এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • সরকারহীন বাংলাদেশের প্রথম দিন! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ০৭ আগস্ট ২০২৪ | ১১৬০ বার পঠিত | রেটিং ৩ (১ জন)
  • পুরো একটা দিন পার হয়ে গেছে বাংলাদেশের কোন সরকার নেই, সরকার প্রধান নেই। এখন পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কোন রূপরেখা তৈরি হয়নি। ডক্টর ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা বানানো হবে এমন শুনলাম। এর আগে সাবেক বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর সালেহ আহমেদের নাম শুনেছিলাম। তবে ইউনুস সম্ভবত হচ্ছে। যদিও বিএনপির আবার ইউনুসে সমস্যা আছে। তবে এখন হয়ত এইটা বড় হয়ে দেখা দিবে না। 

    সেনাবাহিনীর একজনকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হবে এমন টিভিতে দেখলাম। সেনাবাহিনী এই মন্ত্রণালয় নিজের দখলে রাখতে চাচ্ছে কেন? জানি না। গভীর কোন তাৎপর্য থাকতে পারে। প্রচুর রদবদল হয়েছে সেনাবাহিনীতে। একজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বড় খবর হচ্ছে গোলাম আজমের ছেলে যে সেনাবাহিনীর ভিতরে আটক ছিল সে মুক্তি পেয়েছে। অরিজিনাল বিষ! কোন খাদ নাই। তবে সম্ভবত উনার আর বয়স নাই সেনাবাহিনীতে ঢুকার। ঢুকলে খবর ছিল এবার। জেল থেকে খালেদা জিয়াও ছাড়া পেয়েছেন। পেয়েছে তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস আল মামুন! সর্বশেষ বিএনপি আমলে এই বন্ধু টাকার পাহাড় তৈরি করেছিল। ফখরুদ্দিন সরকার দুর্নীতির দায়ে তাকে ধরে। সেই থেকে জেলেই আছেন। ২০১২/১৩ সালের দিকে এক বিএনপি বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম যে জেলে তার সাথে দেখা করতে গিয়েছিল। ওকে মামুন বলেছিল আরে কেবল বুক পকেটের টাকার খোঁজ পাইছে এরা! হাসছিলাম তখন! সরকার নাই লিখলাম, আসলে অনেক কিছুই নাই। আইন নাই, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী কোন বাহিনী নাই। লুটপাট চলছে দেদারছে! আইন কানুন ছাড়া এই সময়টুকুর পূর্ণ সদ্ব্যবহার করার চেষ্টা করে যাচ্ছে অনেকেই। অনেকই এই সবকে ক্ষোভ বলতে চাচ্ছে। আমার কাছে তা মনে হয় না। ক্ষোভ থাকতে পারে বিএনপির নেতাদের, জামাতের নেতাদের। নানা সময় নিগৃহীত হয়েছে, বহু কষ্টে জীবন যাপন করেছে অনেকে। যদিও বেশির ভাগ ভাজ খেয়ে ঠিকাদারি সহ নানা কাজে ঢুকে গেছিল। যাই হোক, তাদের ক্ষোভের জায়গাটা বুঝা যায়। কিন্তু এখানে তা হচ্ছে না। সুযোগ বুঝে কাজে লাগাচ্ছে! ঝোপ বুঝে কোপ হচ্ছে। আবার আইনের শাসন দেশে ফিরতে ফিরতে যা বাগিয়ে নেওয়া যায় আর কি!  

    শেখ হাসিনার ছেলে জয়ের একটা ভিডিও বার্তা দেখলাম, আরেকটা মোবাইলে সাক্ষাতকার ধরনের কিছু। দুইটাতেই প্রচণ্ড রাগ নিয়ে কথা বলছেন তিনি। উনারা আর রাজনীতির সাথে নাই। বাংলাদেশের জন্য যথেষ্ট করেছেন তাদের পরিবার, তারা আর নাই বাংলাদেশের ভালো মন্দের সাথে! দেখুক মানুষ শেখ হাসিনা ছাড়া কেমন দেশ চলে! এই লোকের রাজনৈতিক বুদ্ধিসুদ্ধি কম, এইটাতে আরও বেশি করেই তা প্রমাণ হল। দেশের উন্নয়ন হয়েছে। এইটার জন্য বলবেন দেখছ আমরা না থাকলে কী হত? আরে, আপনে এই কাজের জন্যই ক্ষমতায় ছিলেন। না করাটাই দোষের, করাটাই স্বাভাবিক। আপনাদের সব ঠিকঠাক চলে নাই দেখেই এই দশা, এইটা তো মিথ্যা না, তাই না!  

    আজকে লিখতে বসতাম না। লিখতে বসলাম কারণ আমি ঘর ছেড়ে বের হয়েছিলাম। যা দেখলাম আমার ছোট্ট শহর শেরপুরের তা না লিখে রাখাটা ভুল হবে খুব। তাই মূলত লিখতে বসা। 

    আমার মেজোপার বাসা শহরের প্রাণকেন্দ্রে। মূলত তার বাসায়ই গিয়েছি। উনার বাসার পাশেই শেরপুরের সবচেয়ে বড় বাস সার্ভিসের মালিকের বাড়ি। বড় করে দেওয়াল দিয়ে সীমানা তোলা তাদের বাড়ি। ভিতরেই বাস সব দাঁড়িয়ে থাকে। এর সাথেই বড় একটা দালান, যাতে তারা সবাই এক সাথে থাকে। হিন্দু যৌথ পরিবার। 

    রাতে সেই বাড়ি থেকে ফোন আসছে আমার দুলাভাইয়ের ফোনে। ভাই, আমাদের বাড়ির গেটের সামনে তো অনেক মানুষ জমা হয়েছে, একটু দেখবেন? উনি বলছেন, আমি দেখছি। বের হয়ে গেছেন ভিড়ের দিকে। সবাই দা, লাঠিসহ নানান অস্ত্রপাতি নিয়ে দাঁড়িয়ে। কী হয়েছে? একজন জবাব দিল ভাই গুনছি ১৪টা বাস আছে, ওগুলা জ্বলায় দিব, ম্যালা কামাই করছে এতদিন! উনি ধমক দিলেন, বললেন এগুলা করা যাবে না। সরকার গঠন না করেই এই অবস্থা? এগুলা এলাকার মধ্যে করা যাবে না। বলে তিনি ওদের মধ্যে থেকে নেতা গোছের কয়েকজনকে থাকতে বলে বাকিদের দূরে যাইতে বললেন। এদেরকে বলেন যে এই সব কোনমতেই করা যাবে না। বলে যে ফোন দিয়েছিল তাকে তার ফোনে ফোন দিয়ে বললেন এদেরকে কিছু টাকা পয়সা দেও, পরিস্থিতি তো বুঝতেছই। টাকার অংক উল্লেখ করছি না, মোটা একটা অংকই দেওয়া হল। তারা চলে গেল। একটু পরেই আবার ফোন। ভাই, আবার তো মানুষ জমা হয়েছে! মানে এরা টাকা নিয়ে যেতেই আরেক পার্টি হাজির। এরাও আগুন দিয়ে দিবে ভয় দেখাচ্ছে। আবার টাকা, তবে এবার বলা হল আর এইটা করা যাব না। অন্য কেউ আসলে তোমরাই তাদেরকে সামলাবা। তারা দায়িত্ব নিয়ে চলে গেল। রক্ষা পেল এই পরিবার। 

    আমি যখন এই গল্প শুনছি তখন আমার বমি চলে আসছিল! পরিবারটাকে চিনি। চমৎকার মানুষ সবাই। কালকে রাতটা তাদের কী গিয়েছে ভাবা যায়? আমি আমার দুলাভাইকে যে বলব আপনে টাকা নিয়ে দেওয়াটা ঠিক করেন নাই, এইটাও বলতে পারছি না। আবার এইটা আমার সহ্যও হচ্ছে। এই যে ছেলে গুলা একাউন্ট খুলল। এই সোনার টুকরো ছেলেদের দল সামনে ক্ষমতায় আসছে, তারা সামনে কী করবে এই পরিবারকে? যখন ইচ্ছা তখন যন্ত্রণা দিবে না? খেলা আছে, পিকনিক আছে, বিয়ে আছে, অমুক আছে তমুক আছে বলে এই চাঁদা দেওয়া চালু হয়ে গেল। এদের এইটা দিয়েই যেতে হবে। 

    আমি এতেই অবাক হয়ে গেছি। পরে যখন শুনলাম গত রাতে শেরপুরের বেশির ভাগ হিন্দু পরিবারই টাকা দিয়ে জান মাল বাঁচিয়েছে তখন আসলে আমি বাকরুদ্ধ হয়ে গেছি। কোন আইন নাই দেশে ২৪ ঘণ্টার উপরে। পুলিশের থানায় একটা কাকপক্ষী নাই। খুন করলেই কী আর ছিনতাই করলেই কী! 

    আমি যখন আপার বাসায় বসে বসে এগুলা ভাবছি তখন বাহিরে শোরগোল। কী ব্যাপার? এক মহিলা এদের বাসার দরজায় ধুপ ধাপ বাড়ি দিচ্ছে! কী হইছে? উনি কাছেই থাকেন, একটা এনজিও চালায় উনার স্বামী। উনার কাছে কিছু পুলাপান এসে এক লাখ টাকা চেয়েছে। উনি বিএনপির নেতা যাদের চিনেন এলাকার তাদের কাছে গেছেন জিজ্ঞাস করতে কেন দিবেন টাকাটা? এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য হচ্ছে আমি তো হিন্দুও না, আওয়ামীলীগও করি নাই, আমি দিব কেন? এইটা বলতে গিয়েই তাকে ধরে এই মারে তো ওই মারে! এক দণ্ডের ভিতরে এক দুইশ মানুষ এসে গেল। এখনই জ্বলায় দিবে ওর বাড়ি, অফিস সব! আমার দুলাভাই এর আগেই বের হয়ে গেছেন। ওহ! বলা হয়নি, তিনি পেশায় উকিল, শেরপুর উকিল বার নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচন করেছিলেন। বিএনপির নেতা থেকে শুরু করে এলাকার আতি পাতি নেতারাও উনাকে চিনে। এই জন্য সবাই দৌড়ে উনার কাছে আসেন। 

    আমি এবার সরাসরি আতঙ্কটা দেখলাম! থরথর করে কাঁপছে। ভাবি বাঁচান! আমার বোনকে বলছেন! বাহিরে হট্টগোল চরমে। আমি জানি এই বাড়িতে আক্রমণ করবে না। কিন্তু তবুও আমার মনে হচ্ছিল এই মবকে থামায় এমন শক্তি কারও নাই। হিড়িক উঠলে শেষ সব! এরপরের চিন্তাই হল আমাকে বাড়ি ফিরতে হবে! রাত নয়টা বাজে, যেভাবেই হোক বাড়ি ফিরতে হবে। নানা জায়গায় ফোন দিয়ে এদেরকে থামানোর চেষ্টা করা হল। এরা একটু সরতে আমি একটা খালি রিকশা পেয়ে উঠে বাড়ির দিকে রউনা দিলাম। 

    রিকশা যেদিক দিয়ে গেলে সহজে আমার বাড়ি যাওয়া যাবে সেইদিক দিয়া না গিয়ে শহরের ভিতর দিয়ে গেল। কারণ এদিকে তখনও মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। শহরে ঢুকলাম। আমার প্রাণের শেরপুর শহর। তীব্র পেট্রলের গন্ধ আসল। শুনেছিলাম সবচেয়ে বড় রেস্টুরেন্টটা জ্বালিয়ে দিয়েছেন 'কোটা বিরোধী' বৈষম্য বিরোধী' আন্দোলনকারীরা! সব অন্ধকার হয়ে আছে। টিমটিম করে এক লোক ভ্যানে করে সবজি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। একটা ওষুধের দোকান খুলা, একটা শাটার খুলে একটা মুদি দোকানদার বসে আছে। যে আনসারদের অফিস পুড়ে দিয়েছে, তাদেরই দুইজনকে দেখলাম মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে।

    আরেকটা অদ্ভুত বিষয় খেয়াল করলাম। তা হচ্ছে আমি রিকশা দিয়ে যাচ্ছি এইটা প্রায় সবাই খেয়াল করছে। মানুষ কম শহরে। কেউ খেয়াল করলে বুঝা যায়। আমি দেখছি সবাই তাকিয়ে দেখছে কে যায়! এইটা ভয়ের মতো ব্যাপার না? শহর থেকে একটু দূরে আমাদের বাড়ি। এলাকায় এসে পরার পরেও অস্বস্তি লাগছিল। আমাদের এলাকা তুলনামূলক শান্ত একটা এলাকা। জানি এখানে অন্তত কেউ আমাকে কিছু বলবে না। তবু মনে হচ্ছিল যা দেখে আসলাম তা সব বাস্তব? গা গুলাচ্ছিল আমার। 

    সারাদিনে এমন খবর পাচ্ছিলাম নানা জায়গা থেকে। সব এক কথা। টাকা দিয়ে জান মাল বাঁচাও! আমাদের শেরপুর হচ্ছে চালের জন্য বিখ্যাত। চালের জন্য একটা এলাকাই আছে, নানান ধরনের মিল, অফিস সেখানে। এখানের প্রতিটা জায়গায় যাওয়া হয়েছে। চাল নিয়ে নেওয়া হয়েছে, টাকা নেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বড় যে বাজার সেখানে বড় বড় মুদি দোকান আছে। তারা আবার হিন্দুও! ইচ্ছা মতো লুট হয়েছে। 

    আজকে সকালে ঘুম ভেঙ্গেই শুনেছিলাম আমাদের এলাকায় এক আওয়ামীলীগ নেতার বাড়ি আছে। কেউ এসে বলে গেছে ভাড়াটিয়াদের যে সবাই বাড়ি খালি করেন, দুপুরে আগুন দিব এইটাতে। তবে শেষ পর্যন্ত আগুন জ্বলে নাই এখানে। কীভাবে বাঁচছে জানি না। 

    এই দম বন্ধ করা পরিবেশ কতদিন থাকবে কে জানে। আরও কয়দিন লাগে সরকার গঠনের কে জানে। সরকার গঠন হলেই সব থেমে যাবে? আমাদের জেলার বিএনপির নেতারা এলাকা ভাগ করে নিচ্ছে শুনলাম! এদিকে শুনলাম বিএনপি ঢাকায় মহা সমাবেশ ডেকেছে। প্রধান অতিথি তারেক রহমান! বলার মতো আরেকটা সংবাদ হচ্ছে হিজবুত তাহরির মিছিল করেছে, ব্যানারে লেখা ছিল মুক্তির একপথ, খেলাফত খেলাফত! 

    শুভ রাত্রি আপনাদের জন্য। আমাদের শুভ রাত্রির দিন শেষ। এখন কোনমতে রাত পার করতে পারলেই বাঁচি।  
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ০৭ আগস্ট ২০২৪ | ১১৬০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • &/ | 151.141.85.8 | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০২:২২535927
  • কী ভয়ঙ্কর অবস্থা!!! শুধু পড়েই কেমন যেন দমবন্ধ লাগছে আর আপনি তো চোখের সামনে দেখছেন। সাবধানে থাকবেন। কী আর বলি। প্রার্থনা করি অবস্থা ভালোর দিকে যাক।
  • . | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০২:৫৪535930
  • সাংঘাতিক!
    এতো পাকিস্তান আমলের কার্বন কপি। মুক্তিযুদ্ধের টাইমেও কি এমন হয়েছে? ছিঃ।
  • Guru | 2401:4900:735a:d74c:948f:2d00:e602:51b2 | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৮:২৬535941
  • শরীফ, সাবধানে থাকবেন ভাইয়া। শেরপুর থেকে গত কয়েকবছরে বেশ কিছু মানুষ আয়নাঘরে গুম। আয়নাঘর থেকে সাবধানে থাকবেন। বেশি বেরুবেননা বাসা থেকে।
  • কল্লোল | 2401:4900:7067:27e9:80e3:45e9:f34:1248 | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৮:২৬535942
  • একটা গণঅভ্যূত্থানের মানুষেরা সমসত্বিক নয়, হতেও পারে না। ফলে বিজয়ের পর আরাজকতার সুযোগ অনেকে নেবে। আশা করি অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হলে, এর সুরাহা হবে।
  • দীপ | 2402:3a80:196b:8315:678:5634:1232:5476 | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ০৮:৪৬535943
  • বিগত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাস সেই আশাবাদী হ‌ওয়ার সুযোগ দেয়না।
    যেকোনো আন্দোলনেই একশ্রেণীর মানুষ থাকে, যারা এই সময়ের সুযোগ নিয়ে লুঠপাট করে, ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা চরিতার্থ করে, আরো বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয়। ফরাসী বিপ্লব, রুশ বিপ্লবের ক্ষেত্রেও এই কথা সত্য। তবে নেতৃত্ব আদর্শবাদী হলে এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সহজে দমন করা যায়।
    বাংলাদেশের ইতিহাস সেই আশাবাদী হ‌ওয়ার সুযোগ দেয়না।
  • রমিত চট্টোপাধ্যায় | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৪:৩৩535957
  • সাদেকভাই, ভয়ানক ঘটনা সব। খুবই খারাপ লাগছে কথাগুলো শুনে। আপনার প্রত্যেকটা লেখাই পড়ছি। সাবধানে থাকবেন।
  • কিংবদন্তি | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ১৯:৫৮535972
  • রমিত চট্টোপাধ্যায়, আমি লিখতে পারছি কি না জানি না। অবস্থা আমার লেখার থেকে ঢের বেশি ভয়াবহ। আজকে বের হয়েছিলাম। চাক্ষুষদের কথা শুনে আসছি। রাতে লেখার ইচ্ছা আছে। আজকেও সরকার গঠন হল না। এইটা খুব খারাপ হচ্ছে। সম্ভবত কালকে শপথ নিবে  নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। দেখা যাক। 
  • হীরেন সিংহরায় | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ২১:৪২535976
  • সাদেক ভাই
     
    একশো বছর আগে মরহুম মুজতবা আলি সাহেব আফগান রাষ্ট্র বিপ্লব চাক্ষুষ করেন দেশে বিদেশের শেষ অংশে তার এই রকম বর্ণনা আছে। বয়েসের অধিকারে আশীর্বাদ জানাই দোয়া করি। ভাল থাকুন । এ মাসের শেষে ঢাকা যাবার কথা ছিলো। 
    ফোন চালু হলে কল দিবেন।
     
    পু: আজ সকালে আইফেল টাওয়ারের কাছে একটি বাংলাদেশি রেঁস্তোরা আমার কাছ থেকে দাম নিতে অস্বীকার করল। 
  • পারমিতা | 2401:4900:1c85:ffb6:6db:2419:4448:98c5 | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ২১:৪৩535977
  • সাবধানে থেকো? 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:41d6:7a58:3280:bc53 | ০৭ আগস্ট ২০২৪ ২২:৩৭535978
  • এই অস্থির সময়ের ক্রনিকল - শরীফের কী বোর্ড থেকে। আতঙ্কের সময় 
    সাবধানে থেকো, শরীফ। জাফর ইকবাল বা তোমার মত মানুষ দের খুব প্রয়োজন , আজকের বাংলাদেশে 
  • কিংবদন্তি | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ০২:৫০535988
  • অরণ্য দা, জাফর ইকবাল এবার হয়ত বাঁচবেই না। উনাকে আগের মতো পুলিশ পাহারা দেওয়া হবে না ধরেই নেওয়া যায়। তাই কই কখন কোপ খেয়ে মরবে কে জানে। উনাকে বাঁচানো এখন খুব খুব কঠিন। আমার আর ক্ষমতা কতটুকু! আমি তো আসলে কেউই না। 
     
    পারমিতা দি, আছি সাবধানেই। খুব প্রয়োজন না হলে বের হচ্ছি না। এখন আর্মির গাড়ি মাইক মেরে ওদের নাম্বার দিচ্ছে, যেন গণ্ডগোল হলে ওদেরকে ফোন দেয়। কিন্তু কে দিবে? ফোন দিয়ে আবার রোষের নিচে পারবে না? 
     
    হীরেন দা, ফোন চালুই আছে এখন। কল দিব। আগস্টে আসবেন বলছিলেন। আপনার সাথে দেখা হওয়া আবার পিছিয়ে গেল। 
  • aranya | 2601:84:4600:5410:3174:6b95:8ee4:99cc | ০৮ আগস্ট ২০২৪ ০৬:৫৫535992
  • জাফর ইকবাল - এর জন্য আমারও ভয় হচ্ছে। আবার না চাপাতির কোপ খান। অমন একজন মানুষ 
  • জয়া চৌধুরী | 203.171.240.120 | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ১১:২৩536084
  • ওহ! নারকীয় 
  • Prativa Sarker | ০৯ আগস্ট ২০২৪ ১৪:০২536093
  • খুবই নিরাশ লাগছে। তবে এর থেকে ভালো কিছু হবে তা ভাবাও অর্থহীন। যারা এর ভেতর দিয়ে যাচ্ছেন তাদের অবস্থা অবর্ণনীয়।  ভয় পাই, দাঙ্গা, অরাজকতা, মব-কে খুব ভয় পাই। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন