এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • রবীন্দ্রনাথের গান

    Sourav
    গান | ০৯ মে ২০১০ | ২১৮৬৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ১২ মে ২০১০ ০৯:৪১448753
  • দুটো জিনিস clarify করতে এলাম।

    ১। কার্তুজদেবী নয়, জাতে পুরুষ।
    ২। 'ক' কিসের abbreviation? 'সহমত' না 'আপত্তি তুলছি'?
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ১২ মে ২০১০ ০৯:৪৮448754
  • ২২৩৩ টি রবিগানই শান্ত মনে শুনতে হয় এমন কোনো দাবী আমি করেছি বলে মনে হয় না। তবে mauja hi mauja শোনার moodএ থেকে কেউ যদি রবিগানের রসগ্রহণ করার অবস্থায় থাকেন, তাঁকে আমার সহস্র প্রণাম।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১২ মে ২০১০ ১০:১১448755
  • কিন্তু এই হুল্লাল্লা কি করে লোকের ভালো লাগে সেটা ঘটে ঢুকলো না। এজ্জন্যে কি এস্পেশ্যাল টেনিং লাগে?

    ;-)
  • Samik | 122.162.75.216 | ১২ মে ২০১০ ১০:১৩448756
  • ভালো লাগছে বেশ পড়তে। প্রবীণ বনাম নবীনদের দ্বন্দ্ব। কয়েকটা কথা খাপছাড়া-ভাবে মাথায় এল। হয় তো তালে মিলবে না, তাও লিখে রাখি।

    ১। "আজকালকার ছেলেদের পছন্দ, বলিহারি যাই। তারা বড়দের আর মান্য করে না, নিজেদের যা মর্জি হয়, সেই মতোই চলে ... ' এইরকমের কিছু ছিল কোটেশনটা। শ্যামলবাবু অনেকদিন আগে এই লাইনগুলো উদ্ধৃত করেছিলেন অন্য কোনও এক টইয়ে। উক্তিগুলো আজকালকার দিনের কোনও প্রবীণের বলা নয়, এই লেখাটা পাওয়া গেছে হিয়েরোগ্লিফিক্স ভাষায়, মিশরের কোনও এক পিরামিডের ভেতরে। :-)

    ২। রবিগানের মধ্যে একটা সাত্বিক ধূপধূনো-গুগ্গুল টাইপের ব্যাপার, অন্তত বেশির ভাগ গানের মধ্যেই, ওমনিপ্রেজেন্ট। ভক্তরা সেটা টের পেয়েই ব্যাপারটার সাত্বিকতা শুদ্ধতা রক্ষায় অতি তৎপর হয়ে চলেছে সেই রবীন্দ্রনাথের জমানা থেকে। রবি ঠাকুর নিজেও যথেষ্ট উদ্যোগী ছিলেন এ ব্যাপারে, বিশ্বভারতী সঙ্গীত বোর্ড তৈরি করে নিজের গানের সুরের কপিরাইট তিনি নিজেই রক্ষা করতে দিয়ে গেছিলেন। কিন্তু পাল্টানো সময়ের সাথে সাথে, নতুন জেনারেশনের কাছে রবীন্দ্রনাথকে নতুনভাবে রিপ্রেজেন্ট না করলে সেই রক্ষা করে রাখা ব্যাপারগুলো তো প্রবাহিত হবে না! আমি যদি শুদ্ধতার দোহাই দিয়ে আমার গানের মহাফেজখানায় তালাবন্ধ করে রাখি রবীন্দ্রনাথের সব সৃষ্টি, তাতে হয় তো তার সব শুদ্ধতা রক্ষা হবে, কিন্তু নতুন প্রজন্ম, যারা অলরেডি এলসিডি টিভিতে ক্যাটরিনা কাইফ আমীর খান আর পোগো ডিজনি দেখে বড় হচ্ছে, তাদের কাছে সেই জিনিস পৌঁছবে না। আমরা বর্ণপরিচয় পড়েছিলাম, সেই গোলাপী রংয়ের জ্যালজেলে মলাটে, কোনও ছবি ছিল না তাতে, কোনওদিন ভাবিও নি বাংলা শেখার অন্য ভালো উপায়ও থাকতে পারে, অমন খটোমটো বাংলা শিখে গেছিলাম অনায়াসে। কিন্তু আজকের শিশু কমলা রঙের পাতাভরা ছবি থাকা সত্বেও বর্ণপরিচয় আর পড়তে উৎসাহী হচ্ছে না। অর্থাৎ, বর্ণপরিচয়কে আজকের যুগের মতো করে পাল্টাতে হয়েছে। তাতেও সে সফল হয় নি, সেটা ভাষার দোষ, সেটা অন্য তক্কো। কিন্তু বাঙালীর কালচারে বর্ণপরিচয়ও একটা ধ্রুপদী জিনিস ছিল, এই সেদিন পর্যন্ত।

    আজকের বাচ্চারা প্রথম রবিগানের সাথে পরিচিত হোকই না, উল্লাল্লা সমেত পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে শুনে, সে যদি আকৃষ্ট হয়, তবে উল্লাল্লা-তে হবে না, হবে গানের সুরে (যদিও পাগলা হাওয়ার বাদল দিনে গানের সুর এমন কিছু উৎকৃষ্ট নয়, সুর হিসেবে)। বছর চারেক আগে আমি দশমীর তাসা-পার্টিতে দেখেছিলাম, লোকে ঝিংকুচিকুর বাজনার সঙ্গে উদ্দাম নাচছে, ব্যাঞ্জোতে গানটা বাজছে, ওগো নদী আপন বেগে পাগলপারা। যারা বাজাচ্ছিল, যারা নাচছিল, সব ব্যান্ডেল বস্তির, কি এপাড়া ওপাড়ার বাপে-তাড়ানো মায়ে খেদানো ছেলের দল, তাদের জীবনে রবীন্দ্রনাথের র-ও নেই। কোনওভাবে। সেই তাদের একসাথে দাঁড় করিয়ে নাচানোর ক্ষমতা আছে যাঁর হাতে, সে কিন্তু ঐ ব্যাঞ্জোবাদক নয়, সে কিন্তু ঐ তাসাপার্টির ড্রামবাদক নয়, সবার ওপরে সেই সুর, যেটা ব্যাঞ্জোবাদক অলমোস্ট নিখুঁতভাবে বাজাচ্ছিল। ও সুর তুমি নিভৃত ঘরের কোণেই গাও, আর পাড়ার মোড়েই গাও, অন্তত হাঁটুটা তালে তালে কেঁপে উঠতে বাধ্য।

    আমার মেয়ে ঐ তাসাপার্টির নদী আপনবেগে শোনে নি, উল্লাল্লা পাগলা হাওয়া শোনে নি। যেটুকু রবিগান শুনেছে আমার কম্পিউটারে রাখা সব নামকরা গাইয়েদের, হেমন্ত কণিকা দেবব্রত ইত্যাদি। জোর করতে হয় নি, এমনিই ভালোবেসেছে। কিন্তু ভালোবেসে উল্টে পড়ে নি। তার সোনি-দে-নখড়ে কিংবা চাচু আল-ইজ্‌-ওয়েল ঐ রকমই কি তার থেকেও বেশি ভালো লাগে। তো লাগে! কী করা যাবে। আমি কি বকেঝকে ভালো লাগাবো নাকি? ঐসব গানে ভিজুয়াল এফেক্ট আছে, রবিগানে সে-সব কোথায়?

    আমার ছোটোবেলায় টিভিই ছিল না। মা দিনরাত রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইত, আমি তবলা শিখতাম, জোর করে নিজের গানের সঙ্গে বাজাতে বসাতো। ভাল্লাগতো না একেবারে। কী সব ম্যাদামারা গান!! লোডশেডিংয়ের কবি মনে হত। দীপ নিভে গেছে মম। আমার জ্বলেনি আলো। আজি বিজন ঘরে নিশীথ রাতে। মাইরি, বুড়োটা ভালো গান কিছু লেখে নি?

    ছ-সাত বছর বয়েসে, সেসব গান বোঝার মত গভীরতাই তৈরি হয় নি। ঐ জোর করে রবীন্দ্রকৃষ্টি চাপিয়ে দেওয়ায় রবীন্দ্রবিবমিষায় ভুগেছিলাম প্রায় ক্লাস টেন ইলেভেন অবধি। একেবারে সইতে পারতাম না। তদ্দিনে দেবব্রত শুনেছি, হেমন্ত শুনেছি, সুচিত্রা শুনেছি, নীলিমা শুনেছি। পোষাত না একেবারে।

    নাইন টেনে পাখনা গজাল, প্রথমে বাবা সায়গল, তারপরে অয়াপাচে ইন্ডিয়ান, তারপরে মাইকেল জ্যাকসন, সাথে সাথে সুমন, নচি অঞ্জন লাইন দিয়ে এল। শুনলাম ইন্দ্রাণী সেনের কতিপয় রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্যাসেট।

    ঠিক এইখানে এসে কানটা কেমন খট্‌খট্‌ করে উঠল। ছোটোবেলা থেকে রবীন্দ্রসঙ্গীত যেমনভাবে শুনে এসেছি, এ তো তেমন নয়! এ যেন খুব পেঁয়াজ রসুন মাটন দিয়ে গরগরে করে সত্যনারায়ণের ভোগ রান্না হয়েছে। গানের সুর ঠিক আছে, কিন্তু সেই শুদ্ধতাটা উধাও। অত্যধিক চড়া মাত্রায় ইকুয়ালাইজার, চড়া মাত্রার আবহ, গানটাকে যেন খুন করছে। এমন অনুভূতি আমার হত কেবল ছোটোবেলায় যখন কিশোরকুমার আর আশা ভোঁসলের গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতাম। কিন্তু তখন ছোটো ছিলাম, তফাৎটা বুঝতে পারতাম না।

    সেই ক্লাস টেনে উঠে বুঝলাম, মানে, কিছুটা যেন অনুভব করলাম। এই বুড়োর গানে শুধু সুরটা বা কথাটাই শেষ কথা নয়, আরো কিছু আছে, যা ঠিক বোঝা যায় না, বোঝানো যায় না। ভালোলাগার সেই শুরু।

    একটা জিনিস এতদিনে বুঝেছি, আলাদা করে রবীন্দ্রনাথের গান ভালো বা খারাপ হয় না, ভালো লাগা বা খারাপ লাগা ব্যাপারটা তৈরি হয় তার রিপ্রেজেন্টেশনের ওপর। যার কান আছে, সে ঠিক বুঝে নেবে কোনটা ভালো, কোনটা খারাপ। তার জন্য লাঠালাঠির জাস্ট কোনও দরকার নেই। এক্সপেরিমেন্ট যেমন চলছে চলুক। লোকে নিলে নেবে, না নিলে না-নেবে। কারুর জন্য কিছু আটকে থাকে না।

    আমার ব্যক্তিগতভাবে উল্লাল্লা পাগলা হাওয়া অতি ধুর লেগেছে, সেম উইথ অজয় চক্কোত্তির রবিগান। কিন্তু ঝিংকুচিকুর নদী আপনবেগে ভালো লেগেছিল। শান্তিদেব ঘোষ পোষায় না, পীযুষকান্তি অতি অসহ্য লাগে, সুমনের গলায় কিছু কিছু গান খুব সুন্দর লাগে, অন্ততপক্ষে বঁধূ মিছে রাগ কোরো না বেশ সুন্দর লাগে। মোহন সিং অল্প অল্প ভালো লাগে, তার থেকেও ভালো লেগেছে বিক্রম সিং। অন্য লোকের ভালো লাগা অন্যরকম হতেই পারে, কিন্তু তাই বলে সুমন বেস্ট আর পীযুষকান্তি বাল, এমন কথা বলারও আমি কেউ নই। অনেকেরই কিশোরকুমারের রবীন্দ্রসঙ্গীত ভালো লাগে, অনেকের শান্তিদেব ঘোষও ভালো লাগে। তো লাগে! কী করা যাবে!

    আর বুড়োর গান অন্য সুরে এক্সপেরিমেন্ট? আমি রুখে দাঁড়াবো না, কেউ করতে চাইলে করুক, আপত্তি নাই, তবে সে যে ছড়িয়ে লাট করবে সে আমি লিখে দিতে পারি। বুড়োকে নিয়ে অত সেন্টিমেন্টাল হবারও কিছু নেই। কেউ যদি এখন ধরো, মধুমালতী ডাকে আয়, ঘুম ঘুম চাঁদ ঝিকিমিকি তারা, কিংবা এই রাত তোমার আমার, এই পথ যদি না শেষ হয়, এইসব গানকে অন্য সুরে গাইবার চেষ্টা করে, তবে সেটা হস্টেলের র‌্যাগিংই হবে মাত্র, গানের ভুবনে কোনও মাইলফলক হবে না। এই নিয়ে অত দাপাদাপি করর কিস্যু নেই। যে যেমন পারে করুর। শ্রোতা সনঝদার। সে ঠিক বুঝে নেবে, কোনটা চলার, কোনটা চলার নয়। আজ ২০১০ সালেও কলকাতার বইবাজারে সম্ভবত বেস্টসেলার রবীন্দ্রনাথই। কোথাও পড়েছিলাম। সোর্স জানা নেই।
  • Tim | 71.62.121.158 | ১২ মে ২০১০ ১০:২৫448757
  • লাগেই তো। আমরা ZIনতি পারিনা, এইযা।
    পষ্ট করে কই, উল্লাল্লা জিনিসটা ভালোই, তবে ঐ গানে ঐ কেরদানি ভাল্লাগেনি। বিখ্যাত কোন পেইন্টিং এ দুয়েকটা তুলির আঁচড় দিয়ে বাহবা কুড়োনোর মত লেগেছে।

    কিন্তু এতে করে কারুর কারুর রবিগানের প্রতি বাড়তি ভালোলাগা জন্মালে সে তো ভালোই। যে যার মত থাকুক।
  • san | 203.91.201.56 | ১২ মে ২০১০ ১০:২৬448758
  • লোকের মনে কত রাগই না জমে থাকে :-))))))))
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১২ মে ২০১০ ১০:২৮448759
  • পেইন্টিং-এর উদা-টা ব্যাপক।

    উল্লাল্লা ভালো লাগানোর টেনিং কোতায় দেওয়া হয়? নিয়ে রাখি - টেনিং কাজে আসলে মন্দ কি - লোকে দাদু বলবে না, আর কাজে না আসলে তো আরোই ভালো;-)
  • Samik | 122.162.75.216 | ১২ মে ২০১০ ১০:৩০448250
  • অজ্জিত, উল্লাল্লা ভালো লাগার বয়েস তুমি-আমি পেরিয়ে এসেছি, টেনিং নিয়াও কিসু অইবো না। যাদের টার্গেট করে ঐ গানের আবহ কম্পোজ করা, তাদের জিগাও গিয়া ...
  • a x | 99.188.84.146 | ১২ মে ২০১০ ১০:৩৬448251
  • সব কনজার্ভেটিভগুলান আলমারি থেকে বাইর হয়ে আসছে।
  • Samik | 122.162.75.216 | ১২ মে ২০১০ ১০:৩৭448252
  • আজকাল কারেও বিশ্বাস হয় না। দেফু সব বিশ্বাস নষ্ট করে দিয়েছে। এইটা অক্ষই তো? অক্ষ, তুমি কারে গাল দিলা? :-)
  • a x | 99.188.84.146 | ১২ মে ২০১০ ১০:৪০448253
  • বিশ্বাস তো এই টইয়ে খালি জর্জমামা।
  • san | 203.91.201.56 | ১২ মে ২০১০ ১০:৪১448254
  • না শমীক তোমার থেকে বেশি বয়সের অনেকেরও ভালো লেগেছে ওটার মিউজিক অ্যারেঞ্জমেন্ট। বয়সের ব্যাপার না। জাস্ট ভিন্নরুচি। সে তো হতেই পারে। অ্যাজ লং অ্যাজ এ ওর রুচিকে নিম্নরুচি বলে প্রমাণ করতে ব্যস্ত না হয়ে পড়ে , যার ভাল লাগে আর যার লাগেনা তাদের কারোরই জ্বলার কোন কারণ দেখি না।

    সমস্যা হল কিছু লোকের ধারণা তারা পাবলিক রুচির ঠ্যাকা নিয়ে রেখেছেন। তারা অবশ্যই কিছু খিল্লি ডিজার্ভ করেন বলে আমি মনে করি। মাইরি, আমি সঙ্গীসাথী নিয়ে নেচে কলরব করে রকের তালে রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনব না একা অন্ধকার ঘরে বাইরে বৃষ্টি চলাকালীন শুনব, তাতে বাইরের লোকের কি? আর বাইরের লোক তো ছেড়েই দাও ইভন রবীন্দ্রনাথেরই বা কি?;-) অনর্থক গার্জেনগিরি কারো থেকেই অভিপ্রেত নয়।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১২ মে ২০১০ ১০:৪২448255
  • কন্টিন্যুয়িং এডুকেশন। শেখার কোনো বয়স নাই ইত্যাদি...

    আরে টেনিং-এ কাজ না দিলে তো ভালোই - খিস্তির ডিগ্রীটা কত উঁচুতে নিয়ে যাওয়া যাবে...

    ;-)
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১২ মে ২০১০ ১০:৪৩448256
  • সে তো উল্টোটাও বলা যায় - যে অনেকে স্বাধীনতার ঠেকাও নিয়ে রেখেছেন। উল্লাল্লা বাজে বল্লে দাদু বলাও একই জিনিস।
  • san | 203.91.201.56 | ১২ মে ২০১০ ১০:৪৭448258
  • 'উল্লালা বাজে' কিম্বা 'অরিজিত একটু পুরনোপন্থী' এইগুলো তো জাস্ট মতামত। উচিত অনুচিতের সার্মন এখানে কোথায়?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১২ মে ২০১০ ১০:৪৭448257
  • তবে আমার সের'ম ক্যালি থাকলে আমি অন্য সুরের এক্ষপেরিমেন্ট করে দেখতুম। সিরিয়াস এক্ষপেরিমেন্ট। কলেজের খিল্লি নয়।
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১২ মে ২০১০ ১০:৫০448259
  • সার্মন কে দিলো? ব্যান করতে তো কই নাই। শুধু ওই পেইন্টিং-এর কথাটা এট্টু জোরে বলেছি।
  • Samik | 122.162.75.216 | ১২ মে ২০১০ ১০:৫৫448261
  • আমার বিয়ের পর পার্টি দিলাম ভুবনেশ্বরে, ইনফোসিসের বন্ধুদের জন্য। এক পাব্লিক ছিল, আমার থেকে খানিক সিনিয়র। এই অরিজিতের বয়েসী ... ছেলেটা তেমন কিছু রাবীন্দ্রিক ছিল না, ওয়েস্টার্ন রক পপ শোনা পাব্লিক। সে আমাকে বিয়েতে উপহার দিয়েছিল কণিকার একটা চার ক্যাসেটের সেট, চয়নিকা, আর একটা লোকগীতির চার ক্যাসেটের সেট। আমি তার এই উপহারে বেশ অবাক হয়েছিলাম, রবীন্দ্রসঙ্গীত বা লোকগীতির ধারে কাছে তাকে ঘেঁষতে দেখি নি কখনো, তো সে তখন বলেছিল, আর যা যতরকমের গান শুনি-না কেন, রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যাপারে আমি ঘোষিতভাবে পিউরিটান। :-)
  • san | 203.91.201.56 | ১২ মে ২০১০ ১০:৫৬448262
  • হ্যাঁ সেটাই তো বলছি। 'উল্লালা বাজে' বলাটা সার্মন নয়। কোন গান আমার কিভাবে শোনা উচিত সেবিষয়ে বাইরের লোকের চাট্টি জ্ঞান দেওয়াকে সার্মন ছাড়া কি বলা যায়?

  • PT | 203.110.246.230 | ১২ মে ২০১০ ১১:২৩448263
  • তক্কটা জমেছে বেশ, তবে সাধারন ভাবে গান শুনে মুড়ি আর মিছরির তফাৎ করতে পারার বিদ্যাটা রপ্ত করতে হয়। রবি ঠাকুরের গানের ক্ষেত্রে এই "শেখাটা" খুব জরুরী। -- ""মেঘ ছেঁড়া আলো এসে, পড়েছিল কাল কেশে""-জাতীয় শব্দ-বিন্যাসে সুর/তাল লাগানো যার তার কম্ম নয়।
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ১২ মে ২০১০ ১১:২৯448264
  • কে কোন গান কিভাবে শুনবে সে তো ১০০ বার প্রত্যেকের personal ব্যাপার। সেটা নিয়ে জ্ঞান কেউই দিতে যাবে না। কালকে যে রকম অবান্তর জায়গায় চলে গেছিল কথাবার্তা এবং হাস্যকর মন্তব্য উঠে আসছিল সেটা বন্ধ করতেই 'শান্ত মনের' অবতারণা। সে আপনি যদি partyতে মাল খেয়ে উদ্দাম নাচতে নাচতে 'অনন্তসাগরমাঝে দাও তরী ভাসাইয়া' শুনতে চান কার তাতে কি? সেটা করতে পারলে তো বড় credit তার।

    আচ্ছা 'ক' মানে কি?
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১২ মে ২০১০ ১১:৩০448265
  • "ক' মানে "একদম একমত' বা ডিট্টো
  • rabaahuta | 203.99.212.53 | ১২ মে ২০১০ ১১:৩৩448267
  • শান্তিদেব ঘোষকে খারাপ বললে
    কাইট্যা ফালামু কইয়া দিলাম
  • Kartuj | 125.20.3.146 | ১২ মে ২০১০ ১১:৩৩448266
  • আচ্ছা। নিশ্চিন্ত হওয়া গেল। কে যেন আমার সাথে 'ক' দিয়েছিল। ভাবছিলাম কি বলে আবার কার চক্ষুশূল হলুম কে জানে।
  • rabaahuta | 203.99.212.53 | ১২ মে ২০১০ ১১:৩৫448268
  • আমি সবাইকে তালব্য শ দিলাম :P
  • Arijit | 61.95.144.122 | ১২ মে ২০১০ ১১:৩৬448269
  • "আবহ' নিয়ে কতটা কাজ হয় জানি না, তবে ওইটা একটা ভালো কাজের জায়গা। শুনেছি দাদু নাকি হারমোনিয়াম ছাড়া আর কোনো যন্ত্রের ব্যবহার পছন্দ করতেন না (এটা কেউ কনফার্ম করবে)। কিন্তু এই উল্লাল্লাতেও একটা জিনিসই শুনে মন্দ লাগেনি - সেটা হল একটা উদ্দাম হাওয়ার আবহ মাঝে মাঝে এনেছে। কিন্তু ওই উল্লাল্লার সিগনিফিক্যান্স মাথায় ঢোকেনি। এর জন্যে সাউন্ড এফেক্টের দরকার নাও পড়তে পারে - হয়তো বাজনা দিয়েও করা যায়।

    যেমন এক্ষুনি মৌভৌ-এর একটা গান মনে আসছে - প্রথম অ্যালবামে - শেষ লাইনটা ছিলো "তারপর বৃষ্টি নামে...' - লাইনটা শেষ হওয়ার পর জলতরঙ্গ বা ওই ধরণের কোনো ইনস্ট্রুমেন্ট দিয়ে এমন একটা শব্দ তৈরী করা হয়েছিলো যেটা শুনে ঠিক বৃষ্টির মিউজিক্যাল আওয়াজই মনে হত...
  • san | 203.91.201.56 | ১২ মে ২০১০ ১১:৩৭448270
  • কার তালব্য শ? বেড়ালের?
  • rabaahuta | 203.99.212.53 | ১২ মে ২০১০ ১১:৪৩448272
  • 8-)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন