এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ভ্রমণ  যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে  খাই দাই ঘুরি ফিরি

  • ডেভিড লিভিংস্টোনের খোঁজে-১৫০

    হেনরি মর্টন স্ট্যানলে
    ভ্রমণ | যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১৩ বার পঠিত
  • | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ | ৩২ | ৩৩ | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬ | ৩৭ | ৩৮ | ৩৯ | ৪০ | ৪১ | ৪২ | ৪৩ | ৪৪ | ৪৫ | ৪৬ | ৪৭ | ৪৮ | ৪৯ | ৫০ | ৫১ | ৫২ | ৫৩ | পর্ব ৫৪ | পর্ব ৫৫ | পর্ব ৫৬ | পর্ব ৫৭ | পর্ব ৫৮ | পর্ব ৫৯ | পর্ব ৬০ | পর্ব ৬১ | পর্ব ৬২ | পর্ব ৬৩ | পর্ব ৬৪ | পর্ব ৬৫ | পর্ব ৬৬ | পর্ব ৬৭ | পর্ব ৬৮ | পর্ব ৬৯ | পর্ব ৭০ | পর্ব ৭১ | পর্ব ৭২ | পর্ব ৭৩ | পর্ব ৭৪ | পর্ব ৭৫ | পর্ব ৭৬ | পর্ব ৭৭ | পর্ব ৭৮ | পর্ব ৭৯ | পর্ব ৮০ | পর্ব ৮১ | পর্ব ৮২ | পর্ব ৮৩ | পর্ব ৮৪ | পর্ব ৮৫ | পর্ব ৮৬ | পর্ব ৮৭ | পর্ব ৮৮ | পর্ব ৮৯ | পর্ব ৯০ | পর্ব ৯১ | পর্ব ৯২ | পর্ব ৯৩ | পর্ব ৯৪ | পর্ব ৯৫ | পর্ব ৯৬ | পর্ব ৯৭ | পর্ব ৯৮ | পর্ব ৯৯ | পর্ব ১০০ | পর্ব ১০১ | পর্ব ১০২ | পর্ব ১০৩ | পর্ব ১০৪ | পর্ব ১০৫ | পর্ব ১০৬ | পর্ব ১০৭ | পর্ব ১০৮ | পর্ব ১০৯ | পর্ব ১১০ | পর্ব ১১১ | পর্ব ১১২ | পর্ব ১১৩ | পর্ব ১১৪ | পর্ব ১১৫ | পর্ব ১১৬ | পর্ব ১১৭ | পর্ব ১১৮ | পর্ব ১১৯ | পর্ব ১২০ | পর্ব ১২১ | পর্ব ১২২ | পর্ব ১২৩ | পর্ব ১২৪ | পর্ব ১২৫ | পর্ব ১২৬ | পর্ব ১২৭ | পর্ব ১২৮ | পর্ব ১২৯ | পর্ব ১৩০ | পর্ব ১৩১ | পর্ব ১৩২ | পর্ব ১৩৩ | পর্ব ১৩৪ | পর্ব ১৩৫ | পর্ব ১৩৬ | পর্ব ১৩৭ | পর্ব ১৩৮ | পর্ব ১৩৯ | পর্ব ১৪০ | পর্ব ১৪১ | পর্ব ১৪২ | পর্ব ১৪৩ | পর্ব ১৪৪ | পর্ব ১৪৫ | পর্ব ১৪৬ | পর্ব ১৪৭ | পর্ব ১৪৮ | পর্ব ১৪৯ | পর্ব ১৫০

    ডেভিড লিভিংস্টোন। আফ্রিকায় বেপাত্তা। কিংবদন্তি মানুষটির খোঁজে আফ্রিকা পৌঁছেছেন মার্কিন সাংবাদিক হেনরি মর্টন স্ট্যানলে। জাঞ্জিবার থেকে শুরু হল আফ্রিকার গভীরে অভিযান। প্রথম লক্ষ্য বাগামোয়ো শহরে পৌঁছে পাক্কা দেড় মাস আটকে সেখান থেকে একে একে রওনা হয়েছে অভিযানের মোট পাঁচটি কাফেলা। চলছে অভিযানের মূল কাহিনী। স্ট্যানলের সেই বিখ্যাত সফরনামা ‘হাও আই ফাউন্ড লিভিংস্টোন’। এই প্রথম বাংলায়। চলছে হেনরি মর্টান স্ট্যানলির বাড়ি ফেরার পালার শেষ পর্যায়। তরজমা স্বাতী রায়


    জাঞ্জিবার থেকে ফেরার উপায় খুবই সীমিত। আমার ফিরে আসার পরের সকালেই এইচ এম এস 'ম্যাগপাই' সমুদ্রযাত্রায় রওনা হয়েছিল। আর পরে বুঝলাম যে তাদের সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানোই উদ্দেশ্য ছিল। আরেক যুদ্ধ-জাহাজের মাধ্যমে সেশেলস ও ইংল্যান্ডে চিঠি পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিল। যেমন শুনেছি তাই যদি সত্য হয়, একটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ এমনকি ডাঃ লিভিংস্টোনের জন্যও এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত অপেক্ষা করত না। অতএব আমার দুঃখ পাওয়ার কোন কারণ নেই যে লিভিংস্টোন সম্পর্কে ছোট্ট একটা খবরও পাঠানোর সময় সে আমাকে দেয়নি । কিন্তু একই সঙ্গে আমার এটাও আশ্চর্য মনে হয়েছিল এক যুদ্ধজাহাজের ক্যাপ্টেন যদি শিকারের দলের জন্য তার জাহাজকে বাগামোয়োতে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে আরেক ক্যাপ্টেন লিভিংস্টোনের নিরাপত্তার কথা জানিয়ে একটা চিঠি পাঠানোর জন্য কয়েকটা মিনিটও দেরি করতে পারল না।

    একজন ইংরেজ পাদ্রীর মুখে শুনেছি যে ডক্টর লিভিংস্টোন নিজে জাঞ্জিবারে হাজির হলেও, একটা ব্রিটিশ জাহাজ তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক ঘণ্টা বেশি দাঁড়িয়ে থাকবে না; তবে একটা ব্রিটিশ যুদ্ধ জাহাজের প্রথামাফিক শৃঙ্খলাবোধ যে এমন ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেও একটুও শিথিল করা হবে না এটা আমার বোধের অতীত।

    আমার নিজের অভিযানের দলকে ভেঙে দেওয়ার পর, ডাঃ লিভিংস্টোনের অনুরোধ অনুযায়ী আমি আরেকটা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ইংরেজ অভিযানে যা কিছু ছিল না, সেগুলো আমি মিঃ অসওয়াল্ড লিভিংস্টোনের দেওয়া অগ্রিম অর্থ থেকে কিনেছিলাম। ইংরেজ অভিযানের ভাণ্ডার থেকে পঞ্চাশটি বন্দুকও নেওয়া হল। সেই সঙ্গে ছিল গোলাবারুদ, উপঢৌকনের বাবদে কাপড়। গোগোদের নজরানা দেওয়ার জন্যও, আবার অভিযানের দলের রসদ যোগানোর জন্যও। মিঃ লিভিংস্টোন তাঁর বাবার স্বার্থে কঠোর পরিশ্রম করেছেন ও তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী আমাকে সাহায্য করেছেন। তিনি আমাকে ১৮৭২, ১৮৭৩ আর ১৮৭৪ সালের সামুদ্রিক পঞ্জিকা সরবরাহ করলেন; এছাড়া ডাঃ কার্কের কাছে থাকা একটি ক্রোনোমিটারও এনে দিলেন। এটা আগে ডাঃ লিভিংস্টোনের ছিল। এছাড়া এর পাশাপাশি খাতা, খাম, নোট-বই, লেখার কাগজ, ওষুধ, টিনবন্দী ফল ও মাছ, অল্প মদ, কিছু চা, ছুরি-কাঁটা-চামচ ও খাবার পরিবেশনের পাত্রাদি , সংবাদপত্র, ব্যক্তিগত চিঠিপত্র ও পুলিন্দাসকল টিনের মুখ-আঁটা বাক্সে হাওয়া-রোধক ভাবে পোরা হল। সেইসঙ্গে 100 পাউন্ড ভালো আমেরিকান ময়দা, ও সোডা বিস্কুটের কিছু বাক্সও দেওয়া হল।

    ১৯ মে পর্যন্ত জানা ছিল যে মিঃ অসওয়াল্ড লিভিংস্টোন তার বাবার জন্য পাঠানো কাফেলার দায়িত্ব নেবেন; কিন্তু এই সময় নাগাদ এ সম্পর্কে তিনি মন বদল করলেন, একটি হাতচিঠি দিয়ে আমাকে জানালেন যে তিনি উন্যান্যেম্বে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণগুলো তাঁর বিবেচনায় সঠিক ও যথেষ্ট। আমি তো অবাক! আগ বাড়িয়ে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলাম যে তিনি যেহেতু জাঞ্জিবার অবধি চলেই এসেছেন কাজেই যাওয়াটা তাঁর কর্তব্য; কিন্তু অচিরেই স্পষ্ট হল যে তিনি যেটা সবচেয়ে ভালো বুঝেছেন সেভাবেই কাজ করেছেন। আর ডক্টর কার্ক তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করতে ও নিজের পড়াশোনা নষ্ট না করতে। বিশেষত কাফেলাটিতে তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানের ততটা দরকার নেই। এই পরামর্শের বিষয়টি বিবেচনা করে আমি মনে করি তাঁর পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তই বেশ সঠিক কাজ । ডাঃ কার্ক ছিলেন তার পিতার বন্ধু, জাম্বেজিতে তাঁর পিতার প্রাক্তন সহচর; এবং তরুণ মিঃ লিভিংস্টোনের তার পরামর্শের উপর প্রচুর বিশ্বাস ও আস্থা ছিল, এমনকি নিজের বোধবুদ্ধির চেয়েও ডাঃ কার্কের কথার উপর তাঁর বেশি ভরসা ছিল । কাজেই এটাই স্বাভাবিক যে তিনি তাঁর পিতৃবন্ধুর পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

    এমতাবস্থায়, আমার দায়িত্ব ছিল ডাঃ লিভিংস্টোনের নির্দেশন অনুসারে, উন্যানয়েম্বে অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন ভালো এবং দক্ষ আরব নেতা জোগাড় করা ; আর এই ভেবেই আমি ডক্টর কার্কের কাছে একটা চিঠি লিখেছিলাম, সুলতানের উপর তাঁর প্রভাব খাটানোর অনুরোধ জানিয়ে। আমি ডাঃ কার্কের কাছ থেকে যে উত্তর পেলাম তা এইরকম:
    "ব্রিটিশ এজেন্সি, জাঞ্জিবার, ২০ মে, ১৮৭২।

    "প্রিয় মহাশয়,
    "ডাঃ লিভিংস্টোনের লেখা চিঠিটি সৈয়দ বুরগাশকে অনেক আগেই প্রেরণ করা হয়েছে ও তাকে বিশদে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কিন্তু আমি তখন বলেছিলাম যে আপনি চিঠিতে লেখা দায়িত্বশীল নেতার জন্য তাঁকে আর বিরক্ত করার কথা ভাবছেন না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, মি. ডব্লিউ. ও. লিভিংস্টোন পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করার চিন্তা ত্যাগ করায়, আমি সুলতানের বাবদে আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুবই খুশি হব। আর আপনি চাইলে, অবিলম্বে লোক পাঠাব আর তাঁকে জানাব যে আপনার জন্য অবশ্যই উপযুক্ত লোক বেছে দিতে। তারপর আপনি অবশ্য ভাল করে বাজিয়ে দেখে নেবেন, যেমন ভাল মনে করেন সেই মত সেই লোককে গ্রহণ- প্রত্যাখ্যান করবেন।
    একান্তই আপনার,
    (স্বাক্ষরিত)
    জন কার্ক।"

    সুলতানের কাছে ডাঃ কার্কের পাঠানো আবেদন ব্যর্থ হয়েছিল, সেরকমই তিনি পরে আমাকে জানান; একথা জানার পর, আমি অন্য দিক দিয়ে একজন নেতা খুঁজতে শুরু করলাম, এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যে শেখ হাশিদের কাছ থেকে একজনের সম্বন্ধে বড় মাপের সুপারিশ পেলাম। তাঁকেই আমি 100 ডলার অগ্রিম দিয়ে কাজে লাগালাম। এই আরব যুবকটি খুব উল্লেখযোগ্যরকমের বুদ্ধিমান ছিল না। তবে মনে হয়েছিল, সে সৎ , কাজটা করতেও পারবে। তবে ডাঃ লিভিংস্টোনের কাছে উন্যানয়েম্বে পৌঁছানোর পরে, তিনিই ঠিক করবেন যে সে যথেষ্ট বিশ্বাসের যোগ্য কিনা আর তার পরের কাজ পাওয়াও সে বিষয়ের উপরই নির্ভর করবে।

    ২৫ তারিখে লেফটেন্যান্ট. ডসন রওনা দিলেন। ক্যাপ্টেন রাসেলের দায়িত্বে নিউইয়র্কগামী আমেরিকান জাহাজ, মেরি এ. ওয়েতে চেপে সেই দিন জলে ভাসলেন। আমি তাঁর হাতে নিউইয়র্কে আমার এক বন্ধুর পরিচয়পত্র দিয়েছিলাম। পরম সৌহার্দ্যের সঙ্গে ও পারস্পরিক ভাল ধারণা নিয়ে আমরা আলাদা হলাম। আমার তাঁকে অত্যন্ত সাহসী ভদ্রলোক বলেই মনে হয়েছিল। ২৬ তারিখ সকালে, ডাঃ কার্ক আমেরিকান কনস্যুলেটে তাঁর বন্ধু মিঃ ওয়েবের সঙ্গে দেখা করতে ডেকেছিলেন এবং সেই সময়ে আমি তাকে বলার সুযোগ পেলাম, "ডক্টর, আমি ভয় হচ্ছে যে আমি মিঃ লিভিংস্টোনের উদ্দেশ্যে যে অভিযান পাঠানোর কথা ভেবেছি, সেটা যত তাড়াতাড়ি পাঠাতে চেয়েছিলাম তেমনটা সম্ভব হবে না। যে স্টিমারে মিঃহেন, মিঃ লিভিংস্টোন আর আমি টিকিট কেটেছি, সেটা যদি আমি অভিযান রওনা করিয়ে দেওয়ার আগেই যাত্রা শুরু করে, তাহলে আপনাকেই এটির দায়িত্ব নিতে বলব।"

    জবাবে ডাঃ কার্ক বললেন, "আপনি বললে আমাকে সে অনুরোধ ফিরিয়ে দিতে হবে। আমি আর নিজেকে অযথা অপমানের মুখে ফেলতে চাই না। আমি ব্যক্তিগত ক্ষমতায় ডাঃ লিভিংস্টোনের জন্য আর কিছু করতে পারব না।সরকারীভাবে যে কোন ব্রিটিশ প্রজার জন্য যা করার সেটুকুই করব। "
    "অকারণ অপমান, কী বলেছেন আপনি, ডাঃ কার্ক?" আমি জিজ্ঞাসা করলাম-
    "হ্যাঁ।"
    "কি ব্যাপার, জিজ্ঞাসা করতে পারি?"
    "তিনি তাঁর কাছে কাফেলা না পৌঁছানোর জন্য আমাকে দোষারোপ করেছেন । কাফেলার ভার ক্রীতদাসদের হাতে ছাড়ার জন্য আমাকে দায়ী করেছেন। যদি লোকেরা তার কাছে না পৌঁছায়, তবে আমি কি করতে পারি?"
    "মাপ করবেন, ডাঃ কার্ক, কিন্তু আপনি যদি ডাঃ লিভিংস্টোনের জায়গায় থাকতেন তবে আপনি নিজেই সেই অভিযোগ করতেন। আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধুকেও যদি একের পর এক কাফেলার সর্দাররা জানিয়ে যেত যে, তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে রাজদূত নির্দেশ দিয়েছেন আর কোন অবস্থাতেই তাঁর সঙ্গে কোথাও না যেতেও বলে দিয়েছেন, তাহলে তিনিও সম্পর্কের শীতলতার কথাই ভাবতেন।"
    "কিন্তু তিনি তো চুক্তিপত্রে দেখতেই পেতেন যে তাঁর পছন্দমত দিকে তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্যই তাদের কাজে লাগানো হয়েছিল। তিনি যদি নিগ্রো ও দোআঁশলা দের কথায় বেশি বিশ্বাস করতে পছন্দ করেন, আর আমার কথা ও আমার অফিসিয়াল যোগাযোগে সন্দেহ করেন, তবে তিনি একজন বোকা; আমার এটুকুই কেবল বলার।"
    “কিন্তু মশাই, ডঃ লিভিংস্টোন কিভাবে চুক্তির বিষয়ে সন্দেহ করবেন? সবাই যে তার কাছে শপথ নিয়ে বলেছে যে আপনি তাদের আদেশ করেছেন, তাঁকে ফিরিয়ে আনতে! তাদের হাজার অনুরোধ করেও কাজ হয়নি , আর গোটা ব্যাপারটাই শেষ হচ্ছিল তাঁকে তাঁর আবিষ্কারের বাসনা পরিত্যাগ করে জোর করে ফিরে যেতে বাধ্য করার চেষ্টা দিয়ে। পুরো ব্যাপারটার মধ্যে একটাকিছু গণ্ডগোল আছে, এই বিশ্বাস করা ছাড়া তাঁর আর কি করার ছিল ? দেশের গভীরে পথ চলতে চলতে সবজায়গায় তিনি একই গল্প বারবার শুনেছেন, আপনি তাঁকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। "
    "তেমন ভাবলে আমি আর কি করতে পারি? যাই হোক, তিনি আমাকে যেমন চিঠি পাঠিয়েছেন আমিও তাঁকে তার একটি যথাযথ প্রত্যুত্তর লিখেছি।"
    "হুম," আমি বললাম, "অর্থাৎ জাঞ্জিবারে কাফেলা রেখে আমার ফিরে যাওয়া চলবে না। যে করেই হোক আমাকেই তাদের রওনা করিয়ে দিতে হবে।"

    পরের দিন আমি সব লোকদের একত্রে ডাকলাম । তাদের শহরে ঘোরাঘুরি করতে দেওয়া বিপজ্জনক বলে, আমি তাদের একটা উঠোনে আটকে রাখলাম আর সেখানেই তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হল, যতক্ষণ না প্রতিটি লোক, সংখ্যায় মোট ৭৭ জন, তাদের নিজের নিজের নামে সাড়া দিতে শেখে।

    জাঞ্জিবার থেকে ফেরার উপায় খুবই সীমিত। আমার ফিরে আসার পরের সকালেই এইচ এম এস 'ম্যাগপাই' সমুদ্রযাত্রায় রওনা হয়েছিল। আর পরে বুঝলাম যে তাদের সমুদ্রে ঘুরে বেড়ানোই উদ্দেশ্য ছিল। আরেক যুদ্ধ-জাহাজের মাধ্যমে সেশেলস ও ইংল্যান্ডে চিঠি পত্র পাঠিয়ে দিয়েছিল। যেমন শুনেছি তাই যদি সত্য হয়, একটি ইংরেজ যুদ্ধজাহাজ এমনকি ডাঃ লিভিংস্টোনের জন্যও এক ঘণ্টাও অতিরিক্ত অপেক্ষা করত না। অতএব আমার দুঃখ পাওয়ার কোন কারণ নেই যে লিভিংস্টোন সম্পর্কে ছোট্ট একটা খবরও পাঠানোর সময় সে আমাকে দেয়নি । কিন্তু একই সঙ্গে আমার এটাও আশ্চর্য মনে হয়েছিল এক যুদ্ধজাহাজের ক্যাপ্টেন যদি শিকারের দলের জন্য তার জাহাজকে বাগামোয়োতে নিয়ে যেতে পারে, তাহলে আরেক ক্যাপ্টেন লিভিংস্টোনের নিরাপত্তার কথা জানিয়ে একটা চিঠি পাঠানোর জন্য কয়েকটা মিনিটও দেরি করতে পারল না।

    একজন ইংরেজ পাদ্রীর মুখে শুনেছি যে ডক্টর লিভিংস্টোন নিজে জাঞ্জিবারে হাজির হলেও, একটা ব্রিটিশ জাহাজ তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এক ঘণ্টা বেশি দাঁড়িয়ে থাকবে না; তবে একটা ব্রিটিশ যুদ্ধ জাহাজের প্রথামাফিক শৃঙ্খলাবোধ যে এমন ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেও একটুও শিথিল করা হবে না এটা আমার বোধের অতীত।

    আমার নিজের অভিযানের দলকে ভেঙে দেওয়ার পর, ডাঃ লিভিংস্টোনের অনুরোধ অনুযায়ী আমি আরেকটা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ইংরেজ অভিযানে যা কিছু ছিল না, সেগুলো আমি মিঃ অসওয়াল্ড লিভিংস্টোনের দেওয়া অগ্রিম অর্থ থেকে কিনেছিলাম। ইংরেজ অভিযানের ভাণ্ডার থেকে পঞ্চাশটি বন্দুকও নেওয়া হল। সেই সঙ্গে ছিল গোলাবারুদ, উপঢৌকনের বাবদে কাপড়। গোগোদের নজরানা দেওয়ার জন্যও, আবার অভিযানের দলের রসদ যোগানোর জন্যও। মিঃ লিভিংস্টোন তাঁর বাবার স্বার্থে কঠোর পরিশ্রম করেছেন ও তাঁর সামর্থ্য অনুযায়ী আমাকে সাহায্য করেছেন। তিনি আমাকে ১৮৭২, ১৮৭৩ আর ১৮৭৪ সালের সামুদ্রিক পঞ্জিকা সরবরাহ করলেন; এছাড়া ডাঃ কার্কের কাছে থাকা একটি ক্রোনোমিটারও এনে দিলেন। এটা আগে ডাঃ লিভিংস্টোনের ছিল। এছাড়া এর পাশাপাশি খাতা, খাম, নোট-বই, লেখার কাগজ, ওষুধ, টিনবন্দী ফল ও মাছ, অল্প মদ, কিছু চা, ছুরি-কাঁটা-চামচ ও খাবার পরিবেশনের পাত্রাদি , সংবাদপত্র, ব্যক্তিগত চিঠিপত্র ও পুলিন্দাসকল টিনের মুখ-আঁটা বাক্সে হাওয়া-রোধক ভাবে পোরা হল। সেইসঙ্গে 100 পাউন্ড ভালো আমেরিকান ময়দা, ও সোডা বিস্কুটের কিছু বাক্সও দেওয়া হল।

    ১৯ মে পর্যন্ত জানা ছিল যে মিঃ অসওয়াল্ড লিভিংস্টোন তার বাবার জন্য পাঠানো কাফেলার দায়িত্ব নেবেন; কিন্তু এই সময় নাগাদ এ সম্পর্কে তিনি মন বদল করলেন, একটি হাতচিঠি দিয়ে আমাকে জানালেন যে তিনি উন্যান্যেম্বে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, আর সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণগুলো তাঁর বিবেচনায় সঠিক ও যথেষ্ট। আমি তো অবাক! আগ বাড়িয়ে তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলাম যে তিনি যেহেতু জাঞ্জিবার অবধি চলেই এসেছেন কাজেই যাওয়াটা তাঁর কর্তব্য; কিন্তু অচিরেই স্পষ্ট হল যে তিনি যেটা সবচেয়ে ভালো বুঝেছেন সেভাবেই কাজ করেছেন। আর ডক্টর কার্ক তাঁকে পরামর্শ দিয়েছিলেন যে নিজের স্বাস্থ্যের ক্ষতি না করতে ও নিজের পড়াশোনা নষ্ট না করতে। বিশেষত কাফেলাটিতে তাঁর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানের ততটা দরকার নেই। এই পরামর্শের বিষয়টি বিবেচনা করে আমি মনে করি তাঁর পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তই বেশ সঠিক কাজ । ডাঃ কার্ক ছিলেন তার পিতার বন্ধু, জাম্বেজিতে তাঁর পিতার প্রাক্তন সহচর; এবং তরুণ মিঃ লিভিংস্টোনের তার পরামর্শের উপর প্রচুর বিশ্বাস ও আস্থা ছিল, এমনকি নিজের বোধবুদ্ধির চেয়েও ডাঃ কার্কের কথার উপর তাঁর বেশি ভরসা ছিল । কাজেই এটাই স্বাভাবিক যে তিনি তাঁর পিতৃবন্ধুর পরামর্শ গ্রহণ করবেন।

    এমতাবস্থায়, আমার দায়িত্ব ছিল ডাঃ লিভিংস্টোনের নির্দেশন অনুসারে, উন্যানয়েম্বে অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য একজন ভালো এবং দক্ষ আরব নেতা জোগাড় করা ; আর এই ভেবেই আমি ডক্টর কার্কের কাছে একটা চিঠি লিখেছিলাম, সুলতানের উপর তাঁর প্রভাব খাটানোর অনুরোধ জানিয়ে। আমি ডাঃ কার্কের কাছ থেকে যে উত্তর পেলাম তা এইরকম:
    "ব্রিটিশ এজেন্সি, জাঞ্জিবার, ২০ মে, ১৮৭২।
    "প্রিয় মহাশয়,
    "ডাঃ লিভিংস্টোনের লেখা চিঠিটি সৈয়দ বুরগাশকে অনেক আগেই প্রেরণ করা হয়েছে ও তাকে বিশদে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কিন্তু আমি তখন বলেছিলাম যে আপনি চিঠিতে লেখা দায়িত্বশীল নেতার জন্য তাঁকে আর বিরক্ত করার কথা ভাবছেন না। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে, মি. ডব্লিউ. ও. লিভিংস্টোন পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করার চিন্তা ত্যাগ করায়, আমি সুলতানের বাবদে আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুবই খুশি হব। আর আপনি চাইলে, অবিলম্বে লোক পাঠাব আর তাঁকে জানাব যে আপনার জন্য অবশ্যই উপযুক্ত লোক বেছে দিতে। তারপর আপনি অবশ্য ভাল করে বাজিয়ে দেখে নেবেন, যেমন ভাল মনে করেন সেই মত সেই লোককে গ্রহণ- প্রত্যাখ্যান করবেন। ।
    একান্তই আপনার,
    (স্বাক্ষরিত)
    জন কার্ক।"

    সুলতানের কাছে ডাঃ কার্কের পাঠানো আবেদন ব্যর্থ হয়েছিল, সেরকমই তিনি পরে আমাকে জানান; একথা জানার পর, আমি অন্য দিক দিয়ে একজন নেতা খুঁজতে শুরু করলাম, এবং কয়েক ঘন্টার মধ্যে শেখ হাশিদের কাছ থেকে একজনের সম্বন্ধে বড় মাপের সুপারিশ পেলাম। তাঁকেই আমি 100 ডলার অগ্রিম দিয়ে কাজে লাগালাম। এই আরব যুবকটি খুব উল্লেখযোগ্যরকমের বুদ্ধিমান ছিল না। তবে মনে হয়েছিল, সে সৎ , কাজটা করতেও পারবে। তবে ডাঃ লিভিংস্টোনের কাছে উন্যানয়েম্বে পৌঁছানোর পরে, তিনিই ঠিক করবেন যে সে যথেষ্ট বিশ্বাসের যোগ্য কিনা আর তার পরের কাজ পাওয়াও সে বিষয়ের উপরই নির্ভর করবে।

    ২৫ তারিখে লেফটেন্যান্ট. ডসন রওনা দিলেন। ক্যাপ্টেন রাসেলের দায়িত্বে নিউইয়র্কগামী আমেরিকান জাহাজ, মেরি এ. ওয়েতে চেপে সেই দিন জলে ভাসলেন। আমি তাঁর হাতে নিউইয়র্কে আমার এক বন্ধুর পরিচয়পত্র দিয়েছিলাম। পরম সৌহার্দ্যের সঙ্গে ও পারস্পরিক ভাল ধারণা নিয়ে আমরা আলাদা হলাম। আমার তাঁকে অত্যন্ত সাহসী ভদ্রলোক বলেই মনে হয়েছিল। ২৬ তারিখ সকালে, ডাঃ কার্ক আমেরিকান কনস্যুলেটে তাঁর বন্ধু মিঃ ওয়েবের সঙ্গে দেখা করতে ডেকেছিলেন এবং সেই সময়ে আমি তাকে বলার সুযোগ পেলাম, "ডক্টর, আমি ভয় হচ্ছে যে আমি মিঃ লিভিংস্টোনের উদ্দেশ্যে যে অভিযান পাঠানোর কথা ভেবেছি, সেটা যত তাড়াতাড়ি পাঠাতে চেয়েছিলাম তেমনটা সম্ভব হবে না। যে স্টিমারে মিঃহেন, মিঃ লিভিংস্টোন আর আমি টিকিট কেটেছি, সেটা যদি আমি অভিযান রওনা করিয়ে দেওয়ার আগেই যাত্রা শুরু করে, তাহলে আপনাকেই এটির দায়িত্ব নিতে বলব।"
    জবাবে ডাঃ কার্ক বললেন, "আপনি বললে আমাকে সে অনুরোধ ফিরিয়ে দিতে হবে। আমি আর নিজেকে অযথা অপমানের মুখে ফেলতে চাই না। আমি ব্যক্তিগত ক্ষমতায় ডাঃ লিভিংস্টোনের জন্য আর কিছু করতে পারব না।সরকারীভাবে যে কোন ব্রিটিশ প্রজার জন্য যা করার সেটুকুই করব। "
    "অকারণ অপমান, কী বলেছেন আপনি, ডাঃ কার্ক?" আমি জিজ্ঞাসা করলাম.
    "হ্যাঁ।"
    "কি ব্যাপার, জিজ্ঞাসা করতে পারি?"
    "তিনি তাঁর কাছে কাফেলা না পৌঁছানোর জন্য আমাকে দোষারোপ করেছেন । কাফেলার ভার ক্রীতদাসদের হাতে ছাড়ার জন্য আমাকে দায়ী করেছেন। যদি লোকেরা তার কাছে না পৌঁছায়, তবে আমি কি করতে পারি?"
    "মাপ করবেন, ডাঃ কার্ক, কিন্তু আপনি যদি ডাঃ লিভিংস্টোনের জায়গায় থাকতেন তবে আপনি নিজেই সেই অভিযোগ করতেন। আপনার শ্রেষ্ঠ বন্ধুকেও যদি একের পর এক কাফেলার সর্দাররা জানিয়ে যেত যে, তাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে রাজদূত নির্দেশ দিয়েছেন আর কোন অবস্থাতেই তাঁর সঙ্গে কোথাও না যেতেও বলে দিয়েছেন, তাহলে তিনিও সম্পর্কের শীতলতার কথাই ভাবতেন।"
    "কিন্তু তিনি তো চুক্তিপত্রে দেখতেই পেতেন যে তাঁর পছন্দমত দিকে তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্যই তাদের কাজে লাগানো হয়েছিল। তিনি যদি নিগ্রো ও দোআঁশলা দের কথায় বেশি বিশ্বাস করতে পছন্দ করেন, আর আমার কথা ও আমার অফিসিয়াল যোগাযোগে সন্দেহ করেন, তবে তিনি একজন বোকা; আমার এটুকুই কেবল বলার।"
    “কিন্তু মশাই, ডঃ লিভিংস্টোন কিভাবে চুক্তির বিষয়ে সন্দেহ করবেন? সবাই যে তার কাছে শপথ নিয়ে বলেছে যে আপনি তাদের আদেশ করেছেন, তাঁকে ফিরিয়ে আনতে! তাদের হাজার অনুরোধ করেও কাজ হয়নি , আর গোটা ব্যাপারটাই শেষ হচ্ছিল তাঁকে তাঁর আবিষ্কারের বাসনা পরিত্যাগ করে জোর করে ফিরে যেতে বাধ্য করার চেষ্টা দিয়ে। পুরো ব্যাপারটার মধ্যে একটাকিছু গণ্ডগোল আছে, এই বিশ্বাস করা ছাড়া তাঁর আর কি করার ছিল ? দেশের গভীরে পথ চলতে চলতে সবজায়গায় তিনি একই গল্প বারবার শুনেছেন, আপনি তাঁকে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়ে একটি চিঠিও পাঠিয়েছেন। "
    "তেমন ভাবলে আমি আর কি করতে পারি? যাই হোক, তিনি আমাকে যেমন চিঠি পাঠিয়েছেন আমিও তাঁকে তার একটি যথাযথ প্রত্যুত্তর লিখেছি।"
    "হুম," আমি বললাম, "অর্থাৎ জাঞ্জিবারে কাফেলা রেখে আমার ফিরে যাওয়া চলবে না। যে করেই হোক আমাকেই তাদের রওনা করিয়ে দিতে হবে।"

    পরের দিন আমি সব লোকদের একত্রে ডাকলাম । তাদের শহরে ঘোরাঘুরি করতে দেওয়া বিপজ্জনক বলে, আমি তাদের একটা উঠোনে আটকে রাখলাম আর সেখানেই তাদের খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা হল, যতক্ষণ না প্রতিটি লোক, সংখ্যায় মোট ৭৭ জন, তাদের নিজের নিজের নামে সাড়া দিতে শেখে।



    ক্রমশ…


    উৎসাহী পাঠক হয়ত জানতে চাইবেন, কোন অপমানের কথা ডাঃ কার্ক বলছেন। এটা ডঃ লিভিংস্টোনের উজিজি থেকে ৩০ শে অক্টোবর ডঃ কার্ককে লেখা চিঠির কথা বলছে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    | | | | | | | | | ১০ | ১১ | ১২ | ১৩ | ১৪ | ১৫ | ১৬ | ১৭ | ১৮ | ১৯ | ২০ | ২১ | ২২ | ২৩ | ২৪ | ২৫ | ২৬ | ২৭ | ২৮ | ২৯ | ৩০ | ৩১ | ৩২ | ৩৩ | ৩৪ | ৩৫ | ৩৬ | ৩৭ | ৩৮ | ৩৯ | ৪০ | ৪১ | ৪২ | ৪৩ | ৪৪ | ৪৫ | ৪৬ | ৪৭ | ৪৮ | ৪৯ | ৫০ | ৫১ | ৫২ | ৫৩ | পর্ব ৫৪ | পর্ব ৫৫ | পর্ব ৫৬ | পর্ব ৫৭ | পর্ব ৫৮ | পর্ব ৫৯ | পর্ব ৬০ | পর্ব ৬১ | পর্ব ৬২ | পর্ব ৬৩ | পর্ব ৬৪ | পর্ব ৬৫ | পর্ব ৬৬ | পর্ব ৬৭ | পর্ব ৬৮ | পর্ব ৬৯ | পর্ব ৭০ | পর্ব ৭১ | পর্ব ৭২ | পর্ব ৭৩ | পর্ব ৭৪ | পর্ব ৭৫ | পর্ব ৭৬ | পর্ব ৭৭ | পর্ব ৭৮ | পর্ব ৭৯ | পর্ব ৮০ | পর্ব ৮১ | পর্ব ৮২ | পর্ব ৮৩ | পর্ব ৮৪ | পর্ব ৮৫ | পর্ব ৮৬ | পর্ব ৮৭ | পর্ব ৮৮ | পর্ব ৮৯ | পর্ব ৯০ | পর্ব ৯১ | পর্ব ৯২ | পর্ব ৯৩ | পর্ব ৯৪ | পর্ব ৯৫ | পর্ব ৯৬ | পর্ব ৯৭ | পর্ব ৯৮ | পর্ব ৯৯ | পর্ব ১০০ | পর্ব ১০১ | পর্ব ১০২ | পর্ব ১০৩ | পর্ব ১০৪ | পর্ব ১০৫ | পর্ব ১০৬ | পর্ব ১০৭ | পর্ব ১০৮ | পর্ব ১০৯ | পর্ব ১১০ | পর্ব ১১১ | পর্ব ১১২ | পর্ব ১১৩ | পর্ব ১১৪ | পর্ব ১১৫ | পর্ব ১১৬ | পর্ব ১১৭ | পর্ব ১১৮ | পর্ব ১১৯ | পর্ব ১২০ | পর্ব ১২১ | পর্ব ১২২ | পর্ব ১২৩ | পর্ব ১২৪ | পর্ব ১২৫ | পর্ব ১২৬ | পর্ব ১২৭ | পর্ব ১২৮ | পর্ব ১২৯ | পর্ব ১৩০ | পর্ব ১৩১ | পর্ব ১৩২ | পর্ব ১৩৩ | পর্ব ১৩৪ | পর্ব ১৩৫ | পর্ব ১৩৬ | পর্ব ১৩৭ | পর্ব ১৩৮ | পর্ব ১৩৯ | পর্ব ১৪০ | পর্ব ১৪১ | পর্ব ১৪২ | পর্ব ১৪৩ | পর্ব ১৪৪ | পর্ব ১৪৫ | পর্ব ১৪৬ | পর্ব ১৪৭ | পর্ব ১৪৮ | পর্ব ১৪৯ | পর্ব ১৫০
  • ভ্রমণ | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ | ১১৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভালবেসে প্রতিক্রিয়া দিন