এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • প্রাইভেট হাসপাতালের ওপর নজরদারি - প্র্যাক্টিকালি কী করা যায়?

    pinaki
    অন্যান্য | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ | ১৫৮১১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২০:৪৬728031
  • আমার ফেবুতে যা লিখেছি সেটাই এখানেও লিখলাম। আলোচনা হোক।

    বড় বড় প্রাইভেট হাসপাতাল/নার্সিং হোমের কর্তাদের ডেকে ধমকানো হচ্ছে। সেটাকে মিডিয়া লাইভ টেলিকাস্ট করছে। যদি ধরেও নিই এটা জাস্ট শস্তা নাটক, এইসব কমিশন টমিশন শেষ অব্দি অশ্বডিম্ব প্রসব করবে, অথবা বিধায়কদেরও উল্টোপাল্টা বিল আসার পরে টনক নড়েছে; কারণ যাই হোক, স্বীকার করে নেওয়া ভালো এ নাটক বাংলার মানুষ এই প্রথম দেখলো। এর আগে এ নাটক বাংলায় হয় নি। যারা এ নাটক মঞ্চস্থ করতে পারতো, যাদের পারার কথা ছিল, তারা করে নি। ফলে, গিভ দ্য ডেভিল হার ডিউ।
    এবার কথা হল সাধারণ মানুষ কী করবেন? 'মমতার তৃনমূল চোর-ছ্যাঁচড়ের আখড়া, অতএব এসব নাটকের কোনো ভ্যালু নেই' - এই ভেবে নাক সিঁটকে প্যাসিভ থাকবেন আর নিজের সিনিসিজমের জাবর কাটবেন? নাকি অন্ততঃ এই মুহূর্তে মানুষের স্বাস্থ্য নিয়ে যারা অমানবিক ব্যাবসা ফেঁদে বসেছে, ডাক্তারদের মাসিক টার্গেট দিয়ে অপ্রয়োজনীয় সার্জারি আর দামী ডায়গোনস্টিক টেস্ট করাচ্ছে, অকারণে ভেন্টিলেশনে রেখে দিচ্ছে, এমনকি মৃত্যুর পরেও, অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগের নিয়মনীতি মানছে না, তাদের নিয়ে আলোচনার যে পরিবেশটা তৈরী হয়েছে - সেটার সুযোগ নিয়ে এর বিহিত করার প্রয়াসটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন?
    এখন কলকাতায় চেনা বন্ধুবান্ধব বা খুব পরিচিত ডাক্তার ছাড়া দেখাতে ভয় লাগে, কারণ চিকিৎসাটা আমার জন্য যা দরকার সেটাই হবে, নাকি নার্সিং হোমের প্রফিট বাড়ানোর উদ্দেশ্যে হবে - এটা বোঝাই মুশকিল। তো এই ভয়ের আবহটা কাটানোর জন্য, মানুষের দুর্বলতম, অসহায়তম জায়গা নিয়ে ব্যাবসা করছে যারা তাদেরকে অন্ততঃ কিছু নিয়মনীতি মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য সবার প্রথম যেটা লাগে সেটা হল সমস্যাটার একটা স্বীকৃতি, বিশেষতঃ সমাজের মূলধারায়। নাটক হোক বা গিমিক, মমতা সেটা করে দিয়েছেন। ইস্যুটা এখন চোখের সামনে। স্বীকৃত। আলোচিত। প্রশ্ন হল, এরপর সমাধানটাও কবে মমতার মর্জি হয় আর উনি করে দেন, সেই ভরসায় বসে থাকা হবে? নাকি এই পরিস্থিতিটার সুযোগ নিয়ে 'জনস্বাস্থ্য', তার সমস্যা আর সমাধানের উপায় নিয়ে আলাপ আলোচনাকে আরও ব্যাপকতায় প্রসারিত করার চেষ্টা আর এই প্রাইভেট হাসপাতাল আর নার্সিংহোমগুলোর কাজকর্মের ওপর সামাজিক নজরদারির ব্যবস্থাকে লাগু করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে?
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২০:৪৭728142
  • আমি যেখানটায় জোর দিতে চাইছি, সেটা হল - অনেক জেনুইন সমস্যা নিয়ে অনেক দাবীদাওয়া ওঠে প্রতিদিনই। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেটা ব্যাপক সংখ্যক সাধারণ মানুষের চোখের আড়ালে রয়ে যায়। মেনস্ট্রীমে আসে না। ইস্যু হয় না। প্রচুর পরিশ্রম করেও ইস্যু করা যায় না। এক্ষেত্রে মমতা ইস্যুটা মেনস্ট্রীমে তুলে দিয়েছে। সেই সুযোগটা নেওয়ার যৎপরোনাস্তি চেষ্টা করা উচিৎ। এখান থেকে নির্দিষ্ট দাবী/প্রস্তাব তৈরীর চেষ্টা করা উচিৎ। সে নিয়ে জনমত তৈরীর চেষ্টা করা উচিৎ। যেটা 'খবর' হয়েছে, সেটাকে দল-মত নির্বিশেষে 'আন্দোলন' এর চেহারা দেওয়ার চেষ্টা করা উচিৎ, 'তৃণমূলের নাটক', ইত্যাদি সিনিসিজমে আটকে না থেকে। কারণ এটা এমন একটা ইস্যু, যাতে খুব বড়লোক আর খুব প্রভাবশালী ছাড়া প্রায় সবাইকে সমানভাবে অ্যাফেক্টেড হতে হয়। সিপিএম তৃণমূল বিজেপি নক্সাল এ খুব একটা তফাৎ হয় না। কাজেই এখানে সাধারণ মানুষ তাদের যুক্তি বুদ্ধি দিয়ে রিলেট করতে পারে এরকম স্পেসিফিক কয়েকটা দাবী/প্রস্তাব তৈরী করে তাদের পপুলার করার চেষ্টা করা গেলে আমার মনে হয় সদর্থক কিছু আউটকাম হতে পারে এই পরিস্থিতি থেকে। পরিস্থিতিটা নতুন। এরকম আগে হয়নি। অন্ততঃ আমার তাই মনে হচ্ছে।
  • Ekak | 53.224.129.60 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:০১728253
  • চাঁদা তুলে গণমঞ্চ বানিয়ে রাদ্দিন মামলা করে করে জেরবার করা যায় এইসব হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তার দের । এটা খুবই বোরিং রাস্তা , কোনো থ্রিল নেই , কিন্তু এভাবেই পরিষেবা উন্নত হয় । মমতা চাইলেও কী করতে পারেন, একটা দামড়া কমিটি বানাতে পারেন আর কজন কে ধমকাতে পারেন । তার বেশি না । দশটা রেগুলেশন বানাতে পারেন , দুটো ইন্সপেক্টর যোগ করতে পারেন । তাতেও ঘুষ দিয়ে বেরিয়ে যাবে ।

    ক্রমাগত খারাপ পরিষেবা কে চিহ্নিত করা -মিডিয়াতে হাইলাইট করা ও মামলা করা ছাড়া প্র্যাকটিকাল রাস্তা কিছু দেখছিনা ।
  • avi | 57.15.7.119 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:০২728264
  • ক।
  • PM | 55.124.6.176 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:০৪728275
  • হাসপাতালের ডাক্তারদের ওপোর কোনো রকমের মাসিক রেভিনিউ টারগেট বা রেভিনিউ বেস্ড ইন্সেন্টিভ বে-আইনি ঘোষনা করা হোক। আইনে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

    এটা হোলো এই অসুখের প্রথম মোক্ষম ওষুধ
  • Ekak | 53.224.129.60 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:১০728286
  • কোন কোন হাসপাতাল ডাক্তারকে লিখিত শর্ত দেয় যে মাস গেলে এতগুলো স্টেন্ট এর অর্ডার সিকিওর করতে হবে ? জানিনা , জানতে চাই । আগে তো লিখিত নির্দেশ প্রমান থাকতে হবে, তারপর তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা । বাতাসে আঁকশি দেওয়া সম্ভব না তো :)
  • avi | 57.15.7.119 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:১৪728297
  • ধুস, ওটায় পাবলিক হেবি উত্তেজিত হবে, পলিটিকাল গেইন হবে, চায়ের দোকানে রাজা উজির বধ হবে। আর কিছু হওয়া মুশকিল।
  • Ekak | 53.224.129.60 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:১৯728308
  • সেটাই । আর রেভেনিউ বেসড ইনসেনটিভ দেওয়া হাসপাতালের অধিকার । কোনো কোম্পানির মালিক চাইলে তার প্রোডাকশন বা সার্ভিস পার্সনদের রেভেনিউ বেসড ইনসেনটিভ দিতে পারবেনা , এ হয় নাকি ? :) হাসপাতাল যা করে আইন বাঁচিয়েই করে । রেগুলেশন আরো বাড়িয়ে ওদের ধরার চেষ্টা , বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো হবে ।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:২৯728319
  • সার্জারির বা দামী ডায়গোনস্টিক প্রসেসের টার্গেট ইত্যাদি তো দেয় বলেই শুনেছি। লিখিত দেয় কিনা জানি না।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:৪০728032
  • কিন্তু রেভেনিউ বেসড ইনসেন্টিভ স্বাস্থ্যের মত বিশেষ ক্ষেত্রে দেওয়া যাবে না, বিশেষতঃ ডাক্তারদের (যাদের হাতে একটা বড় ক্ষমতা রয়েছে রোগীর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার, এবং সব সময় সেই সিদ্ধান্ত সাদা কালো হতে পারে না) - এটা তো সরকার সিদ্ধান্ত নিতেই পারে। পারে না কি? সেইভাবে দেখলে প্রতিটা ব্যবসারই কিছু নিজস্ব নিয়ম নীতি থাকে।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:৪২728043
  • কর্পোরেট হাসপাতাল হলো ডাকাতির জায়গা ।এটা জেনেশুনেও কমন পিউপিল ওখানে চিকিৎস্যার জন্য যায়।প্রথমে জানতে হবে কেন যায়?কি তাদের এক্সপেক্টেশন?
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:৪৫728054
  • ভেন্টিলেশন আর অ্যান্টিবায়োটিক - এই দুটো ব্যাপার নিয়ে ভারতে কি স্ট্যান্ডার্ড প্রসিডিওর কিছু আছে? ভেন্টিলেশনটা অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে লোককে ছিবড়ে করার বড় হাতিয়ার হয়ে যাচ্ছে।
  • PM | 55.124.6.176 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২১:৫৭728065
  • ০-৮ বছরের এক্স্পিরিএন্স্ড ডাক্তারদের যদি বলা হয়--- এই তোমার মাসিক টারগেট --তিন মাস না মিট করলে চাকরী নট--- এবার সেই ডাক্তার কি করবে?

    এই টার্গেট দেবার অধিকার নিয়ে সওয়াল শুনতে হবে ভাবি নি !!!
  • sm | 53.251.91.253 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:০১728076
  • এন্টিবায়োটিক এর স্ট্যান্ডার্ড গাইডলাইন সব দেশেই আছে।কিন্তু আল্টিমেট নীতি নির্ধারিত হয় লোক্যাল হাপাতালের মাইক্রোবিয়াল রেসিট্যান্স এর ওপর।
    ভেন্টিলেশনের গাইডলাইন সুনির্দিষ্ট।
    কিন্তু তাতেও বেশ কিছুটা উইন্ডো আছে,এর সঙ্গে রয়েছে রোগীর কন্ডিশন ও ক্লিনিশিয়ান এর জাজমেন্ট।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:১৮728087
  • sm, আপনি লিখুন না, আপনার কী মনে হয়? যদি কিছু রেগুলেশনের আওতায় বেসরকারি হাসপাতালকে আনতে হয়, সেগুলো কী কী হতে পারে? আমরা না জানি মেডিকাল কম্পালশন, না জানি লীগাল কনস্ট্রেন্ট। এধরণের ক্ষেত্রে দুটোই লাগবে, যদি কোনো বাস্তবোচিত, লাগু করা সম্ভব - এমন দাবী করতে হয়।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:২৩728098
  • ভেন্টিলেশনে রোগীকে দিতে হলে ন্যূনতম কী কী প্রিকন্ডিশন ফুলফিল করতে হবে - এর কোনো গাইডলাইন আছে? সেখানে রোগীর পক্ষের মতামতের ভূমিকা কী? ভেন্টিলেশনে দিতে গেলে হাসপাতালকে নির্দিষ্ট ডকুমেন্টেশন করতে হবে আর তাতে রোগী আর সংশ্লিষ্ট ডাক্তারের সই লাগবে - এরকম কি কোনো দাবী হতে পারে?
  • sm | 53.251.91.253 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:২৫728109
  • সেই জন্যই তো আগে জিগালাম,কমন জনতা কেন কর্পোরেট হাসপাল গুলো ভরিয়ে তুলছে এবং কি তাদের এক্সপেক্টেশন? রেগুলেশন তারপরে আসবে।
    কারণ গতকালের ডিসকাশন ছিল; মেইনলি বেশি ও অনৈতিক বিল সংক্রান্ত।
  • Ekak | 53.224.129.60 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:২৮728120
  • পিএম , ডাক্তারকে টার্গেট দেওয়া সমর্থনযোগ্য নয় । কিন্তু ঘটনা হচ্ছে টার্গেটটা সর্বত্র লিখিতভাবে দেওয়া হয়না । কাজেই ও নিয়ে আক্ষেপ করে বিশেষ লাভ নেই ।
  • SS | 160.148.14.3 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:২৯728131
  • জনতার এক্সপেক্টেশন ভাল চিকিৎসা, যা সরকারি হসপিটালে অপ্রতুল।

    সরকারি ব্যাবস্থার পাশাপাশি প্রাইভেট ব্যাবস্থা চললে আইন করে কিছু হবে না।
    এক যদি সরকার পেমেন্ট করে তাহলে কাজের কাজ হতে পারে। নাহলে অন্তত ইন্শিওরেন্স কোম্পানিকে পেমেন্ট সংক্রান্ত ব্যাপার ডিল করতে বলা হোক। রোগী যখন প্রথম হসপিটালে যাবে, তখন মিনিমাম একটা পেমেন্ট করবে, আর চিকিৎসা শেষ হলে ইন্শিওরেন্স কোম্পানি পেমেন্ট করবে, চুলচেরা হিসেব করে। প্রাইভেট হসপিটালে যারা যায়, তাদের প্রায় সবারি তো ইন্শিওরেন্স থাকে মনে হয়।
    যেখানে আইন করে কিছু করা যাবে না সেখানে রাইভ্যাল বিজনেস লবির মধ্যে যুদ্ধ লাগিয়ে দিতে হয়। তারপর তারা টাগ অফ ওয়ার করুক।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৩০728143
  • ভেন্টিলেশন নিয়ে অনেক গাইড লাইন আছে।এগুলো মূলত রোগ ভিত্তিক।
    আর পেশেন্ট এর ইনফর্মড কনসেন্ট ছাড়া ভেন্টিলেশনে দিলে; ডাক্তার মেডিক্যাল ব্যাটারির চার্জে পড়বে।
    Medical battery is the intentional violation of a patient’s right to direct their own medical treatments. Doctors must obtain a patient’s informed consent when rendering non-emergency treatment.
    ডাক্তার নিজে ডিসিশন নিতে পারে একমাত্র এমার্জেন্সি সিচুয়েশনে ও যেখানে রোগী অচেতন অথবা কনফুস্ড।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৩৮728154
  • দেখুন একটা তো বেশী আর অনৈতিক বিল। যেমন, ফেসবুকে একজন লিখেছেনঃ

    "আমার বাবাকে ২৪ শে নভেম্বর ২০১৬ উল্টোডাঙ্গার চার্নক হসপিটালে ভর্তি করেছিলাম। বাবার পেটে জল জমছিল(আল্টাসোনোগ্রাফি রিপোর্ট অনুসারে) । হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গেসঙ্গে বলা হল I C U তে দিতে হবে। আমরা সেই মুহূর্তে ঈঊ তেই ভর্তি করি এবং ২০ হাজার টাকা জমা করি।২৫ শে নভেম্বর হসপিটাল থেকে বলা হলো কাল অর্থাৎ ২৬ শে নভেম্বর জল বের করা হবে।২৬ শে নভেঃ আমার ভাই হসপিটালে ছিল।বিকাল ৫টা নাগাদ প্রথম আমার বাড়িতে ফোন এল ক্যাশ কাউন্টার থেকে আপনার ৪৫হাজার টাকার বিল বাকী পেমেন্ট করুন, আমি ফোনে জানালাম কাল সকালে বিল পেমেন্ট করবো।এর কিছুক্ষন পরেই নার্সিং হোম থেকে জানানো হলো বাবা বেঁচে নেই।ঐ রাত্রিতে আমরা যখন কাউন্টারে গেলাম তখন আমাদের জানানো হলো আমাদের ৯৬০০০ টাকা বিল হয়েছে আমাদের ২০০০০ টাকা জমা দেওয়া আছে আরো ৭৬০০০ টাকা পেমেন্ট করতে হবে।আমরা তখন বললাম বিকালেই ফোনে বললো ৪৫ হাজার টাকার বিল বাকী আর এখন সেটা ৭৬ হাজার হলো কি করে? ওরা কোন কথা শুনতে চাইলো না বললো বিলে যা আছে দিতে হবে। বিলে দেখলাম ১৫ পার্সেন্ট সার্ভিস চার্জ দেখানো হয়েছে। আমরা এবিষয়ে প্রশ্ন করেছিলাম কোন উত্তর পাই নি।বাবার কোন অপারেশন হয় নি কিন্তু ২ দিনে ৯৬ হাজার টাকা বিল করেছিলো কসাই গুলো।"

    দুনম্বর, মানুষের ধারণা কর্পোরেট হাসপাতালে ডাক্তারদের কোটা থাকে। নির্দিষ্ট সংখ্যক সার্জারি বা দামী টেস্ট করানোর। সেটা সত্যি হোক বা মিথ্যে হোক, তুচ্ছ কারণে এগুলোর জন্য পুশ করা হয় - এরকম ঘটনার শিকার আমি নিজে। সেটাকে কিভাবে বদলানো যায়।

    আমার ব্যক্তিগত মত প্রফিট মোটিভ দিয়ে স্বাস্থ্য পরিষেবা চলতে পারে না। সেটা কোথাও গিয়ে এরকম সমস্যা জন্ম দেবেই। কিন্তু আমি চাইলেই কালই দেশে ইউকের মত বা সুইডেনের মত স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু হবে না। সেই অবস্থায় এই ফর প্রফিট উদ্যোগগুলোকে কতটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় - সেই নিয়ে ভাবনাচিন্তা। পাশাপাশি সরকারি ব্যবস্থাকে বাড়ানো আর উন্নত করার কাজটা তো থাকবেই। হয়তো সেটাই সবচেয়ে জরুরী। কিন্তু এই কাজটাও ফেলে দেওয়ার মত নয়। একটা ওয়াচডগ অ্যাকটিভিটির খুবই প্রয়োজন।
  • Ekak | 53.224.129.60 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৪৭728176
  • মানে , অডিট সিস্টেম ? তাতে তো ইন্সপেক্টর রা ঘুষ খেয়ে লাল হয়ে যাবে । সরকার যত জায়গায় অডিট সিস্টেম বানিয়েছে সর্বত্র তাই ।
  • sm | 53.251.91.253 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৪৭728165
  • SS , ভুল ধারণা। প্রাইভেট হসপিটালের একটা বড় অংশের মেডিক্লেইম থাকে না।
    কলকাতার কর্পোরেট হাসপাতাল গুলোর বড় অংশ ভর্তি করে রাখে গ্রাম গঞ্জের সিরিয়াস পেশেন্ট, বাংলা দেশ ও উত্তর পূর্বের পেশেন্ট।
    ইন্সুরেন্স কোম্পানির লোকেরা রেকর্ডের পাতা চেক করে; পেমেন্ট করার ব্যবস্থা আমেরিকায় চালু। কিন্তু এতে প্রাইভেসি নষ্ট হয়।
    দুই ভারতের মতো দেশে কর্পোরেট হাসপাতাল ও ইন্সুরেন্স কোম্পানি গুপী করে সরকারের লোকসান করাতেই পারে। যেহেতু মেজরিটি জনতা সরকারি ইন্সুরেন্স কোম্পানির আন্ডারে।
    আপনি বললেন লোকে যায় বেটার চিকিৎসা পেতে। সত্যি ই কি তাই? সাধারণ লোকের আইডিয়া আছে কেস ভিত্তিক মর্টালিটি আদৌ প্রাইভেট হাসপাতালে স্ট্যাটিস্টিক্যালি বেটার কিনা?
    আমার তো মনে হয় লোকে যায় পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ওয়ার্ড,ঝকঝকে কেতা ও ডাক্তারের নাম যশ ও ডিগ্রি শুনে।অবিশ্যি কোনোটাই অযৌক্তিক নয়। আমার বাড়ির লোক কে আমি প্রাইভেট হাসপাতালেই চিকিৎসা করাবো।
  • Ekak | 53.224.129.60 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৪৮728187
  • আগের পোস্ট পিনাকী বাবুর ওয়াচডগ প্রসঙ্গে ।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২২:৫৭728198
  • না, সামাজিক অডিট টাইপের। আসলে এগুলো খুবই অ্যামেচারিশ কথা বলছি। না জেনেশুনে। এগুলো বলতে হবে মূলতঃ মেডিকাল আর লীগাল জনতাকে। তবে তার মানে দাঁড়াবে।
  • Ekak | 53.224.129.60 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:০২728209
  • সামাজিক অডিট ? সেটা ভালো পয়েন্ট । মানে , কিছু হেলথ প্যারামিটার থাকবে যেটা সাধারণ মানুষ তাদের ফিডব্যাক দিতে ব্যবহার করবে এবং সেই ডেটা জনসাধারণের কাছে থাকবে । তারা জানবে পরিষ্কারভাবে অমুক হসপিটালে সেপ্টিসিমিয়াতে গত ৬ মাসে আট জন পটল তুলেছে । এটা জেনে সে সিদ্ধান্ত নেবে কোথায় ভর্তি করবে ।

    এরকম বলছেন ? এটা খুবই ভালো পদক্ষেপ । একটি হেলথ স্টার্টআপ শুরু করেছিল । তামিলনাড়ুর । কিন্তু মুশকিল কি আমাদের দেশে একচুয়ালি যাদের কাছ থেকে টাকা "খেঁচা " হয় তাঁরা এতো শিক্ষিত মানুষ না যে অনলাইনে ফিডব্যাক নেবেন :| কাজেই সে প্রজেক্ট আরবান এরিয়ার বাইরে পা রাখেনি :|
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:০৪728220
  • একক টেকনোলজিকাল সলিউশন নিয়ে ভেবে একটা স্টার্ট আপ নামাও না। একটু আগে ফেবুতে একজন বলল স্ট্যটিস্টিকাল অ্যানালিসিস করা, যে একটা নার্সিং হোমে কটা পেশেন্টকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। সেখানে অন্য সরকারি জায়গার তুলনায় সংখ্যাটা অ্যাবনর্মাল কিনা। তো এরকম আরও ইনোভেটিভ কিছু তো ভাবা যায়।
  • pinaki | 90.254.154.105 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:০৭728231
  • মানে ওভার অল পাওয়ারটা এত বেশী ওদিকে ঝুঁকে আছে, এই অবস্থায় যে পদ্ধতি রোগীর দিকে ভারসাম্যটা একটু হলেও ঝোঁকাতে পারবে সেটাই স্বাগত।
  • Ekak | 53.224.129.60 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:১২728242
  • এসব করার আমার চে অনেক যোগ্য লোক আছে । তারা চেষ্টা করছেন । কিন্তু ঐযে বললুম , মারছে তো রুরাল থেকে আসা রোগীদের । সেখানে ইন্টারনেট পেনিট্রেশন বেশ কম । সে মোদী যাই দাবি করুন ।
  • SS | 160.148.14.3 | ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ২৩:২৪728254
  • নার্সিংহোমে কতজন ভেন্টিলেশনে আছে সেই ডেটা নার্সিংহোম দেবে কেন ? তবে সরকার আইন পাশ করিয়ে তাদের বাধ্য করতে পারে।
    ইয়েল্প জাতীয় কোনো ওয়েব্সাইট ভাবা যেতে পারে, যেখানে রোগী বা তার আত্মীয় স্বজন নার্সিংহোম আর ডাক্তারদের রিভিউ দেবে। সেই রিভিউ এর উপর ভিত্তি করে কোনো নিউজপেপার কোনো আর্টিকল লিখ্ল, তারপর কোনো টিভি চ্যানেল কোনো প্রোগ্রাম করল ইত্যাদি। তবে এই সবই শহরাঞ্চলে আটকে থাকবে।
    sm, আমেরিকাতে মেডিকেল ডেটা একমাত্র হ্যাক না হলে প্রাইভেসি । গত কয়েক বছরে বেশ কিছু ইন্শিওরেন্স কোম্পানিতে হ্যাক হয়েছে। তবে ইলেক্ট্রনিক ডেটার ব্যবহার যত বাড়বে হ্যাকিং এর রিস্কও তত বেশী হবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে প্রতিক্রিয়া দিন