বাইরে পূর্ণিমার চাঁদের ফকফকা আলো, কিন্তু ঘরের ভেতর ঘুটঘুটে অন্ধকার। বুঝে উঠতে সময় লাগলো কোথায় আছে সে। হাতঘড়িতে সময় দেখে আঁৎকে উঠার অবস্থা। ভোর পাঁচটা বত্রিশ!! কাল রাতে মদ্যপান একটু বেশী হয়ে গিয়েছিল। স্ত্রীকে মিথ্যা করে বলেছিল ছোট একটা কাজে তার বন্ধুর সাথে দেখা করতে যাচ্ছে। রাত নয়টার মধ্যে ফিরে আসবে। বাসায় গেলে আজ খবর আছে। তার দুই বন্ধুও তার কাছেই শুয়ে আছে। ওদের নাম ধরে ডাকল কিন্তু কোন সাড়া শব্দ নেই। বেচারারা সম্ভবত গভীর ঘুমে। বার থেকে ফেরার পথে বড় বড় কয়েকটা কুকুরের দৌড় খেয়ে তাঁরা আশ্রয় নেয় এই পরিত্যক্ত পুরোনো বাড়িতে। একটা কুকুর তার পায়ে হালকা আঁচড় দিয়েছিল। ... ...
।। *অন্য এক পূজোর পাঁচালী* ।। সমরজিৎ জানা কোভিডকালে একরাশ শিউলি ফুলের গন্ধ হঠাতই ভেসে এল। মাছের ভেড়ি, নদীবাঁধে ঘেরা বাদাবনে বড়োপূজোর বাজনা প্রতিবারই যেন বেসুরো বাজে, কোনবার আয়লা, কোনবার আমফান, কোনবার বাঁধ ভাঙ্গা বৃষ্টি, হিঙ্গলগঞ্জের, মামুদপুরের, বায়লানীর পূজো কে সর্বদাই অন্যরকম বুভুক্ষুপীড়িত করে রাখে। এবার আবার কি এক ছোঁয়াছুঁয়ি অসুখ এসেছে, দুগ্গা দেখেছে ভেড়ির উপর যে বাবুরা পলিথিনের প্যাকেটে করে চাল ডাল আলু সয়াবিন এর নাগেট দিতে আসে, তারা বলে নাকে কাপড়টা দেবেন টোকেন নেওয়ার সময়। এই টোকেন এক আশ্চর্য সাত রাজার মানিক ধন, থাকলে মা পাবে রেশন, নইলে ফক্কা। এখনো গ্রামের মধ্যে পুরনো বাড়িটার চাল নেই, আমফানে উড়ি গ্যাছে, বাপটা ... ...
বেথুন রো-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের অন্যতম সুসন্তান মহাত্মা ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি ধর্মপ্রচারক, তিনি বেশ কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশ ও পরিচালনা করেছিলেন । তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন। ব্রহ্মবান্ধবের পূর্বনাম ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলী জেলার খন্যানের বাসিন্দা ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয় ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৬১ তে (১লা ফাল্গুন। ১২৬৭ বঙ্গাব্দ)। এঁদের আদি বাড়ি ছিল কৃষ্ণনগরের খানাকুল গাঁ-এ। ভবানীচরণের প্রপিতামহ মদনমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ধার্মিক ও সৎ ব্যক্তি হলেও কৌলিন্যপ্রথানুযায়ী পঞ্চাশখানা বিয়ে করেছিলেন। এখন ভাবলেই কেমন যেন গা শিরিশির করে ওঠে। পঞ্চাশবার বিয়ের পিঁড়েতে চাপা – জাস্ট ইনকরিজেবল। ব্যানার্জী মশাই শেষ বিবাহখানি করেছিলেন মাত্র একটা সুপারী গ্রহণ করে। ভাবানীচরনের ঠাকুর্দা হরচন্দ্র ... ...
বেথুন রো-এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে ভারতের অন্যতম সুসন্তান মহাত্মা ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়। তিনি ছিলেন একজন বাঙালি ধর্মপ্রচারক, তিনি বেশ কয়েকটি পত্রিকা প্রকাশ ও পরিচালনা করেছিলেন । তিনি ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন। ব্রহ্মবান্ধবের পূর্বনাম ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়। হুগলী জেলার খন্যানের বাসিন্দা ভবাণীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্ম হয় ১১ ফেব্রুয়ারি ১৮৬১ তে (১লা ফাল্গুন। ১২৬৭ বঙ্গাব্দ)। এঁদের আদি বাড়ি ছিল কৃষ্ণনগরের খানাকুল গাঁ-এ। ভবানীচরণের প্রপিতামহ মদনমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় একজন ধার্মিক ও সৎ ব্যক্তি হলেও কৌলিন্যপ্রথানুযায়ী পঞ্চাশখানা বিয়ে করেছিলেন। এখন ভাবলেই কেমন যেন গা শিরিশির করে ওঠে। পঞ্চাশবার বিয়ের পিঁড়েতে চাপা – জাস্ট ইনকরিজেবল। ব্যানার্জী মশাই শেষ বিবাহখানি করেছিলেন মাত্র একটা সুপারী গ্রহণ করে। ভাবানীচরনের ঠাকুর্দা হরচন্দ্র ... ...
বলছি সেই সিমলে পাড়ার গপ্পো। সিমলা স্ট্রিট কলিকাতার একটি প্রাচীন রাস্তা। মার্ক উডের (১৭৮৪) ও আপজনের (১৭৯৩) কলিকাতা মানচিত্রে রাস্তাটির কোনও উল্লেখ না থাকলেও সম্ভবত উনবিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে রাস্তাটি নির্মিত হয়ে থাকবে। লেফটেন্যান্ট এইচ অ্যাবারক্রম্বি (Lt. H. Abercrombie) এবং ক্যাপ্টেন এইচ. এন. ফরবেস (Capt. H. N. Forbes) মিলিতভাবে ১৮৩৬ খ্রিঃ কলকাতার যে মানচিত্র প্রস্তুত করেন, তাতে এই পথটি দেখানো আছে। শক সাহেব ১৮৬৬ খ্রিঃ কলিকাতার জনগণনার যে প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন তাতে কলিকাতা শহরের ৪৩৮টি রাস্তার একটি তালিকা দেওয়া আছে। ওই তালিকার মধ্যে ১১৯ নম্বরে সিমলা স্ট্রিটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সিমলা নামটি কলিকাতার ইতিহাসের সঙ্গে সম্পৃক্ত। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সম্রাট ফারুকশিয়ারের ... ...
ছয়তলায় দুটো ফ্ল্যাট, পাশে ছাদ। দুই রুমের ফ্ল্যাট দুটোয় তিনজন করে ওরা ছয়জন। ক্যাম্পাসের সিনিয়র-জুনিয়র৷ ছাদের মুখোমুখি ফ্ল্যাটের দরজা সবসময় খোলা থাকে, অনেক বাতাস। ওটায় থাকে হামিদ, শাওন আর শহীদুল। অন্যটায় ফারুক, সৈকত ও পলাশ। সকলেই চাকরি-প্রত্যাশী। ছাদ বরাবর ডাইনিং টেবিলে বসে হামিদ সকালের ভাত খাচ্ছে আর শহীদুল কফি, হাতে সিগারেট। করোনাকালীন বাজার অর্থনীতিতে সারাদেশ বিপর্যস্ত। শহীদুলঃ সৈকত ভাইও এ মাসে চলে যাবে। পলাশ ভাই তো আগেই কনফার্ম করছে।হামিদঃ সৈকত ভাই চলে যাচ্ছেন? কে বলল?শহীদুলঃ ফারুক বলল, গতকাল, রুমমেট দেখে দিতে বলল।হামিদঃ কই যাবে? বাড়িতেই থাকবে নাকি? শহীদুলঃ হুম। পরীক্ষার আগের দিন এখানে থাকল। খরচ বেঁচে গেল!হামিদঃ দেশের অবস্থা খুব ভয়াবহ! তুমিতো ... ...
ছোটবেলায় রেললাইনের ওপারের মাঠে একটা বন্ধ দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালে একটা ম্যাজিক হতো। ম্যাজিকটা কীরকম সেটা বলতে না যাওয়াই ভালো। কারণ ভাষায় প্রকাশ পেলে ম্যাজিকেরা নষ্ট হয়ে যায়। কিন্তু ম্যাজিক যখন ঘটে, সেদিকে তাকিয়ে থাকা হাঁমুখ মানুষেরা মাথায় আর শরীরে বোঝে ম্যাজিকের ম্যাজিক। এসব মনে হয় গতজন্মের কথা হবে সবই। এখন ম্যাজিকটা হয় সত্যিই ম্যাজিক ছিল, নয়তো সেদিনের সেই বাচ্চা ছেলেটির বোধশক্তির সীমাবদ্ধতা। আজ বত্রিশ বছর বয়সে সেই দরজাটা খুঁজে বেড়াচ্ছি। দরজার সামনে গিয়ে দাঁড়ালেই জানা যাবে পৃথিবীতে ম্যাজিক বলে সত্যিই কিছু হয় কিনা! ... ...
তথাগত রায়চৌধুরী…… মাঝে মাঝে নিজেকে তার খুব একা মনেহয়, কেমন যেন হারিয়ে যায় সে বাস্তব জীবন থেকে , হঠাত্ করেই দূরে চলে যায় তার আদরের গড়ে তোলা সংসার থেকে, যাকে সে খুব যত্ন করে গড়ে তুলেছে এবং আগলে রেখেছে। এই সমস্যা কাউকে বলে বোঝানো যায়না..... বউ ছেলে মেয়ে। মা বাবার কাছ থেকে আশাও করেনা... তবু যাকে এতদিন বোঝালে না বুঝলেও বোঝার চেষ্টা করতো , সেই বিনতি পিসিও সেদিন কথা শোনালো...এদিকে এতদিনেও তথা বুঝেই উঠতে পারছেনা, যে সে কী করবে? মাঝে লুকিয়ে সাইক্রীয়াটিস্টের কাছেও গেছে...সে কিসব ভুলভাল উপদেশ দিচ্ছে। ঠিকঠাক মনে হয়নি তথার..... বৌকে সাথে নিয়ে যাবে ভাবছে অন্য কারোর কাছে ... ...
১.আগুনের সাথে কয়লার যে সম্পর্ক, তোমার সাথে আমার সমপর্যায়েরই সম্পর্ক। আমি কয়লা তুমি আগুন , তুমি ছাড়া বোঝা যায় না আমার শক্তি আসলে কতগুন ।২. যদি হ্যারিকেন ফিতেয় কেরোসিন না পোড়ে , যদি উনুনে কাঠ কয়লা না পোড়ে মোমের মাঝে সুতোটাও না পোড়ে তবে তার থেকে আলো বেড়োয় না। তেমনি টানাপোড়েনমুক্ত প্রেম হয় না। হতে পারে না। টানাটানিতে অন্তর পোড়ে। না পুড়লে প্রেম হয় না। আলো হয় না। সম্পর্কও হয় না।৩.সারা দেশে যতো চোর-ডাকাত রয়েছে তারা সারা জীবনে যে পরিমাণ সম্পদ আয় করে- একটি দূর্নীতিবাজ সরকার একদিনেই তার চেয়ে অনেকগুণ বেশী সম্পদ লুট করে। দূর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন, গণহত্যা, পুলিশী ... ...
TNQ-Janelia India COVID-19 DistinguishedLecture Series টা বেশ ভাল হল। D:জো ডেলা রিসি সানফ্রান্সিস্কো এলাকায় কীভাবে স্ক্র্যাচ থেকে কী কী কাজ কীভাবে হল,দেখালেন। UCSF এর গ্র্যাড স্টুডেন্টরা ভলান্টিয়ার করেই তো বিশাল কর্মযজ্ঞ নামিয়েছে দেখলাম। ওঁদের টেস্টিং এর সাপ্লাই চেন অন্য সরকারি কি বেসরকারি ল্যাবের থেকে কীভাবে আর কেন বেটার,তাও দেখালেন। সব জায়গা যদি এই মোডে চলতে পারত !তবে সানফ্রান্সিসকোতে নেইবারহুড কন্সেপ্ট নেই ? স্যামপ্লের যা আনালিসিস দেখালেন,বললেন apple,google এ কাজ করা লোকজনের প্রতিবেশীই হয়ত একেবারেই খারাপ অবস্থায়, কাজকর্ম হারিয়েছেন কি ফার্লো কি বাইরে বেরতে বাধ্য হয়েছেন, কাজ করতে। মানে পুরো ওয়ার্ক ফ্রম হোম আফোর্ড করা লোকের পাশেই একেবারেই সেটা করতে না পারা লোকজন। ... ...
কীটসের 'Beauty is truth, truth beauty -' নিয়ে দুনিয়াজোড়া পাঠকসমাজে মাতামাতি যত বেশি বুঝাবুঝি যেন ততটাই কম। এই পংক্তিটি নিয়ে বাঘা বাঘা ক্রিটিকদের মধ্যে বিংশ-একবিংশ শতকজুড়ে বিতর্কও কম হয়নি। নিচের উইকিপিডয়া লিংকটিতে গোছানোভাবে সেই বিতর্কের বিবরণ দেওয়া আছে। 'Beauty is truth, truth beauty-' নিয়ে বিতর্কের উইকিপিডিয়া নিবন্ধের লিংক: সাধারণভাবে ভেবে দেখলে কীটসের 'Beauty is truth, truth beauty-' কথাটির কোনো অর্থ হয়না। ক্রিটিকদের অনেকেই এই মত পোষণ করেন, যেমন:Bridges believed that the final lines redeemed an otherwise bad poem.Sir Arthur Quiller-Couch responded with a contrary view and claimed that the lines were "a vague observation – to anyone whom life ... ...
কল্প বিজ্ঞানের গল্প লিখব। বই চাই খান কতক। ধরা যাক অক্সিজেন কার্বন ডাই অক্সাইড এই নাম গুলো ল্যাভসিয়ের এনেছিলেন কি করে তা নিয়ে আলোচিত বই বা লিনক, এর আগে জিনিস গুলোর কি নাম ছিল। এই সব নিয়ে তথ্য যুক্ত বই। কেউ বই এর নাম দিলেও হবে। বা এই বিষয় নিয়ে লেখক বিজ্ঞানী মহল এর আলোচনা চাই ... ...
ছোটবেলায় যখন লেখা পড়া শুরু করেছিলাম তখন বই খুললেই প্রথমে সংবিধান এর প্রস্তাবনা দেখে দেখে মুখস্ত হয়ে গেছিল। তাতে সমানাধিকার এর কথা থাকত। বর্তমান শাসক শ্রেণী ধর্মীয় মেরুকরণ ও জাতপাত নিয়ে রাজনীতি করতে গিয়ে এই সমানাধিকার এর ব্যাপারটাই গুলিয়ে দিতে চাইছে। যে রাষ্ট্রে সাক্ষরতার হার খুব সন্তোষজনক নয় তাদের কত শতাংশ মানুষ যে এটা বুঝবে সন্দেহ। আমাদের দেশে বিলটি (সিএবি, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল) খুব কম লোকেই পড়েছে বেশিরভাগ লোকেই কিন্তু শাসক বিরোধী বক্তব্য শুনে বিভ্রান্ত এমন অবস্থায় ২০১৯ সালের ১১ই ডিসেম্বর গভীর রাতে পাস হয়ে গেল। বিলের উদ্দেশ্য ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন সংশোধন। ... ...
দরজা খোলা, হেলে-দুলে সামনে এসে পাশের রুমের ছেলেটা বলল-ভাই, আমার হিসাব থাকে না। টাকা-পয়সা সব গার্লফ্রেন্ডের কাছে থাকত, যখন যা লাগত নিয়া খরচ করতাম। ক্যাম্পাসটাও বন্ধ, বড়লোকের বেটিও বাসায় চইলা গেল। এখন আমার মারা খাওনের অবস্থা! ভাংতি টাকা আছে আপনার কাছে? শুয়ে থাকা আমি: কত?সে: একশোআড়মোড়া ভাঙা আমি: না হে! ত্রিশ টাকা আছে। চোখমুখ দেখে ছেলেটার হতাশভঙ্গি বোঝার উপায় নাই। মাস দুয়েক একই ফ্ল্যাটে থাকার দরুন ওকে অনেকটা পড়তে পারি। কিছুক্ষণ পরে ওকে ডেকে বললাম,কয়েকদিন আগে যে ক্ষেপ মারলা ঐটার পেমেন্ট কবে দিব?সে: দিয়া দিছে, হামিদ ভাইয়ের বিকাশে। দেয়ালে হেলান দেয়া আমি: কত? পাঁচ হাজারনি?সে: ক্যামেরাটা কিনতে না পারলে পাঁচ হাজারেই থাকতে হয়! কিছু ... ...
আমি থাকি মূল কলকাতা শহর থেকে প্রায় ঘন্টা দুয়েক দূরে। হুগলী জেলার উত্তরপাড়ায়। আমার কাজের জায়গা কলকাতায়। সেখানে আমাকে প্রায় যেতে হয়। এবং আমার কাজটা সব সময় মোটেই ঘরে বসে কাজ নয়। নিয়মিত মাসিক চাকরীরও নয়। যে প্রায় গোটা মাস ছয়েক গৃহ বন্দী হয়ে থাকলে চলে যাবে। কোভিড পরবর্তী পরিস্থিতিতে লক ডাউন উঠে যাওয়ার পর থেকে আমাকে প্রায় নিয়মিত না হলেও সপ্তাহে বার চারেক কলকাতায় যাতায়াত করতে হয়েছে। তাও আমি অনেকের থেকে ভাগ্যবান কলকাতায় আমার বন্ধুর বাড়িতে অনেকটা সময় তারা আমাকে থাকতে দেয়। প্রচন্ড ভালোবাসে এবং আমাকে সহ্য করে। শুধু এইগুলো লেখার জন্য আমি এই কথা গুলো বলতে বসিনি। মফস্বল ... ...
মানক কথা দুই তিন দিবস আগে বাজার হইতে ফিরিতেছিলাম। আজকাল কমই যাওয়া হয়। পথপার্শ্বে বৃহৎ আকারের হরিৎ বর্ণ টগবগে মানকচু বিক্রি হইতেছিল। দেখিয়া উৎফুল্ল হইয়া ভাবিলাম কিনিয়া লই, মানকচুর শাক আমার কাছে পৃথিবীর সর্বাপেক্ষা সুস্বাদু আহার্যের মধ্যে একটি। কিন্তু যেই ব্যাটারী চালিত শকটের মধ্যে আমি বসিয়াছিলাম উহার চালকের তীব্র মেজাজ আর বিরক্তিকর মুখমণ্ডল দেখিয়া আমি সেই ইচ্ছা বর্জন করিয়া দিলাম। তাহার পর বাড়ি সম্মুখে গমনরত একজন স্বব্জি বিক্রেতাকে কহিলাম আগামী কল্য কচু লইয়া আইসো।আহা! পরের দিন বেলা বারোটা বা তাহার অধিকে সে দুইখানা কচু লইয়া আগমন করিল। না করি কি করিয়া, রাখিয়া ভাবিলাম, আজই রাঁধিব। গৃহে এখন দস্তানার অভাব নাই । ... ...
লেখকদের যেমন রাইটার্স ব্লক হয় পাঠকদের তেমন হয় কি? কখনো এমন সময় আসে যখন পড়তে ইচ্ছা করে তবে পড়ে কিছুতেই সেই আমেজটা পাওয়া যায়না। বোধয় বেশ কিছু দিন ধরে গম্ভীর, সিরিয়াস লেখা পড়ে পড়ে মগজে একটা আস্তরণ পড়ে যায়। তাতে মৃদু তরঙ্গ ওঠে ঠিকই কিন্তু কিছুতেই ঢেউ খেলেনা । বহুদিন ধরে মৃদু অনুরণন রেখে যাওয়ার পাশাপাশি এমন লেখাও পড়া দরকার যা হঠাৎ বেশ কাঁপিয়ে দিতে পারে আবার তার রেশও রেখে যেতে পারে বেশ কিছুদিন। ... ...
আমি শুধু অভিনয়ই করছি না, আমি একজন অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করছি। মঞ্চের মাঝখানে দাঁড়িয়ে ধরা যাক যদি বলি, "নমস্কার, আমি একজন অভিনেতা" তাহলে সেটাও তো অভিনয় করাই হলো। যদি আবারও বলি, "অভিনয় করছি না রে বাবা, সত্যি বলছি, আমি একজন অভিনেতাই;" সেটাও কি আমার অভিনয়ই নয়? অথবা হয়তো সত্যিই বলছি, কিন্তু পর্দা নামার পর এই সমস্তটাই আমার অভিনয় হিসেবেই জাজড হবে। কেউ বলবে, "আহা! কী সাবলীল," তো কেউ বলবে, "তেমন জমলো না।" অথচ আমি হয়তো শুধুমাত্র একটা সত্যি কথাই বলতে চেয়েছিলাম যে, আমি একজন অভিনেতা। আপনার চারিপাশে দেখবেন এমন কিছু হিপোক্রিট আছে যারা উঠতে বসতে সর্বক্ষণ নিজেরাই নিজেদেরকে হিপোক্রিট ব'লে যাচ্ছে। ... ...
মাস্ক ছাড়া মণ্ডপে ঢুকলে দায় কমিটির ইংরেজবাজার শহরের কয়েকটি পুজো মণ্ডপ সরকারি নির্দেশিকা মেনে তৈরি করা হয়নি বলে অসন্তোষ প্রকাশ করলেন করোনা নিয়ন্ত্রণে উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক সুশান্ত রায়। মঙ্গলবার দুপুরে মালদহের সানাউল্লাহ মঞ্চে শহরের পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠকে সে কথা জানান তিনি। বৈঠকে মালদহের জেলাশাসক রাজর্ষি মিত্র একই অভিযোগ করেছেন।?তাঁদের বক্তব্য, পুজো মণ্ডপ এ বারে পুরোটা পড়ুন ... ...