এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • গুরুচন্ডা৯ -- কিছু কথা, কিছু আলোচনা

    ঈশান লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৫২৮৯ বার পঠিত
  • গুরু, শুরুর দিন থেকে ধরলে বছর বারো বছর মত হল। অনেক রাস্তা টাস্তা হাঁটা হয়েছে, আমরা একই সঙ্গে নেটে এবং প্রকাশনা জগতে পা ফেলেছি। এখন আর শুরুর দিকের টলমল নেই, নেট এবং প্রকাশনায় গুরুর মোটামুটি একটা ব্র‌্যান্ড ভ্যালু হয়েছে। খুব বড়ো কিছু না, আবার খুব ছোটোও কিছু না। গুরুর পক্ষ থেকে ভবিষ্যতের কিছু পরিকল্পনা আছে, সেটা জানানোর, এবং আলোচনায় ফেলার জন্যই এই পোস্ট। অনেক গুলো কথা একসঙ্গে বলা হয়েছে, একটু ধৈর্য্য ধরে জনতা যদি পড়েন তো বাধিত হব। এছাড়াও খুব তাড়াতাড়ি করে লিখছি, কিছু ভুলভ্রান্তি অনবধানে হয়ে যেতে পারে, সে জন্য আগাম মার্জনা।
    প্রথমে গুরু কিভাবে বই ছাপে, এবং কেন ছাপে, সে নিয়ে দুই লাইন। প্রথম থেকেই আমাদের বই করার উদ্দেশ্যটা ছিল, সস্তা এবং পুষ্টিকর, যে কারণে চটি বই নামক ধারণাটির জন্ম। চটি নামটা একদম ইচ্ছাকৃতভাবেই দেওয়া হয়েছিল। চটি মানে স্রেফ সরু না, ‘চটি’ বলতেই বাঙালির অবচেতনে একটা বটতলার অনুষঙ্গ চলে আসে। ছাপা ও বাঁধাই সহ সেই অনুষঙ্গটা খুঁচিয়ে তোলার জন্যই বইয়ের নাম চটি। সচেতনভাবেই। বস্তুত মলয় রায়চৌধুরির একটা বইয়ের ভূমিকায় এরকম লেখাও হয়েছিল, ‘লেখক চেয়েছিলেন একটি বটতলার বই, আমরা ছেপেছি চটি’। বলাবাহুল্য উদ্ধৃতিটা হুবহু না, এখন আর খুঁজে বার করে দেখতে ইচ্ছে করছেনা, কিন্তু বিষয়টা এটাই। পুষ্টিকর জিনিস ছাপব, পাঠক লুফে নেবে, কিন্তু দামেও বেশি হবেনা, এই ছিল লক্ষ্য। লক্ষ্যটা এক অর্থে খানিকটা রাজনৈতিকও। একদিকে বাংলা ভাষার কোনো পাঠক নেই, কেউ পড়েনা, এই অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে আমরা শুনে আসছি। অন্যদিকে বইয়ের দাম অসম্ভব রকম বেড়ে চলেছে। দুটো একসঙ্গে হওয়া মুশকিল। বই লোকে না পড়লে বেশি দামী বই আরোই পড়বেনা। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে এটা ঘটে চলেছে। কারণ, প্রকাশকের দিকের লক্ষ্যটা থাকছে, যেহেতু পাঠকসংখ্যা কম, তাই কোনোক্রমে তিরিশ (বা চল্লিশ বা একশ)টা বই বেচেই যেন প্রফিট করে নেওয়া যায়। অতএব দাম হু হু বাড়ছে। এবং বালবাহুল্য পাঠক সংখ্যাও কমে আসছে। বলাবাহুল্য এটা একটা স্বল্পমেয়াদি লাভের আত্মঘাতী ধারণা। শর্টকাটের ধারণা। সেটার বিশদে পরে আসছি। কিন্তু এই জায়গা থেকে আমাদের একটা স্টেটমেন্ট দেবার ছিল। যার মূল পয়েন্ট দুটোঃ ১)বইয়ের পাঠক এখনও আছে। ২)কম দামে বই করা যায়। লোকে কেনে। পাঠক সংখ্যা তাতে কমে না, বাড়ে। কারণ লোকে কাগজের কোয়ালিটি পড়েনা, বই পড়ে। বাঁধাই ধুয়ে জল খায়না, ছাপা অক্ষর পড়ে।
    তা, এই স্টেটমেন্টটা আমরা রেখেছি। তাতে নানারকম সমস্যা হয়েছে। অন্তত একটি বড়ো পুস্তক চেন, আমদের বই রাখেননি। কারণ, একটা বইয়ের দাম যদি মিনিমাম তিনশো (বা চারশো ব পাঁচশো) টাকা না হয়, তাহলে তাঁদের প্রফিট মার্জিন বিশেষ থাকেনা। লার্জ স্কেলে অল্প প্রফিটে জিনিসপত্র বেচলে কেন শেষপর্যন্ত বেশি প্রফিট হবেনা, এই যুক্তিজাল তাঁদের মাথায় নেই। তো, এটা জেনেই খেলতে নামা হয়েছিল। কিছু বিকল্প আউটলেট ভাবা হয়েছে এবং হচ্ছে। তার মধ্যে বইমেলাটা সবাই জানেন, কিন্তু আরও বেশ কিছু আউটলেট, তালিকায় জমা হচ্ছে। সেসব যথাসময়ে ও স্থানে প্রকাশ্য।
    তা, এই সমস্যাটা আমাদের জানা ছিল। কিন্তু খুব সাম্প্রতিককালে আরও কিছু সমস্যা দেখা গেল, যেগুলো আগে থেকে ভাবা যায়নি। সমস্যাটার ফোকাল পয়েন্ট একটাই। যে, গুরুর জনপ্রিয়তাকে অনেকেই তাঁদের নিজেদের মার্কেটিং প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। এর গোটা দুই তিন উদাহরণ আছে। শেষ থেকে শুরু করা যাক। আমাদের বইপত্রের জনপ্রিয়তা, যেকোনো কারণেই হোক, ভালো। কারণ বলতে লেখক আছেন, লেখার মান আছে, আমাদের প্রচার আছে, এবং অবশ্যই পাঠকের বিশ্বাস আছে, যে আমরা যা করি বেছেই করি। বই গছিয়ে দেবার জন্য করিনা। ফলে অনেকেই এসে বাঞ্চে বই নিয়ে যান। এবং বইপত্র শেষ হয়ে যায়, পাবলিসিটিও হয়। তা, সাম্প্রতিককালে দেখা গেল, এক লেখকের এরকম কিছু বই আমাদের বিপণনে জনপ্রিয় হবার পর, একটি তুলনামূলক ভাবে বৃহৎ প্রতিষ্ঠান, তাঁর সঙ্গে চুক্তি করে ফেলল, যে, তারা তাঁর রচনাবলী ছাপবে। সে খুবই আনন্দের কথা। কিন্তু সঙ্গে সাবক্লজ এই, যে, তাঁর আর কোনো লেখা, এমনকি যেগুলো আমরা ইতিমধ্যেই প্রকাশ করে ফেলেছি, সেগুলোও আমরা আর ছাপতে পারবনা। ফলে, বস্তুত জিনিসটা দাঁড়াবে এই, যে, বিপণনটি আমরা করলাম, কিন্তু এরপরে আগ্রহী পাঠককে পাঁচগুণ দাম দিয়ে সেই বই কিনতে হবে অন্য প্রকাশনা থেকে। পাঠকসংখ্যা নিশ্চয়ই বিপণনের কারণে কিছু বাড়বে। কিন্তু আমরা যে উদ্দেশ্যে বইটি ছাপছিলাম, উদ্দেশ্যটাই ব্যাহত হবে। এটা আমরা আটকাতে পারিনি, কারণ আমরা কোনো লেখকের কোনোরকম স্বাধীনতা ক্ষুণ্ণ হোক, এই চুক্তি করিনা। কিন্তু বই প্রিন্টের ক্ষেত্রে এবার থেকে ন্যূনতম শর্তাবলী আরোপ করার কথাই ভাবা হচ্ছে।
    দ্বিতীয় ঘটনাটি (কালানুক্রমিকভাবে সেটা অবশ্য আরও আগে ঘটেছে) আরও বিস্ময়কর। আমাদের কাছে একটি পত্রিকা ‘অন্য যৌনতা’র একটি লেখা ছাপবে বলে অনুমতি চেয়েছিল, আমরা বলেছিলাম কৃতজ্ঞতা স্বীকার করলে ছাপতে পারেন। কার্যত দেখা গেল এক গাদা লেখা ছেপে বসে আছেন, এবং কোনো কৃতজ্ঞতা স্বীকার নেই। এটা ছিল একটা পত্রিকা, এবং তারপর, আরও বিস্ময়কর, যে, একজন নামী প্রকাশক, সেটাকে বই বানিয়ে ফেলার উদ্যোগ নিলেন। তাঁরা অনুমতি চাননি, আমাদের জানানও নি। হয়তো ইনফর্মেশন ছিলনা, তাও হতে পারে, জানা নেই। তা, আমরা জানার পর আপত্তি জানিয়ে এসেছি। বইটা ছাপা হয়েছে বলেও শুনিনি। হয়তো অসদুদ্যেশ্য কিছু ছিলনা, শুধুই যোগাযোগের অভাব ছিল। সেটা আমাদের জানা নেই। কিন্তু আমাদের দিক থেকে ঘটনাটা হল, যে, আমরা একটি উদ্যোগ নেব, দীর্ঘদিন পরিশ্রম করব, কম দামে পাঠকের হাতে তুলে দেব, আর সেটাকে বিনা আয়াসে মলাটে বেঁধে কেউ তিনগুণ দামে বিক্রি করার উদ্যোগ নিচ্ছেন, বিন্দুমাত্র স্বীকৃতি ছাড়া, এতে করে ‘সস্তায় চটি বই’ কনসেপ্টটি চূড়ান্ত ভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এবং ক্ষতিগ্রস্ত আমরা হচ্ছি।
    এইগুলো আমার দিক থেকে মনে হছে, অন্য কিছু না, শর্টকাটের প্রসেস। ‘বইয়ের বিক্রি হয়না’, অভিযোগটা যে জায়গা থেকে আসে। বইয়ের দাম প্রচুর বাড়িয়ে চট করে লাভ করে নেবার ধারণাটা যে জায়গা থেকে আসে। এবং অন্য উদ্যোগের ফল থেকে ঝট করে লাভ করে নেবার ইচ্ছেটা(কখনও অনৈতিকভাবেই) যেখান থেকে আসে। প্রচুর পাবলিকেশন হলে সমস্যা নেই। যত বই ছাপা হয়, তত ভালো। কিন্তু ছাপার এবং স্বল্পমেয়াদি লাভ করার বাসনায় পাঠকসংখ্যা কমিয়ে বাংলা বইয়ের অন্তর্জলী যাত্রার ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হচ্ছে। কেউ বৃহত্তর পাঠকের কাছে পৌঁছনোর কষ্টসাধ্য কাজটা করছেননা। গুরু এত বছর ধরে যে নেট ওয়ার্কটার পিছনে সময় দিয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে তৈরি নেটওয়ার্কটা ব্যবহার করে পুশ সেল টেল করে ঝটিতি কর্ম সমাধা করছেন। যেটুকু পাঠকবেস তৈরি হয়েছে, সেটা নিয়ে, অত্ঃপর কামড়াকামড়ি হবে। এর বাইরে যে বিরাট আন এক্সপ্লোরড এলাকা পড়ে আছে, সেদিকে কোনো নজরই নেই কারো।
    আমরা এই শর্টকাটের পদ্ধতিটা কখনও নিইনি। এই বারো বছর ধরে আমরা লড়ে গেছি। শূন্য থেকে শুরু করে। আজ পর্যন্ত অন্য জায়গা থেকে যেকটি লেখা আমরা নিয়েছি, প্রতিটি, অনুমতিসাপেক্ষে। এবং কৃতজ্ঞতা স্বীকার সমেত। একটিও ব্যতিক্রম নেই। জয়া মিত্রের একটি অনুবাদ লেখা আমরা প্রকাশ করেছিলাম। আমেরিকান প্রকাশকের কাছ থেকে অনুমতি নিতে (আসলে ডলারে কিনতে হয়েছিল), দেরি হওয়ায় জয়াদিকে দুঃখ দিয়ে আমরা বই প্রকাশ গোটা একবছর পিছিয়ে দিই। ফলে আমাদের দিক থেকে এই শর্টকাটটা একেবারেই গ্রহণযোগ্য না। লেখার অনুমতি নেওয়া, সৌজন্য স্বীকার, নেটে হোক বা বইয়ে, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। যেদুটো উদাহরণ দিলাম, তার বাইরেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব ঘটেছে। সেটা কাম্য না। আমরা নিজেরা এগুলো মেনে চলি, অন্যরাও মেনে চলবেন, প্রত্যাশা করি। যেকোনো জায়গায়, এর অন্যথা হলে, আমরা যথাসাধ্য ব্যবস্থা নেব।
    তো, এইগুলো হল বাহ্যিক সমস্যা। আভ্যন্তরীন কিছু গপ্পোও আছে। কিছু সমস্যা, কিন্তু পরিকল্পনা। মূলত যেগুলোর জন্য এই লম্বা এবং বোরিং লেখার অবতারণা। প্রথমে সমস্যাটা বলি। সেটা গুরুর মডেল সংক্রান্ত। মডেল বলতে চটি বই, ইত্যাদি, যেটা আগেই ব্যাখ্যা করলাম। আমরা বইয়ের দাম কম, খুবই কম রাখি। নীতিগতভাবেই। ফলে বইয়ের বিক্রি খুবই ভালো হলেও, আমাদের মেরেকেটে টাকাটা উঠে আসে। কখনও সামান্য কিছু লসও হয়, কিন্তু সেটা অ্যাবসর্ব করে নেওয়া যায়। এগুলোর কোনোটাই কোনো সমস্যা না, কারণ আমরা প্রফিটের জন্য এই খেলায় নামিনি। সমস্যা এই, যে, এইভাবে চললে আমাদের টাইটেলের সংখ্যা প্রত্যাশিতভাবে বাড়ছেনা। প্রাথমিক বিনিয়োগ কম থাকায়, যেটুকু রোল করছে, সেটা থেকেই পরের বই ছাপতে হচ্ছে, এবং আমরা বছরে চার-পাঁচ-ছয় এর বেশি বই ছেপে উঠতে পারছিনা। শুরুর দিকে, এটা কোনো সমস্যা ছিলনা। ছাপার জন্য অত বই ছিলনা। কিন্তু এখন তো ঠিক শুরুর ফেজ না। প্রকাশযোগ্য বইয়ের সংখ্যা দেখি ভালই। কিন্তু অত বই ছেপে উঠতে পারিনা। ফলে ক্ষতিটা পাঠকেরই হয়। এই হচ্ছে সমস্যা।
    সমস্যা সমাধানের একটা উপায় হতে পারে, ঝট করে বইয়ের দাম বাড়ানো। সেটা করতে চাইনা একেবারেই। নীতিগতভাবে চটি বই শুরু করার লক্ষ্য একটাই ছিল, কম দামে সস্তা বই পাঠকের কাছে পৌঁছনো। সেটা থেকে সরে ‘দামী’ প্রকাশক হবার কোনো মানে নেই। সেটা ভাবাও হচ্ছেনা। পরিবর্তে আরেকটা উপায় ভাবা হচ্ছে। যদি বইয়ের স্পনসরশিপ নেওয়া যায়। ব্যক্তি করুন বা প্রতিষ্ঠান( যদিও কেন কোনো প্রতিষ্ঠান এটা করবেন, জানা নেই, কিন্তু তবুও, বলা তো যায়না)। অফিশিয়ালি সেটার নাম দেওয়া যায় "বই দত্তক নেওয়া"। মডেলটা এরকমঃ যাঁরা প্রোজেক্টটায় আগ্রহী, হাত তুললেন। আমরা সম্ভাব্য বইয়ের নাম বা তালিকা তাঁদের কাছে উপস্থিত করলাম। এবার সেখান থেকে বেছে নিয়ে (যদি পছন্দ হয়)একটি বইয়ের আংশিক বা সম্পূর্ণ খরচ আগ্রহীদের মধ্যে থেকে কেউ বা কোনো প্রতিষ্ঠান বহন করলেন। বইতে তাঁদের নাম দেওয়া হল। লেখকও কিছু টাকা পেলেন, বইয়ের দামও সস্তা রাখা হল। বলাবাহুল্য টাকাটা দত্তকদাতা ফেরত পাবেননা। ওটা বইয়ের পরবর্তী সংস্করণে রোল করবে। এক্সক্লুসিভলি।
    দ্বিতীয় আরেকটি ব্যাপারেও সাহায্য চাইব। সেটি আর্থিক নয়। একটা গুরুচন্ডালি লেখক-পাঠক সমবায় তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। তেমন কিছু না, একটি মেলিং লিস্ট। সেখানে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা বইগুলি নিয়ে নানা প্রোমোশানে একটু সাহায্য করবেন। টুকটাক আর কি। এটাও বেশ জরুরি কাজ, কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম নেই। কেউ আগ্রহী থাকলে জানাবেন।
    আমার/আমাদের দিক থেকে মডেল এটাই। চটি পাঠকের কাছে পৌঁছনোর একটা পন্থা। পাঠকসংখ্যা বাড়ানো, পাঠকের কাছে বই নিয়ে যাওয়া, এই আমাদের ঘোষিত অবস্থান। চটি একটা উপায়। চটি ছাপব, দরকার হলে অন্য পন্থাও নেব। কিন্তু পাঠকের বেস বাড়ানোর অবস্থান থেকে এই মুহূর্তে সরছিনা। বিষয়টায় আগ্রহী হলে জানান। অন্য কোনো মতামত থাকলেও অবশ্যই জানান। সেই জন্যই এই লেখা জনারণ্যে প্রকাশ করা। কীভাবে কী করা হয়, ভাবা হয়, ভাবা হচ্ছে, এই নিয়ে নানা স্পেকুলেশন, প্রচার, অপপ্রচার নানাদিকে হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে পরিষ্কার ভাবে জানানো হল। কোনো প্রশ্ন করার থাকলে এখানেই করে ফেলুন। অন্য কোনো স্পেকুলেশনে কান দেবেননা। নানা জায়গায় নানা কথাবার্তা হয়, সেসব আমাদের কানেও আসে। কিন্তু ওতে গুরুত্ব দেবেননা। আমরাও দিইনা। যাকে বলে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে মাপ করে দিই। :-)

    পুঃ যাঁরা যোগাযোগ করতে আগ্রহী, [email protected] এ একটা মেইল ঠুকে রাখতে পারেন। এখানে জানালে বা মেসেজ করলেও হবে।

    পুঃ পুঃ ভবিষ্যতে গুরুর একটি নোটিসবোর্ড ব্লগ হবে। এখনও নেই, লেখাটাতেও প্রচুর 'আমি', আমি ' আছে, ঠিক নৈর্ব্যক্তিক নোটিস না। তাই ব্যক্তিগত ব্লগেই থাক। কিন্তু আহ্বানটা গুরুর দিক থেকেই।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ মে ২০১৬ | ১৫২৮৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ঈশান | 183.21.199.39 (*) | ২১ মে ২০১৬ ০১:৪৬53226
  • "রাজি হয়েছেন" নয়, বিষয়টায় আগ্রহ দেখিয়েছেন, বলতে চেয়েছিলাম।

    আর একটা কথা লিখেই দিই। "সেই কারণেই শুনেছি গুরুর এক লেখিকার লেখা অনেকদিন রেডি থাকা সত্বেও পাবলিশ করা সম্ভব হয়নি। " -- এইটা ঠিক না। এরকম কার্যকারণসহ কোনো ঘটনা ঘটেনি।

    তবে কেস-বাই-কেস বেসিসে এইটাই প্রথম উত্তর দিলাম, এইটাই শেষ। এই স্পেকুলেটিভ বিষয় গুলো না তুললেই ভালো হয়। তাতে আলোচনাটা অযথা ঘেঁটে যাবে।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২১ মে ২০১৬ ০৩:০৮53227
  • যাহোক, এত স্পেকুলেশন না করে, যদি লেখিকা নিজে এটা জানিয়ে থাকেন তো নিজের নাম, ও লেখিকার নাম দিয়ে, লেখিকাকে সেটা জানিয়ে, অর্থাৎ তাঁর অনুমতি নিয়ে, একদম স্পষ্ট করেই প্রশ্ন করতে পারেন। তাহলে স্পষ্টভাবে জানানো যাবে, কোনটা সত্যি , কোনটা নয়। নইলে এরকম স্পেকুলেশন ক'রে লাভ কী ?

    আরেকটা কথা জানিয়ে রাখা দরকার হয়ে পড়ছে। অনেক অপ্রিয় সত্য কথা গুরু লেখেনা। স্পেকুলেশন হিসেবে আসা অভিযোগের উত্তরও । সৌজন্যবশতঃ। সেটাকে গুরুর দুর্বলতা হিসেবে না ধরাই ভাল।

    ও হ্যাঁ, মামুর 'এককালে কিছু হয়েছে' তে একটু যোগ করে যাই। এককালে, অর্থাৎ গুরুর একেবারে গোড়ার কালে যখন হয়েছে, তখনও লেখকের থেকে টাকা নেওয়া হয়নি, এরকমও হয়েছে। বা, দেওয়া বাধ্যতামূলক নয়, লেখক নিজের ইচ্ছাতে গুরুতে ফাণ্ড হিসেবে দিয়েছেন, সেটাও হয়েছে।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২১ মে ২০১৬ ০৩:৩৮53228
  • ফিলোদফি নিয়ে মামু যবে সময় পাবে, লিখুক।
    আপাততঃ যাঁরা পূর্ণ বা আংশিক দত্তক নিতে চেয়েছেন, তাঁদেরকে আলাদা ক'রে ( মেইলগ্রুপ নয়), কিছু সম্ভাব্য বইয়ের তালিকা পাঠানো হবে। কোন বই নিয়ে আগ্রহী হলে তাঁরা উত্তর দিতে পারেন। আলাদা ক'রেই কথা বলা হবে, মেইলগ্রুপ নয়।
  • | 131.245.73.125 (*) | ২১ মে ২০১৬ ০৩:৫০53229
  • গুড থ্যাঙ্কু
  • ন্যাড়া | 117.77.92.90 (*) | ২১ মে ২০১৬ ০৩:৫৫53230
  • সৌজন্যবোধের কথাই যখন উঠল, তখন ইতস্ততঃ করে বলি যে বছরদুয়েক আগে কল্লোলদার অনুরোধে একটি চটির জন্যে একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম। একবার-দুবার চেয়েও না কল্লোলদা না প্রকাশক/প্রকাশিকা - কারুর থেকেই সৌজন্যকপি বা কোনরকম খবর বা অন্য কোন উচ্যবাচ্য শুনিনি।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২১ মে ২০১৬ ০৩:৫৯53231
  • বই নিয়ে তো আমি পারমিতাদিকে বলেছিলাম মনে হচ্ছে না। মেলায় আপনাদের কোন বন্ধুর হাতে বই দিয়েওছিলাম, মনে হচ্ছে।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ২১ মে ২০১৬ ০৪:১৮53232
  • * মনে হচ্ছে।

    হ্যাঁ, চেক করলাম, পারমিতাদিকে এবছর মেলার সময়েও লিখেছিলাম দেখলাম, আপনি সৌজন্য সংখ্যা পেয়েছেন কিনা। কোলকাতায় আছেন কিনা। না পেয়ে থাকলে দেওয়ার কথা।

    আর খুব ভুল না করলে, আপনাদের কোন বন্ধু আপনাদের জন্য মহীন নিয়েছিলেন, তখন কাব্যগীতির অন্য ধারা বইটি আপনার সৌজন্য সংখ্যা হিসেবে দিয়ে দি।

    তারও আগে লোকজনের হাতে পাঠিয়েছিলাম, আপনাকে পাঠানোর জন্য, যদ্দুর মনে পড়ে। তাঁরা পাঠিয়েছিলেন কিনা জানিনা বলেই পারমিতাদিকে বলেছিলাম।
  • পাঠক | 74.233.173.177 (*) | ২১ মে ২০১৬ ০৯:২০53233
  • কিছু ব্যপার আলোচনাযোগ্য মনে হয়। প্রকাশনা শুরুর বেসিক ফিলোসফির জায়গা যেগুলো। কেন এই বই ছাপা? কাদের কী পড়ানোর জন্য? এটা ব্যবসা হিসেবে দেখব? অর্থ রোজগারের উপায় বিশেষ হিসেবে দেখব? বই বিক্রির লাভের টাকা অন্য কাজে লাগাব? অন্য কাজের উদ্বৃত্ত অর্থ প্রকাশনায় লাগাব? বিজ্ঞাপন / স্পনসর / ডোনেশন নেব? দামি বা কমদামি বই পিডিএফ/ ইপাব - ইবুক। বিক্রির টার্গেট - স্কুল কলেজ চাকরি গৃহবধু/বর। অলটার্নেট মার্কেটিং অল্টার্নেট সাপ্লাই চেন। গোটা বই ছাপা বিক্রি ডিস্ট্রিবিউশনের কলেজস্ট্রীটিও মেকানিজমের কোনো অল্টার্নেট ভাবনা।টেকনোলজির সাহায্যে বা অন্যভাবে। ব্রেন স্টর্মিং। দত্তক ও ভলান্টারদের ডেটাবেস তৈরির পাশে এই নিয়ে গুরুর ইউজারদের ভাবনা জানতে চাইব। গুরুর ফেসবুক ইউজার ২৫০০০ এর বেশি এটা মাথায় রেখে।
  • অরিন | 111.98.194.178 (*) | ২১ মে ২০১৬ ১১:৫৯53234
  • "একটা গুরুচন্ডালি লেখক-পাঠক সমবায় তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে। তেমন কিছু না, একটি মেলিং লিস্ট। সেখানে যাঁরা আগ্রহী, তাঁরা বইগুলি নিয়ে নানা প্রোমোশানে একটু সাহায্য করবেন। টুকটাক আর কি। এটাও বেশ জরুরি কাজ, কিন্তু খুব বেশি পরিশ্রম নেই। কেউ আগ্রহী থাকলে জানাবেন।"

    আমি আগ্রহী। প্রকাশনা দত্তক নেওয়ার আইডিয়াটাও দারুণ প্রস্তাব।
  • :( | 233.176.188.219 (*) | ২১ মে ২০১৬ ১২:২৯53224
  • অথরকে চার্জ করা হয়/হত বলেই শুনেছি অন্তত নতুন গুরু সাইটের লেখকদের। সেই কারণেই শুনেছি গুরুর এক লেখিকার লেখা অনেকদিন রেডি থাকা সত্বেও পাবলিশ করা সম্ভব হয়নি। পরে সেই লেখিকার বই অন্যত্র ছাপা হয়ে, তিনি আজ বিখ্যাত। শুধু তাই নয়, সম্ভবত বইয়ের সেল হলে সেটা গুরুর ফান্ডে যায়, অথররা নেয় না, সে ক্ষেত্রে ফান্ডে অথরদের কনট্রিবিউশন আছে, সেটা এখানে ক্লিয়ার হলে ভালো।
  • ঈশান | 183.21.199.39 (*) | ২১ মে ২০১৬ ১২:৫৭53225
  • এককালে কিছু হয়েছে। এখন একেবারেই হয়না। এরপরে, সম্ভব হলে, লেখককে কিছু দেবার কথাও ভাবা হচ্ছে। কবে সম্ভব, সে, পরের কথা।

    তবে এটা অতীতের আলোচনা নয়, সেখানে ঢুকবওনা। এই ওমুকেরটা অমুক হয়েছিল, এই আলোচনায় আমি ঢুবনা, শোনা কথার উপর এই স্পেকুলেশনগুলোরও কোনো মানে নেই। আধশোনা জিনিসপত্তর অনেক সময়ই ভিত্তিহীন হয়। এগুলো এখান থেকে বাদ দিন।

    ভবিষ্যতের ফিলসফি নিয়ে নিশ্চয়ই লিখব। মডেল নিয়েও খানিক। সেটা নিয়েই কথা হোক। তবে কদিন লাগবে। বাকি ডিটেল একেবারেই এখানে না। যাঁরা রাজি হয়েছেন, তাঁদের আলাদা করে যোগাযোগ করা হবে। সেখানে আলোচনা, প্রশ্নের উত্তর, ডিটেল অবশ্যই দেব। এখানে সবকিছু লেখা তো সম্ভব না, কাম্যও না।
  • | 24.96.174.167 (*) | ২২ মে ২০১৬ ০২:১৫53235
  • আচ্ছা কিছুদিন থেকেই জিগ্যেস করব ভাবছিলাম, এই ব্লগটাই সবচেয়ে উপযুক্ত মনে হচ্ছে ---
    টইপত্তরের টইগুলো আর হরিদাস পাল আর বুবুভাকে কপি প্রোটেক্ট করা যায় না? মানে টেকনিক্যালি তো যায়ই, তবে এখানে করতে কতটা কী ওভারহেড হবে জানি না, সেইজন্যই জিগ্যেস করছি এবং প্রস্তাবও করছি।
    যাতে দুমদাম কেউ কোনও লেখা কপি করে ন্মিয়ে ছেপে দিতে না পারে।
  • পাঠক | 117.170.132.238 (*) | ০৩ জুলাই ২০১৬ ১০:০৫53236
  • এই আলোচনাটা আর আপাতত প্রাসঙ্গিক নয় বলেই মনে হচ্ছে, অন্তত আগামী পুজো পর্যন্ত, যার পর থেকে নতুন বই ছাপার পরিকল্পনা শুরু হবে।
  • pi | 24.139.209.3 (*) | ১১ জুলাই ২০১৬ ০৫:৪৩53237
  • না, শিগ্গিরিই মেইল করা হবে।
  • π | 233.176.32.235 (*) | ২১ জুলাই ২০১৬ ০৪:১১53238
  • মেইল করা হয়েছে।
  • ঈশান | 176.62.53.94 (*) | ১৮ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৯:৫৮53239
  • এখনও গুরুর নোটিসবোর্ড ব্লগ টা হয়নি। তাই এইটাও আপাতত এখানে থাকুক।

    "এই আশ্চর্য্য পৃথিবীতে কাটামুণ্ডুর চোখ দিয়ে অসহায় কামনার অশ্রু গড়িয়ে যায়। লোলচর্মা বৃদ্ধা স্বপ্ন দেখেন নেশাধরানো বুনো গন্ধের কালো ঘোড়া তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে পা ঠুকে বলে উঠবে, ‘কামান বেবি!’ শ্যাওলাজড়ানো প্রাচীন কচ্ছপের ঘোলাচোখে রহস্যময় আনন্দ খেলা করে যায়। এই রহস্যজড়ানো মায়াম্যাজিকের ভুবনে তাতু সরকার নতুন শব্দ খুঁজে বেড়ায়। মন্ত্রের মত উচ্চারণ করে চলে নতুন শেখা শব্দদের। লেখক নিজেও কি এই উপন্যাসে প্রায় খনিশ্রমিকের অধ্যাবসায় নিয়ে মাটি ছেনে নতুন নতুন শব্দ তুলে আনেন নি? এই রোদেপোড়া বাতাস, পাখিবিহীন সংসার, এই মায়ামেঘ, হলদে চাঁদ, গরম বাতাসের ভেতর দিয়ে দেখা ভাঙা ঘরবাড়ি এবং সর্বোপরি নব-আবিষ্কৃত শব্দের দল, এই সবকিছু নিয়েই গড়ে উঠেছে এক জাদু-আখ্যান। গুরুচণ্ডা৯ থেকে প্রকাশিত বিপুল দাসের এই নতুন উপন্যাস আসলে জাদুবাস্তবতার আড়ালে এক আধুনিক পথের পাঁচালির আখ্যান নির্মাণের দিকে এগিয়ে গেছে, যেখানে ঘরপালানো বালক আবার উৎসের দিকে যাত্রা শুরু করে, হারিয়ে যাওয়া ঘুড়ি খুঁজে নেয় নিজস্ব ঠিকানা।"

    বিপুল দাস এক আশ্চর্য গদ্যকার। নরম, তুলোর মত উড়ে যায় তাঁর যে শব্দরা, তারাই আবার তেজি অশ্বের মতো মাটিতে সজোরে পা ঠোকে। হ্রেষাধ্বনিতে ভেসে যায় চরাচর। গুরুচন্ডালি খুব তাড়াতাড়িই প্রকাশ করছে তাঁর নতুন বই, 'কামান বেবি'। এমনকি প্রকাশের দিনক্ষণও প্রায় ঠিক, সম্ভবত ডিসেম্বরের কোনো এক সময়ে। কেউ দত্তক নিতে আগ্রহী হলে অতি অবশ্যই চটপট জানান। এখানে লিখুন, মেসেজ করুন বা মেল করুন [email protected]এ। বেশি দেরি নয়, খামান বেবি। :-)

    পুঃ গুরুচন্ডালির অন্যান্য বইগুলির খবরও আসছে খুব তাড়াতাড়ি। সঙ্গে থাকুন।

    https://www.facebook.com/BipulDasGuruchandali/photos/a.466488150207553.1073741828.455708544618847/589304147925952/?type=3&theater
  • মিলিপিপ্পিং খ্রুক | 176.62.53.94 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:১২53240
  • "টইপত্তরের টইগুলো আর হরিদাস পাল আর বুবুভাকে কপি প্রোটেক্ট করা যায় না?"

    এমনকি চটিগুলোকেও। ক্রিয়েটিভ কমনস শেয়ার অ্যালাইক জাতীয় কিছু। এই লাইসেন্সগুলোকে একটু পড়ে দেখতে হবে।

    মানে বেসিক্যালি জিপিএল জাতীয় কড়া কিছু থাকলে ভালো - অর্থাৎ নাও ক্ষতি নাই, কিন্তু যেটা বানাবে সেটাকেও জিপিএল করতে হবে। এইসবের ভয়ে আমাদের আইটি কোংগুলো জিপিএল এড়িয়ে চলে।
  • pi | 176.62.53.94 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:৩১53241
  • একটু বিস্তারিত বলবে ?
  • মিলিপিপ্পিং খ্রুক | 176.62.53.94 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:৩৭53242
  • লিখছি, বিকেল নাগাদ
  • Ishan | 176.62.53.94 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:৫৩53248
  • এইটা নিয়ে আরও একটু লেখাপত্তর হোক। দরকার পড়ছে ক্রমশ।
  • মিলিপিপ্পিং খ্রুক | 176.62.53.94 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৭53244
  • যা বলছিলাম...

    সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে যেমন ফ্রী সফটওয়্যার মুভমেন্ট বা ওপেন সোর্স মুভমেন্ট রয়েছে (দুটোর মধ্যে অবিশ্যি তফাত আছে অনেকটাই, কিন্তু উদ্দেশ্য বেশ কিছুটা একই বলে কপিলেফটের মধ্যে দুটোকেই ধরা যায়), সেরকমই "ক্রিয়েটিভ" জিনিসপত্র অর্থাৎ লেখা/ছবি/কবিতা ইত্যাদির ক্ষেত্রে "ফ্রী কালচার মুভমেন্ট" আছে। আইডিয়া একই ধাঁচের - "promotes the freedom to distribute and modify creative works in the form of free content or open content by using the Internet and other forms of media."

    ওপেন সোর্স মুভমেন্টে বেশ কিছু আলাদা রকমের লাইসেন্স রয়েছে - যেমন জিপিএল (গ্নু পাবলিক লাইসেন্স), এলজিপিএল (লাইটওয়েট জিপিএল), অ্যাপাচে, বিএসডি ইত্যাদি - এদের ক্লজগুলো একটু আলাদা রকমের, বিশেষতঃ ইউজ/রিইউজের ক্ষেত্রে। অনেক সফটওয়্যার কোং-এর অভ্যেস আছে ওপেন সোর্স কোড ব্যবহার করে কিছু একটা বানিয়ে সেটাকে প্রোপ্রাইটারি করে দেওয়া - আমাদের দেশের আইটি কোংগুলোর মধ্যে এইটা প্রচন্ড বেশি। এবার এই কীর্তিটি করলে গোটা ফ্রী সফটওয়্যার বা ওপেন সোর্সের ফিলোজফিটাই ঝাড় খায়। ফ্রীতে ব্যবহার করা মানে তো আর ক্রেডিট খেয়ে নেওয়া নয়, বা জিনিসটাকে ক্লোজ করে দেওয়া নয়। এই ব্যাপারে জিপিএল বেশ কড়া - কারণ ওর সমস্ত ক্লজের মধ্যে অন্যতম হল জিপিএল লাইসেন্সওয়ালা কোড রিইউজ করো - কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু যে জিনিসটা বানাবে তাকেও জিপিএল করতে হবে যাতে অন্য কেউ আবার সেটা ব্যবহার করতে পারে। জিপিএল সোর্স ব্যবহার করে কেউ তাকে প্রোপ্রাইটারি করে দিলে কেস খেয়ে যাবে - এবং এরকম ঘটনা আছে। তাই আইটি কোংগুলো ইদানিং এই ব্যাপারে সজাগ থাকে - জিপিএল লাইসেন্সের কিছু রিইউজ করে না। এর জন্যে নানারকম টুল আছে - যেগুলো রিকার্সিভলি লাইসেন্স চেক করতে করতে যায় (রিকার্সিভ কারণ একটা প্রোডাক্ট হয়তো আরো তিনটেকে ব্যবহার করেছে, সেগুলো আরো চারটেকে ইত্যাদি - সবকটার লাইসেন্সই মাথায় রাখতে হবে)।

    তো আমি যেটা বলছিলাম সেটা হল এরকম একটা কপিলেফট লাইসেন্স রাখলে হয়তো (হয়তো বলছি কারণ এগুলো ভালো করে না পড়লে বোঝা যাবে না, আর লাইসেন্স ইত্যাদি বেশ কঠিন লিগ্যাল টার্মিনোলজি ব্যবহার করে) এই অন্য প্রকাশক লেখা নিয়ে বই বানিয়ে দিলো বা এখানে বেরনো লেখা অন্য কোথাও কেউ দিয়ে দিলো (কোনো লেখকই হয়তো - যেটা সুনীল একাধিকবার করেছেন - গুরুতে নয়, অন্য জায়গায় দেখেছি) - এগুলো বন্ধ হবে।

    ক্রিয়েটিভ কমনস নিয়ে আবার দু পয়সা দেবো - আমাকেও একটু পড়ে দেখতে হবে।
  • সিকি | 176.62.53.94 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৩৭53243
  • মিলির আইডিয়া ভালো। আমার সম্পূর্ণ মত আছে এতে। কিন্তু টেকি লোক হিসেবেই প্রশ্ন, কপি প্রোটেক্ট করে কি আজ অবধি কোনওভাবে কপি আটকানো যায়? আট্কানো গেছে?
  • মিলিপিপ্পিং খ্রুক | 176.62.53.94 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৮:৪০53245
  • "কিন্তু টেকি লোক হিসেবেই প্রশ্ন, কপি প্রোটেক্ট করে কি আজ অবধি কোনওভাবে কপি আটকানো যায়? আট্কানো গেছে?"

    যায়। প্রায় সব বড় কোম্পানিই এখন সমস্ত প্রোজেক্টে টুল ব্যাভার করে - কোথাও বাই চান্স জিপিএল ঢুকে গেছে কিনা চেক করার জন্য। প্রপার কপিলেফট করতে গেলে জিপিএল লাইনে যেতে হবে। এলজিপিএল বা অ্যাপাচে অনেক ডাইল্যুট করে দেয়। যে কারনে স্টলম্যান হেব্বি খচে যান।
  • কপিরাইট/লেফট | 176.62.53.94 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৩৭53246
  • অর্থাৎ সাথে এমন সফটোয়ার টুলও বানাতে হবে যা বিভিন্ন সাইট বা হার্ডপ্রিন্ট বইপত্রের ক্রিয়েটিভ রাইটিং কনটেন্টকে রিকার্সিভ লুপে চেক করতে করতে যাবে - কোনো আইডিয়া গুরুর লেখা থেকে ঝাড়া হল কিনা। হলেও সেই লেখায় লেখকের তরফে কপিরাইট দাবি করা রয়েছে কিনা। অপরপক্ষে গুরুতে লিখে ফেললেই সেই লেখার কোনো কপিরাইট বা সে লেখা বই হলে বিক্রিবাটাসূত্রে টাকাকড়ি লেখক কখনো দাবি করতে পারবেন না। নইলে স্টলম্যান খচে যাবেন। এইতো?
  • টুংকাটাকিলা | 176.62.53.94 (*) | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৪০53247
  • না।
  • ঈশান | 176.62.53.94 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:৪৬53250
  • কাগজেরই হতে হবে এমন না, কিন্তু কাগজের বই লাগবেই। এখনও সব লোকে ই জিনিসপত্র পড়েনা।
  • s | 176.62.53.94 (*) | ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:০৬53249
  • ইয়ে, মানে বই কাগজেরই হতে হবে এমন কিছু নীতিগত চিন্তা কি গুরু কতৃপক্ষের আছে? তাহলে পরের প্যারাটা ইগনোর করুন।
    একটা গুরু অ্যাপের কথা ভাবা যেতে পারে। যেখানে গুরুর সাইট, ফেসবুকে গুরু গ্রুপ, আর বইপত্র কেনাকাটি করা ও পড়া যাবে। বইএর ডেটা ফাইলটা পাব্লিক, প্রাইভেট এনক্রিপশনে রাখলে, একমাত্র গুরু অ্যাপ ছাড়া পড়া যাবে না। কেনাকাটার জন্য সস্তা দেখে কোনো পেমেন্ট গেটওয়ের সংগে টাই আপ করা যেতে পারে। আরো কিছু সুবিধা যেমন গুরুর মেম্বার হলে একটা মাসিক/বাৎসরিক মেম্বারশিপ ফি নেওয়া হল, বদলে বছরে তিনটে বই ফ্রি পড়তে দেওয়া হল। এরকম কিছু স্কীম নেওয়া যেতে পারে। এছাড়া ফ্লিপকার্ট অ্যামাজনে বেচার অপশন তো আছেই।
  • pi | 233.176.105.224 (*) | ০৯ জানুয়ারি ২০১৭ ০৯:২০53251
  • চলে এল ! এই মেলায় গুরুর প্রকাশিতব্য বইয়ের লিস্টি !

    আগের সব বইয়ের মতই, এই বইগুলিও ক্রাউডফাণ্ডেড হতে চলেছে। এর মধ্যে যেকোন বইয়ের আংশিক 'দত্তক' নিতে পারেন যে কেউ। দত্তক, মানে বইপ্রকাশের আর্থিক দায়িত্ব, যা এই বই ও তার পরবর্তী সংস্করণের জন্য ব্যয়িত হবে।

    এইভাবেই এবছরে প্রকাশিত কিছু বই দত্তক নিয়েছেন বেশ কিছু বন্ধু। তাঁদের অনেক ধন্যবাদ।

    সামনের মেলায় প্রকাশিতব্য বইয়ের তালিকা রইল, কেউ আগ্রহী হলে জানাবেন। টাকা দেবার তাড়া অত নেই, যত আছে, আগ্রহী কিনা জানার তাড়া, কারণ দত্তকগ্রহীতার নামটুকুই খালি বইয়ে বসিয়ে প্রেসে পাঠানো বাকি !

    এক ব্যাগ নব্বই
    ---------------------
    আস্ত নব্বইকে একটা ব্যাগে আঁটিয়ে দেওয়া সম্ভব না, যদিও ইচ্ছে ছিল সেটাই। পরিবর্তে আসছে নব্বইয়ের এক ঝাঁক কবির এক ঝাঁক বই। ১৯৯০ এর বদলে ১৯টি নব্বই। পাচ্ছেন একই ব্যাগের ভিতরে। দেখতে থাকুন, এই জাদুব্যাগের ভিতর থেকে শহর আর শহরতলীর একঝাঁক খোলা জানালা দিয়ে উড়ে যাবে নষ্ট নব্বইয়ের পুরোনো পায়রারা।
    লিখছেনঃ
    অয়ন চক্রবর্তী- বিষণ্ণ রূপকথা
    অংশুমান কর - সরে দাঁড়ালেন লেন্ডল
    আর্যনীল মুখার্জি - জলতলের ফোটোগ্রাফি
    কল্পর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়- যে গান শোনেনা কেউ
    চন্দ্রিল ভট্টাচার্য - সরুচাকলি
    পারমিতা মুন্সি-কূর্মাবতার
    প্রসূন ভৌমিক - উজ্জ্বল শ্যামবর্ণা বান্ধবীকে
    মিতুল দত্ত -উইকএন্ড
    যশোধরা রায়চৌধুরী- সাক্ষরতা মিশন
    রোশনারা মিশ্র- ১৯৮৯
    শমিত রায়- উহ্য
    শান্তনু রায়- পড় শুধু স্মৃতি
    শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায় -যে বয়েস হরিণের নয়
    সার্থক রায়চৌধুরী - আত্মার আশ্চর্য সেলফি
    সাম্যব্রত জোয়ারদার -যখন ফানুসেরা ওড়ে
    সায়ন কর ভৌমিক- পাখিয়াল
    সুমন মান্না- ফোনঘর
    সোমনাথ রায়- রেলিং জড়িয়ে প্লাস্টিক
    হিন্দোল ভট্টাচার্য -লেখো আলো, লেখো অন্ধকার

    নির্বাচিত গল্পপাঠ -- অপার বাংলার গল্পসংকলন, গল্পকারদের গল্পকথা
    ------------------------------------------------------
    "বাংলাদেশের সাহিত্য আলাদা হয়ে গেছে ক্রমশ। আলাউদ্দিন আল আজাদ-এর ‘বৃষ্টি’ র মতো গল্প এপারে লেখা সম্ভব হয়নি। আবার দীনেশচন্দ্র রায়ের’ কুলপতি’ কিংবা শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘’তেওট তালে কনসার্ট’’ এপারেই লেখা সম্ভব। দেশ আলাদা কিন্তু একই জাতি, তাতেও সাহিত্য একই রকম থাকে নি। দেশভাগ যেমন এপারের সমস্যা, দেশভাগজনিত দুঃখ, কষ্ট যেমন এপারের সাহিত্যকে দিয়েছে নতুন মাত্রা, ওপারে দেশভাগের যাতনার চেয়ে ভাষা আন্দোলন, ধর্মীয় মৌলবাদের সঙ্গে দ্বন্দ্ব হয়েছে প্রধান বিষয়। আবার বাংলাদেশের জন্মের পর মুক্তিযুদ্ধ, মানুষের আত্মত্যাগ হয়েছে সাহিত্যের প্রধান বিষয়। আবার ধর্মের নিগড় থেকে মুক্তির আকাঙ্ক্ষাও হয়েছে বড় বিষয়।"
    দুই বাংলার গল্প ধরে যাচ্ছে দুই মলাটের মধ্যে। ধরে যাচ্ছেন গল্পকাররাও, সাক্ষাৎকার সহ। বিশাল এরকম এক সংকলন দুই বাংলাতেই সম্ভবত হতে চলেছে প্রথমবার।

    বস্টনে বং-গে -- বর্ন ফ্রি
    --------------------------
    "গত বছর এই ডিসেম্বর মাসেই সুপ্রীম কোর্টের রায় আবার নতুন করে আমাকে ক্রিমিনাল করে দিয়েছিল।যবে থেকে বুঝতে শিখেছি তখন থেকেই জেনে এসেছি এই ভারতে আমার বা আমাদের মত মানুষদের কোনো আইন্সন্মত জায়গা নেই। ঝোপের আড়ালে, পার্কের কোনায়, পাবলিক টয়লেটে অথবা ভিড় ট্রেনের কামরায় আমরা চাইলে থাকতে পারি কিন্তু তোমাদের নাটকে, গল্পে কবিতায় সিনেমার ডিসকোর্সে আমরা নেই। তোমাদের বেডরুমে আমরা সবসময় থেকেছি, কিন্তু তোমাদের ড্রয়িংরুমের আলোচনায় আমাদের ডাক পড়েনি। বরং বিভিন্ন সময়ে বন্ধুদের মুখে শুনেছি ‘ওইসব করতে হলে আমেরিকায় গিয়ে কর, ইন্ডিয়াতে করলে পুলিশে ধরবে’। তারা অনেক সময়েই কথাগুলো মজা করে বলেছে। আমি জানি, আমার যৌনপরিচয় না জেনেই বলেছে, কিন্তু কতটা ব্যথা দেওয়া সত্যি কথা বলে ফেলেছে সেটা তারা নিজেরাও বোঝেনি। "
    বস্টন থেকে কলকাতা, আমেরিকা থেকে ভারতে, এক 'অন্যরকম' যুবকের অন্যরকম রচনা। ধারাবাহিক হিসেবে প্রকাশিত হয়েছিল গুরুচন্ডা৯তে। কিছু পরিবর্তিত পরিমার্জত রূপে এবার বই হয়ে।

    বৃহৎ ন্যানোপুরাণ -- সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
    ---------------------------------------------
    "শুনতে যতই আশ্চর্য লাগুক, সিঙ্গুরের ইতিহাস ঠিক ২০০৬ সালে শুরু নয়, তার আগে সেখানে শুধু আলু নয়, ঐতিহাসিকও ফলত। এমনকি টিভি চ্যানেলে যতই ‘সিঙ্গুর সিঙ্গুর’ বলে চিল্লাক, ন্যানো কারখানাটাও সিঙ্গুর এক এবং দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতেই নয়। বরং সিঙ্গুর রেল স্টেশন টপকে মাইল দুই দূরে যে এলাকার প্রান্তে কারখানা শুরু হচ্ছে, তার নাম রতনপুর। আরামবাগ মানে যেমন স্রেফ ‘তাজা মুর্গির মজা নয়’, তারকেশ্বর নয় স্রেফ ‘জয় বাবা তারকনাথ’ এর লোকেশন, তেমনই সিঙ্গুরের লোক মানেই স্রেফ ‘ইচ্ছুক’ আর ‘অনিচ্ছুক’ নয়। আর ন্যানো আবিষ্কারও, বলাবাহুল্য ২০০৬ এর কারবার না। "
    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস। শারদীয়া প্রতিদিনে প্রকাশিত। বই হিসেবে আসছে বইমেলায়।

    হাম্বা -- সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায়
    ----------------------------
    "আমরা পন্ডিতদের সম্মান করি, আঁতেলদের ভয় পাই, পুলিশকে স্যার বলি, ঝাঁকড়াচুলো ব্যান্ডবাদক আর ক্যাটখুকিদের ফাটবাজি দেখে কুঁকড়ে যাই। আমরা লেখালিখি বলতে মাস্টারের নোটবই বুঝি, আইন বলতে পুলিশের ধাতানি। আমরা উড়ালপুলকে উন্নয়ন বলি, মার্কসবাদকে প্রগতি। আঁতলামি বলতে গোদার বুঝি আর (সুইট ইংলিশে) হাউ-আর-ইউ-ডুয়িং বলাকে স্মার্টনেস। আমাদের যাপন মানে চর্বিত চর্বন। জীবন মানে মেগা-সিরিয়াল। পরিশীলন মানে গরু রচনা। এই পরিশীলন নামক গরু রচনার বিরুদ্ধে গরুদের এক নিজস্ব বিদ্রোহের বুলি হল হাম্বা।"
    প্রকাশিত হতে চলেছে চতুর্থ সংস্করণ।
  • dd | 116.51.29.151 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:০১53253
  • আরে,এটা সত্যি না কি?

    খুব বাজে তো।

    হাঁড়ীর খবর আর জানবো কি করে, তবে লেখা ছাড়ার দরকার কি? আমাদের মতোন অ্যামেচাররা তো নিজেদের জন্যেই লিখি - সেটা বন্ধ করে দিলে লাভটা কি হবে?

    না,না, লেখাটেখা চালিয়ে যাও।
  • শঙ্খ | 113.242.196.210 (*) | ১৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৫:১৭53254
  • ফিরে এসো লামাদা।

    আশা করি অপ্রীতিকর ঘটনার রেশ মুছে যাবে সময়ের নিয়মে। দা শো মাস্ট গো অন।

    প্লিজ...
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন