এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • স্কুলের শিক্ষা পদ্ধতি, এদেশীয় বনাম বিদেশীয়....

    M
    অন্যান্য | ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ১১৬৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Blank | 59.93.194.118 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০১:০৫432957
  • সুচেতনা দির প্রথম চারটে পয়েন্ট ধরলে আমাদের ইস্কুল আমাদের সময়ে বেশ ভালো ছিলো (কম্পিটিটিভ পরীক্ষা বলতে আমি জয়েন্ট ধরছি)। এখনো দক্ষিন বঙ্গে এমনি ইস্কুল অনেক
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৭:১১432958
  • আমার মা গত তিরিশ বছর ধরে মফস্বলের একটি ইশকুলে বাংলা ভাষায় ইংরিজি পড়িয়ে আসছেন। অথচ ভদ্রমহিলা লার্নিং ইংলিশ বইটাকে বেশ পছন্দই করেন। মনে করেন একটা বিদেশী ভাষা শেখার জন্য লার্নিং ইংলিশের মেথডই ফলো করা উচিত। লার্নিং ইংলিশের সেই আদি যুগে নিজে শুধু টিচার্স ট্রেনিং নিয়েছেন তাই নয়, আশেপাশের কয়েকটি স্কুলে ট্রেনিং দিয়েও এসেছেন। তাহলে? লার্নিং ইংলিশ মডেলের যা প্রধান উপাদান - ইন্টার‌্যাকশনের মাধ্যমে বিদেশী ভাষা শেখানো - তা তিনি নিজের ক্লাসে প্রয়োগ করছেন না কেন? শুধু উনি নন - আমি নিজেও মফস্বলের একটি বাংলা মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করেছি - সেখানে লার্নিং ইংলিশ পড়ানো হয়েছে একটা সাধারন টেক্সটবুকের মতই। মেথড ফলো করা হয় নি। যদিও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত শিক্ষক সেখানেও ছিলেন। কারনটা কি?

    অসুবিধেটা কোথায় হচ্ছে/হয়েছিলো তা নিজের মত করে ভাবতে গিয়ে প্রথমেই মনে হল ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতের কথা। একটা হায়ার সেকেন্ডারী স্কুল। ক্লাস টেন পর্যন্ত প্রতি ক্লাসে তিনটি করে সেকশন। এগারো-বারোতে দুটি করে। সব মিলিয়ে বাইশটা। স্কুলে ইংরিজির শিক্ষক দুইজন। তাদের পক্ষে কখনই সম্ভব নয় বাইশটা ক্লাস পড়ানো। সাধারনত নাইন থেকে টুয়েলভ - এই চারটি ক্লাস তাঁরা পড়ান। নিচু ক্লাসে পড়ান সেই সব শিক্ষকরা যাঁদের মেন সাবজেক্ট সাধারনত ফিলোসফি বা পলিটিকাল সায়েন্স - যেগুলো ইলেভেনের আগে পড়ানো হয়না বলে এই শিক্ষকদের চাপ অন্যদের থেকে কিছুটা কম থাকে। অথবা যাঁরা সাধারন গ্র্যাজুয়েট। এই নয় যে তাঁরা ইংরিজি জানেন না (অবশ্যই তার মানে এই ও নয় যে তাঁরা খুব ভালো ইংরিজি জানেন :))। মোদ্দা কথা তাঁরা পড়াতে আসছেন কোনরকম ট্রেনিং ছাড়াই। ফলে সিক্স থেকে এইট - লার্নিং ইংলিশ পড়ানো হলেও তার উদ্দেশ্য সিদ্ধ হল না।

    এবার নাইন। ততদিনে মেয়েরা ইংরিজিকে ভয় পেতে শুরু করেছে। বেশ কয়েকবার শোনা বাক্য তারা কোনোমতে কুঁতিয়ে-কাঁতিয়ে রিডিং পড়তে পারে। পি কে দে সরকারের (নামটা বোধহয় ভুল লিখছি) বই থেকে রাইটিং স্কিল মুখস্থ করে উগরে দিতে পারে। কিন্তু নিজে নিজে স্বনির্ভর ভাবে বাক্য গঠন করতে পারে না। প্রয়োজনও পড়ে না। পরীক্ষা পদ্ধতি পালটে গেছে। রিডিং স্কিলে একটি বাক্যে উত্তর দিয়ে বা রাইটিং স্কিলে মুখস্থ রচনা লিখে দিলেই পাশ করার মত তিরিশ নম্বর উঠে আসে। প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত শিক্ষিকা তাও একবার চেষ্টা করেন লার্নিং ইংলিশ মডেল প্রয়োগ করার। ক্লাসে তিনি ছোটো ছোটো সহজ ইংরিজি বাক্যে কথা বলার এবং বলানোর চেষ্টা করেন। তখন চাপ আসে অভিভাবকদের থেকে। তাঁরা নালিশ ঠোকেন পরিচালন সমিতিতে। পরিচালন সমিতি শিক্ষিকার এই বাড়াবাড়িতে খুব বিরক্ত হন এবং অবিলম্বে এইসব ফ্যাশন বন্ধ করে দিতে বলেন।

    মজার কথা এই মেয়েরাই আরো বছর চার-পাঁচ পরে ভুঁইফোঁড় স্পোকেন ইংলিশ সেন্টারে ইংরিজিতের কথোপকথন শেখার জন্য লাইন লাগায়। তখন তো না শিখে উপায় নেই। বাস্তবের আঁচটা তখন তো গায়ে এসে লাগতে শুরু করেছে। এখানে অনেকে লিখেছেন পরীক্ষা ব্যবস্থা তুলে দেওয়ার কথা। কলকাতার নামী-দামী স্কুলে হয়ত তা সম্ভব - আমি জানি না। কিন্তু মফস্বল বা গ্রামের স্কুলে যেখানে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত ৬০:১ - ক্লাসের সময় পঁয়তিরিশ মিনিট - অর্থাৎ প্রতিটি ছাত্রের জন্য বরাদ্দ হাফ মিনিটেরও কম - সেখানে পরীক্ষা ব্যবস্থা তুলে দিলে সর্বনাশের যেটুকু বাকি আছে সেটুকুও আর বাকি থাকবে না। অবস্থাটা হবে আমাদের প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার মত। ক্লাস ওয়ান থেকে ফোরে তো পাশ-ফেল ছিল না। ক্লাস ফাইভে হামেশাই এমন ছাত্র দেখা যেত যে বাংলাতে নিজের নামটাও লিখতে পারে না। পুরো দোষ আমি শিক্ষককে দিতে পারছি না। তিনিও তো একজন বেতনভুক কর্মচারীমাত্র। সেই তুলনায় নিজের আয়ত্তের বাইরেও কিছু কিছু কাজ - ছাত্রের বাবা-মাকে ডেকে কিছু অযাচিত পরামর্শ, টুকটাক দান-খয়রাত, ক্লাস সেভেনের মেয়ের বিয়ে আটকানো - এইসব তাঁরা করে থাকেন। মনে রাখতে হবে - আমি যাদের কথা বলছি তারা অনেকেই প্রথম বা দ্বিতীয় প্রজন্মের পড়ুয়া। ক্লাসে কি শিখল, কিভাবে শিখল তা নিয়ে অভিভাবকদের কোন মাথাব্যথা নেই। পাশ করে গেলেই খুশী। তারা এটা লক্ষ্য করারও সময় পায় না যে তাদের বাচ্চা চারবছর স্কুলে যাচ্ছে অথচ এখনো অক্ষরজ্ঞান হয়নি। এই পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ব্যবস্থা বা পাশ-ফেল থাকলে বছরে অন্তত একবার অভিভাবক বাধ্য হয় বাচ্চার কথা ভাবতে। পরীক্ষার ফলে শিশুর মনে চাপ পড়লো কি পড়লো না তার থেকেও সম্ভবত বেশী জরুরী তার অক্ষরজ্ঞান হল কিনা সেটা দেখা। না হলে ক্ষতি তারই।

    আর আমি নিজে যদিও একথা বলার জায়গাতে দাঁড়িয়ে নেই, তবুও একবার সাহস করে বলেই ফেলি - সব চাপ কি আটকানো যায়? পরীক্ষার চাপ থেকে নাহয় মুক্তি পাওয়া গেল পরীক্ষা তুলে দিয়ে। পীয়ার প্রেশারের চাপ? কোথায় গিয়ে সেখান থেকে মুক্তি? কতখানি দিয়ে এবং নিজের সাথে কতখানি কম্প্রোমাইস করে তার থেকে মুক্তি! বুলবুলভাজাতে শমীক আর সুচেতনার লেখা পড়ছিলাম। জীবনের শুরুতেই একটা শিশুকে তার মৌলিক অধিকার কিনে দিতে হচ্ছে তিরিশ হাজার টাকা দিয়ে। অথচ বুঝতেই পারছি কতখানি নিরুপায় হয়ে বাবা-মারা এটা করতে বাধ্য হচ্ছেন। আমি নিজে ঐ বাংলা মাধ্যম শিক্ষা ব্যবস্থার ফসল - সেভাবে দেখলে ইংরিজিটা ছাড়া স্কুল নিয়ে আমার আর কোন অভিযোগ নেই। সুচেতনা যা যা লিখেছিলেন - লেখাপড়া, খেলা, ক্যুইজ, বছরে একবার শ্যামা-শাপমোচন - এসবই সেখানে হত। মাধ্যমিকে গোটা চারেক স্টার, গোটা তিরিশ ফার্স্ট ডিভিশন - মফস্বলের হিসেবে রেজাল্টও খারাপ না। কিন্তু আমি নিজেও কি প্রস্তুত ওখানে ফিরে যেতে? ইংরিজিটা অবশ্যই বড় কারন। কিন্তু আজ যদি স্কুলটা হঠাৎ ইংরিজি মাধ্যম হয়ে যায় বাকি সব কিছু এক রেখে? তাহলে? উত্তরটা এখনও খুঁজে পাচ্ছি না।
  • suchetana | 122.172.60.165 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:১৪432959
  • শুচিস্মিতার লেখা পড়ে খুব ভালো লাগলো।
    আমিও কোলকাতায় বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি, যদিও সরকারি স্কুল ছিলো না, আর লেখাপড়া, রেজাল্ট এগুলো বেশ উঁচুমানের ছিল, ৯০জনের ব্যাচে প্রায় সবাই ফার্স্ট ডিভিশন (কোনো কোনো বছরে হয়তো বড়জোর ১ বা ২জন সেকেন্ড ডিভিশন) আর ১৫-২০জন স্টার, স্টারের সংখ্যা বাড়তো বই কমতো না। কিন্তু পরবর্তী জীবনে ইংরাজিটা ঠিকঠাক না জানার জন্য অনেক অসুবিধায় পড়তে হয়েছে। এখন কেউ কেউ হয়তো বলবেন, আমিও বাংলা মিডিয়ামে পড়েছি, কর্মজীবনে কোনো অসুবিধা হয় নি। হয় নি ভালো কথা, কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই হয়। একটা অত্যন্ত ভালো বাংলা মিডিয়ামের সাধারন মানের ছাত্র, আর একটা মোটামুটি, তেমন ভালো নয় ইংরাজি মিডিয়ামের সাধারন মানের ছাত্র, দুজনেই যখন একই চাকরির ইন্টারভিউয়ের জন্য আসে,ইংরাজি মিডিয়ামের ছাত্রটির থেকে বাংলা মিডিয়ামের ছাত্রটি কুঁকড়ে থাকে অনেক বেশি, কনফিডেন্সে একটা খুব বড় পার্থক্য হয়। আমার আজও নিজের মা-বাবার উপর মৃদু ক্ষোভ আছে, আমাকে কেন বাংলা মিডিয়ামে পড়ানো হয়েছিলো।
    আর এই থ্রেডে কেসি, ব্ল্যাংক এরা বারবার আলোচনাটা মফ:স্বল আর বড় শহরের বড় স্কুলে নিয়ে যাচ্ছে। এখানে আমরা যারা তর্ক করছি, তাদের কারো কর্মজীবনই তো মফ:স্বলে নয়, হবার সম্ভাবনাও কম। তাই আমার অমুক জেলা স্কুল খুব ভালো ছিল, কেন সেখানে পড়াবে না, এই তর্কের কোনো মানে নেই। যদি আজ আমি সিউড়ি শহরে থাকতাম, হয়তো ব্যাঙ্গের ছাতার মত গজানো ইংরাজি মিডিয়ামের থেকে বীরভুম জেলা স্কুলেই পড়াতাম ছেলেকে। কিন্তু কোলকাতায় থাকলে হিন্দু স্কুলের থেকে, বিডি স্কুলের থেকে সেন্ট জেভিয়ার্স, ডন বস্কো, এই সব স্কুলগুলোর দিকেই বেশি ঝুঁকতাম।
  • aka | 24.42.203.194 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৮:৩৩432960
  • আরে এই প্রশ্নটাই তো কখন থেকে করতাসি। কাদের নিয়ে আলোচনা।

    আমরা মানে প্রিভিলেজড ক্লাস?

    না, আপামোর জনসাধারণ?

    এইটা কিলিয়ার না হলে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। একদল বলছে তেল আর অন্য দল বলছে জল। মিশ খাবে কেমনে?

    শুচিস্মিতা, এ বললে হবে না তো। কবে সিস্টেম তৈরি হবে তার ওপর নির্ভর করে বসে থাকলে কিছুই হবে না। পরিবর্তন আসবে কেমন করে? বইটা তো ভাল তাতেই হবে।

    (আমি বলি না, অন্যেরা বলে আগে থেকে বলে দিলাম)

    তুমি, আমি ইংরিজি শিখব না তাতে কি? দেশ ও দশের ভালর জন্য কয়েকজন শহীদ হতেই হয়। নেতাদের ছেলে, নাতিরা কিন্তু ইংরিজি মিডিয়ামেই পড়েছে। পাছে পরীক্ষা করতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলে। নিজের ছেলে শহীদ হলে আর কার ভাল লাগে?
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:০৫432961
  • আকা, হিসেবটা তো ওখানেই গুলিয়ে যাচ্ছে। আমি আর আমার বাড়িতে যিনি বাসন মাজার কাজ করতেন তার মেয়ে একই স্কুলে পড়েছি। তাই নিজেকে ঐ আপামর জনসাধারনের একজন ভাবার অভ্যেসটা এখনো ছাড়তে পারছি না। এই বেসিক লেভেলের শিক্ষাটায় কেন অর্থনৈতিক সচ্ছলতা বাধা হয়ে দাঁড়াবে সে ব্যাপারেই নিজেকে কনভিন্স করাতে পারছি না এখনো।

    এটা লিখতে লিখতেই মনে পড়ল সুচেতনার কথাটা। সত্যিই তো। এসব ভাবছি কেন। আমি তো কখনো মফস্বলে ফিরবো না। নিজেকে আপামর জনসাধারন ভাবার খুব সখ থাকলেও সেটা সত্যি করা আর আমার পক্ষে সম্ভব না। অতএব আকাজি আপনিই ঠিক। তেলে-জলে আর এ জন্মে মিশ খাবে না।
  • Shuchismita | 71.201.25.54 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:২৯432962
  • আকাকে আরেকবার - লার্নিং ইংলিশ ভালো না খারাপ সেটা নিয়ে কিছু বলতে চাইনি। কিভাবে ভাষা শেখানো হবে তা নিয়ে আমি কি বলবো! আমার ভাষাজ্ঞান মারাত্মক খারাপ। আমার নিজের অভিজ্ঞতায় যে কারনগুলোকে লার্নিং ইংলিশের ব্যর্থতার জন্য দায়ী মনে হয়েছে সেগুলোর কথা লিখেছি। লার্নিং ইংলিশ মডেলটা হয়তো ঠিক ছিল, কিন্তু তার ইমপ্লিমেন্টেশন ঠিক হয়নি। আবার অন্য মডেলে শেখালেই যে ছেলেমেয়েরা ইংরিজিতে পন্ডিত হয়ে যেত তারও কোন প্রমান নেই। আমার তো মনে হয় ইংরিজিকে আমরা একটু বেশি পাত্তা দিই। একটা বিদেশী ভাষা - সেটা বলতে গিয়ে দু-একটা ভুলচুক হতেই পারে। কিন্তু সেটা নাকি বিশাল লজ্জার বিষয়। এই লজ্জা থেকেই ভয়। বলার সময় টেনশন। এই বুঝি ভুল বললাম - আর লোকে হাসলো। সেই টেনশন থেকে আরও ভুল। আমি নিজের ক্ষেত্রেও দেখেছি - বিদেশীদের সাথে কথা বলার সময় অনেক সহজে কথা বলতে পারি - কারন জানি যে যদি ভুলও বলি ওরা কিছু মনে করবে না। কিন্তু বাঙালী দেখলেই কনশাস হয়ে যাই। এক বাঙালীর সামনে অন্য বাঙালী ভুল ইংরিজি বলছে - এর থেকে ভালো খোরাক আর হয়না "ঠিক" বাঙালীটির কাছে।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৩১432963
  • আজ্জো - আমার কাছে "লার্নিং ইংলিশ' মানে "ডাইরেক্ট মেথড'। কোনো পাট্টিকুলার বই নয় (যদিও ঘটনাচক্রে বইটার নাম লার্নিং ইংলিশই ছিলো)। ডাইরেক্ট মেথড একটা "ওয়ে অব টিচিং' - যেভাবে আমরা বাংলা শিখি, ব্যাপারটা অনেকটা তাই। ওই পদ্ধতিকে সমর্থন করি, কিন্তু সেটা চালু করার সময় যে নানারকম ল্যাপ্স এবং ল্যাক্সিটি ছিলো সেটা স্বীকার করতে আপত্তি নেই। এগুলোর আবার নানারকম কারণও আছে...টাকাপয়সা, পরিকাঠামো, একটা বড় অংশের শিক্ষক এই নতুন পদ্ধতি মানতে চাননি - কারণ তাহলে তাঁদের অনেক বদলাতে হত, এবং সরকারের তরফে প্রচুর ফাঁকফোকর আর ল্যাদ খাওয়া অ্যাপ্রোচ। কোন ক্লাস থেকে পড়ানো হবে (সিক্স থেকে না থ্রী থেকে) সেটা অন্য তর্ক - তার সাথে ডাইরেক্ট মেথডের কোনো সম্পক্কো নেই। ওই যে বল্লাম - আমরা যখন ক্লাস নাইনে - মানে ১৯৮৭ সাল - তখন লার্নিং ইংলিশ বইটা বেরোয় - আমাদের স্কুলের টীচারদের ট্রেনিং হয়েছিলো ডাইরেক্ট মেথডের ওপর। মানে ওই মেথডটা চালু হয় ওই সময়েই। সিক্স থেকে ইংরিজীর ক্ষেত্রে যদিও ওই একই ব্যাচ প্রথম, কিন্তু সেটা চালু হয় আরো আগে - তখনো ডাইরেক্ট মেথডের কনসেপ্টটা আসেনি।

    পিনাকীর Date:18 Feb 2010 -- 07:37 PM পোস্টটা একদম ঠিক। ঘটনা ওইটাই - যে কারণে ডাইরেক্ট মেথড বা পাশফেল তুলে দেওয়া ইত্যাদি মধ্যবিত্তের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি।

    এবং Date:18 Feb 2010 -- 08:31 PM আর Date:18 Feb 2010 -- 08:48 PM - কেন পাঠভবন বাছলাম সেটাও এই পোস্টে রয়েছে:-) সুচেতনার ক্রাইটেরিয়াগুলোর আগে আমাদের কাছে এই "অন্যরকম' ব্যাপারটাই বড় ছিলো - কারণ ঋক ওতেই অভ্যস্ত ছিলো।
  • pi | 128.231.22.89 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৩৩432964
  • হুঁ, সেই তো, 'আমরা' আর 'ওরা' আলাদা। 'আমাদের' মত শিক্ষা পাবার অধিকার, যোগ্যতা 'ওদের' নেই। সকলের জন্য সমান শিক্ষা বলে কিছু হয় না ( অন্তত বিপ্লব না এলে)। তার দাবী তোলাও অযৌক্তিক।
    আমি বেশী রোজগার করি, তাই আমি সন্তানের জন্য বেশী ভালো শিক্ষা কিনবো। (যদিও ঐ ভালো শিক্ষার ব্যবস্থা দেওয়া টা তেমন ব্যয়সাপেক্ষ নয় যে তার মূল্য এত বেশি করে রাখতে হবে যে 'ওদের' আয়ত্তের তা বাইরে হবে, যাগ্গে, সেসব অন্য কথা। 'আমাদের' তা আলোচনা না করলেও চলবে। গুরুতে ওসব নিয়ে আড্ডা মেরে লাভ ই বা কি ! 'আমরা' বড়জোর কম্যুনিটি ওয়ার্ক করে 'ওদের' জন্য একটু বেটার ব্যবস্থা করে দিতে পারি।)

    তবে ঠিক ই কথা, এটা ই তো বাস্তব।
    প্রিভিলেজড লোকজনের আলোচনা ও তাহলে সেই প্রিভিলেজড শিক্ষাব্যবস্থার ভালো-মন্দ-দোষ-ত্রুটি-ভালোকে আরো ভালো করার উপায় ইত্যাদি নিয়েই হোক কেবল।:)

    এই টই তে বারবার আলোচনার মুখ ঘুরিয়ে দিয়েছি হয়তো। এখন মনে হচ্ছে, সেটার মানে হয় না। আর করবো ও না। যা নিয়ে আলোচনা চলছিল, চলুক।
    তবে ঐ লার্নিং ইংলিশ টিংলিশ নিয়ে আলোচনার ও মানে কি তাহলে? এখানকার প্রিভিলেজ্‌ড লোকজনের সন্তানদের তো আর ঐ চক্করে পড়তে হচ্ছেনা। :)
  • aka | 24.42.203.194 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৩৯432965
  • অজ্জিত শুচিস্মিতার পোস্টটি পড়। একটা পলিসি তখনই ভাল যখন মেথড + ইমপ্লিমেন্টেশন দুইই ভাল।

    তাহলে কি বলতে চাইছ দুটো এক্সপেরিমেন্ট একসাথে চালানো হয়েছিল? ক্লাস সিক্স থেকে ইংরিজি এবং দিশাহীন ডাইরেক্ট মেথড?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৪৪432968
  • আপেল আর কমলালেবু কেস হয়ে যাচ্ছে:-(

    আমি পলিসি নিয়ে কিছু বলিইনি। ডাইরেক্ট মেথড - ইংরিজী শেখানোর জন্যে - শুধু এইটুকু নিয়ে বলছি। আমার মতে ডাইরেক্ট মেথড পদ্ধতি হিসেবে ঠিক (বোল্ড ইটালিক্স আন্ডারলাইন ২৪ পয়েন্ট ফন্ট)। এই তর্কটায় ফের নামলাম শুধুমাত্র শমীকের ওই পোস্টটা ("লার্নিং ইংলিশে ইংরিজী শেখানো যায় না এটা প্রমাণিত') পড়ে।

    ক্লাস সিক্স থেকে ইংরিজীটা সম্ভবত: অশোক মিত্র কমিশনের সুপারিশে - তখন ডাইরেক্ট মেথড কোথায়?
  • Arpan | 204.138.240.254 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৪৭432970
  • শুচিস্মিতা। শুধু তো ভুল বলবার ভয় নয়। অনেক কিছু আসে তার সাথে। ভোক্যাবস, ফ্লুয়েন্সি এবং অন্যপক্ষের লিসেনিং কম্প্রিহেনসন। এইসব কিছু নিয়ে তো কনফিডেন্সটা আসে। মানে ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় যা মনে হয়েছে।
  • suchetana | 122.172.54.115 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৪৭432969
  • কি মুশকিল, পাই আবার রাগে কেন? মফ:স্বলে থাকি না, সেখানে চাকরি নেই, এখন আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে কেন মফ:স্বলের স্কুলে ছেলেকে পড়াবে না, এই প্রশ্নের কি উত্তর হয়? আর তা না হলেই প্রিভিলেজ্‌ড ক্লাস হয়ে গেলাম! ভালো মজা!
    আমার ৮:০৬এর পোস্টে পরিস্কার করে বলেছিলাম, আমি কোন কোন দিকগুলো খুঁজবো গিভেন কন্ডিশন ইংলিশ মিডিয়াম হলে। আমি এই পয়েন্টগুলো বড় শহরেই থাকি আর গ্রামেই থাকি সব জায়গাতেই চাইবো ।
  • aka | 24.42.203.194 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৪৮432971
  • কি মুশকিল পাই তো ভুল বুঝিল। আমি এমন কিছু বলি নাই। বলেছি এদিকে সিস্টেম বদল আর ওদিকে ডন বসকোয় পড়াব এই দুটো আলোচনা মিশ খাচ্ছে না। এটা আমার অবজার্ভেশন।

    হ্যাঁ এই প্রশ্ন করতেই পার, কেন ওরা আমরা থাকবে? কেন সবাই এক হবে না? এ প্রশ্ন তো চিরন্তন। আলোচনা চলুক না। আপত্তি কোথায়। তবে টইতে এই আলোচনা করে তো আর সিস্টেম বদল হবে না। তারজন্য মাঠেঘাঠে কাজ করতে হবে।
  • Arpan | 204.138.240.254 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৪৯432972
  • * "অন্যপক্ষের' বাদ যাবে
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫০432973
  • এইটে নিয়ে এত তক্কো হয়েছে যে বোর হয়ে গেছি। তার মধ্যে রঙ্গনের একটা পয়েন্ট জরুরী - এই কোন ক্লাস থেকে ইংরিজী পড়ানো হবে এই নিয়ে চেঁচামেচিটা প:বঙ্গে বেশি। দেশের প্রায় সমস্ত রাজ্যেই সরকারি স্কুলে থ্রী বা সিক্স থেকেই ইংরিজী পড়ানো হয়। কোথাও চেঁচামেচি হয় না কারণ মধ্যবিত্ত এবং তার ওপরতলার পরিবারের ছেলেমেয়েরা ওইসব ইস্কুলে যায়ই না। এই রাজ্যে যায়। তাই চেঁচায় - কারণ এই গোষ্ঠীর আইডিয়ার সাথে থ্রী বা সিক্স থেকে ইংরিজী বা ডাইরেক্ট মেথড বা পাশফেল তুলে দেওয়া - কোনোটাই খাপ খায় না:-)
  • pi | 128.231.22.89 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ০৯:৫২432974
  • সুচেতনাদি,, আমার পোস্টটা 19 Feb 2010 -- 08:33 AM র পরিপ্রেক্ষিতে ছিল।
  • aka | 24.42.203.194 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০০432975
  • বোঝো সবাই বলল ডন বসকোয় পড়াবে আর দোষ পড়ল 8:33 AM। আমি শুধু ফেসিলিটেটরের কাজ করতে গিয়ে কেস খেলাম। :))

    অজ্জিত, বোর তো হয়েই গেছি, তুমিই তো প্রমাণ করতে কইলে। এর সাথে আরও একটা কথা ইম্পর্ট্যান্ট তা হল ভাষা নিয়ে এত মাত্রাছাড়া এক্সপেরিমেন্ট আমাদের দেশেই হয়। আমাদের রাজ্যে তো কহতব্য নয়। গবেষণা বলে যত ছোট বয়সে ভাষা শিখবে তত সহজে শিখবে। ফার্স্ট জেনারেশন কিনা ম্যাটার করে না।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:০৪432976
  • এটা ডাইরেক্ট মেথড নিয়ে না বয়স নিয়ে? ;-)

    ডাইরেক্ট মেথড নিয়ে আমার ফিক্সড স্ট্যান্ড আছে, বয়স নিয়ে এখনও নেই। দুই দিকেই যুক্তি আছে (সিপিএমের নয় - এই নিয়ে বড়সড় ডিবেট আছে অ্যাকচুয়ালি) এবং আমি এখনও কনভিন্সড নই।
  • suchetana | 122.172.62.71 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৩432977
  • আকা, ফেসিলিটেটরের কাজ করতে গেছ কি মরেছ! প্ল্যানচেটের ভুতও সবাইকে ছেড়ে মিডিয়ামের ঘাড়েই চাপে! :-)

    আর দাঁড়াও, যারা যারা লার্নিং ইংলিশ পড়েছো, চুপ করে বসো। এট্টু কাজিয়ে নিয়ে আসছি, এমন শক্ত শক্ত ট্রানস্লেশন দোবো, কেমন পারো দেখি!

    পাইকে এক কিলো বেনারসী মশলা পাঠালুম।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৭432979
  • হুঁ - ক্লাস সেভেনে মাইকেল স্যার করাতেন - "অমন হাঁ করে তাকিয়ে আছো কেন? রসগোল্লা কখনো খাওনি?'

    এই ভাবটা ইনট্যাক্ট রেখে করো দিকিনি ট্রান্সলেশন;-)
  • aka | 24.42.203.194 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:১৯432980
  • হোয়াই ইউর মাউথ ইজ ওয়াইড ওপেন? নেভার ইটেন রসগোল্লা ইন লাইফ?
  • lcm | 69.236.176.155 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৩২432981
  • ওহ! বড় গোল পাকাও। এত ঝামেলা কেন। কাছাকাছি কোনো স্কুলে ভর্তি করে দাও। জিওগ্রাফিক্যালি ন্যাচারাল চয়েস। যেমন, সবার হয় আর কি। বাড়ির কাছাকাছি স্কুলে। আর যদি ভাল হেভি ওয়েট স্কুল চাও তো হেভি ওয়েট নেবারহুডে মুভ করে যাও। কিন্তু স্কুল কাছাকাছি... । আর, ছেলেপুলে-দের জন্য স্যাক্রিফাইস করবার জন্য এরকম মুখিয়ে থেকো না। নিজেরা একটু রিল্যাক্স করো, একটাই তো জীবন। দেখতে দেখতে ওরা বড়ো হয়ে যাবে, আর তোমরা সব বুড়ো হয়ে যাবে ---

    ( এ ভাট আমার ভাট। এর দায় একমাত্র আমার )
  • Arpan | 216.52.215.232 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১০:৪৯432982
  • Jackass! Never eaten rasagolla in life?
  • Blank | 59.93.194.118 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:০০432983
  • আকাদার 19 Feb 2010 -- 10:00 AM পোস্টের উত্তরে ..

    আকাদা এই স্টেটমেন্ট টা ফের বেথের মতন হলো। শিশু বয়স ভাষা শেখার পক্ষে সবচেয়ে উপযুক্ত এটা কবে থেকে ইউনিভার্সাল ট্রুথ হলো !!
  • lcm | 69.236.176.155 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:০৬432984
  • কোন ভাষ। যেমন, ফরট্র্যান শেখার উপযুক্ত বয়স কত?
  • aka | 24.42.203.194 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:১৩432985
  • http://www.jstor.org/pss/323026

    প্রথম প্যারাটা পড়লেই চলবে।
  • aka | 24.42.203.194 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:১৬432986
  • আমারে এটা ডাক্তার কয়েছিল। সাম্পানের বাংলা আর ইংরিজি নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। ডাক্তার বলেছিল দুটোই এক্সপোজ কর, দুটোই শিখে যাবে। যত ছোট থেকে করবে ততই ভাল। স্টাডি নাকি তেমনই বলে।
  • Blank | 59.93.194.118 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৩৮432987
  • ও বস্তু টা এখন বিগ ব্যাং থিওরি হয়ে গেছে। ক্রিটিকাল এজ ফ্যাক্টর টা প্রথম ভাষা শিক্ষার জন্য খুব দরকার। আর সেই এজ টাও ৫ বছরের নীচে।
    দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষার বয়স নিয়ে প্রচুর কাজ কম্ম চারদিকে চলছে। গত দশকেও বলা হতো যে ছোট বেলায় শেখা আর বড় হয়ে শেখার মধ্যে প্রচুর pros and cons আছে।
    আজকাল বলছে ব্যপারটা বয়সের চেয়েও বেশী অন্য অনেক ফ্যাক্টরের ওপর নির্ভরশীল। এই নিয়ে পেপারের লিংক দিতে গেলে গুচ্ছ গুচ্ছ পেপার পাওয়া যাবে। তাদের আবার এক জনের সাথে আরেক জনের মত মিলবে না
  • aka | 24.42.203.194 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৪৩432988
  • খুইলে এতক্ষণ ধরে? তাইলে প্রথমেই স্টেটমেন্ট দিয়া দিলে কেনে? :))

    ঐজন্যই ডাক্তারের কথা শুনে চলা উচিত। আমি তো তাই চলি।
  • Blank | 59.93.194.118 | ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০ ১১:৪৯432990
  • যা ত্তারা, তুমি ই তো কেমন সুয্যি পুব দিকে ওঠে টাইপ স্টেটমেন্ট দিলে।
    আর ডাক্তার দের দেওয়া ওষুধ ছারা আর কোনো কথা শুনো না। একবার ডাক্তার হয়ে গেলে লোকে আর পড়াশুনো করে না (ইদিকে ইন্দো দা আবার পড়াকু লোক)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন