নবু বলল, “বাঙালির হিন্দি শেখায় প্রধান বাধা কোথায় জানিস, নীরেন ?”বললাম, “তুইই বল ৷”নবু বলল, “অ্যখবারের অ্য উচ্চারণে ৷ কেমনটা বুঝেছিস ? ওই যেমন গ্যধা, ম্যন্দবুদ্ধি, শ্যয়তান – দেখবি, এই সব শব্দের অ্য উচ্চারণে বাঙালির জিভ পেটে সেঁধিয়ে যায় ৷”বললাম, “হতে পারে ৷ তবে, আমি এই নিয়ে কোনো গবেষণা তো করিনি ৷ তুই যা বলবি তাই সই ৷”নবু বলল, “না, না, ৷ বিষয়টা খুব গুরুগম্ভীর ৷ তোকে আমার জীবনের কিছু সত্যি ঘটনা বললে তুই বুঝতে পারবি সমস্যাটা কত গভীর ৷”বললাম, “তোর জীবনের ?”নবু বলল, “মানে, আমার পটলা মামার জীবনের – কিন্তু, অনেকটাই আমার জীবনে চাক্ষুষ দেখা ৷”বললাম, “ও ! ভাবছিলাম ... ...
আজ একজন ড্রাইভারকে দেখলাম, সময় কাটাতে গঙ্গার ধারে চিংড়ি মাছ ধরছে। সরঞ্জাম খুবই সাধারণ। নাইলনের সুতো, বড়শি ও কেঁচো। ব্যস্।
বটুক ঘোষের বটুয়ার অবস্থা আজকাল খুব করুণ। কারণ প্রীতির কারনে তিনি পাড়ার বিলিতি বস্তুর দোকানে বিশেষ আপ্যায়ন পেয়ে থাকেন বটে, তবে সেখানেও আর ধারাবাহিক ধার বাকি চলছেনা। ইদানীং চালের ব্যবসাটা বেচালে বসে যাওয়াতেই এই বিবশ দশা।
মন বলল কবিতা লেখো, / হাত টেনে নিল তুলোট কাগজ
বাবা, করোনা ভাইরাস কী? / তুমি কোত্থেকে শুনলে? / স্কুলে দীপ্তনীল বলছিল। করোনা ভাইরাস হলে নাকি মুখ দিয়ে রক্ত বের হয়ে মানুষ মরে যায়। তারপর মানুষ জম্বি হয়ে যায়। জ্যান্ত মানুষকে কামড়ে তার ভিতরেও ভাইরাস ঢুকিয়ে দেয়। আগরতলায় নাকি করোনা ভাইরাস এসে পড়েছে। দীপ্তনীল রাস্তায় দেখেছে একটা জম্বি। / ধুর, দীপ্তনীল তোমাকে ভুলভাল বলেছে। করোনা ভাইরাস থেকে একটা কঠিন রোগ হয় ঠিকই। মানুষ মারাও যায় অনেকসময়, জম্বি টম্বি বানানো গল্প। আগরতলায় এই ভাইরাস এসেছে, এটাও বানানো গল্প। চীন দেশের একটা গ্রামে এই রোগ ছড়িয়েছিল। অনেক লোক সংক্রমিত হয়েছে। বেশ কিছু লোক মারাও গেছে। ... ...
সেই বাড়ির নেই ঠিকানা, অথবা মনে করো সাততলা বাড়িটার ঠিক সামনে থেকে একটা অজানা লাল সুড়কির পথ শূন্যের দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছে। আর কিছু করে থাকি বা নাই থাকি, কিছু সংসার পাকিয়েছি বটে জীবনে। মাপতে গিয়ে দুটো ম্যাটাডোর আর ছ'টা ডিকি ভরে গেলো। বাক্সে বাক্সে বন্দী বাক্স, বাক্স-বোধন উৎসব চলছে এখন; কোনটা কোন বাক্সে রয়েছে বুঝতে না পারার ছোট ছোট বাক্স রহস্য। গোটা ব্যাপারটা মিটে যাওয়ার পর মনে হচ্ছে পিঠে ব্যাগ নিয়ে পরীক্ষা দিয়ে ফিরলাম; এখনও যথেষ্ট কোমরের জোর আছে নাকি বাড়ি বসে বসে বসে গেছি পুরাই! প্রথমবার বাড়ি বদলানোর সময় প্রতীক ছিল সাথে, দ্বিতীয়বার তুহিন আর গুড্ডু, এবার আমি ... ...
oi,ak rokom
আমার মনের ভেতরে কোন সিসিটিভি ক্যামেরা নেই, এমনকি ২৪ কেন ১২ পিক্সেলে তোলা ছবিও নেই। ষাট সত্তরের দশকে ওসবের অস্তিত্ব আমাদের চেতনায় থাকার কথা নয়। আছে কিছু জলছবি, সময়ের ছোঁয়ায় বিবর্ণ, ধুসর। কিছু ডাকটিকিটও আছে, বিশিষ্ট ঘটনার, তেমনই অল্প কিছু ফার্স্ট ডে কভার। তাই গরহাজির কোন পূর্বাপর শৃংখলা। ... ...
কোজাগরী রাত আর জ্যোৎস্নায় মাখামাখি / আকাশের জাগরণপালা দেখতে দেখতে / যে মেয়ে লক্ষ্মীমন্ত কড়ি নিয়ে খেলতে বসে— / সে একেবারে বিপন্ন রেখার ধারে !
Kichhui bujhte parchhina, just check korte dhuklam, bolchhe likhte...... e to moha jala
কমলকুমার-রাধাপ্রসাদ-হরিসাধন-চিদানন্দরা একটা পুরোনো কলকাতার বন্ধুদল। এ লেখা কিছুটা সে কলকাতা নিয়েও। যে কলকাতার গল্প আমাদের আজীবন বললেন কেউ কেউ। অনিরুদ্ধবাবু তাঁঁদের মধ্যে অন্যতম।আশি বছর বয়সী অনিরুদ্ধবাবু থাকেন কালীঘাটে। বইঠাসা একটা ঘরে একলাই। বন্ধুরা বিগত। তাঁর কলকাতাও বিগত। এককালে আড্ডার জন্য বিখ্যাত ছিল তাঁর ঠিকানা। সাহিত্যের আড্ডা। শিল্পের আড্ডা। সাথে পানভোজন। পিএনপিসি না। রসিকতা, যা বিগত।আমি কমলকুমার আর তাঁর কলকাতা খুঁজতে খুঁজতে পৌঁছই অনিরুদ্ধবাবুর দরজায়। আমার এ খোঁজ, অর্থাৎ ইতিহাস, আমায় নিয়ে গিয়েছে অনেক এমন দরজায় এ শহরের। যারা বাগবাজার, যারা ভবানীপুর, যারা গড়িয়া। যারা পাণ্ডিত্যের বটগাছ, মিশেছেন আজীবন বাঘেদের সাথে। তাই বামনদের সাথে আজ ঠিক পেরে ওঠেন না। বাড়িতেই থাকেন। ... ...
ট্রাম্প বড় মজারু (বাইডেন জানি না) / মাস্ক ছাড়া ঘুরি ফিরি, লকডাউন মানি না
আমাদের জীবনের অনেককিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকেনা, এরকমটা আগে মনে হতো। এখন বুঝি যে আমাদের জীবনের কোনওকিছুই আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকেনা। মাঝে মাঝে এই সারসত্য ভুলে গেলে মহাজগৎ মনে করিয়ে দেয়। নিজেই সংকেত পাঠায় আবার যে, আসলে ঠিক এখানেই থাকার কথা ছিল এই মুহূর্তে। আগেরদিন একটা লেখায় ব্যান্ডেলের বাড়ি ছাড়ার সময়ের কথা লিখেছিলাম; কীভাবে পন্ডিচেরির অরোভিল নিকটবর্তী অঞ্চলে পৌঁছতে গিয়ে কলকাতার অরবিন্দ নগরে এসে আবিষ্কার করলাম পাড়ায় একটা অ্যাপার্টমেন্টের নাম অরোভিল। সেই বাড়ি ছেড়ে বেরোতে হয়েছিল ২০১৬ সালের ৩১শে অক্টোবর। বেরোনোর কথা ছিল না, বেরোতে হয়েছিল। সেখান থেকে পাটুলি কিউ ব্লকের এই বাড়িতে এসে আবিষ্কার করলাম উল্টোদিকের জংলা জমিতে বেগুনি রঙের ফুল ... ...
জয় সুকুমার হে, জয় সুকুমার .. / পাগলা দাশু ফিরে আসুক আবার !
অন্ডাল এয়ারপোর্টের যা অবস্থা , চন্ডাল পেটের দায়ে আমার মত অনেকের তাই অবস্থান। তাই গুরুপূজা করা হয় না।
।। *লক্ষীসরা* ।। বিজলি আজ খুব ব্যস্ত। তাহেরপুরে সক্কালবেলাতেই বেশ ঠান্ডা ঠান্ডা নীহর পড়ে আজকাল। কাল নক্ষীপূজো, সরাগুলান আজ কালিনারায়নপুর হাটে নিয়ে যেতি হবে। এই নক্ষীপূজোতেই সরা বেচি দুপয়সার মুখ দেখতি পায় বিজলিরা। শান্তিপুরী সরা, জটূলিদাদুর মুখে শুনেছে বিজলি কত রকমের সরা আছে, ঢাকাই সরা, ফরিদপুরী সরা, সুরেশ্বরী সরা আর বিজলীর মা খুড়িমারা যেটা আঁকে সেই শান্তিপুরী সরা। আগে ঘরে ঘরে নক্ষী'মার মুর্তি পূজো হতো না, সরাপূজোই হোত বেশি ঘরে। ফরিদপুরী সরা চৌখুপি, মা নক্ষীর চিত্র আঁকা সবেতেই, এই সরা বেচেই দু পয়সা এই কোজাগরী পূজোর আগে। বাপটাকে বলতি হবে দুলাল কাকার ভ্যানটা নিয়ে সরাগুলান পৌঁছে দিতে। রাতে কি ছাঁইপাঁশ গেলে দিনভর ... ...
"ত্রাতা হিসেবে উদয় হও হে প্রভু"... আমার মতো এক ঘোর নাস্তিকও বিড়বিড় করে ফেললো, যখন বিরামহীন প্রবল বৃষ্টির মধ্যে গিয়ে রাত ন'টায় নামলাম চেন্নাই সেন্ট্রাল স্টেশনে। হঠাৎ ঠিক হয়েছে, তাই তৎকালে ট্রেনের রিজার্ভেশনটা হলেও পছন্দসই হোটেল পাওয়া যায়নি। তাই কর্তামশাই সদর্পে ঘোষণা করলেন, "নো প্রব্লেম, চেন্নাই তো, গিয়েই হোটেল বুকিং করবো। আমি তো ওখানে চাকরি করে এসেছি!" অগত্যা... মনকে তখন প্রবোধ দিলাম, "এছাড়া উপায়ইবা কী?" সেই দ্বিসাপ্তাহিক পূজা স্পেশাল ট্রেন তো প্রায় সাড়ে চার ঘন্টা মত লেট। রাতে কোথাও অপরিচিত জায়গায় পৌঁছনো, তার মধ্যে আবার হোটেল বুকিং নেই! আমার খুব অস্বস্তি হচ্ছে, মেয়ে দিব্য আছে, ঝামেলা দেখলেই কানে ইয়ার ফোনটা গুঁজে ... ...
নূরনবী হজরত বাঁকা শ্যামরায় / কেউ যায় মথুরায় কেউ মদিনায়
চলচ্চিত্র বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় মনোরঞ্জনের মাধ্যম হিসাবে চিহ্নিত। শুধু তাই নয় বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় বানিজ্য প্রতিষ্ঠানেরও অন্যতম। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতবর্ষে এই শিল্প-বানিজ্য প্রসার লাভ করেছে। বিশ্বের প্রথম সারির চলচ্চিত্র নির্মানে ভারতবর্ষ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে চলেছে। আর এই ভারতীয় চলচ্চিত্রকে পথ প্রদর্শন করেছে বাংলার চলচ্চিত্র নির্মাতারা। চলচ্চিত্র নির্মানের শুরুতেই বাংলার ভূমিকা ছিল দৃষ্টান্ত মূলক। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে হীরালালের নাম সর্বাগ্রে উচ্চারণ করতে হয়। তাঁদের হাত ধরে বাংলায় প্রথম বায়োস্কোপ আসে। ... ...
খাওয়াদাওয়া নয়, বাড়ি গাড়ি নয়, টাকা পয়সা নয় , শাড়ি গয়না নয়, সাজগোজ নয়, আমার একমাত্র শখ হলো বেড়ানো। কপালগুণে কর্তামশাইয়েরও শখ প্রবল বেড়ানোর! সুতরাং, আমাদের দুই বেড়ানোবাজের একমাত্র মেয়ে হলো ডাবল বেড়ানোবাজ। তবে এক্ষেত্রে মেয়ে আর আমি সমমনস্ক সমগোত্রীয় অর্থাৎ আমার আর মেয়ের আবার বেড়ানোয় বাছাবাছি নেই, পাহাড় জঙ্গল মরুভূমি সমুদ্র সবেতেই সমান রুচি। জাস্ট তল্পিতল্পা গুছিয়ে বেরিয়ে পড়লেই হলো। কিন্তু কর্তামশাই আবার ভয়ঙ্কর রকমের পাহাড়প্রেমী কিন্তু উনি আবার খাদেও বড্ড ভয় পান! বৈচিত্র্যময় সমাপতন! মেয়ের সেকেণ্ড ইয়ারের ফাইনাল পরীক্ষা সেবার বেশ অনেকদিন পিছিয়ে যাওয়ায় শীতের ছুটিতে বেড়াতে যাওয়া হয়ে উঠলো না। তাতে কুছপরোয়া নেহি, দোলের তিন দিন আগে মেয়ের পরীক্ষা ... ...