এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • জীবন তরঙ্গ অন্তিম পর্ব 

    Sukdeb Chatterjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ২৮ জুন ২০২৪ | ৫১ বার পঠিত
  • জীবন তরঙ্গঅন্তিম পর্ব

    কোন একটা ছুটির দিন ছিল। আহেলি রান্না ঘরে আর নয়ন সকালের জলখাবার খেয়ে বুলুকে নিয়ে মেতে আছে। বেল বাজল, দরজা খুলে নয়ন চমকে গেল। একেবারেই অপ্রত্যাশিত, কুণাল দাঁড়িয়ে রয়েছে।

    -- কি ব্যাপার, আপনি এখানে? আমার বাড়ির ঠিকানা কোথায় পেলেন?

    -- এখানকার অফিসে গিয়ে জেনেছি। আপনার সাথে একটু কথা ছিল, যদি দয়া করে শোনেন।

    আগে হলে নয়ন দরজা থেকেই দূর করে দিত। অনেকদিন একই ডিপার্টমেন্টে কাজ করতে করতে আক্রোশ কিছুটা কমে গেছে।

    -- ভেতরে আসুন।

    -- আপনার ছেলে?

    -- হ্যাঁ।

    আদর করে বলল—বাঃ, খুব সুন্দর।

    -- কি বলতে এসেছেন, বলুন।

    -- যা বলতে এসেছি, তা অফিসেও অনেকবার আপনাকে বলার চেষ্টা করেছি। আপনি শুনতে চাননি। কিন্তু কথাটা না বলে আমি শান্তি পাচ্ছি না। বেশিক্ষণ সময় নেব না, দয়া করে একটু শুনুন। একটা অপরাধ স্বীকার করতে এসেছি। জানি এতে পরিস্থিতির কোন পরিবর্তন হবে না, তবু বললে আমার মনের ভার কিছুটা লাঘব হবে।

    -- কুণাল বাবু, ভূমিকায় সময় নষ্ট না করে বিষয়ে আসুন।

    -- ঈজার সঙ্গে আপনার সম্পর্কটা আমার জন্যই ভেঙেছিল। ঈজার কোন দোষ ছিল না, সব দোষ আমার। আমার জন্যই ও আপনার কাছ থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিল। ঈজাকে আমি খুব ভালবাসি। আমি চাইনি আমার ভাগ্নির জীবন আমার বোনের মত দুঃখের হোক। নানাভাবে বুঝিয়ে, এমনকি বকাঝকা করার পরেও ঈজা আপনাদের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে রাজি হয়নি। তখন বাধ্য হয়ে ভয় দেখানোর জন্য বলি যে, ও আপনার থেকে সরে না এলে আমিও আর ওদের বাড়িতে কোন রকম সাহায্য করব না। ঈজা জানত আমার সাহায্য ছাড়া ওদের পরিবার অচল। ওর মা বাবার অনাহারের কথা ভেবে নিজের ভালবাসাকে বলি দিতে বাধ্য হয়েছিল। যখন বুঝতে পারলাম যে আমারা ধারণাটা ভুল ছিল, তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। এই কথাগুলো অফিসে অনেকবার বলার চেষ্টা করেছি কিন্তু আপনি সে সুযোগ আমাকে দেননি। আমাকে অপছন্দ করার আপনার যথেষ্ট কারণ আছে, পারলে ক্ষমা করবেন। যদিও এখন এর কোন অর্থ নেই, তাও বলি ঈজা খুব ভাল মেয়ে। ও কখনো কাউকে বঞ্চনা করতে পারে না, ওকে ভুল বুঝবেন না। আপনিই ওর জীবনের একমাত্র ভালবাসা। এর পর শত অনুরোধেও ওকে বিয়েতে রাজি করান যায়নি।

    -- কুণাল বাবু, সময় বড় বিচিত্র জিনিস। এ যেমন বহু ক্ষতে প্রলেপ দেয় তেমনি ভেসে যাওয়া মধুর মুহূর্তগুলো কেবল স্মৃতি করে রেখে দেয়। নতুন করে ফিরিয়ে দিতে পারে না। তাই আপনার কুকীর্তি বিশদে জানা ছাড়া এই কথাগুলোর আমার কাছে আর তেমন মূল্য নেই। প্রথম সাক্ষাতেই আপনি আমাকে যে অবজ্ঞা আর তাচ্ছিল্য করেছিলেন তা কোনোদিনই ভুলতে পারবনা। এমন মানুষকে কেউ পছন্দ করে না। কথাগুলো আমাকে বলে আপনার মনের ভার কমবে কিনা জানি না, তবে আমার কাছে আপনি এখন কেবল অপছন্দের নয়, চরম ঘৃণার পাত্র। একটা ভালবাসাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করেছেন। খুনির কোন ক্ষমা হয়না।

    মাথা নিচু করে কুণাল আস্তে আস্তে বেরিয়ে গেল।

    আহেলি ভেতর থেকে সবই শুনতে পাচ্ছিল। কুণাল চলে যাওয়ার পর বলল—হাজার হোক তোর সহকর্মী, তোর বাড়িতে এসেছে। এত কড়া কথা না বললেও পারতিস।

    -- তুমি তো শুনলে ওর কীর্তি। এই মানুষের কি ভাল ব্যবহার প্রাপ্য?

    রোজকার মত সেদিন বিকেলেও নয়ন ঘুরতে বেরিয়েছিল। বইয়ের দোকান ‘সুবর্ণরেখা’ ঘুরে ভুবন ডাঙ্গার মাঠে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। ছেলেটা তখন কোল থেকে নেমে নয়নের হাত ধরে আউটডোরে হাঁটা প্র্যাকটিস করতে ব্যস্ত। মাঝে মাঝে হাত ছাড়িয়ে ক্ষমতার থেকে একটু জোরে চেষ্টা করছে, ফল ডিগবাজি। কান্নাকাটি নেই, নিজেই উঠে পড়ছে। মজা লাগছিল। দু একটা ভাঙা ভাঙা শব্দ বলতে পারে। ঐ সীমিত পুঁজি দিয়ে নিজের ইচ্ছে অনিচ্ছেগুলো প্রকাশ করার চেষ্টা করে।

    হঠাৎ নয়নের কানে এল—ভাল আছ?

    তাকিয়ে দেখে ঈজা। চেহারা একই রকম আছে। বয়সের কারণেই হোক বা চশমা পরার জন্য, মুখে কেবল একটু দিদিমণি ভাব এসেছে। আকাশী রঙের একটা শাড়ি পরা। আগের মতই মিষ্টি দেখতে লাগছে। নয়নের জীবনের প্রথম প্রেম। আকাশী রঙ নয়নের খুব প্রিয়, এটা ওর জানা। তবে কি ও নয়নের সাথে দেখা করতে এসেছে! তাই যদি হয়, তাহলে এখানে না এসে তো বাড়িতে যেত। অদ্ভুত একটা ঘোরের মধ্যে নয়ন ওর দিকে তাকিয়ে রইল। ছেলেটা কোলে ওঠার বায়না ধরতে সম্বিত ফিরল।

    -- বললে নাতো কেমন আছো?

    -- কি আর বলব, আমার পরিস্থিতিতে মানুষ যেমন থাকে।

    -- মামার কাছে তোমার ঘটনা সবই শুনেছি। খুব খারাপ লেগেছিল, মামাও দুঃখ করছিল।

    -- মামার আবার দুঃখ! একটা জল্লাদ। ওঁর তো আনন্দ হওয়ার কথা। এতদিন বাদে আজ সকালে এসেছিল নিজের দোষ স্বীকার করতে।

    -- এখনো রাগ কমেনি? শুনেছি আগেও বলতে চেয়েছে, তুমি সুযোগ দাওনি।

    -- যে মানুষটা কোন কারণ ছাড়া আমাকে একদিন চরম হেনস্থা করেছে, জীবনের সব থেকে দুর্মূল্য সম্পদ, আমার প্রথম প্রেমে বাগড়া দিয়েছে, তার মুখদর্শন করা উচিত নয়। আর আজ সকালে নিজের মুখেই বলে গেল যে, কেবল বাগড়া নয়, আমার প্রথম ভালবাসাকে ওই জানোয়ারটা হত্যা করেছে। ফলও অবশ্য হাতেনাতে পেয়েছে। যাকে এত তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করা, কপাল গুনে তারই অফিসে অধস্তন কর্মচারী হয়ে সারা অফিস জীবন খিদমৎ খাটতে হয়েছে। ও প্রসঙ্গ থাক। এতদিন বাদে দেখা হল, কেমন আছ বল?

    -- তুমিই বল না কেমন দেখছ।

    -- ভেতরটা বলতে পারব না, বাইরের চেহারাটা সেই আগের মতই আছে। একটু ওই দিদিমণি সুলভ গাম্ভীর্য এসেছে এই যা।

    -- হারিয়ে ফেলেছি মোর জীবনের সুখের ঘরের চাবি,

    পাইনি তা আর অনেক খুঁজেও, শূন্য হৃদয় আজি।

    আমার বাইরেটাও সব এক নেই। চেহারার কথা বলতে পারব না, তবে তুমি মিশেছিলে এক কলেজ পড়ুয়া মেয়ের সাথে আর এখন সে কলেজে পড়ায়। আর আমার সংসারও বাড়েনি, বাবা চলে যাওয়ায় তা আরো ছোট হয়ে গেছে। মা যতদিন আছে তারপর তো সম্পূর্ণ একা।

    কথাগুলো বলতে বলতে স্মিত হেসে ঈজা নয়নের দিকে তাকাল।

    -- একা কেন, মামা রয়েছে তো!

    -- চাকরি পাওয়ার পরেই আমি মাকে নিয়ে মামার বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে আলাদা থাকি। এখানে অবশ্য একসাথেই ঘুরতে এসেছি। এখানে বেড়াতে আসা মামার ইচ্ছেতেই। এখন বুঝতে পারছি, তোমার সাথে দেখা করাই ছিল মামার মূল উদ্দেশ্য।

    আগে ওরা ছিল সব পেয়েছির এক রঙিন জগতের মানুষ, আর আজ সব হারান দুই রিক্ত নারী পুরুষ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।

    নরম হাতে বুলু গলা জড়িয়ে ধরল। সন্তানের আদরে নয়ন অনুভব করল হারানর মধ্যেও ওর পাওয়ার ঘর শূন্য নয় কিন্তু ঈজা সত্যিই নিঃস্ব, রিক্ত।

    আবগের বশে ঈজার কাঁধে হাত দিয়ে বলল— ইচ্ছায় হোক বা পরিস্থিতির চাপেই হোক তুমিই তো আমায় প্রত্যাখ্যান করেছিলে ঈজা।

    -- লোকের দয়ায় চলা অভাবের সংসার। মামার ওই ওয়ার্নিং এর পর মাথার ঠিক ছিল না। আমার যা হয় হোক, কিন্তু আমার জন্য বাবা মা খেতে পাবে না এটা ভেবেই সব তালগোল পাকিয়ে গেল।

    -- বহু পুরোনো কথা আবার বলছি, পৃথিবীতে কেউ অপরিহার্য নয়। শিশুকালে বাবা মা মারা গেলে সেই সন্তানও কি মারা যায়, যায় না। তার জীবনের অনেক সুখ স্বাচ্ছন্দ্য থেকে সে বঞ্চিত হয় ঠিকই তবু তার জীবনটা নিজস্ব গতিতে বয়ে চলে। আমার ওপর একটু ভরসা রাখতে পারলে না! তোমার সমস্যাটাও যদি সেদিন একবার খুলে বলতে।

    -- এখন ওসব নিয়ে ভেবে আর কি লাভ বল? হওয়ার ছিল না, হয়নি।

    ঈজার চোখের কোনাটা চিক চিক করছে।

    বুলু একটু ঘ্যান ঘ্যান করতে শুরু করেছে। হয়ত খিদে পেয়েছে, বা হয়ত ওদের দীর্ঘ বকবকানি আর পছন্দ করছে না। কোলে একটু নাচিয়েও কান্না থামল ত নাই বরং আরো বেড়ে গেল।

    ঈজা হাত বাড়িয়ে বুলুকে নয়নের কাছ থেকে ওর কোলে নিয়ে একটু নাচাতেই ম্যাজিকের মত ছেলেটা চুপ করে গেল। মায়ের জাত তো। ঈজার কোল থেকে নয়নকে জুল জুল করে দেখছে।

    বুলুকে আদর করতে করতে ঈজা বলল- আমাকে দিয়ে দাও, মানুষ করে দেব।

    অন্ধকার হয়ে গেছে, এবার বাড়ি ফিরতে হবে। এ দিকটায় আলোও নেই। বাচ্চাটাকে ঈজার কোল থেকে নিতে গিয়ে নয়ন একটু ঘনিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল। নয়নের নিবিড় স্পর্শে ঈজাও ক্ষণিকের জন্য ফিরে পেয়েছিল তাদের সোনালী দিনগুলি। নয়নের আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে বুঝতে আর বোঝাতে চাইল অন্তরের না বলা অনেক কথা।

    জোড়া কোলে চরম উষ্ণায়নের আবহে বুলু খিলখিলিয়ে উঠল—মা মা মাম্মা গি ই ই ই...।

    ********* সমাপ্ত *********
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন