এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • চিকিত্‌সার হাল্‌হকিকত কলকাতায়

    I
    অন্যান্য | ০৯ জুলাই ২০০৮ | ৭৪২৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Tim | 198.82.20.182 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০২:৩৯399452
  • পাইকে ক
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০৩:৩৬399453
  • পড়াশুনোয় কে ভালো মন্দ টা খুব কিছু ব্যপার না। আইনত, যদি কারুর বেশি উপার্জনের ব্যবস্থা থাকে তাহলে সে সেটাই করবে, বেশির ভাগ লোকই তাই করে।
  • Tim | 198.82.20.182 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০৩:৪৫399454
  • ফিসিসিস্ট আর গবেষকদের বড়োনোক হবার কথাটা আমার খুব মানে খুবই ভাল্লাগলো।
    কাশ.....
    (দীর্ঘশ্বাস)
  • Sibu | 74.125.59.177 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০৭:০৪399455
  • গবেষক আর ফিসিসিস্ট হয়ে থেকে বড়নোক হওয়া ব্যাথা আছে। তবে গবেষনা ইত্যাদি গঙ্গায় দিয়ে ওয়াল স্ট্রীটে চলে গেলে মাঝারি-মত বড়নোক হতে পারবি। ট্রাই করে দ্যাখ।
  • aranya | 68.38.243.161 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০৭:৩২399456
  • 'শ্রমিক স্বাস্থ্য নিয়ে নাগরিকদের উদ্যোগ' - দামী লেখা। এরা কিছু সমস্যা চিহ্নিত করে সরকারকে সমাধানের জন্য বলেছেন, কোন কোন ক্ষেত্রে সমাধান সাজেস্টও করেছেন - ভাল কাজ। সরকারের ওপর চাপ রাখা দরকার, যাতে জনস্বাস্থ্যের ব্যাপারটা অগ্রাধিকার পায়।
  • dukhe | 117.194.234.35 | ০৮ মার্চ ২০১২ ০৯:০২399457
  • আকা বোধহয় বলছ ডাক্তারদের জালিয়াতি রুখতে আমাদের আরো কড়া আইনকানুন দরকার। আমার এ বিষয়ে ধারণা নেই। কমনসেন্স বলে "আপনার কত টাকার মেডিক্লেম আছে?' বা 'চেম্বারের পাশের ল্যাব ছাড়া অন্য কোন ল্যাবের রিপোর্ট আমি দেখি না' গোছের কথাবার্তা একেবারেই অ্যাক্সেপ্টেবল না। এগুলো যদি আইনসিদ্ধ হয় তো অবশ্যই সে আইন পাল্টানো উচিত। একমত।
    তাছাড়া ডাক্তাদের 'এক্ষুণি ভর্তি করুন, ইমিডিয়েট অপারেশন না করলে বাঁচানো যাবে না' গোছের ঢপ দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালের দেওয়া টার্গেট মিট করার প্রয়াসও লক্ষণীয় । অ্যালগো লাগিয়ে তা ঠেকানো গেলে খুবই ভালো।
  • abastab | 14.139.163.29 | ০৮ মার্চ ২০১২ ১০:২২399458
  • দুনিয়া ভর আর সবার ঠকাবার রাইট আছে খালি ডাক্তারেরই নাই। বেচারি ডাক্তার! এই তালে প্রশ্ন করে নি, মাস্টারের ঠকাবার অধিকার আছে তো?
  • Tim | 98.249.6.161 | ০৮ মার্চ ২০১২ ১০:৫৮399459
  • শিবুদা,
    ওসব আমাগো লাইন লয়কো, আমাগো অইলো মাটি কাটার লাইন। :-)
    তোমার সাথে একদিন বসতে হবে। কভি না কভি...
  • dukhe | 117.194.238.221 | ০৮ মার্চ ২০১২ ১২:৫২399460
  • অবাস্তব আবার সবার ঠকাবার রাইট কোথায় খুঁজে পেল ? নতুন কোন আইন নাকি ? কত কীই যে খবর রাখি না।

  • kc | 194.126.37.78 | ০৮ মার্চ ২০১২ ১৩:১৯399462
  • ঠাকুর বলেছিলেন, ""যত মত তত পথ''
    ঠাকুর অতি অবশ্যই বনহুগলীর উঁচু বাড়িতে পা গলাতে পারা লোকেদের দেখে কয়েছিলেন।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২১:২৪399463
  • আসুন একটু ডাক্তারদের জুতো পায়ে গলিয়ে দেখি।

    রোগী এলেন কোমরে ব্যথা। ব্যাথা তো অনেক কারণে হয়। খুব কমন যাকে ডিস্ক সরে যাওয়া বা সায়াটিকার ব্যথা বা খুব ডেঞ্জারাস ক্যান্সার অবধি যা খুশী হতে পারে। ডাক্তার মানে ম্যাজিশিয়ান নয়। ডায়গনসিস করতে হলে কিছু একটা হতে পারে। ভেবে দেখলাম দুইরকম স্ট্র্যাটেজি হতে পারে।

    ১। সব টেস্ট করিয়ে টরিয়ে নিয়ে নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করা ঠিক কি হয়েছে? তাও সব সময়ে পুরো নিশ্চিত হওয়া যায় না কারণ যে যন্ত্রের বা পরিবেশে টেস্ট হচ্ছে তার ইনহেরেন্ট এরর ফ্যাক্টর রয়েছে।

    এতে প্রচূর টাকা খরচ হয়, এবং তারপরেও কনক্লুসিভ কিছু নাও পাওয়া যেতে পারে।

    ২। খানিকটা দেখে শুনে নিজের জাজমেন্ট কাজে লাগিয়ে দেখা কি রেজাল্ট হয়।

    এতে পয়সা বাঁচল কিন্তু আপনি কিছু মূল্যবান সময় নষ্ট করলেন।

    আমি নিজে ১ নং স্ট্র্যাটেজির পক্ষপাতী। যদিও আপফ্রন্ট পয়সা খরচ হয় তবুও আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি - কস্ট অফ প্রিভেনশন অর আর্লি ডিটেকশন ইজ মাচ লেস দ্যান কস্ট অফ কিওর। খুব সোজা কথায় আমি রিস্ক এলিমিনেট করতে চাই। এতে করে এক ডাক্তার যদি আমাকে কিছু অযথা টেস্ট করায় আমি খুব কিছু মনে করি না।

    তা লেখার মধ্যে এত ছেদ পড়ল যে চিন্তাগুলো ছেঁড়া ছেঁড়া। মোদ্দা কথা ডাক্তার যখন টেস্ট করাতে দেয় তখন শুধুই খানিক বেওসা করে নেবে বলেই যে দেয় এমনটা সব সময়ে নয়। ধরা যায় এক্সেটেনসিভ অ্যানালিসিস দিয়ে। এদেশে সেসব করে মেডিকাল ফ্রড ধরতে। আর ধরতে পারলে কড়া মেজার নেয়। তাতেও হয়।
  • aranya | 144.160.226.53 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২১:৪৫399464
  • এই বনহুগলী-টা কি ব্যাপার - সেখানে কি উঁচু, উঁচু আর বেজায় দামী সব বেসরকারী হাসপাতাল হয়েছে, যেখানে বড়লোক ছাড়া কেউ পা গলাতে পারে না?
    পিছিয়ে পড়ছি :-(
  • aranya | 144.160.226.53 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২১:৫৫399465
  • আমার ইন জেনেরাল মনে হয় কলকাতায় এবং প: বঙ্গে আমজনতার বেশী উপকার হবে যদি সরকারী হাসপাতাল, হেলথ সেন্টার ইত্যাদিকে ইমপ্রুভ করার চেষ্টা হয়, বিশেষত: কলকাতার বাইরে যে সরকারী হেলথ নেটওয়ার্ক আছে, বিভিন্ন মফস্বল শহরে, গ্রামে ইত্যাদি।
    বেসরকারী হাসপাতাল/ নার্সিং হোম একটু পয়সাওলা লোকের উপকারে আসে ঠিকই, কিন্তু বেশীর ভাগ মানুষ ই তো গরীব, আর্থিক সামর্থ্য নেই। পিজি-তে শুনলাম চারটে বেডের জন্য ৫০০ জন ওয়েটিং লিস্টে !!
    আদর্শবাদী নন প্রফিট বেসরকারী উদ্যোগ, যেমন বেলুড়ের শ্রমজীবি হাসপাতাল ই: খুবই ভাল ব্যাপার কিন্তু এগুলো প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম, আসল কাজ সরকারকেই করতে হবে।
  • Sibu | 74.125.59.177 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২২:০৯399466
  • তিমি,

    পশ্চিম সৈকতে চলে এস। বেড়ানো হবে, আড্ডাও হবে।
  • Tim | 198.82.17.223 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২২:৩০399467
  • সে আর বলতে। লিচ্চয় লিচ্চয় :-)
  • Lama | 117.194.233.98 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২২:৩৯399468
  • বনহুগলির কেসটা কি?
  • kc | 178.61.96.29 | ০৮ মার্চ ২০১২ ২২:৪৬399470
  • বনহুগলী যাও / খুদ জান যাও।
  • aka | 168.26.215.13 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০২:৫৪399471
  • আরও একটা কথা মনে পড়ে গেল। আমাদের সুমিত ডাক্তার বলেছিল।

    অপারেশন সেরে টেরে দেখা গেল সন্ধ্যে সাতটা বাজে। অপারেশনের পরেই তো পটাশিয়াম, সোডিয়াম লেভেল দেখার দরকার পড়ে। কিন্তু পাব্লিক হাসপাতালের সেই ইউনিট তো ""নিয়ম"" অনুযায়ী বিকেল ৪টে তে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। উপায় সুমিত ডাক্তার বলল অমুক পাড়ায় তমুক ল্যাব থেকে করিয়ে আনুন, আমার নাম বলবেন তাড়াতাড়ি করে দেবে। আসলে ডাক্তার কিন্তু নিজের মতন একটা ব্যাকাপ ব্যবস্থা করেছে যা আমাদের কাছে পার্সিভড হল দেখেছো মাল্লু কামানোর কল। এই তো অপারেশন হল, কি দরকার এত সব টেস্ট করার? বা কেনই বা ঐ পার্টিকুলার ল্যাব থেকে করতে হবে? নিশ্চই সাঁট আছে।

    আবার অনেক সময়েই প্রচূর ল্যাব আছে যাদের রেজাল্ট ভুলে ভরা থাকে কিছু তাদের হিউম্যান এরর, কিছু বাজে, পুরনো যন্ত্রপাতির নিজস্ব এরর। ডাক্তারের নিজস্ব পছন্দের জায়গা থাকে শুধুমাত্র সেখানকার রিপোর্ট কোয়ালিটি অন্য জায়গার থেকে বেটার বলে।

    তাই সব সময়ে শুধু যে মাল্লু খেঁচার জন্যই ডাক্তাররা পার্টিকুলার ল্যাবে পাঠায় তা ঠিক নয়। এসব কারণও আছে।

    আবার অন্যদিকে কেউ কেউ যে অর্থপিশাচ হয়ে এসব ফ্রডও করে না তাও নয়।

    মাথা ব্যথা হলে মাথা কাটার আগে একটু ভাবতে হবে নইলে ডাক্তার বলল যেখান থেকে খুশী টেস্ট করুন, আমিও খুশী, সবথেকে চিপ জায়গা থেকে টেস্ট করালাম তাতে করে ভুল রেজাল্টের জন্য যেখানে আর্লি ডিটেকশন সম্ভব ছিল সেখানে গুরুত্বপূর্ণ সময় নষ্ট হল।

    ভাবনা চিন্তার অবকাশ আছে কমরেড।
  • abastab | 14.139.163.29 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৮:০৪399473
  • হক কথা। আর এ বাজারে সবাই সবাইকে সুযোগ পেলেই ঠকায় সেটাই দস্তুর, খালি ডাক্তাররে দোষ দিয়া লাভ নাই। যে যার অবজেক্টিভ ফাংশন ম্যাক্সিমাইজ করে যাও।
  • kd | 59.93.246.235 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৯:২৫399474
  • কিন্তু কলকাতার বাজারে এন্টেরোকুইনল যে পাওয়া যাচ্ছে না, তার কী হবে? নিয়ারেস্ট প্লেস অ্যাভেলেব্‌ল - আমতলা। সেখানকার স্টকও কদ্দিন থাকে দেখা যাক। বেহালা, ঠাকুরপুকুর তো দু'হপ্তা আগেই শেষ।

    পেটরোগা বাঙালীর জীবনে সমস্যার কী কোন অন্ত আছে?
  • ppn | 112.133.206.22 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৯:২৭399475
  • এখনো ব্যান হয়নি?

    তবে বললে হবে? বহুত কাজের জিনিস। নইলে রাস্তাঘাটে "একটু আসছি' বলার জো-ও থাকে না।
  • Ishan | 50.82.180.165 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৯:৩৫399476
  • এটাও অ্যানেকডোট। আমার এক প্রিয়জনের টানা জ্বর হচ্ছিল। কমার পর ডাক্তার টেস্ট করতে বললেন। নামী জায়গায় টেস্ট হল। হবার পর দেখা গেল ফুসফুসের নিচে জল জমেছে। ডাক্তার দেখে সন্দেহ করলেন, কিন্তু কনফার্ম করার জন্য আরও টেস্ট দিলেন। সেসব করে কিছু পাওয়া গেলনা। তখন অন্য আরে জায়গায় প্রথম টেস্ট টাই আরেকবার করা হল। এবার আর কিছু পাওয়া গেলনা।

    এবার ডাক্তার যদি পরের বার রোগীকে বলেন, ওমুক জায়গায় না গিয়ে ওমুক জায়গায় যান, সেটা কি কর্ম হবে? গোদা অর্থে অনুচিত। আবার সূক্ষ্ম অর্থে বেশ উচিত কাজ। খামোখা ভুলভাল জায়গায় টেস্ট করিয়ে টাকা খরচা করা কেন?

    ফলে অ্যালগো ট্যালগো দিয়ে হওয়া চাপ। এ যে কি ঘাঁটা বস্তু, কোথায় যে শুরু আর কোথায় শেষ, বোঝা কঠিন। অবশ্য চিকিৎসা কেন, কোন সিস্টেমটাই বা ঘাঁটা নয়।
  • pi | 128.231.22.249 | ০৯ মার্চ ২০১২ ০৯:৪৭399477
  • ফ্রড ধরার জন্য সরকারি একটা সেল আছে। ছিল হয়ত আগেই, কিন্তু এখন সেটাকে আবার ঝাড়পোঁছ ক'রে কাজ শুরু করার চেষ্টা হচ্ছে। অন্তত: সেরকমি শুনলাম। কী কী ধরণের ফ্রড ধরা হয়, তার কিছু উদা: শুনছিলাম। এই যেমন, ডায়ারিয়া হয়েছে, যেখানে কেবল ওআরেস দেবার কথা, সেখানে বহু টাকার অ্যাণ্টিবায়োটিক প্রেসক্রাইব করা হয়েছে। ( প্রসঙ্গত: এক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়োটিক কেন অপ্রয়োজনীয়, কোন কোন ক্ষেত্রে কী চিকিৎসা হওয়া 'উচিত' এবং তা না হয়ে কী হয়, তাই নিয়ে 'স্বাস্থ্যের সন্ধানে' পত্রিকাতে একটা বেশ ভাল লেখা বেরিয়েছে। শ্রমজীবী হাসপাতালের উদ্যোগেই পত্রিকাটা বের হয়। কয়েকটা ইস্যু বেশ ভাল লাগল)। এক্ষেত্রে সারপ্রাইজ ভিসিট প্রেসক্রিপশনের কপি দেখে ডাক্তারকে ধরা, শাস্তি দেওয়া ইত্যাদি।
    দুটো ওয়েবসাইটের সন্ধানও দিয়েছিলেন, যেখানে অভিযোগ জানানো যায়।
    তবে , যেটা বলছিলেন, এক তো সমস্যা হল, সর্ষের মধ্যেই ভূত। মানে, ঐ যা হয়, পুলিশের মতন এই হেল্‌থ ইন্সপেক্টররাও অনেক সময়ই...
    আর দুই, লোকবল কম হওয়া। এই 'নজরদারি' র ব্যাপারে সেরকম গুরুত্ব আরোপিত না হওয়া ইত্যাদি।
    এই 'নজরদারি' নিয়ে সরকারকে আরো চাপ দেওয়া উচিত ইত্যাদি :)

  • pi | 128.231.22.249 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১০:০১399478
  • এধরণের অনেক কেসই অ্যালগো ছাড়াই ধরা যায়। এগুলোও ঠিকঠাক করে সর্বত্র করলে অনেক উপকার হয়।
  • dukhe | 202.54.74.119 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১০:১৩399479
  • আকা কি বলতে চাইছে এখনও বুঝি নাই। কলকাতার ডাক্তার আসলে ভগোমান (বা নিদেনপক্ষে অবতার), পাপ মন নিয়ে তাঁদের আচরণ বুঝতে যাওয়া উচিত না - এইটা ?

    দ্যাহেন, ওসব হাজার কারণ থাকতেই পারে, রায়-ত্রিবেদীর বদলে পাড়ার ল্যাবের ওপর ডাক্তারের বেশি আস্থা থাকতেই পারে, ডাক্তার 'কত টাকার মেডিক্লেম' জিজ্ঞেস করছেন মানে রোগীর সুবিধেমত অপ্টিমাল প্ল্যান করে দেবেন - তাও হতে পারে। বেসরকারি হাসপাতাল রোগী ঢোকামাত্র 'হসপিটাল পলিসি' বলে পঞ্চাশখানা টেস্ট করছে মাল্লু কামাতে নয় - রগীর সম্পূর্ণ ইভ্যালুএশন জরুরি বলে, মৃত রোগীকে ভেন্টিলেটরে রাখছে মানে সত্যিই আশা করছে যে সে বেঁচে উঠবে ইত্যাদি ইত্যাদি। তো সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে সমস্যা আর কোথায় ?

    অবাস্তবের যুক্তিটা তাও বুঝি। দুদিনের যিবন - সবাই সবাইকে ঠকাতে ভবে আসা, ডাক্তার বলে ছাড়বি কেন রে পাগলা ? টুপির বেওসা দীর্ঘজীবী হোক।
  • kd | 59.93.246.235 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১০:২১399480
  • আমিও ব্যান হয়নি শুনে আশ্চর্য হয়েছিলুম। কিন্তু যা শুনলুম, মুখে মুখে পাবলিসিটি হ'লেও সরকারী কোন দরখাস্ত পড়েনি। কারণ হিসেবে জানলুম, তেমন কোন কেস দাঁড় করানো যায়নি (একমাত্র বিদেশে ব্যান, এ ছাড়া - আর এদেশের সরকারের রেকর্ড আছে পরের মুখে ঝাল না খাওয়ার - যেমন অ্যাসবেস্টস ব্যান)। মানে যেমন সব কারণ নিয়ে কমপ্লেন, তেমন কারণে কলকাতায় প্রচলিত ৯৯% ওষুধই নাকি ব্যান করতে হয়। আসলে নাকি বড় বড় ফার্মাগুলো একটা ছোট বাঙালী কোম্পানি খুব কম দামে একটি এফেক্টিভ ওষুধ আম আদমীর জন্যে বিক্রি করছে, নিতে পারছে না - তাই নেগেটিভ ক্যাম্পেন করে মারার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এখন হয়তো অন্য রকম স্কুইজ শুরু হয়েছে।

    সবই আমার শোনা কথা। আমি নিজে যে কোনো অচেনা ওষুধ খাওয়ার আগে নেট ঘেঁটে জানার চেষ্টা করি - আমার বৌএর কাছেই শেখা। আমেরিকায় ডাক্তারেরা ফার্মা কোম্পানির সেল্‌সপার্সন ছাড়া আর কিছু নয় - এটা আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ছিলো। এন্টেরোকুইনল নিয়ে ঘেঁটে যা দেখেছি, আয়োডিন না সইলে বা কিছু কিছু প্রি-এক্সিস্টিং কন্ডিশন থাকলে এ ওষুধ ঠিক না। আর প্রোলঙ্গড ব্যবহারও ক্ষতিকারক। এখন এমন ব্যাপার কোন ওষুধের নেই?

    কথায় বলে, যদি করো বাংলায় বাসা, সঙ্গে পাবে ভরপেট আমাশা। এতো বড় মার্কেট পাওয়ার জন্যে কোটি কোটি টাকা খরচা করা হবে, আশ্চর্যের না।

    এ'সব ব্যাপারে আমার বিদ্যে খুবই কম, অবিস্যি কোন ব্যাপারেই বা বেশী? কিন্তু গুরু'তে তো বেশ কয়েকজন আছেন যাঁরা দুধ কা দুধ, পানি কা পানি করে দিতে পারবেন। একটু এগিয়ে আসুন না।

    ও হ্যাঁ, সুমিত তো পেটেরই ডাক্তার। মনে থাকলে ওকে এ'নিয়ে জিগাতে হবে।

  • dukhe | 202.54.74.119 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১০:৩৩399481
  • আরেকটু ক্লারিফাই করি। আকার বক্তব্য অস্বীকার না করেও যেটা বলছি - অনেক কেস আছে যেখানে ডাক্তার জেনেবুঝেই রোগীকে ঠকানোর চেষ্টা করছে - সে কলকাতার চিকিৎসার চক্করে পড়লেই জানা যায়। ডাক্তার - ওষুধ কোম্পানি - ল্যাব - মেডিকাল রিপ্রেজেন্টেটিভ - হাসপাতাল ইত্যাদি ইত্যাদি মিলিয়ে যে চক্র, সেটা অস্বীকার করতে হলে রাজনীতিক হতে হয়। তো এইগুলো অ্যালগো লিখে আটকানো গেলে খুবই ভালো, তবে ঈশান আবার বলছেন সেটাও চাপ।
  • shola the mackem slayer | 121.241.218.132 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১০:৫৪399482
  • অ্যালগো চালানোর জন্যে ইনফ্রাস্ট্রাকচার লাগে। গত কয়েকমাস ধরে মেডিকেল ডেটা নিয়ে কাজ করছি বলে কিছুটা আইডিয়া হয়েছে - এতরকমের ডেটা বোধ হয় আর কোনো স্ট্রীমে নাই, ভারতে তো আরো ভয়ঙ্করভাবে varied সবকিছু।

    ডাক্তার-ওষুধ-দামী ওষুধ-ফার্মাসি চক্রটা অ্যালগো লিখে ভাঙা যায়, যদি সেই ইনফ্রাস্ট্রাকচার থাকে। NHS-এ ডাক্তার জেনেরিক নাম ছাড়া ওষুধ প্রেসক্রাইব করতেই পারে না - অ্যালগোতে আটকায়। তো সেইটা করতে গেলেও এখানে ডাক্তারি ব্যবস্থার মধ্যে এই অ্যালগো আর তার জন্যে জরুরী ইনফ্রাস্ট্রাকচার আনতে হবে। নয়তো কিস্যু হবে না।

    এখনো অবধি সেটাকে এখানকার কনটেক্সটে লাইটইয়ার দূর বলে মনে হয়।

    অ্যালগো দিয়ে আর কী কী করা যায়, বা অন্য কোথায় কী হয়েছে (হেলথকেয়ার ম্যানেজমেন্ট, মেডিকেল ইনস্যুরেন্স ফ্রড থেকে পেশেন্ট মনিটরিং আর ডিসিশন মেকিং অবধি) সে লিস্ট না হয় দিয়ে দেওয়া যাবে। নিজেরাও খুঁজে নিতে পারেন কয়েকটা কী-ওয়ার্ড দিয়ে সার্চ করে। কিন্তু সেগুলো মনে হয় আরো কয়েক লাইটইয়ার দূরে - এখানকার কনটেক্সটে - বিশেষ করে যখন reachability-র কথা বলা হয়।
  • pi | 128.231.22.249 | ০৯ মার্চ ২০১২ ১১:০৮399484
  • হেল্‌থ আইটি নিয়ে আই আই টি কানপুর সঞ্জয় গান্ধী ইন্সটিটিউটের সাথে কাজ করে।
    তামিলনাড়ুতে হেল্‌থ আইটি মোটামুটি ঠিকঠাক শুনেছি। অন্তত: ওষুধপত্তরের রেকর্ড ইত্যাদি। এটা হওয়া খুব দরকার। এখানে মেজরিটি কেস ইলেক্ট্রনিকালি ডকুমেন্টেডই থাকেনা। মেডিক্যাল রিসার্চের ( যেটা আরেকটা খুব প্রয়োজনীয় কিন্তু নেগলেক্টেড এরিয়া)জন্যও বিশাল প্রতিবন্ধকতা।

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় মতামত দিন