এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • Smoking Ban - কেন ঠিক ? কেন ভুল ?

    Samit
    অন্যান্য | ০৩ অক্টোবর ২০০৮ | ২৫৯৪৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • dukhe | 117.194.230.132 | ২১ জুলাই ২০০৯ ২৩:৫৮406829
  • সভ্য সমাজে তো এটাই এক্সপেক্টেড ।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ জুলাই ২০০৯ ০১:২৪406830
  • বিড়ি খাওয়া বুঝি অসভ্য কাজ? :)
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২২ জুলাই ২০০৯ ০১:৪৬406831
  • হ্যাঁ যা বলছিলাম। দ্রি যেটাকে সফট পাওয়ার বলছেন, ফুকাল্টিয়ান টার্মিনোলজিতে সেটাই ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার। যেখানে মানুষকে ডিসিপ্লিন করা হয়, কিন্তু (সেভাবে) জোর করা হয়না। জোর না করেও মানুষকে প্যাটার্নে ফেলার অনেক রাস্তা আছে।

    যথা, এক। ফিজিকাল সার্ভিলিয়েন্স একটা রাস্তা। এখানে শুধু যে হাটে-বাজারে ক্যামেরা বসিয়ে নজরদারি করা হয় তাই নয়, বরং আপনার পাড়া-প্রতিবেশী বর/বৌ-সন্তান আপনার উপর নজর রাখে। পিয়ার প্রেশার যারে কয়।

    দুই। বিজ্ঞাপন আরও একটা রাস্তা। পাতি ছেলেভোলানো স্লোগান এখন উঠে গেছে। তার জায়গায় এসেছে চমৎকার বিজ্ঞাপন। মানুষের বুদ্ধিবৃত্তি হৃদয়বেত্তার সূক্ষ্‌নতম জায়গাগুলোকে কিভাবে ধাক্কা দিতে হয়, সেই টেকনোলজি এখন করায়ত্ব।

    তিন। মোস্ট ইম্পর্ট্যান্টলি, দ্রি যেটাকে এড়িয়ে গেছেন, সেটা হল "বিজ্ঞান'। "বিজ্ঞান' একটা খুব বড়ো রাস্তা। বিজ্ঞানকে বা সত্যকে এখন ম্যানুফ্যাকচার করা হয়। ম্যানুফ্যাকচার বলতে কেউ আবার দিলপে নেবেন না। ম্যানুফ্যাকচার মানেই ঢপ না। "সত্য' বা বিজ্ঞান মূলত: প্রেজেন্টেশন, আর ম্যানুফ্যাকচারিং হয় প্রেজেন্টেশনটার। আর লোকে বিজ্ঞান শিক্ষায় বলীয়ান হয়ে বা আলোকিত হয়ে নিজের উপরে নিজেই নজর রাখতে শুরু করে। ফুকো যাকে বলেছেন রিফ্লেক্সিভিটি অফ সেল্ফ অন সেল্ফ।

    তা, এই তিনটে জিনিসই ধূমপান-বিরোধিতায় নামানো হয়েছে। আমেরিকাতে তো হয়েইছে। দ্রি, আমি সব্বাই সেটা অবসার্ভ করেছি। এখানে কোনো মতবিরোধের জায়গাই নেই।

    মতবিরোধটা আসলে অন্য জায়গায়। দ্রি ধরে নিয়েছেন, যে, এই পদ্ধতিটা ঠিকই আছে। এবং সেটাই ভারতেও প্রয়োগ করা উচিত। ফুকো ও তাই বলেছেন। যে, ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার মানুষকে মূলত: এমপাওয়ার করে। স্বাস্থ্যবিধি বা বিজ্ঞান, বা বিজ্ঞাপন, সব আসলে মানুষকে আরও এফিশিয়েন্ট করে তোলে। অপ্রেস করেনা। ফুকো ধূমপান নিয়ে কিসু লেখেন নি, কিন্তু ধূমপানের ক্ষেত্রেও তাইই বলতেন, আন্দাজ করেই নেওয়া যায়।

    অন্যদিকে আমি, সোজা বাংলায় বলছি, যে, দ্রির সফট পাওয়ার, বা ফুকোর ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার, এরা আসলে ততটা মসৃণ ভাবে চলতে পারেনা। জায়গায়্য জায়গায় হোঁচট খায়। ভেন্ডার কামরার উদাহরণ দিয়েছিলাম। ভারতের হাট-বাজারের কথাও বলতে পারি। বা আদিবাসীদের চুটা ফোঁকার কথা। এইসব জায়গায় "বিজ্ঞান' নিয়ে পৌঁছতে গেলে ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের গায়ে যা গত্তি দরকার তা তার নেই। ভেন্ডার কামরায় সাস্থ্যবিধি নিয়ে পোঁছতে গেলে সব লোককে আগে ইশকুলে পাঠাতে হবে, ট্রেনের কামরাকে করে তুলতে হবে মনোরম, মানে তৃতীয় বিশ্বকে প্রথম বিশ্বের কাছাকাছি পৌঁছে দিতে হবে। ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার সেটা এই মুহূর্তে পারবেনা। অতএব, সে আপোষ করবে। আইনী বা বে আইনী পদ্ধতিতে। খোলাখুলি বা টেবিলের নিচে। এইটা হতে বাধ্য। সে ফুকো যাই বলে থাকুন না কেন।

    আর টোবাকো কোম্পানি? তাদের তো প্রফিটের লোভ আছেই। কিন্তু সেটা এখানে আদৌ বড়ো কোনো পয়েন্ট না। একটা অ্যানালজি টানি। ধরুন বাচ্চাদের কচিবেলার স্টাডি মেটিরিয়াল নিয়ে সারা দুনিয়ায় নির্ঘাত বিলিয়ান ডলার ইন্ডাস্ট্রি আছে। তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থও আছে। কিন্তু সার্বিক সাক্ষরতা নিয়ে যখন কথা বলি আমরা, তখন তো এই বিলিয়ান ডলার ইন্ডাস্ট্রির পক্ষে বা বিপক্ষে কিছু বলিনা। কারণ দুটো আলাদা প্লেন। একইভাবে, এখানেও একটা ধারণা কিভাবে চারিয়ে যাচ্ছে, সে নিয়ে কথা বলছি। প্রফিট মেকিং টোবাকো কোম্পানি নিয়েও নির্ঘাত কথা বলব অন্য কোনো জায়গায়। কিন্তু দুটোকে একসঙ্গে জড়িয়ে ফেললে, এই আলোচনাটা ঘেঁটে যাবে।
  • dukhe | 122.160.114.84 | ২২ জুলাই ২০০৯ ০৯:৪০406832
  • আহা - অসভ্য কাজ হবে কেন ? ওটা বিড়িখোরদের খ্যাপানোর জন্য বলা । :)
    চলুক চলুক ।
  • Bratin | 117.194.97.118 | ২৩ জুলাই ২০০৯ ০০:১২406833
  • বাহ, অনেক র মত পড়লাম। আমার বক্তব্য এই রকম....

    প্রথমে ধূমপায়ী হিসাবে নিজের অবস্থান টা পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো।

    BSc পড়া র সময় প্রথম সিগু সেবন করি।সেই সময় প্রচুর খেতাম(পান) করতাম। দিনে দেড় থেকে দু প্যাকেট ও খেয়েছি। MSc সময়ে ও সেই রেট বজায় ছিল। তারপরে আস্তে আস্তে ছেড়ে দি।এখন বন্ধু রা থাকলে মাঝে মাঝে খাই।তবে কোন নেশা নেই।

    ব্যক্তি স্বাধীনতা নিয়ে dri খুব সুন্দর কথা বলেছেন।তবে আমার মত হল নিজে খাবেন খান; পান করা শরীরের জন্যে ভালো নয় জেনে ই খাচ্ছেন। তবে 'কোন ভাবেই' অন্য দের ধূমপানে বাধ্য না করা। আমি নিজে অটো,ট্রেন,বাসে এ তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি ধূমপানের বিরুদ্ধে। success rate ৮০% বলা যেতে পারে।
  • dri | 117.194.226.12 | ২৩ জুলাই ২০০৯ ০৯:৩৯406834
  • ফুকো নিয়ে বেশী কপচাব না। এখন ফুকো শুরু করলে ধূমপান মাথায় উঠবে। খুব ছোট করে, ফুকোর মূল কাজ প্রিজ্‌ন নিয়ে। ফুকোর বাবা প্রিজনে কাজ করতেন। সেই সুবাদে ওনার প্রিজ্‌ন সংক্রান্ত অনেক ডকুমেন্টের অ্যাকসেস ছিল। মিডিয়াভেল পানিশমেন্টের সাথে এখনকার দিনের পানিশমেন্টের তুলনা তিনি করেছেন তার স্টাডিতে। ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার কথাটা সেই সূত্রেই এসেছে। বিজ্ঞানী, বিশেষ করে সাইকোলজিস্টের কথাও বলেছেন এই প্রসঙ্গে। কিভাবে শাস্তির টার্ম সাইকোলজিস্টের কথায় (একজনকে পাগলের সার্টিফিকেট দিলে) বদল হতে পারে, এইসব আলোচনা করে বিজ্ঞানীদের পাওয়ারের কথা বলেছেন ডিসিপ্লিনারি সেন্সে। কিন্তু বিজ্ঞাপণের কথা ফুকো কোথাও আলোচনা করেন নি। এখন এটাকে তুমি বা অন্য কোন ফুকো এনথুসিয়াস্ট ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার বলতেই পারো (মে বি রকমের সিমিলারিটি থেকে)। আমার এ ব্যাপারে একটু কিন্তু কিন্তু আছে। ডিসিপ্লিন কথাটা সাধারণভাবে পিউনিটিভ সেন্সে ব্যবহার করা হয়। ফুকো জেলখানার এক্সপার্ট। ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার কথাটা উনি একটা বিশেষ প্রসঙ্গে ব্যবহার করেছিলেন। বিজ্ঞাপণে সাধারণভাবে এর সাথে অনেক মিল থাকলেও ঠিক ডিসিপ্লিনের সেন্সটা নেই। তাই আমি একটু অন্য টার্ম ইউজ করার চেষ্টা করেছি। আর একটা ব্যাপারে একটু ভিন্নমত পোষণ করছি। ফুকো বলেছেন ডিসিপ্লিনারি পাওয়ারের ব্যবহার করা ভালো। এ কথা যে সত্যি নয় সেটা তুমি আমার অনেকদিন আগে দেওয়া ফুকো চমস্কির ডিবেটের ফুটেজটা দেখলে আন্দাজ পাবে। ওখানে ফুকো বলেছিলেন, যে একটা অ্যানার্কিস্ট আইডিয়াল সোসাইটি কেমন হবে সে নিয়ে তিনি নিশ্চিত নন, কিন্তু একজিস্টিং পাওয়ার স্ট্রাকচারে স্টেটের বাইরেও অনেক পাওয়ার আছে, যেমন এডুকেশান সিস্টেম (স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি), সাইকিয়াট্রি, জুডিশিয়ারি, এদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে।

    এইবার স্মোকিং এবং বিজ্ঞাপণ। এই আমেরিকাতেই সিক্সটিজে খুব বেশী পরিমাণে স্মোকিং এবং গাঁজা পুশ করা হয়েছিল, থ্রু বিজ্ঞাপণ। এখন আবার উল্টো। এখন আমেরিকায় অ্যান্টি-স্মোকিং বিজ্ঞাপণ দেখানো হয়। ফলও হয়েছে হাতেনাতে। আমেরিকার বদলে এখন স্মোকিং পুশ করা হয় সাউথ কোরিয়ায় (জাস্ট একটা একজাম্পল)। তার ফলও হয়েছে হাতেনাতে। স্মোকিং রেট প্রচন্ড হাই। অতয়েব, এই বিজ্ঞাপণ, একে তুমি সফ্‌ট বা ডিসিপ্লিনারি যে পাওয়ারই বল, এটা দিয়ে কিন্তু দুটো দিকই অ্যাচিভ করা যায়। একটা জেনারেশান অফ স্মোকার তৈরী করা যায়। আবার মোটামুটি স্মোক ফ্রি জেনারেশানও তৈরী করা যায়। আমি বলতে চাইছি এটা শুধু আমেরিকায় স্মোকিং বিরোধী ক্যাম্পেনেই ব্যবহার হয়েছে এমন নয়।

    এরপর আসে অতয়েব কি করা উচিতের প্রশ্ন। এখানে এভ্রিবডি ইজ অন হিজ/হার ওন। কিন্তু আমি আমারটা বলি। অলরেডি বলেছি। ব্যক্তি স্বাধীন নয়। সাউথ কোরিয়ায় যখন স্মোক করছে তখনও নয়, আমেরিকায় যখন না করার ডিসিশান নিচ্ছে তখনও নয়। দুই ক্ষেত্রেই সে হেভিলি ইনফ্লুয়েন্স্‌ড হচ্ছে মিডিয়ার দ্বারা। এবং দুই ক্ষেত্রেই সে মনে করছে যে সে স্বাধীনভাবে তার ডিসিশান নিল, যেটা সত্যি নয়। ব্যক্তিস্বাধীনতার ফ্যান্টাসি মিডিয়ায় প্ল্যান্ট করা হয় ফ্রিডমের ইলিউশান তৈরী করার জন্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কারেন্ট সিস্টেমের গুণগান গাওয়ার জন্য, বা কিছু ক্ষেত্রে এমন একটা বদল ইঞ্জিনিয়ার করার জন্য যেটা এস্ট্যাব্লিশমেন্ট চায়। এইবার গিভেন দিস, কিসের ভিত্তিতে ডিসিশান নেওয়া হবে যে কোন দিকে মাস ইনফ্লুয়েন্সটা করা উচিত। সেটা ডিপেন্ড করবে এই দু রকম পাওয়ার অ্যাপ্লিকেশানের আউটকাম দুটোর মধ্যে কোনটা সোসাইটি বেশী ডিজায়ারেব্‌ল মনে করে। এই ক্ষেত্রে তো ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার লাগালে তাহলে ঐ ক্ষেত্রে কেন বিজ্ঞাপণ ব্যবহার করছ, এই ক্ষেত্রে তো টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রির বিরোধিতা করলে, ঐ ক্ষেত্রে কেন বইয়ের ইন্ডাস্ট্রির বিরোধিতা করছ না, এইসব বললে চলবে না। নিয়ম কিভাবে সেটাপ করা হবে, তার বেসিস হল, নিয়মটা অ্যাপ্লাই করে যে রেজাল্ট পাওয়া যাচ্ছে সেটা সমাজ চেয়েছিল কিনা।

    আমার প্রেমিস হল, স্মোক ফ্রি পৃথিবীতে নিশ্বাস নিতে সবারই (অধিকাংশেরই?) বেশী ভালো লাগে। এখানে অবশ্য ভোটাভুটির একটা ব্যাপার আছে। আপনারা প্রত্যেকেই নিজে নিজেকে প্রশ্ন করতে পারেন, কি রকম ঘরে বসে কাজ করতে আপনি বেশী পছন্দ করবেন, যে ঘরে ঢোকা মাত্র সিগ্রেটের গন্ধ নাকে এসে লাগে, নাকি এমন ঘরে যেখানে বাতাসটা পরিস্কার। অধিকাংশ মানুশই যদি ধোঁয়ায় নিশ্বাস নিতে পছন্দ না করেন, তাহলে সফ্‌ট পাওয়ার ব্যবহার করে ধোঁয়া কমানোর কথা ভাবা যেতে পারে।

    তবু, যারা অলরেডি স্মোকার তাদের ওপর খুব বেশী জোরজুলুম করাতে আমার মন করে না। স্মোকিংএর হ্যাবিট ভীষণভাবেই কম্পালসিভ। যখন খেতে ইচ্ছে করে তখন আর্জটা খুব স্ট্রং। তখন আপনি সিগ্রেটের দাস। এই ক্ষেত্রে ব্যক্তিস্বাধীনতার আইডিয়াটা ঠিক খাপে খাপে মেলে না। এবং এইখানেই সিগ্রেটের সাথে আর পাঁচটা প্রডাক্টের তফাত। সিগ্রেট কোম্পানীকে জাস্ট একটি ইয়াং ছেলেকে সিগ্রেটে হুক করিয়ে দিতে হয়। তার পর থেকে সারা জীবন (মোস্টলি) সে তার কাস্টমার থাকে। প্রথম নেশাটা ধরিয়ে দেওয়াই একমাত্র চ্যালেঞ্জ। তাই মাংস খাওয়া আর সিগ্রেট খাওয়ার নেচারটা এক নয়, ব্যবসাটাও আলাদা। বইয়ের ব্যবসায় প্রতিটা বইয়ের জন্য পাবলিশারকে ফাইট করতে হয় ক্রেতার মন পাওয়ার জন্য। সিগ্রেটে তা নয়। ইন ফ্যাক্ট দেখা গেছে যে ফ্রি মার্কেটের কমন রুলগুলোও সিগ্রেটের ক্ষেত্রে সেভাবে খাটে না। দাম বাড়ালেও কনজামশান সেভাবে কমে না। স্মোকারের সেটটাও মোটামুটি একই থাকে। শুধু স্মোকারদের বেশী পয়সা খরচ হয়। দাম বাড়ার কারণে সিগ্রেট ছেড়ে দিয়েছেন এরকম মানুষ হাতে গোনা। সিগ্রেট কোম্পানীর বিরোধিতা, গাঁজা ইন্ডাস্ট্রির বিরোধিতার জায়গাটা এইখান থেকে শুরু হয়। অন্যান্য দিকও আছে, যেমন মোনোপলি ইত্যাদি।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ০৯:৪৫406835
  • এক নং। ফুকো। যৌনতা থেকে পাগলামো হয়ে বিজ্ঞানের ডিসকোর্স হয়ে কারাগার ও শৃঙ্খলা পর্যন্ত পৃথিবীর প্রায় সব ইন্টারেস্টিং জিনিসেই ফুকো কাজ করে রেখেছেন। এখানে একটা ছোট্টো উদাহরণ দিই।

    এটা নিয়েছি "পাওয়ার/নলেজ' বই থেকে। উপ-শিরোনাম "বডি-পাওয়ার'। এখানে বিষয় হল কিশোরদের যৌনতা। তো, ফুকো দেখাচ্ছেন, অষ্টাদশ শতকের আগে ইউরোপে হস্তমৈথুনের উপর কোনো বিধিনিষেধ ছিলনা। কিন্তু তারপরে হঠাৎই দিগন্তে একটা আতঙ্কের চিত্র দেখা গেল, পশ্চিমী দুনিয়ায় হঠাৎই যেন দেখা গেল এক ভয়াবহ অসুস্থতা জন্ম নিয়েছে। কি সেটা? না, কিশোররা হস্তমৈথুন করে। তৎক্ষণাৎ এই যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার একটা ব্যবস্থা করা হল। কিশোরের যৌনতাকে চিহ্নিত করা, এবং কর্পোরাল পানিশমেন্টের মাধ্যমে তার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার একটা পদ্ধতি তৈরি হল। এই কাজে পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানটিকেও ব্যবহার করা হল। তৈরি হল, কঠোর শৃঙ্খলা, কঠোর নিষেধাজ্ঞা এবং কঠোর শাস্তির একটি পদ্ধতি। পারিবারিক উদ্যোগে না হলেও, তাদেরই মধ্যস্থতায় শিশুশরীরের উপরে যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার, যৌনতাকে চিহ্নিত করে কর্পোরাল পারসেকুইশনের সঙ্গে যুক্ত করার একটি পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়া হল।

    কিন্তু এই ধরণের নজরদারী অত্যন্ত অদক্ষ। প্রথমত: সর্বক্ষণ কিশোরদের চোখে চোখে রাখার জন্য লোক নিয়োগ করা প্রয়োজন। দ্বিতীয়ত: যৌনতাকে সুতীব্র নজরদারীর, কঠোর নিয়ন্ত্রণের আওতায় নিয়ে আসার পদ্ধতি, নিষিদ্ধ বস্তুর প্রতি ব্যক্তির আকাঙ্খাকে তীব্রভাবে বাড়িয়ে তুলতে পারে, যা এই ব্যবস্থার পক্ষে একটি বড়ো বিপদ। ফলে শরীর ক্রমশ: হয়ে ওঠে সংঘাতের কেন্দ্রবিন্দু। কিশোর ও তার বাবা-মার মধ্যে সংঘাত। কিশোর ও তার উপরে নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতির মধ্যে সংঘাত। নিয়ন্ত্রণ এবং খর্ব করার বিরুদ্ধে যৌন শরীরের বিদ্রোহ ক্রমশ: হয়ে ওঠে অনিবার্য একটি পরিণতি।

    এই অনিবার্য বিদ্রোহের বিপরীতে ক্ষমতা কি ব্যবস্থা নেয়? অধিকতর নিয়ন্ত্রণ? না। ক্ষমতা এর জবাব দেয় অর্থনৈতিক এবং মতাদর্শগতভাবে যৌনতার উপাখ্যানকে ব্যবহার করে। চামড়া ট্যান করার প্রোডাক্ট থেকে শুরু করে পর্নোগ্রাফি পর্যন্ত একটি বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে যায় এই ব্যবহারের সীমান্ত। যৌন নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে শরীরের যে বিদ্রোহ, তার জবাবে পাওয়া যায় এক সম্পূর্ণ নতুন ধরণের পদ্ধতির পিছনে বিপুল বিনিয়োগ। অবদমনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের বিপরীতে তৈরি হয় নতুন একটি ধারণা, স্টিমুলেশানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ। নগ্ন হও ক্ষতি নেই, ক্ষমতা বলে, কিন্তু তার আগে শরীরকে সুগঠিত করো, স্লিম করো, স্বাস্থোঙ্কÄল বানাও। এই স্লোগানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে আসে স্বাস্থ্যের "বৈজ্ঞানিক' সত্যগুলি (যেমন অতিরিক্ত মেদ/ওজন শরীরের পক্ষে খারাপ)। আসে প্লেজারের ধারণা। ফলে কিশোর নিজেই যেতে শুরু করে জিমে। নিজেই নজর রাখতে শুরু করে নিজের শরীরের উপর। এই ভাবে তৈরি হয় একটি সুদক্ষ নজরদারির ব্যবস্থা। একটি নিখুঁত প্যানপটিকন।

    এইটা পুরোটাই ফুকো থেকে তুললাম। নিখুঁত অনুবাদ নয়, ভাবানুবাদ বলা যেতে পারে। অন্য এক জায়গায় লিখেছিলাম, বেসিকালি টুকে দিলাম। ক্ষমতা সংক্রান্ত ফুকোর বক্তব্য এখানে ক্লিয়ার করেই বলা আছে।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ০৯:৫৮406836
  • এই ব্যাখ্যাটা আমার অতিসরলীকরণ মনে হয়। যে ছেলে জিমে যায়, সে কি হস্তমৈথুন করে না? আর হস্তমৈথুন ক্ষমতার কি এমন বাড়া ভাতে ছাই দিচ্ছিল যে তাকে কমানোর জন্যে এরকম অল-এনকম্পাসিং পরিকল্পনা এবং বিনিয়োগ করতে হবে? আর হস্তমৈথুন করলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় না - এটাও এখনকার শিক্ষিত ছেলেপুলেরা জানে বলেই আমার ধারণা। অন্তত: আগের চেয়ে অনেক বেশী লোক জানে।
  • pinaki | 131.151.102.250 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ১০:০১406837
  • আর কোনও মিডিয়া হাউস থেকে হস্তমৈথুনে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হওয়ার ধারণাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা হয়েছে বলে তো দেখি নি কখনো।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ১০:০৪406839
  • দুই নং। দ্রির বক্তব্য।

    দ্রির বক্তব্যে একটা বিরাট ফ্যালাসি আছে। বা স্ববিরোধ। বক্তব্যের প্রথম পয়েন্ট হল, "ব্যক্তি স্বাধীন নয়। সাউথ কোরিয়াতে যখন স্মোক করেছে তখনও নয়, আমেরিকায় যখন না করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তখনও নয়। দুই ক্ষেত্রেই সে হেভিলি ইনফ্লুয়েন্সড হচ্ছে মিডিয়া দ্বারা'। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    এটা একদম ঠিক কথা। ব্যক্তি কক্ষনো "স্বাধীন' ভাবে সিদ্ধান্ত নেয়না। বিড়ি খাওয়া বেসিকালি একটি স্টাইল স্টেমেন্ট, যাকে এককালে গ্লোরিফাই করা হয়েছে। লোকজন তাতে প্রবল ভাবে ইনফ্লুয়েন্সড হয়েছে। এবং এখন বিড়ি খাওয়াকে হেবি দুচ্ছাই করা হচ্ছে,লোকজন তাতেও ব্যাপকভাবে প্রভাবিত। এই হল সোজা বাংলা, যা, মেনে না নেবার কোনো কারণ নেই।

    এ পর্যন্ত ঠিকই ছিল। কিন্তু এর পরেই দ্রি যেটা বললেন, সেটা খুব কনফিউজিং। দ্রি লিখছেন-- "আমার প্রেমিস হল, স্মোক ফ্রি পৃথিবীতে নিশ্বাস নিতে সবারই (অধিকাংশেরই?) বেশী ভালো লাগে। এখানে অবশ্য ভোটাভুটির একটা ব্যাপার আছে। আপনারা প্রত্যেকেই নিজে নিজেকে প্রশ্ন করতে পারেন, কি রকম ঘরে বসে কাজ করতে আপনি বেশী পছন্দ করবেন, যে ঘরে ঢোকা মাত্র সিগ্রেটের গন্ধ নাকে এসে লাগে, নাকি এমন ঘরে যেখানে বাতাসটা পরিস্কার। অধিকাংশ মানুশই যদি ধোঁয়ায় নিশ্বাস নিতে পছন্দ না করেন, তাহলে সফ্‌ট পাওয়ার ব্যবহার করে ধোঁয়া কমানোর কথা ভাবা যেতে পারে।'

    ফ্যালাসিটা লক্ষ্য করুন।
    এক। লোকে "স্বাধীন' নয়। সে সিদ্ধান্ত নেয় "প্রভাবিত' হয়ে।
    দুই।কিন্তু স্মোক ফ্রি পৃথিবীতে নি:শ্বাস নিতে ভালো লাগে কি লাগেনা, সেটা ভোটাভুটি দিয়েই নির্ধারণ করে ফেলা যাবে। অর্থাৎ লোকে কোনটা চায়, সে নিয়ে "প্রভাবহীন', "স্বাধীন' ভাবে মতামত দিতে পারে।

    দ্রি এখানে পুরো জিনিসটাকে যেভাবে ফ্রেম করছেন, সেটা খুব ইন্টারেস্টিং। "আপনি কি ধোঁয়াহীন পৃথিবীতে থাকতে চান?' এই প্রশ্নের উত্তর চাইবার সময় ধরে নেওয়া হচ্ছে, লোকটি "স্বাধীন' ভাবেই উত্তর দিতে পারে। (এবং এই জেনেরিক প্রশ্নের উত্তরে কোন বাপের ব্যাটা আছে, যে বলবে, 'না চাইনা')। অন্যদিকে বিড়ি কি আপনি "স্বাধীন' ইচ্ছায় খেতে চান? এর উত্তর চাইবার সময়ে ধরে নেওয়া হচ্ছে লোকটি পরাধীন। এটা একটা পূর্বনির্ধারিত গেম। একে আমরা কনস্পিরেসিও বলতে পারি। ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলছে চলবে।:)

  • Ishan | 173.26.17.106 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ১০:১৭406840
  • আবার পিনাকিও চলে এসেছে। :)

    যাক ফুকোর পক্ষে বলার কিছু নেই আমার। তবু একটা ব্যাখ্যা দিয়ে দিই। হস্তমৈথুনটা জাস্ট উদাহরণ হিসেবে এসেছে। বেসিকালি বয়:সন্ধিকালীন যৌনতার প্রতীক হিসেবে এসেছে। বয়:সন্ধিকালীন যৌনতাকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হতো এবং হয়। নইলে ছেলেপুলে বখে যেতে পারে। অষ্টদশ শতকেও হত, আমাদের ছেলেবেলাতেও হয়েছে, এখনও হয়।

    অষ্টাদশ শতকে নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিটা ছিল, কড়া শাসন। নজরদারি। যেটা ভারতে, এমনকি আমাদের সময়েও কিছুটা ছিল (এখনও নির্ঘাত আছে)। অন্যদিকে বিংশ শতাব্দীর ইউরোপে নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতিটা বদলে গেছে। "মেয়েদের পিছনে পিছনে ঘুরোনা', "বিপরীত লিঙ্গের কথা ভেবোনা, আকৃষ্ট করার চেষ্টা কোরোনা, ছাত্রানাং অধ্যয়নং তপ:, অন্যদিকে নজর দিলে বখে যাবে', এসব উঠে গেছে। যৌনতা, এমনকি কিশোরবয়সেও আর কোনো ট্যাবু নয়। এখন বলা হয়, মেয়েদের আকর্ষণ করো, কিন্তু তার জন্য বাপু তোমার শরীরকে সুগঠিত হতে হবে। যাও জিমে। ডায়েট করো।

    তো, ফুকোর বক্তব্য হল, আসল কথা হল কিশোর/কিশোরীঋ শরীরের উপর নিয়ন্ত্রণ। সেটা অষ্টদশ শতকে মেরেধরে করা হত। এখন সেসব পাট তুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার মানে এই নয়, যে, নিয়ন্ত্রণ উঠে গেছে। সেই ছেলেকে আর মারতে হয়না ধরতে হয়না, সে নিজের উদ্যোগেই এখন নিজের শরীরকে সুগঠিত করে। কিশোর এখন "স্বাধীন', কিন্তু তার শরীরের উপর সমাজের নিয়ন্ত্রণ এখনো আছে। বরং তা অনেক ব্যাপক।
  • pinaki | 64.251.148.34 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ১০:৩৬406841
  • ও আচ্ছা। আমি আগে আর এক জায়গায় যখন তোমার এই লেখাটা পড়েছিলাম, তখন থেকেই এই প্রশ্নটা আমার মাথায় ঘুরছিল। এখন বুঝলাম হস্তমৈথুনটা আলাদা করে কোনও ইস্যু নয়।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ১০:৪০406842
  • নাঁ হঁয় এঁকটু বিঁড়িই খাঁই - কাঁরো পাঁকা ধাঁনে তোঁ মঁই দিঁই নাঁ - সেঁই নিঁয়ে এঁত তঁর্ক কঁরে সুঁখটাঁনে ব্যাঁগড়া দিঁবি বাঁবা? তোঁদের মঁনে এঁই ছিঁলো রেঁ? হাঁয় হাঁয় হাঁয়:-(((
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ২২:৩২406843
  • হ্যাঁ। কোনো সন্দেহ নেই, যে, এইসব করে, মানে মুক্ত খোলামেলা শরীরের স্লোগানই হোক, বা ধূমপান মুক্ত পৃথিবীর দৃঢ় অঙ্গীকারই হোক, এতে করে শরীরের উপর ক্ষমতার নজরদারি বাড়ানো হয়। ধরেন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পর যে বিকিনি বিপ্লব এল, তাতে কি আর মেয়েরা লিবারেটেড হল? এক রকম করে হল হয়তো, কারণ নিজের শরীরকে তলোয়ারের মতো ব্যবহার করার বিদ্যে তাদের করায়ত্ব হল। কিন্তু সেই লাভের জন্য বেচারিদের কতকিছু "স্ব ইচ্ছায়' করতে হল/হয় দেখুন। ফিগার ঠিক রাখতে তাদের জিমে দৌড়তে হয়। হপ্তায় মিনিমাম তিনবার। ক্যালরি যুক্ত খাবার বর্জন করতে হয়। মানে জীবন থেকে খাদ্যসুখ বিসর্জন। এতো আত্মত্যাগের বিনিময়ে তৈরি হয় "বিকিনি বডি'। না: কেউ মারেনা-ধরেনা, সব আত্মত্যাগই "স্বেচ্ছায়'।

    প্রশ্ন হল এতে করে খারাপ কিছু হয়েছে কি? খারাপ-ভালো মরাল কোচ্চেন। শুধু শরীরের এফিশিয়েন্সির দিক থেকে দেখতে হলে, ব্যাপারটা দিব্যি ভালো। শরীর খোলার জন্য শরীর সুগঠিত হয়েছে। টিন এজার দের ইশকুলে ঠেঙিয়ে-ঠেঙিয়ে আর "হেলথ ইজ ওয়েলথ' মুখস্থ করাতে হয়না। সুগঠিত শরীরের লোভে সব্বাই নিজে-নিজেই স্বাস্থ্যচর্চার বিধিগুলো মেনে চলে। (কেউ না মেনে চললে খোরাক হয়, পিয়ার প্রেসারে পড়ে, অনুশোচনায় ভোগে)।

    সবই ভালো, কিন্তু এতে করে একটা জিনিস আমরা লুজ করি, সেটা হল "স্বেচ্ছায়' ভাজাভুজি খাবার এবং মোটা থাকার অধিকার। "স্বেচ্ছায়' ইন এফিশিয়েন্ট, অকেজো হবার অধিকার। সেটা না থাকলে, পুরো ব্যাপারটাই কেমন একটা টোটালিটারিয়ান লাগে। নাইনটিন এইট্টিফোরের পশ্চিমী সংস্করণ মনে হয়। এই আরকি।
  • dri | 117.194.230.213 | ২৪ জুলাই ২০০৯ ২৩:০২406844
  • ও ঈশেন। আমার কথার ব্যাখ্যায় তুমি একি জিলিপির প্যাঁচ মারলে? এরম আর কক্ষনো কোরো না।

    আমি কখনোই বলছি না, কোন প্রশ্নের উত্তর কেউ স্বাধীন ভাবে দিতে পারবে। যা উত্তর দেবে সে সবই সে যা দেখেছে, পড়েছে, বুঝেছে তার নিরিখেই হবে। এই তুমি আর আমিও বেসিকালি অন্যদের ওপিনিয়ান ইনফ্লুয়েন্স করারই চেষ্টা করছি। কিন্তু তুমি যে ব্যবস্থাই নাও সেটা হবে। তুমি যদি ঠিক কর, টোব্যাকো ইন্ডাস্ট্রি ক্যান রান লুজ, তাহলে তুমি একটা আউটকাম পাবে। না করলে তুমি একটা অন্য আউটকাম পাবে। এবং এইখানে দাঁড়িয়ে তোমায় ডিসিশান নিতে হবে তুমি কোনদিকে যাবে। তোমার ডিসিশানকে স্বাধীন হতে হবে এমন মাথার দিব্যি কেউ দেয়নি। তুমিই বলে দাও তুমি কি করবে। কিসের বেসিসে? নেভার মাইন্ড কে স্বাধীন আর কে স্বাধীন নয়।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:১৪406845
  • দ্রির জিলিপি পছন্দ নয়? ফাইন। :)

    তাহলে দাঁড়ালো এই যে, কোনো লোকেই "স্বাধীন' নয়। শুধু স্মোকাররা নয়, নন-স্মোকাররাও "স্বাধীন' নয়। তারাও বেসিকালি ইনফ্লুয়েন্সড।

    এই জায়গায় দাঁড়িয়ে দুটো কথা বলার আছে।
    ১। যে স্বাস্থ্যবিধি জেনে-টেনেও বিড়ি খেতে চায়, তাকে খেতে দিন। এর সঙ্গে স্বাধীনতা-পরাধীনতার বিশেষ যোগ নেই। সবই ইনফ্লুয়েন্সড। বরং ওটা মাইনরিটি রাইটের সঙ্গে যুক্ত।
    ২। ক্ষমতা চাইলেই বিড়ি খাওয়া দুনিয়া থেকে তুলে দিতে পারবেনা। স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে যতই শোর মাচানো হোক না কেন। কারণ সফট পাওয়ারই বলুন, বা ডিসিপ্লিনারি, যাই নাম দিন, এরা একটা জায়গায় এসে থমকে যাবেই।

    টোব্যাকো কোম্পানির কথা পরে লিখব। অনেক লিখতে হবে।
  • dd | 122.167.25.136 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:২৪406846
  • জানি,
    জানি আমি তক্কের মান ভীষন,খুব, প্রচন্ডো নীচে নামিয়ে আনলাম। দৃ বনাম আমাদের ইশেন। উ: । এর বেশী ওঠা যায় না। তা ও।

    সিগ্রেট নিয়ে শুরু করেছেন, ভাবছেন ওখানেই থামবেন ? না স্যার, না। না।
    রেড মীট আছে। যাবতীয় আমিষ আছে।

    শেষ পজ্জন্তো , যদিও ১০০% নিরামিষ, কমপ্লিট ভেজেটারিয়ান , শেষ পজ্জন্ত, ও মাই গড , আপ্নেরা মদের পিছনেও লাগবেন।

    হা ভগবান।

  • dri | 117.194.227.189 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:২৫406847
  • ক্ষমতা চাইলেই দুনিয়া থেকে বিড়ি খাওয়া তুলে দিতে পারবে না মানে? পেরেছে তো! এতক্ষণ ধরে তাহলে বলছি টা কি? সাউথ কোরিয়ার তুলনায় আম্রিকায় বিড়ি খাওয়া উঠেই গেছে বলা যায়। হোয়াট্‌স মোর, আম্রিকায় লোকেরা 'স্বেচ্ছায়' ( মানে তুমি যেটাকে স্বেচ্ছা বল) বিড়ি খায়না। এইটাই আমি আরো ব্যাপকভাবে ইমপ্লিমেন্ট করার কথা বলছিলাম।

    কিন্তু মামু, আমি দেখছি তুমি কিন্তু মানুষকে বড্ড এক কথা বার বার বকাতে পারো!
  • dri | 117.194.227.189 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:২৭406848
  • ডিডিদাদা, রেড মীটের জন্য অন্য থ্রেড আছে।

    আমি আবার থ্রেডের স্যাংইটিটির ব্যাপারে খুব পাট্টিকুলার।
  • dd | 122.167.5.66 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:৩১406851
  • ও দৃ সাহেব
    আম্মো। টইএর ক্লাসিফিকেশন নিয়ে ভীষন ভীষন ভীষণ গোঁড়া অ্যান্ড অর্থডক্স। নো কম্প্রোমাইস। নান।

    কিন্তু মদের ব্যাপারে এট্টু উতলা হয়ে পরি।
    সেটা প্লিজ ম্যানেজ করে নিন। হ্যাঁ ?
  • dri | 117.194.227.189 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:৩৪406852
  • মদের ব্যাপারে আপনাকে কনসেশান দিতে পারি। যদি আরো গোটা দুয়েক কবিতা লেখেন। তবে হ্যা, সঠিক টইতে।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:৪০406853
  • আমেরিকায় প্রচার/বিজ্ঞাপন/স্বাস্থ্যবিধি দিয়ে স্মোকিং বাড়ানো কমানো সম্ভব। সাউথ কোরিয়াতেও সম্ভব। প্রথম বিশ্বে সম্ভব। বিশ্ব মানেই কিন্তু প্রথম বিশ্ব নয়। লক্ষ্য করুন, আমি "দুনিয়া' কথাটা লিখেছি, "প্রথম বিশ্ব' নয়। পুরোনো পোস্টগুলো যদি পড়েন, তাহলে দেখবেন, সাউথ কোরিয়া-আমেরিকার জবাবে আমি কলকাতা শহরতলীর লোকাল ট্রেনের ভেন্ডার কামরার কথা এনেছি। সব্জি বা মাছের বাজারের কথা এনেছি। সাঁওতালদের চুটা ফোঁকার কথা এনেছি। সফট পাওয়ারই বলুন বা স্বাস্থ্যবিধি, তারা এইসব কোনা ঘুপচিতে ঢুকে মানুষকে "সচেতন' করে বিড়ি খাওয়া ছাড়িয়ে দেবে, এটা ভাবতে পারলেন?

    এইসব জায়গায় ডিসিপ্লিনারি পাওয়ার থমকাবে। সাউথ কোরিয়ায় নয়। আমেরিকায় নয়।

    এইটা বোধহয় এই সুতোয় তিনবার বললাম। আর বলাবেন না। মাইরি। :)
  • dri | 117.194.225.31 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:৪৮406854
  • সরি ঈশেন, এগ্রি করছি না। সাপ্লাই সাইডে আটকালে কনজামশান কমবে না এটা হয়না। বিজ্ঞাপণ দিলে মানুষ রেসপন্ড করবে না এটাও হবে না। ভারতের মত দেশেও বিজ্ঞাপণ দিয়ে দিয়ে বার্থ রেট অনেক কমানো গেছে। বার্থ ক®¾ট্রালের ব্যবহারও অনেক বেড়েছে। আমাদের দেশেই। চীন কিকরে আফিমের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছিল? সাপ্লাই সাইডকে আক্রমণ করেই।

    সবচেয়ে বড় কথা, একেবারে নির্মূল করার কথা আমি ভাবছিও না। কিন্তু যদি ধর ৫০% কমানো যায়, সেটাকে আমি অ্যাচিভমেন্ট বলব। এবং সেইদিকে মুভকে সাপোর্ট করব।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:৫২406855
  • বিজ্ঞাপন কিকরে সাপ্লাই সাইডে আক্রমন হল?
  • dri | 117.194.226.26 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০০:৫৫406856
  • বিজ্ঞাপণে ব্যান সাপ্লাই সাইডে আক্রমণ, ফর এগ্‌জাম্পল।

    কিন্তু আমি দুটোকে আলাদা আলাদা ভাবে বলতে চেয়েছি। বিজ্ঞাপণ এবং সাপ্লাই সাইডে আক্রমণের অন্য যত পদ্ধতি।
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০১:০৫406857
  • রাইট। সাপ্লাই সাইডে অ্যাটাক না করলে শুধু "সফট পাওয়ার' দিয়ে কিচ্ছু হবেনা।

    এবার পরের প্রশ্ন হল, নন-স্মোকাররা টোবাকো উৎপাদন বন্ধ করে দেব, এই দু:সাহসের মরাল গ্রাউন্ড কোত্থেকে পাচ্ছেন? আপনারা তো মশাই "স্মোকিং বদ' এই বিজ্ঞাপনের দ্বারা ব্রেনওয়াশড। সে হোন, তাতে ক্ষতি নেই, কিন্তু ফ্যাসিস্ট হয়ে গেলে তো মুশকিল। :)
  • dri | 117.194.225.105 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০১:১৬406858
  • সফট পাওয়ার ইউজ করলে, তুমিও বলবে, টোব্যাকো বন্ধ করে দেওয়াই ভালো।

    এখন যতটা টোব্যাকো প্রডিউস্‌ড হচ্ছে সেটা তো আর আমার সম্মতি নিয়ে হয়নি। অতয়েব এত পরিমাণ টোব্যাকো আমরা উৎপাদন করব (হোয়াটেভার দা পরিমাণ ইজ নাও) এই দু:সাহসই বা তোমার বন্ধু তামাক ম্যানুফ্যাকচারার কোথা থেকে পেয়েছিল?

    আবার ঘুরে ফিরে আমরা ফিরে এলাম সেইখানে, দেয়ার ইজ আ হোল ইন দা বাকেট, ডিয়ার লাইজা।

    শুধু তক্ক না করে, জাস্ট একবার হনেস্টলি ভাবো, তুমি, একজন স্মোকার, পরিস্কার বাতাসে নি:শ্বাস নিতে প্রেফার করবে, নাকি ধোঁয়াময় বাতাসে? ধর কোলকাতায়, না আইয়োতে?
  • Ishan | 12.163.39.254 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০১:২০406859
  • কোনো পাওয়ার ইউজ করলেই আমি বলবনা, টোব্যাকো বন্ধ করে দেওয়া ভালো। সফট পাওয়ারের সেই জোর নেই। আর গায়ের জোরে করলে তো ফ্যাসিস্ট বলব।

    এবং আমি পরিষ্কার বাতাসে নি:শ্বাস নেওয়া পছন্দ করি। কেবল বিড়ি খাবার সময় ছাড়া।
  • dri | 117.194.225.105 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০১:২৪406860
  • :-)। সফ্‌ট পাওয়ারের জোর আছে বলেই তুমি এবং অন্যান্য অনেকে বিড়ি খায়।

    তবে তোমার দ্বিতীয় প্যারাটা খুব ভালো স্টার্টিং পয়েন্ট। এখান থেকে তুমি ভাবতে শুরু কর। এগোতে এগোতে দেখতে পাবে, সবাই (বা অনেকেই) যদি স্বেচ্ছায় বিড়ি না ধরে, তবে নেহাৎ মন্দ হয় না।
  • arjo | 168.26.215.13 | ২৫ জুলাই ২০০৯ ০১:৩৫406862
  • দ্রি, একটা অবজারভেশন, এখান থেকে শুরু করলে কিন্তু অরণ্যে ফিরে যাবার একটা চান্স আছে। বিড়ি -> গাড়ি -> কারখানা -> সভ্যতা, এই ভাবনার শেষ কোথায়?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল মতামত দিন