রাস্তার ধারে বারোতলা ফ্ল্যাট বাড়ি উঠছে। গলির মুখে বালি স্টোন চিপস স্তুপাকার। পাশ কাটিয়ে একটা সাইকেল বের করতেও কসরত করতে হচ্ছে। গলির মধ্যে গাড়ি টাড়ি ঢোকা তো দূরের ব্যাপার।সজলবাবু পাড়ার পুরনো বাসিন্দা। বিরক্তিতে মুখ কুঁচকে দাঁড়িয়ে ছিলেন গৌরের কচুরির দোকানের পাশে। অনিন্দ্য ঘোষ শালপাতার ঠোঙা থেকে তরকারি মাখিয়ে কচুরি মুখে পুরে চিবোচ্ছিল পরমানন্দে ... ...
থার্ড গিয়ারে ধুমায়িত হুল্লোড় আই পি এল। কে কাকে কিনল যেন সাড়ে এগারো কোটিতে, ঝটতি পড়তি খেলুড়ে বাছারাও পাঁচ ছ কোটিতে মারে মুঠোভরা খাবলা।
ঋষভের পুলকার গড়িয়ে যায় / মরণ নালায়, / ব্যস্ত মালিক, রাশভারি স্কুল, ঠেকা মারা অদলি বদলি ড্রাইভার,
চারিদিকে শুধু জল আর জল। দোতলা বাড়ি জলের তলায়। বাড়ি তেতলা হলে শুধু গলাটুকু বাইরে। দোতলা তেতলা এখানে আর কোথায় । যা দেখা যাচ্ছে তা অনেক দূরে দূরে। ও..ই দূর গঞ্জে। এ তো নিকষ্য গেরাম। কুঁড়েঘরে খড়ের ছাউনি। দু চারটে ইঁটের গাঁথনির কোঠা আছে। মাথায় টিনে র বা টালির ছাউনি। সব ডুবে আছে ... ...
বাবুমশায়দের পেন্নাম । মা জননীদের গড় করি।আজ্ঞে আমার নাম গণেশ হাঁসদা। মাঠের ওপারে ওই কুঁড়েটায় আমি থাকি । ছিটবেড়ায় মাটি লেপা । পচা খড়ের ছাউনি। তেমন বরষা হলে জল বাঁধে না। ঘর ভেসে যায়। আর ঘরে আমার কি বা আছে। একটা ছেঁড়া চাটাই – খেজুর পাতার, আমি নিজেই বুনেছিলাম। একটা মাটির হাঁড়ি। খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করি। ভেঙে গেলে মুশকিল। ওটাতেই ভাত রাঁধি কিনা। যেদিন চাল জোটে আর কি। রোজ তো আর জোটে না। আর একটা টিনে র শানকি আছে। ভাত জুটলে ওটায় ঢেলে খাই। ... ...
দশদিন বাকি আর.... সামনের উঠোনটা বুড়োমানুষের মতো ঘ্যানঘেনে মেঘলা কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঝিমোয় খালি , সেলের গরাদে এসে পড়ে বারোমেসে ভাঙাচোরা রোদ্দুর, গেটের মুখে একটা সেপাই হাতের তেলোয় পরম যত্নে খইনি ডলছে,
ওসেইফ আর আজরার দুজনেরই বাড়ি শোপিয়ান থেকে বাইশ কিলোমিটার দূরের এক গ্রামে। গ্রামের নাম গুলসুমা। তাদের গাঁওয়ের মধ্যে দিয়ে ঝিলমের জল বয়ে গেছে। খুব শান্ত তীর - ঠিক ঝিলমের জলের মতোই ।সেখানে শোপিয়ানের মতো হালচাল নয়। মিলিটারিতে ছেয়ে থাকে না পথঘাট। লেড়কা লেড়কিরা নিয়মিত স্কুল করে। পড়াই লিখাই করে। সেখানে অবশ্য কাশ্মীরি ভাষার কোন জায়গা নেই। শুধু হিন্দী বা ইংরেজী ইস্তেমাল করা হয়। আব্বা আম্মা ক্ষেতি করে। গাঁওয়ের কেউ কেউ সোনমার্গে থাকে। ওখানে ডাল লেকে শিকারা চালায়। দুএকজনের হাউস বোট আছে পারিবারিক সূত্রে। ভাড়া খাটায়। এখন অবশ্য মার্কেট ডাল। হাল হকিকৎ খুব খারাপ ... ...
লাল কাপড়ে মোড়া, দড়ি দিয়ে বাঁধা এক হিসাবের খাতা, সারাবছর খুলে রাখা থাকে দোকানির সামনের কাঠের ডেস্কটির উপর।