এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৬০  

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৭ জুন ২০২৪ | ৫৫ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গ পর্ব ৬০  

    ডেথ সার্টিফিকেটে হৃৎপিণ্ডের অক্ষমতার কথা লেখা থাকলেও নন্দিতার মৃত্যুর আসল কারণ ছিল ডাক্তারের অক্ষমতা। অপারেশন করার সময় নন্দিতার শরীরের এক বা একাধিক ধমনী কেটে যায়। যা থেকে রক্তক্ষরণ বন্ধ করা যায়নি। অধিক রক্তক্ষরণের ফলে নন্দিতার মৃত্যু হয়। সব তথ্যই চোরাগোপ্তা  নয়নের কাছে এসেছিল, কিন্তু ডাক্তারের নিজের নার্সিং হোম, কিছুই প্রমাণ করা যাবে না। প্রমাণ করেই বা কি লাভ, মানুষটাতো আর ফিরে আসবে না।

    পত্নীশোকে পাগল নয়ন  নন্দিতার মৃতদেহ আঁকড়ে ধরে ওর মা বাবার উদ্দেশে বলেছিল—নন্দিতার মৃত্যুর জন্য আপনাদের আমি কোনদিন ক্ষমা করতে পারব না। জেদ করে মেয়েটাকে কোলকাতা থেকে নিয়ে এসে একটা জল্লাদের হাতে তুলে দিলেন। আমার কাছে বেশ তো ছিল মেয়েটা।  

    নন্দিতার দাহকার্য শেষ হওয়ার পরে শ্বশুরবাড়ি থেকে নিজের ব্যাগ নিয়ে রহড়ায় ফিরে এসেছিল।  একাই এসেছিল, বাচ্চা অসিত আর নীলিমার কাছে রইল।

    যে সন্তানের আগমন বার্তা পেয়ে নয়ন অনেক সুখস্বপ্ন দেখেছে, শিশুর নানান সরঞ্জামে ঘর সাজিয়েছে,  মাতৃহারা সেই শিশুই পৃথিবীর আলো দেখার পর তার বাবার কাছে হয়ে উঠল এক দুঃস্বপ্ন। নন্দিতার নিথর দেহটা দেখার পর ছেলের দিকে ফিরেও তাকায়নি। অনেকবার দেখা অপুর সংসার সিনেমাটা ওর জীবনে তখন ভয়ঙ্কর রকম বাস্তব।

    রহড়ার ভরা সংসারটা একেবারে শুকিয়ে গেল।

    --মা, আমরা তো কোনোদিন কারো ক্ষতি করিনি। যার যখন বিপদ হয়েছে, সাধ্যমত সাহায্য করেছি। আমাদের ওপরেই এমন ভয়ানক আঘাত আসছে কেন মা? ঈশ্বর নাকি মঙ্গলময়! এই কি মঙ্গলের নমুনা!  

    শোক জানাতে মানুষের ঢল নেমেছে। সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত বাড়িতে কেউ না কেউ আসছেই। পাড়া, আফিস, আত্মীয়, সকলেই ঘুরে ফিরে আসছে। যে কখনও কোথাও যায়না, সেই  কুণালও এসেছিল সান্ত্বনা দিতে।  সান্ত্বনার আধিক্য অশান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রমেনের মৃত্যুর পর যার স্নেহের স্পর্শে শোকের তীব্রতা প্রশমিত হয়েছিল, সে নিজেই আজ শোকের কারণ।  ভাল লাগছে না, নয়ন একটু একা থাকতে চায়।

    ঘরে চারিদিকে নন্দিতার স্পর্শ। রাতে নয়নের ঘুম আসে না। রাত যত গভীর হয়, স্মৃতির পথ ধরে ফেলে আসা ক্ষণগুলো হৃদয়ে ভিড় করে। মনের মাঝে হানা দিয়ে সব কিছু ভেঙে চুরে দেয়। হারানো স্বপ্নগুলো কেঁদে মরে। অ্যালবামে ছবি দেখতে দেখতে একদিন একটা সুন্দর খাম বেরোল। ভেতরে একটা ছবি রয়েছে। বার করে দেখে ভারকালা বিচে তোলা সেই চুমুর ছবি। যত্ন করে রেখে দিয়েছিল। পিছনে লেখা, “জীবন সঙ্গী—আমার সাত রাজার ধন।” চোখের জলে মাখামাখি হয়ে রাত কাটে।  

    মা ও ছেলে একে অপরকে আশ্রয় করে, অস্থির জীবনের অন্ধকার পথে,  অনিশ্চয়তার পানে এগিয়ে চলল। দু মাস কেটে যাওয়ার পরেও কিছুই যেন ভাল লাগছে না।

    আহেলি একদিন ছেলেকে বলল—বাবা, এবার একদিন গিয়ে বাচ্চাটাকে নিয়ে আয়। আমি ঠিক সামলে নেব। বাড়ির ছেলে, বাড়িতে থাকবে না? ঐ অবলা শিশু কি অন্যায় করেছে?

    --মা, আমাকে আর একটু সময় দাও। আমি এখনো ঠিক মানসিকভাবে তৈরি নয়।

    নয়নের একটু আড়ালের খুব প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। পরিচিতজন থেকে একটু আড়াল।  দু মাস ধরে উপদেশ, পরামর্শ আর সহানুভূতি শুনতে শুনতে ও ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। কেন জানি না ওর মনে হত এদের অনেকেই ওর জীবনের শূন্যতাকে উপভোগ করছে। হয়ত ওর এই  শূন্যতা ওদের জীবনের অনেক যন্ত্রণার বিষহরী, বা হয়ত ওর হারানো ওদের পাওয়ার    তৃপ্তিকে গুণিতকে  বাড়িয়ে দেয়, হয়ত বা এমন কিছুই নয়, নয়নেরই মনের ভুল। কারো সাথে পারিবারিক কোন কথা বলতে বা শুনতে কোনটাই ভাল লাগছিল না, অথচ নিত্য বলতে হত।

    হাঁড়ি পুকুরের আড্ডাও আর তেমনভাবে টানে না। মনে হয়, সকলেই যেন ওকে করুনার চোখে দেখছে।  পরিচিতজনের ভরা সংসার দেখলে নিজের বিরহের দংশন আরো বেড়ে যায়।   

    --মা, আমি এখানে আর থাকতে পারছি না। ভাবছি ট্র্যান্সফার নিয়ে অন্য কোথাও চলে যাব।

    --তুই যাতে মনে শান্তি পাস তাই কর। কোথায় যাবি?

    --তা জানি না। এখান থেকে দূরে কোন একটা জায়গায়, যেখানে আমাদের কেউ চিনবে না।

    --চেনা সব কিছুর থেকে দূরে চলে গেলেই কি তোর মানসিক শান্তি ফিরে আসবে? যা করবি, ভাল করে ভেবে করিস।

    --জানি না মা। তবে এই মুহূর্তে এখানে আমার একদম ভাল লাগছে না।   

    সামন্ত স্যার কেবল বসই নন, অভিভাবকও। ওনাকে ইচ্ছের কথা জানাতে ঊনি আপত্তি করে  বলেছিলেন-- আমাদের ছেড়ে অচেনা নতুন পরিবেশে গিয়ে কি সুখ পাবে? মনের শান্তি মনের মানুষদের মাঝেই পাওয়া যায়।

    নয়ন বারংবার অনুরোধ করাতে উনি অগত্যা রাজি হলেন।

    একটু ক্ষুণ্ণ হয়ে বলেছিলেন-- সিদ্ধান্তটা ভুল জেনেও তোমার মানসিক অবস্থার কথা ভেবে আটকালাম না। তবে বছর খানেকের ভেতর ফিরে আসতে হবে, তৈরি থেক।

    পরের মাসে নয়নের বোলপুরের অফিসে বদলির অর্ডার এল। তিন বছর কাটাবার পর অমন একটা সুন্দর অফিস ছেড়ে নতুন জায়গায় যাওয়াটা খুব সুখের নয়। একটু আড়াল খুঁজতেই এই স্বেচ্ছা নির্বাসন।

    বোলপুরে অফিসের কাছে একটা দু কামরার বাড়ি ভাড়া নিয়ে শুরু হল মা আর ব্যাটার নতুন সংসার। ওখানে সকলেই অচেনা ফলে নয়নের অতীত নিয়ে কাটাছেঁড়া করার কেউ নেই। আহেলি মাঝে মাঝেই বাচ্চাটাকে নিয়ে আসার কথা বলে।

    নয়নের একই উত্তর ছিল—আর একটু সময় লাগবে।

    একদিন আহেলি বেশ বিরক্ত হয়েই বলল--তোর নিজের ছেলের দায়িত্ব এড়িয়ে যাচ্ছিস? এত দিন হয়ে গেল, এখনো একবার ছেলেটাকে দেখতে পর্যন্ত গেলি না। নন্দিতার আমাদের দিয়ে যাওয়া সবথেকে মুল্যবান উপহারকে গ্রহণ করতে তুই ইতস্তত করছিস! এ চরম অন্যায় হাবু।  

    মায়ের কথায় অবশেষে ছ মাস পরে ছেলেকে শিলিগুড়ি থেকে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিল।         

    সেই প্রথম নিজের সন্তানকে নয়ন ভাল করে দেখল। 

    বাচ্চাটা নতুন অতিথিকে দেখে হাত পা ছুঁড়তে ছুঁড়তে বলে উঠল---- মা মা মা মা বু উ উ উ.ইই..

    বাচ্চার বুলি ফোটে মা অক্ষর দিয়ে, এমন কি কাঁদেও। নয়ন দৌড়ে গিয়ে কোলে তুলে নিল। নরম শরীরের ছোঁয়ায় এক অদ্ভুত ভাললাগায় অভিভুত হয়ে গেল। “আত্মজ, আমার সন্তান, নন্দিতার রেখে যাওয়া নিশান”, বুকের মধ্যে চেপে ধরল। আবেগের বাড়াবাড়িতে  ছেলেটা একটু কেঁদে উঠল।

    ‘বুলু’ আসার পর বোলপুরের  বাড়ির পরিবেশটাই আমূল পাল্টে গেল। জীবন থেকে ফুরিয়ে যাওয়া আনন্দ নতুন রূপে ফিরে এল।  নন্দিতার ‘বুলি’ নামের সাথে মিল রেখে নয়ন ছেলের নাম রেখেছে বুলু। নয়ন ছেলের দেখাশোনার জন্য একজন আয়া  রাখতে চেয়েছিল, আহেলি না করে দিয়েছে।

    --এতদিন বাদে একটু আনন্দের স্বাদ পেয়েছি, এটা আমি কোন আয়ার সাথে ভাগ করতে পারব না।

    কাটল আরো কয়েকটা মাস। ছেলেটা সবে হাটতে শিখেছে। টালমাটাল পায়ে সারা বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছে আর খিল খিল করে হাসছে। ঠাকুমাকে বুলুর খুব পছন্দ, সামনে এলেই কোলে ওঠার জন্য হাত বাড়ায়।

    নয়ন অফিস থেকে ফিরে রোজ ছেলেকে কোলে করে ঘোরাতে নিয়ে যায়। এটা বাবা আর  ছেলে দুজনেরই অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। নয়ন অফিস থেকে বাড়ি ফিরলেই ছেলে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার জন্য টানাটানি শুরু করে দেয়।

    বোলপুরে যাওয়ার পর, প্রথম দিকে নয়ন  রহড়ায় একেবারেই যেত না। বুলু আসার পর থেকে প্রতি মাসে একবার করে যায়। পরিবেশ পরিস্থিতি আগের মত আর পিড়া দেয় না। ওখানে গেলে নিজেদের আড্ডার ঠেকেতেও গিয়ে বসে। আড্ডা মারতে আগের মতই ভাল লাগে।  বুলুকেও সঙ্গে নিয়ে গিয়ে চিনিয়ে দিয়েছে ওর ভবিষ্যতের ঠেক।

    রাতে স্মৃতির দংশনে কাতর হতে হয় না। অ্যালবাম খুলে ছেলেকে সামনে বসিয়ে নন্দিতার সাথে অনেক কথা হয়। ছেলেও ছবি দেখতে দেখতে তার মাকে চিনে গিয়েছে। অ্যালবামে মায়ের ছবি দেখতে পেলেই আঙুল দিয়ে দেখিয়ে আদো আদো গলায় ‘মাম্মা” বলে ডাকে।

    চলবে
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন