এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ১৫ আগস্ট! 

    কিংবদন্তি লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৬ আগস্ট ২০২৪ | ৫৭২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • আমার সন্দেহ আগে থেকেই ছিল, ছিল বলেই আমি কয়েকদিন আগেই লিখেছিলাম অনেক কিছুই পরিষ্কার হবে ১৫ আগস্ট। আগাম বললেই তো হবে না, তাই অপেক্ষায় ছিলাম ১৫ আগস্টের জন্য। আন্দোলনের শুরু থেকেই আমাদের অনেকের শঙ্কা ছিল এই সরকারকে না হয় নানা কারণে আমি সরাচ্ছি, কিন্তু এই যে এতদিন ধরে বলে আসছে আওয়ামীলীগ তাদের ছাড়া বিকল্প নাই, এইটা তো খুব একটা ভুল কিছু না। আমি শুধু মাত্র ফুটন্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত আগুনে নামার জন্য এত ত্যাগ, এত মানুষের জীবন বাজি ধরছি?  আমাদেরকে নিশ্চয়তা দেওয়া হল বিকল্প আছে। সময় মতো বিকল্প আসবে। আমাদের শঙ্কা যায় না। আমরা অপেক্ষায় থাকি। আমরা দেখি সরকার পতন হল। ছাত্ররা নাম দিল নতুন স্বাধীনতা বেশ ভালো। এরপরে? ইউনুস সাহেব ক্ষয়তায় বসলেন। ইউনুস সাহেব খারাপ মানুষ এইটা বলার সুযোগ নাই। তাকে নিয়ে নানা সন্দেহ আছে, নানা মতবাদ আছে কিন্তু এইটাও সত্য লোকটা খারাপ না। তো আমরা একটু আশ্বস্ত হলাম। বাকি উপদেষ্টারাও ভালোই, দুই একজন নিয়ে প্রশ্ন তোলা যেতেই পারে। কিন্তু বৃহত্তর স্বার্থে সব মেনে নিতেই হবে আমাদের, এইটাই বলা হল। এবং আবার আমাদেরকে মনে করায় দেওয়া হল কোনমতেই এই সরকার কারও ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হবে না। 

    এই জায়গায় এসেই আমি বলছিলাম অনেক কিছুই ১৫ তারিখ স্পষ্ট হবে। সরকার শোক দিবস বাতিল করল, ছুটি বাতিল করল। এইটাও সমস্যা না। নাই বা থাকল শোক দিবস বা ছুটি। বঙ্গবন্ধু এত বিশাল যে এই সব না হলেও এই লোকের বিন্দুমাত্র মর্যাদার হেরফের হবে না। হুমায়ুন আজাদ বলছেন,  "​​শেখ মুজিব দৈহিকভাবেই মহাকায় ছিলেন, সাধারণ বাঙালির থেকে অনেক উঁচুতে ছিল তার মাথাটি- সহজেই চোখে পড়তো তাঁর উচ্চতা, এবং আমাদের বামন রাজনীতিবিদদের মধ্যেও তিনি ছিলেন মহাকায়।"  আমরা কি এই বাংলাদেশ চেয়েছিলাম বইয়ে হুমায়ুন আজাদ আরও লিখেছেন, "১৯৬৮ থেকে ১৯৭২ পর্যন্ত তিনিই ছিলেন আমাদের রাজনীতির প্রধান পুরুষ, এবং ঐতিহাসিক বিচারেও তাঁর সঙ্গে তুলনীয় আর কোন বাঙালি রাজনীতিবিদ নেই। সোহরাঅর্দি? ফজলুল হক? ভাসানি? তাঁর পাশে অগ্রজরা মাঝারি, অনুজরা তুচ্ছ ও হাস্যকর।" 

    তো এই লোকের জন্য শোক দিবস রাষ্ট্রীয় ভাবে থাকল না না নিষিদ্ধ হল তা আসলে কোন মানে রাখে না। আওয়ামীলীগ স্বভাবসুলভ ভাবেই মুক্তিযুদ্ধ ও তা সংক্রান্ত সকল কিছুকে নিজেদের করে নিয়েছে। ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু বা মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যা হয়েছে তার শোধ তোলার জন্যই হোক বা অন্য যে কারণেই হোক মানুষকে বঙ্গবন্ধু গুলিয়ে খাওয়ানোর চেষ্টা চলেছে। তো এবার না হয় থাকলই না রাষ্ট্রীয় কোন দিবস। না হয় ভেঙ্গেই ফলা হল সমস্ত ভাস্কর্য। মানুষের মনে যদি জায়গা না থাকে তাহলে এমন হাজারও ভাস্কর্য থাকলেই কী আর না থাকলেই কী! আমরা চেয়েছিলাম যারা শোক অনুভব করে, যারা মনি করে বাংলাদেশের ইতিহাসে এইটা অন্যতম নৃশংস ঘটনা তারা যেন এই একটা দিন সুযোগ পায় নিজেদের মনভাব প্রকাশের। কিন্তু আমাদের ভাবনা আর মহামান্যদের ভাবনা তো আর এক না! 

    হুট করেই নানা জায়গা থেকে বলা হতে থাকল আওয়ামীলীগ ১৫ আগস্ট ঘিরে পরিকল্পনা করছে প্রতিবিপ্লব করার! তারাই বলল এবং তারাই এই প্রতিবিপ্লবকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে দিল! বলা হতে থাকল নাকের ডগায় লাশের গন্ধ রেখে ৫০ বছর আগের শোক পালন করার কোন মানে হয় না। বলা হল যেখানে আওয়ামীলীগকে পাওয়া যাবে সেইখানেই প্রতিহত করা হবে। এমন পরিস্থিতিতে গতকাল রোকেয়া প্রাচী যখন ধানমন্ডি ৩২ নাম্বারে গেলেন তখন মোমবাতি দেওয়ার সময়টুকুই পেয়েছিলেন, এরপরেই লাঠিপেটা খেতে হয়েছে তাকে। এবং এরপরে শুরু হল তথাকথিত প্রতিবিপ্লব ফেরানোর আয়োজন। 
    রাতে ৩২ নাম্বারের আশেপাশের সব এলাকা দখল হয়ে গেল ছাত্রদের হাতে। আর্মি পুলিশ ৩২ নাম্বার ঘিরে রইল। শুধু এই জায়গায় না, সারা ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ছাত্ররা অবস্থান নিলো। রাত জেগে প্রতিবিপ্লব ফেরানো হবে। রাতেই ভিডিও দেখলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্য সেন হলের। বিকট শব্দে হিন্দি গান বাজানো হচ্ছে, তাণ্ডব নৃত্য চলছে সবাই মিলে। 

    সকাল হতেই আমি অপেক্ষায় ছিলাম সরকার নিশ্চয়ই একটা ব্যবস্থা করবে সাধারণ মানুষের জন্য। যারা ৩২ নাম্বারে যেতে চায় আজকের দিনে। যারা বনানী কবরস্থানে যেতে চায় বঙ্গবন্ধুর পরিবারের জন্য দোয়া করতে। আমাকে হতাশ করে সরকারের তরফ থেকে একটা শব্দও করা হল না। একটা দুইটা করে ভিডিও দেখতে থাকলাম ছাত্র নামের এই কলঙ্কদের। ৩২ নাম্বারে যারাই যাওয়ার চেষ্টা করেছে তাদেরকে ধরে ধরে পিটুনি দেওয়া হয়েছে। কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কালো ব্যাজ পরা অবস্থায় যাকে পেয়েছে তাদেরকে পিটিয়েছে। সাদা দাঁড়িওয়ালা এক মুরুব্বিকে কান ধরে উঠবস করানো হচ্ছে! এমন অনেকেকেই কান ধরে উঠবস করানো হয়েছে। এখানেই শেষ না, রাস্তায় কাপড় খুলে নগ্ন করে নাচানো হয়েছে! ভদ্রলোক একজন মুক্তিযোদ্ধা! ভদ্রলোক বাড়ি ফিরে এই ট্রমা থেকে বের হতে পারেন নাই, কবে পারবে বা কোনদিন পারবে? আমি এই লজ্জা কই রাখব! আমার এখন কী করা উচিত? ভণ্ড সেজে থাকা? কোন প্রতিবাদ হবে না এর? একজন মুক্তিযোদ্ধাকে লেংটা করে নাচানো হচ্ছে, রাষ্ট্র, পূর্ণ সহমত দিয়ে যাচ্ছে এতে!  

    মোবাইল পরীক্ষা করা হচ্ছে, নিজেদের মতের সাথে না মিললেই মিলছে শাস্তি। সারাদিন ব্যাপী এই অরাজগতা চলছে। কেউ দেখার নাই, কেউ শোনার নাই। দুপুরের একটা ভিডিও দেখলাম ৩২ নাম্বারের সামনেই লাউড স্পিকারে গান বাজিয়ে নাচ হচ্ছে। কেউ একবারও বলল না ৪৯ বছর আগের শোক না হয় এখন পালনের কোন যুক্তি নাই, সদ্য যাদের লাশের উপর দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়া হল তাদের জন্যও কোন শোক নাই? নাকের ডগায় লাশের গন্ধ নিয়ে ৫০ বছর আগের শোক পালন করা যায় না কিন্তু উদ্দাম নৃত্য করা যায়? ওই লাশ গুলো যে স্রেফ লাশ, আর এক বিন্দু বেশি কিছু না তাদের কাছে এইটা হচ্ছে বড় প্রমাণ। তাদের লাশ দরকার ছিল, শোক টোক হুদা কথা। মহান ছাত্ররা, যাদেরকে আমি চাই না প্রতিপক্ষ ভাবতে। তারা জেনে করছে না না জেনে করছে জানি না, কিন্তু তারা এখন পর্যন্ত এই সব কিছুকেই জায়েজ বলে যাচ্ছে। এখন পর্যন্ত একটা ছাত্র সংগঠন থেকে বা একটা তথাকথিত সমন্বয়কের কেউ বলল না বাড়াবাড়ি হচ্ছে, এইটা বন্ধ করা উচিত। বলার কথাও না, কারণ তারাই হুংকার দিয়েছিল এই সবের।

    আমাদের শেরপুরে কী হল আজকে? বিএনপি শহরের দখল নিয়ে নিয়েছে। সারাদিন একটা কাকপক্ষীকেও দেখা যায় নাই বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করতে। তার মধ্যেই খবর পেলাম এক শ্রমিক নেতা, যার কথা আগেও লিখছিলাম, তিনি বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুবার্ষিকী পালন করছে। এই লোক নিজেই একটা জিনিস। শহরের মধ্যে গরম গরম কথা বললেও কেউ তার কাছে গিয়ে এইটা বন্ধ করতে বলে নাই। 
    আমরা কয়েকজন নিজেদের মতো করে কিছু করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু শ্রাবণ শেষ, ভাদ্র মাস চলে আসছে, ভাদ্র মাসে বিশেষ এক প্রাণীর মাথা আউলায় থাকে। তাদের কথা চিন্তা করেই বাদ দিলাম সব। বিকালের আগে ষোল কলা পূর্ণ হল শিবিরের আগমনে। বিশাল মিছিল নিয়ে শিবির আসল। জামাতের শীর্ষ নেতার বাড়ি শেরপুর, এইটা ভুলেই গেছিলাম আমরা। প্রবল ভাবে মনে করায় দেওয়া হচ্ছে এখন। আজকে তাদের উপস্থিতি জানানোর এই সুবর্ণ সুযোগ তারা কেন হারাবে? 

    আওয়ামীলীগকে দোষ দেওয়া হয় তারা বঙ্গবন্ধুকে, মুক্তিযুদ্ধকে নিজের করে রেখেছে। তো? আজকেই তো সুবর্ণ সুযোগ ছিল আওয়ামীলীগের কবল থেকে মুক্তিযুদ্ধকে, বঙ্গবন্ধুকে বের করে নিয়ে আসার। বঙ্গবন্ধু সর্ব সাধারণের, জয় বাংলা সবার স্লোগান ছিল। এখনই তো সুযোগ ছিল এগুলা ছিনিয়ে নেওয়ার। কিন্তু আজব এক দেশ বাংলাদেশ। এমন কাজ করা হল যে বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধ আরও আওয়ামীলীগের কব্জায় ভালো করেই গেল। আওয়ামীলীগ বলবে আমরা না দেখলে মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযোদ্ধারা সবাই শেষ হয়ে যাবে! 
    মহিউদ্দিন মোহাম্মদ বলছেন বঙ্গবন্ধু আর মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে জিলাপির ভিতরে চিনি গুড়ের মতো। আলাদা করার উপায় নাই। তো আপনারা করলেন কী? বঙ্গবন্ধুকে ছুঁড়ে ফেলে দিলেন। আচ্ছা, আজকে ১৫ আগস্ট না হয় ফেলে দিলেন। ডিসেম্বরে বিজয় দিবসেও কেউ শেখ মুজিবের নাম নিবে না? কেউ জানতে চাইবে না বিজয়টা কীভাবে হল? ইতিহাসটা কী? কালকে লিখছিলাম রাম ছাড়া রামায়ণ, হাস্যকর মনে হলেও এইটাই সত্য। অস্তিত্ব থাকবে না অথচ এই দেশেই রাজনীতি করে যাবে, রাষ্ট্র শাসন করবে। 

    আজকের সমস্ত কাজের দায় নিতে হবে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসকে। অবশ্য এগুলা বলার কোন মানে হয় না। ইউনুস সাহেব এরচেয়েও জঘন্য পথে হাঁটছেন। যদি এইটাই সত্য হয় শেষ পর্যন্ত, যদি এত রক্ত এত ত্যাগ সব কিছু হয় বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য, তাহলে মুক্তিযোদ্ধাকে নগ্ন করে নাচানোর অপরাধ কিছুই নাই। বিএনপি তো নামে, জামাত এবার সম্ভবত তাদের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী হয়েই ফিরবে। 
    আওয়ামীলীগ বলে আসছে তাদের কোন বিকল্প নাই। এইটা সত্য মিথ্যা তর্ক সাপেক্ষ। কারও কোন বিকল্প থাকবে না এইটা মেনে নেওয়া কষ্টকর। কিন্তু সারাদেশ জানি না, আমাদের শেরপুরে এত বছর, সেই ১৯৯৬ সাল থেকেই কোন বিকল্প ছিল না। কারণ বিএনপি এখান থেকে মনোনয়ন দিত জামাত নেতা কামরুজ্জামানকে। যে চিহ্নিত রাজাকার! তো কেউ বলেন আমাকে আমার বিকল্প কী ছিল? এই কাজ একবার দুইবার না, প্রতিবারই করে গেছে। শেরপুরবাসি প্রতিবারই এই রাজাকারকে পরাস্ত করেছে। এইটাই সান্ত্বনা ছিল আমাদের। 
    দুইদিন আগেও আমাদেরকে বলা হল, দেশে জামাতের অস্তিত্ব আছে? কোথাও নাই, সব আওয়ামীলীগের বানানো কথা, কিছু হইলেই জামাতের নাম দেয়! এখন সম্ভবত ঘুম ভাঙছে অনেকের, স্বপ্নে যে বাংলাদেশ দেখে থাকে তা যে বাস্তব না এইটা এখন অনেকের কাছেই পরিষ্কার। আমার পরিচিত শেরপুরেই আমি অবাক হয়ে জামাতের আস্ফালন দেখছি, বাকি দেশের কথা কী বলব? 

    এই লেখটা শেষ করার আগে আমার পরিচিত এক সাংবাদিকের মাধ্যমে জানতে পারলাম ৩২ নাম্বারে যে মুক্তিযোদ্ধাকে উলঙ্গ করে নাচানো হয়েছে তাঁর নাম আব্দুল কুদ্দুস মাখন। তিনি বাসায় চিকিৎসাধীন আছেন। উনার ফেসবুকের সন্ধানও পেলাম। দেখলাম তিনি বাংলার অগ্নিকণা মতিয়া চৌধুরীকে ইচ্ছামত ধুয়েছেন। যে বাম রাজনীতি থেকে শেখ হাসিনা মতিয়া চৌধুরীকে নিয়ে এসেছিলেন সেইদিকেও খোঁচা দিয়েছেন। এখন পর্যন্ত মতিয়া চৌধুরী কোন কথা বলেন নাই, হয়ত কোথাও আত্মগোপন করে আছেন, কে জানে! যাই হোক, ভদ্রলোক সুস্থ হোক, এই ট্রমা কবে কাটবে কে জানে। সুস্থ হওন দ্রুত এইটাই চাওয়া। 

     

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৬ আগস্ট ২০২৪ | ৫৭২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • NRO | 165.124.84.35 | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ০৬:৩৩536465
  • Swing of pendulum. Now it swung away but in time it will probably again swing back to your favor. So, keep your heart. Remember, no side ever wins all the time. Sometimes progressive, sometimes retrogressive – that’s how history rolls away. Nothing lasts forever.
     
  • | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ১০:২০536473
  • ঘন অন্ধকার রাত্রি।  ২৫ এর ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ যাব পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। সে আর হবে না মনে হচ্ছে। কিশোরগঞ্জ আর বোধহয় দেখা হল না। 
  • পারমিতা | 2401:4900:1c84:a24:711e:b1ac:3950:58b6 | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ১৫:২৩536482
  • যেদিন শুরু হল বাংলাদেশে যাওয়া আর জবে বলে মনে হয়না।
  • কিংবদন্তি | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ১৫:৫৮536483
  • দুঃখজনক হচ্ছে আমিও যে বলব, না কিচ্ছু হবে না, এইটা বলার কোন উপায় এখন পর্যন্ত আমি পাই নাই। কোন আশার কথা শুনি নাই এই কয়দিনে। 
  • Ranjan Roy | ১৬ আগস্ট ২০২৪ ২০:০৫536486
  • আমার পিসিমা ময়মনসিং থেকে জুলাই মাসে কোলকাতায় মেয়েদের কাছে চলে এসেছেন।
    উনি ছোটবেলা থেকেই ইত্তেফাক পত্রিকায় কবিতা লিখতেন। পরে ঢাকা রেডিও এবং টেলিভিশনে গান গাইতেন।
     মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে আত্মগোপন করেছিলেন। পিসেমশায়ও মুক্তিযোদ্ধা। তবে ওঁরা বিয়ে করেন স্বাধীন বাংলাদেশে। 
     
    ওনার দুই মেয়ে মাঝেমাঝেই গোলপার্কের ইন্সটিটিউট অফ কালচারে পাবলিক প্রোগ্রামে রবীন্দ্র সংগীত গাইছে। 
    সেদিন দেখলাম দীপ   ভাটিয়ালিতে ওদের প্রোগ্রামের ভিডিও পোস্ট করেছেন।
    সে নাহয় হল, কিন্তু আমার আর বেঁচে থাকতে  আমার আর ময়মনসিং শহরে গিয়ে সূর্যসিঁড়ি বাড়ি দেখা হবে না। সেটা বুঝতে পারছি।
  • বিপ্লব রহমান | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ০৭:৪৭536507
  • "আজকেই তো সুবর্ণ সুযোগ ছিল আওয়ামীলীগের কবল থেকে মুক্তিযুদ্ধকে, বঙ্গবন্ধুকে বের করে নিয়ে আসার। বঙ্গবন্ধু সর্ব সাধারণের, জয় বাংলা সবার স্লোগান ছিল। এখনই তো সুযোগ ছিল এগুলা ছিনিয়ে নেওয়ার।"
     
    মাফ করবেন। ভাই সাদিক, কারা এই বিপ্লবী কাজ করবে বলে আশা করেন?
    ছাত্র-জনতার বেহাত আন্দোলনের জেরে প্রক্সি যুদ্ধে জয়ী মার্কিন লবি,  তথা বিএনপি-জামাতের কাছে? এ যে পুরাই দিবাস্বপ্ন,  রীতিমতো ওয়ান্ডার ল্যান্ড!! আটার কলের কাছে আখের রস চেয়ে লাভ কী? 
     
    তাছাড়া "শেখ মুজিব" ও "জয় বাংলা" শ্লোগানকে আওয়ামী লীগ নিজেই অতিব্যবহারদুষ্ট করে দুর্গ বন্দী করে ফেলেছে। খুব শিগগিরই এর মুক্তি নাই। আওয়ামী লীগ = মুক্তিযুদ্ধের চেতনা,  এই হোল সেল মার্কেটিংই ৩২ নম্বরে আগুন এবং যত্রতত্র ব্যাংগের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা শেখ মুজিবের ম্যুলার ও ভাস্কর্য সমূহ গুড়িয়ে দেয়ার নেপথ্য শক্তি হিসেবে কাজ করেছে। বহু বছরের ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচারী নিপীড়ন-নির্যাতনের প্রত্যক্ষ ফল তো বটেই। 
     
    ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সেই তীব্র ব্যাংগাত্মক শ্লোগান শোনেননি, "জয় বাংলা,  ছাত্রলীগ সামলা!" 
     
    দেখুন, গানে গানে সায়নের প্রতিবাদ:
     
  • বিপ্লব রহমান | ১৭ আগস্ট ২০২৪ ০৭:৫৯536508
  • *পুনশ্চঃ ৩২ নম্বরে মুক্তিযোদ্ধাদের মারপিট ও হেনস্থার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। স্বাধীন বাংলাদেশে এটি রীতিমতো স্বাধীনতা হরণ, মুক্তিযোদ্ধার গায়ে হাত তোলা মানে মুক্তিযুদ্ধের ওপর আঘাত।।  
     
    তবে এই বর্বরতা যে হবে, সেটি আগেই আশংকা ছিল,  এখন শুধুই ১৫ বছরের আওয়ামী একশনের পালটা রিএকশন! সুবিধাভোগী ক্ষমতার ক্রিম খেতে মরিয়া অনেকে। 
  • কল্লোল | 223.191.51.177 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৪536532
  • বাকশাল কি করে ভুলি, সিরাজ শিকদার কি করে ভুলি!!! 
  • পলিটিশিয়ান | 2603:8001:b102:14fa:41bf:1f10:fde3:421f | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৫536533
  • বাকশাল ও সিরাজ শিকদারের হত্যা না ভুলেও জামাত বিএনপির বিরোধীতা করা যায়। 
  • r2h | 165.1.172.196 | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১০:১৭536537
    • পলিটিশিয়ান | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৫
    • বাকশাল ও সিরাজ শিকদারের হত্যা না ভুলেও জামাত বিএনপির বিরোধীতা করা যায়। 
     
    একেবারেই তাই।
    ওসব ভুলতে কেউ বলছেও না।
  • | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ১০:২৩536538
    • পলিটিশিয়ান | ১৮ আগস্ট ২০২৪ ০৯:৩৫
    • বাকশাল ও সিরাজ শিকদারের হত্যা না ভুলেও জামাত বিএনপির বিরোধীতা করা যায়। 
     
    একমত। ক'য়ে ক্ক। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন