অনেকে মনে করেন, এই যে বিচিত্র জটিল জীবদেহ এবং তার মধ্যে প্রাণ ও মনের খেলা, এ নাকি কোনও সর্বজ্ঞ ইঞ্জিনীয়ার বেশ পরিকল্পনা করে গুছিয়ে না বানালে নিজে থেকে কিছুতেই হতে পারত না । অতএব, বিবর্তন তত্ত্ব-টত্ত্ব সব ফেল, আসলে ভেতরে ভেতরে সবই ‘তাঁর’ লীলা ! চলুন তবে, একটু ঘেঁটেঘুঁটে দেখি কেসটা । ... ...
পোস্ট মডার্ণ বা উত্তর আধুনিককে বিদ্বজ্জনেরা সংক্ষেপে পোমো বলে থাকেন। অর্থাৎ পোমো কবিতা হল উত্তর আধুনিক কবিতা। সাহিত্যে, বিশেষতঃ বাংলা সাহিত্যে এই কবিতার এক অসামান্য অবদান রয়েছে – সেই নিয়েই আমাদের আজকের বিদগ্ধ আলোচনা। যারা বুদ্ধিজীবি নন বা এখনো সম্পূর্ণ হয়ে উঠতে পারেন নি – তারা এই আলোচনাকে এড়িয়ে যাবেন না – আপনাদের কিঞ্চিৎ জ্ঞানবৃদ্ধি না করতে পারলে আর এত বুদ্ধি নিয়ে করবটা কি বলুন – আজকাল আর কিডনিতেও ধরে না যে। অনেকে ভাবেন যেমন তেমন অর্থহীন কিছু পংক্তি লিখে গেলেই বোধ হয় পোমো কবিতা হয়ে যায় ... ...
কাল একটা নাম প্রকাশ হতেই রে রে করে তেড়ে এসেছিল কিছু চাড্ডি, সে আসবেই জানা কথা। কেউ কেউ তো প্রমাণ না দিয়ে লিখেছি বলে পুলিশ টুলিশের ভয়ও দেখালো। তা সে দেখাক গে। কি আর করা যাবে। ধরে ফরে নিয়ে গেলে কদিন বিনি পয়সায় লপসি খাওয়া যাবে। কিন্তু একটা প্রশ্ন, নাম ভুল, নামের মধ্যে আমরা হিন্দুত্ব খোঁজার চেষ্টা করছি সেসব মেনে নিলাম। কিন্তু প্রশ্নটা হলো ঠিক নির্বাচনের পরপরই দিল্লির এই দাঙ্গা কেনো? আর দাঙ্গাই যদি হলো তাহলে বেছে বেছে ইস্ট দিল্লিতে কেনো? ইস্ট দিল্লির চেয়ে অনেক বেশি মুসলমান দিল্লির অন্যান্য অংশে আছে, সবচেয়ে বড়ো কথা শাহিনবাগেও হতে পারত দাঙ্গা, কিন্তু না হলো ইস্ট দিল্লিতেই। স্বভাবতই প্রশ্ন ওঠে, ভোট পরপরই দাঙ্গা কেন? দাঙ্গার কারণ আদৌ দিল্লি তো, দাঙ্গার মোড়কে আসল লক্ষ্যটা পশ্চিমবঙ্গ নয়ত? একটু খতিয়ে দেখা যাক না হয়। ... ...
সম্প্রতি ইসকন ও রামকৃষ্ণ মিশনের মধ্যে কাজিয়া তুঙ্গে উঠেছে। সেই প্রেক্ষিতেই বিকৃত ইতিহাসের সুলুকসন্ধান করা... ... ...
ভণিতা করার বিশেষ সময় নেই আজ্ঞে। যা হওয়ার ছিল, হয়ে গেছে আর তারপর যা হওয়ার ছিল সেটাও শুরু হয়ে গেছে। কাজেই সোজা আসল কথায় ঢুকে যাওয়াই ভালো। ভোটের রেজাল্টের দিন সকালে একজন আমাকে বললো "আজ একটু সাবধানে থেকো"। আমি বললাম, "কেন? কেউ আমায় ক্যালাবে বলেছে নাকি"? সে বললো, " না, বলা তো যায় না আজ কে কাকে ক্যালাবে... তাই..." এইবার কথা হচ্ছে, ফাটা দু'রকমের হয়। এক হলো ভয়ে ফেটে যাওয়া, আর দুই, প্রকৃত অর্থেই ফাটা, অর্থাৎ যখন কিনা চচ্চড় করে শব্দ বেরোয়। প্রথমে আমরা দ্বিতীয় রকমের ফাটার কথা ... ...
এই মরশুমের অন্য খেলাটি কৌতুহলোদ্দীপক। আফগানিস্তানের অর্থনীতি চলে আফিম, ফল ও বন্দুকের কুটির শিল্পের উপর। ফল ছাড়া দুটি পণ্যই আন্তর্জাতিক বাজারে বেআইনী। কিন্তু কিন্তু কিন্তু - আজারবাইজানের তেল করাচীর বন্দরে আনতে গেলে আফগানিস্তানের জমিনে কব্জা লাগবে। চীন-পাকিস্তান সেই কারনেই তালিবানের পাশে। করাচী থেকে রাস্তা তৈরীর কাজ বহুকাল ধরে চীন চালাচ্ছে। এই সাফল্য যতটা তালিবানেদের তার চেয়ে বেশী চীনের। ... ...
একটি জাতি প্রায় সমষ্টিগতভাবে রেসিস্ট। রাজনৈতিক শুদ্ধতার বাইরে থেকে চাপানো কৃত্রিম জ্ঞান দিয়ে ফেসবুকে সচেতনতার সাময়িক পলেস্তারা নির্মিত পোস্ট রচনা করা যায়, রেসিস্ট মানসিকতার আগাছা তাতে নির্মূল হয়না। তাই এভাবেই মাঝে মাঝে পলেস্তারা খসে বেরিয়ে আসে রেসিজমের বয়ান, রেটরিক, ভাষা। সে ভাষায় সাহিত্য করে পুরস্কার লাভ হতে পারে, নিজেকে আ্যক্টিভিস্ট বা বামপন্থি বলে আত্মপ্রচার করা যেতে পারে, কিন্তু মানুষসভ্যতায় বিশ্ব-শিল্প-সাহিত্যে বা জাতিগতভাবে কোন সংযোজন সম্ভব হয়না। ... ...
মনে করুন, আপনি জানতে চাইলেন, যুক্তিবাদ জিনিসটা ঠিক কী এবং কখন কোথা থেকে কীভাবে তা এল, এইসব ব্যাপারস্যাপার নিয়ে পড়াশোনা কীভাবে শুরু করা যায় । এ সব নিয়ে ভাল ভাল প্রবন্ধ আর বই তো বিস্তর আছে, অন্তত ইংরিজি ভাষায়, এবং বাংলাতেও হয়ত বা ছিটেফোঁটা কিছু, তার মধ্যে কোথা থেকে শুরু করবেন, আর কোনদিকে কতদূরই বা হাঁটবেন? মনে করুন, আপনি গ্রন্থের অরণ্যে হারাতে চাইছেন না, ভয়ঙ্কর পণ্ডিতিও চাইছেন না, আবার একেবারে হালকাপলকা খেলো কথাবার্তাও চাইছেন না । যেন বেশ সিরিয়াস, গুরুত্বপূর্ণ ধরনের কিছু কথাবার্তা পড়ে ফেলা যায়, অথচ পড়বার শ্রমটি যাতে পাহাড়ের মত সামনে দাঁড়িয়ে নতুন বোধপ্রাপ্তির আনন্দটুকুকে আড়াল না করতে পারে, এইটুকু চাইছেন । ... ...
সমান নাগরিক সংহিতাঃ বিতর্ক হোক নান্দীমুখগত ৯ ডিসেম্বর, ২০ ... ...
১। ভারতে কোনো সাধারণ ভাষা বা সাধারণ জাতীয়তা নেই। ব্রিটিশ শাসনের চাপে একটা বহির্মুখী ঐক্য গড়ে উঠেছে, কিন্তু তার ভিতরে যা সাংস্কৃতিক মিল, তা ইউরোপের বা মধ্যপ্রাচ্যের নানা জাতির মধ্যের মিলের চেয়ে বেশি কিছু না। ফলে ভারতবর্ষকে একটা জাতি হিসেবে ভাবা যাবেনা। ২। ভারতবর্ষের সুনির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠীগুলোর একটা তালিকা করেন তিনি। পূর্বে বাঙালি, ওড়িয়া, অসমীয়া। পশ্চিমে গুজরাতি, মারাঠি। দক্ষিণে চারটি - তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালি। এবং খুবই কৌতুহলোদ্দীপক, পাঞ্জাবি এবং হিন্দুস্তানিদের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, যে, এদের জাতিনির্মাণ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। একই তালিকায় পাহাড়ের জনজাতিরাও আসে। ৩। দেশভাগের পর, বাংলা নিয়ে আলাদা করেই গুরুত্ব দেওয়া হয়। যেহেতু বাঙালি একটা আস্ত জাতি, তাই কৃত্রিম ভাগাভাগির পরও দুই টুকরোর মিলনের পক্ষে ছিলেন দিয়াকভ। তিনি প্রায় ভবিষ্যদ্বাণী করেন, যে, কোনো সন্দেহ নেই, ভারত এবং পাকিস্তান, দুই দিকেই বাঙালি সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে রাষ্ট্রশক্তিকে। এই ভবিষ্যদ্বাণী, বলাবাহুল্য সত্য হয়েছে। নকশালবাড়ি, মুক্তিযুদ্ধ, উদ্বাস্তু, এনআরসি, সব মিলিয়ে বাঙালি সমস্যা এবং বাঙালি ট্র্যাজেডি চলেছে, চলেছে রক্তগঙ্গাও। ... ...
প্রাচীন ভারতের সাহিত্যের সবকিছুই কি সংস্কৃত ভাষায় রচিত? বেদের ভাষা বৈদিক আর কালিদাসের মেঘদূত এর ভাষা সংস্কৃত। বুদ্ধদেব উপদেশ দিতেন পালি ভাষায়। বৈদিক, সংস্কৃত, পালি এগুলির মধ্যে সম্পর্ক কী? পার্থক্যই বা কী? ... ...
দাঙ্গাশ্রান্ত ভারতে বসন্ত এসে গেছে। চাঁদের নিজের কোন আলো নাই বলিয়া তাহার হসন্ত উড়ে গেছে। চারিদিক কড়া ও কনফিউজড রোদ্দুর। জবানিতে। জবানি ছাড়িয়ে শরীরে। উদ্ভিন্ন যৌবনা মেয়েদের পিঠে। এভাবে শুরু হতেই পারত। কিন্তু প্রভূত ফেসবুকীয় আভালানসের পর কিন্তু শুরুতেই প্রশ্ন এসে যাচ্ছে। এলিট নয়, মজুর নয় এমন কে বা কারা সমাজকে মাঝের আঙুল দেখাতে চেয়েছে। গেল গেল, ধর ধর তো হবেই। হোকনা তারা রেবেল উইদাউট আ কজ। না বুঝে করেছে। কাউন্টার কালচার জানেনা। আ্যন্ডি ওয়রহোল দেখে উজ্জিবীত হয়নি কখনও। ফেমিনিজম মেনে পরিকল্পনা করেনি। হয়ত, ডেঁপো। ঈষৎ পেছনপাকা। নেহাত-ই ফক্কর। কথা হচ্ছে, আপনি যাই বলুন ঘটনা কিন্তু ঘটে গেছে। এখন যতই তর্জনী তুলুন, মাঝের আঙুলটা তারা এই বঙ-সমাজকে সপাট দেখিয়ে দিয়েছে। ... ...
অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্র একবার ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণায় লিখেছিলেন, যে, দিল্লির যোজনা কমিশনের সহসচিবকে তিনি বলেছিলেন, কলকাতা থেকে দিল্লি এলে তাঁর মনে হয়, গ্রাম থেকে শহরে এলেন। অস্যার্থঃ পশ্চিমবঙ্গ থেকে সম্পদ চুষে নিয়েই দিল্লি এবং পশ্চিমাঞ্চলের রমরমা। অশোক মিত্রের বর্ণনা অনুযায়ী সে বছর যোজনা কমিশনের অবশেষে পশ্চিমবঙ্গকে তার যথাযথ ভাগ দিতে সুপারিশ করে। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রধানমন্ত্রী সেই সুপারিশ খারিজ করেন। এ কোনো রাজনৈতিক স্লোগান বা লাইন নয়, কিন্তু মূল ন্যারেটিভটি ছিল এইরকমই। যা লোকে বিশ্বাস করত। ... ...
আমাদের বাড়িতে ছোটবেলায় ঠাকুমার এক বন্ধু, পাড়ারই এক বয়স্ক মহিলা, আসতেন। ঠাকুমা তাকে 'মেজদি' বলে ডাকতেন। আর আমরা সকলে, মানে ছোটরা, তাকে 'বিবিধ ভারতী' অথবা 'বিবিসি' বলতাম। সামনে না অবশ্য, পিছনেই। তিনি প্রায় প্রতিদিনই বিকেলবেলা, পাড়ার সকলের বাড়িতে যেতেন। প্রত্যেক বাড়ির জন্যেই তার বিকেল আর সন্ধ্যার খানিকটা সময় বরাদ্দ করে রাখতেন। আসতেন, চা খেতেন, গল্প করতেন, এক সময়ে চলে যেতেন। খালি হাতে ফিরতেন না। যাবার সময় তাঁর ঝুলিতে জমা পরতো একরাশ 'খবর'। ... ...
সংখ্যাগুলো সবই কোটি টাকার অঙ্কে। আর কোম্পানিগুলোও খুবই বিখ্যাত। ১। ফিউচার গেমিং অ্যান্ড হোটেল সার্ভিসেস। কোম্পানিটি চালান লটারিসম্রাট সান্তিয়াগো মার্তিন। বহু বছর ধরে ইডি-সিবিআই এর নজরে আছেন, রেডও হয়েছে অনেকবার। কিন্তু ইডি সবাইকে ধরেনা। তার জন্য মূল্য চোকাতে হয় নিশ্চয়ই। কোম্পানি দিয়েছে ১৩০০ কোটি টাকারও বেশি। কোন দেবতার পায়ে গেছে, আন্দাজ করার জন্য কোনো পুরস্কার নেই। ২। মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং। তেলেঙ্গনার দুই রেড্ডির কোম্পানি। ২০১৯ এ আয়কর হানা হয়েছিল আপিসে। ক্যাগ রিপোর্টেও এদেরকে হাজার পাঁচেক কোটি টাকা অতিরিক্ত পাইয়ে দেওয়া হয়েছে সরকারের দিক থেকে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। তদন্ত কোথাও এগিয়েছে বলে খবর নেই। অভিযোগ বড়, মূল্যও বড়। ... ...
হিন্দু শব্দটার উৎস নিয়ে একটা সংশয় অনেকের দেখতে পাই। এটা নিয়ে আলোকপাত করছি। শব্দটির অস্তিত্ব সুলতানী আমলের আগে ছিল কিনা সেই নিয়ে অনেকের সংশয় দেখা যায়। প্রথমেই বলি, এই লেখার উদ্দেশ্য হিন্দু ধর্মের উৎপত্তি খোঁজা নয়, বরং হিন্দু শব্দটার ব্যুৎপত্তি খোঁজা। ... ...
মিছিমিছি খেলা বোধহয় আমাদের সবারই ছিল। ছোটবেলায়।এই যেমন দরজার কড়া আর হুড়োকোতে টিউবওয়েলের মত ঘ্টাং ঘটাঁ করে জল বের করে কলসীতে জল ভরা, সেই কলসী কাঁখে নিয়ে, কত উঃ আঃ করে চলাফেরা করে রান্নাঘরে এনে তার থেকে গড়িয়ে বাড়ির সবাইকে জল দেওয়া, প্লাস্টিকের সবুজ স্টোভটাতে চা বসানো, প্লাস্টিকের লাল কাপ প্লেটে সবাইকে সেই চা দেওয়া, মা, বাবা , দাদা। ঠাকুমা, পিসি, মাসি, কাকা , মামারা এলে আবার প্লেট শর্ট পড়লে মেল থেকে কেনা কাঠের কাপের সেটটাও উদ্বোধন ক'রে ফেলা। সকালে আপিস যাবার অগে রান্না ... ...
এই লৌহস্তম্ভ রয়েছে দিল্লীর কুতুব কমপ্লেক্সে। বর্তমানে বললাম এই জন্যই যে, এই স্তম্ভ দিল্লীতে চিরকাল ছিল না। মালটা প্রথমে কোথায় ছিল সেটা নিয়েও বিতর্ক আছে - তবে মোটামুটি সব বিজ্ঞরা আজকাল এই সিদ্ধান্তে এসে পোঁছেছেন যে, এই স্তম্ভ প্রথমে খাড়া করা হয়েছিল বর্তমান উদয়গিরি-তে, ওই ৪০০-৪৫০ খ্রীষ্টাব্দ নাগাদ। তারপর সেখান থেকে দিল্লীতে আসে। যদি ধরে নেওয়া হয় যে এই স্তম্ভ সত্যিই ১৬০০ বছরের পুরানো, তাহলে বছরের হিসাবে দেখতে গেলে দিল্লীতে এর ঠাঁই শেষ আটশো বছরের মত। কিন্তু লৌহস্তম্ভটি ক্ষয়ে যাচ্ছে না কেন? যেখানে আমাদের বারান্দার গ্রীল বছর চারেক রঙ করে মেনটেন না করলে ক্ষয়ে গিয়ে দফারফা, সেখানে আজ প্রায় ১৬০০ বছর ধরে এই লৌহ স্তম্ভ কি ভাবে না ক্ষয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে! এর পিছনের রহস্য কি? কোন বিশেষ ধরণের লোহার ব্যাবহার, নাকি বানানোর বিশেষত্ব, নাকি মৃদু আবহাওয়ার প্রকোপ? ... ...
প্রাচীন কাল থেকে নৃত্য ভারতীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্য। ... ...
নন্দীগ্রামে কী হয়েছিল, সবাই জানি। কেন হয়েছিল, সেটা আমার কাছে আজও পরিষ্কার নয়। অধিকারীদের খাস তালুকে সিপিএমের হার্মাদ বাহিনী এতবড় তাণ্ডব চালিয়েছিল কোন মোটিভে? জমি দখল? অথচ তার আগেই সরকারী ঘোষণা হয়ে গেছে যে নন্দীগ্রামে কেমিকাল হাব হচ্ছে না, সেজ হচ্ছে না? লক্ষণ- শিশিরের যুদ্ধ? ওইরকম সময়ে, যখন গোটা বাংলা সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের দিকে তাকিয়ে টানটান বসে আছে? আমার অঙ্ক মিলছে না। এটা রাজনৈতিক হারাকিরি, সেটা বোঝার জন্য থিঙ্ক ট্যাঙ্ক লাগার কথা নয়। কিছুই পাবার ছিল না, হারাবার ছিল অনেক (যদি সবটা তখনো না বোঝাও গিয়ে থাকে) - তবুও এই কাণ্ড? এই স্কেলে? ... ...