এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নিছক ই একটা গল্প---

    koli
    অন্যান্য | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ | ১৫৪৬৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • koli | 115.187.38.85 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ১১:৫১425262
  • চৈতীকে নিয়ে তন্ময় ওর এক বন্ধুর মামাবাড়িতে উঠলো। চৈতী কিছুই বুঝতে পারছে না। কিছু যে জিজ্ঞেস করবে তন্ময় কে, সে উপায় ও নেই। তার মুখে যেন রাজ্যের চিন্তার ছাপ পড়েছে!বন্ধুর মামা ওদের দুজনকে একটা ঘরে বসতে দিলেন।ঐ ঘরে রাখা একটা খাটে তন্ময় শুয়ে পড়লো। চৈতী বসলো ওর মাথার কাছে এক কোণায়। এবার জানতে চাইলো-- কি হয়েছে বলুন এবার। আমাকে এভাবে টেনে নিয়ে এলেন কেন?বাড়ি যাবো আমি। তন্ময় সেসবে কান ও দিলো না। চৈতীর কাঁধের ব্যাগটা নিয়ে অন্যদিকে সরিয়ে রাখলো। বললো-- চুপচাপ বোসো। ব্যাগে হাত দেবেনা এখন আর।চৈতী বললো--আচ্ছা ঠিক আছে, এবার বলুন।
    তন্ময় বললো--আমি তোমাকে নিয়ে পালিয়ে এলাম চৈতী। তোমার বাড়ি থেকে বিয়ের তোড়জোড় চলছে। আমি তাই আর চুপ করে থাকতে পারলাম না। মাসীমা র জন্য একটা চিঠি দিয়ে এসেছি সব জানিয়ে।
    চৈতীর মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো!-- পালিয়ে এসেছি মানে?আমি তো কিছুই জানিনা। এসব কি বলছেন আপনি?
    চৈতীর হাত চেপে ধরে তন্ময় বললো--শান্ত হও। বলছি আমি সব।
    --কি করে শান্ত হবো? আমি এখনো তো ছোট! এই বয়েসে পালিয়ে আসার ই মানে হয়? কত ঝামেলা হবে আপনি জানেন না?
    --হ্যাঁ জানি। কিন্তু আর কোন উপায় ছিলোনা চৈতী। অনেক ভেবেছি।চৈতী খেয়াল করলো তন্ময় এর চোখের কোণে জল!এবার একটু শান্ত হলো চৈতী। বললো--শুনুন, আপনি তো আমায় শান্ত হতে বলছেন। কিন্তু আমি বলছি আপনি শান্ত হন আগে।যা কিছুই হোক আপনি তো জানেন আমি আপনাকে ই ভালোবাসি। আর যাকে ভালোবাসি তাকে ছেড়ে অন্য কাউকে বিয়ে ই বা করতে যাবো কেন?
    তন্ময় বললো-- তুমি করবে তা তো বলিনি। জগতের এত জটিলতা বোঝার সময় তোমার হয়নি এখনো ।তাই বুঝতে পারছো না। সময় হলে ঠিক বুঝবে।এখন চুপচাপ সব মেনে নাও সোনা। বিশ্বাস কর, আমি আমাদের দুজনের কথা ভেবেই এই সিদ্ধন্ত নিয়েছি। তারপর ও তুমি যদি চাও সব ছেড়ে এখনি চলে যেতে পারো। এখনো কিছুই পাল্টায়নি।
    ভেবে ভেবে কোন কূল পাচ্ছিলো না চৈতী। তবুও ভালোবাসার মানুষকে বিশ্বাস করে বললো-- আমি কোথাও যাবোনা। আপনি বলুন কি করতে হবে।মুখে একথা বললো ঠিক ই। কিন্তু ওদিকে বাড়িতে কি তোলপাড় হয়ে যাচ্ছে সেসব ভেবে কিছুতেই নিজেকে স্থির রাখতে পারছে না চৈতী।
    তন্ময় একটা ব্যাগ থেকে কিসব জিনিষপত্র বের করছে।......
  • til | 220.253.71.161 | ২৯ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:৫২425263
  • তারপর? উফ, কলিদি ও এমন জায়গায় বিরতি দেয়!
  • Nina | 66.240.33.44 | ৩০ জানুয়ারি ২০১০ ০৩:২৩425264
  • দমবন্ধ করে বসে রইলুম কলিয়া -----ভয়ে ভয়ে অছি কি হয় কি হয়!তাড়াতাড়ি লিখিস লক্ষীটি।
  • til | 220.253.71.161 | ৩০ জানুয়ারি ২০১০ ১৬:২৪425265
  • দিদি, এটা কি হচ্ছে? তারপর কি হল? আজ অবশ্যই লিখে দেবে।
    --
    আজ একজন জিজ্ঞেস করলো, তোমায় চিনি কি করে? বোঝো, আমার দিদি যে কলি, তাকে চিনলাম কি করে, এতা কোন প্রশ্ন হল! ধ্যুস।
  • de | 117.98.160.138 | ৩০ জানুয়ারি ২০১০ ১৮:৪১425266
  • কলি, উইকেন্ডে এট্টু আগে বাড়ো! খুব চিন্তায় আছি চৈতী-কে নিয়ে :)
  • koli | 115.187.41.49 | ৩০ জানুয়ারি ২০১০ ২১:০৭425267
  • :)
  • koli | 115.187.41.49 | ৩০ জানুয়ারি ২০১০ ২১:১৫425268
  • তন্ময় ব্যাগ থেকে আপাতত শাখা পলা আর সিঁদুর বের করলো। আর যে মামার বাড়িতে এসে উঠেছে উনি দুটো মালা হাতে দাঁড়িয়ে রইলেন। মামার মা আছেন বাড়িতে। সেই দিদা চৈতীকে ডেকে নিয়ে গেলেন ওনাদের ঠাকুর ঘরে।তারপর উনি যা যা বললেন সেই মত করে গেলো চৈতী আর তন্ময়। একরকম বিয়ে মত হয়ে গেলো দুজনের। দুজনের কারো মুখেই কিন্তু একটুও হাসি নেই।এবার ওরা দুজন দিদা আর মামা মামীকে প্রণাম করলো। চৈতীর খুব কান্না পেয়ে গেলো। মায়ের কথা খুব মনে পড়ছে ওর এই সময়।কিন্তু এত ভাবাভাবির সময় নেই এখন কারো হাতে। তন্ময় কে ডেকে মামা বললেন-- শোন এখানে থাকা নিরাপদ নয়। আমি আরেকটা বাড়িতে সব ব্যবস্থা করে রেখেছি, চল তোদের সেখানে দিয়ে আসি।যে কথা সেই কাজ। তন্ময় ঐ বোঝার মত ব্যাগটা নিলো কাঁধে। আর চৈতীর ব্যগটাও এক হাতে নিলো। তারপর চৈতীকে বললো-- চলো বেরোতে হবে।মামা, মামী আর ওরা দুজন ট্যাক্সিতে উঠে রওনা হয়ে গেলো। সন্ধ্যে নাগাদ একটা ছোট্ট পাহারের গায়ে একটা ছোট্ট গ্রামে এসে থামলো ট্যাক্সি। একটা ছোট্ট দু কামরার ঘরে গিয়ে ঢুকলো ওরা সবাই। সেখানে একটা ফ্যামিলি থাকে। বুলবুলি ,ওর বর আর বুলবুলির বোন। তিনজনের সংসার।.....
  • Nina | 76.124.208.223 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ১২:২৩425269
  • কলিয়াআআ ভ্যাঁআআঅ---কি করছিস --তাপ্পর কি হল্‌ল্‌ল্‌ল্‌ল্‌ল্‌ল্‌ল্‌ল্‌ল
  • til | 220.253.71.161 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ১৫:১৭425270
  • বেশ বোল্ড কলিদি। কালীঘাটে বিয়ে শুনেছি কিন্তু একী! বাট আই লাইক ইট, বিয়ে করবে দুই প্রাপ্তবয়স্ক তাতে অন্যদের কি?
    এখানে দুজন লিভ টুগেদার করলে , কোন প্রমাণপত্র না থাকলেও পরে কিছু হলে সম্পত্তি ভাগ- আধা আধা। শুধু প্রমাণ করতে হবে দুজন এক সঙ্গে থাকতো, ব্যস। এমনকি প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও!

    আরে, একটা মজার কেস হয়েছিল, দুজনে লিভ টুগেদার সম্পর্কে ছিল, ছেলেটি একটা লটারীর টিকেট কেনে। এর মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। Lo and behold, , লটারী বেধে যায়, মেয়েটিকে ভাগ দিতে বাধ্য হয় ছেলেটি- বিচারক রায় দেন, দুজনের টাকা থেকেই কেনা হয়েছিল টিকেট। লাভ হবে আধা আধি ভাগ।

    কি সব অলক্ষুণে কথা বললাম, কিছু মনে করো না যেন।
    অপেক্ষায় রইলাম, নেক্সট পর্ব।
  • Nina | 76.124.208.223 | ৩১ জানুয়ারি ২০১০ ২২:৪৯425272
  • এ কলিয়াঅ রোব্বার রাত এখোনো লিখলিনি---বসে আছি তো
  • koli | 115.187.39.106 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:২৭425273
  • :) বন্ধুর বিয়ে ছিলো যে! এইতো লিখছি
  • koli | 115.187.39.106 | ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৪১425274
  • একটা অজানা অচেনা জায়গায় অচেনা পরিবেশে তন্ময় আর চৈতীর অদ্ভুত দাম্পত্য শুরু হয়ে যায় এইভাবেই। একটা ব্যাগে একটু একটু করে যাবতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস আনার চেষ্টা করেছিলো তন্ময়। এক জোড়া হাওয়াই চটি, কিছু পোষাক, সাবান, ক্রীম, পাউডার, চিরুনী ইত্যাদি। সব চৈতীর জন্যে। নিজের জন্যে কিচ্ছু আনেনি। সব গুছিয়ে রাখতে গিয়ে চৈতী জিজ্ঞেস করলো-- আপনার জন্যে কিছু নেই যে? কিছুই তো আনেন নি নিজের জন্যে! উত্তরে তন্ময় বললো-- কে বললো কিছু আনিনি?আমার জন্যে তোমায় এনেছি যে। আর কিছু চাইনা আমার।এতক্ষনে হাজার চিন্তার মাঝে নব বিবাহিত দম্পতি র মুখে একটু হাসি ফুটলো।৯ টার সময় বুলবুলি দি খেতে ডাকলেন। দুজন অচেনা অতিথি পেয়ে কেউ যে এত খুশী হতে পারে সেটা ঐ নিম্নবিত্ত পরিবারটিকে না দেখলে কেউ বিশ্বাস করবে না। যাই হোক এক্টু আধটু খেয়ে ওরা ওদের জন্য বরাদ্দ ঘুমানোর ঘরে গেলো। বুলবুলি দি এসে পান দিয়ে গেলেন এক খিলি। বিয়ের রাতে নাকি বর বৌ কে একসঙ্গে একটা পান খেতে হয়।প্রথমে বর খাবে তারপর তার খাওয়া টাই বৌকে একটু দেবে খাওয়ার জন্য! (প্লিজ কেউ কিছু মনে করবেন না!! আমি এরকম টাই শুনেছি :( )। তন্ময় আর চৈতী দুজনেই এসবের কিছুই জানে না। বেচারা তন্ময় কি আর করবে। বুলবুলি দি তো সামনে দাঁড়িয়ে আছেন! তাই কথা মতো কাজ করতে হলো!দুজনের পান খাওয়া পর্ব শেষ হলো। দিদি নিজেই ঘরের আলো নিভিয়ে দিয়ে যেতে যেতে বললো-- ভোররাতে একটু অসুবিধা হবে তোমাদের, এখানে তো ভোর ৪ টের সময় জল আসে। তাই জল ধরতে গিয়ে একটু চেঁচামেচি হয়।তন্ময় বললো- কিচ্ছু অসুবিধা নেই দিদি। আমি ও উঠে সাহায্য করবো আপনাদের। বুলবুলি দি প্রতিবাদ করে উঠলো তৎক্ষণাৎ-- একি কান্ড?একদম না! ওসব কিচ্ছু করতে হবেনা।দরকার হলে আমি ই বলবো। এখন চলি। নতুন জীবন সুখের হোক তোমাদের।....
  • koli | 115.187.40.49 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:২০425275
  • সতেরো বছর আট মাস বয়সী বিবাহিতা র কান্না থামাতে থামাতে ই তন্ময় এর আগের রাত কেটে গিয়েছে। সকালে মামা এসে ডাকাডাকি শুরু করলেন-- কই রে তোরা? তন্ময় আর চৈতী ঘর থেকে বেরিয়ে এলো।মামা বললেন-- শোন আজ সন্ধ্যের সময় কালী মন্দিরে তোদের বিয়ের ব্যবস্থা করেছি। তন্ময় এর দিকে তাকিয়ে বললেন-- তোর মা আসবে বিকেলে। বৌ এর শাড়ি গয়না এসব নিয়ে। সময়মত তৈরী হয়ে থাকিস, আমি এসে নিয়ে যাবো। মায়ের আসার কথা শুনে দুজনেই একটু চমকে গেলো।-- মাকে তুমি খবর দিয়েছো মামা?মামা বললেন--সে কিরে! তোর মাকে খবর না দিলে তোদের বিয়ে হবে কি করে?কেউ তো নিজের লোক থাকা দরকার।তন্ময় একটু ভয়ে ভয়েই জিজ্ঞেস করলো--মা আসতে রাজী হলো?মামা ওর কাঁধে হাত রেখে বললেন--ভাবিস না,সব ঠিক হয়ে যাবে।বুলবুলি দি চা নিয়ে এলো সবার জন্যে। চা খেয়ে মামা বেরিয়ে গেলেন।
    চৈতীর দিকে তাকিয়ে বুলবুলি দি বললো-- একি বোন! তোমার এই দশা কেন? সারারাত কান্নাকাটি করেছো নিশ্চই?চৈতীর চোখ আবার ও ছলছল করে উঠছিলো। বুলবুলি দি বুকে জড়িয়ে বললো-- সব ঠিক হয়ে যাবে।চিন্তা করোনা। তোমার বাবা মা ও একদিন ঠিক মেনে নেবেন দেখো।চৈতী মনে মনে বললো--তাই যেন হয় ঠাকুর!
  • Nina | 76.124.208.223 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:০৮425276
  • দূগ্গা দূগ্গা , নে কলি এগো এগো, বড্ড দুশ্চিন্তায় আছি রে ----
  • til | 220.253.71.161 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:১২425277
  • ওরা আর চারটে মাস ধৈর্য্য ধরতে পারলো না? এবার কি হবে নিনাদি, ভ্যাঁ....
  • ps | 117.201.112.120 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:৪৩425278
  • একটু দেরি করে এসেছি এখানে।এক নি:শ্বাসে পড়ে ফেলেছি।খুব ভালো লাগলো।
    তারপর?
  • koli | 115.187.41.115 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:০৮425279
  • না, ঠাকুরের কানে চৈতীর প্রার্থনা সেদিন হয়তো পৌঁছায় নি।যাই হোক তার আগে যা হলো তা বলি।
    বিকেল নাগাদ তন্ময় এর মা এলেন। এসেই ছেলের সঙ্গে কোন কথা না বলে চৈতীর দিকে একটা ব্যাগ এগিয়ে দিয়ে বললেন-- এতে কিছু জিনিষপত্র আছে , পড়ে তৈরী হয়ে নাও।বলে অন্য ঘরে চলে গেলেন। তন্ময় ও মায়ের সঙ্গে সামনের ঘরে চলে গেলো।
    ব্যাগ এর ভেতর থেকে শাড়ি আর আনুসাঙ্গিক জিসপত্র আর কিছু গয়না বের হলো। চৈতী এবার ভাবতে বসলো কি করে শাড়ি পড়বে! ছোটবেলায় দু একবার বায়না করায় মা পড়িয়ে দিয়েছিলো।কি করবে বুঝতে না পেরে চুপচাপ বসে আছে।অনেকক্ষণ সাড়া শব্দ না পেয়ে চৈতীর শাশুড়ি মা এলেন। -- কি হলো?তৈরী হওনি? চৈতী মুখ নীচু করে বললো-- আমি শাড়ি পড়তে পারিনা তো মা।সেই শুনেই মা পড়িয়ে দিতে শুরু করলেন-- আগে বলবে তো।আমাদের তো এক্ষুণি বেরোতে হবে।দেরী হয়ে গেলে আবার কি সমস্যা হয় কোনো ঠিক আছে বলো? চৈতীর শাড়ি পরা হয়ে গেলো। মা বললেন-- এবার বাকিটা তৈরী হয়ে নাও। এখন সিঁদূর পরবে না কেমন।ওখানে গেলে তখন হবে সেসব।চৈতী বললো--আচ্ছা।মা বেরিয়ে গেলে তন্ময় এলো ঘরে।মা ওর জন্যেও কিছু জামাকাপড় নিয়ে এসেছেন,দেখলো চৈতী। তন্ময় কিছুক্ষন তাকিয়ে রইলো চৈতীর দিকে। চৈতী বললো-- কি দেখছো? ও বললো-- তোমাকে আজ একদম অন্যরকম লাগছে । চৈতী কথা ঘুরিয়ে বললো--আচ্ছা এবার তৈরী হয়ে নাও। মনের ভেতর একটা ভয় কাজ করছিলো চৈতীর। তন্ময় ও হয়তো অস্বস্তি তে আছে। কেউ কাউকে কিছু বলছে না।যাই হোক কালী বাড়িতে গিয়ে বিয়ে পর্ব শেষ হলো। দুজনের যে বিয়ে হয়েছে তার প্রমাণ এর জন্য একটা ছবি ও তুলে রাখা হলো।মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে সবাই আবার আগের জায়গায় ফিরে এলো। মামা,মামী আর মা ফিএ গেলেন। চৈতী ,তন্ময় বুলবুল দি'র বাড়িতেই রয়ে গেলো।.....
  • M | 59.93.222.154 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:০২425280
  • এই শুনে একটা কথা মনে পড়লো,বিয়ের দিন, বন্ধুদের মধ্যে প্রথম আমার ই বিয়ে হচ্চে বলে কিনা কে জানে আমার ঠিক নিজের বিয়ে বলে কিছু মনে হচ্ছিলো না, ছুটি আসলে ভালো বলবে, বেচারী ফেঁসে আছে একটু, তো আমি সেই জোড় না কি বলে সেটা তেনে নিয়ে ছুটে বেড়াচ্ছিলাম বন্ধুদের সাথে,যদিও অতটা কচি ছিলাম না কিন্তু আমাদের গ্রুপটার হাবভাব ই ঐসা, তো শাড়ী দিব্যি তুলে নিয়ে ছুটেছিলাম পাশের ডাক্তার দিদার বাড়ী, যেখানে নাকি আমাদের বাসর হবে, আর খুব মজা হয়েছিলো, সারা রাত্তির আড্ডা। আর তাতে বরকর্তা দাদাভাই বলেছিলেন উনি নাকি নিজের বাসরে গেয়েছিলেন,

    পৃথিবী আমারে চায়
    রেখোনা ধরে আমায়।

    বাকিটা...... :P

    এই কলি মস্ত পোষ্ট হয়ে গেলো, ক্ষমো মোরে।:)
  • Nina | 66.240.33.36 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:২৩425281
  • কিকিয়া, কলির রান্নায় তোর ঘি-গরম মশলা অ্যাড --বেশ মুখরোচক। :-))

  • Nina | 66.240.33.36 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:২৬425283
  • তিলবাবু, কাঁদে না কাঁদে না--সব ঠিক থাকবে।

    কলিরে, তাপ্পর কি হল -----

  • koli | 115.187.39.209 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০১425284
  • হিহিহিহিহিহিহিহিহিই খুব হাসলাম মস্ত(! তাতে কি?) পোস্টটা পড়ে :)।।খুউউউউউউউউব ভালো। নিনাদি একদম ঠিক বলেছো :)
  • koli | 115.187.39.209 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১২:০৯425285
  • যাওয়ার সময় তন্ময় এর মা বলে গিয়েছিলেন কাল সন্তোষ আসবে।তোদের রেজিস্ট্রি র কাগজপত্র নিয়ে, তোরী থাকিস। চৈতীকে সাবধানে থাকতে বলে গেলেন। আবার ও আরেকটা চিন্তামগ্ন দিন কেটে গেলো ওদের দুজনের। এসবের মধ্যে ওদের মনেই নিই ওরা ভালোবেসে ঘর ছেড়ে পালিয়ে এসেছে! কোথাও এতটুকু উচ্ছাস নেই। বাইরে বৃষ্টি হচ্ছে, কি ঝলমলে রোদ? কিছুতেই মন নেই কারো। চৈতী ভাবছে-- বাড়িতে সবাই নিশ্চই ওকে কত খুঁজছে। দাদা হয়তো দেশে ফিরছে। ফিরের সব তোলপাড় করে খুঁজে ঠিক বের করে নেবে ওকে।তারপর দু পক্ষের বিরোধ চামে উঠবে। অনেক ঝড় ঝাপটা র পর হয়তো সব ঠিক হলেও হতে পারে। কিঁবা সব শেষ হয়ে যাবে। এমন ও হতে পারে--- দুজন আলাদা হয়ে যাবে, কোনদিন আর দেখাই হবেনা। ভাবনায় ডুবে ছিলো চৈতী। বুলবুলি দি'র ডাকে হুঁশ ফিরলো। -- কই চলো চা খাবে। আজ তো এখনো কিছুই করোনি । এক্ষুণি তো তোমার ভাসুর আসবেন। নাও চা খেয়ে স্নান সেরে নাও। চৈতী বললো- হুঁ যাই দিদি। তন্ময় কাছেই একটা বাজার আছে সেখানে গিয়েছিলো। এসে চৈতীকে একভাবেই বসে থাকতে দেখে চিন্তিত হলো একটু-- একি তুমি এখনো এখানে চুপচাপ বসে আছো? বুলবুলি দি বললেন-- দেখ না ভাই আমিও কত ডাকলাম। এবার তুমি ই বোঝাও।
    পাশে বসলো তন্ময়-- জানি সোনা, তোমার খুব কষ্ট হচ্ছে। হঠাৎ এতগুলো ঘটনার জন্য তুমি তৈরী ছিলেনা। কিন্তু বিশ্বাস করো আমিও তৈরী ছিলাম না গো। তবু বলি তুমি আমার পাশে থাকলে একদিন সব সমস্যা অতিক্রম করতে পারবো দেখো।তুমি এমনি মন খারাপ করে থাকলে নিজেকে বড্ড দোষী মনে হয় চৈতী। তুমি বোঝনা সেটা?
    চৈতী বললো-- না না আমি ঠিক আছি তো। কিচ্ছু হয়নি । তুমি বাজার থেকে ফিরলে? কি এনেছো আজ? একটু স্বাভাবিক হয়ে নিয়ে তন্ময় বললো-- আজ তোমার পছন্দের জিনিস এনেছি। কি বলতো? চৈতী হেসে বললো--আমার পছন্দের? কি হতে পারে? হুঁ মসুর ডাল, আলু সেদ্ধ ,আর লটে মাছ এইসব ই তো ভালোবাসি।--- তাই তাই এনেছি দেখ গিয়ে.....

    একটু পর সন্তোষ দা এলেন। ওনাকে দেখেই ওড়না দিয়ে মথায় ঘোমটা দিলো চৈতী। মাকে দেখেছে জেঠু বাড়িতে এলে মা ও ঘোমটা দিতো। আর দূর থেকে প্রণাম করতো। চৈতী ও তাই করলো। দাদা বললেন-- একি এসব করতে হবেনা। এখানে এসে বোসো। তন্ময় কে ও ডাকলেন।তারপর কি কি ভাবে করলে আঠেরো না হওয়া চৈতীকে উনিশ বছরের মেয়ে বলে আইনি বিয়ে সারা যায় সেসব বোঝালেন। ফর্মে দুজনের সই নিয়ে চা খেয়ে বললেন--চলি।সব হয়ে গেলে আজ বিকেলের মধ্যে পত্রিকা অফিসে একটা বিজ্ঞাপন দিয়ে দেব বুঝলি? তন্ময় বললো--সেটা কেন?
    -- আরে তোরা যে আইনত বিয়ে করে নিয়েছিস তার একটা প্রুফ দরকার,সবাইকে দেখানোর জন্যে। তন্ময় বললো--আচ্ছা ঠিক আছে, তুমি যা ভালো বুঝবে কোরো। চৈতী বললো--দাদা,আবার আসবেন।......
  • de | 59.163.30.5 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:৪১425286
  • আহারে! আমার দুজনের জন্যই কষ্ট হচ্ছে! এটাও রিজওয়ানুর কেস হয়ে যাবে না তো , ও কলি?
  • a | 115.117.154.214 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:৫২425287
  • একটা প্রশ্ন: ম্যারেজ রেজিস্ট্রি ওফিসে একমাসের নোটিস দিতে হয় তো। সেটা কি করে হল?
  • a | 115.117.154.214 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:৫৫425288
  • বাই দি ওয়ে, আঠেরো বছর না হলে বিয়ে করা এমনিতেই বেআইনি। সুতরাং, প্রতিবাদ জানিয়ে গেলুম।

    (প্লীজ এই টেকনিকাল
  • Rajdeep | 202.79.203.59 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:৫৭425289
  • a মুল্য ধরে দিয়ে এক মাসের লুটিস না দেবার রাস্তাও প্রচলিত আছে :-)

    ডি: গল্প নয় নিজের চোখে দেখেছি !
  • de | 59.163.30.5 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:০০425290
  • আমি নিজে করেছি :), লুটিশ ছাড়া!
  • Rajdeep | 202.79.203.59 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:০৫425291
  • জ্জিও de , এইসব লুটিসের আইন এক্ষুনি স্ক্র্যাপ করা উচিত

    বিয়ে রেজিষ্ট্রি করার জন্য আবার লুটিস কি বে ? যত্তসব ভিক্টোরিয়ান আইন ..........

  • de | 59.163.30.5 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:০৮425292
  • রাজদীপ কে ক!
    আমি তো হাফ-ডে করে দিব্বি বিকেলে এসে আপিস কল্লুম :))
  • a | 115.117.154.214 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:২৪425294
  • আইনটা, খুব একটা খারাপ না, খারাপ এর ইমি্‌প্‌লমেন্টশন। মূল ব্যাপার হল একমাস নোটিস দেওয়া থাকবে যাতে কারুর আপত্তি থাকলে সে জানাতে পারে।

    আমি মূল্য ধরে করাতে পারিনি, বা খুব চেষ্টাও করিনি। কলকাতাতে এখন বোধহয় এটাতে বেশ কড়াকড়ি আছে।

    দে, কবে করেছিলেন? মানে কদ্দিন আগে?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন