাঁধে, পায়ে বিশ্রী চোট। লিগামেন্ট জখম, ওদিকে রক্তারক্তি। কদিন ইনস্টিটিউট যেতে পারিনি। সেও কোনও স্পেশালিস্ট ডাক্তার বা হাসপাতালে যেতে হয়নি। ডক্টর জুং তাঁর সহকারিণীদের নিয়ে কদিনের শুশ্রূষায় সারিয়ে দিয়েছিলেন। ক্রনিকল অফ নার্নিয়া পড়া ডাক্তাররা পারেন। তাঁদের নিজস্ব আসলান থাকে যে!
  • dc | 132.174.90.31 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১১:৪২728167
  • ইশ আমি যদি এরকম কোন ডাক্তারের খোঁজ পেতাম যিনি ক্লিনিকে ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া সাজিয়ে রাখেন! চোখ বুঁজে সারা জীবন ওনার কাছে চিকিৎসা করাতাম।

    আর আমিও ওষুধ, রোগের খুঁটিনাটি জিগ্যেস করে নি, তবে আমি প্রথমেই হাত তুলে দি এই বলে যে আমি ডাক্তারির কিস্যু জানিনা। অনেক ডাক্তারই দেখেছি ধৈর্য ধরে সব কিছু বুঝিয়ে বলেন, একবার কোমরের ব্যথার ডাক্তার তো একটা প্লাস্টিক মডেল বেঁকিয়ে চুরিয়ে নানান ভাবে জয়েন্ট, লিগামেন্ট ইত্যাদি অনেক ব্যপার বুঝিয়েছিলেন। অবশ্য সেসব ভুলেও গেছিলাম, মাস কয়েক পর ওই মডেলটা দেখিয়ে একই প্রশ্ন আবার করেছিলাম। তাও, ক্রনিকলস অফ নার্নিয়া! এরকম ডাক্তারের খোঁজ পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার।
  • Ekak | 53.224.129.61 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১১:৪৯728168
  • আমার তো স্টিফেন জনসন হিস্ট্রি আছে । ওটা ডাক্তারদের বললে এমনিতেই ব্যস্তসমস্ত হয়ে পড়েন এবং বুঝিয়ে দেন কোন ওষুধে কী আছে , সমস্যা হবে না ইত্যাদি ।

    আরেকটা ছোট ঘটনা , এই গতবার যখন আমাকে কুকুরে কামড়ালো , এপেলো তাই দেখালুম ব্যাঙ্গালোরে , তো ডক্টর আগেও কুকুরে কামড়ানোর ইনজেকশন নিয়েছি শুনে বললেন , খামোখা ডাক্তার দেখিয়ে সময় নষ্ট না করে ইনজেকশন চালু করে দিলেই পারতেন ! এটা ডাক্তার রা নরমালি বলেননা । কিন্তু ইনি বললেন , এপেলোতেই বসে ।
  • sch | 37.251.71.51 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১৩:২৬728169
  • রুপালী বাসু গন - ইনি একটি হড়তেল ঘুঘু ছিলেন - সব কিছুতেই ট্যাঁরা ব্যাঁকা মন্তব্য করতেন।

    ডাক্তারদের কোন ক্ষতি হোক চাই না। এরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল সত্যি কোন হিউমানেটেরিয়ান পদক্ষেপ নেবেন এমন আশা স্বপ্নেও করি না। কিন্তু এই সুযোগে কিছু মামলা হোক- যে সব মানুষের জীবন গেছে হাসপাতালের গাফিলতিতে তাদের পরিবার কিছু মোটা ক্ষতিপূরণ পাক, আর ভয়ে ক'টা হস্পিটালের সি ই ও জাতীয় লোক হয় পদত্যাগ করুক বা হার্ট এটাকে মারা যাক আ হস্পিটাল তুলে দিয়ে চলে যাক - সেই জায়গার দায়িত্ব শ্রমজীবী হাসপাতালের মতো কাউকে দেওয়া হোক। এর বেশি আর কিছু ভাবা যাচ্ছে না
  • sm | 53.251.91.253 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১৩:৩২728170
  • ওটা স্টিভেন্স জনসন সিন্ড্রোমে হবে।
  • sm | 53.251.91.253 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১৩:৪৪728171
  • অরুণাচল বাবুর পোস্টে প্রচুর অসঙ্গতি চোখে পড়লো।
    প্রথমত তিনি ডাক্তার ও নন ডাক্তার প্যারামেডিকেল ও নার্সিং স্টাফেদের মধ্যে একটা বিভাজন করতে চেয়েছেন।
    যদি কোনো হাসপাতাল ওভার বিলিং বা ফলস স্টেটমেন্ট করে তো তার প্রতিবাদ খালি ডাক্তার রা করবে কেন? সমস্ত চিকিৎসা কর্মীর ই করা উচিত। কারণ বিলিং এর বড় দায়িত্বে থাকে নার্সরা- ডাক্তার রা নয়।তারা ওষুধ পত্রের হিসাব বিলিং সেকশনে পাঠায়। গুপী করে মেইনলি ম্যানেজমেন্ট এর লোকজন। তাই প্রতিবাদ টা একযোগে করলেই ভালো। খামোকা ডাক্তার রা কেন করছেন না; বলা ঠিক না।
    তারপর এই বাক্য গুলি-
    "বেসরকারি, কর্পোরেট অথবা অকর্পোরেট যে হাসপাতাল, সে’খানে মালিকপক্ষের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে চলেন অতি আজ্ঞাবহ এই মেধাবী চিকিৎসককুল। এঁদের নূনতম রোজগার বছরে আধ কোটি। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার কয়েকগুণ।"
    --
    বেশিরভাগ বেসরকারি চিকিৎসকের রোজকার আধ কোটির ধারে কাছে নয়। অন্তত মোর দ্যান নাইন্টি পার্সন। তাহলে এইসব তথ্য আসছে কোত্থেকে?
  • Ekak | 53.224.129.61 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১৪:৪১728172
  • হ্যাঁ , স্টিভেন্স জনসন । ঐকারণেই কাউন্টার থেকে কিনে ওষুধ খাইনা নেহাত ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট জাতীয় না হলে ।
  • Ekak | 53.224.129.61 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১৪:৪১728173
  • আবার রুপালি ! এবার তো জলদাপাড়া আসবে !
  • Ekak | 53.224.129.61 | ০২ মার্চ ২০১৭ ১৪:৪৪728174
  • অরুণাচল বাবু মনে হয় সার্জেন আর হাতে গোনা কিছু স্পেশালিস্ট দিয়ে সব ডাক্তারকে মাপছেন । হেব্বি কম্পিটিশনের মার্কেট , সেই আধ কোটির দিন আর নাই । যাঁরা বড় সার্জেন তাঁরা অবশ্য আধ কেন অনেক কোটি কামান । কিন্তু সংখ্যাটা বিশাল নয় ।
  • cb | 208.240.130.75 | ০২ মার্চ ২০১৭ ২২:২৮728175
  • যে কটা হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পেয়েছি ডাক্তারদের লেখা সবকটাতেই "মেধাবী" শব্দটা মিনিমাম ৫ থেকে ১০ বার ব্যবহৃত হয়েছে। মোদ্দা কথা ঘুড়িয়ে ফিরিয়ে "মেধাবী" তাই একটু টাকা রোজগার করতে দিন না মশাই টাইপের। এখন যেমন বাকিরা বলছেন মুষ্টিমেয় ডাক্তারদেরই হিউজ রোজগার সে সব ঠিক আছে। অরুণ বাবু মনে হচ্ছে এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজগুলির কাউন্টার হিসেবে লেখাটা লিখেছেন।
  • sm | 53.251.90.44 | ০২ মার্চ ২০১৭ ২৩:১৬728177
  • ডাক্তার দের ফি অনশ্যই নাগালের মধ্যে হওয়া উচিত । সার্জেন দের ফি ও আকাশ ছোঁয়া হওয়া উচিত নয়।
    কিন্তু উকিলের ফি নিয়ে তো কেউ কিছু বলেন। শুনেছি সুপ্রিম কোর্টের /হয় কোর্টের নামি দামি উকিলদের -যারা অনেকে টিভির দৌলতে পরিচিত মুখ ও বটে ;পার ব্রিফিং কয়েক লক্ষ টাকা অবধি দাবি করেন।
    এ ছাড়াও আছে কিছু নামি কোম্পানির সি ই ও দের মাইনে।
    কখনো কখনো কয়েক কোটি ছাড়িয়ে যায়।
  • Du | 182.58.110.143 | ০২ মার্চ ২০১৭ ২৩:২০728178
  • শুধু সি ইও নয় কর্তাদের সবারই মাইনে বেশ আউটরেজাস বলেই মনে হয়
  • Du | 182.58.110.143 | ০২ মার্চ ২০১৭ ২৩:২১728179
  • এবম না দিলে তাদের হারাতে পারে কারন বাকিরা দিচ্ছে কিন্তু প্রশ্নটা হল কেন দিচ্ছে?
  • PT | 213.110.242.22 | ০৩ মার্চ ২০১৭ ০৮:০৯728180
  • আর কয়েকটি পোস্টিং বা সেকেন্ডের দেরী। এর পরেই বাংলার ডাক্তাররা খলনায়ক হিসেবে চিহ্ণিত হয়ে যাবে চিরকালের মত!! ঠিক যেমনটি তিনি চেয়েছেন!!
  • PT | 213.110.242.22 | ০৩ মার্চ ২০১৭ ০৮:৩১728181
  • "যে স্বাস্থ্যকর্তারা ২০০৩-এর আইনকে ‘দুর্বল’ বলতেন, তাঁরা এখন সেই পুরনো আইন প্রয়োগ করেই রাজ্য জুড়ে ২৭টি নার্সিংহোম ও বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করেছেন। শুধু তা-ই নয়, সেগুলিকে পুরোপুরি বন্ধই করে দিয়েছেন। আর এ সবই হয়েছে গত সাত দিনে!"
    http://www.anandabazar.com/state/new-health-bill-may-restrict-the-nuisance-of-private-hospital-1.573158?ref=hm-ft-stry#
  • sm | 57.15.6.131 | ০৩ মার্চ ২০১৭ ১৪:২৬728183
  • কিন্তু ১০ -২০ টাকা ফি নিয়ে ডাক্তারের কবে কি করে?মাসে তো ৯-১০ হাজার টাকাও রোজকার হবে না । তাও সারাদিন খাটা খাটনির পর।চ্যারিটেবল সংস্থা হলে ঠিক আছে।
  • কল্লোল | 116.206.149.78 | ০৩ মার্চ ২০১৭ ১৭:১৩728184
  • পিটি। আলাদা করে ডাক্তারদের কথা উঠছে কেন? প্রাইভেট হাসপাতালের সিস্টেমটাই দায়ী। প্রফিট করতে হবে, এ নিয়ে কোন কথা নেই। এই ব্যবস্থায় প্রফিট না হলে লোকে ব্যবসা করবেই বা কেন। কিন্তু ক্রমাগত প্রফিট বাড়িয়ে চলাকে কোথাও লাগাম তো দিতেই হবে। তা না হলে ডাক্তারদের ওপর টার্গেট বসবে - বছরে x ব্যবসা দিতে হবে - ইঃ ইঃ।
    ডাক্তারদের মানসিকতাও একটা বড় ব্যাপার। এখানে তো ডাক্তারেরা কথাই বলতে চান না। কি হয়েছে জিজ্ঞাসা করলে এমনও জবাব পাওয়া যায় - আপনি জেনে কি করবেন? এগুলোর বদল হওয়া দরকার। ডাক্তারদের এই ব্যবহার দঃ ভারতে প্রায় নেই বললেই চলে। মোটামুটি প্রত্যেকেই অসম্ভব ভদ্র ও সব প্রশ্নের জবাব হসিমুখে দেন।
    তবে পবতে সরকারী স্বাস্থ্য ব্যবস্থা আরও অনেক ভালো হওয়া দরকার। প্রচুর নতুন হাসপাতাল হাওয়া দরকার। আমার নিজের অভিজ্ঞতা - বাঙ্গুর হাসপাতালে এক বেডে দুজন রোগী। রোগী নিয়ে গেলে শুনতে হয় - নিজেরা বেড খুঁজে নিন।
  • cm | 127.247.97.212 | ০৩ মার্চ ২০১৭ ১৮:৩২728185
  • চেন্নাই এর শ্রীরামচন্দ্র মেডিকাল কলেজে কোন ডাক্তারের কোথাকার ডিগ্রি জানার চেষ্টা করেছিলাম, সে অবশ্য প্রায় বছর ছয়েক আগে, বলেনি, সেটা নাকি ওদের পলিসি!
  • dc | 132.174.99.216 | ০৩ মার্চ ২০১৭ ১৯:০৬728186
  • কল্লোলবাবুর সাথে একমত। চিকিৎসা আর শিক্ষা পুরোটাই সরকারের দেখা উচিত, তাহলে প্রফিট মোটিভেরও প্রশ্ন উঠবে না। প্রাইভেট প্লেয়াররা বড়োজোর সাপ্লিমেন্টারি রোল প্লে করতে পারে। আর দক্ষিনের ডাক্তাররা সাধারনত একটু বুঝিয়ে বলেন, এটা আমিও দেখেছি
  • sm | 53.251.91.253 | ০৩ মার্চ ২০১৭ ১৯:৪২728188
  • ডাক্তার এর ডিগ্রি তার লেটার হেড প্যাডে উল্লেখ করতেই হবে। রেজিস্ট্রেশন নম্বর উল্লেখ করাও বাঞ্চনীয়।দুটোর কোনোটাই না করা মেডিকোলিগ্যালি অপরাধ।
    চেন্নাই কেন গোটা দক্ষিণের মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার রা অনেক বেশি প্রফেশনাল।অনেকটা এন হেইচ এস মডেল ফলো করার চেষ্টা করে। অন্তত ডাক্তার রা।
    উত্তর ভারতে রাফনেস একটু বেশি।
    পব তে হম্বি তম্বি বেশি।অবিশ্যি পেশেন্ট পার্টি ও দু জায়গায় দুরকম ব্যবহার করে।
    যে পেশেন্ট পার্টি কোকাতে হুলিগান-ভেলোরে তারাই সুবোধ বালক।ডাক্তার নার্স যা বলে তাই ই কান পেতে শোনে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন