এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শিশু টক(৩)

    raatri
    অন্যান্য | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ | ৩৯৫৬২ বার পঠিত | রেটিং ৫ (১ জন)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • raatri | 59.93.179.83 | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:১৬440097
  • ফোনেটিকালি পড়াশুনা।গোড়াতেই জেহাদ। u যদি 'আ' বলে,তবে আমার নাম উজান নয়,আজান হবে।

    পুরো পরিবারের ছবি আঁকা চলছিল,গোটা কুড়ি-পঁচিশ জন হবে।একট করে মাথা,তাতে চোখ,নাক, মুখ,চাইলে খানিক চুল,গা,হাত,পা,ব্যাস।বললাম-এ কি!!কারোর কোনো ড্রেস নেই কেন??বলল-সবাই চান করে উঠে গা মুছছে এখন।আর আমার বাবার চুল আঁকতে খুব অরাজি।কারণ দাদুনের তো হোয়াইট হেয়ার,সাদা পাতায় কেমন করে আঁকা যাবে??
  • tkn | 122.173.184.55 | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:৩১440208
  • :-)))))
    এই ছেলেটা..... একদিন 'সেই ছেলেটা' হবেই :-))
  • ranjan roy | 115.184.45.63 | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৪৫440319
  • সত্তরের দশকের সেই অশান্ত দিনে ভিলাইয়ে আমাদের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন কোলকাতা থেকে আসা একজন মাস্টারমশাই। বাবা ওনাকে পেয়িংগেস্ট করে রাখলেন আমাদের কোয়ার্টারে যে গেস্টদের জন্যে একরুমের আউটহাউস মত ছিল তাতে। উনি আমাদের পড়াতেন ইংরেজি আর অংক। ভাল কবিতা লিখতেন।
    পরে ঠিকেদারি করতে গিয়ে ব্যর্থ হয়ে শান্ত কোলকাতায় ফিরে যান।
    এসেছিলেন কয়েক মাসের বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে।
    বাচ্চা তাতাইকে আমি আঙুল ধরে হাঁটতে শিখিয়েছি।
    একটু কথা বলা ছড়া বলা শিখলে পরে আমাকে বলও--
    "" হামতিমানু কাস্টা গোকুল''।
    -- মানে?
    --"" ইস্টিমানু কাস্টা গোকুল''।
    ---"" এসব কি আবোল-তাবোল?
    হাসিমুখে হাত নেড়ে বল্লো
    --""আড্ডাপাডা বাড্ডাপাডা''।

    সাত বছর বয়সে ও কোলকাতায় চলে গেল। আজ কোন যোগাযোগ নেই। খবর পেয়েছিলাম পড়াশুনোয় ভাল হয়েছে। হয়তো সংসারী হয়েছে, বিশ্বাস করি সুখী হয়েছে।
    স্বাভাবিক ভাবেই আমার কথা ওর মনে নেই।

    আমি রাস্তাঘাটে কোন সুন্দরী মেয়েদেখলে স্ত্রীকে বলি--- হামতিমানু কাস্টাগোকুল।
    ফোনে দিল্লিবাসী দুইমেয়ে আর ভাইঝিকে বলি--ইস্টিমানু কাস্টাগোকুল।
    তারপর শুভরাত্রি বলার সময় আমরা ফোনে বলি--- আড্ডাপাডা বাড্ডাপাডা।
  • nitai | 152.2.94.245 | ২৭ ডিসেম্বর ২০০৯ ০২:৩০440430
  • অসাধারন :))
  • rimi | 24.42.203.194 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ০১:৩৪440541
  • বাচ্চারা একই রকম দেখছি সব।

    সাম্পান এক পাখির ছবি আঁকল, তার ডানা নেই, মাথাও নেই, শুধু একটা ঠোঁট আর ঠোঁটের উপরে গোল এক চোখ।
    "ডানা কোথায়?"
    "ও তো উড়ছে না। তাই ডানা দেখা যাচ্ছে না।"

    এই পাখি আবার নাকি ব্রেকফাস্টে শামুক, লাঞ্চে পাথর আর ডিনারে মানুষ খায়।
    "ও হাঁ করে মানুষ খাচ্ছে এখন।"
    "তাহলে মানুষ এঁকে দে ওর মুখে মধ্যে।"
    " পাখিটা মানুষকে দেখতে পায় না। তাই মানুষ আঁকি নি।"
    "দেখতে পায় না তো খায় কি করে?"
    "শুধু শব্দ শুনেই খেয়ে ফেলতে পারে।"

    একটা সাদা পাতায় খানিক হিজিবিজি। এটা কিসের ছবি জানতে চাইলে বলল "একটা লিভিং রুম।"
    "লিভিং রুম তো সোফা চেয়ার টেবিল এসব কোথায়?"
    "এই লিভিং রুমে কোনো জানালা নেই তো,তাই ঐসব দেখা যাচ্ছে না।"

    আজকাল আবার কিসের ছবি জানতে চাইলে বেশ বিরক্ত হয়। ছবি যে কিছুর একটা হতেই হবে তার কি মানে? তাই ইদানীং জবাব হচ্ছে "পরে ভেবে বলব এটা কি।"কিম্বা "এখনো ঠিক করি নি কিসের ছবি"।
    অতএব জিজ্ঞেস করাই ছেড়ে দিয়েছি।
  • tkn | 122.163.79.227 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:০৩440652
  • মায়েরাও একই রকম দেখছি সব
    কিছু আঁকলেই "কি এঁকেছিস .. কি এঁকেছিস" করে ঝাঁপিয়ে পড়ে.... :-((

    ঐটুকু পুঁচকেগুলোও বুঝে গেছে যে শিল্প দুর্বোধ্য হলেই "শিল্প হয়".... অবোধ মায়ের দল, বড় হয় না :-)))
  • ranjan roy | 115.184.47.69 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:০৭440763
  • কেয়াবাৎ! তেকোনা, কেয়াবাৎ!

    কবিরা উল্টো, খালি অন্যদের নিজেদের কবিতা শোনাতে চায়।
  • kd | 59.93.194.103 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১২:৪৪440874
  • রঞ্জন, ঠিক বলেছো, জ্বালাতন! আমার এক ইস্কুলের বন্ধুর অত্যাচার রেগুলার সহ্য করতে হয়, নেহাৎ ফিরিতে চা-বিড়ি খাওয়ায়, তাই। তবে, কবি হ'লেও মাথায় বুদ্ধি আছে, দোকানে (জগুবাজারে গেঞ্জি-জাঙিয়ার দোকান) খদ্দের হ'লে চুপ করে যায় - পালিয়ে যেতে পারে তো!

    ঐ ''হ'লেও'' টার জন্যে পচ্চুর ঝাড় খাবো জানি, তা খাই, ভাট বড্ড ঠান্ডা মেরে গ্যাচে :)
  • pi | 72.83.210.50 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:০৩440985
  • রাত্রিদি, রিমিদি, :)))
  • Blank | 59.93.172.15 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২১:১৯440098
  • পুঁচকে গুলো ক্রমশ পোমো হয়ে উঠছে। সব ই সঙ্গ দোষ :-)
  • kd | 59.93.198.168 | ২৮ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:০১440109
  • এরা সব বাপের সুপুত্তুর।

    ছোটবেলা থেকে পাড়ার কাকা-জ্যাঠাদের মুখে 'বাপের কুপুত্তুর' শুনে শুনে খুব ইচ্ছে ছিলো কদ্দিনে আমিও বলতে পারবো। যখন সময় হ'লো বলার, তখনও বলতে পারলুম না :(
  • raatri | 59.93.166.60 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৪:৫৮440120
  • রিমি,
    আরো ছোটোবেলায় আমারটি আগে ভেবে নিয়ে আঁকত না,মানে পারত না,এঁকে নিয়ে দেখে ঠিক করত ওটা কি,আম না জাম না মুলো।

    অদ্ভুত এক দন্ডবিধানের কথা মাথায় এসেছে ছেলের।আমার কোন কিছু অপছন্দ হলেই বলে-দাঁড়াও,পাথর খুঁজে আনি,তোমাকে পাথর খাওয়াবো।তোমার সব দাঁত পড়ে যাবে।
  • Shn | 122.181.4.138 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:৩৮440131
  • তান আজকাল একটু আধটু টক দিতে শিখেছে। বাব্বা, মাম্মা, মা, দাদা, দিদা, দিদি এসব তো আছেই, এখন তার ফেভারিটের জায়গায় ঠান্ডার বদলে এসেছে হাম্বা। কিন্তু হাম্বা একটা বড়সড় ব্যাপার, তাকে শুধু হাম্বা বলবে কেন? তাই হাম্বাদিদি। দুয়েকদিন আগে থেকে বলা শুরু হয়েছে বাদ্দিদি। সে আর কেউ মর্মোদ্ধার করতে পারি না। হঠাৎ আজ সকালে পিছনের দরজা খুলে দিতেই পিছনের বাড়ির পাখির খাঁচায় কিচিমিচি কাকলি আর ইউরেকা স্টাইলে তানের চিৎকার, "বাদ্দিদি, বাদ্দিদি"!
  • Samik | 219.64.11.35 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:৪১440142
  • :-)
  • Arpan | 122.252.231.12 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৫:৫০440153
  • মেয়ে স্কুল থেকে ফিরেছে। ঠাকুমা পেছনে লাগার জন্য বলে "কাল থেকে আমিও যাবো তোর স্কুলে'। মেয়ে গভীর মুখে জবাব দেয় "ওখানে সব ছোট চেয়ার, তুমি বসলে দুম্বা হয়ে যাবে! তাপ্পরে তোমাকে কে নিয়ে আসবে?'
  • rimi | 24.42.203.194 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২২:৪৪440164
  • রাত্রি, সাম্পানও ঠিক তাই করত। এখনো করে।:-))

    অপ্পন, :-))))
  • Arpan | 204.138.240.254 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:২৬440175
  • বড়দিনের সিজন। এর মধ্যে ই টিভিতে রবি ঠাকুর দেখে পাম্পাম উত্তেজিত - "মা! সান্টা। ওই যে সান্টা।'
  • Samik | 122.162.75.30 | ২৯ ডিসেম্বর ২০০৯ ২৩:৪১440186
  • কল্লোলদা যখন দিল্লিতে ছিল, আমার মেয়ের তখন তিন বছর বয়েস। কল্লোলদাকে এখনো ও রেফার করে সান্তাক্লজ দাদু বলে। দিব্যি মনে আছে, সান্তাক্লজ দাদুর বাড়ি গেছিল, দাদু ওকে চকলেট দিয়েছিল ...
  • Ishan | 173.26.17.106 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:১৬440197
  • বড়দিনের গপ্পো
    ----------------

    কদিন খুব ঝামেলা গেল। যদিও ছুটিই নিয়েছিলাম, কিন্তু সেদিন কম্পু খোলার বিশেষ চান্স পাইনি। সারাদিন ঘুরেঘারে বিকেলে এসে কম্পু অন করছি, ছেলে তখন একটা টুকরো-মেলানো পাজল করছে। আমাকে দেখেই বলল: বাবান, একটু হেল্প করো।

    আমি: আজকে তো অফিস আছে।
    ছেলে: কিন্তু আমি তো যাওনি।
    আমি: সেইজন্যই তো কাজগুলো এখন করতে হবে।
    ছেলে: তাহলে তুমি একটু কাজ করো। বেশিটা আমার সঙ্গে পাজল করো।
    (তারপর একটু বিরতি দিয়ে), সেটাকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমও বলতে পারো।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৩৪440209
  • আমাদের পাশেই থাকে আমাদের বন্ধু এক বাঙালি দম্পতি। তাদের ছেলে উজানের বন্ধু। তার মাকে আমি আহ্লাদ করে মুটকি বলি, উজান বলে মুটকি মাসি।

    ছেলের সেদিন তাদের বাড়ি যাবার কথা ছিল, কিন্তু সে, দেখা গেল খুব দার্শনিক চিন্তায় পড়েছে।

    কি চিন্তা? না মা তাকে বলেছে ভালোবাসি। সেও তার মাকে খুব ভালোবাসে। ওদিকে ইশকুলের(না ভগবান জানে কোথাকার) ফান্ডা অনুযায়ী কোনো বয় এবং গার্ল যদি "লাভ ইচ আদার' তাহলে তারা "ম্যারি ইচ আদার'। মাকে বিয়ে করলেই ঝামেলাটা মিটে যেত, কিন্তু মা বলেছে মা'র আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। বাবানের সঙ্গে।

    তা, এই জট ছাড়ানোর জন্য আমরা সপরিবারে নানাবিধ চেষ্টা করি। প্রথম অপশন হল, বাবান বিয়ে করেছে তো কি, ছেলেও করে ফেলতেই পারে। এটা ছেলেরই ফান্ডা। কিন্তু এটাতে মা বাগড়া দেয়। দুজন মিলে নাকি একজনকে বিয়ে করা যায়না।

    পরের অপশন হল, বিয়ে ফিয়ের দরকার টা কি, একসঙ্গেই থাকিনা। কি এল গেল। বাবা-মা এতে রাজিই ছিল, কিন্তু ছেলের কোনো কারণে ব্যাপারটা ঠিক পছন্দ না। বিয়ে না করলে ভালোবাসা সম্পূর্ণ হয়না বলেই হবে।

    অতএব, শেষ্মেশ তিন নম্বর অপশনটাই সাব্যস্ত হয়। মাকে ওই বিয়ে করবে। বাবানের যা হয় হোক।

    -- কিন্তু বাবান তাহলে কাঁদবেনা?

    -- বাবান অন্য একটা কাউকে ম্যারি করে নিক।

    -- কাকে করবে?

    -- কেন? (একটু ভেবে) ইসাবেলাকে করতে পারত (সে ছেলের বান্ধবী, আমাদের কাছেই থাকত, কিন্তু ইদানিং মুভ করে অন্যত্র চলে গেছে), কিন্তু ওরা তো কোথায় জানিনা।

    -- তাহলে?

    -- (একগাল হেসে) মুটকিমাসীকে করতে পারে।

    অত:পর তাই ঠিক হয়। আমরা সবাই সুখী। ঘরের ছেলে ঘরেই রইল। বাবানও জাস্ট পাশের বাড়ি গেল। শুধু পাশের বাড়ির মুটকিমাসী জানতেও পারলনা, তার বর বদলে গেছে।
  • Ishan | 173.26.17.106 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৪৪440220
  • রাত্তিরে রোজই ঘুমিয়ে পড়ার আগে লেপের তলায় লুকোয়। খুঁজে বার করার পদ্ধতিটা এরকম:

    -- কোথায় গেল সোনা টা?
    একটু খোঁজার বাহানা।
    -- এখানে মনে হয় নেই।
    আবার একটু খোঁজা।
    -- এখানে না থাকলে তো হাত দেখা যেত।
    ছেলে লেপ থেকে হাত বার করে দেখায়।
    -- পাও দেখা যেত।
    পা বার করে।
    -- পা টা তো নড়তো ও।
    পা নড়ে।
    --তাহলে মনে হয় এখানে নেই। না: আমি শুয়েই পড়ি।
    লেপ তুলে শোবার প্রচেষ্টা। এবং পুত্রকে দেখতে পেয়ে তুমুল বিস্ময়। --হ্যাঁ, এখানেই তো আছে।

    রোজ এই একই জিনিস করতে কাঁহাতক ভালো লাগে? মিঠু প্রায়ই একেকটা স্টেপ জাম্প করে। ছেলে তাতে প্রচন্ড রেগে যায়। সেজন্য শুতে যাবার পর মিঠু গুডনাইট বলতে গেলে আমি মনে করিয়ে দিই। সেটা অবশ্য একটু কায়দা করে, কঠিন বাংলা শব্দ ব্যবহার করে। নইলে ধরে ফেলবে।

    তা, সেদিন বলেছি, মিঠু ছলনা করতে ভুলো না। মিঠু ভোলেওনি। খোঁজা টোজা সব ভালোভাবেই মিটেছে। সব শেষ হয়ে যাবার পর মিঠু জিজ্ঞাসা করেছে -- তোমার জলের সিপার কই?

    ছেলে: সেটাও ছলো করতে হবে।
    মা: ছলো? সেটার মানে কি?
    ছেলে: ছলো মানে জানোনা? ছলো মানে সার্চ করা।

  • kallol | 124.124.93.202 | ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৯:২১440231
  • শমিক, পুচকুকে আমার অনেক আদর দিস।
  • Du | 65.124.26.7 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৩:৪২440242
  • :))
  • rimi | 24.42.203.194 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ০৮:৪৮440253
  • :-))))) এই লেপের তলায় খুঁজে বার করার পর্ব আমাদেরও চলে :-(
  • I | 59.93.214.51 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:১৪440264
  • :)) আমাদেরো।
    আমাদের বাড়িতে আবার আরো একটা ব্যাপার আছে। ইদানিং লেপের তলায় এক নতুন জন্তু জন্ম নিয়েছে। খুব বড়োসড়ো জন্তু, কিন্তু বেশ ছেলেমানুষ। হাতির মত শুঁড় আর সিংহের মত কেশর আছে বলে মাম্মাম একবার সিংহাতি বলে ডেকেছিল। টুংকাই অমনি সে নাম তুলে নিয়েছে। জন্তুটার বাদবাকিটুকু দেখতে পাপালু'র মত।

    তার আসল নাম গাঁউ। কেননা সে লেপের তলা থেকে প্রায়ই বেশ হিংস্রভাবে গাঁউ, গাঁউ বলে চীৎকার করে। লেপ তুললেই গাঁউ !!! বলে তেড়ে আসে।
    অত রাগী জন্তু, কিন্তু খুব স্নেহের কাঙাল। আদর করে গায়ে হাত বোলালেই বেশ মোলায়েম সুরে মিনমিন করে গাঁ-আ-উ, গাঁ-আ-উ ! বলে ডাকে। ছোটদের ভালোবাসে। গা চেটে দিতে চায়। রোজ রাত্তিরে টুংকাই-গাঁউ-আর মাম্মাম মিলে সে এক নরক গুলজার।
  • I | 59.93.214.51 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১০:৩৪440275
  • কথা হচ্ছিল কঙ্কাল নিয়ে। ঠিক কঙ্কাল নয়, চোখ নিয়ে। কোন অ্যানিমালের কিরকম চোখ-এইসব। তো, পাপালু বললো-কঙ্কালের কিন্তু চোখ নেই। চোখের জায়গায় ওদের কালো কালো গর্ত থাকে। কঙ্কাল তাই চোখে দেখতে পায় না।
    টুংকাই বললো-কঙ্কাল কোথায় থাকে, হ্যাঁ?
    পাপালু বললো-বলবো?
    টুংকাই-বলো !
    পাপালু-কঙ্কাল থাকে ন্যুডিস্ট কলোনিতে।
    কথাটা টুংকাইয়ের বেশ পছন্দ হলো। একথা-সেকথার পর সে সদর্পে ঘোষণা করলো-কলোনি কথা বলতে পারে না। কিন্তু কঙ্কাল পারে।

    না, সাবল্টার্ন বলে নি। কলোনি-ই বলেছে।

    ভালো গল্পে যেমন হয়, নানান ট্যুইস্ট ও টার্ন থাকে, এমনি সময় মাম্মাম ঘরে ঢোকে। টুংকাই একগাল হেসে বলে-মাম্মাম, কঙ্কাল কোথায় থাকে , বলো তো?
    দাদাগিরির গুগলি; মাম্মাম আকাশ-পাতাল ভাবে, কিন্তু শেষমেশ ল্যাটারাল থিংকিং-এর ধারকাছ দিয়েও না গিয়ে বলে-কঙ্কাল আমাদের শরীরের মধ্যে থাকে, বাবা !

    টুংকাই- না!! কঙ্কাল থাকে ন্যুডিস্ট কলোনিতে(পড়ুন ন্যুদিস, টুংকাই এখনো ট'য়ে ড'য়ে দুরস্ত হয়ে ওঠে নি) ।

    অত:পর মাম্মামের চোখ ছানাবড়া; এদিকে বাচ্চালু ও পাপালু'র সমবেত খিল্লি।
    অবশেষে কথা খুঁজে পেয়ে মাম্মাম রোষকষায়িত নেত্রে পাপালুর দিকে তাকিয়ে বলে-পরের ছেলে তো , না?

    বুদ্ধিমানের মত পাপালু এই দ্বি-ধার তরবারির আশপাশ দিয়েও যায় না। বিনীতভাবে সে এই বিষাক্ত বাউন্সার ডাক করে। সে হ্যাঁ-না -কিছুই বলে না। কিম্বা হয়তো এর উত্তর ঠিকঠাক জানে না, কে জানে !
  • pi | 72.83.210.50 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:০৩440286
  • তা বটে। প: বঙ্গে তো আর নিউক্লিয়ার পাওয়ার সারা দেশের মত মহার্ঘ নয়। তাই কেন্দ্রে বিরোধিতা এবং রাজ্যে... :)

    একটু সিপিএম কেই কোট করি নাহয় :)
    An editorial in party organ 'People's Democracy' argued that by using nuclear power, India would be spending anywhere beyond Rs two lakh crore more than the available alternatives and wondered whether the country need such an "expensive option"

    "Imagine, this cost difference can build nearly 20,000 fully-equipped 100-bed public hospitals, or, 2,50,000 schools like the Navodaya Vidyalayas with full boarding facilities for 100 students.

    "The cost differential is so huge that, while generating the same amount of electricity from alternative sources, we need not deny 20 lakh children of quality primary education or 250 lakh people of quality medical care," the editorial in the forthcoming issue of the organ said.


    না না, এই 'কস্ট ডিফারেন্স' দিয়ে প:বঙ্গেও নবোদয় বিদ্যালয় কি হাসপাতাল তৈরি করা যায়, এমন কোনো কথা আমি বলছি ই না ! :)

  • pi | 72.83.210.50 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১১:০৫440297
  • :((
  • SB | 114.31.249.105 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ১৯:০০440308
  • গোগি (৫.৫) ছবি আঁকে, মানে শুধু আঁকেই না, কিছু বলতে গেলে ছবিতে বোঝায়। কোন কিছু দেখে বা শুনে ভাল লাগলো কিনা, কেমন ভাল লাগলো বা খারাপ সেটাও ছবি একেঁই বোঝায়।

    ছবি আঁকা হলে নির্ধারিত প্রশ্ন বাবা মা বা সামনে যে থাকে তাকে, "এটা কী বলতো?"

    আমরা বেশীরভাগ সময়ে পারিনা, খুব রেগে যায় কিছু না কিছু উত্তর না দিলে, তাই দিতেই হয়। তারপর না পারলে খুব খুশী হয়ে বলে, এটা হোল __________, তারপরেই আমোঘ প্রশ্ন, "তুমি কি ভেবেছিলে????"

    এই শেষ প্রশ্নটা কে খুবই ভয় পাই!!
  • raatri | 59.93.207.98 | ৩১ ডিসেম্বর ২০০৯ ২০:০০440320
  • ছেলেকে শুতে পাঠানো হয়েছে।আমরা টুকটাক কাজ সারছি।পাশের ঘর থেকে শুনলাম-বলো না গো,প্লীজ বলো,একবার বলো- এ রকম আকুলিবিকুলি। জানতে চাইলাম কার সাথে কথা বলছে এই রকম মধু মাখিয়ে।বলল-ঠাকুরকে জিগ্যেস করছি মশা কেন বানালো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খেলতে খেলতে মতামত দিন