এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নিছক ই একটা গল্প---

    koli
    অন্যান্য | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ | ১৫৪৭৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • koli | 115.187.41.205 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:৫৩425328
  • মনে একরাশ আনন্দ নিয়ে চৈতী আর তন্ময় শহরে আসে। আজ অপূর্ব আসবে। নিশ্চই সব ঠিক হয়ে যাবে। এতদিনের দু:খ কষ্ট সব মিটে যাবে। এই দিনটার জন্য যেন কতদিন যুগ ধরে অপেক্ষা করছে দুজনে!

    সময় মত বন্ধুর মামা বাড়িতে আসে অপূর্ব, ওর এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে। তন্ময় দরজা খুলে বসতে বলে।জিজ্ঞেস করে--- কবে এলি? অপূর্ব বলে-- ৪-৫ দিন হচ্ছে। চোতী চা এনে দেয়। দিয়ে ও যখন ঘরে যাচ্ছিলো তখন দরজার খুব জোরে ঠকঠক শুনতে পায়। অজানা আশঙ্কায় সারা শরীর কেঁপে ওঠে।

    হ্যাঁ যা আশঙ্কা করেছিলো তাই হয়েছে। একঝাঁক পুলিস সঙ্গে সঙ্গে দরজা ধাক্কা দিয়ে ঘরে ঢোকে। চিৎকার করে বলে--কে তন্ময়? ধর শালাকে....

    চৈতী ভেতর থেকে ছুটে এসে তন্ময়কে আগলে দাঁড়ায়। চৈতীর কাকা আর পিসেমশায় এসে ওকে দুদিকে টেনে ধরে রাখে। হাউ মাউ করে কাঁদতে থাকে চৈতী। দাদার পায়ে পড়ে। এমন করিস না দাদা। আমাকে যা করার কর, ওকে ছেড়ে দে। ওর কোন দোষ নেই। ওর কিছু হলে আমি বাঁচবো না দাদা।

    না কেউ শোনে নি চৈতীর কথা। পুলিস তন্ময় এর কোমড়ে দড়ি পরিয়ে ভরা হাটের সামনে টানতে টানতে ভ্যানে তোলে। চৈতীকে ওর দাদা আর কাকা মিলে ভ্যানে তোলে। সারাটা পথ কেঁদে কাকুতি মিনতি করে কত করে বোঝানোর চেষ্টা করে সবাইকে। কেউ কানেই তোলেনি একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ের আর্তনাদ। মাত্র তো ৬৬ দিনের সংসার। তার জন্য এত ব্যথা কিসের! তাই ভেবেছিলো হয়তো সবাই।....

    ওরা কেউ বোধহয় কখনো কাউএক ভালোবাসেনি। তাই জানেনা ভালোবাসা হারানোর ভয়ে একটা মানুষ কতটা পাগলের মত আচরন করে....
  • Nina | 66.240.33.48 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:৫৩425329
  • মাগো !!!! ঠিক জানতাম এইরকম কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে----এবর কি হবে :-(
  • koli | 115.187.40.190 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:২৮425330
  • থানায় নিয়ে এই মামমলার তদন্তকারী অফিসারের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয় ওদের দুজনকে। চৈতী কে অফিসার জিজ্ঞেস করে-- তোমাকে কি এই ছেলেটা জোর করে তুলে নিয়ে গেছে?
    চৈতী ততক্ষণে অনেকটাই শান্ত হয়েছে। অফিসারের প্রশেন উত্তরে ও বলে-- না। আমি নিজে নিজেই ট্যাক্সি তে উঠেছিলাম। সত্যি কথা এত সহজ ভাবে হয়তো সেদিন ই ও প্রথম বলতে শিখেছিলো! কিন্তু তাতে কি অফিসার তো টাকা খেয়ে খেয়ে ভুঁড়ি বড় করেছে। এইসব সহজ সহজ সত্যি কথাকে পাত্তা দিলে তো ওর চলবে না।

    চৈতীর চোখের সামনেই তন্ময় এর পিঠে একের পর এক লাঠির আঘাত পড়তে থাকে। রাগে চিৎকার করে ওঠে চৈতী-- হচ্ছেটা কি? ও দোষ ওর? মারলে আমাকে ও মারুন। একা ও কিছু করেনি। আমরা দুজন একসঙ্গেই ঘর ছেড়ে চলে গিয়েছিলাম। তাই আক্রোশ্‌টা দুজনের উপর ই সমান ভাবে ঢালুন। টাকা খেয়ে আর কত আইনের অপমান করবেন!
    অফিসার এবার আর চুপ করে থাকতে পারেনি-- আইনের অপমান? কি বলছো তুমি? অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক একটি মেয়েকে এই ছেলেটি রাস্তা থেকে ভয় দেখিয়ে উঠিয়ে নিয়ে গেলো। তাকে ধরে এনে আইনের অপমান করছি?
    -- হ্যাঁ আপনি তাই করছেন। ঝাঁঝিয়ে ওঠে চৈতী।--মানছি আমার প্রাপ্তবয়ষ্ক হতে এখনো ২৬ দিন বাকি! এটাও মানছি যে তথাকথিত নিমানুসারে আর ঠিক ২৬ দিন পর ই আমি প্রাপ্তবয়ষ্ক হবো!তার আগে পালিয়ে গিয়ে অপরাধ করেছি ও আমিও। আমাকে কেন মারছেন না? আর যেটা ও করেনি সেটাই বা ওকে দিয়ে বলাতে চাইছেন কেন? এটা কে আইনের সম্মান করা বলে?

    অফিসারের মুখে আর কথা এলো না। এইটুকু মেয়ের এত ভারী কথাকে সে ই বা পাত্তা দেবে কেন বলুন? উল্টে আরো জোরে লাঠি চলতে লাগলো তন্ময় এর সারা শরীরে-- বল, যে তুই এই মেয়েটাকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছিস। বল।

    না সেদিন এই মিথ্যে কথাটা বলতে পারেনি তন্ময়।মার পড়েছে ঠিক ই অনেক ওর পিঠে। কিন্তু বন্ধুর বিশ্বাসঘাতকতার ঘোর ই কাটেনি এখনো ওর মন থেকে! তাই এইসব লাঠির আঘাত এ এখনো ও ব্যথা পাচ্ছেনা। কনস্টেবল এসে ওকে হাজতে ঢোকায়। চৈতীকে আদর যত্ন করে চেয়ারে বসতে বলে। কাকা,দাদা, পিসেমশায়,পিসতুতো দাদা,মামী,পিসি সব আসে একে একে। রাত তখন নটা তিরিশ। চৈতীর জন্যে বিরিয়ানি আসে। সবাই বলাবলি করছে--আহারে মেয়েটা কতদিন খেতে পায়নি।আজ একটু শান্তি মত খাবে।

    পিসি অফিসারকে একটু বাইরে যেতে বলে। চৈতী কে দিয়ে কী সব কাগজে সই করিয়ে নিয়ে বাধ্য বাচ্চার মত বেরিয়ে যায় অফিসার। এবার ঘিরে ধরে সবাই চৈতীকে।

    -- তুই বল চৈতী? তুই নিজের ইচ্ছেই যাসনি তো? বল একবার?
    রাগে ক্ষোভে কি করবে বুঝে উঠতে পারেনা চৈতী-- ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতে চায় সবাইকে।-- না আমি নিজের ইচ্ছেতেই নিজের পায়ে হেটে ওর সঙ্গে গেছি। আর কিছু শুনবে তোমরা? শান্তি হয়না সত্যি কথা শুনে?
    ওর কথা শুনে ওর পিসতুতো দাদা ওর দিকে তাকিয়ে ফ্লোরে থুথু ছেটায় আর বলে-- উচ্ছন্নে গেছে ও! খেয়াল করে চৈতী। মনে মনে শুধু বলে-- কখনো কাউকে ভালোবেসো। তাহলেই বুঝবে। নাহলে এরকম নিকৃষ্ট কাজ ই করে যাও জীবনভর। তুমি কাউকে থুতু ছেটাবার কে হে? কোন মহাপুরুষ এসেছ তুমি?

    বিরিয়ানির প্যাকেট খুলে চৈতীর মুখের সামনে ধরে পিসী।-- খা মা একটু খেয়ে নে। কতদিন খাসনি!
    -- কেন আমি না খেয়ে ছিলাম এই তথ্য কে দিলো তোমাকে? ঐ শয়তান পুলিসটা? অর মধ্যে তুমি আর আমাকে হাসিয়ো না পিসী। ঐ লোকটাকে ডেকে বলো আমাকেও হাজটে ঢোকাতে। এখানে দম বন্ধ লাগছে আমার।

    এইসব শুনে বাইরে থেকে ঘরে ঢোকে অপূর্ব। ধমকে ওঠে চৈতীকে-- কার এত সাহস তোকে হাজতে ঢোকায়? তুই আমার বোন। চাইলে এখানে বিছানা পেতে সারারাত রাখতে পারি তোকে।
    চৈতীর ইচ্ছে করছিলো না দাদার সঙ্গে কথা বলতে। তবু বলে-- হ্যাঁ দাদা, তাতেই তো সম্মান বাড়বে।

    অপমানটা বুঝতে পারে অপূর্ব। তাই কিছু না বলে অফিসারকে খোঁজার বাহানায় বেরিয়ে যায়।
    পিসী আবারো জোর করতে থাকে। রাগে ঘেন্নায় আবার চোখে জল আসে চৈতীর। বাইরে দাড়ানো কনস্টেবলকে ডেকে বলে-- এই যে শুনুন, এক্ষুনি যাকে হাজতে নিয়ে গেলেন, উনি আমার স্বামী। আজ রাতে কি আপনারা ওকে কিছু খেতে দেবেন?
    কনস্টেবল বলে-- হ্যাঁ ডাল আর রুটি।
    চৈতী বলে আচ্ছা-- আমাকেও একটু সেসব দিয়ে দেবেন। আমরা একসঙ্গে তাই খাবো।
    অবাক হয়ে ঘরভর্তি সবাই তাকিয়ে থাকে!

    চৈতী এতক্ষনে খেয়াল করে অফিসারের ঘর থেকে যেখানে তন্ময়কে রাখা হয়েছে সেই ঘরটা দেখা যায়। সেখান থেকে তন্ময় চিৎকার করে বলছে-- চৈতী, তুমি ভয় পেয়ো না। আমি সব ঠিক করে দেবো। শুধু তুমি আমায় ছেড়ে যেয়োনা। হু হু করে কেঁদে ফেলে এবার চৈতী। এতক্ষনের কাঠিন্য সব জল হয়ে ঝরে পড়ে ওর। আস্তে আস্তে বলে--আমি তোমায় ছেড়ে কোথাও যাবোনা গো।
    না সেকথা এতদূর থেকে তন্ময় এর কানে পৌঁছায়নি সেদিন.....
  • M | 59.93.207.249 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৩৫425331
  • অ কলি! আম্মো তাড়া লাগালুম এবার।

    সত্যি তুমি ক্যামন করে জানলা?
  • til | 210.193.178.129 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৫৬425332
  • এম ঠিকই কইছেন, কলিদি; তোমারই তো ১৮ হয়ি্‌ন, তুমি এত কি করে জানলে? আর কি ডায়ালগ, "তুমি মুখে থুতু ছেটাবার কে হে!"
    সাবাস!
    আমাদের দেশে হবে সেই মেয়ে কবে
    চৈতীর মত প্রতিবাদ করবে।
  • koli | 115.187.40.190 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১২:০২425333
  • :-) M দিদি..... আমি (ই তো) আপন মনের মাধুরী মিশায়ে তোমারে( গল্পটাকে) করেছি রচনা :-).... নিছক ই গল্প তো!

    নতুন বন্ধু..... চৈতীর এত প্রশংসা গল্পটা শেষ হওয়ার পর কিন্তু আর করবে না দেখো! :(
  • koli | 115.187.40.190 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১২:২১425334
  • সে রাতে ঐ অফিসারের ঘরতাতেই মেঝেতে বিছানা পেতে শোয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বাকিরা হয়তো সবাই বাইরে ঘোরাঘুরি করছিলো। চৈতীর সঙ্গে ওর ছোট মামী থাকে। আর তন্ময় পুলিস কাস্টডি তো, মশার কামড় আর অপরাধীদের ভীড়ে, জানিনা কি করছে।
    মামী চৈতীকে সারাক্ষণ বোঝাতে থাকে --শাঁখা পলা খুলে ফেল, সিঁদুর মুছে দে। কি হবে এসব রেখে? কাল বা পরশু এমনিতেও তোর কাছে এসব থাকবেনা। কেউ তোদের একসঙ্গে থাকতে দেবে না।
    কথাগুলো শুনতে শুনতে রাগে ফুঁসছিলো চৈতী-- মামী, তুমি আমাকে এসব বলছো যে, বাইরে থেকে দাদা বা কেউ এসব শুনতে পেলে তোমাকেও না হাজতে পুরে দেয়!
    চৈতীর কথার তীর মামীকে স্পর্শ করে। কিন্তু রেগে যাওয়ার বদলে দুচোখ ছাপিয়ে জল নেমে আসে । -- জানি রে মা, তুই খুব কষ্ট পাচ্ছিস। আমি আর তোর ছোট মামা অনেক চেষ্টা করেছি সবাইকে বোঝানোর। তুই ঠিক ই বলছিস। সবাই আমাদের ভুল বুঝেছে। বলেছে তোদের পালিয়ে যেতে নাকি আমরাই সাহায্য করেছি! আচ্ছা থাক আমি আর কিছু বলবোনা তোকে।
    এবারে চুপচাপ শাঁখা পলা খুলে ফেলে মামীর হাতে দেয় চৈতী।
    --নাও মামী, এসব খুলে ফেললে আমার কিছু হবে না। আমি যাকে ভালোবাসি তাকেই ভালোবাসবো। এগুলো খুলে ফেলার মানে এই নয় যে সব মিথ্যে হয়ে যাবে। সিঁদুর মুছবো মামী?
    কেন কে জানে এক মুহুর্তের জন্যে কেঁপে ওঠেন মামী-- সিঁদূর? না থাক । মুছিস না। শাঁখা গুলো আমায় দে। ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি এগুলো যেন আবার একদিন তুই হাতে পড়তে পারিস।

    মামীকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বাচ্চা মেয়েটা। -- আমি ওকে সত্যি খুব ভালোবাসি মামী। মাত্র ২৬ টা দিন আমার কাছ থেকে আমার সবকিছু এমনি করে ছিনিয়ে নেবে,আমি ভাবিনি জানো? কোনদিন ভাবিনি।
    মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে মামী ও হয়তো সে রাতে অনেক কেঁদেছেন, চৈতী দেখতে পায়নি। নিজ দু:খ ভারে ভারাক্রান্ত ছিলো শুধু।

    সকাল বেলা পাছে লোকে কিছু বলে এই ভয়ে চৈতীকে তন্ময় এর পাশের ঘরটাতে নিয়ে তালা বন্ধ করে রাখে। পাশাপাশি দুটো ঘরে চৈতী আর তন্ময়। ওপাসে থেকে তন্ময় ডাকে-- চৈতী, শুনছো?
    --হুঁ, কাল তোমার খুব কষ্ট হয়েছে না গো?
    --না না আমার কিছু কষ্ট হয়নি। কিন্তু তুমি অনেক কেঁদেছো সোনা। আমি কিছুই করতে পারিনি। চুপচাপ দেখেছি।
    --তুমি কি করে দেখেছো? আমি একা কেঁদেছি শুধু? তুমি কাঁদোনি?
    তন্ময় এবার কথা ঘুরিয়ে বললো-- শোনো আজ হয়তো তোমাকে আবার জেরা করা হবে। আর যাই বলো ,যাই করো, আমাকে একা করে দিয়ে যেওনা সোনা। তাহলে সব কিছু শেষ হয়ে যাবে। আমার কথা ছেড়েই দাও, বাবা মা কে কি করে বের করবো বলো এর বাইরে?
    চৈতী বলে-- সেরকম কিছু হবে না। আমি কোথাও যাবোনা।
    আশ্বস্ত হয় তন্ময়। অন্ধের মত বিশ্বাস করে চৈতীকে ও। হয়তো এতটা বিশ্বাস না করলেই ভালো হতো।
    একটু পরে অপূর্ব আসে। চৈতীকে বলে -- চল তোকে হাসপাতালে যেতে হবে ।
    কনস্টেবলের দিকে তাকিয়ে চৈতী বলে-- হাসপাতালে কেন? আমার কি রোগ হয়েছে বলবেন?
    উত্তরে কনস্টেবল বলে-- আপনার ডাক্তারী পরীক্ষা হবে ।
    ডাক্তারী পরীক্ষা! সেটা কি? ভাবতে থাকে চৈতী। কিন্তু কাউকে কিছু জিজ্ঞেস করে না।
    ওকে যখন বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো, তন্ময় যেন আর্তনাদ করে ওঠে।
    --চৈতী দেখো সব যেন ঠিক থাকে। তুমি যখন ফিরবে ততক্ষনে আমি হয়তো এখানে থাকবো না। আমি তবুও আছি সবসময় তোমার কাছে।
    চৈতী ছুটে গিয়ে তন্ময় এর হাত ধরে লোহার শেকলে মাথা ঠুকে কাঁদতে থাকে।-- তুমি সাবধানে থেকো। আমি একটু পরেই চলে আসবো। ওকে টেনে নিয়ে যায় অপূর্ব.......
  • til | 220.253.71.161 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৫:৩২425335
  • কলিদি,
    উফ, কি দিচ্ছো; কি করে মোড় ঘুরে যাচ্ছে গল্পের, ভাবাই যায় না।
    এম কনে গেলেন?
  • M | 59.93.176.246 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৫:৫৬425336
  • আছি তো, ছোট্ট বোনটা যে কি করছে, চৈতীকে কোথায় নিয়ে থামাবে!

    একটা সত্যি কথা বড়রা এখানে ছোটদের স্পেস দিতে চায়না "ও ভালো বোঝেনা , আমাদের ই দায়িত্ব,' এই ভাবনাটা বড় আপত্তিকর।
  • til | 220.253.71.161 | ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৬:২৪425338
  • এম,
    এই গুরুর কল টা বেশ, তাই না?
    লিখুন , ক্লিক করতেই ছেপে গেল। নতুবা সেখানে হত্যে দিয়ে বসে থাকুন। আপনার তো বেশ খ্যাতি হয়েছে দেখছি, তো সত্যি ই বুবুভাতে লিখুন।
    হেঁ, হেঁ, আপনার লেখা যে উপাদেয় সে এই শর্মা অনেক আগেই বুঝেছিল। তবে দোহাই, বাসে ট্রামে ঝগড়া করবেন না নিজের রাইট নিয়ে, কোলকাতা অতি সাংঘাতিক জায়গা। এই অনুরোধটা প্লীজ রাখবেন।
  • Nina | 66.240.33.45 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০২:৫৩425339
  • কলিয়া, এবার কি করবে চৈতী , আমি ভাবছি তাই----এতক্ষণ যে মনের জোর , যে সুন্দর মনের পরিচয় পেয়ে এসেছি ---তাতে এই বিশ্বাসে অপেক্ষায় রইলুম পরের কিস্তির--চৈতী যা করবে, ঠিক যা করা উচিত তাই!
    ২৬টা দিন শুধু যদি ওরা অপেক্ষা করতে পারত---কিন্তু একেই বলে ডেস্টিনি!

  • Du | 65.124.26.7 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:০৭425340
  • উচিত - বড় কঠিন শব্দ - সব দিক থেকে টানে । বরং যা মন চায় তাই করারই জেদ যদি থাকে - কাজে লাগবে সেটা।
  • Nina | 66.240.33.46 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:১৭425341
  • দু, আমিও তাই বলেছি--চৈতীর সুন্দর মন, ও তার মনের জোর তাকে তার যা উচিত তাই করাবে---চৈতীর মনটা যে সবল ও সুন্দর। অবশ্য উচিত বলতে আমি মনে করেছি--যেটা চৈতী তার নিজের জীবন নিয়ে করতে চায়, যে পথ নিয়ে জীবনে চলতে চায়।
  • Du | 65.124.26.7 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:৩০425342
  • নিনা, ঠিক বলেছো।
  • Du | 65.124.26.7 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৩:৩৩425343
  • বলেছেন - দুম করে তুমি বলে দিয়েছি।
  • Nina | 76.124.208.223 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৭:৩০425344
  • দু, প্লিজ, কাছে টেনে আবার দূরে সরিয়ে দিওনা----আপনি বল্লে বড্ড দুরের মনে হবে---তুমি বল কেমন :)
  • koli | 115.187.36.19 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:০৫425345
  • হাসপাতালে গিয়ে ডাক্তারের জন্যে অপেক্ষায় রইলো সবাই। সে সময়টায় চৈতী আর ছোট মামা একটা বেঞ্চিতে বসে ছিলো। মামা চৈতীকে অনেক করে বোঝাচ্ছেন---

    -- তুই যা করবি ভালো ভাবে ভেবে করিস চৈতী। জানি তোর সে বয়েস এখনো হয়নি। তবুও যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে তার থেকে বেরোবার পথ তোকেই ভাবতে হবে।যদি তন্ময় এর কাছে ফিরে যাস,তাহলে সারাজীবন ওকে মাথা তুলে দাড়াতে দেবে না অপু। আর যদি ওকে ছেড়ে আসিস, ওর কি অবস্থা হবে সে আর আমি তোকে কি বলবো? তুই সব জানিস।
    কিচ্ছু বলেনা চৈতী। কেমন যেন ধীরে ধীরে পাথর হচ্ছে মেয়েটা।
    সেদিন কোন কারণে ডাক্তারী পরীক্ষা হয়নি। তাই আবার পুলিস স্টেশনে আসে সবাই। নির্দিষ্ট ঘরের দিকে আসতেই এক মুহুর্তের জন্যে মনে হয় চৈতীর পৃথিবী অন্ধকার হয়ে গেছে! তন্ময় নেয় ওর সেলে।
    তক্ষুনি কনস্টেবলকে জিজ্ঞেস করে চৈতী-- উনি কোথায় গেছেন?
    কনস্টেবল বললো-- কোর্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
    এই অবস্থায় কি করবে বুঝে উঠতে পারেনা চৈতী! একা একা কি করে থাকবে ও! নিজের সেলে ঢুকলে আগে থেকেই সেখানে থাকা অন্য একজন মহিলা ওকে একটা কোণে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। সেদিকে তাকাতেই চৈতী দেখে- কয়েক পিস পাউরুটি আর একটা অর্ধেক কলা। কিছু বলে না দিলেও চৈতী বুঝতে পারে বাকি অর্ধেকটা তন্ময় খেয়েছিলো।আর কান্না থামাতে পারেনা ও। মনের আশ মিটিয়ে কাঁদতে থাকে--দুহাতে তখন পাউরুটি আর অর্ধেক কলা!
    একটু পরে ওর সেলের বাকিরা সবাই একে একে চলে যায়। চৈতী একা।
    অপূর্ব আসে খাবার নিয়ে। চৈতী বলে-- আমার জন্যে ও খাবার রেখে গেছে। আমি তাই খাবো। তুই যা এনেছিস নিজে খা।তুই জা চেয়েছিলি তাই তো হলো দাদা। এবার নিশ্চই তোরা সবাই খুব খুশী? আমাকে ওর থেকে একটুর জন্যে হলেও আলাদা করতে পারলি বল?

    এবার অপূর্ব চৈতীকে মানসিক ভাবে দুর্বল করার চেষ্টা করে...

    -- তুই বাড়ি ফিরে চল, তাহলে আমি একদিনেই সব ঠিক করে দেবো। কেস তুলে নেবো। ওদের সবাইকে পুলিস ছেড়ে দেবে।
    --আর যদি ফিরে না যাই?
    -- না গেলে তন্ময় এর সম্পূর্ণ ফ্যামিলী ধ্বংস করে দেবো।
    --আর আমাকে কিছু করবি না?
    -- তুই ফিরে চল চৈতী। মা বাবা খুব অসুস্থ্য। তুই যদি ফিরে না যাস আমি সুইসাইড করবো।
    -- তুই সুসাইড করিস না দাদা। তোর ওপর বাবা মা ছোড়দা সবার ভবিষ্যত নির্ভর করছে। ইচ্ছে করছিলো না চৈতীর এইসব আলোচনা করার। তবুও বলছিলো।
    অপূর্ব বলে--সেসব তুই ভাবিস না। আমি মরে গেলেও বাবা মা কারো খাওয়ার অসুবিধা হবেনা। অনেক টাকা আমার। সবাই বসে বসে খেতে পারবে।
    -- ঐ টাকাটাই আছে শুধু দাদা তোর, বাকি সব বিসর্জন দিয়েছিস একে একে।এবার দয়া করে আমাকেও তাই দে । আমাদের তো আরো অনেক মামাত পিসতুতো বোন আছে। তাদের একজনকে বোন বানিয়ে আমার চেয়ে ও বেশি ভালোবাসিস?
    কেঁদে ফেলে অপূর্ব-- তুই যত যাই বলিস, আমি তন্ময়কে বাঁচতে দেব না। এই দুমাস তোরা যত না কষ্ট ভোগ করেছিস তার চেয়ে বেশি কষ্ট দেব। ভালো চাস তো ফিরে আয়।
    --কার ভালো?একবার বলবি দাদা?
    -- তোর ভালো। নিজের ভালো নাকি পাগলেও বোঝে। তুই নিশ্চই এখনো পাগল হসনি?
    -- বিরক্তি তে হেসে ফেলে চৈতী। আমার ভালো? সে তো গত দুমাস ধরেই করার ব্যবস্থা চালু রেখেছিস।
    --শোন বোন,তুই যদি অপহরণ এর কথা অস্বীকার করিস, আমি তন্ময় আর ওর পরিবারকে বাঁচতে দেবনা। তার নমুনা নিশ্চই তুই পেয়েছিস। তারপর নিজে মরবো।আর তুই জানিস আমি যা বলি তাই করি।এবার তুই ভেবে দেখ। আমি একটু পরে আসবো।
    বুকের ভেতরটা এক মুহুর্তে খালি হয়ে যায় যেন চৈতীর। অজানা আশঙ্কায় কাঁপতে থাকে শরীর।-- দাদা আমাকে ছেড়ে দে প্লিজ। আমি ওর সঙ্গে সুখে থাকবো রে।
    অপূর্ব বলে--সেসব আমি জানি না। তুই মরে গেলেও আমি ওকে তোর সঙ্গে সুখে থাকতে দেব না।

    বিহ্বল চৈতী কি করবে বুঝতে পারে না।দাদার পায়ে ধরে ও কত কাকুতি মিনতি করে। কিছুতেই কিছু হয়না।
    অপূর্ব বলে-- তুই চাইলেও ওর কাছে ফিরে যেতে পারবি না। তোর ১৮ বছর হয়নি এখনো।তাই কি করতে হবে সেটা তুই জানিস।আমি গেলাম ,আসছি একটু পরে। তখন সিদ্ধন্ত জানাস।
    অনেক ভাবে চৈতী। কি করবে কিছুই বুঝতে পারেনা। মঝেতে মাথা ঠুকতে থাকে একসময় হতাশায়।
    একটু পর অপূর্ব এসে ওকে সেই অবস্থায় দেখতে পায়। ওকে দেখেই চৈতী বলে-- নে দাদা দিয়ে দিলাম তোকে আমার জীবন। আমি বাঁচতে ভুলে গেলে যদি সবাই বাঁচে তবে তাই হোক। চল কোথায় গিয়ে কি বলতে হবে, বলছি। তারপ্র নিশচই এটুকু দয়া করবি-- ওকে আর ওর বাবা,মা ভাইকে ছেড়ে দিতে বলবি?
    কথা দেয় অপূর্ব। একবার চৈতী যদি স্বীকার করে যে ও অপহৃতা , তাহলে সবাইকে ছেড়ে দেবে..........
  • koli | 115.187.37.77 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৪৭425346
  • রাতে ঐ অন্ধকার কুঠুরী তে রাত কাটায় চৈতী। পুলিস কাস্টডিতে এটা দ্বিতীয় রাত। তন্ময় কি করছে, কেমন আছে কিছুই জানেনা ও।
    চৈতীর বাড়ির লোক ওকে অনেক বলেছে , গত রাতের মত থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে চল। পরিস্কার "না' বলে দেয় চৈতী।

    সকাল হয়। কিন্তু এই সকালটাই হয়তো চৈতীর জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনবে চিরকালের মত। কোর্টে গিয়ে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে জাবানবন্দি দিতে হবে। যেতে যেতে পুলিস আর দাদা সব শিখিয়ে দেয় ওকে। বারবার লোভ দেখায়, তুই এসব বললে আমি ঠিক ওদের নামে কেস তুলে নেব। সরল ভাবে বিশ্বাসঘাত্‌ক কে আবার বিশ্বাস করে চৈতী। কি জানি! হয়তো ওর এ ছাড়া আর উপায় ও ছিলো না। যাই হোক চৈতীকে ম্যাজিস্ট্রেটের রুমে ডেকে দরজা বন্ধ করে দেওয়া হয়,দুজনের কথোপকথন শুরু হয়---

    -- কি নাম আপনার?
    -- চৈতী
    --আপনি এতদিন কার সঙ্গে ছিলেন?
    --তন্ময় নামের একটি ছেলের সঙ্গে।
    --সে কি আপনার পূর্ব পরিচিত?
    --হুঁ, ও আমার দাদার বন্ধু ছিলো। আর আমার প্রাইভেট টিউটর।
    --আপনি কি স্বেচ্ছায় ওর সঙ্গে গিয়েছিলেন? নাকি জোর করে নিয়ে যায়?
    চৈতী জানে এবার ওকে মিথ্যে বলতে হবে। ভালোবাসার মানুষকে বাঁচাতে হলে ওর নাকি তখন এ ছাড়া আর কোন উপায় ও নেই। ১৮ হতে যে এখনো কয়েকটা দিন বাকি!
    --
  • koli | 115.187.37.77 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৪425347
  • যা যা বলতে হবে,যা যা বললে নাকি সব সমস্যার সমাধান, সব একে একে বলে যায় চৈতী।
    -- আমি আর আমার এক বন্ধু কোচিং থেকে ফিরছিলাম। তন্ময় এসে আমাকে ট্যাক্সি তে উঠতে বলে।উঠতে না চাইলে জোর করে তুলে নেয়। এইখানে ম্যাজিস্ট্রেট বাধা দেন।-- আপনি চিৎকার করেন নি কেন?তাহলে তো লোকজন শুনতে পেত?
    একটু ভাবে চৈতী। শেখানোর মধ্যে তো প্রশ্ন টা ছিলো না!
    -- না আমার মুখে রুমাল চাপা ছিলো।
    নিজেই নিজের উপস্থিত বুদ্ধি তে অবাক হয়। আরো কত কি করতে হবে ওকে। জীবনভর!
    -- আপনাকে যে ছেলেটি জোর করে নিয়ে যায়, সে আপনার সঙ্গে কোন অশালীন....থামিয়ে দেয় চৈতী। প্রায় চেঁচিয়ে উঠে বলে-- না সেরকম কিছু হয়নি।
    -- আপনাদের মধ্যে কোন শা.. না হয়নি বলছি তো।আমার সঙ্গে ও কোন খারাপ ব্যবহার করেনি। যতটা যা হয়েছে আপনাকে আমি বলেছি, আপনি শুনেছেন। এবার দয়া করে আমায় যেতে দিন স্যার। আর পারছিনা।
    -- আপনি কি কোন মানসিক চাপ থেকে এই জবানবন্দি দিলেন? আপনার কোন অসুবিধা থাকলে আমায় জানাতে পারেন
    চৈতী একবারের জন্য দুর্বল হতে যাচ্ছিলো। পরক্ষনেই সামলে নিলো। ওকে দুর্বল হলে চলবে না। ও দুর্বল হলে নাকি দুটো পরিবার শেষ হয়ে যাবে!
    -- না আমার কোন চাপ নেই। মানসিক,শারীরিক নাথিং। প্লিজ লেট মী গো স্যার।
    -- ঠিক আছে আসুন।
    বাইরে দাড়ানো কনস্টেবলকে চৈতী বললো--চলুন পরের কাজ কি আছে করি।
    দাদা ছুটে এলো, -- কী রে সব ঠিক আছে?
    -- চল কোথায় যেতে হবে। সময় নষ্ট করিস না , বলে চলতে শুরু করে চৈতী।
    দাদা পেছন পেছন ছুটে এসে বলে এখন তোকে একদিন জেল হেফাজতে থাকতে হবে বোন। অনেক চেষ্টা করলাম আটকাতে পারিনি।
    -- কেন আটকাতে হবে রে? যা হচ্ছে হোক। আমার সমস্যা নেই।
    পুলিস চৈতী কে নিয়ে জেলের নিরাপত্তা হেফাজতের উদ্যেশ্যে রওনা দিলো। যাওয়ার সময় দাদা অনেক ফল আর খাবার কিনে ধরিয়ে দিলো পুলিসকে। -- এসব ওকে দিয়ে আসবেন।.......
  • nM | 122.177.253.127 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:৫১425350
  • চৈতী কেন একটু চালাক হলো না? তন্ময় কেন একটু বাস্তব বাদী হলো না? অন্তত: আদালতে অপহরন করার কথা স্বীকার করাটা মুক্তির কোনো পথ না- এটুকু বোধ কেন চৈতীর ছিল না?

    যাকগে প্রশ্ন গুলো তোলাই থাক, এখন শুধু প্রার্থনা করি- চৈতী আত্মহত্যার পথে না যায়-
  • til | 220.253.71.161 | ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৯425351
  • চৈতীর কথা ও ভাবুন, কি ভয়ঙ্কর চাপের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে সে; হাজত বাস কি জিনিস, অনেক শক্ত মানুষ ই ভেঙ্গে পড়ে।
    ওতো ঐটুকু মেয়ে; দাদাকে বিশ্বাস করে যদি বাঁচাতে পারে তন্ময়কে, এটা ওর পক্ষে ভাবাই স্বাভাবিক।
    কষ্ট তো হয় ওদের জন্যে, কিন্তু একটু সতর্ক হলে কি এই ঘটতো, মাত্র কটা মাস; এই রকম হঠকারিতার মানে হয়, যখন ওরা জানতো ই, ১৮ না হলে বিপদ।
    অবশ্য তাহলে গল্পটা হতো ই না!
    ---
    কলিদি দারুণ লাগছে, আমরা তোমার জন্যে গর্বিত, ধন্যবাদ গুরুচন্ডালী, নতুবা এত ভাল গল্প আমরা কোথায় পেতাম? তবে দিদি একটু রেগুলার হও, কবে নেক্সট পর্ব আসবে সেটা বলে যেয়ো।

  • Nina | 76.124.208.223 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:২৫425352
  • চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। আমাদের পড়ে মাথায় অনেক কিছু ভাল ভাল আইডিয়া আসবেই-----কিন্তু চৈতী, তার বয়সে তার সিচুয়েশনে আর তার মতন করে ভালবাসলে--ভুল হতেই পারে, চৈতীর ও হবে , হয়েছে। তন্ময়েরও একই অবস্থা --এমন করে কেউ কেউ ভালবাসতে পারে বলেই না আমরা আজও লায়লা-মজনু অর রোমিয়ো-জুলিয়েট etc নিয়ে মাতি---তবে বাবা চৈতী তন্ময় যেন আলটিমেটলি হ্যাপিলি এভার আফটার --একসঙ্গে সুখে জীবন কাটায়।
    কলিয়া, খুব সুন্দর লিখছিস রে---লেখা বন্ধ করিসনা।

  • M | 59.93.246.76 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:৩৯425353
  • দিদিয়া,
    হ্যাপিলি এভার আফটার হলে প্রেম চ্যাঁ ভ্যাঁ মুতো কাঁথাতেই শেষ হবে, আমি বলিনিগো,সঞ্জীব বলেছেন।

    আর সুনীলের কি একটা গপ্পো পড়েছিলুম, ছাদটা দুই বাড়ীর কমন,ছাদে দুইজনা ঠোঁট কাছাকাছি এনে ও কি কারনে ছোঁয় নাই, বাস সে অতৃপ্তি সারা জেবন রইলো।

    এরপরেও হ্যাপিলি এভার আফটার, বলি আর কিছু কি চাওনের নাই?
  • Nina | 76.124.208.223 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৩425354
  • নইলে যে চৈতীকে ঐ দাদাগিরি সহ্য করে বসে থাকতে হবে পথ চেয়ে আর কাল গুণে :-(
    আর সুনীল সঞ্জীবের ঘরে তো প্রেম কর বৌ আছে---তার বেলা?
  • koli | 115.187.39.245 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:২৩425355
  • :)

    তোমরা সবাই খুব ভালো! কেন? সেটা এখন নয়, পরে বলবো।

    নতুন বন্ধু, একটু অন্য কাজের জন্যে একদম সময় পাচ্ছিনা। সম্ভব হলে আজ সন্ধ্যের দিকে নিশ্চই লিখবো.....
  • nM | 203.2.182.248 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৮:৫৭425356
  • আমার যত টুকু মনে হচ্ছে, এটা সত্যি ঘটনা! গল্প/সিনেমা র কথা থাক-

    আমি বাচ্চা, আমি ভয় পেয়েছি- একথা বলে মুক্তি যুত্বে কি? ভোগান্তি তো শুধু আমারি যুত্বে। তবে??বিয়ে টা যদি সব্বাই মেনেও নিত, সংসার করতে তো দম বেরিয়ে যেত দুজনেরি?

    বোলি, চৈতী কি মেজ বৌ, বড়ো বৌ, সেজো বৌ সিনেমা গুলো দেখে নি? শরচ্চন্দ্রও তো কম পরিশ্রম করেন নি বাংলার মা-বোনেদের জন্যি!

    বাচ্চা দের প্রেম করে বিয়ে করা আইন করে বন্ধ করা উচিত!
  • Samik | 219.64.11.35 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:২৩425357
  • নামটা কেমন কোমল নি কড়ি মা টাইপের লাগছে। :-)
  • Nina | 76.124.208.223 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৯:৪৭425358
  • প্যার কিয়া নহি যাতা, হো যাতা হ্যায় :)
    প্রেমের ওপর কোনও আইন কোন চলবেনা---বিয়ে নিয়ে যা খুশি করা যায় ---
    আর সংসার করা---সেতো টোটালি ডিফারেন্ট স্টোরি----তাতে তো সবসময়ই দুজনেরি প্রাণ বেরিয়ে যাবে, খাবি খেতে খেতে চলবে--হে হে হে

  • debu | 72.130.151.116 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:০৭425359
  • দেশে কি বাল্য বিবাহ বন্ধ করা গেছে?
  • kallol | 115.184.14.66 | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৪২425361
  • আইন করে খুন বন্ধ করা গেলো না, তো প্রেম!!
    আর বাচ্চা মানে কি? বাচ্চাদের মন নেই?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। হাত মক্সো করতে মতামত দিন