এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চিকিত্‌সার হাল্‌হকিকত কলকাতায়

    I
    অন্যান্য | ০৯ জুলাই ২০০৮ | ৭৪২৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • pi | 128.231.22.249 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৩:২১399419
  • যাদের এসব নেই, তাদেরও পাওয়াটা রাইটের মধেয় পড়ে। তাই প্রশ্নগুলো ওঠে।

    যাদের এসব নেই, তারা পভার্টি লাইনের নিচে চলে যায়। একটা অসুখ বিসুখ হলে।
    আর সেই সংখ্যাটা বিশাল।

    এপাতার শেষে কিছু সংখ্যা ছিলো

    http://www.guruchandali.com/guruchandali.Controller?font=unicode&portletId=3&pid=jcr://content/kutkachali/1238937682433
  • Lama | 117.194.240.6 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৩:২৭399420
  • অবশ্যই রাইটের মধ্যে পড়ে।

    যারা একটাও স্টারফিশকে বাঁচানোর চেষ্টা করে তাদের সেলাম!

    ভালো কথা, এইমাত্র ওই ছেলেটির বাবার সঙ্গে কথা হল। বাড়িতে আছে। ভাল আছে। লিকুইড খাবার খাচ্ছে
  • pi | 128.231.22.249 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৩:৪৯399421
  • তবে যদি মনে হয়, এই সমস্যাগুলোর কোনোরকম কোন সমাধানই সম্ভব নয়, তাহলে তো আলোচনার মানেই হয়না। দেশ 'বালের জায়গা'। আর কিছু হবার নেই। পিরিয়ড।

    আর যদি সমাধান বলতে এটাই হয় যে সবাইকে ছেলেকে ইন্টার্ন্যাশানাল স্কুলে পড়ানোর মত ডলার কামাতে হবে, তালে আমি প্রশ্ন তুলবৈ সেই সবাই মানে সবাই তো ? শুধু ডাক্তার না, সবাই তো ? আর সেটা কীকরে সম্ভব সেই প্রশ্নও তুলবো। প্রশ্ন তুল্লে শুনবো, উত্তর নেই। তাইলে কী হইলো ? আপনার দেওয়া সমাধানও আসলেতে বালের সমাধান। :) সেক্ষেত্রেও বা আলোচনার কী মানে ?

    নাকি এসবের একমাত্র উদ্দেশ্য, কেউ কিছু করা যাবে মনে করলে কি করতে গেলে সেটা নিয়ে গালাগাল দিয়ে যাওয়া ?

    আর একটা কথা। এই কেসে আমি তেমন কিছুই করিনি। তাই বারবার আমার নাম না তুল্লেই ভাল।
  • pi | 128.231.22.249 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৩:৫৫399422
  • বিনায়ক সেন, শ্রমজীবী হাসপাতাল, জনস্বাস্থ্য আন্দোলন ইত্যাদি ইত্যাদি ....এঁদের কাজকর্ম কিন্তু একেকজন ডাক্তারদের মহানুভবতা , সহৃদয়তার উপর দাঁড়িয়ে নেই। এগুলো যাতে 'চান্স ফ্যাক্টর' হয়েই না থাকে, সেই জন্যই কেই সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, কেউ বিকল্প সিস্টেম তৈরি করছেন। 'বালের জায়গা' বলে এঁরাও কেন হাত গুটিয়ে বসে থাকলেন না কেন, ভাবি।
  • Lama | 117.194.240.6 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৪:০৫399423
  • এই ব্যাপারে কিছু কিছু কর্পোরেটের ভূমিকা প্রশংসনীয়। যেমন আমাদের দোকানে সব এমপ্লয়ীদের উৎসাহ দেয় প্রতি মাসে মাইনের একটা অংশ একটা সমাজসেবামূলক ফান্ডে জমা করতে। টাকাটা কারো কারো সত্যিকারের কাজে লাগে, আমার মত শৌখিন সমাজসেবীও "কিছু একটা তো করছি' ভেবে আত্মপ্রসাদ পায়। তাছাড়া যারা corporate social responsibility initiativeএ নাম লেখায়, তাদের সমাজসেবামূলক কাজের ঘন্টাপিছু টার্গেট দেওয়া থাকে। অনেকেই বস্তিবাসী বাচ্চাদের পড়ানো, বা গ্রামের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্বেচ্ছাসেবা, এই সবের মাধ্যমে contribute করে।
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৪:১৩399424
  • ওষুধের দাম নিয়ে কিছু জ্ঞান অর্জন করলাম, ভাগ করে নিতে চাই।
    আমার এক কাছের মানুষ এই মুহুর্তে পিজিতে ভেন্টিলেশনে আছে। তার প্রচুর দামী ওষুধ লাগছে। সেই নিয়ে খোঁজ করতে গিয়ে জানলাম, যে ওষুধ (এ ক্ষেত্রে ইঞ্জেকশন) বাজারে অ্যাম্পিউল প্রতি ২০০০ টাকা, সেটাই হোলসেলারেরা বিক্কিরি করে ৮০০ টাকায়।

  • kallol | 119.226.79.139 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৪:১৮399425
  • কর্পোরেটদের এতো মহান ভাবার কিছু নেই। ISO পেতে গেলে CSR একটা ক্রাইটেরিয়াঁ।

  • Lama | 117.194.240.6 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৪:২০399426
  • কল্লোলদা, কোনো মহঙ্কÄ থেকে করছে না জানি, কিন্তু কারো কারো কাজে লাগছে, উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন। আর আমরা যারা কোনোদিনই কারো জন্য কিছু করি না, তারাও বাধ্যতামূলকভাবে যৎসামান্য করছি এটাই বা কম কি?
  • kallol | 119.226.79.139 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৪:২৫399427
  • সে তো একশোবার।
  • Lama | 117.194.240.6 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৪:২৬399429
  • অবশ্য আমি একটু ভুল বলেছি, প্রশংসাটা কর্পোরেটের প্রাপ্য নয়, মুষ্টিমেয় কয়েকজনের প্রাপ্য যারা এটাকে সত্যিই একটা সামাজিক দায়িত্ব হিসেবে নিচ্ছে, কোম্পানীর সার্টিফিকেশন টিঁকিয়ে রাখার উপায় হিসেবে নয়।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৯:০৫399430
  • ওষুধ নিয়ে বোধহয় এখানেই কোথাও বলেছিলাম। ক্রিটিকাল কেয়ার ম্যানেজমেন্টের জন্য যেসব ওষুধ পত্তর - যেমন ক্যান্সার, সিভিয়ার নিউমোনিয়ার ওষুধ - এগুলো যেকোন নামকরা দোকান থেকে কিনলে যদি দাম হয় ২০০০ টাকা একটি বোতল তাহলে সেই ওষুধ হোলসেলারের কাছ থেকে কিনলে ১২০০-১৩০০ টাকা পড়ে। যদি দিনের পর দিন, দিনে তিনটি করে এমন ওষুধ লাগে তাহলে লোকে ১২০০-১৩০০ খুঁজবে। এবারে তার প্রসেস হল অনেকটা এরকম আপনি কোন একটি মোবাইলে ফোন করলে সে একটি নাম্বার দিয়ে বলবে অমুক জায়গায় ফোন করুন। সেখানে ফোন করলে সে খুব চাপা গলায় বলবে দাঁড়ান একটু বাদে ফোন করছি। এর পরে খানিক বাদে ফোন করে বলবে 'ঠিক দশটার সময় বুকে লাল গোলাপ গুঁজে শিয়ালদা স্টেশনের এক নং প্লাটফর্মের এϾট্রর কাছে দাঁড়িয়ে থাকুন, আমার লোক পৌঁছে যাবে'। তারপরে একটা ওষুধ পাবেন। ওষুধটি ফ্রিজ করা দরকার ১৫ মিনিটের মধ্যে তাতে কয়েকটি হাফ গলে যাওয়া আইসপ্যাক দেওয়া থাকবে, নিতে হলে নিন, নিজের আইস নিজে যোগাড় করে নিন। সেই ওষুধ সাপের বিষ না ব্যাঙের হিসি বোঝে শালা কোন হোমস? কিন্তু দিনে অন্তত ৩০০০ বাঁচিয়ে ফেললেন মানে আর একদিনের ওষুধ।

    আমাদের ছোটবেলাতেও বাড়িতে কঠিন অসুখ দেখেছি, এই জিনিষ দেখি নি কস্মিনকালেও। জিজ্ঞেস করলে বলবে গ্যাটের জন্য হচ্ছে এসব।

    ও হ্যাঁ সেই হোলসেলারের নম্বর আসবে আপনার কোন এক বন্ধু ডাক্তারের কাছ থেকে।

    নেহাতই পাপী, তাপী লোকজন। কোন সমাজ বদলে দেবার মহৎ উদ্দেশ্য নেই, শুধু নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করি। আর বালকে বাল বলি।
  • Du | 117.194.195.103 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৯:৪৪399431
  • আমার মনে হচ্ছে ডাক্তার আর ভালো টাকার কথা উঠছে এইজন্য যে ডাক্তারেরা সাধারনত: ছাত্র হিসেবে বেস্ট অফ দি বেস্টের মধ্যে পড়েন। শুধু সেবাভাব বা ভালো করবার ইচ্ছে দিয়ে তো আর ডাক্তার হওয়া যায় না। বলতে গেলে এগুলো কোয়ালিফিকেশনের মধ্যে পড়ে কি আদৌ? তাই সেরার সেরাদের জীবন খুব স্ট্রাগলের মধ্যে দিয়ে কাটবে ( একে তো কাজটা এমনিতেই বেশ কঠিন) এমন আশা বোধ হয় বাড়ি বা তার নিজের কারোই থাকে না।

    এমনিতে এই দিনমজুরের হাত বাদের (আজকের আবাপ) ঘটনাটায় মনে হলো, শুধু এই রেফারাল ইত্যাদি সামলাবার জন্য বিশেষ হেল্পার গ্রুপ তৈরী করলে হয় না সরকারী হাসপাতালের জন্য? নতুন ব্যাপারও নয়, মানে মুম্বাইতে হয়তো আছে কারন ঐ অমল পালেকরের সিনেমাটায় দেখেছিলাম। শুধু খানিক চেনাশোনা আর হাসপাতালের পরিকাঠামো সম্বন্ধে জ্ঞান থাকলেই অনেকভাবেই হেল্প করা যায় চিকিৎসা করাতে আসা অসহায় মানুষজনকে বোধ হয়, ঠিক ডাক্তারদের মূল্যবান সময়ও এর জন্য খুব বেশি লাগে না হয়তো।

  • pi | 72.83.76.34 | ০৭ মার্চ ২০১২ ১৯:৫৭399432
  • ডাক্তাররা স্ট্রাগল করে চলুন বা নিছক সমাজসেবা, সেটাও কেউ বলবে বলে মনে হয়না। কিন্তু স্ট্রাগল না করার মানেই যদি ডলার কামানো আর ছেলেকে ইন্টারন্যাশানাল স্কুলে পড়াতে পারা হয় , তাহলে অন্য কথা।
  • pi | 72.83.76.34 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২০:০৭399433
  • যাইহোক।
    শ্রমিকদের চিকিৎসার জন্য বেশ কিছু ডাক্তার, স্বাস্থ্য আন্দোলনের সাথে যুক্ত ব্যক্তি, সাধারণ নাগরিক .. বেশ কিছুজন মিলে একটি উদ্যোগ তৈরি করা হয়েছিল। তাঁরা এই শ্রমিকদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেছেন। কিছু সমাধানের কথাও বলেছেন। এগুলো নিয়ে সরকারের কাছে দাবী দাওয়াও রেখেছেন। কিছু মিটেছে। কিছু মেটেনি।কাজ চলছে ইত্যাদি।

    ওঁদের পাঠানো লেখার কিছু অংশ এখানেই দিয়ে দিলাম। অনুবাদের জন্য কলিদিকে থ্যাঙ্কু !
  • aka | 168.26.215.13 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২০:১৭399434
  • তো দাদা দুখে, সব একসাথে গুলায়ে ফেলেছেন।

    দুইখানা বক্তব্য এক কইর‌্যা এক বকচ্ছপ ইনফেরেন্স ড্র করেছেন। এমনিতেই ইনফেরেন্স অতি ঝাঁটের সাবজেক্ট, যদ্দুর মনে পড়ে আমি ব্যাকের খুব কাছাকাছি ছিলাম (কনফিডেন্টলি বলতে পারি, কারণ প্রায় সবেতেই তাই:))।

    প্রথম বক্তব্য, সমাজের একস্তরের মানুষ কিবোর্ড বাজিয়ে কাঁড়ি কাঁড়ি ডলার কামিয়ে তারই বন্ধু ডাক্তার - যেকিনা প্রায়সই কিবোর্ড বাজানেওয়ালার থেকে বেটার স্টুডেন্ট ছিল - তাকে গিয়ে জ্ঞান দেবে বাপরে এত টাকার কি দরকার? তবে বুঝলি আমার খুব দরকার, আমার ছেলের স্কুল থেকে বলে দিয়েছে নাইকের জুতো ছাড়া চলবে না, তোর ছেলেকে কের্ডস কিনে দিস বরং। একে তো এটা একটি অশ্লীল প্রস্তাব, দুই এটা নিয়ে গুরুতে লেখাই যায়, বাস্তবে ইমপ্লিমেন্ট করা যায় না। সবাই নিজ নিজ সাধ্য মতন বেশি উপার্জনের চেষ্টা করবে যেমন আমরা করি। কিবোর্ড বাজানো ছেড়ে প্রাইমারি স্কুলে মাস্টারি করতে বললে নিশ্চয়ই আমরা অধিকাংশই যাব না।

    দ্বিতীয় বক্তব্য, সবার সমান অধিকার একটি রাজনৈতিক লক্ষ্য। যাতে মেদিনীপুরের প্রত্যন্ত গ্রাম এবং কলকাতার অবস্থাপন্ন ঘরের ছেলেদের একটি লেভেল অবধি শিক্ষা অধিকার, শুধু তাই নয় এমন একটা ইনফ্রাস্ট্রাকচার থাকা দরকার যাতে সবাই সেটা পায়ও। সবাইকে সমান করতে হলে যার যার ইচ্ছে হবে সেই শিক্ষার পরে তারাই বনহুগলীর উঁচু বাড়িতে পা গলাতে পারবে এইরকম একটা ব্যবস্থা করতে হবে। সেটাও একটি ইউটোপিয়ান ব্যবস্থা।

    এই দুই মিশায়ে কি খাঁড়া করাইলেন একটু রিভিউ কইর‌্যা দ্যাহেন।
  • dukhe | 14.96.4.207 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২০:৪২399435
  • দ্যাহো বাপু, দুখে নাইকের অধিকারকে অবশ্য প্রয়োজনীয় মনে করে না । উটি অধিকার না বোঝা এ বিষয়ে আমাদের হয়তো মতান্তর আছে। তবে ইস্কুলে নাইকে কিনতে বলেছে এবং আমি লোক না ঠকালে সেটা জোটাতে পারব না বলে ধরে ধরে গলা কাটব যাতে চাট্টি বাড়তি অপারেশন করে নাইকের দাম তুলতে পারি - কবি কি এরকম কোন যুক্তির কথা বলছেন ? আশা করি বলেন নাই, আর যদি বলে থাকো তো পুনরায়, এই যুক্তি বুঝলাম না।

    একটি লেভেল অবধি শিক্ষার অধিকার নিয়ে কোন দ্বিমত নাই। তবে সেই শিক্ষা ইন্টারন্যাশনাল ইস্কুলেই হতে হবে - এমন দাবিও নাই।
  • pi | 72.83.76.34 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২০:৫৯399436
  • শ্রমিক স্বাস্থ্য নিয়ে নাগরিকদের উদ্যোগ”
    --------------------------
    (মাথার ঘাম পায়ে ফেলে যাঁরা সমাজের সমস্ত সম্পদ গড়ে তুলেছেন সেই শ্রমিকদের স্বাস্থ্য-পরিষেবার অধিকার নিয়ে দু’চার কথা)

    এই ব্যাপারে নাগরিকদের উদ্যোগ নিতে হবে কেন?
    ---------------------------------

    আজকের দিনে সমাজের কতরকম সমস্যা আছে সে নিয়ে আলোচনা করতে গেলে স্বাস্থ্য পরিষেবার শোচনীয় অবস্থার কথা আলাদা ক’রে বলতে হয়। গত কয়েক দশকে অর্থনৈতিক উন্নতি কম হয়নি, কিন্তু তাতে এই পরিষেবার ক্ষেত্রে কোনই হেরফের ঘটেনি। কে কেমন মানের পরিষেবা পাবেন তা পুরোপুরি নির্ভর করে কার পয়সার জোর কেমন তার ওপরে।
    ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন সায়েন্স আর WHO হালে ভারতের ছ’টা রাজ্যে সমীক্ষা করে দেখিয়েছেন যে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে যাঁরা সমাজের নিচুস্তরের মানুষ তাঁদের মধ্যে শতকরা চল্লিশ জন চিকিৎসার খরচ মেটানোর জন্য টাকা ধার করতে বাধ্য হন। আর শতকরা ষোলজনকে ঐ খরচের বোঝা টানতে গিয়ে দারিদ্‌র্‌যসীমার নীচে নেমে যেতে হয়।
    খেটে খাওয়া মানুষদের সামনে এই এত বড় যে সমস্যা, তার সমাধান করার জন্য নাগরিক কর্তব্যবোধ সম্পন্ন যেকোন মানুষেরই আজ এগিয়ে আসা দরকার। হ্যাঁ, আসছেনও এগিয়ে তাঁরা। ২০১১ সালের ছাব্বিশে নভেম্বর কলকাতার সেবাকেন্দ্রে এই নাগরিক উদ্যোগ সমিতির প্রথম মিটিং হয়েছিলো। সেখানে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। যেমন:

    শ্রমিক শ্রেণীর সবাই যাতে স্বাস্থ্য-পরিষেবা পান তার নিশ্চয়তা -
    ------------------------------------------
    পশ্চিমবাংলায় শ্রমিকের সংখ্যা আজকের দিনে প্রায় তিনকোটি। এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে যেখানে চিকিৎসার খরচও প্রায় আকাশ ছোঁয়া সেখানে এই তিনকোটি মানুষ যাতে ঠিকমতো চিকিৎসা পান তার দায়িত্ব নেবার জন্য ‘সোশ্যাল সিকিউরিটি’ নিয়ে কাজ করেন এমন কোন প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। ESI এই ধরণের কাজ করেন ঠিকই, কিন্তু এঁদের কাজের আওতায় মাত্র দশলাখ শ্রমিক রয়েছেন। বাকি এই বিশাল অংশএর কোন সামাজিক নিরপত্তাই নেই। এই ব্যপারটা আরো খুঁটিয়ে দেখে কোন ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
    ক) পশ্চিমবঙ্গে মাত্র আটটি জেলাতেই কারখানা বা অন্যন্য শ্রম-সংস্থায় ESI অ্যাক্ট জারি করা হয়েছে। যেখানে এই অ্যাক্ট নেই সেখানে এঁরা কাজও করেননা। কাজেই এমন ব্যবস্থা করা দরকার যাতে বাকি জেলাগুলোতেও অবিলম্বে ESI কাজ শুরু করতে পারেন।
    খ) যেসব কারখানা বা প্রতিষ্ঠানে দশজনের কম মজুর সেখানে ESI অ্যাক্ট জারি করা হয়না। আবার খনিমজুররা বা এমন সব মজুর যাঁরা বছরের কিছু সময়েই শুধু কাজ পান তাঁরাওএই অ্যাক্টের আওতায় পড়েননা। কিন্তু সব মিলিয়ে এই রকম শ্রমিকের সংখ্যা খুব কম নয়। ESI অ্যাক্টের নিয়ম বদলে এমন করা দরকার যাতে এই সমস্ত শ্রমিকরাই ওঁদের সাহায্য পেতে পারেন।
    গ) চা বাগানে যে মজুররা কাজ করেন তাঁদের এক বিশাল অংশ কোনরকম স্বাস্থ্য পরিষেবাই পাননা। মালদা, মুর্শিদাবাদ আর পুরুলিয়ার বিড়ির কারখানায় কাজ করেন এমন প্রায় পাঁচ লাখ মজুরের অবস্থাও তাই। এছাড়া, বীরভূম জেলায় পাথর ভাঙার কাজ করেন প্রায় সত্তর হাজার মজুর। তাঁরা কেউই ESI এর সাহায্য পাননা। অথচ এঁদের কাজটা স্বাস্থ্যের পক্ষে খুব বিপজ্জনক। বর্ধমান জেলায় ইস্টার্ণ কোলফিল্ড লিমিটেড বা ECL এর যে সমস্ত কয়লাখনি আছে সেখানে কাজ করেন হাজার হাজার মজুর। কিন্তু ECL থেকে ওঁদের কোনরকম স্বাস্থ্য-পরিষেবা দেওয়া হয়না। শুধু তাইই নয়,ECLএরই খোলা আরো ষোলটা ওপেন-কাস্ট খনির মজুরেরা আর CESCWBPDCL এর খনিতে যাঁরা কাজ করেন তাঁরাও স্বাস্থ্য Ïবিষয়ক কোনরকম নিরাপত্তা পাননা। দেখা দরকার যাতে কোল ইন্ডিয়া বা ESI এঁদের সাহায্যের ব্যবস্থা করেন।
    ঘ) এই রাজ্যের যানবাহন ব্যবস্থার সঙ্গে যত শ্রমিক যুক্ত আছেন তাঁদের সংখ্যাটা কম নয়। এঁরা কিন্তু ESI অ্যাক্টের আওতায় পড়েননা। অ্যাক্টের নিয়ম বদলে এঁদের সাহায্য করার বন্দোবস্ত হওয়া দরকার।
    ঙ) পশ্চিমবঙ্গের শ্রনিকদের একটা বিশাল অংশ চাষবাসের কাজ করেন। খতিয়ে দেখা গেছে চিকিৎসার খরচ চালানোর ক্ষমতা এঁদের বেশির ভাগেরই নেই। জমির মালিকের সাথে এই সব চাষীদের সম্পর্ক এমন করে তোলা দরকার যাতে ওঁদের সামাজিক নিরাপত্তা আর পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়। এঁদেরও ESI এর কাজের মধ্যে নিয়ে আসা যেতে পারে।
    মোটের ওপর সব শ্রমিকই যাতে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্য বীমা যোজনা বা RSBYএর আওতায় আসেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।

    ESIRSBY নিয়ে আরো কিছু কথা -
    -------------------------------
    ভারতে চিকিৎসা আর স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বীমা নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেন এই ESI। কিন্তু এঁদের পরিকাঠামো এমন যে এত বড় দেশের এত বিশাল শ্রমিকসংখ্যার খুব ছোট একটা অংশই শুধুমাত্র সাহায্য পাচ্ছেন। এই পরিকাঠামোতে কিছু বদল আনার খুবই জরুরী। কয়েকটা বিষয়ের ওপরে ESI কর্পোরেশন আর ESI স্টেট ডিরেক্টোরিয়াল দুজনেরই নজর দেওয়া দরকার।
    ১) ESI স্কিমের অন্তর্গত যেসব হাসপাতাল বা স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে সেখানে কর্মী আর দরকারী জিনিষপত্র সবেরই অভাব। কর্মীর ঘাটতি পূরণ করটা রাজ্য সরকারের দায়িত্ব। আর ওষুধপত্র বা অন্যন্য দরকারী জিনিষের অভাব মেটানোর জন্য ESI কর্পোরেশনকে কাজ করতে হবে।
    ২) ESI কর্পোরেশন ওঁদের স্কিমকে জনপ্রিয় করার জন্য বিজ্ঞাপনের ওপর অনেক জোর দিয়েছেন। কিন্তু তার চাইতে বেশি জরুরী হলো পরিকাঠামোর উন্নতির দিকে নজর দেওয়া। পরিকাঠামো এমন ভাবে সাজানো দরকার যাতে আরো বেশি মানুষ উপকৃত হতে পারেন, যাতে আধুনিক যন্ত্রপাতি আর ওষুধপত্র সহজলভ্য হয়।
    ৩) রাজ্য সরকারের উচিৎ হাসপাতাল আর স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে কাজ করার জন্য অবিলম্বে আরো ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করা। অর্থনৈতিক বা ঐতিহাসিক বা আরো যেকোন কারণেই এই কর্মী ঘাটতি হয়ে থাকুকনা কেন, এর আশু সমাধান হওয়া দরকার।
    ৪) আপাত দৃষ্টিতে মনে হয় যে আর্থিক সাহায্যের দিক থেকেও রাজ্য সরকার আর ESI কর্পোরেশন সঠিক বোঝাপড়ায় আসতে পারেননি । নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সে সমস্যা মিটিয়ে নেওয়া দরকার যাতে ESI বা রাজ্যের নিজেদের তহবিল ভরার বদলে শ্রমিকদের সাহায্য বেশি হয়।
    ৫) RSBY এর পরিকাঠামোতেও কিছু পরিবর্তনের দরকার আছে। প্রথমত এই যোজনা খুব কম সংখ্যক শ্রমিকই পান। দ্বিতীয়ত এতে কোনরকম প্রাথমিক চিকিৎসার খরচ দেয়না। তারফলে দেখা গেছে যে অনেক অসুখের ক্ষেত্রেই এই গরিব শ্রমিকদের নিজেদের কষ্টার্জিত পয়সা খরচ করতে হয়। কাজেই প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্ত যেমন এই যোজনায় আনা দরকার, তেমনই এও দেখা দরকার যাতে আরো বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে এই বীমা পৌঁছতে পারে।
    ৬) RSBY এর বেশির ভাগ কাজই হয় বেসরকারি হাসপাতালের মাধ্যমে। এই হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসার খরচ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সাধারণ মানুষের সাধ্যের বাইরে। তাছাড়া নিজেদের আর্থিক লাভের জন্য কিভাবে এইসব হাসপাতালে রোগীকে অনর্থক ব্যয় করতে বাধ্য করা হয় তাও কারুর অজানা নেই। শ্রমিকদের আর্থিক অবস্থায় সেই ব্যয়বভার বওয়া একরকম অসম্ভব। তাছাড়া দূর গ্রামে গঞ্জে যেসব মজুরেরা থাকেন তাঁদের পক্ষে এই ধরণের হাসপাতালে রোগী নিয়ে আসাও সম্ভব হয়না। দেখা যাচ্ছে এর ফলে RSBY এর আসল উদ্দেশ্যের অনেক খানিই ব্যর্থ হচ্ছে। এই সমস্যার সমাধান খুবই জরুরী।
    রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবীমা যোজনাকে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর জন্য কি কি করা যেতে পারে:
    ক) এই বীমা যাঁদের আছে তাঁরা যাতে জেলা আর মহকুমা হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা পান তার ব্যবস্থা করা দরকার। এ'কাজে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগকে এগিয়ে আসতে হবে কারণ তাঁদের হাতেই এই জেলা ও মহকুমা হাসপাতালের উন্নয়নের দায়িত্ব আছে। RSBY এর ফান্ডের একটা বড় অংশ এতে লাগানো যেতে পারে।
    খ) ESI অ্যাক্টে বলা আছে যে তহবিলে উদ্বৃত্ত টাকা থাকলে তা ESI হাসপাতালের কাজে লাগানো হবে। দেখা গেছে যে ESI কর্পোরেশনের রিজার্ভ ফান্ডে এই মুহুর্তে কোন অর্থ ঘাটতি নেই। কাজেই ঐ টাকা থেকে হাসপাতাল আর স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে কর্মী ও ওষুধপত্রের সমস্যা মেটানোর জন্য রাজ্য সরকারকে ত্‌ৎপর হতে হবে। তাতে করে RSBY এর আওতায় যেসব শ্রমিক আছেন তাঁরা সুলভে চিকিৎসা পাবেন।
    গ) এ রাজ্যে সরকারী প্রতিষ্ঠান ছাড়াও কয়েকটা হাসপাতাল বেসরকারি সাহায্য নিয়ে গরিব মানুষের চিকিৎসার সুবন্দোবস্ত করেছেন। হাওড়ার 'শ্রমজীবি হাসপাতাল' বা সুন্দরবনের রংবেলিয়ায় TSRD পরিচালিত হাসপাতাল তার উদাহরণ। রাজ্যসরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ যদি এখন এই ধ্রণের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কাজের প্রসার ঘটানোর চেষ্টা করেন তাহলে চারপাশে প্রচুর নার্সিংহোম গজিয়ে ওঠার থেকে অনেক ভালো কাজ হবে।

    বেসরকারি হাসপাতাল গুলোর ভূমিকা:
    ---------------------------
    ESI বা RSBY যেভাবে বেসরকারি হাসপাতালের ওপর নির্ভরশীল তার কুফল নিয়ে আগে বলা হয়েছে। এবার একটু তলিয়ে দেখা যাক এর ফলে কি কি হচ্ছে।
    ১) পাবলিক ফান্ডের একটা বিশাল অংশ এই বেসরকারি হাসপাতালে চলে যাচ্ছে, তার ফলে সরকারী হাসপাতাল গুলো অভাবে পড়ছে।
    ২) রোগীর অসুবিধা ঘটানোর জন্য সরকারি হাসপাতালের বরাবর বদনাম হয়ে আসছে। অথচ ভালোভাবে দেখলেই বোঝা যায় যে নামী দামী বেসরকারি নার্সিং হোম বা হাসপাতালে চিকিৎসার খরচ এত বেশি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে রোগী কিছু কম অসুবিধায় পড়ছেন না।
    ৩) রোগীকে ‘প্যাকেজ রেট’ এর টোপ দেখিয়ে এই সব প্রতিষ্ঠানে যা করা হচ্ছে তা একেবারেই সমর্থন করা যায়না। আদৌ দরকার না থাকলেও রোগী নানারকম পরীক্ষা করাতে বাধ্য হচ্ছেন। তাছাড়া বিনা প্রয়োজনেই সিজারিয়ান সেকশন বা ICUতে নিয়ে রাখার মত ঘটনাও কম ঘটছেনা।
    ৪) বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের যেসব স্বাস্থ্যবীমা আছে তাতে শেষ পর্য্যন্ত রোগীর কোন লাভ হচ্ছেনা। এতে প্রাথমিক চিকিৎসা আর অনেক অসুখের চিকিৎসার খরচই দেওয়া হয়না।
    ৫) এই যে বেসরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বীমা যোজনা চালানো এই মডেল সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে দেখা যায়। কিন্তু খুঁটিয়ে দেখলেই বোঝা যাবে যে এর ফলে সে দেশের মানুষের অবস্থা কত অসুবিধাজনক। যুক্তরাষ্ট্র তার জিডিপি’র ১৭% এই স্বাস্থ্য খাতে ব্যায় করে অথচ উন্নত বিশ্বের ষোলটি দেশের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্যের সূচক সবচাইতে খারাপ। সেদেশের শতকরা ৫৩ জন মানুষ তাঁদের আয়ের ১০% চিকিৎসার পেছনে খরচ করতে বাধ্য হন!
    এই সব কারণের জন্যই কর্পোরেট লোভের থাবা থেকে ESIRSBYকে মুক্ত করা দরকার। ESI যদি তাঁদের পরিকাঠামো নতুন করে সাজান আর RSBY কে সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে চালু করা হয় তাহলে শ্রমিকশ্রেণী খুবই উপকৃত হবেন।

  • aka | 168.26.215.13 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২১:০৫399437
  • ব্যক্তিগত দুখে, ব্যক্তিগত আকা কি মনে করে তাই নিয়ে কথাই আমি কইছি না।

    ডাক্তাররা ডাকাত বলেই এমন অবস্থা এটা একটু নি-জার্ক রিঅ্যাকশন বলে আমার মনে হয়। একটা সিস্টেম হুড়মুড় করে যাস্ট ভেঙে পড়ছে সেটা শুধু কতিপয় (সবাই অসাধু এমন কথা কেউ বলবে না মনে হয়) অসাধু ডাক্তারদের জন্য কি? আমার মনে হয় চিন্তা ভাবনার অবকাশ আছে।

    আর ছেলেকে ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে পড়াতে গেলে, নাইকের জুতো কিনে দিতে গেলে নট নেসেসারিলি ডাক্তারদের অসাধু হতে হবে। সরকারী চাকরি কাটিয়ে দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিশ জমিয়ে করতে হবে, নিজের বা কোন প্রাইভেট নার্সিংহোমে বা দুটোই। এটা তো আইনত অপরাধ নয়। এতে করে সরকারী হাসপাতালে বা গ্রামে ভালো কেন কোন ডাক্তারই পাওয়া যায় না অনেক সময়ে, সে অন্য কথা। নাকি ডাক্তার তাই সিম্পল লিভিং হাই সরকারী স্যালারিং?

    প্রাইভেট হাসপাতালে যা যা অরাজকতা চলে তারজন্য শুধুই সেই ডাক্তাররা যারা চাট্টি বেশি পয়সার জন্য - আমাদেরই মতন - সেটা শুধু তাদেরই দায়িত্ব?
  • dukhe | 14.96.4.207 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২১:১৭399438
  • তাই তো বলি । নাইকের জুতোফুতো দিয়ে রোগীর গলাকাটা জাস্টিফায়েড হয় না ।
    ডাক্তাররা ডাকাত বলেই এমন অবস্থা - এটা অবশ্য আমি বলি নাই । এটা বেশ কিছু কারণের একটা। একমাত্র না।
    সব ডাক্তারের কথাও অবশ্যই আসছে না । সৎ ডাক্তার ছিলেন, আছেন, থাকবেন ।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২১:১৯399440
  • একজন ডাক্তার নাইকের জুতো কিনবে বলে ১০০০ টাকা ভিজিট করল। পোষালে যাবেন, নাহলে যাবেন না, এতে আনজাস্টিফায়েডের কি আছে?
  • dukhe | 14.96.4.207 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২১:২৩399441
  • কিছুই নেই । কিন্তু দুশো টাকা ভিজিট নিল আর দেড়হাজার টাকার অপ্রয়োজনীয় টেস্ট লিখে দিয়ে বলল অমুক ল্যাব থেকে করিয়ে আনুন, এতে আছে ।

    আশা করি ১০০০ টাকা ভিজিটের ডাক্তারকে দেখানোর অধিকার সবার জন্য চাইছ না ।
  • m | 50.82.180.165 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২১:২৫399442
  • বার বার ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের নাম আসছে, তাই গার্জেন হিসেবে লিখে দেই- স্কুলের হিসেবপত্তর ডলারে নয় টাকাতে চোকাতে হয়।
    নইলে লোকের কাছে একটি ভুল 'বানী' চলে যাবে।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২১:৪৪399443
  • এই তো সিস্টেমের দিকে এগোচ্ছে।

    অপ্রয়োজনীয় টেস্ট কি বা কোনটা? আমার অভিজ্ঞতা বলি

    এক, আমার মায়ের ছমাস ধরে কোমরে ব্যথা। প্রথিতযশা ডাক্তাররা লাম্বার ইত্যাদি বলে ওষুধ খাইয়ে গেল। টেস্ট করে কি হবে, ব্যয়াম করুন বলে ছমাস নষ্ট করল। ছমাস পরে ধরা পড়ল ক্যান্সার। মহামূল্যবান প্রথম ছটি মাস আসলে কয়েক লক্ষ টাকা এবং রোগীর জীবন থেকে অনেকগুলো বছর কেড়ে নিল।

    দুই, আমার বড়মামাকে আমার এক বন্ধু বলেছে কি কি জানি টেস্ট করতে, বয়স অনেক, তাই ম্যালিগন্যান্সিও টেস্ট করতে বলেছে। বড়মামা যাস্ট কাটিয়ে দিলে।

    টেস্ট আমার কাছে প্রিভেন্টিভ মেজার বা আর্লি ডিটেকশন। দুইয়েরই রিটার্ন একটি এমারাই বা বেশ কিছু ব্লাড রেজাল্টের থেকে বেশি। এরমধ্যে কিছু অপচয় কিন্তু যতক্ষণ আমি এফর্ট করতে পারছি করে যাব। সাধারণ বুদ্ধিতে ডাক্তারকে খারিজ করব না। এটা আমার ব্যক্তিগত অবস্থান।

    কিন্তু অনেকেই আছে যারা কোন টেস্ট করার মতনই অবস্থায় থাকেন না। সেক্ষেত্রে ডাক্তার বলতে পারে না এই টেস্ট না করলে আমি ট্রিটমেন্ট করব না। সেক্ষেত্রে রোগীর কনসেন্ট নিয়ে (নিজের পিঠ বাঁচাতে) নাড়ী ধরেই ট্রিটমেন্ট করতে হবে।

    একটা সিস্টেম এক এক্সট্রীমে আমি এবং অন্য এক্সট্রীমে ওপরের উদাহরণ দুজনকেই সাপোর্ট করা উচিত।

    মেডিক্যাল ফ্রড ধরতে অ্যালগোই শেষ ভরসা। সেটার জন্য সমস্ত কিছু কোডিফাই করা দরকার, দরকার কম্পিউটারের ব্যবহার যা আজকের দিনে একেবারেই অসম্ভব নয়।
  • siki | 122.177.11.185 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২১:৫৪399444
  • আকার অভিজ্ঞতা কিছু কিছু সবার আছে। আমারও। ক্যান্সার তো পরের কথা, সামান্য দাঁতে ক্যাভিটি নিয়ে ডাক্তারকে অসভ্যের মত টাকা লুঠতে দিয়েছি নিজের পকেট থেকে। নিজের ডাক্তারি বিদ্যে নেই তাই সেখানে দাঁড়িয়ে লোকটাকে বলতে পারি নি আপনি অন্যায় ভাবে টাকা নিচ্ছেন। শুধু একদিনে আড়াই হাজার টাকা দিয়ে এক্সরে এবং সিলিং, তাও টেম্পোরারি করিয়ে আনার পরদিন নীরবে চলে গিয়েছি অন্য ডাক্তারের কাছে। চারশো টাকায় আরেকবার এক্সরে আর পার্মানেন্ট সিলিং হয়ে গেছে। পেশেন্টের অন্তত ঐ দাঁতে আর কোনও প্রবলেম নেই।

    দুটো হাসপাতালের মধ্যে দূরত্ব মাত্র এক কিলোমিটার। হিসেবমত সিজিএইচএস কার্ডহোল্ডার হিসেবে সেই প্রথম হাসপাতালেই আমার শস্তায় হয়ে যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু প্রথম ডাক্তার আমার সিজিএইচএস কার্ড দেখেই বোধ হয় মনে মনে খিস্তি করে শপথ নিয়ে নিয়েছিল, এর আমি বেশি খরচা করেই ছাড়ব।

    * সিজিএইচএস হল সে¾ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিম। বউ কেসচা হিসেবে আমাদের সবার কার্ড আছে। যে সব হাসপাতাল এই সিজিএইচেসের প্যানেলে থাকে, সেখানে ওপিডির চার্জ দেড়শো দুশো হলেও কার্ডহোল্ডারদের জন্য ষাট টাকা।
  • b | 125.20.82.165 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২২:৪০399445
  • আসলে সবটাই অ্যানেকডোট। আমারটাও লিখে ফেলি।

    জ্যাঠামশাইয়ের বয়স তখন ৭৮,কিডনি ফেলিওরে ভুগছেন। নামিদামী প্রাইভেট ক্লিনিক বাদ দিলে, শুনলাম নেফ্রলজী ডিপার্টমেন্ট একমাত্র পিজি-তে। কিন্তু ৭৮ বছরের ক্রনিক পেশেন্টকে, সরকারী হাসপাতাল নেবে না, অত্যন্ত যুক্তিযুক্তভাবেই। সারাদিন ছুটোছুটি করলাম, কিন্তু নীট ফল শূন্য। আউটডোরে দেখানো যাবে, কিন্তু ভর্তি হবে না।

    জ্যাঠতুতো দিদি করিতকর্মা খুব। ব্যবসা করেন, সেই মারফৎ ধরলেন মন্ডলবাবুকে। আসল নামটা চেপে গেলাম এই নকশাল নেতার, কারণ স্বল্প পরিচিতি আছে,। ২০০৮ এর ঘটনা, তিনি বললেন হয়ে যাবে। ফলে পরেরদিন পিজি পাড়ায় পুনর্গমন, ওখানে কর্মী সংগঠন যাঁর হাতের মুঠোয়, তৃণমূলের বড় নেতা, এখন মন্ত্রী, তাঁকে ধরণ, এবং কিমাশ্চর্য্য, নেফ্রলজি ডিপার্টমেন্টে একটি বেড পাওন।যিনি ঐ নেতার লোকাল এজেন্ট, তিনি দিদি কে বললেন, আরে আপনি ....দাকে বলবেন তো, তাহলে কেবিন-ও হেসে খেলে হয়ে যেত।
    সপ্তাখানেক থেকে, দু তিনবার ডায়ালিসিস করে জ্যেঠু বাড়ি ফিরলেন। পুরোপুরি ভালো হন নি, মারাও গেলেন দু মাসের মধ্যে। তবে ... দা ছাড়া হত না।
    ******
    ক্রিটিকাল পেশেন্ট বলে দু রাত্তির হাসপাতাল চত্বরে কাটাতে হল। অবিরল অ্যাম্বুলেন্স আসছে রোগিদের নিয়ে। বোর হওয়া কাটাতে তাঁদের সাথেই আলাপ করি।
    "কোথে্‌থকে আসছেন"
    ঐ চন্দননগর/পান্ডুয়া।
    কি হয়েছিল?
    হাতে চকোলেট বোমা ফেটেছিলো/ ট্রেকার থেকে পড়ে গিয়ে কাঁধের হাড় সরে গেছে।
    তো এখানে কেন? চন্দননগর/চুঁচড়ো হস্পিটালে....
    এই এসে গেলাম সবাই মিলে(দেঁতো হাসি)
    এখানে দেখবে তো?
    না দেখে যাবে কোথায়?

    *****

  • pi | 72.83.76.34 | ০৭ মার্চ ২০১২ ২২:৫১399446
  • ট্র্যাজেডি হল, শ্রমিকদের নিয়ে ঐ উদ্যোগে কিন্তু স্ক্রমিক সঁগঠনগুলো সেভাবে নেই !
    বরং তাঁরা 'রেফার' না করলে ( তা সে যতই অপ্রয়োজনীয় হোক না কেন), উল্টে ভাংঅচুর, ঘেরাও করে থাকেন। রন্ধ্রে রন্ধ্রে এটা ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে ঐ বেসরকারি মহার্ঘ হেল্‌থ প্যাকেজ ইত্যাদিতেই আছে সুস্থ থাকার চাবিকাঠি।
  • nabanita | 152.79.94.51 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০২:১০399447
  • চিকিৎসা ব্যাপারটা একটা acceptable লেভেলে যাতে সবার কাছে পৌঁছাতে পারে সেটা কিন্তু সরকারের দেখা উচিৎ। আমেরিকাতে চিকিৎসার খরচ নিয়ে প্রচুর কথা হয়, কিন্তু এখানেও 911 ডাকলে বা Emergencyতে রোগী নিয়ে এলে insurance বা টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই বলে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না। তাহলে প্রাইভেট হাসপাতালকেও সরকার চোখে সর্ষে ফুল দেখিয়ে ছাড়ে। ওবামার নতুন হেলথকেয়ার ল' তে অনেক কিছুই ফ্রী হয়ে গেছে যেগুলো প্রিভেন্টেটিভ - যেমন ফ্লু শট, ইয়ারলি ফিজিকাল। হাসপাতালরা প্রচুর চিঠি চাপাটি/কালেকশান এজেন্সি সব করেও যদি টাকা আদায় না করতে পারে তখন দেখা হয় রুগী Federal Poverty Levelএর নিচে কিনা। তাহলে সরকার থেকে কিছু টাকা পাওয়া যায় এই সর্তে যে রুগীকে আর টাকার জন্যে বিরক্ত করা হবে না।
    আসলে চেনা জানা দিয়ে সুবিধা নেওয়া, নিয়ম মেনে না চলা, নিজের ক্ষমতা পর্যন্ত ঘুষ বিনা বাক্যব্যয়ে দিয়ে যাওয়া এগুলো যদি আমরা না বন্ধ করি তবে উন্নতি চাওয়া দুরাশা।

    BTW পড়াশুনায় ভাল হলেই যদি বেশি টাকা পেতে হয় তাহলে অনেক ম্যাথামেটিশিয়ান/ফিসিসিস্ট/ইতিহাসবিদ.... ও অন্যান্য রিসার্চারদের highest earner হওয়া উচিৎ।
  • Tim | 198.82.20.182 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০২:৩৩399448
  • কেউ অসুস্থ হলে সুবিধে নিচ্ছি, না ঘুষ দিচ্ছি এসব মনে আসেনা। তখন যেনতেনপ্রকারেণ তার কষ্ট লাঘব করা বা তাকে সুস্থ করাটাই প্রাধান্য পায়। এবং আমার মনে হয় সেটাই হওয়া উচিত।
  • pi | 128.231.22.249 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০২:৩৭399449
  • পাওয়াটা খাতায় কলমে নিয়ম হলে আর বাস্তবে যখন না পাওয়াটাই নিয়ম হয়ে গেছে, তখন চেনাজানা সূত্র ধরে পাওয়াকে কি 'সুবিধা' নেওয়া বলা যাবে ?
  • Tim | 198.82.20.182 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০২:৩৮399451
  • আজ পজ্জন্ত শুনিনি কোন মন্ত্রী বা প্রভাবশালী নেতা/নেত্রী ""দেশের উন্নতির"" জন্য নিজের লোকেদের স্বাস্থ্য স্যাক্রিফাইস করেছেন। তাহলে পাতি পাবলিক সেটা করবে কেন?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন