এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইউক্রেন, বাংলাদেশ, এবং মিডিয়া -- বর্বরতার সেকাল একাল

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১১৮৪৯ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর -- বাংলাদেশের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে -- আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, এবং তার পরিণতি হিসেবে কত কোটি নিরীহ মানুষকে নিজের দেশ ছেড়ে চিরকালের মতো অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তুর জীবন কাটাতে হয়েছে? কেউ কি তার হিসেব রেখেছে কোনো?
     
    আজকে নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং প্রায় সমস্ত মার্কিন ও পশ্চিমি মিডিয়া রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্যে কেঁদে আকুল। কেবলমাত্র পোল্যাণ্ডেই দশ থেকে পনেরো লক্ষ ইউক্রেনিয়ান পুরুষ, নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এর পর আছে পশ্চিম ইউরোপের আরো দেশ -- যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি। ইউক্রেনের চারপাশে আরো যেসব দেশ আছে, যেমন বেলারুশ, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, মলডোভা, জর্জিয়া, রোমানিয়া ইত্যাদি। 

    ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্বর আক্রমণ এই প্রতিটি দেশকেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাধ্য। পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপরে যে নিদারুণ প্রভাব পড়বে, এবং কত কোটি গাছ কাটা পড়বে, পার্ক ও তৃণভূমি জ্বলে যাবে, কত লক্ষ কোটি গ্যালন জল চিরকালের মতো বিলীন হবে, তার হিসেব কে করে? এবং যারা বেঁচে থাকবে, বিশেষ করে শিশুরা, তাদের মনের ওপর এই যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ চিরকালের মতো কেমনভাবে ছাপ ফেলে যাবে, তার হিসেব কে করে?
     
    বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে আমরা দেখেছি, কত লক্ষ নিরীহ পরিবারকে এই ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কত অসংখ্য নারীর মর্যাদা লুন্ঠিত হয়েছিল। কত মানুষ বিকলাঙ্গ, পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো। অথচ, বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানী হানাদারদের বর্বরতার খবর আমার পরিচিত অনেক সাধারণ পাকিস্তানীই জানেনা। আমি যখন তাদের এসব কথা বলি, তারা আশ্চর্য হয়ে যায়। তারা তাদের দেশে থাকার সময়ে কখনো এসব কথা শোনেনি। শুনলেও তার যে বীভৎসতা, বিভীষিকা, তার কোনো সঠিক খবর তাদের দেশের মিডিয়া তাদের দেয়নি। এও হলো আমার পূর্বকথিত "জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশন" বা কৌশলে বর্জন করার সাংবাদিকতা। আজ আমরা নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং পশ্চিমি মিডিয়াতে তার এক আধুনিক সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি।
     
    এই আধুনিক, নবতম মগজধোলাইতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়া ও পুতিন কেমনভাবে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে, কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, মারিপল, ম্যারিটোপোল, খারসন, ইত্যাদি শহরে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এসব রাশিয়ার বোমার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তার ছবি আমরা দিবারাত্র পশ্চিমি মিডিয়াতে এবং তাদের বশংবদ ভারতীয় ও বাংলাদেশী মিডিয়াতে দেখছি। এবং শিহরিত হচ্ছি। হওয়ারই কথা।
     
    রাশিয়ার এ আগ্রাসন ও বর্বরতাকে চরম ধিক্কার জানাই। 
     
    কিন্তু এখানে একটা বিরাট প্রব্লেমও আছে। আজ পৃথিবীতে যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো খবর দেখলে তেমন কেউ তার সম্পর্কে খোঁজখবর করেনা বা রিসার্চ করেনা, এবং সেই উড়ো খবরকেই ধ্রুবসত্য বলে মনে করে এবং নিজের বন্ধু পরিজনের সঙ্গে চোখ বন্ধ করে শেয়ার করে ফেলে, ঠিক তেমনি নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএনের খবরকে কেউ যাচাই না করেই নিজেদের মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়। এবং কে কত বেশি আগে প্রকাশ করতে পারলো, তার প্রতিযোগিতা চলে। 

    অথচ, নিউ ইয়র্ক টাইমস জাতীয় মিডিয়া একপেশে রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করে চলেছে, যা ওয়ার প্রোপাগাণ্ডা -- যুদ্ধ সম্পর্কে একটা জিগির সৃষ্টি করা।
     
    সেই একপেশে সাংবাদিকতায় যেমন যুক্তিতর্ক, বিশ্লেষণ, কারণ অনুসন্ধান সমস্ত বিলুপ্ত, ঠিক তেমনই ইতিহাসের কোনো আলোচনাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই তথাকথিত "মুক্ত ও স্বাধীনতার দেশ" আমেরিকায় আজ যদি কোনো মূলস্রোত মিডিয়া সেসব কারণ বা ইতিহাসের কথা তোলে, সঙ্গে সঙ্গেই সে মিডিয়া জনপ্রিয়তা হারাবে, এবং যেসব বড় বড় কর্পোরেশন -- গাড়ি থেকে ওষুধ থেকে ম্যাকডোনাল্ড থেকে পিৎজা হাট থেকে ডিজনি ওয়ার্ল্ড -- তাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে, তারা সে বিজ্ঞাপন গুটিয়ে নেবে, এবং সে মিডিয়া মুখ থুবড়ে পড়বে। সে ঝুঁকি নিয়ে সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সাহস কোনো মূলস্রোত মিডিয়ার নেই।
     
    অথচ সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করার এই মুহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল। আগের তিন সপ্তাহে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় সেসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আজ করছি যুদ্ধ এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা। ইমিগ্রেন্ট এবং ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন মিডিয়ার একপেশে আলোচনা দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সে দুই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছিলো, এবং বলতে গেলে বিনা কারণেই বোমার আঘাতে দুটো দেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো, তখন মার্কিনি ও পশ্চিমি মিডিয়ার এই কুম্ভীরাশ্রু কোথায় ছিল? 

    প্রতিটি ছবি, প্রতিটি খবর দেখলে আজ সেই হিপোক্রিসি, দ্বিচারিতার কথাই খুব বেশি করে মনে আসে। কিন্তু সেসব কথা বলা জনপ্রিয় নয়। 

    ইতিহাসের আলোচনা জনপ্রিয় নয়। আপনার চাকরি চলে যেতে পারে, আপনার ফোন হ্যাক করা হতে পারে, আপনার পরিবারের ওপর নজরদারি করা হতেই পারে। এমনিতেই আমেরিকায় গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বিনা পয়সায় ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বা পছন্দের খবর মার্কিনি কর্পোরেশনগুলো জানে। আপনার ফোনে বা ইমেলে যে কোনো সময়ে যে কোনো কর্পোরেশন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার বাড়িতে যদি অ্যালেক্সা-জাতীয় অনলাইন রোবট থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে আপনার বলা সমস্ত কথা কর্পোরেশনগুলির হাতে সরাসরি চলে যেতে পারে। 

    এই তথাকথিত "ল্যাণ্ড অফ প্রাইভেসি" আমেরিকায় কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আপনার অবশিষ্ট নেই।
     
    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েই কিন্তু ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চিলি এসব দেশে বিশাল বিশাল যুদ্ধ চলছিল, এবং প্রতিটি যুদ্ধের পিছনেই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত। সেই একই সময়ে দক্ষিণ আমেরিকায় গুয়াতেমালা, সালভাডোর, হণ্ডুরাস এসব দেশে মার্কিন মদতে সেখানকার অত্যাচারী রাষ্ট্রনায়করা বর্বর আক্রমণে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছিল, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ জমি, ঘরবাড়ি, স্বজন পরিজন হারিয়ে স্ত্রীপুত্রকন্যার হাত ধরে নিজের প্রিয় দেশ ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলো অন্য দেশের আশ্রয়ে।
     
    ফিলিপিন্স থেকে এ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা, সুদান থেকে কঙ্গো, কসোভো থেকে ইউক্রেন -- সমস্ত যুদ্ধের পিছনেই ওই যে কথা আগেই বললাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং তাদের ট্রিলিয়ন ডলার, ট্রিলিয়ন পাউনড অস্ত্র ও যুদ্ধ কর্পোরেশনের মদত রয়েছে। ঠিক যেমন পট্যাটো চিপসকে জনপ্রিয় না করলে খামারের আলু বিক্রি হবেনা এবং পচে যাবে, ঠিক একই ভাবে যুদ্ধ না লাগালে এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে এই ট্রিলিয়ন ডলারের মজুত করা অস্ত্রভাণ্ডার পড়ে থাকবে, এবং শেয়ার বাজারে তাদের লাভ দ্রুত পড়ে যাবে। 
     
    অস্ত্র ও যুদ্ধ বিক্রি না হলে লাভ নেই, এবং লাভ না থাকলে শেয়ার মার্কেট নেই। স্টকহোল্ডাররা ক্ষেপে উঠবে। 

    যুদ্ধ কর্পোরেশনের সঙ্গে কেবলমাত্র অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো যুক্ত নয়। যুক্ত আছে ওষুধপত্র, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার, হাজার ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন বাণিজ্য, সাবান থেকে খাদ্যসামগ্রী। গাড়ি থেকে গ্রেনেড। বস্তুতঃ, যুদ্ধ না লাগালে, এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারণে, আপনারা একবার গুগল সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকা পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো ভাবে যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আছে।
     
    আজকে পৃথিবীতে এই মুহূর্তেই সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে। এবং মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএন বা বিবিসিতে তার কোনো খবর আপনি পাবেন না আদৌ।
     
    কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বক্ষণ যুদ্ধ চলেছে। আফ্রিকার অনেকগুলো দেশের মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলেছে। ইজরায়েলের কথা বলে আর মার্কিনি মিডিয়ার লজ্জা বাড়ালাম না। অবশ্য, জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশনে লজ্জা বস্তুটাই তাদের আর নেই।
     
    সব জায়গাতেই -- বার্মা থেকে বাংলাদেশ থেকে বলিভিয়া থেকে বার্কিনা ফাসো -- যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা ওই মেক্সিকো, গুয়াতেমালার সর্বস্বান্ত মানুষের মতোই দেশ হারিয়ে, স্বজন পরিজন হারিয়ে, জমি হারিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অন্য দেশের আশ্রয়ে। এই মুহূর্তে যেমন ইউক্রেন থেকে পোল্যাণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ওই দশ থেকে পনেরো লক্ষ মানুষ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে যেমন ইউরোপ থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিল কোটি কোটি মানুষ।
     
    আমেরিকা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো। যেমন ইউরোপের নতুন যুদ্ধগুলোর শরণার্থীরা অনেকেই আশ্রয় পেয়েছে জার্মানিতে, ফ্রান্সে।
     
    কিন্তু আমেরিকায় আজ উদ্বাস্তুবিরোধী, শরণার্থীবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক হাওয়া অতি প্রবল আজ যদি কুম্ভীরাশ্রু নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন বলতো, ইউক্রেন থেকে যে কেউ আমেরিকায় আশ্রয় পেতে চাইলে আমেরিকা তাদের বিনাশর্তে আশ্রয় দেবে, এ্যাসাইলাম দেবে। বলবে কি?
     
    বিবিসি কি রাণীর ওপরে চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ইউক্রেনের শরণার্থীরা সবাই ব্রিটেনে নিরাপদ আশ্রয় পায়?
     
    যেমন একাত্তরে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি নিঃস্ব, ছিন্নমূল নিরীহ মানুষ ভারতে আশ্রয় পেয়েছিলো?
     
    ###

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১১৮৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:198a:6992:771b:d7f8 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৩৮505500
  • এই যুদ্ধটা শুরু হবার পর দেখা যাচ্ছে কত লোকের রাশিয়ার ওপর রাগ। এখানে নয়, ইন জেনারাল সর্বত্র।
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৪০505501
  • রুশোজিনি।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::7d:78c7 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৪০505502
  • ওয়েস্টার্ণ ডেমোক্রাসির কথা কি বলবো? স্লেভারি, জিম ক্রো ল, জাপানে বোমা, ভিয়েতনাম থেকে ইরাক, কলোনিয়ালিজম, চতুর্দিকে জেনোসাইড অনেক কিছুই তাদের তত্ত্বাবধানেই হয়েছে। এইসব ব্যাপারে ওয়েস্টার্ণ ডেমোক্রাসিদের রেকর্ড খুবেকটা ভালো নয়। দুনিয়ার সবথেকে বেশি ডিফেন্স বাজেট কাদের? আমেরিকা, চীন, ভারত, রাশিয়া, ইউকে, সৌদি, জার্মানি, ফ্রান্স, জাপান, আর সাউথ কোরিয়া।
  • dc | 122.183.156.244 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৪১505503
  • লেটস সি। আস্তে আস্তে রাশিয়ান সোলজাররাও টায়ার্ড হতে শুরু করবে, জেনারালরাও অসন্তুষ্ট হতে শুরু করবে, দেশের ভেতরেও সোলজারদের ফ্যামিলিরা আস্তে আস্তে রেসিসট্যান্স শুরু করবে। লং টার্মে রাশিয়ান আর্মির ব্লিডিং সামলে পুটিন কি আরও দশ বছর রাজত্ব করতে পারবে? 
  • dc | 122.183.156.244 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৪৩505504
  • দশ বছর না, ২০৩৬ মানে তো আরও ১৪ বছর। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৪৫505505
  • শুধু রাশিয়া কেন , এটাও তো ইন জেনারাল সর্বত্র  দেখা গেল কত লোকের আম্রিগার ওপরও  রাগ। 
     
    :)  :) 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৪৬505506
  • হ্যাঁ, চাপ তো আছে। পুতিনেরও তো বয়সও হবে, এখনই মনে হয় ৬৯ না কত যেন, কষ্ট করতে হবে। কিন্তু ভেবে দেখুন, রাশিয়াতে পলিটিক্যাল 'ব্যব্স্থা' বলতে তো পুতিন, তো দেশের ভেতরে ক্রাইসিস শুরু হলে সেই ব্যবস্থার বদলে কী আসবে কে জানে। তখন দেখবেন আবার রাশিয়া ভাঙবে, আম্রিকিরা তাতে মদত দেবে। সবাই তখন আর এক দফা গোঁসা করব।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::8b:1d7f | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৪৭505507
  • যুদ্ধ শুরু হবার পরে এই একমাসে শুধু ইয়োরোপিয়ান দেশগুলো নাকি প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে রাশিয়ায় - তেল কিনে। আরেকটা হিসাব শুনেছিলাম - তেলের দাম ব্যারল প্রতি ৯০ ডলার থাকলে এই বছর রাশিয়া প্রায় ৬৫ বিলিয়ন ডলার বেশি আয় করবে তেল বেচে।
  • dc | 122.183.156.244 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৪৯505508
  • রাশিয়া ভেঙে নাও যেতে পারে। হয়তো পুটিন পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে, হয়তো ইলেকশান হবে। পুটিন এই যে নিজের কবর খুঁড়লো, তার বদলে হয়তো কিছু একটা সিস্টেমিক চেঞ্জ আসবে। আশা করতে দোষ কি?
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৫১505509
  • তাহলে কি পুতিন জাস্ট বেশি রোজগার করার জন্যে যুদ্ধটা শুরু করলো ? তাহলে ওকে বেশি দোষ দেয়া যাবেনা। ইনকাম বাড়াতে কে না চায় ? ইন ফ্যাক্ট আম্রিগাও তাই চায়। তাহলে সমান সমান  হয়েছে বলতেই হবে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::62:fd87 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৫২505510
  • As Moscow faces unprecedented sanctions for war against Ukraine, the West has led a break with the long-standing convention against politics mixing with sport in banning Russia from most international events.
    But for many Arabs, who have seen their own sportsmen and women punished for refusing to compete with Israelis in protest at successive wars, the exception made for a European conflict smacks of double standards.
    "International sports associations, including FIFA, have banned any political or religious expression on the sports field," said James Dorsey, a senior fellow at the National University of Singapore's Middle East Institute.
    "What they have done now is they effectively have lifted that for Ukraine. There is Palestine of course, but what about Yemen? Syria? Libya?"
  • dc | 122.183.156.244 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৫৬505512
  • আর বেশী রোজগার! পুতিন বেচারার ৭০০ মিলিয়ন ডলারের ইয়ট টাস্কানিতে আটকে রেখেছে। পুটিনের আজকাল খুব মন খারাপ হয়। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১০:৫৯505513
  • আরে ৬৫ বিলিয়ন পেলে ওরকম ২০ নতুন ইয়ট কিনবে। ৭০০ মিলিয়ন তো পুতিনের হাতের ময়লা। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::74:7616 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:০৬505514
  • Australia's defence minister said on Friday any move to establish a Chinese military base in neighbouring Solomon Islands would be concerning, after a draft security document between Beijing and Honiara was leaked online.
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:১০505515
  • তাহলে বলছেন অস্ট্রেলিয়া র চীন কে এট্যাক করা উচিত ? 
     
    হেহে। পারলে করতো হয়তো। কিন্তু চীনকে স্বয়ং প্রধান সেবকই সামলাতে পারছেন না , অস্ট্রেলিয়া তো কোন ছাড়। চিন ফুঁ দিলেই উড়ে যাবে। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::63:5b59 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:১৫505516
  • কোনও দেশই ঘাড়ের উপর অন্য কারোর উপস্থিতি পছন্দ করেনা। আর অস্ট্রেলিয়া তো অনেকদিন ধরেই চায়্নার সাথে যুদ্ধ করবে বলে হুমকি দিচ্ছে। ডিফেন্সে প্রচুর ইনভেস্টমেন্ট বাড়ানোর প্ল্যান করেছে। দেখা যাক।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:১৮505517
  • পছন্দ করেনা বলে নালিশ করা আর ঘরে ঢুকে ব্যোম মারা দুটো ঠিক এক লেভেলের নয়। 
     
    এই যুক্তিতে রাশিয়াকে জাস্টিফাই করা হলে তাহলে বালাকোট কেও জাস্টিফাই করা হচ্ছে তো ? আগেও এটা জিগিয়েছিলাম। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::63:f454 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:২১505518
  • দুটো আলাদা তো বটেই। চায়্নার সঙ্গে হয়তো ডিরেক্ট কনফ্লিক্টে যাবেনা। ইরাকে গেছিলো।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:২৬505520
  • কিছুদিন আগেই এই বিষয়ে আলোচনায় আপনি মেনে নিয়েছিলেন ইরাকে প্রথম গালফ ওয়ার টা জাস্টিফায়েড ছিল। দ্বিতীয়টা অবশ্যই ​​​​​​​কোয়েস্টইনেবল। ​​​​​​​
     
    আর বালাকোট ? 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::7c:3faa | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৩৮505521
  • আমি জাস্টিফাই করিনি কোনওটাই। বলেছি যে প্রথম ইরাক যুদ্ধ তাও কেউ কেউ জাস্টিফাই করতে পারবে। কিন্তু তারপর যে স্যান্কশান লাগানো হয়েছিলো, দ্যাট ওয়াজ আ হরিবল আইডিয়া। প্রথমদিকে বেবি ফুড, মেডিসিন পর্যন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিলো। প্রায় পাঁচ লাখ শিশু মারা গেছিলো ঐ স্যান্কশানের ফলে। ইউএনই করেছিলো। কি আর বলবো। সেসব এখন আর আলোচনা হয়্না কোথাও। একটা ইন্টারভিউতে এই ম্যাডেলিন অলব্রাইট, এই সপ্তাহে মারা গেলেন, সেই স্যান্কশান জাস্টিফাইও করেছিলেন।

    সেকেন্ড ইরাক ওয়ার ওয়াজ অ্যাজ বিগ আ ক্রাইম অ্যাজ ইউক্রেন ইনভেশান ইজ। ইউক্রেনে ওয়ার তো তাও বুশ ডকট্রিন - প্রিএম্পটিভ মিলিটারি স্ট্রাইক - দেখিয়ে জাস্টিফাই করবে কেউ কেউ। ইরাকে ঢোকার কয়েক মাসের মধ্যে জানা গেছিলো যে ডাব্লু এমডি নেই। তবুও তারপরে আট বছর সেখানে সৈন্য রাখা হয়েছিলো। তেল চুরি করার লোভে।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::8c:e73f | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৪২505522
  • আমার শুধু দুটো প্রশ্নঃ ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য যদি রাশিয়াকে স্যান্কশান করা হয়, ইরাক যুদ্ধের জন্য কোন কোন দেশকে স্যান্কশান করা হয়েছিলো? আর ইউক্রেন ইনভেশানের জন্য ওআইসি-ফিফা রাশিয়াকে সাসপেন্ড করেছে। ইরাক যুদ্ধের জন্য কাকে কাকে সাসপেন্ড করেছিলো?
  • dc | 122.183.156.244 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৪৭505523
  • এতো জাস্টিফিকেশানের কি আছে? পুটিন যা করেছে বেশ করেছে, এই তো হলো ব্যপার। যেমন ইরাকেও কেউ কেউ বলতো বুশ যা করেছে বেশ করেছে। তার পর এতো রকম ইনটেলেকচুয়াল অ্যাক্রোব্যাটিক্সের দরকার কি?  
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::8c:efe1 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৪৭505524
  • আসলে ইউক্রেন যুদ্ধে কেউ কোনও লাভ দেখতে পারছেনা। ইকনমি গোল্লায় যাবে, তেলের দাম বেড়ে ইনফ্লেশান আকাশ ছুঁয়েছে, মার্কেটগুলো টলমল করছে। তাই এতো প্রতিবাদ। ইরাক যুদ্ধের সময় এই একই কাজে সবার মুখে লালা ঝড়ছিলো। ঐ তেল চুরি করলে, সবাই তার ভাগ পাবে সেই আশায়।
  • সে | 194.56.48.114 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৫০505525
  • গতকাল তো দাদু শাসালেন প্রায় বুশের ভাষায়।
    ইন্ডিয়া, চীন, ব্রাসিল, সাউথআফ্রিকা, তারপর আরও কিছু দেশ মিডল ইস্টের, যারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাবে না, তাদের কান গুলো কষ কষ করে মুলে দেওয়া হবে। তারা কন্সেকোয়েন্সের জন্য রেডি থাকবে। এই হচ্ছে কথা।
    ইন্ডিয়া তো রাশিয়ার বিরুদ্ধে কিছুতেই যাচ্ছে না, চীনও না। এই একটা ব্যাপারে দুটো দেশই সহমত। আরও আশ্চর্যের ব্যাপার পাকিস্তানের মত দুষ্টুও ঐ একই দলে। আজ সকালেই পুরো ম্যাপ ধরে ধরে এগুলো দেখানো হচ্ছিলো আপনাদের সিয়েনেনে।
    দাদু খুব বেশি কথা বলে না, কিন্তু দাদু খুব রেগে আছে।
    কোথায় সারা দুনিয়ার অ্যামেরিকার পা চাটবার কথা, হ্যাঁয়ে হ্যাঁ, নায়ে না, করে ঘাড় হেলানো তাদের কর্তব্য, তা নয়, অবাধ্য বালকের মতো তারা ঘাড় গুঁজে রয়েছে, ভোট দেওয়া থেকে বিরত থেকেছে।
    অ্যামেরিকা খুব করে সাবধান করে দিচ্ছে এই দুষ্টুদের, এইবেলা দল ঠিক করো, নইলে এমন শাস্তি দেব যে বুঝবে ঠ্যালা।
    ইন্ডিয়াকে একটু বোঝান, এভাবে কি অ্যামেরিকার আহ্বান উপেক্ষা করা ঠিক হচ্ছে?
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::7a:5c75 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৫১505526
  • তার মানে ইরাক যুদ্ধের কথা বলা যাবেনা তাইতো? কেন? ওখান থেকে অনেক লাভ হয়েছিলো, তাই? এই যুদ্ধে তেমন লাভ নেই, তাই এতো প্রতিবাদ তো? বললেই হয়ঃ পকেটে কতটা রেস্তো আসছে, সেটা দেখে শিশু মৃত্যুর প্রতিবাদ করার ডিসিশান নেওয়া হবে। বোঝা গেছে।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৫৫505527
  • বালাকোট টা এড়িয়ে গ্যালেন বুঝাতে পারছি। ঠিক আছে।  :) :) 
     
    হ্যা , ইরাকে স্যাংশন এ হিউম্যানিটেরিয়ান ক্রিসিস হয়েছে। দুনিয়া তে সবকিছু ফেয়ার এন্ড স্কোয়ার হচ্ছে বুশের ছেলেও এই ক্লেম করবে না। কিন্তু সাদ্দাম কি খুব বেনেভোলেন্ট ডিক্টেটর ছিল ? ইরাকের কুর্দ দের শিয়া দের ইহুদি দের মাস কিলিং হয়েছে ওর আমলে। সাদ্দাম হলো সেই বিরল গোত্রের ডিক্টেটর যে নিজের দেশে কেমিকাল এট্যাক করেছিল কুর্দ দের  ওপর। একবার নোয় বারবার। ইভেন ১স্ট গালফ ওয়ার এর পরেও। এমনকি ওদেরকে ভয় পাওয়ানোর জন্যে ময়দার বস্তা ফেলতো হেলিকপ্টার থেকে যাতে ময়দার ধোঁয়া দেখে ওদের আগের কেমিকাল এট্যাক এর আতঙ্ক ফিরে আসে। 
     
    আমি মনে করি কোনো দেশে তালিবান লেভেলে হিউমান ক্রাইসিস হলে বাকি দেশগুলোর দাঁড়িয়ে দেখা উচিত নয়। দরকার হলে অর্থনৈতিক ভাবে হোক অথবা মিলিটারিলি হোক , সেটাকে শেষ করা দরকার। যেমন ইন্ডিয়া ১৯৭১ যে বাংলাদেশ এ করেছিল। নৈতিকভাবে একদম ঠিক স্টেপ। 
     
    ইউক্রেন এ কি নিও নাত্সি একটিভিটি সেই লেভেলে হয়েছিল ? বাংলাদেশ এর মতো রেফিউজি ক্রাইসিস হয়েছিল ? ইউক্রেন থেকে কি লাখ লাখ লোক রাশিয়ান বর্ডার পেরিয়ে আশ্রয় চাইছিলো ? 
     
    রাশিয়া ডিপ্লোমেটিক ব্লক বানানোর রাস্তায় যায়নি কেন এট্যাক করার আগে ?
     
     
  • সে | 194.56.48.114 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৫৫505528
  • "প্রায় পাঁচ লাখ শিশু মারা গেছিলো ঐ স্যান্কশানের ফলে। "
    ঐ নিয়ে আলোচনা হবে ক্যানো?
    ওরা তো কালো কেলো মুসলমান শিশু। দেবশিশুতো নয়। ওদের সঙ্গে আমরা নিজেদের কখনো আইডেন্টিফাই করতে পারবো? আমরা নিজেদের সঙ্গে কখনই ওসব মিডলইস্ট বা আফ্রিকার লোকেদের আইডেন্টিফাই করতে পারি না। আমাদের একটা স্ট্যান্ডার্ড নেই নাকি?
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৫৬505529
  • হেহে। কত লোকের যে আম্রিগার ওপর রাগ। :) 
  • সে | 194.56.48.114 | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৫৮505530
  • প্যালেস্টাইনে তো রোজ লোক মরছে, শিশু মরছে। তাদের পাশে একটু দাঁড়ান। দুফোঁটা চোখের জল ফেলুন।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::65:128e | ২৫ মার্চ ২০২২ ১১:৫৮505531
  • "কিন্তু সাদ্দাম কি খুব বেনেভোলেন্ট ডিক্টেটর ছিল ?"

    সেটা ওয়েস্ট যখন সদ্দামকে অস্ত্র জোগাচ্ছিলো ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ করার জন্য, তখন খেয়াল ছিলোনা?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে মতামত দিন