এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ইউক্রেন, বাংলাদেশ, এবং মিডিয়া -- বর্বরতার সেকাল একাল

    Partha Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১১৮৮৮ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • ঊনিশশো একাত্তরের মার্চ মাস থেকে ডিসেম্বর -- বাংলাদেশের রক্তাক্ত মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে -- আজ এই দুহাজার বাইশ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত পৃথিবীতে কতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, এবং তার পরিণতি হিসেবে কত কোটি নিরীহ মানুষকে নিজের দেশ ছেড়ে চিরকালের মতো অন্য দেশে গিয়ে উদ্বাস্তুর জীবন কাটাতে হয়েছে? কেউ কি তার হিসেব রেখেছে কোনো?
     
    আজকে নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং প্রায় সমস্ত মার্কিন ও পশ্চিমি মিডিয়া রাশিয়ার আক্রমণে ইউক্রেন থেকে পালিয়ে যাওয়া শরণার্থীদের জন্যে কেঁদে আকুল। কেবলমাত্র পোল্যাণ্ডেই দশ থেকে পনেরো লক্ষ ইউক্রেনিয়ান পুরুষ, নারী ও শিশু আশ্রয় নিয়েছে। এর পর আছে পশ্চিম ইউরোপের আরো দেশ -- যেমন জার্মানি, ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, স্পেন, ইতালি। ইউক্রেনের চারপাশে আরো যেসব দেশ আছে, যেমন বেলারুশ, হাঙ্গেরি, চেক রিপাবলিক, মলডোভা, জর্জিয়া, রোমানিয়া ইত্যাদি। 

    ইউক্রেনে রাশিয়ার বর্বর আক্রমণ এই প্রতিটি দেশকেই সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে বাধ্য। পরিবেশ ও জলবায়ুর ওপরে যে নিদারুণ প্রভাব পড়বে, এবং কত কোটি গাছ কাটা পড়বে, পার্ক ও তৃণভূমি জ্বলে যাবে, কত লক্ষ কোটি গ্যালন জল চিরকালের মতো বিলীন হবে, তার হিসেব কে করে? এবং যারা বেঁচে থাকবে, বিশেষ করে শিশুরা, তাদের মনের ওপর এই যুদ্ধ ও বোমাবর্ষণ চিরকালের মতো কেমনভাবে ছাপ ফেলে যাবে, তার হিসেব কে করে?
     
    বাংলাদেশ যুদ্ধের সময়ে আমরা দেখেছি, কত লক্ষ নিরীহ পরিবারকে এই ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। কত অসংখ্য নারীর মর্যাদা লুন্ঠিত হয়েছিল। কত মানুষ বিকলাঙ্গ, পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলো। অথচ, বাংলাদেশের ওপর পাকিস্তানী হানাদারদের বর্বরতার খবর আমার পরিচিত অনেক সাধারণ পাকিস্তানীই জানেনা। আমি যখন তাদের এসব কথা বলি, তারা আশ্চর্য হয়ে যায়। তারা তাদের দেশে থাকার সময়ে কখনো এসব কথা শোনেনি। শুনলেও তার যে বীভৎসতা, বিভীষিকা, তার কোনো সঠিক খবর তাদের দেশের মিডিয়া তাদের দেয়নি। এও হলো আমার পূর্বকথিত "জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশন" বা কৌশলে বর্জন করার সাংবাদিকতা। আজ আমরা নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন, বিবিসি এবং পশ্চিমি মিডিয়াতে তার এক আধুনিক সংস্করণ দেখতে পাচ্ছি।
     
    এই আধুনিক, নবতম মগজধোলাইতে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়া ও পুতিন কেমনভাবে ইউক্রেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে, কত নিরীহ মানুষের প্রাণ যাচ্ছে, মারিপল, ম্যারিটোপোল, খারসন, ইত্যাদি শহরে হাসপাতাল, আশ্রয়কেন্দ্র এসব রাশিয়ার বোমার আঘাতে চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে গেছে। তার ছবি আমরা দিবারাত্র পশ্চিমি মিডিয়াতে এবং তাদের বশংবদ ভারতীয় ও বাংলাদেশী মিডিয়াতে দেখছি। এবং শিহরিত হচ্ছি। হওয়ারই কথা।
     
    রাশিয়ার এ আগ্রাসন ও বর্বরতাকে চরম ধিক্কার জানাই। 
     
    কিন্তু এখানে একটা বিরাট প্রব্লেমও আছে। আজ পৃথিবীতে যেমন সোশ্যাল মিডিয়াতে কোনো খবর দেখলে তেমন কেউ তার সম্পর্কে খোঁজখবর করেনা বা রিসার্চ করেনা, এবং সেই উড়ো খবরকেই ধ্রুবসত্য বলে মনে করে এবং নিজের বন্ধু পরিজনের সঙ্গে চোখ বন্ধ করে শেয়ার করে ফেলে, ঠিক তেমনি নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএনের খবরকে কেউ যাচাই না করেই নিজেদের মিডিয়াতে প্রকাশ করে দেয়। এবং কে কত বেশি আগে প্রকাশ করতে পারলো, তার প্রতিযোগিতা চলে। 

    অথচ, নিউ ইয়র্ক টাইমস জাতীয় মিডিয়া একপেশে রাশিয়াবিরোধী খবর প্রচার করে চলেছে, যা ওয়ার প্রোপাগাণ্ডা -- যুদ্ধ সম্পর্কে একটা জিগির সৃষ্টি করা।
     
    সেই একপেশে সাংবাদিকতায় যেমন যুক্তিতর্ক, বিশ্লেষণ, কারণ অনুসন্ধান সমস্ত বিলুপ্ত, ঠিক তেমনই ইতিহাসের কোনো আলোচনাও সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই তথাকথিত "মুক্ত ও স্বাধীনতার দেশ" আমেরিকায় আজ যদি কোনো মূলস্রোত মিডিয়া সেসব কারণ বা ইতিহাসের কথা তোলে, সঙ্গে সঙ্গেই সে মিডিয়া জনপ্রিয়তা হারাবে, এবং যেসব বড় বড় কর্পোরেশন -- গাড়ি থেকে ওষুধ থেকে ম্যাকডোনাল্ড থেকে পিৎজা হাট থেকে ডিজনি ওয়ার্ল্ড -- তাদের বিজ্ঞাপন দিয়ে চলেছে, তারা সে বিজ্ঞাপন গুটিয়ে নেবে, এবং সে মিডিয়া মুখ থুবড়ে পড়বে। সে ঝুঁকি নিয়ে সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতার সাহস কোনো মূলস্রোত মিডিয়ার নেই।
     
    অথচ সৎ, নিরপেক্ষ সাংবাদিকতা করার এই মুহূর্তে খুব বেশি দরকার ছিল। আগের তিন সপ্তাহে আমি বাংলাদেশ প্রতিদিনের পাতায় সেসব বিষয় নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছি। আজ করছি যুদ্ধ এবং শরণার্থী সমস্যা নিয়ে আলোচনা। ইমিগ্রেন্ট এবং ইমিগ্রেশন নিয়ে মার্কিন মিডিয়ার একপেশে আলোচনা দেখলে স্তম্ভিত হতে হয়। ইরাক, আফগানিস্তানের যুদ্ধের সময়ে যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সে দুই দেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মেরেছিলো, এবং বলতে গেলে বিনা কারণেই বোমার আঘাতে দুটো দেশকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো, তখন মার্কিনি ও পশ্চিমি মিডিয়ার এই কুম্ভীরাশ্রু কোথায় ছিল? 

    প্রতিটি ছবি, প্রতিটি খবর দেখলে আজ সেই হিপোক্রিসি, দ্বিচারিতার কথাই খুব বেশি করে মনে আসে। কিন্তু সেসব কথা বলা জনপ্রিয় নয়। 

    ইতিহাসের আলোচনা জনপ্রিয় নয়। আপনার চাকরি চলে যেতে পারে, আপনার ফোন হ্যাক করা হতে পারে, আপনার পরিবারের ওপর নজরদারি করা হতেই পারে। এমনিতেই আমেরিকায় গুগল, ফেসবুক, টুইটার, ইউটিউব বিনা পয়সায় ব্যবহারের পরিবর্তে আপনার ব্যক্তিগত সমস্ত তথ্য বা পছন্দের খবর মার্কিনি কর্পোরেশনগুলো জানে। আপনার ফোনে বা ইমেলে যে কোনো সময়ে যে কোনো কর্পোরেশন আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে। আপনার বাড়িতে যদি অ্যালেক্সা-জাতীয় অনলাইন রোবট থাকে, তাহলে তার মাধ্যমে আপনার বলা সমস্ত কথা কর্পোরেশনগুলির হাতে সরাসরি চলে যেতে পারে। 

    এই তথাকথিত "ল্যাণ্ড অফ প্রাইভেসি" আমেরিকায় কোনো ব্যক্তিগত গোপনীয়তা আপনার অবশিষ্ট নেই।
     
    একাত্তরের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময়েই কিন্তু ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, চিলি এসব দেশে বিশাল বিশাল যুদ্ধ চলছিল, এবং প্রতিটি যুদ্ধের পিছনেই ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিলিটারি ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্সের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ হাত। সেই একই সময়ে দক্ষিণ আমেরিকায় গুয়াতেমালা, সালভাডোর, হণ্ডুরাস এসব দেশে মার্কিন মদতে সেখানকার অত্যাচারী রাষ্ট্রনায়করা বর্বর আক্রমণে বিরোধী শক্তিকে শেষ করে দেওয়ার খেলায় নেমেছিল, এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ জমি, ঘরবাড়ি, স্বজন পরিজন হারিয়ে স্ত্রীপুত্রকন্যার হাত ধরে নিজের প্রিয় দেশ ও পরিচিত পরিবেশ ছেড়ে পাড়ি দিয়েছিলো অন্য দেশের আশ্রয়ে।
     
    ফিলিপিন্স থেকে এ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা, সুদান থেকে কঙ্গো, কসোভো থেকে ইউক্রেন -- সমস্ত যুদ্ধের পিছনেই ওই যে কথা আগেই বললাম, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন এবং তাদের ট্রিলিয়ন ডলার, ট্রিলিয়ন পাউনড অস্ত্র ও যুদ্ধ কর্পোরেশনের মদত রয়েছে। ঠিক যেমন পট্যাটো চিপসকে জনপ্রিয় না করলে খামারের আলু বিক্রি হবেনা এবং পচে যাবে, ঠিক একই ভাবে যুদ্ধ না লাগালে এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে এই ট্রিলিয়ন ডলারের মজুত করা অস্ত্রভাণ্ডার পড়ে থাকবে, এবং শেয়ার বাজারে তাদের লাভ দ্রুত পড়ে যাবে। 
     
    অস্ত্র ও যুদ্ধ বিক্রি না হলে লাভ নেই, এবং লাভ না থাকলে শেয়ার মার্কেট নেই। স্টকহোল্ডাররা ক্ষেপে উঠবে। 

    যুদ্ধ কর্পোরেশনের সঙ্গে কেবলমাত্র অস্ত্র প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলো যুক্ত নয়। যুক্ত আছে ওষুধপত্র, কম্পিউটার ও সফটওয়্যার, হাজার ইলেক্ট্রনিক্স ও অনলাইন বাণিজ্য, সাবান থেকে খাদ্যসামগ্রী। গাড়ি থেকে গ্রেনেড। বস্তুতঃ, যুদ্ধ না লাগালে, এবং যুদ্ধ চালিয়ে না গেলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি সম্পূর্ণভাবেই ধ্বংস হয়ে যাবে। এই কারণে, আপনারা একবার গুগল সার্চ করে দেখে নিতে পারেন, দ্বিতীয় মহাযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত আমেরিকা পৃথিবীর কোথাও না কোথাও কোনো না কোনো ভাবে যুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত ছিল। আছে।
     
    আজকে পৃথিবীতে এই মুহূর্তেই সৌদি আরব ইয়েমেনের ওপর বর্বর আক্রমণ চালাচ্ছে। এবং মার্কিন অস্ত্র ব্যবহার করছে। কিন্তু নিউ ইয়র্ক টাইমস বা সিএনএন বা বিবিসিতে তার কোনো খবর আপনি পাবেন না আদৌ।
     
    কাশ্মীরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সর্বক্ষণ যুদ্ধ চলেছে। আফ্রিকার অনেকগুলো দেশের মধ্যে নিরন্তর যুদ্ধ চলেছে। ইজরায়েলের কথা বলে আর মার্কিনি মিডিয়ার লজ্জা বাড়ালাম না। অবশ্য, জার্নালিজম অফ এক্সক্লুশনে লজ্জা বস্তুটাই তাদের আর নেই।
     
    সব জায়গাতেই -- বার্মা থেকে বাংলাদেশ থেকে বলিভিয়া থেকে বার্কিনা ফাসো -- যুদ্ধের শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। তারা ওই মেক্সিকো, গুয়াতেমালার সর্বস্বান্ত মানুষের মতোই দেশ হারিয়ে, স্বজন পরিজন হারিয়ে, জমি হারিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে অন্য দেশের আশ্রয়ে। এই মুহূর্তে যেমন ইউক্রেন থেকে পোল্যাণ্ডে পাড়ি জমাচ্ছে ওই দশ থেকে পনেরো লক্ষ মানুষ। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের সময়ে যেমন ইউরোপ থেকে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছিল কোটি কোটি মানুষ।
     
    আমেরিকা তাদের আশ্রয় দিয়েছিলো। যেমন ইউরোপের নতুন যুদ্ধগুলোর শরণার্থীরা অনেকেই আশ্রয় পেয়েছে জার্মানিতে, ফ্রান্সে।
     
    কিন্তু আমেরিকায় আজ উদ্বাস্তুবিরোধী, শরণার্থীবিরোধী রাজনৈতিক ও সামাজিক হাওয়া অতি প্রবল আজ যদি কুম্ভীরাশ্রু নিউ ইয়র্ক টাইমস, সিএনএন বলতো, ইউক্রেন থেকে যে কেউ আমেরিকায় আশ্রয় পেতে চাইলে আমেরিকা তাদের বিনাশর্তে আশ্রয় দেবে, এ্যাসাইলাম দেবে। বলবে কি?
     
    বিবিসি কি রাণীর ওপরে চাপ সৃষ্টি করবে, যাতে ইউক্রেনের শরণার্থীরা সবাই ব্রিটেনে নিরাপদ আশ্রয় পায়?
     
    যেমন একাত্তরে বাংলাদেশ থেকে কোটি কোটি নিঃস্ব, ছিন্নমূল নিরীহ মানুষ ভারতে আশ্রয় পেয়েছিলো?
     
    ###

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২২ মার্চ ২০২২ | ১১৮৮৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::3:ae6d | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৫৬505267
  • @অমিত, ওয়েস্ট তখনকার মৌখিক চুক্তি ভেঙেছে বলেই তো রাশিয়া এখন মৌখিক চুক্তিতে রাজী নয়, লিখিত চুক্তি চাইছে।

    আপনারাই বলেছেন যে রাশিয়া নাকি যুদ্ধে হারছে। সেক্ষেত্রে তো জেলেনস্কির ঐসব মৌখিক কথা মেনেই ট্রুপস উইথড্র করে রাশিয়ার বলা উচিত যে তাদের উদ্দেশ্য সফল। আর পুতিনও জিতে গেছি বলে সেলিব্রেট করতে পারতো। এই হিসাবটা মিলছে না।

    জেলেনস্কি বহুদিন ধরেই বহু কথা বলে যাচ্ছে। একদিন বললো যে ন্যাটো যখন নেবেনা, তখন ইউক্রেন ন্যাটোতে জয়েন করবে না। তারপরে বললো শেষ অবধি যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। আজকে বলেছে যে রেফারান্ডামে যেতে হবে। রাশিয়াও হয়তো ভাবছে যে এই সুযোগে ক্রাইমিয়া আর ডনবাস দখল করেই ছাড়বে। এইসব আরকি।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৫৬505268
  • আমি ভাবছি এই বাজারে প্রধান সেবক পাকিস্তান কে একটু সবক সেখালেই পারেন তো। লোহা গরম ​​​​​​​আছে। ​​​​​​​
     
    তাপ্পর চীনের ঘাড়ে দোষ চাপালেই হবে। কেন চীন পাকিস্তানের সঙ্গে স্ট্রাটেজিক আর ইকোনমিক এলায়েন্স এ যাচ্ছে ?ওটা ইন্ডিয়ার মেজর সিকিউরিটি থ্রেট। বাধ্য হয়ে ইন্ডিয়াকে এসব করতে হলো। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৫৭505269
  • আমি কি করে জানব রাশিয়া হারছে না জিতছে ?আমি কেবল চাইছি এই এগ্রেশন বন্ধ হোক। কিছু লোক বাঁচুক। ব্যাস। 
  • lcm | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৫৭505270
  • "... ওয়েস্টার্ণ মিডিয়া তো তাদের সরকারের কথায় চলছে ... "

    - এ কথাটার কি মানে। বাইডেনের সরকারের নির্দেশ মতন টাইমস-ওয়ার্নার, ফক্স, এনবিসি, সিবিএস চলছে ? ...

    তুমি কি নিউজের কথা বলছ না, এড/ওপ-এড এর কথা বলছ।

    নিউজ কিন্তু একই। ওয়েস্ট/ইস্ট সবজায়গায় একই খবর যে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে, বাড়ি ঘরে বোম পড়ছে, লোকজন পাড়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে, অন্য দেশে রিফিউজি হয়ে ঠুকছে - এগুলো একই খবর। এগুলো তো একই কনটেন্ট। এবার হ্যাঁ, কোনো খবর কোনো মিডিয়ায় বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে।

    এবার, যুদ্ধের কারণ কী, কার দোষ, কে কী করলে যুদ্ধ থামবে, ইতিহাস কী বলছে, কে কী করলে কী হবে - এই সব অ্যানালিসিস অনেকসময়ই পক্ষপাতদুষ্ট হয়, সেটা ঠিক।

    কিন্তু, যেভাবে ব্ল্যাংকেট কমেন্ট দেওয়া হচ্ছে যে মিডিয়া ভুল খবর দিচ্ছে সেটার সঙ্গে একমত নই।
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:০১505271
  • "ওয়েস্ট/ইস্ট সবজায়গায় একই খবর যে, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করেছে, বাড়ি ঘরে বোম পড়ছে, লোকজন পাড়া ছেড়ে চলে যাচ্ছে, অন্য দেশে রিফিউজি হয়ে ঠুকছে - এগুলো একই খবর।"
     
    বোধায় না। কিছু কিছু জায়গায় খবর, ইউক্রেনে ডিনাজিফিকেশান চলছে। বোম টোম সব ওয়েস্টের বানানো খবর। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:০৪505272
  • আমি অনেক দিন আগেই প্রশ্নটা করেছিলাম রাশিয়া কি তার প্রতিবেশীদের সাথে একুয়াল সম্পর্ক রাখে ? নাকি ইন্ডিয়া যেমন নেপাল ভুটান কে চাকরের মত বাংলাদেশেকে ঘুসপেটিয়ার মতো ট্রিট কোরে সেরকম সম্পর্ক রাখে ? আজকে রাশিয়া ভাঙার ৩০ বছর পরে কেন ইউক্রেন ন্যাটোতে যেতে চাইছে ? সেটা কি জাস্ট শখে নাকি রাশিয়ান থ্রেট কে কাউন্টার করার জন্যে ? কোনো উত্তর পাইনি। 
     
    রাশিয়া আজকে নালিশ করছে ইউক্রেন এ নাত্সি আছে। এতো বছরে কোনো গ্লোবাল রিচ বা নেটওয়ার্ক করে পলিটিকাল কনসেনসাস করার চেষ্টা করেছে এই থ্রেট টা নিয়ে ? 
     
    ইন্ডিয়া কালকে পাকিস্তান এট্যাক করলে লজিক একই থাকবে তো ? তাহলে বালাকোট নিয়েও একই লজিক থাকা উচিত ? 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::3:a3c0 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:০৭505273
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১০:৫৭505269
    আমি কি করে জানব রাশিয়া হারছে না জিতছে ?আমি কেবল চাইছি এই এগ্রেশন বন্ধ হোক। কিছু লোক বাঁচুক। ব্যাস।

    আমিও একদম তাই চাইছি। বাকিরা ঘী না ঢাললেই ভালো। একমাত্র ইজরায়েল আর টার্কিকে দেখলাম (নিজেদের স্বার্থেই হয়তো) কনস্ট্রাকটিভ কাজ করছে। আর ম্যাক্রোঁ কিছুটা, সামনে ইলেকশান।

    এখানেই তো একজন লিখলেন যে ওয়েস্টার্ণ মিডিয়া পুরোপুরি প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছে, বেশ করেছে।

    পুতিন যুদ্ধ লাগিয়েছে। ইউক্রেন দেশটা শেষ হয়ে যাচ্ছে। এখন বাকীদের কি কাজ? সেই যুদ্ধে প্রক্সি দেওয়া? নিজেদের ইন্টারেস্ট অনুযায়ী ক্যাম্প ভাগ করে নেওয়া? পুতিন কবে যুদ্ধ বন্ধ করবে, তার জন্য বসে থাকা? নাকি মধ্যস্থতা করা, সিচুয়েশান ডিএসক্যালেট করা?
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:০৮505274
  • কোন কিছু যুক্তি দিয়েই এটা ঢাকা যাচ্ছেনা যে ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে বোম পড়েই চলেছে, মানুষ মরেই চলেছে, বিশাল সংখ্যক মানুষ রিফিউজি হয়েই চলেছে। ঘরের মধ্যে হাতিটা এতো বড়ো যে কোন শাক দিয়েই ঢাকা যাচ্ছেনা। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::3:e8e2 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:১২505275
  • এইসব প্রশ্নের উত্তর বহু আগে দেওয়া হয়ে গেছে।

    "আজকে রাশিয়া ভাঙার ৩০ বছর পরে কেন ইউক্রেন ন্যাটোতে যেতে চাইছে?"
    - অনেক আগেই যেতে চেয়েছে। অন্তত ২০০৮এ। তখন কেন যেতে চেয়েছিলো? জানিনা।

    "রাশিয়া আজকে নালিশ করছে ইউক্রেন এ নাত্সি আছে। এতো বছরে কোনো গ্লোবাল রিচ বা নেটওয়ার্ক করে পলিটিকাল কনসেনসাস করার চেষ্টা করেছে এই থ্রেট টা নিয়ে ?"
    - করেছে। বহুবার। এমনকি ক্রাইমিয়ার ঘটনার আগে আমেরিকাও বলেছে নিও-নাজিদের কথা।  

    "ইন্ডিয়া কালকে পাকিস্তান এট্যাক করলে লজিক একই থাকবে তো ? তাহলে বালাকোট নিয়েও একই লজিক থাকা উচিত ?"
    - করেছে তো একবার। ১৯৭১এ।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:১২505276
  • কিন্তু ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:০৪ প্রশ্ন গুলোর উত্তর পেলাম কোথায় ? 
     
    ইউক্রেন এট্যাক ঠিক হলে বালাকোট কেন ভুল ? 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:১৫505277
  • যদি ঠিকভাবে পলিটিক্যালি কনসেনসাস করেই থাকতো নাজিসম এর রিস্ক নিয়ে , তাহলে এতগুলো দেশ আজকে রাশিয়াকে ডাইরেক্ট অপোজ করতোনা। ইন ফ্যাক্ট বেলারুশ ছাড়া আজকে রাশিয়াকে ডাইরেক্ট সাপোর্ট কে কে করছে ? 
     
    তথাকথিত নিউট্রাল দেশগুলোর সাথে ​​​​​​​গোলালে ​​​​​​​হবেনা। 
     
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::3:da99 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:১৭505278
  • এটাও আগে বলা হয়ে গেছে। এই রিজোলিশানটা বিগত কয়েক বছরে বহুবার ইউএনে এসেছে। ভোটগুলো একটু খেয়াল করে দেখবেন।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:১৮505279
  • ১৯৭১ অতো পেছনে গিয়ে কি হবে ? হাতের কাছেই ২০১৯ আছেতো। সেটা নিয়ে আগে আলোচনা করা যাক। 
     
    ২০০৮ কেনো যেতে চেয়েছিলো তার জন্যেই তো ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:০৪ এর প্রথম প্রশ্নটা 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:২০505280
  • পুতিন তো ক্যাম্প ভাগ করতেই গেছিল, ন্যাটোকে সরিয়ে। ডিনাজিফিকেশনের টুপি পড়িয়ে, বিপ্লবী সেজে, ভেবেছিল সহজে হয়ে যাবে। এখন চারটি মিডিয়ায় ভাঙা বাড়ীর ছবি বেরোলে, প্রোপাগাণ্ডা করছে বলে কাঁদুনি গাইলে হবে ?

    যুদ্ধ যে শুরু করেছে, থামাতে গেলে তাকেই তো আগে এগোতে হবে, হয় সৈন্য সরিয়ে বা বোম ফেলা বন্ধ করে, আরো নানা উপায় থাকতে হবে। ইউক্রেন কী বলবে নাকি যে আত্মসমর্পণ করলাম, এবার ছাড়ো ? আশ্চর্য ! (এবার বলা হবে তাই বা কেন বলছে না ?)
     
     
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:২৪505281
  • আর S, ১৯৭১ কেন হটাৎ তুলে আনলেন বুঝলাম না ? 
     
    আপনার কি মনে হয় ইন্ডিয়া সেই সময় আর্মি না ঢোকালে পাকিস্তান আর্মির মাস জেনোসাইড খুব ভালো ব্যাপার হতো ? নাকি ইন্ডিয়ার উচিত ছিল অন্য দেশের ব্যাপার বলে উল্টোদিকে তাকিয়ে থাকা ? 
     
    ইউক্রেন এ কি ​​​​​​​সেই ​​​​​​​লেভেলে ​​​​​​​জেনোসাইড ​​​​​​​হচ্ছিলো ?
     
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::4:42c6 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:২৯505282
  • ধুর ঐসব ভাঙা বাড়ির ছবি তো উল্টে পুতিনের মতন যুদ্ধবাজকে উৎসাহিত করছে। ডু ইউ রিয়েলি থিন্ক হি কেয়ার্স অ্যাবাউট সিভিলিয়ান ডেথ। তাহলে চেচনিয়া, জর্জিয়া, সিরিয়াতে যুদ্ধের ছবিগুলো একটু দেখবেন।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:৩০505283
  • এই রেসল্যুশন টাও কিছু বুঝলাম না। ন্যাটোর প্রায় সব দেশ আর জাপান কোরিয়া সব আবসেন্ট  ছিল। ইউক্রেন আর আম্রিগা বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। বাকীরা ফরে। এইটুকুই। 
     
    তো যারা এবসেন্ট ছিলো তারা কি সাপোর্টে ভোট দিতো ? এই তো ইন্ডিয়া রাশিয়ার এগেনস্ট এ আনা নিন্দা [প্রস্তাবে ভোট দেয়নি। তার মানে কি রাশিয়ান এগ্রেশন কে সাপোর্ট করছে ? 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:৩২505284
  • সেটাই তো বলা হচ্ছে, ওনার কিছুতেই যায় আসে না। বোমা ফেলে গুণ্ডামি করা ছাড়া। সেটা বললে তখন ইতিহাস - ভূগোল - প্রোপাগাণ্ডা - মিডিয়ার কাছে দাসখত ইত্যাদি।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::4:9028 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:৩২505285
  • "ইউক্রেন এ কি ​​​​​​​সেই ​​​​​​​লেভেলে ​​​​​​​জেনোসাইড ​​​​​​​হচ্ছিলো ?"

    এটারও উত্তর আগে দিয়েছি। বিগত আট বছরে ইউ এনের হিসাব অনুযায়ী ডনবাসে সাড়ে তিনহাজার লোক মারা গেছে। একটা বেসরকারি হিসাব শুনলাম চোদ্দ পনেরো হাজার। কিন্তু আপনার কি মনে হচ্ছে যে আসলে সেই কারণে রাশিয়া ইউক্রেনে ঢুকেছে? অজুহাত অবশ্যই।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:৩৩505286
  • মানে যুক্তিটা দাঁড়াচ্ছে যে পুতিন নিজেই যুদ্ধবাজ। কিন্তু তার শুরু যুদ্ধ  থামানোর দায় ওয়েস্ট এর। সুতরাং মিডিয়াতে এসব ছবি দেখানো উচিত নয় ? 
     
    চমৎকার।  এই যুক্তিতে তাহলে মোদী যোগী ঠিকই আছে। যা করছে ভালোই। যত দোষ মুসলিমদেরই । ওরা নিজেরা না উস্কালে এতগুলো লোক গোরক্ষকদের হাতে মরতো না।  
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::4:aa3b | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:৩৪505287
  • "সিএস  | 103.99.156.98 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:৩২505284
    সেটাই তো বলা হচ্ছে, ওনার কিছুতেই যায় আসে না। বোমা ফেলে গুণ্ডামি করা ছাড়া। সেটা বললে তখন ইতিহাস - ভূগোল - প্রোপাগাণ্ডা - মিডিয়ার কাছে দাসখত ইত্যাদি।"

    আপনি যদি সত্যিই ইন্টারেস্টেড হন আলোচনায়, তাহলে জানাবেন। আমি আলোচনা চালাবো।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::4:a16f | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:৩৫505288
  • অমিত, আপনি এদিক সেদিক অনেক কথা বলছেন। হয় আমার কথা আপনি বুঝতে পারছেন না, বা আপনার কথা আমি বুঝতে পারছিনা। সেক্ষেত্রে আমার মনে হয়্না এই বিষয়ে আলোচনা চালানোর কোনও প্রয়োজন আছে।
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:৪২505290
  • S,  কিছু মনে করবেন না। আপনার সাথে গুরুর পাতায় রেগুলার নানান বিষয়ে তুমুল তর্ক হয়েছে এবং হয়। ভবিষ্যতেও হবে হয়তো। আপনার তর্ক তে ইন জেনারেল সবসময়েই যুক্তি খুঁজে পেয়েছি - সেটা আমার মতে মিলুক বা নাই মিলুক। মতের ডিফারেন্স ​​​​​​​থাকা ​​​​​​​মানেই ​​​​​​​যুক্তির ​​​​​​​অভাব ​​​​​​​একেবারেই ​​​​​​​নয়। ​​​​​​​জাস্ট নানা দিক থেকে ​​​​​​​দেখার ​​​​​​​বা বোঝার ডিফারেন্স। ব্যাস। 

    কিন্তু অনেস্টলী এই ক্ষেত্রে আপনার তর্কের ট্রেল দেখতে গিয়ে পুরো ঘেঁটে যাচ্ছি। 

    জাস্ট মাই অবসারভেশন অনলি। নাথিং পার্সোনাল। 
  • dc | 122.174.120.85 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১১:৪৭505291
  • কেউ কিছু পড়ে না, কেউ কিছু বোঝেওনা। হায়। 
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::5:815b | ২৩ মার্চ ২০২২ ১২:০৪505292
  • অমিতঃ সহজ করে বলি। ভেবে দেখুন দুজন অসম সাইজের লোকের মধ্যে মারামারি লেগেছে। একজন আপনার চিরশত্রু কিন্তু প্রচন্ড বলশালী। আরেকজনকে মেরে ফাটিয়ে দিচ্ছে। সেও মাঝে মধ্যে একটু ঘুসি মারছে। আপনি থামাতে পারেন। সেসব না করে আপনি যে লোকটা প্রচন্ড মার খাচ্ছেন, দুর থেকে তাকে বলছেন যে মরার আগে অবধি লড়ে যা। কারণ আপনি আপনার স্বার্থটা দেখছেন।
  • হেহে | 154.16.171.167 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১২:০৭505293
  • এইও ভাইসব, কাকার সংগে তক্ক কইরোনা। সোনামুখ করে মেনে নাও।
     
    "কাকার বিবিধ বচন অমৃতসমান।
    কাকা জ্ঞান দেয় শোনে পূন্যবান।।"
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১২:১৪505294
  • না। এটা একেবারেই সহজ হলোনা। সেই যুক্তিতে বড়ো দেশগুলো যখন ইচ্ছে ছোট দেশগুলোকে তুবড়ে দিতে পারে তো ? বাকি দের কাজ হলো সেই বড়ো গুন্ডার হাতে পায়ে ধরে থামানো বা ছোট দেশটাকে বলা কেন পাঁয়তারা নিচ্চিস বেকার ? বড়দা যা বলছে মেনে নে  , নাহলে হাতপা ভেঙে রেখে দেবে। তাইতো ?
     
    নাহ। এটা আমার কাছে সলুশন নয় তাহলে ২ন্ড ওয়ার্ল্ড ওয়ার এ জার্মানি র এগেনস্ট এ ব্রিটেন বা রাশিয়ার এগেনস্ট এ ফিনল্যাণ্ড এর এর লড়া উচিতই হয়নি। 
     
     
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১২:১৭505295
  • বা একই যুক্তিতে মুসলিমদের হিজাব নিয়ে তো আইন আদালত করাই উচিত নয়। বিজেপি যা বলছে চুপচাপ মেনে নাও তাহলে শান্তি থাকবে। অন্য দেশগুলোরও মুসলিমদের তাই উপদেশ দেওয়া উচিত। ওআইসি থেকে যদি ইসলামোফোবিয়ার অভিযোগ আনে সেটা উস্কানি দেওয়া। 
  • Amit | 121.200.237.26 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১২:২০505296
  • "অন্য ইসলামিক  দেশগুলোরও ইন্ডিয়া র মুসলিমদের তাই উপদেশ দেওয়া উচিত।"হবে 
  • সে | 2001:1711:fa42:f421:d8c4:9655:26a5:9063 | ২৩ মার্চ ২০২২ ১২:২৬505297
  • এখানে হিজাবের প্রাসঙ্গিকতা বুঝলাম না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন