শীর্ণগুলি ফুটে / ওঠে / রোজ / শিমূলগুলি ফেটে যায় / ফেটে যায় টলটলের আদল
পাখি তুমি / তুমি রা কাড়া অন্তর / গোধূলি -ভগ্নাংশে / আমি তো হতামই
লেখা তার খেলার কাছে নিয়ে যায় / অথচ লিখিনা কিছু বসে থাকি সফেদবিকাশে / জলের কিনারে মেঘের কিনারে
নেহাৎই পরীক্ষা। আরও কটা করতে হবে।
ভাইরাস, ভাইরাস কোরোনা ভাইরাসধনী লোকে করে চাষ, গরীবের পোঁদে বাঁশ! ভাইরাস, ভাইরাস আর বলো কত মাস? ওরা সব বড়ো ঘরে, আছে তো আরাম করে, আমরা তো ছোটো ঘরে হাঁপিয়ে যাচ্ছি মরে।
আমি এখানে নতুন।
"...মায়ের মৃত্যুর পর একবার ঊনকোটি গিয়েছিলাম, কয়েকবার দেখা ক্ষীণ ঝর্ণাধারা, নীচে সীতাকুণ্ড। সীতাকুন্ডের জলকে একটু ছুঁয়ে দেখলাম, ঝট করে মনে হল মায়ের মৃতহাত, ঠান্ডা। বহুদিন ঊনকোটি নিয়ে কিছু লাইন লেখার চেষ্টা করেছি। অনেকবার দেখা জিনিসকে নিয়ে কিছু লেখা যায় না। আবছা করে আঘাত দিয়ে যায় যে মানুষ, যে বন্ধু, যে প্রেম, যে নদীর শরীর, দ্রুত চলে যাওয়া কোন স্টেশনের সাইনবোর্ড, এক ঝলকের জন্য দেখা কুটির প্রাঙ্গনে দড়িতে ঝোলানো হলুদ শাড়িটি অনেক বেশী কবিতাসূত্র দেয়। যার কাঁধে মাথা, যার সঙ্গে মিশে আছি দিনরাত, কবিতা তাকে ভয় পায়।... " পুরো লেখাটাই সুন্দর লাগল তো বটেই, এই অংশটা বেশিকরে। কেন? রিলেট করতে পারলাম বলে কি? ভেবে দেখলাম, ... ...
ভালবেসে ভালবাসার প্রতিদিনের রোজনামচায় থাকাটা সমাজের নির্মাণ। নাকি সেটা আসলে আত্মপ্রেম প্রতিদিনের আত্মপ্রত্যয়। নিজেকে খুঁজে পাওয়া.. প্রতিদিনের থোড় বড়ি খাড়া প্রেম কিংবা রাঁধার পর খাওয়া নয়তো খাওয়ার পর রাঁধা সম্পর্কের অভ্যাসটা আপাতদৃষ্টিতে সুখের সংজ্ঞা হলেও সে সুখ বোধ হয় কেউ কেউ চায়না তাই তো "সুখে থাকতে ভুতে কিলোয়"। এলোমেলো ভাবনার ভুত । স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় অনুভুতি গুলোর চাওয়া পাওয়ার সাথে সাথে আমার মধ্যেও অন্য একটা আমি আছে। ভালবাসাটাও নিজের কাছে নিজের অ্যাসাইনমেন্ট। "মধুর তোমার শেষ যে না পাই... "আবার একটা নতুন অ্যাসাইনমেন্ট, নতুন কাজ নিয়ে নতুন ভাবনার ট্রেলর দেখলে বুঝতে পারি মুখে যাই বলিনা কেন এটাই আমার সংসার। প্রতিদিনের শোয়াবসার বাইরে ভালবাসার ... ...
কাল রাতে ঘুমোবার সময় সাত আটটা লাইন লিখেছিলাম, ঐ যাকে আমি কবিতা বলি, সেভ করে ঘুমিয়ে গেলাম। সকাল বেলা যখন মোবাইল খুললাম, প্রথমেই হাত গেল সেই কচি কচি সদ্যজাত কয়েকটি লাইনের ওপর। প্রথমে একটি শব্দ বদলে দিলাম, তারপর আরেকটি, তারপর একটি লাইন, দুটো লাইন, তিনটে লাইন, আধঘন্টার মধ্যে সবকিছু বদলে গেলো। গতরাতের একটি অক্ষরও না। এখন যেটা হলো সেটা কি নির্মান। এইসমস্ত পংক্তি কি সত্যিই আমার, না কাল রাতে যেগুলো লিখেছিলাম সেগুলো আমার ছিল। এই বহতা দিনটি কি আমার? না পেরিয়ে আসা সেই নির্জন অন্ধকারতম দীঘির ঘাটটি । কোনটি? মনে হলো বিনির্মিত হয়ে যা এসেছে সেটাই সুন্দর। কিন্তু বন্যতা নেই।কবিতা তো ঐ ... ...
এই শরীরে সারাদিন মরু ডাকছে / ধরে নাও / তনহা-তরী থেকে / সেই তো বৃত্তময় ভ্রাম্যমান
তুমি ভাবছো এ এক জটিল অঙ্কুর! / অথচ / আমরা শ্যামলছাপ যন্ত্রণা / গুছিয়ে রাখি, প্রতিদিন / এক পশলা গোধূলি / কিম্বা আমাদের অনুক্ত
এই রবিবার, অর্থাৎ ১১ তারিখ টালা বস্তিতে শুরু হলো রায়াদির পাঠশালা। রায়াদির সঙ্গে আলাপ গণআন্দোলনের জোয়ারের ঢেউয়ে। রাস্তায়। হ্যাঁঁ,তারপর ফেসবুকে। সেই ফেসবুকে, যেখানে ফেসবুকের নামেই গালমন্দ করি সবাই। সে যাইহোক। একসাথে মিছিলে হাঁটা, 'দিলুঘোষের গালে গালে জুতো মারো তালে তালে' স্লোগানে গা ভাসানো,বইমেলায় আমার গাল টিপে দেওয়ার মধ্যে ছবিগুলো রয়ে গেছে,থাকবে। সেই ছবির টানেই আগেরদিন টালায় পা ফেললাম। বাড়ি থেকে অনেকটাই দূর আমার। তবে রায়াদির থেকে অনেক কম। সুদূর গার্ডেনরীচ থেকে যে নিয়মিত এসে মানুষের পাশে দাঁড়াতো, তার নিরিখে আমার 'অনেকটা দূর' বলা হাস্যাস্পদ। গল্প শুনেছি এইখানে রায়াদির লড়াইয়ের। আশাও রয়েছে অদূর ভবিষ্যতে এ'অঞ্চলের কর্ম্মসূচীতে হাত মেলানোর। সেই লড়াইয়ের স্বপনে ... ...
দেশের সীমারেখার কাছাকাছি একটা ড্রোন উড়ছে / সেটি অনবরত ছবি তুলবে, ভিডিও করবে
যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষের নিয়মিত আহ্বান থেকে দূরে সরে এসে মানুষ এখন নিজেকে নিয়ে খুব বিব্রত হয়ে পড়েছে, অন্তত মৃত্যুর ব্যাপারে। মানে যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ হচ্ছে না কোথাও, এমন নয়, কিন্তু মানুষের ইচ্ছেয় হচ্ছে। অবধারিত ভাবে হচ্ছে বা চাইলেও আটকানো যাচ্ছে না - এমন নয়। আত্মহত্যা এমন একটা সমস্যা হয়ে এসেছে, যার সবটা এখনও ঠিক ধরে ফর্মূলায় আনা যাচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে বুঝে ফেলেছি, আবার তার ত্রুটি বেরিয়ে যাচ্ছে। নিখুঁত মডেল মিলছে না। কিন্তু সমাধানের জন্যে উদগ্রীব আমরা, নিত্য নতুন থিওরি চারদিক চেয়ে ফেলেছে। মুশকিল হলো, আত্মহত্যার মতো একটা বিষয় একটা দিক থেকে সম্পূর্ণ ধরাও হয় না - সাইকিয়াট্রির সঙ্গে চলে আসে নৈতিকতা, মনস্তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, ধর্ম, নৃতত্ত্ব, দর্শন আরো কত কী। ... ...
সিমলে মানে শুধু নরেন দত্ত আর গিরীশ-নকুড়ের জলভরাই নয়, সিমলে হল সে সময়কালের একটা জীবন্ত উপাদান। ঘটনাবহুল। হীরের নাকছাবির ঔজ্জ্বলে চক্মক্। আসুন, দেখে নিই হাতে পাওয়া কিছু তথ্যের সালতামামি।
আত্মচিন্তা
একটা হলুদ বিকেল তোমাকে ভাবতে বাধ্য করতেও পারে / কেন তুমি আর প্রেমে পড়বে না, কেনই বা আবার পিয়ানোর কাছে ফিরে যাবে তুমি
ইস্পাতের মিনার থেকে প্রতিফলিত আলো / নষ্ট করে দিচ্ছে চোখের রেটিনা, / সাতজন অন্ধ খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মক্কা চলেছে;
এই তো এলাম মাত্র। অন্য গুরুদের গুরুগিরির দৌড় তো আগে দেখি। তারপর বাকি কথা। দেখি কোন কোন গুরু আসলেই আমার গুরু হতে পারে, আমি পারি কার গুরু হতে। আমার শিষ্যত্বও অতো সোজা নয় বাবা, তাতেও পরীক্ষা লাগে হে! আপাতত গুরুসন্ধানী মন আমার। তবে শেষ পর্যন্ত গুরু সাঁইজীতেই ভক্তি: "মানুষ গুরু নিষ্ঠা যার।.."! ... ...
এমনিতে আমার মেয়েটাকে দেখতে আবোলতাবোলের পাতা থেকে উঠে আসা একটা র্যান্ডাম চরিত্রের মতো। ওর মুখে যেন লেখাই আছে, "আমি একটা আবোলতাবোল!" তা, এর মাঝে শুনলেম মেয়ে একদিন তিন-তিনবার আমার হাতটাকে পাশবালিশের মতো জড়িয়ে ধরে শোওয়ার চেষ্টা করছিল। আমি তখন ঘুমোতেছিলেম, এবং তিনবারই নাকি আমি মেয়েকে মশা ভেবে হাত নাড়িয়ে অত্যন্ত বিচ্ছিরিভাবে তাড়িয়ে দিয়েছি। তাতে শেষবারের বার মেয়ে অত্যন্ত ক্ষেপে গিয়ে আমাকে "আই আই আই আই পপ" বলে উঠে বসেছে। আজকে আবার যেমন মেয়েটা অকারণ তুষার কাপুরের মতো "আ ই উ আ" বলে নাগাড়ে চেঁচিয়ে যাচ্ছিলো আর আমি পাত্তা না দিয়ে চা খাচ্ছিলেম। শেষটায় শ্রীপর্ণার আর সহ্য হলো না। সে "অ্যা-অ্যা-অ্যা-ই" ... ...