খাওয়াদাওয়া নয়, বাড়ি গাড়ি নয়, টাকা পয়সা নয় , শাড়ি গয়না নয়, সাজগোজ নয়, আমার একমাত্র শখ হলো বেড়ানো। কপালগুণে কর্তামশাইয়েরও শখ প্রবল বেড়ানোর! সুতরাং, আমাদের দুই বেড়ানোবাজের একমাত্র মেয়ে হলো ডাবল বেড়ানোবাজ। তবে এক্ষেত্রে মেয়ে আর আমি সমমনস্ক সমগোত্রীয় অর্থাৎ আমার আর মেয়ের আবার বেড়ানোয় বাছাবাছি নেই, পাহাড় জঙ্গল মরুভূমি সমুদ্র সবেতেই সমান রুচি। জাস্ট তল্পিতল্পা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হলো। কিন্তু কর্তামশাই আবার ভয়ঙ্কর রকমের পাহাড়প্রেমী কিন্তু উনি আবার খাদেও বড্ড ভয় পান! বৈচিত্র্যময় সমাপতন! মেয়ের সেকেণ্ড ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা সেবার বেশ অনেকদিন পিছিয়ে যাওয়ায় শীতের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া হয়ে উঠলো না। তাতে কুছপরোয়া নেহি, দোলের তিন দিন আগে মেয়ের পরীক্ষা ... ...
আমাদের ওঠা নামার মাঝখানে / সব সিঁড়িই ভাঙা গন্তব্য নিয়ে আটকে থাকে
পর পর দুটো জন্মের মাঝে যে চিকন ফাটল / তা দিয়ে ঝুপ করে একটা নদী ঢুকে পড়ে
সুইডিশ একাডেমি ঘোষণা করছে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার বিজয়ীর নাম। ২০২০ সালে নোবেল জয় করলেন মার্কিন কবি লুইস গ্লুক। এই কবি তাঁর কবিতার সাবলীল আর ব্যতিক্রমী ভাষাশৈলী দিয়ে নিজেকে এমনভাবে প্রকাশ করেন, যা একাধারে হয়ে ওঠে ব্যাক্তিগত ও সার্বজনীন।
(ক) এথিস্ট রিপাবলিক নামক পেজ থেকে পৌরাণিক চরিত্রের মধ্যে সমলিঙ্গ ভালোবাসার ছবি শেয়ার করলাম।(খ) শ'খানেক মবলিঞ্চিং-এর হুমকি আমায় দেওয়া হলো।(গ) আইনরক্ষক পুলিশ আমাকে ওয়ার্নিং দিয়ে, আমাকে দিয়ে ক্ষমা চাওয়ালো।
সিঁড়ির সাতকাহন (১) শহর কলকাতায় জন্ম আমার। পুরোনো দিনের পার্টিশনড হয়ে যাওয়া একটা ছোট্ট দোতলা বাড়িতে। তখনো পার্টিশন এর পাঁচিল ওঠে নি। তাই তিনখানা সংসারের বারো ঘর আর একখানা উঠোন থাকলেও সিঁড়ি ছিল তিনখানা। এর মধ্যে যে সিড়িটা সবচেয়ে পুরোনো, একমাত্র সেটা দিয়েই তিনতলায় ওঠা যেত। এক একটা তলায় ওঠার জন্য সে সিঁড়িটার ছিল তিনখানা বাঁক। সেই তিনটে বাঁক পেরিয়ে একতলা থেকে দোতলায় উঠেই সামনের আয়তাকার চাতালটাকে তখন বলা হত “সাজা’। যার একদিক দিয়ে ঘরে ঢোকা যেত। সেই সাজায় ছিল দুখানা জানলা। সেই রঙিন কাঁচের খিলান মাথায়, দুখানা করে পেল্লায় পাল্লা। গোটা সিঁড়িটায় থাকতো একটা আবছা অন্ধকার। তখন সিঁড়ির ওপরে দিয়ে কোনো ... ...
শিরদাঁড়াটা উইপোকায় খেয়ে গেসলো। আধঘন্টা আগে পুরনো আলমারির পিছনে খুঁজে পেয়েছি ব্যাটাকে। অ্যাদ্দিন কাজুর ফুডস্ট্যান্ডের মাঝখানের রডটা দিয়ে কাজ চালাচ্ছিলাম। এখন জায়গার জিনিস জায়গায় সেট করে রডটা হাতে নিয়ে ভাবছিলাম উইপোকার বাসা ভাঙতে যাবো। তারপর ভাবলাম, ব্যাপারটা আগে ফেসবুকে লিখে ফেলি। কেননা, ফেসবুক করাটা খুবই জরুরি। একে তো গোটা পুজোতে আমার একটাও সেল্ফি নেই। এরকম চললে অচিরেই দেশবাসী আমারে ভুলে যাবে। তাতে অভাবনীয় ক্ষতি হয়ে যাবে এক্কেরে। না, আমার না; দেশবাসীর। তা, সেটা তো আর আমি হতে দিতে পারিনা। তাই কতটা ক্ষতি হবে না হবে অঙ্ক কষে বার করতে গেসলেম। এখন উত্তরটা দেখে নিজেই শিউরে শিউরে উঠছি। সেই উত্তরটা এখানে ... ...
বিভূতি ভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ননসেন্স ছড়ার প্রবর্তক সুকুমার রায় সুকুমার রায় শুধু বাংলা সাহিত্যের নয়, ভারতীয় সাহিত্যের "ননসেন্স ছড়া"রও প্রবর্তক। "যাহা আজগুবি, যাহা উদ্ভট, যাহা অসম্ভব, তাহাদের লইয়াই এই পুস্তকের কারবার। ইহা খেয়াল রসের বই। সুতরাং, সে রস যাঁহারা উপভোগ করিতে পারেন না, এ পুস্তক তাঁহাদের জন্য নহে।" - নিজের রচনা সম্পর্কে এমনটাই বলেছিলেন সুকুমার রায়। সুকুমার রায়ের জীবনী লিখতে গিয়ে লেখক দীপক সেনগুপ্ত 'অবসর' পত্রিকায় তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে সম্পর্কে আলোক পাত করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে সম্পর্ক, সন্দেশ পত্রিকায় রচনা ও সম্পাদকের ভূমিকা নিয়েও লিখেছেন। সিটি স্কুল থেকে প্রবেশিকা পাশ করে ফিজিক্স ও কেমিস্ট্রিতে ডাবল অনার্স নিয়ে ১৯০৬ সালে প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে বিএসসি পাশ করেন ... ...
"হৃদয়ে প্রেমের শীর্ষ" বইটি কোনও কবিতার বই নয়। বইটি আদ্যন্ত গদ্যে লেখা। উনি যে শুধু কবিতা নয় সুন্দর, সরস, গুঢ়, গভীর ও চোখ ঝলসানো গদ্যও রচনা করেন এই বইটি তার প্রকৃষ্ট প্রমাণ। বইটি কবির আত্মজীবনী মূলক রচনা। তাঁর ছোটবেলার খুব রূঢ় বাস্তবতাকে বেশ নরম সুরে পরিবেশন করেছেন। রুগ্ন অশক্ত শরীর, অভাব অনটন দুঃখ, কষ্ট তাঁর শৈশব ও কৈশোর জড়িয়ে ছিল। ... ...
মাসের পাঁচ তারিখ শিক্ষক দিবস কেন পালন করা হয় একথা আজ সকলেই জানা। সেই ১৯৬২ খ্রিঃ থেকে এই দিনটি ভারতের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিনে তাঁরই নির্দেশে “শিক্ষক দিবস” হিসাবে পালিত হয়ে আসছে। আমরা সবাই জানি, ৫ই সেপ্টেম্বর ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন। দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর তিরুত্তানিতে ১৮৮৮ খ্রিঃ এর ৫ই সেপ্টম্বর গরিব ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। পিতার নাম সর্বপল্লী বীরাস্বামী, মাতা সর্বপল্লী সীতাম্মা। অত্যন্ত মেধাবি ছাত্র হওয়ার কারনে ছোট থেকেই বিভিন্ন শিক্ষা মূলক বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যান। অভাব অনটনের মধ্যে বড় হওয়া রাধাকৃষ্ণন দূর সম্পর্কের এক দাদার কাছ থেকে একটি দর্শনের বই পান। এরপর দর্শনের উপর ... ...
উচ্চ মাধ্যমিকের পর, স্কটিশ চার্চ কলেজে ভর্তি হয়েই হস্টেলে বসে বইটি (ন হন্যতে) হাতে পেয়েছিলাম। মৈত্রেয়ী দেবীর সঙ্গে সেই প্রথম পরিচয়। পরে উত্তর চব্বিশ পরগনার বাদুর কাছে শিক্ষকতা করতে গিয়ে তাঁর নিজে হাতে গড়া “খেলাঘর” দেখলাম।
আমার বৈমাত্রেয় ভাই বিজয়ার সন্ধ্যায় আমাকে মিষ্টি দিয়ে গেল / তার ছোট্ট একটা প্রণাম এবং এক চিলতে হাসির কথা ভাবতে ভাবতে
যাপণ ৪আজ ভোরবেলা সৌরর মেসেজ পেয়ে ঘুম ভেঙেছে অরিজিতের ।আজ জিত বলেছিল ও যাবেনা ছবি তুলতে। আজ তো ওর স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে হুটোপুটি করার দিন। কতগুলো বছর পর বন্ধু রা একসাথে হবে। স্কুলজীবন পেরিয়ে গেছে তাও তো আঠারো বছর হয়ে গেলো।সৌরদীপ কোলকাতা এলে যেখানে থাকে, ওখানকার ফ্ল্যাটমেট ঋজুকে নিয়ে কাজ করবার কথা। ঋজুটা এবার মডেল হওয়ার জন্য বিদেশে চলে যাবে। ঋজুকে ফ্যাশন দুনিয়ায় এনেছিল সৌরদীপই। প্রতিদিনই একটু একটু করে তৈরী করেছে । যদিও আরও অনেকের মত ঋজু সেটা বাকীদের কাছে কখনও স্বীকার না করলেও সৌরর কাছে খাপ খোলেনা। ভোরবেলা যখন প্রায় মনখারাপের স্বরে সৌর বলল, ঋজু সেটা অস্বীকার করেছে আর সে ... ...
আত্মার প্রেমে কি তবে কাঁটা থেকেই যাবে?
কে জাগে রে!! ছোটবেলায় দুগ্গা পূজো ছিল পাড়ার পূজো। পূবপাড়া, মাঝেরপাড়া, পশ্চিমপাড়া। আমাদের বাড়িটা পড়তো মাঝেরপাড়ায়। পূজোটা হত ইস্কুলবাড়িতে, আমাদেরই পূজো, তবে পাড়ার, ঢাকিরা থাকতো আমাদের বাড়ীতে সিঁড়ির তলার ঘরে। ঢাকিদের সাথে একটা বাচ্চা ছেলেও আসত কাঁসি নিয়ে নাড়ু।
।।কোজাগরী।। কে জাগে রে !! ছোটবেলায় দুগ্গা পূজো ছিল পাড়ার পূজো। পূবপাড়া, মাঝেরপাড়া, পশ্চিমপাড়া। আমাদের বাড়িটা পড়তো মাঝেরপাড়ায়। পূজোটা হত ইস্কুলবাড়িতে, আমাদেরই পূজো, তবে পাড়ার, ঢাকিরা থাকতো আমাদের বাড়ীতে সিঁড়ির তলার ঘরে। ঢাকিদের সাথে একটা বাচ্চা ছেলেও আসত কাঁসি নিয়ে নাড়ু। নাড়ুকে হিংসে হোত, ওকে তো ইস্কুলে যেতে হয় না, কেমন পঞ্চমী থেকেই বাপের সাথে দুগ্গা পুজোর মন্ডপে। স্কুলে প্যান্ডেলের বাঁশ পড়ত মহালয়ার পরের দিন, মন উড়ুউড়ু, কবে ষষ্ঠী আসবে, ষষ্ঠী হয়ে ইস্কুলে ছুটি, সেই এক মাসের। সপ্তমী অষ্টমী নবমী টা কেটে যায় কেমন স্বপ্নের মতো, সীতানাথ ওর ভাই পচাকে দুই বেনী প্যাঁচানো সাপ বেলুন কিনে দেয়, সবাই রোল ক্যাপ ফাটায়, ... ...
ধরুন আপনি যেমন খুশি হতে পারেন / আপনার কাছে আলাদিনের চিরাগ আছে
স্পষ্ট বুঝতে পারছে অভিলাষ, তার দৃষ্টিটা সহ্য করতে পারছেন না অনিন্দ্য জোয়ারদার। ব্যাঙ্কের শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ম্যানেজারি ঘরে বসেও রীতিমতো ঘামছেন। উশখুশ করছেন। টাইয়ের নট আলগা করে হাঁসফাঁস করছেন।
সামনে এসে বসেছেন আমার ভাগ্যদেবতা / ইনিয়ে বিনিয়ে ইষ্ট আলাপ হয়েছে