এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নিছক ই একটা গল্প---

    koli
    অন্যান্য | ০৯ ডিসেম্বর ২০০৯ | ১৫৪৭৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • de | 59.163.30.5 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৭:৫৮425295
  • আম্মো চেষ্টা করিনি, আমরা দেখতেই গেসলাম, কি করে কি হয়, বল্লো -- চাইলে আজগেই হয়, আমরাও ভাবলাম, আবার একদিন যেতে হবে, তার চে ঐ ভালো --- তবে হ্যাঁ, কলকাতায় নয়, মুম্বইতে :)
  • koli | 115.187.38.200 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:৪৮425296
  • :( বেআইনি ই হয়েছিলো তো! মানে গল্পে সেরকম ই শুনেছি----- :) প্রতিবাদ ও মাথা পেতে নি ই ওদের দুজনের হয়ে....

    আইন কানুন জিন্দাবাদ!!!

    কেস? হুঁ হবে তো! তবে এটা চৈতী আর তন্ময় কেস...
  • til | 220.253.71.161 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৪২425297
  • এক মাস নোটিশ হলো - cooling off period, সে বিয়ে কেন অনেক কনট্র্যাকটেই এই clause থাকে, অর্থ্যাৎ ভাববার সময়; অপব্যবহার নিয়ে কিছু বলার নেই।
    --
    কলিদি, তোমার তন্ময়, তোমার চৈতী। সতেরো বছর আটমাসে বে দিলে, ঝামেলা তুমিই সামলাও। আর বিয়ের দিনই স্বামী স্ত্রী একঘরে আলাদা? সেটা ও তো বেশ বোল্ড! বুলবুলিদি ও বা কেমন, আর একটু সবুর করতে পারলেন না!
    --
    জ্জিয়ো de বেশ করেছেন, খামোকা দু দুবার যাওয়া।
  • M | 59.93.241.111 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২৩:৪৮425298
  • ইদিকে আমরা ছানা সহ রেজিষ্ট্রি কল্লাম।
    তাও কি দরকারে।

    আর না কল্লে বে নাকি বেআইনী,
    আমরা লিভ টুগেদার কচ্চিলুম কিনা কেজানে!
  • Nina | 66.240.33.35 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০০:২৪425299
  • হা হা হা হা জেমন জমাটি গপ্প তেমন ই জম্পেশ ফোড়ন----আমি দুটিরই স্বাদ নিয়ে বেজায় তৃপ্ত :-)
    কলিয়া কিন্তু তুই তাই বলে ফোড়নওয়ালি হয়ে যাসনা --কি হল বলবি তো তারপর----

    আর লুটিস-ফুটিস আমারাও দেই নাই :-) কিকিয়া তোর ব্যাপারই আলাদা--তা তোর রেজিস্ট্রিতে কি ছানাই উইটনেস? :-))
  • til | 220.253.71.161 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:৩০425300
  • বলি ও এম রাণী,
    লিভ টুগেদার না করলে ছানা কি উড়ে এলো?
    --
    ছানা পোনা সমেত আমরাও রেজেষ্ট্রী করেছি, আইন মেনে; আছে আছে আইন, জানতে চাইলে ফাইল পুরোনো ঘেঁটে দেখতে হবে।
    --
    গল্পের টই শেষ হয়ে গেল কেন? তারপর? যাই বলুন, শ্রী কে আমার বেশ লেগেছে, আমার এক চেনা জানা বন্ধুর সাথে এত মিল!
    আর অর্ক? ফাইটার বটে!
    --
    এইরে কোন টইয়ে কোন মন্তব্য। তো কলিদি, চৈতীর ছানা পোনা যেন একটু দেরীতে হয়, এখনই কাঁথা কানি নিয়ে যেন আঁতুড়ঘরে না ঢোকে, একটু ঘুরতে বেরুক, খাজুরাহো ঘুরে আসুক ইত্যাদি ইত্যাদি।
  • koli | 115.187.41.247 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:১৫425301
  • :)

    :)

    :)
  • koli | 115.187.41.247 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৩২425302
  • চৈতী,তন্ময় যেখানে থাকে সেখানে ভোরবেলা থেকে স্নান এর জন্যে লাইন হয়ে যায়। দুদিন কোনোভাবে কাটলেও , আজ একটু তাড়াতাড়ি উঠেই স্নান এর লাইন দিয়ে দেয় ওরা।
    তন্ময় বলে-- এই সবে তোমার খুব অসুবিধা হচ্ছে জানি। এইতো আর কটা দিন একটু কষ্ট করো।তারপর ই তো আমরা বাড়ি চলে যাবো।
    --আমার কোন অসুবিধা হচ্ছে না।তুমি এত ভেবোনা। আজ খবরের কাগজ আনবে একটা?
    তন্ময় বললো-কেন?ও হ্যাঁ আজ একটা বিজ্ঞাপন আসার কথা! আচ্ছা নিয়ে আসবো।
    চা বিস্কুট খেয়ে তন্ময় খবরের কাগজ আনতে বেরিয়েছে।আর চৈতী একা বাড়িতে বসে অপেক্ষা করছে। প্রসঙ্গত: বলি , বুলবুলি দি,ওর বর আর বোন তিনজনেই কাজে বেরিয়ে যায় সকাল সকাল।তাই চৈতী এখন একা। একটু পর একটা বিশেষরকম কড়া নাড়ার আওয়াজ পেয়ে চৈতী দরজা খুলে দেয়।
    --নাও নিয়ে এলাম খবরের কাগজ। চৈতী বললো--তুমি দেখেছো?
    --না গো দেখিনি, দুজনে একসঙ্গে দেখবো বলে। চৈতী বললো--বেশ ,। বলে দুজন এক জায়গায় বসে দেখলো পৃ-২ এ একটা বিজ্ঞাপন। আজ -- তারিখ--চৈতী(--) এবং তন্ময়(--) আইন মানিয়া বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হইয়াছে। এইরকম কিছু একটা লেখা ছিলো।দেখে দুজনেই বেশ খুশী।আর ওদের কেউ আলাদা করতে পারবে না।সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে পারবে ---ইত্যাদি ইত্যাদি ভেবে ভেবে কল্পনার পাহাড় আস্তে আস্তে উঁচু হচ্ছিলো!
    বিকেলে চৈতীর মেজ দেওর এলো। ভাইকে দেখে তন্ময় খুব খুশী হয় আর চৈতী একটু লজ্জা পায়। কিন্তু সেসব বেশিক্ষন স্থায়ী হয়না। চেয়ারে বসে সামান্য কুশল বিনিময় করে আসল কথায় আসে আগন্তুক।
    --দাদা, ওরা কেস করেছে শুনলাম। চ্‌মকে ওঠে তন্ময়-- কারা? কিসের কেস?
    ভাই বলে--"অরহরণ'.........
  • Nina | 66.240.33.45 | ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:৫৯425303
  • ক্ষি ক্ষান্ড!
  • til | 220.253.71.161 | ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:২৯425305
  • কলিদি এবার মেগা সিরিয়াল লেখার কায়দা রপ্ত করেছে, এমন করে শেষ লাইনে সাসপেন্স ক্রীয়েট করে!
  • koli | 115.187.41.27 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১১425306
  • চৈতীর বাড়ি থেকে অপহরণ এর কেস করা হয়। অভিজোগ এ বলা হয় যে- একটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে কলেজ যাওয়ার পথে রাস্তায় ভয় দেখিয়ে গাড়িতে করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসামী তন্ময় ।

    মামলার পরের দিন থেকেই তন্ময় দের বাড়িতে পুলিশের হানা শুরু হয়। প্রথমেই ওর বাবা মায়ের প্রতি পুলিশ এবং চৈতীর পরিবারের লোকেদের অপমান দিয়ে শুরু হয়। পুলিশ যাবার সময় হুমকি দিয়ে যায়-- ছেলে কোথায় আছে জানাতে যদি দেরী করিস তাহলে তোদের কোমরে দড়ি বেঁধে হিড়হিড় করে টেনে নিয়ে যাবো।এবার ভেবে দেখ কি করবি।আমরা খুঁজছি তোদের ছেলেকে,না পেলে আবার আসবো মনে রাখিস।চৈতীর ছোড়দা আর খুড়তুতো দাদা দুজনে বলে গেছে-- আপনাদের ছেলে যদি মাটির তলায় লুকিয়ে থাকে, ওখান থেকেও বের করতে আমাদের দেরি লাগবে না। ও যে কাজ করেছে তাই শাস্তি ওকে পেতেই হবে।

    এইসব খবর বিকেলের মধ্যে পেয়ে যায় তন্ময়। আর ভাবে একদিনের মধ্যে মামলা, বাড়ি গিয়ে থ্রেট দেওয়া, এতসব হয়ে যাচ্ছে! পরে মনকে নিজেই বোঝায় টাকা থাকলে সব হয়। চৈতীকে কিন্তু কিছু বলেনা ও।

    আর চৈতী? মেয়েটা এখনো অবধি ব্যাপরটা বুঝে উঠতেই পারলো না। এর মধ্যে এত ঝড় শুরু হয়ে গেছে। ও ভুলে গেছে ভালোবেসে সংসার করার জন্যে যে বয়েসের দরকার তার থেকে ওর বয়েস ৪ মাস কম! তাই ও অপ্রাপ্তবয়স্ক! ৪ মাস হয়ে গেলেই ওর সব প্রাপ্তি ঘটতো!

    নিজের ইচ্ছেয় এসেছে জানিয়ে মাকে কেঅটি চিঠি লেখে চৈতী।তন্ময়কে বলে-- চিঠিটা একটু কুরিয়ার করে পাঠিয়ে দাও যেন আজ ই পেয়ে যায়।মা নিশ্চই বুঝবে সব....
  • koli | 115.187.41.27 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১২425307
  • একটি**
  • Nina | 76.124.208.223 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২১:২৫425308
  • ও কলিয়া, এত্তটুকুন করে লিখিস কেন রে---এখন তো রবিবার এসে গেল--একটু বেশি করে লেখ লক্ষীসোনা।

  • kity | 131.95.30.233 | ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২২:১০425309
  • তারপরে কী হলো গল্পটায়?
  • til | 220.253.71.161 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৬:৩৮425310
  • যারা যারা অপ্রাপ্তবয়স্কা চৈতীর অপহরণের (?) সহযোগিতা (মদত্‌) করছো তারা কিন্তু সাবধান, পুলিশ ধরবে, accessories sorry accoplices to the crime!
    নিনার আর কি, বারাক দা আছে, অন্যরা? (আমার ও রাণীমা আছেন, যে কারনে এত ফটফটানি)।
  • M | 59.93.198.189 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:৩৭425311
  • আমার কেউ নাই, কাজেই সমর্থন করিনি, বাবারে!!!
  • Nina | 76.124.208.223 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৮425312
  • আরে ধুর, মিঞা বিবি রাজি তো ক্যা করেগা কা z
    কলি এগো এগো , তারপর কি হল----
  • M | 59.93.205.21 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৩৪425313
  • আরে দিদিয়া, তোমার কি হলো? গপ্পের টইতে কিছু দাও, কলি এটা শেষ না হওয়া পজ্জন্ত কিছু বলছি না, তাপ্পর না লিখলে খুব রাগ করবো, আমার টইটা ডুবে গেলো গো।
  • koli | 115.187.37.97 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৪০425314
  • :-)
  • koli | 115.187.37.97 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৫৩425316
  • চিঠি পেয়েও যে অবস্থার কোন উন্নতি হয়নি সেটা পরদিন বুঝতে পারলো চৈতী আর তন্ময়, যখন তন্ময় এর এক বন্ধু এসে খবর দিলো-- ওর বাবা আর মেজ ভাইটাকে পুলিশ উঠিয়ে নিয়ে গেছে ভ্যান এ করে। বাড়িতে সে সময় এ দুজন ই ছিলো।

    খুব চিন্তায় পড়েছে তন্ময়। চৈতী কে বললো-- আমি মনে হয় ভুল করলাম , আমার ভুলের জন্যে এখন সবাইকে কষ্ট পেতে হবে। এর যে কোথায় শেষ হবে জানিনা।
    চৈতী এর মধ্যে কি বলবে ভেবে পেলো না। শুধু ভাবছে- পুলিশ কি ওদের মারধোর করবে? কিন্তু ওরা তো কোন দোষ করেনি। আর ওর বাবা? উনি তো জানতেন ই না হয়তো চৈতীর ব্যাপারে কিছু। কি দোষে তাহলে ওনাকে তুলে নিয়ে গেলো পুলিশ? এই বয়েসে ওনাকে ছেলের জন্য পুলিশ কাস্টডি তে যেতে হবে সেটা কি উনি দু:স্বপ্নেও ভেবেছিলেন! তাও তন্ময় এর মত ছেলের জন্যে? যে কিনা সবার সব দরকারে সবসময় ছুটে যায়!কারো কষ্ট যে সহ্য করতে পারেনা, আজ সেই সবার কষ্টের কারণ!

    তন্ময় বুঝতে পারে চৈতী খুব টেনশন করছে। কাঁধে হাত রেখে ও বললো-- চিন্তা কোরোনা। আমি দেখছি কি করা যায়।কিছু তো একটা ব্যবস্থা হবে। শুনলাম অপূর্ব ফিরবে কয়েকদিনের মধ্যে। ও এলে একবার বুথ থেকে তোমাদের পাশের বাড়িতে ফোন করবো। ওকে ডেকে দিতে বললে নিশ্চই দেবে। ওকে বুঝিয়ে বলবো আমি, আমার দোষের জন্যে আমার কাছের মানুষদের যেন এইরকম করে না ভোগায়।

    তন্ময় জানতোনা যে এসব কিছুই ওর প্রিয় বন্ধু অপূর্ব'র নির্দেশে হচ্ছে। মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে পুলিষকে হাত করা হয়েছে,আর তার জোরেই এত কিছু হচ্ছে।
  • Nina | 76.124.208.223 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১২:০৬425317
  • ও কলি এইটুকুনি :-((
  • til | 220.253.71.161 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১২:১০425318
  • কলিদি,
    বেড়ে হচ্ছে কিন্তু, পারো ও বটে আমাদের ঘুম কেড়ে নিতে; এমন জায়গায় বিরতি দাও!
    --
    @M , এত হাই স্ট্যান্ডার্ড সেট করেছেন যে আপনার টই তে ঢুকতেই ভয় করে; কলিদি এম_দির টইতে পরের এপিসোডটা লিখে রেখো, এখন থেকে রিমোট টিপে ঐ টই তে চলে যাবো।
  • db | 59.94.74.168 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:১০425319
  • আরে আমার সাপোর্ট রইল চৈতীর প্রতি। এট্টূ ঝামেলাতো হবেই এ সব কেসে। তার পর মিটমাট ও হয়েজাবে
  • xyz | 59.93.160.22 | ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:৪১425320
  • গুড গোয়িং।
  • til | 210.193.178.129 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:৪০425321
  • কলিদি,
    তুমি গল্প লিখতে বসেছো,মোবাইলের SMS নয়; এত কম লিখলে তোমার টই আর খুলবো না।
  • Nina | 76.124.208.223 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:২৬425322
  • কলিয়া, সত্যি এত্ত ছোট্ট কোরে লিখলে কি করে হবে রে---
    M ও কিকিয়া তোর মতন কি লিখতে পারি ---তুই আরও লেখ রে তোর গল্পের টই খুব মিস করছি----
  • koli | 115.187.38.69 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৪425323
  • বর্তমান আস্তানা ছেড়ে চৈতী আর তন্ময় কে আজ যেতে হবে মামার বাড়ি। তন্ময় এর মা এসেছেন ,ভাইয়ের বাড়ি নিয়ে যাবেন বলে ওদের দুজনকে। মা খুব গম্ভীর আছেন আজ খুব স্বাভাবিক ভাবেই। স্বামী, ছেলে পুলিসের মার খাচ্ছে, উনি কি করে স্বাভাবিক থাকবেন। তবুও আছেন। ছেলে বা ছেলের বৌ, কাউকেই একটুও দোষ দিচ্ছেন না নিজেদের এই পরিণতির জন্য। ভগবান কেন এমন ভালো মানুষ দের কষ্ট দেন জানিনা। এবার হয়তো ওনাকেও পুলিস ধরে নিয়ে যাবেন। তাই এখন ই ছেলে বৌকে নিরাপদ জায়গায় পৌঁছে দিতে এসেছেন।

    বাসে করে রওনা দিলো ওরা তিনজন। শাশুড়ি, বোমাকে নিজের পাশে বসালেন। বলছিলেন-- আমার ছেলেকে ছেড়ে যাস না চৈতী, ও তোকে খুব ভালোবাসে। আমি তো মা,তাই আমি সব বুঝি। তোর মা ও নিশ্চই বুঝে, কিন্তু কিছু করতে পারছে না হয়তো। ভাবিস না , সব ঠিক হয়ে যাবে। যখন যা কষ্ট হবে আমাকে বলবি। এখন যেখানে যাচ্ছিস , সেখানেও তোকে সবাই খুব ভালোবাসবে দেখিস। যা কিছু অসুবিধা হবে মামী দের বলবি।

    মা'র কথা শুনে খুব কাঁদছিলো চৈতী। এই ভেবে কাঁদছিলো-- আমার জন্য আজ সবার এত কষ্ট, অথচ আমার যাতে কোন কষ্ট না হয় সেজন্য কত চিন্তা সবার। আমি তো কই কারো জন্যে কিছু করতে পারছি না!
    মা মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে বললেন-- কাঁদিস না....

    মামা বাড়িতে খুব আদর যত্ন করে ঘরে ঢোকালেন মামী রা মিলে। ঘর ভর্তি লোক ওখানে। মামা,মামী,ছোট ছোট দেওর,ননদ ওনেক ওনেক লোক। প্রায় ৪০ জন লোক হবে পুরো পরিবারে। তার মধ্যে মামা দের ব্যবসা র কর্মচারী রা আছে।

    আশে পাশের বাড়ি থেকে মহিলারা,বাচ্চারা বৌ দেখতে এসেছে। বিয়ের পর এই প্রথম চৈতীর মনে হচ্ছে-- ও বৌ! ওর নতুন বিয়ে হয়েছে। সবকিছু খুব ভালো লাগে ওর।নতুন নতুন লাগে।
    সবাই এসে এসে বৌকে আশীর্বাদ করলেন। কেউ কেউ টাকা দিলেন চৈতীকে। কেউ আবার বললেন-- এখন তো হাতে কিছু নেই মা, কাল সকালে আবার এসে দিয়ে যাবো কেমন। এখন খালি হাতেই আশীর্বাদ করে গেলাম। খুব সুখী হও.....

    রাতে সবার খাওয়ার আগে চৈতী আর তন্ময় এর খাওয়ার ডাক পড়লো। তন্ময় বললো-- মামী এখনো তো কেউ খায়নি, আমরা সবার আগে খেয়ে নেব নাকি?

    বড় মামী বললেন--হ্যাঁ রে, আজ বৌকে প্রথম আনলি, আজ এরকম একটু চলবে। যত্ন করে খাওয়ালেন।

    সবে কিছুর মধ্যে ও দুজনের মনেই কাঁটার মত বিঁধছে একটাই কথা-- বাবা আর মেজ ভাইটা না জানি কেমন আছে....
  • koli | 115.187.38.69 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৪৪425324
  • তন্ময় এর বন্ধুরা মিলে একজন ভালো উকিল ধরে কিসব ব্যবস্থা করে বাবা আর ভাইকে জামিনে ছাড়িয়ে আনে। আসার সময় পুলিস থ্রেট দেয়-- নিয়ে যাচ্ছেন যান, আবার আসতে হবে এখানেই। হন্যে হয়ে খুঁজছি। পালিয়ে বাঁচবে কোথায় কালপ্রিট টা!

    খবরটা শুনে একটু শান্তি পায় সবাই। মা ও আর দেরি না করে বাড়ি ফিরে যান,স্বামী সন্তান দের কাছে। তন্ময় কে যাওয়ার সময় বলে গেছেন-- বৌ এর খেয়াল রাখিস। চৈতীকে জড়িয়ে ধরে কপালে চুমু খেয়ে আদর করে বললেন, ভালো থাকিস মা। মামা মামী রা সবাই আছে। মন খারাপ করে থাকিস না। কদিন পরেই তোকে আমার কাছে নিয়ে যাবো।

    ধীরে ধীরে দিন কাটতে থাকে। তন্ময় এর মধ্যে কয়েকদিন চৈতীর বাড়ির লোকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু কেউ কোনভাবেই কথা বলতে রাজী নয়। যতবার পাশের বাড়িতে ফোন করে-- মামী এসে ফোন ধরেন।বলেন ওদের নিজের ফোন হয়েছে এখন। এখানে আর ফোন করে জ্বালিয়ো না। ফোন এলেই আমাকে আসতে হয়।

    তন্ময় মামীকে অনেক করে অনুরোধ করে --মামী ওদের নম্বর টা দিন প্লিজ। মামী বলেন-- আমাকে বারণ করা হয়েছে। আমি দিতে পারবো না। ফোন রেখে দেয় দুজনেই তারপর...

    এইভাবেই চলছিলো দিন। পুজো র সময় চলে আসে। মামা রা বাড়ির সবার জন্যে নতুন পোষাক আনেন। চৈতীর জন্যেও একটা লাল হলুদ শাড়ি এসেছে। তন্ময় এর জন্যে শার্ট। চৈতী কিন্তু পুজো দেখতে বাইরে বেরোতে পারেনা। পাছে কেউ দেখে ফেলে, আর বাড়িতে খবর পৌঁছে যায় তাই ওর বেরোনো চলবে না। তন্ময় ও তাই যায়না।

    এর মধ্যে পুলিস ও ওদের খুঁজে না পেয়ে বাবা মা ভাই সবাইকে আবার ধরে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করে। কোর্টে চালান করে দেয়। আবার শুরু হয় দুশ্চিন্তার দিন।

    ওদের বিয়ের দুমাস হয়ে যেতে চললো। এখনো কিছুই ঠিক হলোনা। চৈতী খবর পায়-- মা বাবা দুজনেই অসুস্থ্য। দুজনেই নার্সিং হোমে ভর্তি। কিছু একটা অপারেশন হয়েছে। দুশ্চিন্তায় নতুন মাত্রা যোগ হয়।

    আবার একদিন ফোন করে তন্ময়। আজ ওদের এক বন্ধু ফোন ধরে। তন্ময়কে বলে অপূর্ব তোর সঙ্গে কথা বলতে চায়। একটা সমঝোতায় আসা জরুরী। কবে আসতে পারবি বল।
    নিজের কানকেই যেন বিশ্বাস করতে পারেনা তন্ময়।-- তুই কি বলছিস?সত্যি বলছিস তুই? বন্ধুটি নিÖপ্রভ কন্ঠে বলে-- হ্যাঁ,আমাকে সেরকম ই বললো।
    তন্ময় বললো--আচ্ছা আমরা কাল ই আসবো দেখা করতে। সেই মামার বাড়িতে , যেখানে চৈতীকে প্রথমেই নিয়ে গিয়েছিলো তন্ময়, সেখানকার ঠিকানা দিলো। একতা নির্দিষ্ট সময় ও দেওয়া হলো। তন্ময় এবার জিজ্ঞেস করলো-- আমার শশুর শাশুড়ি অসুস্থ্য শুনেছিলাম। ওঁরা কেমন আছেন রে এখন? বন্ধুটি বললো--এখন বাড়ি ফিরেছেন। ভালো ই। ফোনে কথাবর্তা শেষ হলে ভীষন খুষে হয়ে ছুটতে ছুটতেই আসে তন্ময়। যত তাড়াতাড়ি চৈতী র সঙ্গে এ খুশী ভাগ করে নেওয়া যায়.....
  • til | 220.253.71.161 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১৫:৪৯425325
  • চৈতীর না হয় ১৭ বছর আট মাস কিন্তু কলি, আমার পুঁচকে দিদিটি এত সব জানলো কি করে?
    বেশ হচ্ছে, পরের পর্ব......
  • Nina | 66.240.33.40 | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ২০:৪৬425327
  • বুক দুরু দুরু , কি হয় কি হয়-----
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন