এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নিছক ই একটা গল্প---

    koli
    অন্যান্য | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ | ১৫৪৫৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nina | 64.56.33.254 | ২৭ জুলাই ২০১০ ০১:২৬425462
  • কলি--বস্র রইলাম অধীর আগ্রহে---হাত চালিয়ে
  • til | 220.253.181.44 | ২৭ জুলাই ২০১০ ০৩:৩২425463
  • কলিদি টিভি সিরিয়ালের কায়দা বেশ রপ্ত করেছে তো; ঠিক মুহূর্তেই- এর পরের সপ্তাহে!
  • koli | 115.187.59.7 | ০৩ আগস্ট ২০১০ ২০:০০425464
  • সব ছেড়ে তন্ময়কে ছেড়ে চৈতী বাড়ির বাই সকলের সঙ্গে নতুন শহরে চলে এলো। একেবারে নির্জন দ্বীপ থেকে হাটের মাঝে যেন।নতুন জায়গা নতুন মানুষজন--- অনেক গুলো নতুন মুখের ভীড়ে... চৈতী হারাতে পারেনি সেদিন নিজেকে। গুমড়ে গুমড়ে মরেছে।....
    কিচ্ছু বলেনি কাউকে, কিচ্ছু বুঝতে দেয়নি।প্রাণপনে চেষ্টা করেছে সব মনে রেখে নতুন করে জীবনটাকে কিছুটা হলেও সচল করতে। না হলে তো জীবন সত্যি অচল হয়ে গিয়েছিলো।
    তন্ময়কে ছেড়ে যেদিন চলে এসেছিলো --তারপর প্রতিটা দিন কি অসহ্য যন্ত্রনায় কেটেছে ওর--কেউ খবর রাখেনি। কান্না পেলে কাঁদতে পারেনি। কাঁদার জন্য সারা দিন অপেক্ষা করে থাকতে হতো, কবে ঘরের আলো নিভবে--তারপর চৈতী বালিশে মুখ গুঁজে কাঁদবে! সারাক্ষণ কানের ভেতর কী এক অসহ্য আওয়াজ... কিছুতেই ওকে স্থির থাকতে দিত না! এখনো চৈতী ভেবে পায়না কিসের আওয়াজ ছিলো সেটা।মনে হতো পাশেই অনেকগুলো মেশিন চলছে--আর অনেক অনেক কিছু পিষে যাচ্ছে সেই মেশিনের তলায়! বোকা মেয়েটা সেদিন বুঝতেই পারেনি--সেদিন থেকেই আস্তে আস্তে ওর সব ইচ্ছে,ভালোলাগা, ভালোবাসা সব পিষে যাচ্ছিলো তথাকথিত শ্রেনী বৈষম্যের যাতাকলের নীচে!কেউ ছিলোনা সেদিন ওর পাশে।আজ যখন ও দেখে আশে পাশে কত হীতাকাঙ্খী দের ভীড়! ইচ্ছে হয় প্রশ্ন করে সেদিন কোথায় ছিলে তোমরা সব? কেন আমাকে আমার সব কিছু ছেড়ে দিতে দিলে? কেন বললে না কেউ-- এমন সিধান্ত নিস না চৈতী, যার জন্য তোকে সারাজীবন কাঁদতে হবে, খোঁটা শুনতে হবে?যাক----যা বলছিলাম....
  • koli | 115.187.59.7 | ০৩ আগস্ট ২০১০ ২০:০৩425465
  • **বাকি সকলের সঙ্গে**
  • Ananya | 199.133.18.157 | ০৪ আগস্ট ২০১০ ০০:০৯425466
  • কলি,
    দারুন হচ্ছে, চালিয়ে যান।
  • til | 220.253.188.158 | ০৪ আগস্ট ২০১০ ০২:৩২425467
  • আরে কলি দিদিমণি ভুল পাতায় তোমায় তাড়া দিলাম। টই দুটোর নামে এত মিল।
    যাক কাজ তো হয়েছে, কলিদি লিখেছেন, অনন্যাও।
    --
    (অন্য প্রসঙ্গে বলি : ধ্যুস,কেন যে দেখতে পেয়েও হাওড়া ষ্টেশনে আমাদেরকে হাঁক পাড়লে না!)
  • koli | 115.187.36.254 | ০৮ আগস্ট ২০১০ ১০:৪৬425468
  • কোচিং ক্লাস থেকে ফেরার পথে বাজার করে এনে রান্নার আয়োজন করতে ব্যস্ত চৈতী। পাশের ঘরে মা শুয়ে আছে। মায়ের খুব চিন্তা কিছুদিন পরেই মেয়ের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা...... আর এখনি মা অসুস্থ্য হয়ে বিছানায়। চৈতীকে সংসার সামলাতে হচ্ছে। বাবা ও একটা কাজে বাইরে গেছে।
    এখন ওদের তিনজনের সংসার। বাবা, মা আর চৈতী। দাদারা জীবন ও জীবিকার তাগিদে বাইরে।

    নতুন শহরে এসে চৈতী আগের চেয়ে আরো অনেক বেশি চুপচাপ হয়ে গিয়েছে।তবু ভালো যে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে থাকলে সময়টা কিছুটা ভালো কাটে। সব বন্ধুরা ওকে খুব ভালোবাসে! ওর পাশে বসার জন্য ধাক্কাধাক্কি করে! কিন্তু কেন? চৈতী ভেবে পায়না কোন উত্তর। কারো জন্য কিছু করতে না পারার একটা কষ্ট সবসময় ওকে তাড়া করে। তবুও এই অযাচিত পাওয়া ওকে অভিভুত না করে পারেনা।
    তো যাই হোক এই ভাবে একদিন স্কুলের গন্ডি পেরিয়ে কলেজে পৌঁছালো মেয়েটি। আরো অনে্‌ক অনেক বন্ধু, শিক্ষক শিক্ষিকাদের ভালোবাসা, সব এর মধে আস্তে আস্তে নিজেকে ডুবিয়ে দিতে দিতে তন্ময় এর স্মৃতি ও মলিন হতে শুরু করলো ওর মন থেকে।
    এর মধ্যে একদিন ইন্টারনেট নামক একটি বায়বীয় অপদার্থের সঙ্গে পরিচয় ঘটলো চৈতীর। পরিচয় ঘটে ভালো কি খারাপ হলো সে কথা জানা যায়নি এখনো।
    বায়োকেমিস্ট্রি, বায়োফিজিক্স, কেমিস্ট্রি ইত্যাদির ফাঁকে একসময় অন্তর্জালের মধ্যে দিয়ে চৈতীর মন আটকে গেল অচেনা চেহারার চেনা মনের সঙ্গে.....
  • til | 220.253.188.158 | ০৮ আগস্ট ২০১০ ১২:০৩425469
  • তারপর?
  • M | 59.93.221.190 | ০৮ আগস্ট ২০১০ ২১:১৬425470
  • অ কলি, তাপ্পর?
  • Nina | 68.36.163.248 | ০৯ আগস্ট ২০১০ ০৫:৪৯425472
  • ওরে কলি, কই লেখ তারপরের কথাগুলো---
  • koli | 115.187.41.101 | ১২ আগস্ট ২০১০ ২১:০৯425473
  • "আচ্ছা চৈতী এই যে তুমি আমার সঙ্গে কথা বলো, আমি কথা বলি.... এতগুলো দিন হয়ে গেলো, তোমার মনে হয় না আমরা দেখা করি?'' একদিন কথায় কথায় একথা জানতে চেয়েছিলো সুদীপ্ত--- যার সঙ্গে কথা বলতে চৈতীর খুব ভালো লাগে। ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেলেও মনে হয় এইতো কয়েক মিনিট হলো কথা বলছি। আরো আরো অনেকক্ষণ বলি!
    চৈতী উত্তর দিয়েছিলো-" হুঁ , মনে হয় তো। কিন্তু তুমি নিজে থেকে না বললে আমি কি করে বলি? আর এই যে দেখা করতে চাইছো--কতটা চেনো তুমি আমায় দীপ্ত? যদি তোমার ভাবনার সঙ্গে না মেলে কিছুই? তখন তো দিব্যি মুখ ঘুরিয়ে চলে যাবে!
    হো হো করে হেসে উঠেছিলো সুদীপ্ত--"তুমি বুঝি এসব ছাইপাশ ভাবো আমাকে নিয়ে? সে তো তোমার ভাবনার সঙ্গে ও আমার মিল থাকবেনা। তাই বলে তুমি ও কি তাই করবে?
    " বা রে! আমি কেন তাই করবো? আমি তো তোমাকে নিয়ে ভাবি ই না! চিনি না জানি না একটা কোথাকার কে! এখনো গলার স্বর টা অবধি শুনি নি! তাকে নিয়ে আমি কেন ভাবতে যাবো?
    এই কথার পর দীপ্ত অনেকক্ষণ কিছু লিখছে না দেখে অস্থির হয়ে ওঠে চৈতী।তাই এক নাগাড়ে টাইপ করেই যাচ্ছিলো--"দীপ্ত অ অ অ অ অ অ অ অ অ-- রাগ করোনা প্লিজ্‌জ্‌জ্‌জ্‌জ্‌জ্‌জ্‌জ্‌জ, আমি তো মজা করছিলাম।'
    এরপর যে লাইন টা দীপ্ত র তরফ থেকে কম্পিউটার এর স্ক্রীনে উঠে এলো তাতে ১০ ডিজিটের একটা নম্বর। আর এক লাইন লেখা--" নাও এটা আমার ফোন নাম্বার, যে কোন সময় ফোন করে নিও।'------
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ০১:০৬425474
  • কলিয়া, আমার গায়ে কাঁটা দিল !! আবার হাওয়া হয়ে যাসনিপ্লিজ--তাপ্পর?
  • til | 220.253.188.158 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ০১:২৮425475
  • এইটে বেশ জব্বর রোম্যান্টিক সীন; এক কথায় অপূর্ব।
  • til | 210.193.178.129 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ১৩:৪৫425476
  • ও কলিদি,
    তারপর চৈতীর কি হলো; অপেক্ষায় আছি।
  • koli | 115.187.59.205 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ২১:৩৮425477
  • কলেজ থেকে ফেরার সময় টুপুর আর চৈতী একসঙ্গে ফেরে। টুপুর মনে করিয়ে দিলো--"কি রে আজ না তো দীপ্ত দা কে ফোন করার কথা'
    চৈতী যেন ভুলেই গিয়েছিলো এমন ভাব করে বললো-"ও! হ্যাঁ এইতো করছি'
    ব্যাগের ভেতর থেকে একটা অনেক ছোট করে ভাঁজ করা কাগজ বের করলো চৈতী। নম্বর ডায়াল করেছে। ওপাশে এক রিং হতেই কেটে দিলো দীপ্ত ফোনটা। পরক্ষণেই বেজে উঠলো চৈতীর ফোন।
    কোনরকম বাহানা না করেই দীপ্ত বললো-" হ্যাঁ বলো --কলেজ ছুটি হলো?'
    যুগপৎ বিস্মিত এবং আনন্দিত হলো চৈতী-ও কি করে জানলো এটা আমার নাম্বার!
    ওপাশ থেকে অস্থির শোনালো দীপ্ত'র কন্ঠস্বর-- চৈতী---- কি হলো কথা বলছো না কেন?
    "হুঁ এইতো বলছি'-বলেই আবার থেমে গেল চৈতী।
    দীপ্ত এবার বলেই চলেছে--"ভাবছো বুঝি আমি কী করে জানলাম এটা তোমার ই ফোন নাম্বার? হ্‌ম্‌ম্‌ম্‌ম তাই তো কী করে জানলাম! ম্যাজিক বুঝেছ?'
    ছাই ম্যাজিক! কৃত্রিম রাগ দেখালো চৈতী। অমন আন্দাজে ঢিল ছুঁড়লে লেগে যেতেই পারে। এত খুশী হতে হবেনা।

    এবার হেসে ফেললো দীপ্ত। মুগ্‌ধ হলো চৈতী। কি সুন্দর হাসতে পারে ও!ইচ্ছে হলো এক ছুট্টে গিয়ে ওর সামনে দাঁড়ায়, শুধু হাসলে ওকে কেমন দেখায় দেখবে বলি!
    সংযত করে নিলো নিজেকে চৈতী--" হয়েছে অনেক হেসেছ। কেমন আছো? আজ অফিস যাওনি? কি হয়েছে শরীর খারাপ?' এক নি:শ্বাসে সব বলে দম নিলো চৈতী।
    " না না শরীর খারাপ নয়। আজ তুমি ফোন করবেবলে ছুটি নিয়েছি! হেহেহেহে'

    আবার হাসি? মজা হচ্ছে আমার সঙ্গে! রেগে যাবো কিন্তু খুব! -- এবার সত্যি সত্যি রেগে যাচ্ছে মেয়েটা।

    "এই না না রাগ করতে হবে না। প্রথম দিন কথা বলছি একটু না হাসলে চলে বলো? যদি পরের দিন আর কথাই না বলো এই ভয়ে ই হাসছি!'

    এইরকম পাগলামী তে চৈতী ও হাসলো খানিক। আর পাশে দহানো টুপুর তো চুপচাপ হেসেই চলেছে এক দিকের কথাবার্তা শুনে!" এই মেয়েটা তুই হাসছিস কেন রে'
    টুপুর বললো-"বা: রে! তোরা হাসলে দোষ নেই?আমি হাসলেই দোষ!'
    ওপাশ থেকে দীপ্ত বললো-- ও টুপুর আছে? দাও ওর সঙ্গেই কথা বলি। তুমি তো কিছু বলছো ই না!
    চৈতী বললো-- নাআআআআ দেবোনা।কেন দেবো?খুব মজা না?যাও ফোন রাখো। ভালো থেকো। বাই...........
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৩ আগস্ট ২০১০ ২৩:৩৩425478
  • উফ! আমার ঐ চৈতীর দাদাদের কথা মনে করেই ভয় করছে--কি আবার ব্যাগড়া দেবে খোদা জানে :-((
    ব্যাগড়া দিতে যেন না দেয় চৈতী ---প্রথমবারের ভুল, ভুল--দ্বিতীয়বারেরটা বোকামি!!
  • til | 220.253.188.158 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ০৬:২৬425479
  • বাহ কলিদি। প্রথম ফোনে কথা, বাহ। কি মিষ্টি। ঐ মুহূর্ত সোনার ফ্রেমে বাঁধানো হয়ে গেল চিরকালের জন্যে। শীগগির পরেরটা লেখ।

    আমি একটু প্র্যাকটিশ করি, প্রেমকহানী লিখতে পারি কিনা।
    --
    দৃশ্য -১
    মেয়েটি এসেছিল, দুধ সাদা সাধারণ কিন্তু মাঞ্জা দেয়া শাড়ী, নো বর্ডার; কেবল কিছুটা অংশ কমলা, যাতে করে কুঁচি ও তার পাশে সাদাটা কেটে টকটকে কমলা রঙ ফোটে, গলায় ম্যাচিং কমলা উলের সূতো দিয়ে একটা ছোট্ট চোকার।
    শহরতলীর সকাল, বিটি রোডের ওপর বাসস্ট্যান্ড ও সিনেমাহলের সামনে। ছেলেটি একেবারে গোবেচারা, সেই দশটা থেকে অপেক্ষায়, সাড়ে দশটায় অ্যাপয়েন্টমেন্ট! তিনি এলেন এগারোটায়,- এসেই,
    "কতক্ষণ?"

    দৃশ্য-২
    কেটে গিয়েছে কয়েক দশক, ডজন খানেক শহর, কয়েক যুগ। ঠিক একই জায়গা, সিনেমাহলটা এখনও টিম টিম করছে, শহরতলী যেন বিবর্ণতর , বিটি রোড অনেক বেশী ব্যস্ত, নিরন্তর যানবাহন চলেছে তো চলেছেই। তিনি এলেন সেই আগের মতই, তবে সময় এনে দিয়েছে আরও স্থিরতা, স্নিগ্‌ধতা। কেবল এসেই সেই একই,
    "কতক্ষণ"

    কত ক্ষণ?
    একটা আস্ত জীবন।
  • Nina | 68.36.163.248 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১০:০০425480
  • aarebaah! etotilnaytaalhal!! kiyaabaatkeyabaat!
  • Nina | 68.36.163.248 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১০:০৪425481
  • বেশ তো ছিল. লেখা এবার কঠিন
  • M | 59.93.241.181 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ১৬:৪৩425483
  • আরে তিল তো ছুপা রুস্তম নিকলা।

    এটাতে আর দাদারা ঝামেলা করবেনা, এটাতে......... যাক, কলি ই বলুক...........

    তিল, ওটা কি হলেও হতে পারতো ... তে যাবে? :P
  • koli | 115.187.39.22 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২১:০৪425484
  • নতুন বন্ধু!!!
    তুমি তো কলিপেক্ষা অত্যধিক মনোরম লিখিতেছ!!
  • ps | 117.201.113.24 | ১৪ আগস্ট ২০১০ ২৩:৫৫425485
  • তিল, দারুন।

  • til | 220.253.188.158 | ১৫ আগস্ট ২০১০ ১২:০৩425486
  • একটি নাটকের প্রথম ও শেষ দৃশ্য।
    যবনিকা।

    নিনা, কলিদিদি, বিগM ও পিয়েস কে থ্যাঙ্কু।
  • koli | 115.187.36.218 | ১৬ আগস্ট ২০১০ ২০:৩৯425487
  • গল্পের দ্বিতীয় ভাগ এর শুরুতে একটা ব্যাপার উল্লেখ করা হয়নি। সেটা হলো চৈতীর বিয়ের ব্যাপারে বাড়িতে ভাবনা চিন্তা হচ্ছে। গ্র্যাজুয়েশন এর ফলাফল বেরিয়ে গেলেই তাহাকে পাত্রস্থ করিবার তোড়জোড় শুরু হবে।

    এদিকে সুদীপ্ত আর চৈতী'র আলাপ ক্রমে গাঢ় বন্ধুত্বে পরিণত হতে লাগলো। চ্যাট রুমে কথা বলা--- তারপর নিজেদের একটা চ্যাটরুম তৈরী করে সেখানে কথা বলা-- এইসব করতে করতে একসময় ওরা দুজনেই দেখা করার প্রয়োজন উপলব্ধি করতে থাকে।যেমন ভাবা তেমন কাজ।
    একদিন কথা বলতে বলতে চৈতী বলে-" আমরা কবে দেখা করছি দীপ্ত?'
    " এখনি? আরো কদিন পর দেখা করলে হয়না?"-- পাল্টা প্রশ্ন করে সুদীপ্ত।
    " হুম্ম, না আমাদের দেখা করা উচিত।সামনের মাসে একটা দিন ঠিক করে আমায় বলো আগে থেকে।আমাকে সব দিক ম্যানেজ করে আসতে হবে, তাই টাইম লাগবে একটু"--বলে থামে চৈতী, অপেক্ষা করে দীপ্ত'র বলার জন্যে।
    "একটা কথা চৈতী--'
    "বলো'
    " ধরো আমাকে তুমি যেরকম ভাবছো আমি সেরকম নই, তাহলে তোমার কষ্ট হবে না?'-প্রশ্ন করে দীপ্ত।
    "হ্যাঁ , কষ্ট হবে বৈকি। ভীষণ কষ্ট হবে।কিন্তু তুমি সেরকম হবে না ই বা কেন শুনি? এমন বলছো যেন প্রেমিক তার প্রেমিকা'র সঙ্গে দেখা করতে আসবে! এত ভাবছো কেন?ভয় তো আমার পাওয়ার কথা!'
    " না চৈতী, আসার আগে তোমাকে একটা কথা বলা উচিত--'
    "উচিত? তো বলে দাও!"
    অপেক্ষা করতে থাকে চৈতী--কখন দীপ্ত লিখবে--
    এর পর সেই লেখাটা ভেসে ওঠে কম্পিউটার এর স্ক্রীনে--"আজ প্রায় পাঁচমাস হয়ে এলো চৈতী, আমরা দুজনে কথা বলছি। এখন এমন হয়েছে একদিন তোমার সঙ্গে কথা না হলে মনে হয় কি যেন হয়নি আজ। কেমন একটা শুন্যতা কাজ করে চারদিকে।মনে হয় তক্ষুনি কথা বলি তোমার সঙ্গে।'
    চৈতী একটু আন্দাজ করতে পারে দীপ্ত কি বলবে, ওর নিজের মনে যে রাজ্যের দ্বিধা--সেসব কোনদিন ও দীপ্তকে বলেনি। হয়তো কোনদিন বলতে পারবে ও না। কে জানে হয়তো ভুল করছে চৈতী, তবুও ও কিছুতেই সব কথা দীপ্ত কে বলতে পারবেনা।নিজেকে সামলে নিয়ে চৈতী বললো--"এটাই বলার ছিলো দীপ্ত?'
    "না চৈতী শুধু এগুলো নয়। যেকথা তোমাকে বলবো এখন, সেকথা শুনে তোমার যা প্রতিক্রিয়া হবে, কোনরকম দ্বিধা না করে আমায় জানাবে। নাহলে বুঝবো তুমি আমাকে তোমার বন্ধু বলে ভাবো ই না।'
    " আচ্ছা বেশ বলবো, বলো তো আগে কি কথা!'
    দীপ্ত বললো-- " মনে হয় আমি তোমায় ভালোবেসে ফেলেছি চৈতী, নিজেও বুঝতে পারিনি কখন তুমি আমার মনের মধ্যে এতটা জায়গা করে নিয়েছো। তুমি প্লিজ রাগ করোনা, যদি আমি কোন অন্যায় কথা বলে থাকি।'..............

  • til | 220.253.188.158 | ১৭ আগস্ট ২০১০ ০১:৩৮425488
  • কলিদি, ঠিক সময়েই কমার্শিয়াল বিরতির কায়দাটা বেশ রপ্ত করেছে তো।
    তারপর?
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৭ আগস্ট ২০১০ ০৩:১৬425489
  • কলিটাকে ক্যালাতে হবে--তিল হেল্প করো তো --বিচ্ছিরি ভাবে থামে, এগোতে চায়না --এই কলি , কই গেলি??
  • Nina | 64.56.33.254 | ১৭ আগস্ট ২০১০ ০৩:১৭425490
  • তিল , তুমিও বড্ড চটপট যবনিকায় চলে গেলে----আর একটা শুরু হোক, প্লিজ।
  • sana | 114.78.56.200 | ১৭ আগস্ট ২০১০ ১৯:১৬425491
  • til,দারুন লাগলো! আরো লিখুন,প্লীজ?
    koli,র আগের গল্প পড়িনি,এটা পড়ছি,মতামত পরে জানাবো,কেমন? আর একটু পড়ে নি।
  • til | 210.193.178.129 | ১৮ আগস্ট ২০১০ ০৭:৩৭425492
  • ওহ কলিদি, শেগগির লেখো বলছি; নতুবা.........!
  • Nina | 68.36.163.248 | ১৯ আগস্ট ২০১০ ০৭:১০425494
  • ও মাআঅ কলি!!! এক পাও এগোস নি এখনও :-(((
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভেবেচিন্তে প্রতিক্রিয়া দিন