এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চিকিত্‌সার হাল্‌হকিকত কলকাতায়

    I
    অন্যান্য | ০৯ জুলাই ২০০৮ | ৭৪২৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 59.93.196.222 | ১৫ জুলাই ২০০৮ ২১:৩৭399522
  • শান্তনুদা,
    আস্তে আস্তে আসছি। সময়ের অভাব, বাড়ি ফিরে ক্লান্ত লাগে etc...

  • I | 59.93.196.222 | ১৫ জুলাই ২০০৮ ২১:৪১399523
  • west bank নিয়ে একটা খারাপ খবর আছে। ভালো চলছে না। বিক্রি হয়ে গেছে বা যাবে। মালিক সম্ভবত: শ্রবণ টোডি, AMRI-এর অন্যতম মালিক।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১১:০৮399524
  • রুবি হাসপাতাল ওই ISO কত যেন একটা বলেছিলো। মানে ফর্মাল প্রসেস হয়তো আছে।

    জিন্দগীতে সম্ভবত: এই একটা জিনিসে শ্যামলের সাথে মিললো।
  • S | 202.140.54.29 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১৪:৩২399525
  • ম যেমন দু একখানি এক্সাম্পল দিয়েই বলে দিলেন ছেলের জন্য ভারতীয় ডাক্তার সেই প্রথম আর এখনও পর্যন্ত শেষ, ভারতে, অন্তত পক্ষে দিল্লিতে, একই রকম অনেকেই ভাবেন, কিন্তু কিছুই করার নেই বলে সেই ভারতীয় ডাক্তারদের কাছেই ফিরে যান। নামকরা হাসপাতালের ওপিডিতে বসে প্রতিষ্ঠিত ডাক্তারের দল এমন কনফিডেন্টলি ভুলভাল চিকিৎসা করে যান, সামনে বসেও কিছু বলার থাকে না। অত্যধিক গ্যাসের জন্য কষ্ট পাওয়া পেশেন্টকে "লিখে' দ্যান, প্রচুর পরিমাণে দুধ খেতে। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন উপসর্গে কনসাল্ট করা এক ডাক্তার সদাসর্বদা প্রেসক্রিপশনে যোগ করে দেন কিছু অপ্রয়োজনীয় অ্যান্টাসিড। আমার একবার অ্যাক্সিডেন্ট হয়ে হাতের নখ উড়ে গেছিল। হাতে ব্যন্ডেজ করে টেট ভ্যাক নেবার পরে উনি আমাকে অ্যান্টাসিড খাবার পরামর্শ দিয়েছিলেন।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১৬:২৩399526
  • ডাক্তার, তাড়া নাই কোনো, সময় সুযোগ হলে লিখ। দুদিন আগেই একজন প্রশংসা করলেন West Bank এর আর বিক্রী হয়ে গেল!!
  • Suvajit | 203.51.58.112 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ১৮:৪৪399527
  • ওয়েস্ট ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা কেমন বলতে পারব না। আমি শেষ গেছি ২০০৬-এর গোড়ার দিকে। তখন বেশ ভালো ই ছিলো। আসলে আমার এক কাকু ওখানকার এম ডি ছিলেন। বস্তুত হাসপাতালটাকে উনি জমি কেনা থেকে শুরু করে নিজের হাতে গড়েছিলেন। এবং অবশ্যই অনাবাসী ভারতীয় ডাক্তারদের সাহায্যে সব রকম মানুষের চিকিৎসার উপযোগী করে তুলতে সার্থক হয়েছিলেন। নানা কারনে উনি ২০০৫এর মাঝামাঝি ওয়েস্টব্যাঙ্ক ছেড়ে দেন। অনেক ডাক্তারও ওনার সঙ্গে বেরিয়ে আসেন। তবে এখনও আমার পরিচিত কিছু ভালো ডাক্তার ওখানে বসেন।
    বর্তমানে আমার এই কাকু, কোনা এক্সপ্রেসওয়ের ওপর আর একটা হাসপাতাল তৈরি করছেন, কাজ যা শুনেছি প্রায় শেষের পথে।
    প্রসঙ্গত আমার এই কাকু এবং পরিচিত ডাক্তারেরা সকলেই বামপন্থী, বলা যায় কট্টর বামপন্থী। ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে উত্তম চিকিৎসার ব্যবস্থা করা যে শুধু ফিগার ওব স্পিচ নয়, হাতে কলমে করে ওনারা দেখিয়েছেন। এবং এ বিষয়ে ওনারা প:ব: সরকারের প্রভূত সমর্থন পেয়েছেন।
  • I | 59.93.197.108 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ২২:১৪399528
  • শমীক, তোমার নখ উপড়ে যাওয়ার জন্য যদি তোমায় ব্যথার ওষুধ (NSAID) দেওয়া হয়, তাহলে ডাক্তার তার সাথে অ্যান্টাসিড দিতেই পারেন।বরং না দিলেই ভুল ডাক্তারি হয়েছে বলতে হবে।
    কোনো ওষুধ অপ্রয়োজনীয় কিনা তুমি কি করে বোঝ? আর, তোমায় কে বলেছে দুধ খেলে সব্বার গ্যাস হবে?

    শান্তনুদা যে প্রশ্নটা করেছে, how to get the best out of this system, তার একটা লম্বা লিস্টি হতে পারে, আমি সবগুলো উত্তর জানিওনা, কিন্তু একটা উত্তর এক্ষুনি চোখ বুজে দিয়ে দিতে পারি- নিজেরাই ডাক্তারি না করে। এইটা মনে রেখে যে সবচেয়ে খারাপ ডাক্তারও আমাদের থেকে ভালো ডাক্তার। সে হয়তো দুপাতা পড়েছে কি পড়েনি, কিন্তু আমরা যে দুলাইনও পড়িনি সেটা মনে রেখে।

    আর সব পেশায় পেশাদার হতে গেলে শিক্ষা ও তালিম লাগে, কেবল এই একটি পেশাতেই লাগে না , তাই না? শুধু হাঞ্চের জোরে আমরা প্রত্যেকে এক-একজন স্পেসালিস্ট ।
  • d | 59.161.48.26 | ১৬ জুলাই ২০০৮ ২২:৫৩399529
  • :)) না না কবি হতে গেলেও তালিম লাগে না। সব্বাই বোঝে। আর না বুঝলেই চেঁচায়। ইয়ে, আমি না, এইটা গাঙুলীমশাই বলেছিলেন।
  • nyara | 67.88.241.3 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ০০:৫১399530
  • বাঙালীর ছেলে (ও মেয়ে) পেট থেকে পড়েই তিনটে জিনিস জেনে যায় -শিখতে হয় না, দেখতে হয় না, সাগরেদি করতে হয় না, চর্চা করতে হয় না, নো নাথিং : ছবি তোলা, নাটক করা আর ডাগদারি করা (আগে ছিল হোমিওপ্যাথি, আজকাল অ্যালোপ্যাথি)।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ১০:০০399533
  • d এর দেওয়া প্রথম লিংক টা চিন্তায় ফেলার মতো। আর তাই ডাক্তারের কাছে নতুন দাবী (কোন তাড়া নেই, প্রশ্ন গুলো করে রাখছি, সময়, সুযোগ, ইচ্ছে মতো লিখো) -

    Speciality Hospital একটা স্পেসিফিক রোগ হলে, সেখানে ভর্তি হলেই শান্তি। স্পেসালিস্ট থাকবে, যন্ত্রপাতি থাকবে আর ঠিকঠাক নার্সিং। কলকাতায় হার্ট সংক্রান্ত কিছু হলে আছে বাইপাসে দেবি শেঠি, চোখের এদিক ওদিক অনেকগুলো আছে জানি।

    কিন্তু জেনারেল সার্জারি, ক্যানসার, কিডনি, লাংসের সমস্যা ইত্যাদির জন্য কোনো এরকম হসপিটাল আছে? সাধারনত: এই সব কেসে আমরা একজন চেনাশোনা বা নামকরা ডাক্তারের কাছে যাই, তারপর সে কোথাও রেফার করে। সেই এদিক ওদিক ধাক্কা খাওয়া।

    আবার লিখতে লিখতে মনে হলো, এরকম Speciality Hospital commercially viable হবে কি?
  • dri | 75.3.201.164 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ১০:০৮399534
  • ডাক্তারবাবুর বকুনির ইডিয়মটা দেখলেন আপনারা? ঠিক একজন অ্যারোগ্যান্ট ডাক্তারের মত। 'ডাক্তারের ওপর ডাক্তারি করেন কেন?'
  • arjo | 24.214.28.245 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ১২:২৩399535
  • এই অনেক জায়গায় ধাক্কা খাওয়ার প্রবলেম টা একটা জেনুইন প্রবলেম। আমি সাধারণ লোক হিসেবে কেমন করে বুঝব কি হয়েছে? সিমটম অনেক সময়েই বেশ ডিসেপটিভ। খুবই অসুবিধাজনক। এই সমস্যাটা মনে হয় মেট্রো সিটিগুলোর মধ্যে কলকাতায় সবথেকে বেশি।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ১২:৪৪399536
  • আসছে আসছে, ডাক্তারবাবু আসছে সব সমস্যার সমাধান নিয়ে।

    ইন্দো বোধহয় এ পাড়ার একমাত্র ডাক্তার - সত্যি আ বেহেল মুঝে মার কেস।
  • santanu | 82.112.6.2 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ১৫:২১399537
  • বিবেকানন্দ সেতুর কাছে আন্দুল রোডে গত সোমবার সরকার WestBank কে ৩.৫ একর জমি লীজে দিয়েছে ৩০০ বেডের হসপিটাল করার জন্য। এতে ১৫ টা বেড সরকারের রিসার্ভ থাকবে।
  • kd | 117.194.224.110 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ১৮:২৯399538
  • আমার এখানে দুটো অভিজ্ঞতা।

    ১) গত বছর ফেব্রুয়ারীতে পিয়ারলেসে একরাত ছিলুম - শুভানন রায় অ্যাঞ্জিওগ্রাম করলো। আমি জেনারাল বেডে ছিলুম, মানে একটা ঘরে ছজন। দিনে অন্তত: ছ-সাতবার রংচঙে সিল্কের শাড়ী পরা মেয়েরা এসে কোন অসুবিধে হচ্ছে কিনা, এসি চালিয়ে দেবে কিনা জিজ্ঞেস করে গ্যালো, বেল বাজাবার মিনিটখানেকের মধ্যেই নার্স হাজির, রাত্তিরে খাবারে মাছ দিয়েছিলো, খাইনা শুনে সঙ্গে সঙ্গে মাংস দিয়ে গ্যালো। এক কথায় fantastic, একশোয় দুশো।

    ২) গত সেপ্টেম্বরে আমার এক ভাগ্নীর বাচ্ছা হোলো। এদের অবস্থা ভালো না, বরের দর্জির দোকান, ভাগ্নী পিকু,টিকু কিসব করে। ঠাকুরপুকুরের বার্মা কলোনীতে থাকে, আমি ঐ কলোনীর ইউনিভার্সাল মামা (ঠাকুরপুকুর থেকে তারাতলা বা কবরডাঙা অটো প্রায়ই ফিরি হয়)। স্বদেশ বোস হাসপাতালে যে ডাক্তার বসেন, তাকেই দেখিয়েছে - উনি বলেছেন খুব সুন্দর প্রগ্রেস, ন্যাচারাল ডেলিভারী হবে। যাই হোক, লেবার পেন উঠতে হাসপাতালে গেলো - ডাকতার বল্লো সিজারিআন করবে - তাই হোলো। আমি খবর পেতে ভবানীপুর থেকে রওনা হবো, ড্রাইভারের জন্যে অপেক্ষা করছি, খবর এলো বাচ্চাটার কি respiratory problem আছে, ওকে শিশুমঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছে amblance করে (জীবনে ভাবিনি, যে হাসপাতালে ডেলিভারি হয়, সেখানে newbornএর চিকিৎসার কোন ব্যবস্থা নেই)। ওটা আমার বাড়ীর কাছেই, ওখানেই চলে গেলুম। অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছতে ভেতরে গিয়ে শুনি বেড খালি নেই, অন্য কোথাও যান - কোথায় যাবো জিজ্ঞেস করতে বলে, আমরা কি জানি, যেখানে ভালো বুঝবেন সেখানে যান। আমি তখন in a state of shock, একটা এক ঘন্টা বয়সের বাচ্চা নাকে অক্সিজেন দিয়ে! একজন সিকিউরিটি গার্ড বললেন, আপনি ICH নিয়ে যান, পার্ক সার্কাসে, ওখানে জায়্‌গা পাবেনই। সেখানে গেলুম, বাচ্চাকে নিয়ে ওর পিসি দৌড়লো। আমি পৌঁছতে জানলুম, বেড আছে, ভর্তি করে নেবে। দুটি ইয়ং ডাক্তার দেখছিলো, তাদের জিগালুম, কেমন আছে বাচ্ছা? ওঁরা বললেন, এখন তো ভালোই তবে আমাদের ভেন্টিলেটর নেই, দরকার হলে আপনাদের ইমিডিয়েটলি অন্য জায়্‌গায় নিয়ে যেতে হবে (নতুন শিক্ষা হলো, একটা শিশু হাসপাতালে ভেন্টিলেটার না থাকতে পারে)। আমি ঐ ডাক্তারদুটিকে জিজ্ঞেস করলুম, আমায় বলুন, কোন হাসপাতালে ventilator, thermometer, এসব আছে, আমি একে সেখানেই নিয়ে যাবো। ওরা অনেক নাম বললো, আমি বিশেষ চিনিনা, হটাৎ শুনলুম ক্যালকাটা হসপিটাল - চেনা নাম, ওখানে দৌড়লুম। জায়গা পাওয়া গেল, একজন ডাক্তার দেখে বললেন, বাচ্ছাকে তো healthy'ই মনে হচ্ছে, দেখি কিছুদিন observationএ রেখে। চারদিন বাদে সুস্থ বাচ্ছাকে মায়ের কোলে দিয়ে শান্তি - ঐ চারদিন বাচ্চার কোন অসুস্থতা হয়নি।

    দিন দশেক বাদে আমি নিয়ে গেছি ওদের ডাক্তারের চেম্বারে। ডাক্তার সব শুনে বল্লো, সেকি? আমি তো বলে দিয়েছিলুম কোঠারিতে নিয়ে যেতে। আপনি যখন আছেন, financial অসুবিধে তো নেই। আমি চেম্বার থেকে বেরিয়ে জিজ্ঞেস করলুম ডাক্তার কী জানলো আমি খরচা দেবো? ও বল্লো তোমার জামাই বলেছে ওনার চেম্বারের ঠিকানা আনতে গিয়ে (আমি ওদের বলেছিলুম বাচ্চা হওয়ার পর যেন চেম্বারে দেখায়)। আর আমার খরচা করার ব্যাপারটা ওরা দুজন আর ভাগ্নীর মা ছাড়া কেউ জানতো না।

    আমার পাপী মন, তাই ভাবি, আমি খরচা দিচ্ছি জেনেই কি সিজারিয়ান, কোঠারী! পয়সাদার মামা মেয়েটির জীবনে একটি অভিশাপ হতে পারতো। ভাবতেই ভয় লাগে।
  • d | 121.245.153.95 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ১৯:৪১399539
  • না না গুরুতে আসলে ৪ জন ডাক্তার। ইন্ডো ছাড়াও ডক্টর রঞ্জন বলে একজন আছেন। আর জয় আর কৌশিক। তা জয়ের মেয়ে আর কৌশিকের বিয়ে হওয়ার পর থেকে দুজনেই নিরুদ্দেশ। তবে এরকম টই -- ইন্ডো ইসপিশাল।

    যারা তত পুরানো নয় আর তেমন খোঁজাখুঁজিও করে না (যেমন আর্য্য :) ) তাদের জন্যে এই লিঙ্কটা দিলাম।
    http://tinyurl.com/6zye74

  • dd | 122.167.43.113 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ২১:০৪399540
  • বলি ?
    মানে চিকিচ্ছে আম্মো বেশ ভালো জানি। বেশ ভালো।

    আমি ডাগদার নই কিন্তু খানদানী হাইপোকন্ড্রিয়াক। ঐ গাইনকলজিকাল অসুখ গুনো বাদ দিলে বাকী সব কিছুই আমার আছে। না, মিছে কইলাম, এখন পর্যন্ত্য ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিসীসটা হয়নি।

    আর মেডিক্যাল টেস্ট? সব হয়ে গ্যাছে - ঐ এক পোস্ট মর্টেম বাদ দিলে ।

    তাজ্জন্নে আপনেদের অসুক বিসুক হলে আমারেও জিগাইতে পারেন। শুদু শুদু ইন্দোদারে প্যাচাল কইরেন না।
  • d | 121.245.153.95 | ১৭ জুলাই ২০০৮ ২১:১৮399541
  • আপনে যে কি কন দাদা! আরে মেডিক্যাল টেস্টের অভাব কি! কোম্পানিগুলোই তো প্রত্যেক বছর ধরেবেঁধে সব টেস্ট করিয়ে নেয়। অবশ্যি ইন্ডোর মত ছেলেমানুষদের বোধহয় করায় না।
  • Bratin | 198.45.18.38 | ১৮ জুলাই ২০০৮ ০১:৫৩399543
  • আমার এক টা experience বলি। আমার পায়ে এক টা ব্যথা আছে । বেশি হাঁটাহাঁটি কর লে বা বেশি সময় ধরে এক কোথাও বসে থাক লে problem টা হয়। ভাব লাম এবারে এদেশ এ আসার আগে দেখিয়ে নি । বাবা র বন্ধু (খুব নাম করা dr) রেফার কর লেন surakha র এক dr কে। ওনার অসম্ভব ভালো ব্যব হার । প্রথ্‌ম প্রশ্ন কোন company তে চাক রি করেন । বল লাম । TCS । তার পরে নিজে ই বল লেন আপ নাদের compay তো সব দিয়ে দেবে । এইই বলে অমকে এক গাদা test কর তে আর digital x ray কর তে দিলেন। সব মিলি য়ে ১২,০০০ টাকা । পরে আমার এক +২ বন্ধু র সঙ্গে কথা বল লাম।।সে বল লো ২ তো dgital x -ray আর ২/৩ তে blood test কর লেই চল ত ।
  • S | 202.140.54.29 | ১৮ জুলাই ২০০৮ ১৫:২৪399544
  • ইন্দোদাদা,

    ১। টেট-ভ্যাক, সাথে অ্যান্টাসিড। কোনও ব্যাথার ওষুধ ছিল কিনা মনে পড়ছে না, তবে নখ উপড়ে গেছিল যখন, কোনও একটা পেইন কিলার ছিল অবশ্যই। আমার প্রশ্ন, পেইন কিলার খেলে অ্যান্টাসিড খাওয়া কি মাস্ট? আমার অ্যাসিডিটির কোনও প্রবলেম নেই, কখনও হয় নি, তা হলেও কি আমাকে খেতে হবে?

    আসলে ঐ ডাক্তারবাবুর কাছে গেলে, যে কোনও সিম্পটম হলেই, যে কোনও, উনি প্যানপিওর নামে একটি অ্যান্টাসিড প্রেসক্রাইব করে দেন। (PANPURE)। যেমন আমাদের হস্টেলের ডাক্তার সর্দি হলেও ব্রুফেন দিতেন।

    ২। দুধ খেলেই গ্যাস হচ্ছিল, পরীক্ষিত সত্য। দুধ খাওয়া মাত্র পেশেন্টের বুকের খাঁচা, পেট জুড়ে গ্যাস ফর্ম হচ্ছিল, সাথে গ্যাসের চাপের তীব্র ব্যথা। তা জানানোর পরেও, এবং বিলিরুবিন কাউন্ট হাই ধরা পড়ার পরেও ডাক্তার বললেন, দুধ দই বিন্দাস খেতে। এটা কি ঠিক করেছিলেন ডাক্তার?

    ৩। ব্রতীন, আমার দাঁতের অপারেশনের সময় পুরো অপারেশনের পঁচিশ হাজারের প্যাকেজ অ্যামাউন্টটা লেখার আগে এক মুহুর্তের জন্য কলম থামিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আমার কম্পানি থেকে মেডিক্লেইম আছে কিনা, কত টাকার কভারেজ আছে।

    ৪। গত এক বছর ধরে আমি কাশছি। মূলত দিল্লির পল্যুশন, আমার যা মনে হয়। প্রথমে গুরুত্ব দিই নি, ভেবেছিলাম এমনি কাশি, সেরে যাবে দু দিনেই। থামল না। গার্গল করলাম, স্টিম নিলাম, কাজ দিল না। কাফ সিরাপ কিনে খেলাম, লাভ হল না। কথা বলতে গেলেই তীব্র কাশি, বুকের কাছে ভয়ঙ্কর ঘড়ঘড়ানি, হাঁটতে গেলে স্টেপের সাথে সাথে কাশি। ডাক্তার দেখালাম, উনি সেই কাফ সিরাপ দিলেন, গার্গল করার ওষুধ দিলেন, আরও দু একটা ওষুধ দিলেন ইনফেকশন হটাবার জন্য। যতদিন ওষুধ চলল, মোটামুটি কাশি ক®¾ট্রালে রইল। ডেনমার্ক যেতে হল। সেখানে ডাক্তার প্রথমেই পেনিসিলিন আর কী একটা ওষুধ দিলেন। খেলাম। ছ দিনের কোর্স। কাশি তো কমে গেল, তৃতীয় দিন থেকে রোজ ঘুম থেকে ওঠার সময়ে বুকে তীব্র ব্যথা, পুরো মনে হচ্ছিল কেউ যেন ছুরি ঢুকিয়ে দিচ্ছে হার্টের মধ্যে। দেড় মিনিটের তীব্র যন্ত্রণা, চোখে অন্ধকার, তারপর সারাদিনের জন্য সব ঠিকঠাক। ভয় পেয়ে পাঁচ দিনের মাথায় ওষুধ থামালাম। ডাক্তারের কাছে গেলাম। রক্ত পরীক্ষা করলেন। কিছু পেলেন না। বুকের এক্স রে নেওয়া হল, লাঙসে কফ জমে আছে, সেখানে ইনফেকশন, জানা গেল। পেনিসিলিনের থেকেও কড়া ডোজের ওষুধ দিলেন, দশ দিনের কোর্স। বললেন, দশ দিনে আমি ঠিক হয়ে যাব।

    অসম্ভব কড়া ওষুধ, খাওয়া মাত্র মুখ তেঁতো, পেটভর্তি খিদে, চোখ লাল, কিন্তু কাশি উধাও। দ্বিতীয় দিনের মাথায়, আমি এক বছর বাদে গলা ছেড়ে গান গাইতে পারলাম। চতুর্থ দিনে আমি ফিরে এলাম দিল্লি। দশ দিনের কোর্স শেষ হল। একদম ঠিকঠাক। কিন্তু ওষুধের এফেক্ট কেটে যাবার জন্যই হোক বা দিল্লির পল্যুশনের জন্যই হোক, এখন আমি আবার ব্যাক টু স্কোয়্যার ওয়ান। সারা দিন কাশছি, শুকনো কাশি। বুকের কাছে শ্বাস প্রশ্বাস নিলেই ঘড় ঘড় শব্দ, খালি কানে শোনা যাচ্ছে। শোবার সময়ে নিজের ঘড়ঘড়ানিতে নিজের ঘুম ভেঙে যাচ্ছে। বুঝতে পারছি ফুসফুস ভর্তি কফ, কিন্তু বের করতে পারছি না কিছুতেই।

    এখন আমি ডাক্তারের কাছে যেতেই ভয় পাচ্ছি। আগের পয়সাগুলো তো ফেরৎ পাব না, আবার খরচা করে পাঁচদিনের জন্য ভালো থাকার চেয়ে কেশে কেশে বেঁচে থাকাও অনেক বেশি শান্তি মনে হচ্ছে আমার। গান তো দূরের কথা, এখন আমি একটার বেশি দুটো সেনটেন্স বলতে গেলেই কেশে খুন হয়ে যাই। কার কাছে বিশ্বাস করে যাবো?
  • I | 59.93.160.17 | ১৮ জুলাই ২০০৮ ২১:৪৭399545
  • শমীক,
    ১।পেইন কিলার খেলে অ্যান্টাসিড খাওয়া মাস্ট, for safety's sake। তোমার অ্যাসিডিটি না হলেও। NSAID (সাধারণ ব্যথার ওষুধ, প্যারাসিটামল বাদে) stomach-এর lining-er damage করতে পারে, তার ফলে stomach-duodenum থেকে bleeding , কালো পায়খানা,রক্তবমি। হতে পারে। common side-effectprecaution নেওয়া জরুরী।
    ২। ডাক্তার ঠিক করেন নি।
  • I | 59.93.160.17 | ১৮ জুলাই ২০০৮ ২১:৫১399546
  • শমীককে, আবার,
    তুমি কি স্মোক করো? তাহলে দেরী না করে স্মোকিং বন্ধ করো। অবশ্য প্যাসিভ স্মোকিং কি করে বন্ধ করবে জানিনা। এর বেশী জ্ঞান এত দূর থেকে দিতে পারলাম না।
  • d | 59.161.36.226 | ১৮ জুলাই ২০০৮ ২১:৫৬399547
  • না: শমীক স্মোক করে না।

    শমীক, ডাক্তার ইত্যাদি যা করার তো করবেই। তার সাথে একটা কাজ কিন্তু করতেই পার। বাইক নিয়ে যাওয়া বন্ধ করো। পলিউশানে এক্সপোজার বেশী হয়। গাড়ী নিয়ে আপিস যাও, কাঁচ বন্ধ করে যেও।
  • I | 59.93.160.17 | ১৮ জুলাই ২০০৮ ২১:৫৭399548
  • দ্রি,
    আমি আমার অ্যারোগ্যান্ট রোগীদের কাছে যেসব বকুনি খাই, তার কিছুটা শোধ এখানে তুললাম।
    তাছাড়া আমার মনেই ছিল না, আমি গুরুতে পহা নিয়ে পরিষেবা বিক্কিরি কচ্ছি,তাই ভুল করে অ্যারোগ্যান্স দেখিয়ে ফেলেছি;-)))
  • S | 122.162.83.250 | ১৮ জুলাই ২০০৮ ২৩:১৫399549
  • হুঁ, সেটা একটা সল্যুশন বটে, কিন্তু ফিজিব্‌ল সল্যুশন নয়। বাইকে গেলে আপিস যেতে লাগে দেড় ঘন্টা থেকে দু ঘন্টা, গাড়ি নিয়ে গেলে আড়াই থেকে তিন ঘন্টা লাগবে। চাকরি থাকবে না।

    আরেকটা ফিজিব্‌ল সল্যুশন হচ্ছে নিজের বাড়ি ছেড়ে গুরগাঁওয়ের দিকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকা। দেখি, কী হয়।

    আরেকট সল্যুশন আছে, গুরগাঁওয়ের কম্পানি ছেড়ে নয়ডাতে চাকরি খোঁজা। দেখি, কী হয়।

    যাক, পার্সোনাল গল্প ছাড়ো :-) থ্রেড চলুক, ডাক্তারদের গুষ্টির তুষ্টি হোক :-D
  • Dr Du | 67.111.229.98 | ২১ জুলাই ২০০৮ ২২:৫৮399550
  • শমীক , ভালো করে খাওয়াদাওয়া কর। আর, পণ করে নাও, কিছুতেই কাশবে না। সাতদিন।
  • santanu | 82.112.6.2 | ২২ জুলাই ২০০৮ ১৭:৫২399551
  • আজ এক মালয়েশিআন কোম্পানি সল্টলেকে নতুন হসপিটাল খুলল। টই টাকেও ওপরে তোলা হলো।
  • c | 131.95.121.107 | ২৩ জুলাই ২০০৮ ২১:০০399552
  • আরো শুনতে চাই।
  • kallol | 122.167.93.199 | ২৩ জুলাই ২০০৮ ২১:২০399554
  • অ্যাই শমীক - তোর কি হয়ছে ? কাশছিস কেন ? কোনো ভালো ডাক্তার দেখা। শোন, আমার ঘর যেখানে ছিলো ময়ূরবিহারে, মনে অছে তো? সেখান থেকে towards north গেলে ড: তারার চেম্বার। মানুষটা ভালো, ডাক্তার হিসাবে ঠিক আছে। ওকে দেখা।
    না গেলে আর কোনোদিন কথা বলবো না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে মতামত দিন