হলুদ ফুল ছিলো চোখের পাতা ছুঁয়ে শহরও আলোময় পাপে ও উত্তাপে সে ছিলো মধুমাস, মেলাতে কত লোক কেনো যে স্মৃতিরতি, কেনো যে নীরবতা কেনো যে মনে পড়ে, পাথুরে অবকাশে ... ...
আমরা দেশের বাড়ি যেতুম ২৯ শের রোজায়। সন্ধ্যায় চাঁদ দেখা গেলে পরদিন ঈদ নয়ত আর একদিন মানে তিরিশটি রোজা সম্পূর্ণ করে ঈদ পালন। তখন আর চাঁদ দেখার ঝামেলা নেই। হাদিস মোতাবেক তিরিশটি রোজা হয়ে গেলে অবশ্যই পরদিন ঈদ। এখন যেমন,"যাহ! সৌদিতে আগে ঈদ হয়ে গেল। আমাদের হল না কেন?” বলে বিভিন্ন বিতণ্ডার শুরু তখন সেসব কেউ ভাবতও না। চাঁদ দেখা গেলে ঈদ হবে সেই অঞ্চলে নয়ত রেডিওয় কান পেতে থাকতেন মুরুব্বিরা- নাখোদা মসজিদের ইমামসাহেব যা ঘোষণা করবেন মেনে নিতেন সবাই। ... ...
“বেলুন ছাড়া মানে?” অন্য কিছু খেলনা টেলনা দিয়ে ডাকে নাকি কচি মেয়েগুলোকে? মুখ দিয়ে অবশ্য এত কথা বেরল না। ঘেন্নায় মুখটা তেঁতো তেঁতো লাগে মল্লিকার। অনিমা এবারে একটু বিরক্তিতে ঝাঁঝি দিয়ে উঠল। শ্লেষে মুখ বেঁকিয়ে বলল, “নেকি নাকি রে এটা! বেলুন মানে কনডুম তাও জানো না? ওগুলোর তো মাসকে হয়নি না, তাই কনডুম ছাড়াই দে দনাদন।” শরীরে ঢেউ তুলে দুলে দুলে হাসে। মল্লিকা এবার অনিমার দিকে পিছন ফিরে বসল, গোটা গা জ্বলছে ওর রাগে। মনে হচ্ছে ঠাস করে একটা চড় বসিয়ে দেয় অনিমার গালে। অনিমা নিজেও তো একটা মেয়েই। কিন্তু এখন ওর চোখে মুখে যেন রেপিস্টের তৃপ্তি। খুব মজা পাচ্ছে। মল্লিকার চোখ মুখ দেখে ওর রাগ হয়েছে বুঝতে পারে অনিমা। একটু সরে বসে তুতলে বলে, "পয়সা দেয়, পয়সা দেয় তো কাজ করিয়ে। অনেক সময় বাপমায়ে মেয়েগুলোকে ভিড়িয়ে দিয়ে ভালোই মাল্লু বুঝে নেয়। আমাদের মত গায়ে খেটে আর ক’টাকাই বা হয়?" এবার রাগের থেকেও বেশি ঘেন্না করে মল্লিকার। অনিমার মনটাই হয়তো এরকমই। দয়ামায়াহীন। না হলে ওই ছোট ছোট মেয়েগুলোর যন্ত্রণা নিয়ে অমন মজা করতে পারে? মজাও কি বলা যায় একে নাকি মনের রোগ? ... ...
থাইল্যান্ডে দোল নেই। কিন্তু নববর্ষের দিনে আছে জল ছোঁড়াছুঁড়ির খেলা। এপ্রিল মাসে বেজায় গরম। লাওস কামবোদিয়া থাইল্যান্ডের পথে ঘাটে সেদিন জল আক্রমণের ধুম পড়ে যায়; মারো পিচকারি! সেটা ছবিতে মাত্র দেখেছি। আমাদের এই মন্দিরে তার একটা ছোটো এডিশন আছে – এক ভিক্ষু ঝ্যাঁটা দিয়ে সবার মাথায় জল ছড়িয়ে দেন। দুঃখের বিষয় যে থাইল্যান্ড বা লাওসের স্টাইলে আমরা তাঁকে জল কামান দিয়ে আক্রমণ করতে বা তাঁকে পাল্টা ঝাপটা মারতে পারি না! নববর্ষের পরবের অন্য রিচুয়ালগুলি মোটামুটি অনুসরণ করা হয়ে থাকে ন্যাপহিলের অনুষ্ঠানে - যেমন প্রার্থনার পরে ভিক্ষুদের খাদ্য দ্রব্য দান। সকলে আনেন কিছু না কিছু, সার দিয়ে বসে থাকেন দানের জন্য, ভিক্ষু সেটি গ্রহণ করলে পরেই স্থান ত্যাগ করতে পারেন। অল্প বয়েসি ছেলে মেয়েরা বয়স্ক নারী ও পুরুষের পা ধুইয়ে দেন, পিতা মাতার গুরুজনের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতীক সেটি। পুণ্য অর্জনের আরেকটি পন্থা - বুদ্ধ মন্দির বা স্তূপ নির্মাণে শ্রমদান। মাঠের মধ্যে বালি দিয়ে তৈরি স্তূপ মন্দির আছে, দূরে এক কোনায় রাখা বালির পাহাড়; সেখান থেকে পাত্র ভরে কিছুটা বালি এই নির্মীয়মাণ মন্দিরে পৌঁছে দেওয়াটা একটা সিম্বলিক সহায়তা। নববর্ষের এই দিনে নতুন জামা পরা আবশ্যিক, নিজের বা পরিবারের জন্য অর্থ ব্যয় কম,দান বেশি এবং মদ্যপান বারণ! ... ...
এগারোটার সময় মৌলিকের অফিসের শেষ ডিনার পাওয়া যায়। তারপর শুধু এককোণে কফি, কেক, স্যান্ডউইচ ইত্যাদির কাউন্টারে একজন বসে বাকি রাত ঝিমোয় আর খুচরো প্যাকেটের চানাচুর, মধু মেশানো ওট বার উগরে দেওয়া ভেন্ডিং যন্ত্রগুলোতে সারারাত কাঁচের ভেতর নীল আলো জ্বলে থাকে। কিউ আর স্ক্যান করে টাকা দিলেই প্যাঁচানো স্প্রিং ধাক্কা মেরে কাঙ্খিত প্যাকেটকে নীচে ফেলে দেয়। রাতে কাজ করা বাধ্যতামূলক নয় অথচ রাতে একজন থাকলে ভালো হয়, সমুদ্রের ওপার থেকে বারো ঘণ্টা এগিয়ে থাকা দেশ থেকে ভেসে আসা এমনই অনুরোধ। এই শিফটে কেউ রাজি হলে প্রতি রাতে অতিরিক্ত টাকা, বিনামূল্যে খাবার এবং যাওয়া আসার গাড়ি পাওয়া যায়। রাত দশটা থেকে ভোর ছটা এই শিফটটাকে দিনের বেলা অফিসের বাকি সবাই বলে গোরস্থানের সময়। ... ...
- 'মাস্টার, সালা বদ রক্তে ভরে গেল শরীলটা, চুলকানি খুব, সাদা পুঁজ জমে রোজ, গেলে দিয়ে সুখ পাই খুব...কিরিম টিরিম দে কিছু ...' বিদিগুচ্ছিরি মার্কা হাসে। রাগ করি না আজকাল, দিয়ে দিই, দিলেও লাভ হয় না। এর আগে হাজারবার দিয়েছি, নিওষ্পরিন, মারকিউড়োক্রম সব। মাখেই না ... কেউ বলে মাস্টারের দরদ বেশি, কেউ আবার ওর বুকের ছেঁড়া বোতামে আমার চোখের দোষ খোঁজে। আমি গান্ডু সারাজীবন, চোখে কাফের, আমি কি খুঁজি ... কি যে খুঁজি ...কে জানে? ... ...
সুশান্তর লাইন ছিল এগারো জনের পরে। বারো নম্বর। ও সবজি শেষ হয়ে যাচ্ছে কিনা মাঝে মধ্যে উঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করছিলো আর সবজিওয়ালার সাথে রিপিট করছিলো “আপনার পঁচাশি আর এককেজি কাঁচা আম... একশো পাঁচ”। আর শেষে একটা করে “..হুঁ” মনে হচ্ছিলো পবিত্র মন্ত্রপাঠ চলছে। ‘হর পাপং হর ক্লেশং হর শোকং হরাসুখম্ | হর রোগং হর ক্ষোভং হর মারীং হরপ্রিয়ে।‘ ওদিকে ইলেকট্রনিক ওয়েট মেশিনের সামনে ‘পুরোহিত’, এদিকে সুশান্ত। হাতে শুধু ছেঁড়া ফুলের বদলে ছেঁড়া ব্যাগ। ছুঁড়ে না দ্যায়। ... ...
অহনা হাঁটতে আরম্ভ করে দিল। সে হাঁটতে হাঁটতে পাহাড়ের খাঁজে চলে গেল। দু পাহাড় যেখানে জোড় খেয়েছে আর দুটো দেশ তৈরি হয়েছে গাছেদের। হ্যাঁ, গাছেদের আর বৃষ্টিদের। সেখানে প্রপাতের শব্দ শোনা যাচ্ছে। সেইখানে অহনাকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখব বলে বলে ভাবছি আর দেখি সে অন্য একজনের সঙ্গে কথা বলতে বলতে হাঁটা দিয়েছে। আমি অপেক্ষা করতে লাগলাম। অনেকটা পাহাড় দেখার মত এক দূরত্ব। মনে হয় কাছে কিন্তু দূরত্বটা বেশ। যত কাছে যাওয়া যায় ততো দূরত্বটা থেকে যেতে থাকে, থেকে যেতে থাক – দূরত্বটা শেষ হয় না। বোঝা যায় না পাহাড়টা দূরে, বোঝা যায় না পাহাড়টা কাছে এমন একটা অবস্থা সৃষ্টি হয়। সে রকমই হচ্ছিল। আমি বুঝতে পারছিলাম না জোরে কথা বলব না আস্তে কথা বলব। তাই দেখতে লাগলাম। প্রথমে গাছেদের এ ওর পাশে পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেছি। তারা ফুল দেয় না আর দিলেও দেখাতে চায় না যে ফুল দিয়েছে। ছোট ছোট গাছ না কিন্তু তাদের ছোট ছোট লাগে। পাশে একটা বড়ো গাছ ছিল। সেই গাছ দেখে আশ্বস্ত হয়েছি, সেখানে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। হঠাৎ দেখলাম গাছ কথা কইছে আর আওয়াজ হচ্ছে কথাদের। ... ...
ফকির ফয়জুল্লা বলতে থাকলেন, এই ফকির ফয়জুল্লা সময়ে সময়ে, স্থানে স্থানে ঘুইরা এইখানে আসছে, আর তোরা তারে বাইর কইরা দিবি? কয়দিনের জিন্দেগী তদের? কারে কী কস? সব ক'টারে একবারে খাইয়া ফেলবো! পুরা জঙ্গল যেন গম গম করছিলো ফকির ফয়জুল্লার স্বরে। উপস্থিত সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলো। তালাশ মাহমুদের দিকে তাকিয়ে ফকির ফয়জুল্লাহ বললেন, এদের নিয়া যান। কী বালের তদন্ত করেন আপনে? কোন প্রমাণে এখানে আসছেন দলবল নিয়া? প্রমাণ থাকলে আইসেন, আমি নিজেই ধরা দিব। তালাশ মাহমুদ বললেন, কিন্তু আপনে কে? এই গ্রামে কী করছেন? ফকির ফয়জুল্লা বললেন, আমি কে এইটা জানতে কি আসছেন দলবল নিয়া? আমি ফকির ফয়জুল্লা, আমি স্থানে স্থানে ঘুরি, সময় থেকে সময়ে গতান্তরিত হই। আমার কাজ শেষ হওয়ার আগে আমারে কেউ সরাইতে পারব না। এইখান থেকে দূর হন। ফকির ফয়জুল্লা উত্তরের অপেক্ষা না করে, তাদের তাচ্ছিল্য করেই ভেতরে চলে গেলেন। ... ...
অতএব পয়লা বৈশাখের ভোরবেলায় আমরা দুই মূর্তিমান ধানবাদ স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে দুটি লাল সুতোর বিড়ি ধরালাম। তারপর সমস্বরে বললাম "একলা বৈশাখ' ... ...
সংখ্যার ভিতরেও অজস্র সংখ্যারা থাকে যেন বাসাবাড়ি, বৃক্ষকোটরে অরণ্য প্রয়াস দরজা জানলা ডালপালা, ফুলফল পাতায় মানুষ বা কীটের বসবাস, যাতায়াত বারোমাস ... ...
তালাশ মাহমুদ বললেন, বেশি বুজরুকি দেখালে, আর বেশি বললেই যুক্তি শক্ত হয় না। আপনার ম্যাডামের সব কেচ্ছাকাহিনী শেষ করে দেব সামনের লেখায়। তাই সময় লাগছে। এর মধ্যে এখন আবার আরেক জরুরী কাজে যেতে হচ্ছে। সেখানে ক'দিন থাকতে হবে, পরিস্থিতি কেমন হবে, কীরকম সময় পাব জানি না। যদি সময় পাই তাহলে ওখানে বসেই লেখা শেষ করে আপনাকে পাঠিয়ে দেব। চিন্তার কিছু নেই। একশো ভাগ নিশ্চিত থাকুন, আমি জিতবই। কারণ আমার আগ্রহ সত্যে। সবুর খান বললেন, তাহলে আগে কিছু বলুন, দুয়েকটা পয়েন্ট। তালাশ মাহমুদ বিরক্ত স্বরে বললেন, কী আর বলব, এসব রেট্রোফিটিং, কিছু জেনারালাইজড অনুমান করে, তারপর যেটা মিলে ওইটারেই আপনারা সবাই মিলে সামনে আনেন। এসব চালাকি তো নতুন না। ... ...
নির্বাচনী বন্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাল্টে দিতে পারে আসন্ন নির্বাচনের গতিপথ। যদি এ সংক্রান্ত সব প্রশ্ন ও তার জবাব দেশের মানুষের কাছে পৌঁছয়, তবেই এমনটা হবে। মানুষ যদি বুঝতে পারে যে, রাজনীতিতে কালো টাকা দূর করার জন্য নয়, বরং কালো টাকা সাদা করার জন্য এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। প্রতি পদে কেন সরকার নির্বাচনী বন্ডের পরিসংখ্যান আড়াল করার চেষ্টা করেছে তা জনগণ যদি জানতে পারে। দিবালোকে এই ডাকাতির পুরো সত্য প্রকাশ পেলে এই নির্বাচনী বন্ডের এই ব্যাপক দুর্নীতির তুলনায় বোফর্স বা ২জি-এর মতো দুর্নীতির ঘটনাগুলো ছেলের হাতের মোয়ার মত তুচ্ছ মনে হবে। অনুসন্ধিৎসু সাংবাদিকরা বোফর্সে ৬৪কোটি টাকা ঘুষের অভিযোগ করেছিলেন, যা সরকার কখনওই স্বীকার করেনি এবং আদালতে প্রমাণিত হয়নি। ... ...
কাজের লোক তালাশ মাহমুদকে এসে বলল আশরাফ আলী খান তার কক্ষে গিয়ে দেখা করতে। তালাশ মাহমুদ আশরাফ আলী খানের কক্ষের সামনে গিয়ে শুনলেন ভেতরে কথা কাটাকাটি হচ্ছে। আশরাফ আলীর সাথে মুখে মুখে কথা বলছেন তার স্ত্রী গোলাপজান, আর আশরাফ আলী ধমকাচ্ছেন। এইরকম কিছু ঘটতে তালাশ মাহমুদ আগে দেখেন নি। তিনি অবাক হলেন। তিনি দেখে এসেছেন তার ভাবী কখনো ভাইয়ের সামনে উঁচু স্বরে কথাই বলেন না। একটু বিব্রত হয়েই দরজায় শব্দ করে তালাশ মাহমুদ বললেন, ভাইজান, আসবো? গোলাপজান তখন চলে গেলেন। আশরাফ আলী বললেন, হ্যাঁ তপু আসো। ... ...
অনেক দূরের জিনিষ দেখতে পাওয়া আর তার ফলে যে সব তথ্য যোগাড় হল তাই দিয়ে অতীতের বিভিন্ন সম্ভাব্য ছবি ফুটিয়ে তোলা, আধুনিক মহাকাশ গবেষণা আর জ্যোতির্বিজ্ঞানের এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কত রকমের তরঙ্গের ব্যবহার, কত রকমের দূরবীন, কত মাপজোক। অনেকে নিজের দরকারে বা শখে একনলা কি দোনলা দূরবীন কেনেন, ব্যবহার করেন, সাজিয়ে রাখেন। আমি এ পর্যন্ত যে দু-তিনটি কিনেছি, নিতান্ত মামুলি, খেলনার বেশি মর্যাদা পাওয়ার যোগ্য নয়। হারিয়েও গেছে তারা। তবে অন্য একটি দূরবীন মাঝে মাঝে ব্যবহার করি। স্মৃতির দূরবীন, ফেলে আসা জীবনের ছবি দেখতে। কতটা অতীত দেখতে পাওয়া যায়? যাচ্ছে? বেশীর ভাগ ছবি-ই ফোকাসের বাইরে। তবু শব্দের পর শব্দ সাজিয়ে, যেন ডিজিটাইজ করে, পিক্সেল জুড়ে জুড়ে রেন্ডারিং করে নানা ভাঙ্গাচোরা টুকরো থেকে এক একটা ছবি বার করে আনা। যা ঘটেছিল তার কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়া, যতটা পারা গেল। ... ...
দিল্লির ঐতিহাসিক রামলীলা ময়দানে ৩১ মার্চ, রবিবার "লোকতন্ত্র বাঁচাও" ব্যানারে ইন্ডিয়া জোটের সমাবেশে অভূতপূর্ব দাবিপত্র পেশ করা ভারতের গণতন্ত্রের সামনে একটি বড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। এই সমাবেশে উপস্থিত দেশের সমস্ত বিরোধী দলের নেতারা সর্বসম্মতিক্রমে একটি পাঁচ দফা দাবিপত্র প্রদান করেন যা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে যে অনিয়ম চলছে তা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সরাসরি এই নির্বাচনে "ম্যাচ ফিক্সিং" এর অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন, এই ফিক্সিং বিজেপি কিছু বড় কর্পোরেটদের সহায়তায় করছে যাতে তারা নিজেদের ইচ্ছে মতো সংবিধান পরিবর্তন করতে পারে। ... ...
যৌন আধিপত্য নানা স্তরীয়। কে যে কাকে সুবিধে দেয় আর কে সুবিধে নেয়, বোঝা দায় বাইরে থেকে। বিস্তর ন্যাকাপনা করে, ক্লিভেজ বা কেশরাশি ব্যবহার করে কাজ হাসিল করা মেয়েদের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। পোশাক যখন স্টাইল স্টেটমেন্ট তখন তার মাহাত্ম্য আলাদা। তখন বিকিনি সুন্দর। স্প্যাগেটি টপ সুন্দর। হটপ্যান্ট সুন্দর। আবার আপাদমস্তক ঢাকা মধুবালাও সুন্দর। কিন্তু কোনটা স্টাইল স্টেটমেন্ট আর কোনটা সিডাকশন স্টেটমেন্ট সেটা তো বুঝতে হবে। ... ...
অনেকে নাকি রাতের বেলা পুরনো বাড়িটার ভেতর থেকে অদ্ভুত আওয়াজ শুনেছে। মড়ার খুলির ভেতরে টকটকা রক্ত নিয়ে নাকি ফকির পান করে। এইসব গল্প ছড়িয়ে পড়াতে এখন মাতবর ইদ্রিস আলীও বিব্রত বোধ করেন। অনেকে তার কাছে অভিযোগ নিয়ে গেছে। তাদের ধারণা এই লোক গ্রামে থাকলে গ্রামের ক্ষতি হবে। এর আসল নাম পরিচয়, কোথা থেকে এসেছে, কেউ জানে না। কী তার উদ্দেশ্য এখানে তাও বুঝা যাচ্ছে না। ইদ্রিস আলী অভিযোগের যৌক্তিকতা বুঝতে পারেন কিন্তু ফকিরকে চলে যাবার কথাও বলতে পারেন না। তার ভয় হয়। ... ...
রাজামশাইয়ের মুখের দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মহামন্ত্রীমশাই বললেন, “আপনার রাজত্বকালের পনের বছর পূর্ণ হতে চলল। প্রথম দুবছরের কিছু গৌণ বিদ্রোহ এবং দু-একটা ছোটখাটো যুদ্ধের পর এই রাজ্যের সর্বত্র শান্তি বিরাজ করছে। অতএব অস্ত্র-শস্ত্রের কোন ঝনৎকার বহুদিন শোনা যায়নি। অসিবল্লভের সমস্যাটা ঘটছে সেখানেই। অস্ত্র-শস্ত্রের ব্যবহার যদি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়, অস্ত্র-শস্ত্রের চাহিদা যদি না থাকে, সেক্ষেত্রে অস্ত্রশস্ত্র নির্মাণের কোন প্রয়োজনই থাকছে না। অসিবল্লভের কথায় ওর অস্ত্রনির্মাণশালায় যে ভাণ্ডারগুলিতে ও নির্মিত অস্ত্রশস্ত্র সংরক্ষণ করে, সেগুলিতে আর স্থান সংকুলান হচ্ছে না। উপরন্তু, সংরক্ষিত অস্ত্রশস্ত্রগুলির অনেকাংশই দীর্ঘ অব্যবহারে জং ধরে এবং ধুলো পড়ে ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠছে”। রাজামশাই চিন্তিত মুখে বললেন, “হুঁ। তার মানে, আপনি কি বলতে চাইছেন, রাজ্যের পক্ষে নিরঙ্কুশ শান্তিও কাম্য নয়”? ... ...