এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  আলোচনা  রাজনীতি

  • আরজি কর - যা দেখছি 

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | রাজনীতি | ১৪ আগস্ট ২০২৪ | ১১৫৭ বার পঠিত | রেটিং ৫ (২ জন)
  • আরজিকর হত্যা নিয়ে সত্যি বলতে কি, আমি কিচ্ছু জানিনা, এবং খুবই দিশাহারা। বাকিদের মতই নানা জিনিস পড়ছি, দেখছি। 'ভিতরের খবর' কিছু জানা নেই। প্রথম দিন খবরটা পেয়ে বাকিদের মতোই শিহরিত হয়েছিলাম। পড়েছিলাম, অধ্যক্ষ প্রথমে মেয়েটির বাড়িতে খবর দিয়েছিলেন,  আত্মহত্যা। অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে গুচ্ছের অভিযোগ। পড়লাম প্রথমে ঠিকঠাক ময়নাতদন্ত হচ্ছিলনা। ওদিকে অধ্যক্ষকে কিছুতেই সরানো হচ্ছিলনা। তারপর পুলিশ ঝপাঝপ একজনকে গ্রেপ্তার করে ফেলল। গরীব লোক, সিভিক ভলান্টিয়ার। শুনে সন্দেহ করেছিলাম, ধনঞ্জয়-২ হতে চলেছে। কাউকে বলির পাঁঠা করা হচ্ছে। নানা জায়গায় নানারকম চক্র থাকে, শাসকদলের সঙ্গে যোগসাযোগও থাকে, তাদের পক্ষে নানারকম ষড়যন্ত্র অসম্ভব কিছু না। বিশেষ করে অধ্যক্ষটিকে না সরিয়ে যেভাবে অন্যত্র পাঠান হল, সে তো খুবই সন্দেহজনক। এখন যদিও ফাঁসানো অত সোজা না, সিসিটিভি আছে, ফরেনসিক উন্নত। তবুও। 

    উল্টোদিকে চাউর হচ্ছিল নানা ন্যারেটিভ। সেগুলো পড়ছিলাম মন দিয়ে। বলা হচ্ছিল, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আছে মৃতার পেলভিকের ভাঙা হাড়,  শরীরের ভিতর দেড়শো গ্রাম বীর্য। হয়েছে তীব্র বলপ্রয়োগ, অতএব একাধিক অপরাধী। তারপরে অপরাধী কে, সেসব তালিকাও চলে আসছিল। পুরোটাই খুবই যুক্তিযুক্ত। খানিকটা বিশ্বাসও করছিলাম। কারণ, শাসকচক্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনে সবসময় সমর্থন এবং পক্ষপাতিত্বও থাকে। কিন্তু গোল বাধল ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আদৌ ওরকম আছে কিনা এরকম একটা খটকা লাগায়। খবরের কাগজ বলল নেই। আমি একটু আনাড়ির মতো খুঁজে দেখলাম, আমিও পেলাম না। তারপর জানা গেল অমন সত্যিই কিছু নেই, দুটোই গল্পকথা। জানলেন কীকরে, পুরো ন্যারেটিভটাই তো ঘেঁটে গেল এতে, প্রশ্নটা করতেই, যাঁরা বলছিলেন,  খুব রেগে গেলেন। কেননা, অপরাধীর তালিকা তো ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গেছে। মনে হল আমি কীরকম সেটা বানচাল করতে উঠেপড়ে লেগেছি। ছড়িয়ে পড়া লিস্টিতে কটি বিধর্মী, একজন হিন্দু, খুবই সহজবোধ্য রাজনৈতিক ব্যাপার। সংখ্যালঘুরা জাত-শত্রু আর হিন্দুটিকে  তৃণমূল ভেবে রাখা হয়েছিল, পরে দেখা গেল তিনি তৃণমূল না, মিসফায়ার হয়ে গেছে ( তৃণমূল হলেও আমার বক্তব্যের ইতরবিশেষ হতনা)। শোনা গিয়েছিল এরা সবাই নিখোঁজ। বস্তুত কেউই নিখোঁজ না। তবে যা পরিস্থিতি, তাতে এদের নিখোঁজ হয়ে যাওয়াই মনে হয় কাম্য। ছবি টবি শেয়ার হয়ে যাচ্ছে। পুরোটাই হাওয়ায়, গণপিটুনির কার্নিভাল চলছে মনে হল। সেটা মেনে নেওয়া ভারি মুশকিল। এবং এই লিস্টি এবং ন্যারেটিভটার পিছনে 'বীর'দের অঙ্গুলীহেলন আছে, সেও আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। 

    এই করতে করতেই কাল দেখলাম নতুন একটা ভিডিও। ওই ভাঙা পেলভিক আর দেড়শো গ্রাম বীর্যের মতোই এটাও ভাইরাল। মুখ দেখা যাচ্ছেনা, এমন একজন হিন্দিভাষী মহিলা, বক্তব্য রাখছেন।  সত্যিই মর্মান্তিক ভিডিও, কিন্তু সব শেষে তিনিও সেই ভুল তথ্যটাই দিচ্ছেন, যে, 'ভাইরাল ময়নাতদন্ত'এ ভাঙা পেলভিক এর কথা আছে। কারোরই মুখ দেখা যাচ্ছেনা, আশা করি ভিডিওটা নিয়েও পরে 'ভুল' স্বীকার কেউ করবেননা। কিন্তু মানুষ শোকে দুঃখে রাগে অনেককিছুই বলে, খুবই স্বাভাবিক, কিন্তু সেটাকে ময়নাতন্তের রিপোর্টের প্রমাণ হিসেবে পেশ করলে তো মুশকিল শুধু না, চূড়ান্ত কান্ডজ্ঞানহীনতা।  

    এবার, ময়নাতদন্তের প্রাথমিক  রিপোর্টও জালি হতে পারে, কিন্তু সেরকম দাবী করতে কাউকে শুনিনি। যাঁদের নিয়ে এঁরা বলছেন, তাঁদের কেউ অপরাধী সত্যিই হতে পারেন। এক বা একাধিক জন। সত্যিই তো ধর্মীয় ভাগটা হয়তো আপতিক। কিন্তু সেগুলো তো যুক্তিপরম্পরা হিসেবে পেশ করতে হবে। এমনকি কনস্পিরেসি থিয়োরিরও একটা যুক্তিপরম্পরা থাকে। সে নিয়ে লোকে প্রশ্নও করবে। ভুল হলে পয়েন্টআউটও করবে। অপরাধ নিরূপন, অনুসন্ধান সবই তো ঠান্ডা মাথায় করতে হয়। আমি খুব আবেগী তাই বলে দিলাম, অমুক-শর্মা মানুষ-মেরেছে, বানিয়ে বলে দিলাম, ময়নাতদন্তে দেখেছি পেলভিকের হাড় ভাঙা ছিল, দেড়শো গ্রাম বীর্য ছিল, এটা তো কোনো পদ্ধতি নয়। এমনকি নার্সারি স্কুলেও এগুলো করতে না করা হয়। আর বুড়ো বয়সে যাঁরা করছেন, খুব নরম করে বললেও, একদমই ঠিক করছেননা, বা জেনেবুঝে অ্যাজেন্ডামাফিক করছেন, যেটা মূলত 'বীর'দের অ্যাজেন্ডা। অনুসন্ধানে নিজেকেই একশবার করে প্রশ্ন করতে হয়। একটা প্রশ্ন করলেই যাঁরা কৈফিয়ত চাওয়া হচ্ছে বলে রেগে যান, তাঁদের উপর আস্থা রাখাই তো সম্ভব না। 

    ফলে সব মিলিয়ে যা দাঁড়াচ্ছে, একদিকে হাসপাতাল এবং শাসকদলের সম্ভাব্য দুষ্টচক্র এবং সম্ভাব্য ধনঞ্জয় ২, অন্যদিকে নেহাৎই কল্পকথার ভিত্তিতে বীরদের অ্যাজেন্ডামাফিক অপরাধী নিরূপন। তিন নম্বর পক্ষ আছে সিবিআই, যারা কোনো অপরাধের কিনারা করেছে বলে বিশেষ শোনা টোনা যায়না। চতুর্থস্তম্ভের কথা বললামই না। এবং দুঃখজনকভাবে বামরা কোথাও নেই। আন্দোলনে নিশ্চয়ই আছেন, কিন্তু আলাদা কোনো কণ্ঠস্বর নেই। শাসকদলের দুষ্টচক্রের বিরুদ্ধে বলছেন, একশবার ঠিক বলছেন, কিন্তু সে তো বীররাও বলছে। কিন্তু একই সঙ্গে কোনো পক্ষের কোনো বামকে এই ফেক-নিউজ ছড়ানো সুমসৃণ 'বীর' ন্যারেটিভের বিরুদ্ধে গলা তুলতে দেখলাম না, যেটা প্রত্যাশিত ছিল। এবং অবস্থা এমন জায়গায় পৌঁছেছে, যে, আমি যা বললাম এসবই যদিও নেহাৎই সাধারণ কথা, নার্সারি ইশকুলেও বলা হয়ে থাকে, কিন্তু এগুলো বললেও পার্টিজান লোকে তেড়ে মারতে আসছেন। নিজেরা প্রশ্ন শুনলেই আহত হচ্ছেন কারণ আবেগে বা অ্যাজেন্ডায় আঘাত লাগছে, ওদিকে অন্যকে দালাল আখ্যা দিয়ে থাকছেন। সাধারণ যুক্তির কথার উত্তর সাধারণ যুক্তিতে না দিতে পারলে বিদ্রোহ-বিপ্লব-পরিবর্তন এসব করবেন কীকরে কে জানে। ফতোয়া দিয়ে তো পৃথিবী চলবেনা। 

    তো যাইহোক, বাস্তব এইরকমই। নানারকম কায়েমী স্বার্থ, প্রশ্নের জায়গাগুলো, চিন্তার জায়গাগুলোকেই অবরুদ্ধ করে ফেলেছে। কারো পুঁজি, কারো রাজনীতির স্বার্থ আছে। আজ নয়, অনেকদিন ধরেই করে ফেলেছে। মতের অমিল, যুক্তি-তর্ক, আদান-প্রদান, ঠাট্টা-ইয়ার্কি, প্রশ্ন-উত্তর এগুলো যে নেহাৎই স্বাভাবিক ব্যাপার, এই গল্পটাই আর নেই। কোন ঘটনা থেকে কোন শক্তি কতটা ফয়দা লুটবেন ভেবে চলেছেন। এর মধ্যে থেকে যে ছাত্রছাত্রীরা মারা গেল, তারাই ক্রমশ উবে যাচ্ছে। 

    অবশ্য সিভিল সোসাইটির মেয়েরা পতাকাহীন হয়ে জড়ো হচ্ছেন, সেটা একটা ভালো ব্যাপার। তাঁরা যদি কথোপথনের স্পিরিটটা, ইনক্লুসিভ হবার স্পিরিটটা রাখতে পারেন তো ভালো। যদিও শুরুর আগেই যেরকম আন্ডারকারেন্ট দেখছি, কতটা পারবেন, সন্দেহ হচ্ছে। তবুও আশা রাখা যাক। আরজিকরের খুনি, যাদবপুরের খুনি, আইআইটির খুনি শাস্তি পাক। এই ধোঁয়াশার শেষ হোক। গরম গরম কথা কিছু বলতে পারলামনা বলে দুঃখিত। আমি মূলত উটকো কথা বলে আসর ভেঙে দিই, সেটাই অব্যাহত রাখব। 
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • আলোচনা | ১৪ আগস্ট ২০২৪ | ১১৫৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রূপা পাল | 45.87.213.230 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৮:১৮536353
  • আর জি করে যে একটা রীতিমতো অনৈতিক দালাল চক্র কাজ করছে, সেটা এখন নিশ্চয় সবাই জানে। কারোর ধারণা সেক্স রাকেট, আমার মনে হয় ড্রাগ মাফিয়া, এর পেছনে আছে। ড্রাগ মাফিয়া মানে শুধু মাদক দ্রব্য নয় কিন্তু, এর পেছনে হসপিটালের ওষুধের ফেরবদল করে দু হাতে টাকা কামানোর বিষয়টাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই অন্ধকার সাম্রাজ্য রমরম করে চালানোর মূল হোতা হলো ওই কলেজের প্রিন্সিপল, তারই প্রশয়ে আর নজরদারিতে দুষ্কর্মগুলো চলে আর হেঞ্চম্যান হিসেবে কাজ করে টিমসিপি ইউনিটের কিছু উঠতি নেতা, তাতে একদিকে যেমন দাদাগিরি ফলানো যায়, অন্যদিকে মদ আর মোচ্ছবের খরচটাও উঠে আসে। প্রতিবাদ করলে কাউকে ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে, কাউকে হোস্টেলে থাকতে না দিয়ে বা কাউকে কেস করতে না দিয়ে দমিয়ে রাখা হতো। 
     
    এভাবেই চলছিল, তাল কাটলো যখন দি এই অবিচারের প্রতিবাদ করলো। এ বেশ মাসখানেক আগের ঘটনা, কারণ তার পরবর্তী মাসগুলোতে চূড়ান্ত হেনস্থার শিকার হতে হয় দিদিকে, ডিপার্টমেন্টের না এইচওডি না সিনিয়ররা, কেউ ফিরেও দেখেনি। একসময় দিদি বুঝতে পারে, কোর্স কমপ্লিট করা কঠিন হয়ে পড়বে অসহযোগিতা চলতে থাকলে, বাড়িতে বলেও লাভ হয়নি, অসহায় বৃদ্ধ বাবা মা কিই বা করতে পারতো ? তখন বয়ফ্রেন্ডের পরামর্শে দিদি এদের বিরুদ্ধে প্রমান জোগাড় করতে শুরু করে, যাতে উল্টোপাল্টা কিছু হলেও দিদির হাতে আইনি লড়াইয়ের রসদ থাকে। 
     
    টার্নিং পয়েন্টটা তখন এলো, যখন ডিপার্টমেন্টের লোকেরা বিষয়টা জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ওই টিএমসিপি ইউনিটের ছেলেদের জানিয়ে দিলো। ওরা ঠিক করলো, দ্রুতই একটা এসপার ওসপার করে ফেলতেই হবে। সেই মতো সব প্ল্যানিং সাজানো হলো। ওই সেমিনার রুমের ঠিক সামনের ঘর থেকে পেশেন্ট শিফট করা হলো, 'ফল গাই' হিসেবে বাছা তারকাটা সঞ্জয়ের মুখ সিসিটিভিতে দেখিয়ে আনা হলো, তারপর দলের ছেলেদের কঠোর নির্দেশ দেওয়া হলো, কোনো অবস্থাতেই যেন নাইট ডিউটির শিফটে (মানে সকাল আটটা অবধি) পেশেন্ট, নার্স বা অন্য কেউ ওইদিকে না আসে। খেতে খেতেই দিদিকে সেমিনার রুমে শোওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হলো। তারপর এলো ওরা চারজন। 
     
    একজন মুখ খুললে বাকিরাও কথা বলবে, ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়তে পারে, তাই মুখ বন্ধ রাখতে মার্ডারটাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু একটা শান্ত, নির্বিরোধী মেয়ের অচানক খুন হলে মোটিভ খুঁজতে গেলে আগে তাদের ওপরই নজর পড়বে, তাই হাতে তুলে নেওয়া হলো চিরকালীন অস্ত্র, ধর্ষণ, যাতে লোকে ভাবে রেপটাই আসল ছিল, মার্ডার তো পরে হয়েছে। ওই চারজন জোয়ান মদ্দার সাথে যুদ্ধ করা সম্ভব ছিল না ছোটোখাটো দিদির পক্ষে, কি নৃশংসভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল, অটোপসি রিপোর্টেই তার প্রমাণ আছে।
    এরপরেই এলো যে টুইস্ট, ভাবলেও ঘেন্না হয়। তারকাটা সঞ্জয়কে ডেকে আনা হলো মৃতা দিদির যোনিতে বীর্যপাতের জন্য, যাতে একান্তই ইনভেস্টিগেশন হলে সিমেনের ডিএনএ দেখে ওই সঞ্জয়কেই পাকড়াও করা হবে, এদিকে সে তো খুন করেইনি, তার গায়ে কোনো আঁচড়ের দাগ ও নেই, ওকে মার্ডারের আসামি বানালে ছাড়া পেয়ে যাবে, খুব বেশি হলে মৃতের সঙ্গে সহবাস বা নেক্রোফিলিয়াতে অভিযুক্ত করা যেতে পারে, যার জন্য ভারতীয় আইনে কোনো সাজা নেই। তারপর দিব্যি সঞ্জয়ের ইয়ারফোন ফেলে রাখা হলো মাটিতে, যেন অপরাধী জেনেবুঝে মোস্ট অবভিয়াস ট্রেসটাই ফেলে গেছে। 
     দিদির গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছিল, সেটা হয়েছিল সেই প্রমাণগুলো উদ্ধার করে নষ্ট করার জন্যই। যখন মাননীয়া নিশ্চিত খবর পেলেন এভিডেন্স ট্যাম্পেরিং থেকে শুরু করে প্রমাণ নিয়ে অপরাধী খোঁজার শেষ সূত্রটুকুও মুছে ফেলা হয়েছে, পরম শান্তিতে তিনি সিবিআই এর জন্য গ্রীন সিগন্যাল দিয়ে দিলেন।
  • :( | 93.90.74.31 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৮:৩২536355
  • পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে গরমগরম বলা সহজও নয়। পুরে দিয়ে যাবে।
    কে হায় ড্যাশের ফাঁকে বেদনা জাগাতে ভালবাসে
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:70f4:ed73:10bc:dbce | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৯:১৫536356
  • এ মানে একটা অদ্ভুত ব্যাপার চলছে, হয়ত যারা ঘটনাটা ব্যবহার করছে তারা ধরেই নিয়েছে যে সোশাল মিডিয়া দিয়ে কনস্পি তৈরী করে সরকারকে প্যাঁচে ফেলা যাবে বা ফেলে দেওয়া যাবে। এটা একটা স্ট্রাটেজি যাতে তাদের ক্ষতি কিছু নেই, কারণ ইত্যাদি অন্য কিছু বেরোলেও পরে তাদের ক্ষতি নেই, প্রশ্ন ইত্যাদিও কিছু নেই, প্রশ্ন করলেও সোশাল মিডিয়াতে চারটি গালাগালি হবে। এও আছে, টিএমসির যে এমএলএ র ছেলে 'নাকি' জড়িত ছিল সে প্রেস কন্ফ করে গতকাল বলেছে যে এসব খবর ছড়ানো হতে পারে তার দলের মধ্যে থেকেই হচ্ছে, এর ফলে তারা মার খেয়ে যেতে পারেন। এরও উল্টোদিক হল, যদি দলের মধ্যে থেকেই ছড়ায় তাহলে এটাও এক রকমের ডাইভার্শন, আসল লোকেদের চাপা দেওয়ার জন্য। শেষ ভিডিওটা দেখেছি, বাবা - মা নাকি পাশে দাঁড়িয়ে কিন্তু তারা পুরো চুপ, হয়ত হিন্দী চ্যানেল কথা বলতে হবে বলে অন্যজন বলছেন যিনি হিন্দী জানেন। আর এক ভিডিও চোখে পড়ল, বর্খা দত্তের চ্যানেলের, চালিয়ে দেখিনি, সেখানে অন্য এক হাসপাতালের ডাক্তার বলছেন মালটিপল ফ্র‌্যাকচার, গ্যাং রেপ ইত্যাদি।

    সিবিআই করাটাই হয়ত ঠিক, না হলে কেউই কিছু আর বিশ্বাস করত না। এখন সিবিআই দিন কয়েক 'ভেতরের' খবর, তদন্তপ্রকৃতি বার করবে !

    সত্যি কী, এ তুমি জানতে পারবে না, এই তত্ত্ব চোখের  সামনে কাজে পরিণতি হচ্ছে !
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:c5e9:657e:38de:4787 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ০৯:১৬536357
  • সিবিআই যে সবসময়েই ছড়ায় তা কিন্তু নয়, নীট পেপার লিক এ বেশ কিছুটা এগিয়েছে (অবশ্য পেছনে সুপ্রিম কোর্টের বাঁশ ছিল)। 
     
    কিন্তু "বীর" ব্যাপারটা নিয়ে অল্প একটু খটকা লাগলো। বীর মানে চাড্ডিই তো (যেমন আমাদের দীপচাড্ডি)? নাকি নতুন কোন থার্ড পার্টি? 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১০:৩৭536365
  • হ্যাঁ, তারা ছাড়া আর কে ! গল্প তো বিবিধ রকমের, এখানেই তো আছে।

    পোলিটিক্যাল খেলা চলছে, বিবিধ ঘটনা ব্যবহার করে যেন পোলিটিক্যাল স্বার্থে একটু মিথ্যে বা ভুল ছড়ালে বা সাব্স্ক্রাইব করলে ক্ষতি কিছু নেই। সবকিছুই তো আজ 'হতেও তো পারে'।
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:fd31:e68:4447:e346 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১১:০৯536367
  • সিএস, তা ঠিক। 
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১২:০১536371
  • - সন্দেশখালিতে মেয়ে - বউদের সঙ্গে খুব খারাপ কাজ হত, তার আবার হিন্দু - মুসলমান ছিল, সেসব ঠিক কী হত আজ মনে হয় কারোরই ধারণা নেই। সে ছিল লোকসভা ভোটের আগে, টিএমসি তো পরে স্টিং বার করল যে সবই বানানো গল্প, শেখ সাজাহানকে ইডি ধরেছিল।

    - মাণিকতলায় উপনির্বাচনের আগে টিএমসির গুণ্ডামি - ক্লাব ইত্যাদি নিয়ে পুরোন ভিডো চাউর হল, টিমসি যদিও জিতেছিল।

    - কলকাতা পুরসভার ভোট হবে কয়েক মাসের মধ্যে মনে হয়, ২০২৬ র ভোট তো আছে। লোকসভায় জিতলেও শহর অঞ্চলে টিএমসির অসুবিধে আছে, সে নিয়েও তথ্যও ছিল। এই ঘটনাটিও কলকাতাতেই ঘটছে !

    তো, টিএমসির দাপট, দলবাজি, কোরাপশন সবই ঘটনাগুলোতে মিশে আছে। এগুলোকেই ভিত্তি করে, তার ওপর এটাসেটা 'তথ্য' ছড়িয়ে, মিথ্যে ছড়িয়ে পোলিটিক্যাল ন্যারেটিভ বা 'খেলা' তৈরী করা যায়। এখন সবাই যেহেতু পোলিটিক্যালি 'বায়াসড' আর ওসব সিভিল সোসাইটি ইত্যাদি কিছুই নেই (তারও আবার পোলিটিক্যাল ক্রিটিসিজম আছে), ফলে ন্যারেটিভের বেসিক যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন করলে পোলিটিক্যাল দিক দিয়েই পাল্টা উত্তর আসবে।
  • m | 2a0b:f4c2:1::1 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৪:২৬536377
  • এটাও বানানো গল্প হয়ে যাবে। একটা স্টিং আসবে যে মেয়েটা নিজের বদ আচরণের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল, ডিপ্রেসড ছিল, শেষ অবধি আত্মহত্যা করে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ততদিনে আরো পাতলা হয়ে যাবে। শেখ সাজাহানকে বাঁচাতে কেন সরকার কোর্টে যায়, আরজিকরের জঞ্জালকে কেন ন্যাশনাল মেডিক্যালে বসানো হয় এই প্রশ্নগুলি চাপা দেওয়া হবে।
  • সিএস  | 103.99.156.98 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৭:৩২536379
  • মনে হয় না এই ঘটনা নিয়ে স্টিং তৈরী সম্ভব। মূল ঘটনাটা তো সত্যি যে একটি মেয়ের ওপর খুবই খারাপ কাজ করে মৃত্যু ঘটানো হয়েছে এবং সেটিও একটি বড় সরকারি হাসপাতালে। ভেতরের লোকের প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ মদত না থাকলে এ ঘটনা ঘটে না, যদি ধরেও নিই ঐ একটি লোকই করেছে তাহলেও সত্যতা বদলায় না যে কর্তৃপক্ষ দায়ী। এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই দায়ী নয়, পুরো সিস্টেম, দল - প্রশাসন - পুলিশ সব মিলিয়েই দায়ী। মানুষে যে অদ্ভুত 'যুক্তি' বিশ্বাস করছে সে এ জন্যই যে তারা এই সত্যতা জানে যে এ রাজ্যে অনেক কিছুই ঠিক চলছে না বা চলে না। সে জন্য সরকারই দায়ী। সেই বোধটা এখন হয়ত ফেটে বেরিয়ে আসবে। সিঙ্গুর - নন্দীগ্রাম - বাংলাদেশের বিক্ষোভ, এ সব নিয়ে নানা রকমের তর্ক করা যায়, হয়েছেও, এখনো হয়, কিন্তু সেসবে এই সত্য বদলায় না যে ঐসব ঘটনার পেছনে সরকার - দলই দায়ী ছিল, এরপর সেই সব আন্দোলন কতখানি খাঁটি, কতখানি ভেজাল, কতখানি ন্যারেটিভ তৈরী, কতখানি পোলিটিকাল মাইলেজ সেসব নিয়ে অনন্ত তর্ক হতে থাকবে কিন্তু এসব ঘটনার ফলে ক্ষমতার হাত বদলেছে এবং সে বদলটা ঠিকই ছিল। তারপরে কী হয়েছে বা কী হবে, সে আর সময়ের ব্যাপার। টিএমসি ক্রমাগত ভোটে জিতলেও, তাদের কাজকর্মে অনেকেই খুশী নয়, যারা ভোট দিচ্ছে তারাও হয়ত খুশী নয়, সুযোগ পেলে তাদের বিরোধিতা উঠে আসবে, উঠে আসছে, যুক্তির অভাব হয়ত খুঁজে পাওয়া যাবে কিন্তু মূলে অনেক কিছু আছে যা এইসব বিরোধিতাকে 'যুক্তি' দেবে।
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৪৪536380
  • রূপা পাল যেটা লিখেছেন - এটা কি সত্যি? (এটা খুবই নাইভ প্রশ্ন, কিন্তু প্রশনটাকে কীভাবে প্লেস করা যেতে পারে বুঝতে পারছি না)
    যাঁর বক্তব্য তিনি নিজেই এখানে লিখছেন?
    ড্রাগ চক্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ - এগুলি কি রেকর্ডেড আছে কোথাও? এইসবের সাক্ষ্য প্রমানের জন্যে কেউ স্বতঃপ্রবৃত্ত হয়ে এগিয়ে এসেছেন/ আসছেন?
  • সিএস | 2401:4900:7356:f5b0:5022:cdbc:d1d:d48 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৩536381
  • আর দুটো কথা হল, এই ঘটনাটার দুই দিক আছে।

    ১। একটি মেয়ের ওপরে তার কাজের জায়গায় ঘটনাটা ঘটেছে

    ২। সরকারি সিস্টেমের মধ্যে, তাদের মদতে ঘটেছে।

    ১ নিয়ে মেয়েদের বিভিন্ন প্রোগ্রাম চলছে, ২ নিয়ে বিরোধী দলেরা প্রোগ্রাম করবে।

    আবার ১ এর মধ্যে ২ ঢুকে যেতে পারে যে মেয়েদের প্রোগ্রামের মধ্যে থেকেই সরকারের বিরোধিতা হবে। সে আবার ১ যারা করছে তাদের মধ্যে কনফ্লিক্ট তৈরী করতে পারে।

    আবার ২ তে যুক্ত বিরোধী দলেরাও চাইতে পারে ১ এর মধ্যে ঢুকতে বা ব্যবহার করতে বা সমঝোতা করতে।

    তো, এইরকমই সাধারণত হয়, হয়ে আসছে, জনসমাজ থেকেই বিরোধিতা শুরু, তারপর জনসমাজ আর পলিটিশিয়ানদের মধ্যে কনফ্লিক্ট বা সমঝোতা, একে অপরকে প্রভাবিত করার চেষ্টা বা প্রভাবিত হওয়া। ক্ষমতা বদল ইত্যাদি এইসব মিলিয়ে।
  • রঞ্জন | 2001:999:688:2d90:c91b:56c0:24ef:b373 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৩536382
  • এই প্রশ্নটা আমারও ।
  • সিএস | 2401:4900:7356:f5b0:5022:cdbc:d1d:d48 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৮:৫৯536383
  • আর জি করের প্রিন্সিপালকে নিয়ে অভিযোগ আছে যে উনি এইরকমের কাজের সাথে যুক্ত, দুর্নীতি ইত্যাদি। ভিজিল্যান্সও বসেছিল, মুর্শিদাবাদে বদলের অর্ডার হয়েছিল কিন্তু ফিরে আসে আবার। গত বছরের ঘটনা মনে হয়, এবং এগুলো প্রমাণ করে তার ক্ষমতার কথা। লেখাটা বা লেখিকার সত্যতা জানি না, কিন্তু লেখাটিতে স্পষ্ট যে প্রিন্সিপালের দুর্নীতি - ক্ষমতা, সরকারি হাসপাতালের দুষ্টচক্র ইত্যাদির 'সত্যতাকে' ব্যবহার করে ন্যারেটিভটি তৈরী হয়েছে।
  • @ r2h | 2405:8100:8000:5ca1::1a3:9ead | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ১৯:১৬536384
  • রূপা পাল যেটা লিখেছেন সেটা হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটিতে ঘুরছে। লেখকের নাম পরিচয় নেই। যে অভিযোগগুলি তোলা হয়েছে সে সম্পর্কে মৃতার পরিবার এবং বয়ফ্রেণ্ড নীরব। এমনকি গ্রেফতার হওয়া যুবকের পরিবার থেকেও তাকে "ফাঁসিয়ে দেওয়ার" অভিযোগ করা হয়নি বলেই জানি। ঘটনাটি অত্যন্ত ঘৃণ্য এবং তার প্রতিবাদ হয়াই উচিত। তবে এই ধরণের "থিওরি" মনে হয় শুধুই বিশেষ উদ্দেশ্যে হাওয়ায় ভাসানো হয়।
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ২০:৩৭536386
  • আচ্ছা... হ্যাঁ, লেখাটা পড়ে সেরকমই মনে হচ্ছিল।

    একেবারে তাই, ঘটনাটি অত্যন্ত ঘৃণ্য। আর এর সঙ্গে সম্পর্ক থাকুক বা না থাকুক, ড্রাগ, কালোবাজারি ইত্যাদি নিয়ে যেসব অভিযোগ ও সন্দেহ দানা বাঁধছে, যেগুলি সত্যি হওয়ারই সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে হয়, সেসবেরও তদন্ত হওয়া দরকার - সত্যি বলতে কী, তদন্তের থেকেও বেশি এসব নিয়ে হয়তো রীতিমত জঙ্গি ভিজিলান্তিজম, মূলত ভেতর থেকে, শুরু হওয়া উচিত - যুগের পর যুগ গোটা রাজ্যের অন্যতম মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা যেখানে যাচ্ছে সেখানে চূড়ান্ত অব্যবস্থা, দুর্নীতি, মানুষের জীবন মূল্যহীন - এ কী করে হয়?
    তদন্তকারী সংস্থাগুলির ওপর বিশ্বাসযোগ্যতাও তো বিশেষ অবশিষ্ট আছে বলে মনে হয় না। সিবিআই কেন্দ্রের পুতুল আর বিচার ব্যবস্থায় অভিজিত গাঙ্গুলির মত নাটুয়া।

    কিন্তু এই ঘটনার সুযোগ নিয়ে ঘোলা জলে মাছ ধরতে যারা নেমেছে আর সত্যি মিথ্যের মিশেল দিয়ে চার বানাচ্ছে - তারাও কম বিপজ্জনক নয় বলে মনে করি।

    আজকের রাতের জমায়েতগুলি সফল হোক। সরকারগুলি গণরোষের ওজন নতুন করে বুঝুক।
  • সিএস | 2405:201:802c:7858:70f4:ed73:10bc:dbce | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ২১:০৩536387
  • হ্যাঁ, এই লেখাটা আজকেই ছড়িয়েছে।

    আর একটা ব্যাপার মনে হচ্ছিল, আইনি বাধা আছে কিনা জানিনা, মেয়েটির পরিবার তো পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পুলিশের থেকে পেয়েছে ক'দিন আগেই, তারা সেই রিপোর্ট বার করে দিচ্ছে না কেন, সরাসরি বা ঘুরিয়ে? চ্যানেল ইত্যাদিরা তো লুফে নেবে। অথবা তাদের ভয় আছে এখনো?
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ২১:৪০536389
  • খুবই অদ্ভুত।
    এমনকি পুলিশি তদন্তের দাবি সত্যি হলেও এটা ভয়াবহ ঘটনা, একজন চিকিৎসক নিজের কাজের জায়গায় সুরক্ষিত নয়, কর্তৃপক্ষের দিক থেকে প্রথা মত ডাইরি করা থেকে বাড়িতে জানানো সবেতে চূড়ান্ত গাফিলতি করেছে, অধ্যক্ষের মন্তব্যের জন্য তৎক্ষনাৎ বরখাস্ত করার বদলে সরকার অন্য জায়গায় বদলি করেছে - তদন্ত চলাকালীন ঐ ঘর না হলেও বিল্ডিঙে যেকোন জায়গাতেই ভাংচুর কেন হবে তা বোঝার বাইরে, সংশ্লিষ্ট সবাইকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানো উচিত, সার্বিক তদন্ত হওয়া দরকার, স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।

    কিন্তু ঘোলাজলে মাছশিকারীদের মতিগতি বোঝা ভার - আবার তত ভারও হয়তো না। যে যেদিকে পারে অপর্না সেন কৌশিক সেন পরমব্রত, দেউচা পাচামিবিরোধী আরাও কাকে কাকে ইচ্ছেমত গাল দিয়ে দিচ্ছে - তাতে কিছু আসে যায় না, কিন্তু সেই গালাগালির একমাত্র বোধগম্য কারন হল এরা সিপিএম বিরোধী। এবার সিপিএম ত একটা রাজনৈতিক দল, তার বিরোধীতা করা তো তেমন কোন বড় অপরাধ না। করতেই পারে লোকজন। 
    পরমব্রত নাকি অরাজনৈতিক প্রতিবাদ চেয়েছেন - তাতে দুদিন আগে বাংলাদেশে অরাজনৈতিক ছাত্রবিপ্লব নিয়ে যারা নালে ঝোলে হচ্ছিলেন তারা সব রেগে কাঁই।
    আর ওদিকে শ্রীজাত। ভদ্রলোক অস্থানে কুস্থানে কবিতা লেখেন, একেকসময় বিরক্ত লাগে। কিন্তু আমি অন্তত এটাও মাথায় রাখি যে উনি এই কবিতার জোরেই হিন্দু ও মুসলমান - দুই দিকেরই মৌলবাদীদের চক্ষুশূল হয়েছেন, একজন সমাজ সচেতন কবির এর থেকে বড় অভিজ্ঞান আর কী হয়। তফাত শুধু শিড়দাঁড়ায় লিখে তৃণমূলেরও চক্ষুশূল হয়েছিলেন। শিলচরে শ্রীজাতকে কয়েকশো লোকের মব আক্রমন করেছিল, অন্যতম বৃহৎ বঙ্গীয় সংস্কৃতির পাশ্চাত্য দাদা গোষ্ঠী শ্রীজাতকে হিন্দুত্ববিরোধী কবিতার জন্য বয়কট করেছে, ওদিকে অন্ধকার কবিতাগুচ্ছের জন্য বাংলাদেশেরও দুয়ার বন্ধ - এবং এই দুইই বড় রকমের জাগতিক ক্ষতি। শ্রীজাতকে পছন্দ অপছন্দ যাই করি, এই জিনিসগুলি আমি মাথায় রাখি।

    তো, এদের সবাইকে গুছিয়ে গালমন্দ যারা করছেন, এই 'রাজনৈতিক' প্রতিবাদে বিজেপি আরএসএসকে সঙ্গে নিতে তাদের আপত্তি নেই, এমনই তাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা।

    এই আন্দোলন, স্বর, জমায়েত - এর যা দাবি তার পুরোটাই সরকারের দায়, অভিযোগগুলি সরকারকে লক্ষ্য করেই। কিন্তু এতে যারা যোগ দিচ্ছেন তাদের দলগত আনুগত্য বিভিন্ন। এবার কেউ যদি এই বিরোধীস্বরে দলীয় রাজনীতিকে দেখতে না চান - তাহলে তাকে খিস্তি করে কী মোক্ষলাভ হয় - সেটা একটা প্রশ্ন।
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৪ আগস্ট ২০২৪ ২৩:১৫536394
  • একটা ইন্টারেস্টিং জিনিস চোখে পড়লো। শেম অন বেঙ্গল স্লোগানটা খুবই আপত্তিকর বলে মনে হল - ওয়েস্ট বেঙ্গল বা কলকাতা হলেও নাহলে বোঝা যেত।
    তবে এইসব জিনিস ন্যূন হয়েই থাকে, নিছক পরিচয়গত সংকীর্নতা, তার ওপর এখন সময়ের দাবি।

    কথা সেটা না।

    নীচের ছবিটা আবাপ, টেলিগ্রাফ ইত্যাদিতে বেরিয়েছে।

     
    আর এটা টাইম্স, আজ তক, রিপাবলিক ইত্যাদিতে বেরিয়েছে।

     
    আবাপ টেলিগ্রাফের ছবিটাতে একটা রেডিয়াল ব্লার আছে, সে তো থাকতেই পারে। কিন্তু পোস্টারও এডিট করা।

    তার মানে খবরের কাগজে যেসব ছবি দেখা যায় তাতে মূল কন্টেন্ট বদলে যায় - এমন এডিট করা যেতে পারে?
  • পাপাঙ্গুল | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ০০:১৪536396
  • বুধবার বেহালায় প্রাক্‌-স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন মমতা। সেখান থেকেই আরজি করের ঘটনা এবং তার প্রতিবাদ আন্দোলন প্রসঙ্গে বেশ কিছু কথা বলেছেন তিনি। মমতার কথায়, ‘‘আরজি করের ঘটনা নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি রাজনীতি করছে। বাংলাদেশে একটা ঘটনা ঘটে গিয়েছে। অনেকে ভাবছেন, বাংলাদেশের ঘটনা টেনে এনে এখানেও ক্ষমতা দখল করবেন। কিন্তু মনে রাখবেন, আমি ক্ষমতার মায়া করি না। যত দিন বাঁচব, মানুষকে ন্যায়বিচার এনে দেব। এই ঘটনা জানার পরেও আমি পুলিশকে দিয়ে অনেক কাজ করিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা হাই কোর্টে গেলেন।’’- আবাপ 
  • পাপাঙ্গুল | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ০০:১৬536397
  • r2h, পোর্টালের ছবি হলে এডিটেড হতে পারে। প্রিন্টে ফটোগ্রাফার / এজেন্সির নাম থাকে , ওখানে এডিট করা মুশকিল। 
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ০০:৪০536400
  • টেকনিকেলি তো যা খুশিই হতে পারে, আমার প্রশ্ন হল, সাংবাদিকতার এথিকসের দিক দিয়ে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক, বা মান্য?
    বড় কাগজগুলি মাঝে মাঝে এদিক ওদিক ছবি ছাবা ইত্যাদি কন্টেন্ট ঝেঁপে দেয়, কিন্তু অন্য এজেন্সির হাই প্রোফাইল কেসের ছবি এডিট করে?
  • পাপাঙ্গুল | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ০০:৪৭536401
  • কোনো খবরেরই পোর্টাল মনে হয় না খুব একটা এথিকস মেনে চলে। আমি এই এডিট করা ছবিটা এখানেই প্রথম দেখলাম ,  আপনিও হয়ত এখন অরিজিনে গিয়ে খুঁজলে পাবেন না। যখন তখন কন্টেন্ট নামিয়েও নেওয়া হয়। 
  • r2h | 192.139.20.199 | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ০০:৫৯536403
  • খুবই বিচ্ছিরি ব্যাপার। কোথাও কোন সংগঠন প্রতিষ্ঠান এজেন্সি গোষ্ঠী কাউকেই বিশ্বাস করা ভার।
    আবাপতে ছবিটা যে নিবন্ধে ব্যবহার করা হয়েছে আর ছবি যেভাবে এডিট করা হয়েছে - দুটো একেবারে উল্টো রকম ভাবনা যেন।

    https://www.anandabazar.com/editorial/essays/lawyer-lashes-out-at-the-ruckus-over-kolkata-doctor-rape-and-murder-case-dgtl/cid/1538140
  • t | 2a0b:f4c2:4::96 | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ০৬:৪৯536408
  • আপনারা যতই কনস্পিরেসি থিওরির লেবেল মারুন, এ কিছুতেই প্লেন রেপ অ্যান্ড মার্ডার কেস না। পুলিশ প্রশাসনের কাণ্ড সেটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে। বিশেষ উদ্দেশ্য নিয়েই করা হয়েছে এবং আর জি করের দুষ্টচক্র খুব সরল গোলগাল হাসিমুখ ব্যাপার না।
  • দুধ কা দুধ পানি কা পানি হোক | 2409:40e0:16:83:4cf2:b6ff:feca:25b6 | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ১০:২৫536411
  • প্রকৃত অপরাধীরা শাস্তি পাক । 
    এই এত গুজব, ফেক নিউজ -  পুলিশ এগুলো যে আটকাতে পারলনা, সেটা কিন্তু পুলিশি ব্যর্থতাই, বিনীত গোয়েল সেটা আর বললেন না। 
     
  • dc | 2402:e280:2141:1e8:91dd:e496:5604:83e9 | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ১০:৩৯536412
  • কথা হলো, এরকম ঘটনা বারবার ঘটছে কেন? দিল্লিতে হলো, মুম্বাইতে হলো, দেশের আরও কিছু জায়গায় বেশ কবার এরকম ইনহিউম্যান ঘটনা খবরে এলো। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, আন্দোলন, মিছিল তো অবশ্যই হওয়া উচিত। এছাড়াও সরকারী আর বেসরকারী দুতরফেই অ্যাওয়্যারনেস ক্যাম্পেন লঞ্চ করা উচিত। ইন্ডিয়াতে যেরকম টক্সিক প্যাট্রিয়ার্কি আর ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের কালচার, সেরকম বোধায় অনেক দেশেই নেই। এসবের বিরুদ্ধে সমস্ত লেভেলে আন্দোলন হওয়া উচিত।  
  • PRABIRJIT SARKAR | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ১৩:৪৯536418
  • রুপা পাল যা লিখেছেন সেটাই হয়তো ঘটেছে। খুনের মোটিভ রেপ দেখানো হচ্ছে। খুনের জন্যই খুন। মেয়েদের রাত দখল কর্মসূচির দিন হামলা থেকে তাই মনে হচ্ছে। খুনের আসল  কারণ মেয়েটা পাপ চক্রের প্রতিবাদ করছিল।
  • প্রদীপ | 2405:201:8023:f059:297d:7bf4:8fd0:8a2d | ১৫ আগস্ট ২০২৪ ১৬:১৮536422
  • পুরো আন্দোলনের ন্যারেটিভ টা সুচিন্তিত ভাবে গুলিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাতে আর জি করের ভেতর যে দুষ্কর্মের পাহাড়, মূলতঃ যার প্রতিবাদ করতে গিয়ে এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, সেটার কোনো সমাধান যেন না হয়
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:

RGKar
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন