এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আধুনিক কবিতা আর আম জনতা

    shyamal
    অন্যান্য | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ | ১৭৬৯০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arpan | 122.252.231.12 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:১২421889
  • যা:। ঈশান শেষে মানেবই খুলে বসল। :-(
  • dukhe | 117.194.228.111 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:১৬421890
  • recommendedbooks (আধুনিক কবিতা in21days)-
    কবিতার মুহূর্ত - শঙ্খ ঘোষ
    রৌদ্রছায়ার সংকলন - জয় গোস্বামী
  • I | 59.93.242.191 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:২৮421891
  • শেম শেম ঈশেম ( অন্ত্যমিল হলো )!!
  • dukhe | 117.194.228.111 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৩১421893
  • রাম খটাখট ঘ্যাচাং ঘ্যাঁচ
    কথায় কাটে কথার প্যাঁচ
    আলোয় ঢাকা অন্ধকার
    ঘণ্টা বাজে গন্ধে তার
    গোপন প্রাণে স্বপন দূত
    মঞ্চে নাচে পঞ্চ ভূত
    হ্যাংলা হাতী চ্যাংদোলা
    শূন্যে তাদের ঠ্যাং তোলা
    মক্ষিরাণী পক্ষিরাজ
    দস্যি ছেলে লক্ষ্মী আজ

    এ কি কবিতা? মিল আছে, কিন্তু এর মানে কী?
  • d | 117.195.39.155 | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ২৩:৩১421892
  • কাগুজেগুরু'র গ্রাহক হবার জন্য লোকজনকে বলছি, তো একজন খুব উৎসাহ নিয়ে রাজী হল। কদিন পরে আমাকে বলে পরের সংখ্যায় তার কবিতা ছাপতে দেবে? তার কনফি দেখে আমি বললাম যে ঠিক আছে দাও। তো, দিল। ওরে বাবারে সেটা এখানে তুলে দিলে, সেটা নিয়েই আলুচানা চলতে পারত "কেন ইহা একটি কবিতা নহে' নামে। তো, বিনীতভাবে প্রত্যাখ্যান করতেই এরকম শ্যামলের মত লেগে পড়ল কেন ভাল হয় নি? এই তো কি সুন্দর সব লাইনে লাইনে মিল আছে, কিচ্ছু দূর্বোধ্য নয় --- তাও আমি কেন ভাল বলছি না ---- ইত্যাদি ইত্যাদি। তাকে এই থ্রেডটা পড়াতে হবে।
  • a x | 75.53.198.45 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:১৪421894
  • আচ্ছা দুটি প্রশ্ন আছে। ঈশান একটু বুঝিয়ে বলাতে লোকে যেমন ছি ছি করল, তাতে অবশ্য জিজ্ঞেস করতে ভয়ই করছে। যদিও মানে বই খুলে সিনেমা দেখতে আমাদের একটুও বাধে না।

    যাইহোক, প্রশ্নদুটি -

    ১) কবিতা বা পদ্য বা ছন্দে লেখা কি গদ্যে লেখাকে প্রিসিড করে, মানুষ কি আগে ছন্দে লিখেছে? লিখলে কেন?

    ২) কবিতার ফর্ম নির্মাণ, ভাঙ্গচুর যত হয়েছে, গদ্যেও কি তা হয়েছে? হলে সেটা কতটা মেনস্ট্রিমায়িত হয়েছে, কবিতার সাথে তুলনায়?
  • ranjan roy | 122.168.211.160 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০০:৫০421895
  • শ্যামল,
    আমি কবিতারকোন ডেফিনেশন নেই ঠিক এমনি বলিনি। আছে, তবে ফিজিক্সের ডেফিনেশনের সঙ্গে তুলনীয় নয়। যেমন ইকনমিক্সকেও সায়েন্স বলা হয়, কিন্তু ফিজিক্স-কেমিস্ট্রির মত একজ্যাক্ট সায়েন্স নয়, বরং মেটেরিওলজিক্যাল সায়েন্সের মত। কবিতাও খানিকটা তাই।
    আর অনুভূতিও একরকম বুঝতে পারা। ধরুন গন্ধ ভেসে বেড়াচ্ছে। তাকে আপনি ঠিক আকার, রং, আয়তনে বাঁধতে পারছেন না, কিন্তু অনুভূতিতে ধরতে পারছেন।
    "" বিকেল সূর্যের দিকে ঠিক যেন ভোরেপাওয়া মন,
    আমি এক মহিলাকে দেখছি এখন''।
    এখন এই দেখাটাকে কিভাবে শব্দে বাঁধবেন? বাইরের বর্ণনা শুধু মহিলাটির ফোটোগ্রাফিক বর্ণনা হবে। তাতে কবির দেখার অনুভূতি ধরা পড়বে না।
    আবার রবীন্দ্রনাথ।
    "" অধরা মাধুরী ধরেছি ছন্দবন্ধনে''। এটাই কবিতার কাজ। ভাবুন,অধরা মাধুরী বলে তাকে আবার ধরার কথা বলা হচ্ছে, কেং করে?
    সোজা-সাপটা বুঝতে পারা ও অনুভূতি
    ------------------------
    সেতারী বুধাদিত্য মুখার্জীর বাবা ও গুরু বিমল মুখার্জী আমাকে বোঝাচ্ছিলেন।
    --- ধরো, একটি মেয়েকে দেখে আমার ভালো লাগলো। সেই ভালোলাগাটা আমি ছবি আঁকায় কি ভাবে ধরবো যাতে৩০ বছর পরেও লোকে ছবি দেখে আমার ভালোলাগাকে বুঝতে পারে? এখানে আমি মেয়েটার বাইরের চেহারা একেবারেই আঁকার চেষ্টা করবো না। তাহলে সেটা সময়-স্থান্‌কালে বাঁধা হয়ে যাবে। ৩০ বছর পরে সে মেয়েটি হয়তো মোটা পাকাচুল হয়ে গেছে। বা আগের চেহারা আঁকলেও অমন মেয়ে গন্ডায় গন্ডায় দেখা যায়।
    কিন্তু আমি তো আঁকবো আমার ভালোলাগা কে।
    সেই মুহুর্তে আমার কাছে তো ওইমেয়েটি সারা বিশ্বে অতুলনীয়া। তাই আমি শুধুম রঙ ছড়াবো ক্যানভাসে। অনেক অ্যাবস্ট্রাক্ট হবে আমার ছবি, থাকবে রামধনু রং, বেঁচে উঠবে আমার ভালোবাসা।
    শ্যামল, এইভাবেই কবিও গড়ে তোলেন তাঁর মায়াজগৎ। অনেকটা হ্যারি পটার স্রস্টা রাউলিংয়ের কায়দায়।
    তাই আর এন টি স্যার লেখেন- -"" আমারই চেতনার রঙে পান্না হল সবুজ, চুনি উঠল রাঙা হয়ে। গোলাপের দিকে চেয়ে বললাম-সুন্দর! সুন্দর হল সে।''
    এতে না আছে পরিচিত ছন্দ, না অন্ত্যমিল, না শব্দগুলো মিলে আপনার পরিচিত অলংকার। কিন্তু শুধু কবিতা হয়েছে তাই নয়, এ যে কবিতার ম্যানিফেস্টো।
    আমি চারটে পোস্টে যা বলতে চাইলাম ওই ভদ্রলোক তিন লাইনে বল্লেন।
    বিন্দুতে সিন্ধুদর্শন? তাই উনি কবি। আমি হরিদাস পাল।
  • Samik | 122.162.236.218 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:১০421896
  • ব্যস্ত সমাজের থেকে কবিতার নির্বাসন হয়ে গেছে কবে।
    সফল ও সুখী মানুষেরা আজকাল কবিতার ধারও ধারে না,
    তারা সকলেই সবকিছু বোঝে, বোঝে জীবনবিমার গল্প;
    বোঝে হাসিখুশি, সুড়সুড়ি-মাখা, টিভি সিরিয়াল;
    বোঝে ঝোপ বুঝে কোপ মারা, বোঝে হর্ষদ মেহেতা,
    বোঝে কতখানি ধান থেকে জন্ম নেয় ঠিক কতখানি চাল,
    শুধু কবিতা বোঝে না, বোঝে না যে তার জন্য
    লজ্জা নেই কোনও,
    সুপ্রাচীন সুতীব্র আর্তিতে ভরা মায়াবী শিল্পের দিক থেকে
    সম্পূর্ণ পিঠ ফিরিয়ে বেশ আছে সুসভ্য প্রজাতি।

    শুধু মাঝে মাঝে খুবই নির্জনে কোনও এক পবিত্র মুহুর্তে
    প্রাণের ভেতর দিকে বেজে ওঠে বাঁশি, অলৌকিক সেই বাঁশি!
    রন্ধনে ব্যসনে ব্যস্ত সুখে গৃহকোণ কেঁপে ওঠে,
    বিস্মৃতা রাধার সমস্ত হৃদয় জুড়ে কোটালের বান ডাকে
    উথাল পাথাল, খুব মাঝে মাঝে এ রকম হয়, হয় নাকি?

    ভুলে যাওয়া অতিপূর্ব প্রপিতামহের মতো রক্তের ভিতরে ঢুকে পড়ে
    কবিতার অসম্ভব বীজগুলি প্রতিশোধ নেয়।
    সবকিছু সমস্ত অর্জন সুখ-স্বস্তি-সচ্ছলতা অর্থহীন মনে হয়।

    বাঁশি ডাকে, বাঁশি বাজে, সেই বাঁশি বাজে,
    জীবন আচ্ছন্ন করা বাঁশি বাজে যমুনাপুলিনে।

    (অলৌকিক প্রতিশোধ / কৃষ্ণা বসু)
    দেশ, ৩১ অক্টোবর, ১৯৯৮।

    :-)
  • Samik | 122.162.236.218 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:১১421897
  • শ্যামলদা কোনওদিন দিল্লি এলে তাঁকে আমার কবিতার কালেকশনের খাতাটা পড়তে দেব। তারপরে আরেকবার মতামত চাইব।
  • ranjan roy | 122.168.211.160 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০১:১২421899
  • শ্যামল,
    শুতে যাবার আগে ( তা কেন, এই সূতোয়) এটাই আমার লাস্ট পোস্ট।
    যদিও আমি কবিতাকে ভাগাভাগির বিরোধী, তবু বলি -কবিতার দুটো জাত আছে। কোনটা চিত্রময়, কোনটা গীতিময়। আবার দুটো মিলেমিশেও থাকে।
    প্রথমটা শব্দে ছবি আঁকা-- এটা আপনার কাছে সহজবোধ্য ভালোলাগার কবিতা হতে পারে। অন্যটা গীতিময়তা। এইধরনের কবিতায় ফুটে উঠবে একটা মুড, কবির অন্তরতম অনুভূতি। এটায় আপনি হোঁচট খেতে পারেন।
    প্রথমটার উদাহরণ দিচ্ছি সহজপাঠ থেকে।
    "" আকাশপারে পূবের কোণে হটাৎ কখন অন্যমনে, ফাঁক ধরে যায় মেঘে।
    মুখের চাদর সরিয়ে ফেলে বন্ধ চোখের পাতা মেলে, আকাশ ওঠে জেগে।
    ছিঁড়ে যাওয়া মেঘের থেকে পুকুরে রোদ পড়ে বেঁকে, লাগায় ঝিলিমিলি।
    বাঁশবাগানের মাথায় মাথায় তেঁতুলগাছের পাতায় পাতায়, হাসায় খিলিখিলি।''
    এ পর্য্যন্ত দেখুন চমৎকার বর্ণনা।বোঝা যাচ্ছে। অলংকারটি চেনা-- সমাসোক্তি বা পার্সোনিফিকেশন।
    কিন্তু শেষ দুটি পংক্তি দেখুন--
    ""হটাৎ কিসের মন্ত্র এসে ভুলিয়ে দিল এক নিমেষে,বাদল বেলার কথা।
    হারিয়ে যাওয়া আলোটিরে নাচায় ডালে ফিরে ফিরে, ঝুমকো ফুলের লতা।''
    এবার দেখুন কোত্থেকে কি সব এসে গেছে-- কোন অবজেক্টিভ বর্ণনা নয়, কবির মুড্‌ ও অনুভূতির বর্ণনা।
    J কে,
    ভালো কবিতায় ambiguity থাকবেই। ইন ফ্যাক্ট, ওটাই তার ইউ এস পি। কারণ তাতেই কবিতাটি স্থান-কালের সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে সার্বজনীন হয়ে উঠতে পেরেছে।
    ফলে নানান পাঠক নানান ভাবে নিজের মত করে এর মানে বের করবে। অর্থাৎ নিজেকে রিলেট করবে। এইভাবেই গড়ে ওঠে কবিতার অনেক পাঠ। ঠিক যেমনি ভালো নির্দেশকের হাতে শেকস্পীয়র মিউজিয়ম পীস না হয়ে আমাদের সমকালীন হয়ে ওঠেন।
    ধরুন, ""নক্‌শাল কোন সাল ইতিহাসে আনলে''? অত্যন্ত সীমিত এর আবেদন।
    কিন্তু "" ওদের বাঁধন যতই শক্ত হবে মোদের বাঁধন টুটবে, ততই টুটবে''-এর আবেদন অনেক বেশি। এটা বিভিন্ন যুগে আলাদা আলাদা অশুভ ক্ষমতার সাথে লড়াইয়ের প্রেরণা গীত হতে পারে।
    অনেক বাজে বকেছি। এই সূতোয় এবার মুখ বন্ধ।
  • sibu | 71.106.234.63 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৩:২৪421900
  • শ্যামলের কি হল জানি না, আমার কিন্তু সন্দেহ বেড়েই গেল। ব্যঞ্জনার্থ, অ্যাম্বিগুইটি - এ সবই তো ক্রিয়েটিভ রাইটিং-এর সমস্ত ফর্মেই পাওয়া যায়। কিন্তু কি হলে একটি লেখাকে কবিতা বলি, অন্যটিকে নয়? ঐ যেমন বেনীমাধবের কথা বলছিলাম। বেনীমাধব কেন কবিতা? জয় গোস্বামী ওটাকে কবিতা বলেছেন বলে? ওটা তো চমৎকার ছোটগল্পও হতে পারত - শেষ প্রশ্ন নাম দিয়ে (উপ্‌প্‌স্‌, কপিরাইট ভায়োলেট করে ফেললুম)। অথবা ঐ লেখাটাকে নাটকও তো বলা যায়। 'নাথবতী অনাথবৎ' যদি নাটক, তো বেনীমাধব কেন নাটক নয়? নাকি বেনীমাধব আসলে কবিতা, ছোটোগল্প, নাটক - তিনটেই এক অংগে।

    তবে কি কবিতার সংজ্ঞা হল সময়ের সংজ্ঞার মত? সবাই জানে সময় কি, কিন্তু কেউ বুঝিয়ে বলতে পারে না।
  • vikram | 83.71.238.44 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৫:৩৬421901
  • এইখানে কি একটা বলার ছিলো। তার চেয়েও বেশি বলার ছিলো, যে কিশনা বসুর ল্যাখাটা কি বাজে।সেইটা যেটা বলার ছিলো পরে বলবো।
  • shyamal | 24.117.233.39 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:২৪421902
  • রঞ্জনদা কিন্তু একটা জিনিষ মিস করে গেছেন। আমি কদাপী বলিনি আমি কবিতা বুঝিনা বা ভালবাসিনা। বলেছি আধুনিক কবিতা বুঝিনা। কাবলিদা যেমন স্ট্রেট বলেছেন তিনি নাকি কবিতা-চ্যালেঞ্জড। আমি কিন্তু তা বলিনি।
    তবে কোনটা পদ্য কোনটা ছড়া কোনটা কবিতা জানিনা।
    আমার তো
    এসেছে শরৎ হিমের পরশ
    দাদাগো দেখছি ভেবে অনেক দূর
    অচ্ছোদ সরসীনীরে রমণী যেদিন
    ঐ ছুটেছে পাগলী মায়ের দামাল ছেলে কামাল ভাই
    হে মোর চিত্ত পুণ্য তীর্থে

    এগুলো সবই ভাল লাগে আর বেশ বুঝতে পারি। এগুলো কি ভাল কবিতা নয়?
    (প্রসঙ্গত: বলি, বিজয়িনী পড়ার আগে আবৃত্তি শুনেছিলাম রবীন্দ্রসদনে বোধ হয় প্রদীপ ঘোষ বা পার্থ ঘোষের গলায় সেই প্রাচীন কালে, এরকম সেনসুয়াল কবিতা আজ অবধি পড়িনি আর ঐ আমলে রবি ঠাকুরের আস্পর্ধা দেখে হতবাক হয়েছিলাম)।

    আমি আপনার সঙ্গে একমত যে কবিতায় গীতিময়তা থাকতে পারে। কিন্তু ambiguity একটা কোয়ালিটি এটা মানতে পারছিনা। গত ছয় হাজার বছর ধরে পরিষ্কার মানে বোঝা যায় এরকম কবিতা লেখা হল, আর ১৯৩০ থেকে সেটা হঠাৎ বদলে গেল কেন? কি এমন বিবর্তন হল ?

    গীতিময়তা থাকলেই যে বোঝা যাবেনা তা নয়। কিন্তু অনেক সময়ে কবির পরিমন্ডল জানা না থাকলে বোঝা যায়না। যেমন,

    পরানে বাজে বাঁশী নয়নে বহে ধারা
    দুখের মাধুরীতে করিল দিশাহারা

    এটা যদি কোন অভারতীয় পড়ে , সে মানে বুঝবেনা কিন্তু আমরা ইনস্টিঙ্কটিভলি বুঝব। রাধা যেমন কৃষ্ণের বাঁশী শুনে স্থির থাকতে পারেনা, সেরকম দু:খ পাওয়া সত্বেও কবি ঈশ্বরের প্রতি ভয়ঙ্কর আকৃষ্ট হচ্ছেন -- তাঁর প্রাণে সেই বাঁশী বাজছে।

    কিম্বা,
    যে গান কানে যায়না শোনা সে গান যেথায় নিত্য বাজে
    প্রাণের বীণা নিয়ে যাব সেই অতলের সভা মাঝে

    ----------------------------
    কাজেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে : শুধু আধুনিক কবিতা কেন দুর্বোধ্য হল যেখানে আধুনিক গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ও পুরোনো কবিতা বেশ বোঝা যায়।
  • arjo | 24.42.203.194 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৪২421903
  • শ্যামলবাবু উল্টো কয়েকটা উদাহরণ দিন। মানে যে কবিতা গুলোর মানে আপনি বুঝতে পারেন নি। শুধু মাত্র আধুনিক কবিতার মানে বুঝি না বললে সেটটা এত বড় হয়ে যাচ্ছে যে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে।
  • dipu | 207.179.11.216 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ০৯:৪৬421904
  • তপ্ত বালির ওপর
    দাঁড়িয়ে ছিল তপ্ত বালিকা
    এগিয়ে এলো তপ্ত বালক
    উঁচিয়ে নালিকা

    দিকচক্রবাল
    দিকচক্র ঢেকে দিলো নৌকার পাল
    পড়ে রইল বাল

    (কবিবর পুরন্দর ভাটের বাল সিরিজের প্রথম কবিতা)

    তো এতে দেখুন এক লাইনে পাঁচটির বেশী শব্দ নেই, অন্ত্যমিল আছে, মানেও কৃস্টাল। তারপরেও বলবেন আধুনিক কবিতা = দুর্বোধ্য!
  • Somnath | 117.194.194.19 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৩৭421905
  • শ্যামলবাবু সর্বদা নিজেকে কেন স্ট্যাণ্ডার্ড ধরেন বুঝিনা।

    রবীন্দ্রনাথের যে সব উদা উনি বুঝতে পারেন বলে লিখছেন তার বেশ কিছু আমার আজীবন ব্যবসা করা বাবা মোটেই বোঝেন না। কিংবা রমেশ যে আমার বাড়িতে কাঠের ফার্নিচার বানাচ্ছে এখন, সে ও না। আমার ইংলিশ মিডিয়ামে পড়া অথচ বেশ বাংলা বোঝা খুড়তুতো বোন ও না।

    আবার বনলতা সেন উনি বোঝেন না, আমি দিব্য বুঝি, বা আরো অনেকেই বোঝেন।

    এটা মনে হয় ওনার বোঝা দরকার নিজের ব্যাণ্ড উইডথের মধ্যে না পড়লেই কোনো জিনিসকে দুর্বোধ্য বা তার রচয়িতাকে অক্ষম বলা খানিকটা ঔদ্ধত্য, খানিকটা সেল্ফ রাইটিয়াসনেস, আর খানিকটা মূর্খতা। স্রেফ বনলতা সেনের ই এত এত মানে বই বাজারে ঘুরছে, তার কোনো একটা পড়ে নিলেই উনি হয়তো বুঝতেন, চোখে দেখা সাতটা রঙের বাইরেও আলো আছে, কানে শোনা যায় না এমন তরঙ্গদৈর্ঘ্যের শব্দের পরিমানও কম নয়। নিজের বোঝার রেঞ্জ বা ধারণক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করাটা হয়ত আর একটা পথ, টই তে আধুনিক কবিতা নামক একটা পাঞ্চিং ব্যাগে চোখ বুজে ঘুষি মেরে যাওয়ার বিপ্রতীপে।

    বই পড়ুন বই। কবিতা পড়ার জন্যে নিজেকে তৈরি করার মত অনেক বই বাংলা বাজারে আছে। বহু প্রতিষ্ঠিত কবি, সমালোচক ও বোদ্ধারা লিখেছেন।
  • arindam | 202.56.207.56 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১০:৫৮421906
  • কবিতা এবং রবীন্দ্র পরবর্তী কবিদের কবিতা নিয়ে কটাক্ষ করার রেওয়াজ অনেক পুরোনো। কবিতাকে ভয় পেয়ে, এইসব ছেঁদো যুক্তি মানুষ সাজায়। কবিতা পড়তেই হবে সকলকে এইরকম মাথার দিব্ব্যি কে দিয়েছে। ভালো না লাগলে পড়বেননা।তবে হ্যাঁ জানার ইচ্ছে থাকলে, বুঝতে চাইলে একটু মনোযোগী হতে হবে। আশেপাশের দৈনন্দিন ঘটনা, মনের মধ্যে অবিরাম ঘটে চলা ঘটনা ও তদজনিত টানাপোড়েন কীভাবে কবিতায় উঠে আসে তা বুঝতে হবে।
  • lcm | 69.236.160.74 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:০১421907
  • শ্যামল, এই যে তুমি যে লিখলে আধুনিক গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ ... সব বোঝা যায়, শুধু আধুনিক কবিতা বোঝা যায় না... -- এটা বোধহয় সম্পূর্ণ ঠিক নয়, অন্তত আমার ক্ষেত্রে। কারণ, আমি তো অনেক গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, সম্পাদকীয়, গুরুচন্ডালি বুলবুলভাজা... এমনকি জোক্‌স, চুটকি, ভাট, এস-এম-এস... - এরও মানে বুঝতে পারি না :-)

  • lcm | 69.236.160.74 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:০২421908
  • হে হে, সোমনাথ বনলতা সেন বোঝে বলে দাবী করছে। সাবধান সোমনাথ :)
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:১২421910
  • কবিতা নিয়ে আমারও ডিজেবিলিটি আছে কিছুটা - তবে জীবনানন্দ পড়ে বুঝতে পেরেছিলুম (ইন্ডোর মতন সার্জিকাল ছুরি নেই তাই - নইলে আরো ভালো বুঝতুম)। মানে ওখানে কেউ যে আক্ষরিক অর্থে মানে খুঁজতে যায় সেই অভিজ্ঞতা এই প্রথম হল...

    এখনকার গান সম্পর্কে একটা কথা আমি ওমনাথকে বেশ কয়েকবার বলেছি - ওমনাথের সাথে ওই শিলাজিত ইত্যাদিদের গান নিয়ে আমার ঝগড়া হয় তো - কথাটা হল সুমন বা মৌসুমীর গানগুলোর মধ্যে কবিতা আছে। শিলাজিতের গানে নাই। গানের মধ্যে যদি কবিতা না থাকে তাহলে গান ভাল্লাগে না। অবিশ্যি কবিতা থাকলেই যে সেটা গান হয় তাও না - তাইলে লোপামুদ্রার গাওয়া (জীবনানন্দের) "আবার আসিব ফিরে'-ও ভালো গান হত।

    এই টইয়েই ওমনাথ আর ভিকি ইত্যাদিরা ছন্দ নিয়ে একটু লিখতে পারে তো।
  • arindam | 202.56.207.56 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:১৩421911
  • শ্যামলবাবু
    আধুনিক মানে কী অধুনা?
  • arindam | 202.56.207.56 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:১৬421912
  • গানের মধ্যে কবিতা। অনেকে যেমন সিনেমা দেখে বলে পুরো কবিতা!!!
    গান- গান। খালি চোখে, শব্দে শব্দে সহবাস হয় সুর বসে গান জন্মে।
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:২৭421914
  • ** রাবীন্দ্রিক **

    যাশ্‌শালা কোনটা ঠিক রে বাবা...
  • Arijit | 61.95.144.123 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:২৭421913
  • যা বুঝলুম সেটা হল শ্যামলের রাবিন্দ্রীক genre-এর বাইরের কবিতা ভাল্লাগে না। শঙ্খ ঘোষের "কবিতার মূহুর্ত' বইটা একবার সত্যিই পড়তে পারেন।

    অরিন্দম - সুমন বা মৌসুমীর গানগুলো ভালো করে শুনুন, আর পড়ুন - দেখবেন শুধু শব্দের সহবাস নয় - বরং শব্দগুলোর মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। পাশাপাশি অন্য অনেকের গান শুনুন - দেখবেন শুধুই শব্দের "ওয়ান নাইট স্ট্যাণ্ড' - সহবাস, কিন্তু সম্পর্কবিহীন।
  • lcm | 69.236.160.74 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৩১421915
  • শ্যামল, তুমি শ্রীজাত বন্দোপাধ্যায়-এর কবিতা দেখতে পারো। ছন্দ আছে, বেশ ইন্টারেস্টিং ছন্দ।
  • tkn | 122.173.182.54 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৪৩421917
  • lcm,

    বলার মতো নেই কিছুই। সবাই এখন খদ্দের
    সবার ভেতরেই ছুটছে পোষ না মানা জন্তু
    সেসব বিকেল কোথায় গেল, যখন বুকের মধ্যে
    বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ত শিবকুমারের সন্তুর

    বৃষ্টিশেষে হঠাৎ কোন ঠান্ডা হাওয়ার দমকা
    উড়িয়ে নিয়ে চল্ল তাদের, যারা আমায় চিনত -
    আমিই একা বোকার মতো দুর্ঘটনায় চমকাই
    ডলফিনের কান্না এখন তাদের কাছে রিংটোন

    ....
    শ্রীজাতর লেখা এমন আরো অনেক অনেক আছে... আমারো বেশ লাগে

  • tkn | 122.173.182.54 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৪৩421916
  • পোস্ট যাচ্ছেনা
  • tkn | 122.173.182.54 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৪৬421918
  • আরো...

    আমাকে আস্তে হালাল করছে সেই ছুরি
    তোমারও ইচ্ছে খুবলে নিচ্ছে পোর্শিয়া
    সেবারের মতো বাধা দিতে চাও, হাসবে লোক
    হত্যা এখানে প্রেমের চেয়েও বর্ষীয়ান...
  • lcm | 69.236.160.74 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৪৭421919
  • [ যা! ভুল করে ভাটিয়ালি-তে পোস্ট হয়ে গেছিল। ]

    শ্রীজাত-এর কবিতা থেকে --
    ...
    জীবন তোকে নিয়ে সকলেই
    লিখেছি তিন চার ছত্র
    সেসব নিয়ে আজ বই হোক -
    "সেলিম লংড়ে পে মত রো"।
    ...
    এখানে "ছত্র' আর "মত রো' - হল মিল। ঠিক এগ্‌জ্যাক্ট বানানে মিল নয়। কিন্তু আমার বেশ লাগে।

  • lcm | 69.236.160.74 | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯ ১১:৪৯421921
  • এই তো tkn আরো উদাহারণ দিয়েছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন